Ajker Patrika

‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে’, চিরকুটে র‍্যাব কর্মকর্তা

 নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ০৭ মে ২০২৫, ১৯: ০০
পলাশ সাহা। ছবি: সংগৃহীত
পলাশ সাহা। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামে নিজ কার্যালয়ে মাথায় গুলিবিদ্ধ র‍্যাব কর্মকর্তা পলাশ সাহার মরদেহের পাশে পাওয়া চিরকুটে একটি অংশে লেখা ছিল—‘বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য।’

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‍্যাব-৭ কার্যালয়ে নিজের অফিস কক্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ ওই কর্মকর্তার মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ সময় টেবিলের ওপর একটি চিরকুট ও নিচে একটি পিস্তল পাওয়া যায়।

পুলিশ ধারণা করছে, পারিবারিক কলহের কারণে পিস্তল দিয়ে নিজের মাথায় গুলি চালিয়ে এই কর্মকর্তা আত্মহত্যা করেছেন। এর আগে তিনি তাঁর পরিবারের জন্য একটি চিরকুট লিখে গেছেন। তবে লেখাটি নিহত ওই কর্মকর্তার কি না, তা ফরেনসিকে পাঠিয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত পলাশ সাহা ঢাকার সূত্রাপুর থানার ওয়ারীর বিনয় সাহার ছেলে। তিনি ৩৭তম বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা ছিলেন। মৃত্যুর আগপর্যন্ত পলাশ সাহা র‍্যাব-৭ চান্দগাঁও ক্যাম্পে জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

কয়েক লাইনের এই চিরকুটে লেখা ছিল—‘আমার মৃত্যুর জন্য মা এবং বউ কেউ দায়ী না। আমিই দায়ী। কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না। বউ যেন সব স্বর্ণ নিয়ে যায় এবং ভালো থাকে। মায়ের দায়িত্ব দুই ভাইয়ের ওপর। তাঁরা যেন মাকে ভালো রাখে। স্বর্ণ বাদে যা আছে তা মায়ের জন্য। দিদি যেন কো-অর্ডিনেট করে।’

নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) আরিফ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পলাশ সাহার লাশ তাঁর অফিস কক্ষে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থলে তাঁর পরিবারের বিষয়ে লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের কারণে উনি নিজের মাথায় সরকারি পিস্তল দিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। সকালে তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলারও তথ্য পাওয়া গেছে। বাকিটা তদন্ত ও ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পলাশ সাহার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনার পর দুপুর থেকে জরুরি বিভাগের সামনে র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। র‍্যাব কর্মকর্তাকে দেখতে আসেন র‍্যাব-৭–এর সিইও হাফিজুর রহমান। তবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পলাশ সাহার মা-ভাই-বোন হাসপাতালে পৌঁছাননি।

এর আগে বেলা ২টা নাগাদ চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পড়ে থাকা স্বামীর মরদেহ দেখে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা গেছে পলাশ সাহার স্ত্রীকে। তবে নিহতের স্ত্রীর নাম-পরিচয়ের বিষয়ে পুলিশের কাছ থেকে কিছু জানা যায়নি।

র‍্যাবের তথ্যে, বহদ্দারহাট ক্যাম্পে কর্মরত সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহা একটি অভিযানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। প্রথমে অস্ত্র ইস্যু করে তিনি নিজের অফিস রুমে প্রবেশ করেন। কিছুক্ষণ পর একটি শব্দ শুনে কর্তব্যরত অন্য র‍্যাব সদস্যরা তাঁকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। ওই সময় তাঁর নামে ইস্যু করা পিস্তল নিচে পড়ে থাকতে দেখা যায় এবং টেবিলে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। পরে চমেকে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

র‍্যাবের হেফাজতে পলাশ সাহার স্ত্রী

চমেক হাসপাতালে জরুরি বিভাগের সামনে স্বামীর মরদেহ দেখার সময় পলাশ সাহার স্ত্রীর আশপাশে মহিলা পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ করা গেছে। সোয়া ২টার পর দুই মহিলা পুলিশ সদস্য দুই পাশে তাঁর হাত ধরে জরুরি বিভাগের সামনে থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় আবোলতাবোল বিলোপ করে হেঁটে যাচ্ছিলেন.... . ।

পুলিশের তথ্যে, পলাশ সাহার স্ত্রী বর্তমানে র‍্যাব-৭–এর হেফাজতে রয়েছেন। পতেঙ্গাস্থ সদর দপ্তরে তাঁকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

র‍্যাবের হেফাজতে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন। তিনি বলেন, উনি এখন র‍্যাবের হেফাজতে আছেন। নিহতের আত্মীয়স্বজন এখনো চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায়নি। উনারা পৌঁছার পর কোনো অভিযোগ করলে সে অনুযায়ী পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনিও একই কথা বলেছেন।

ওসি বলেন, ‘পরিবারের কেউ অভিযোগ দায়ের করলে তাহলে উনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলা হতে পারে। সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভোর থেকে বিকেল পর্যন্ত উঠানে পড়ে রইল লাশ, সম্পত্তি নিয়ে ছেলেমেয়েদের ঝগড়া

কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি 
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির উঠানে লাশবাহী খাটিয়া। ছবি: আজকের পত্রিকা

‎লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জেরে রুহুল আমিন নামের এক বৃদ্ধের লাশ দাফনে বাধা দিয়েছেন তাঁর ছেলেমেয়েরা। আজ সোমবার উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আজ ভোরের দিকে সত্তরোর্ধ্ব রুহুল আমিন মারা যান। শেষপর্যন্ত পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেলে বৃদ্ধের লাশ দাফন করা হয়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুহুল আমিন দুই বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীর ছেলে সোহেল রুহুল আমিনের জমিজমা ভোগদখল করছেন। অন্যদিকে বাবার বিষয়সম্পত্তি থেকে প্রথম পক্ষের সন্তানেরা বঞ্চিত হয়েছেন। রুহুল আমিনের মৃত্যুর খবর শুনে প্রথম পক্ষের সন্তান মোফাশ্বেরা বেগম, নাসিমা আক্তার, শরীফসহ সবাই বাবার সম্পত্তির হিসাব চাইতে আসেন। সোহেল তাঁদের হুমকি-ধমকি দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এলাকাবাসীর ভিড় জমে গেলে একপর্যায়ে লাশ ফেলে চলে যান সোহেল। অন্যদিকে সম্পত্তির হিসাব না পেলে লাশ দাফনে বাধা দিতে অনঢ় থাকেন প্রথম পক্ষের সন্তানেরা।

এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন, সিদ্দিক উল্যা ও শরিফ জানান, রুহুল আমিনের অনেক বিষয়সম্পত্তি ছিল। আগের সৎভাই-বোনদের কোনো সম্পত্তি না দিয়ে সবকিছু সোহেল দখল করে রেখেছেন। এ ছাড়া এলাকার কিছু মানুষের কাছে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে দেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আজকের পত্রিকাকে সোহেল বলেন, ‘আমার বাবার কোনো সম্পত্তি আমার কাছে নাই। তারা যদি লাশ দাফন করতে না দেয়, আমার কোনো আপত্তি নাই।’

চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক বলেন, ‘লাশ দাফনে বাধার খবর শুনে এসে দেখি, মৃত রুহুল আমিনের দুই পরিবারের মধ্যে সম্পত্তির ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলছে। সোহেলের কাছে রুহুলের প্রথম ঘরের ছেলেমেয়েরা সম্পত্তির হিসাব চাইলে সে বসে বিষয়টি সমাধান করতে রাজি হয়নি।’

‎এ বিষয়ে কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদুল ইসলাম জানান, পুলিশি হস্তক্ষেপে বিকেল ৫টার দিকে লাশ দাফন করা হয়েছে। ‎

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৪ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি হিরো আলম। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৪ আসনে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি। আজ সোমবার বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

পরে কাগজপত্র সংশোধন করে রিটার্নিং কার্যালয়ে আসতে আসতে মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা শেষ হয়ে যায়। ফলে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি।

জানা যায়, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গতকাল রোববার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম সদ্য নিবন্ধিত আমজনতা দলের মনোনয়ন পান। আজ জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন। পরে জমা দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় সংশোধনের জন্য তাঁকে ফেরত পাঠানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হিরো আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকায় আপিল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। দেখি এ ব্যাপারে কী করা যায়।’

বগুড়া জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমান বলেন, আশরাফুল আলম মনোনয়নপত্র উত্তোলন করলেও সঠিক সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারেননি। তাঁকে আপিল করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মৌলভীবাজার-৪ আসনে বাবা ধানের শীষের প্রার্থী, ছেলে স্বতন্ত্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত
মুজিবুর রহমান চৌধুরী ও তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী। ছবি: সংগৃহীত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৪ (কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। একই আসনে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসাদুজ্জামানের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুঈদ আশিদ চিশতী। ইউএনও আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও কমলগঞ্জের ইউএনও কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন মুজিবুর রহমান চৌধুরী।

জানা গেছে, কোনো কারণে মুজিবুর রহমান চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলে বিকল্প হিসেবে তাঁর ছেলে মুঈদ আশিদ চিশতী প্রার্থী হবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ির মালিককে কামড়ে পালানোর চেষ্টা চোরের, দুজনেই হাসপাতালে

মধুখালী প্রতিনিধি
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও অভিযুক্ত চোর সোহেল মল্লিক। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের মধুখালীতে রাতের আঁধারে গেরস্তের ঘরে চুরি করতে ঢোকে এক চোর। ঘরে ঢুকে এদিক-সেদিক টাকাপয়সা ও মালপত্র খুঁজতে থাকেন তিনি। চোরের এই আগমন টের পেয়ে যান বাড়ির মালিক। চোর যখন চুরি করতে ব্যস্ত, তখন আচমকা পেছন থেকে তাঁকে ঝাঁপটে ধরেন তিনি। এ সময় পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে ওঠা চোর বাড়ির মালিককে আঁচড়ে-কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে ফেলে। বাড়ির মালিকের চিৎকার হইচইয়ে ঘরের অন্য সদস্য এবং আশপাশের লোকজন চোরকে ধরে বেদম পিটুনি দেয়।

গত শনিবার গভীর রাতে মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের মো. রবিন শেখের (২৭) ঘরে এই কাণ্ড ঘটে। রবিন শেখ ওই বাড়ির মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে। অভিযুক্ত চোর হলেন মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার প্রাভাটুরা গ্রামের ইউনুস মল্লিকের ছেলে সোহেল মল্লিক (৪১)।

জানা গেছে, বাড়ির মালিক রবিনের হাতে ধরা খাওয়ার পর আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন চোর সোহেল। রবিন শেখের মুখসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড়ে-আঁচড়ে গুরুতর আহত করেন তিনি। রবিনের চিৎকারে তাঁর বাবাসহ অন্যরা চোরকে ধরে ফেলেন। এলাকার লোকজন মিলে চোরকে পিটুনি দেয়। বর্তমানে বাড়ির মালিক রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিক—দুজনেই মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. মামুন হাসান বলেন, আহত মো. রবিন শেখ ও চোর সোহেল মল্লিককে হাসপাতালে নিয়ে এলে দুজনকেই ভর্তি করি এবং তাঁরা চিকিৎসাধীন আছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এনসিপি-জামায়াত জোটে যুক্ত হচ্ছে আরেকটি দল, আসন বণ্টন ঘোষণা রাতেই

নির্বাচন না করার ঘোষণা দিলেন আনোয়ার হোসেন মঞ্জু

নাহিদকে শুভকামনা জানিয়ে সরে গেলেন জামায়াতের আতিক

কারওয়ান বাজারে চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের লাঠিমিছিল, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া

নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা এনসিপি নেত্রী মনজিলা ঝুমার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত