Ajker Patrika

স্বপ্নই রয়ে গেল চিত্রাপাড়ের মানুষের, আবারও সাঁকো নির্মাণ স্বেচ্ছাশ্রমে

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি 
কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। ‘অনির্বাণ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। ‘অনির্বাণ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্বপ্নই রয়ে গেল চিত্রা নদীর দুই পাড়ের মানুষের। ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। বছর বছর যে সাঁকো ভেঙে যায়, সেটাই আবার নতুন করে বানাচ্ছেন গ্রামবাসী। সাময়িক দুর্ভোগ লাঘব হলেও তাঁরা চান স্থায়ী সমাধান। এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চিত্রা নদীর ওপর এ বাঁশের সাঁকো প্রথম নির্মাণ করা হয় ২০০৭ সালে। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোপালপুর, হাজিডাঙ্গা, সুতি, মধুহাটি ও কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার, ঘাগা ও কুশনা গ্রামের মানুষ মিলে স্বেচ্ছাশ্রম ও আর্থিক সহায়তায় এটি তৈরি করেন।

গত ২০ মে প্রবল স্রোতে ভেঙে পড়ে বাঁশের ওই সাঁকো। এতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের যাতায়াত ব্যাহত হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা বাধাগ্রস্ত হয়, কৃষকের উৎপাদিত ফসল বাজারজাত করা বন্ধ হয়ে যায়।

এই দুর্ভোগের প্রতিবাদে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন আন্দোলন করেছেন ভুক্তভোগীরা। স্থানীয়, এমনকি জাতীয় দৈনিকেও একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু এরপরও সমস্যার স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। ফলে এ বছরও আবার হাত লাগাতে হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ বছর সাঁকো নির্মাণে সহায়তা করেছে ‘অনির্বাণ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। তাদের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে।

কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। ‘অনির্বাণ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
কোটচাঁদপুরে চিত্রা নদীর ওপর আবারও স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি হলো বাঁশের সাঁকো। ‘অনির্বাণ’ নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সহায়তায় গতকাল বুধবার সকাল থেকে নির্মাণকাজ শুরু হয়, যা আজ বৃহস্পতিবার দৃশ্যমান হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুতী গ্রামের বাসিন্দা অসিত কুমার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ করে আসছি। অনেকবার স্থায়ী সমাধানের আশ্বাস পেয়েছি, কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এবারও বাধ্য হয়ে নিজেরাই আবার সাঁকো তৈরি করেছি। সরকারি সহায়তা না থাকলেও আমরা পরস্পরের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছি—জনগণের ইচ্ছা ও ঐক্য থাকলে অনেক কিছু সম্ভব।’

তালসার গ্রামের মুদিদোকানি আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর এ দুর্ভোগে পড়তে হয় আমাদের। স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না শিক্ষার্থীরা, কৃষকের পণ্য পৌঁছাতে পারছে না বাজারে। আমরা চাই একটি পাকা সেতু, যাতে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয়।’

স্থানীয় বাসিন্দা আকিমুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘প্রতিবছর বর্ষায় পানির প্রবল স্রোতে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। বারবার চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও কোনো সাড়া মেলেনি। তাই আবারও নিজেরাই বানিয়ে ফেলেছি।’

কুশনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহারুজ্জামান সবুজ বলেন, ‘প্রতিবছর বৃষ্টির সময় এলেই এই ভোগান্তি শুরু হয়। বিষয়টি নিয়ে বহুবার আলোচনা করেছি, তবু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এবারও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব, যেন স্থায়ীভাবে সেতু নির্মাণ করা হয়।’

এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে কি না—জানতে চাইলে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আছে। স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত