আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’
আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
আজ শনিবার সরেজমিন অনুসন্ধানে এ তথ্য জানা গেছে। গতকাল শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উলিপুর থানা চত্বরে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়।
নিহত আশরাফুল আলম উপজেলার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তবে সংঘর্ষে আঘাত পেয়ে নাকি অসুস্থতার কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে—এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে দোষারোপ চলছে। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
ঘটনার পর শুক্রবার রাতেই আশরাফুলের বাবা বাদী হয়ে উলিপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু জাফর সোহেল রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফিরোজ কবির কাজলসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের ২০ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা আছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তবে আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর পর্যন্ত কোনোও আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
অনুসন্ধান সূত্র জানায়
২৫ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের নন্দুনেফরা গ্রামে (হোসাইনপুর) এক কিশোরকে (১৬) অপহরণের করার অভিযোগ ওঠে তার প্রেমিকা (১৪) পক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। হয় বিয়ে না হয় ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। এ নিয়ে ওই কিশোরের বাবা উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
কিশোরীর পক্ষের স্থানীয় অভিভাবক এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের ইউপি সদস্য বাবলু মিয়াসহ চারজন এই অপহরণে জড়িত বলে দাবি করেন কিশোরের বাবা। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাতে গুনাইগাছ ইউনিয়নে কিশোরীর বাড়িসহ সম্ভাব্য স্থানে অভিযান চালালেও কিশোরকে উদ্ধারে ব্যর্থ হয় পুলিশ।
বৈঠকে বিএনপির দুই পক্ষ
থানার বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক প্রেমিককে উদ্ধার এবং মামলা করা নিয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়েন। একপক্ষ প্রেমিকার পরিবারকে এবং অন্যপক্ষ প্রেমিকের পরিবারকে সমর্থন করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বড় অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের দাবি ওঠে। তবে ছেলের পরিবার থেকে টাকা না দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ার যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এতে বাধা দেয় বিএনপির অপরপক্ষ।
অভিযোগ উঠেছে, প্রেমিক কিশোরকে আটকের পর থেকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রমজান কিশোরীর পরিবারের পক্ষ নিয়ে ‘অপহৃত’ প্রেমিককে আটক রাখতে সহায়তা করেন। এ কাজে তিনি উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ এবং পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফুল ও তাঁদের নেতা-কর্মীদের সমর্থন নেন।
অন্যদিকে যুবদল নেতা রিপন ও মহসিন এবং উপজেলা কৃষক দলের সদস্যসচিব ফাজকুরনি ‘অপহৃত’ কিশোরকে উদ্ধারে তার পরিবারের পক্ষে সমর্থন দেন। এ নিয়ে দুটি গ্রুপ তৈরি হয়। শুক্রবার উভয়পক্ষ মীমাংসার জন্য থানায় মিলিত হয়।
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আটক কিশোরকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে মেয়ে পক্ষের হয়ে টাকা দাবি করেন ছাত্রদল নেতা রমজান ও তাঁর সহযোগীরা। তিনি উপজেলা যুবদলের কয়েক নেতার মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করে কিশোরকে উদ্ধারে পুলিশকে বাধা দেন। মামলা করতেও বাধা দেন তাঁরা।
মামলা না করে বিষয়টি সমাধানের উদ্দেশে উভয়পক্ষ থানার গোল ঘরে মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিখোঁজ কিশোরের বাবা ও দুলাভাইও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে রমজান বেশ উত্তেজিত হয়ে ছেলের বাবা ও দুলাভাইয়ের ওপর চড়াও হন।
খবর পেয়ে কৃষক দলের নেতা আবু জাফর সোহেল রানা, সাবেক ছাত্রদল নেতা ফিরোজ কবির কাজল, যুবদল নেতা নাজমুল, মঈনসহ বেশ কয়েকজন থানায় যান। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাক্বিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। উভয় পক্ষকে নিবৃত করতে গিয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন আশরাফুল। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বৈঠকে উপস্থিত যুবদলের একাধিক নেতা বলেন, থানার গোল ঘরে বৈঠক চলছিল। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। তবে আশরাফুলের গায়ে কেউ হাত দেয়নি। তার গায়ে টোকাও পড়েনি। থানা থেকে বের হয়ে আসার সময় আশরাফুল আকস্মিক মাটিতে লুটে পড়ে। আমাদের লোকজন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ নিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও অপহৃত কিশোর এবং অভিযুক্ত কিশোরীর পরিবারের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু মিয়া বলেন, ‘মেয়ে এবং মেয়ের এক খালু ছেলেকে আটক করে রেখেছে। আমাকে ফোন দিলে বিষয়টি ছেলের পরিবারতে জানিয়েছিলাম। পরে পুলিশ এসে ছেলেকে ছেড়ে দিতে বললে মেয়ে পক্ষ ১০ লাখ টাকা দাবি করে। বিষয়টি দলীয় পর্যায়ে (বিএনপির দুই পক্ষে) যাওয়ায় আমি আর ওসবে জড়াইনি। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে ছত্রদল নেতা রমজানের ফোন নম্বরে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
হাতাহাতির ঘটনায় পুলিশ যা বলছে
কিশোর অপহরণ এবং এ নিয়ে বিএনপির বেশকিছু নেতা-কর্মীদের দুটি পক্ষে বিভক্ত হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে পুলিশ। উভয় পক্ষের বৈঠক হওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও থানার ভিতরে নয় বরং থানা গেটের বাইরে বিএনপির দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার থানার দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক আব্দুর রশিদ দাবি করেন, ‘থানায় কোনোও বৈঠক বসেনি। প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ছেলেকে আটকের ঘটনায় থানার গেটে এসে বাক্বিতণ্ডায় জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। পরে চলে যাওয়ার সময় থানার সামনে আবার হাতাহাতিতে জড়ান তারা। এভাবে আহত হয়ে মেডিকেলে নেওয়ার পর একজন মারা যায়।’
ঘটনার দিন উলিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিল্লুর রহমান ছুটিতে ছিলেন। থানায় ফিরে তিনি বলেন, ‘প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এক ছেলেকে আটক রাখার ঘটনায় বিএনপির দুই পক্ষ বিবাদে জাড়ায়। তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হলে পুলিশ তাদের থানার বাইরে যেতে বলে। তারা চলে যান। থানায় উভয় পক্ষ উপস্থিত হলেও সংঘর্ষ হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি বলেন, ‘মেয়ে পক্ষের হাতে আটক কিশোরের বাবা থানায় মামলা করতে আসলে অপরপক্ষ তাতে বাধা দিয়ে মীমাংসার উদ্যোগ নেয়। এ সময় বাক্বিতণ্ডার একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে বলে জানতে পেরেছি। তবে তা হয়েছে থানার বাইরে।’
ওসি আরও বলেন, ‘একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। তবে শনিবার দুপুর পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।’ যে কিশোরকে আটক নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত সে কিশোরকেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি
গতকাল ঘটনার বিষয়ে তৎক্ষণাৎ পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা জানিয়েছিলেন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি তাসভীরুল ইসলাম এবং রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের সমর্থকদের মধ্যে থানার গোল ঘরে একটি অরাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মীমাংসার বৈঠক চলছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হলে আশরাফুল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করেন।
এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন। তাঁকে দ্রুত উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গতকাল উলিপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান বুলবুল বলেন, ‘বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেকের অনুসারীরা হামলা করে থানাচত্বরে একজনকে মেরে ফেলেছে। কয়েকজন আহত হয়েছে। আব্দুল খালেক বহিষ্কৃতদের নিয়ে গ্রুপিং করছেন। এখানে সাবেক সভাপতি তাসভীর ভাইয়ের অনুসারীরা মূল রাজনীতি করে। এ ঘটনার জন্য খালেক ভাইয়ের গ্রুপের কয়েকজন বহিষ্কৃত নেতা-কর্মী দায়ী।’
তবে গ্রুপিং কিংবা বহিষ্কৃতদের দলে ভিড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন বিএনপির রংপুর বিভাগীয় নেতা আব্দুল খালেক। ঘটনা সম্পর্কে অবহিত নন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায়। এসবের কিছুই জানি না। আর আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও বানোয়াট। বহিষ্কৃত কাউকে দলে নিয়েছি এটা কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। উপজেলা বিএনপির কমিটি অবৈধ। সুতরাং, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার এখতিয়ার তাদের নেই।’

রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
১৫ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেঢামেক প্রতিবেদক

রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মো. মারুফ জানান, শাহজাহানপুরের গুলবাগের আনন্দকানন বাসার লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন অপু। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শিমু জানান, তাঁদের বাসা যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায়। ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন তাঁর স্বামী। সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় সহকর্মীরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা ১টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
হাসপাতালে নিয়ে আসা সহকর্মী মো. মারুফ জানান, শাহজাহানপুরের গুলবাগের আনন্দকানন বাসার লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হন অপু। জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী শিমু জানান, তাঁদের বাসা যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায়। ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতেন তাঁর স্বামী। সকালে কাজের উদ্দেশে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
১৫ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেমৌলভীবাজার প্রতিনিধি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে রণচাপ গ্রামের নিচু জমিতে পানি জমে দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধ থাকে। এতে আমন ফসল আবাদ ব্যাহত হয়েছিল। পানি নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন মনু নদের বেড়িবাঁধ কেটে একটি পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেন। এ জন্য রোববার রাত ২টার দিকে একটি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) ভাড়া করে বেড়িবাঁধ কাটার কাজ শুরু করা হয়।
ওই সময় রণ মালাকার কোদাল দিয়ে কাটা অংশের নিচের মাটি সমান করছিলেন। একপর্যায়ে ওপরে স্তূপ করে রাখা মাটি ধসে তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা খননযন্ত্র দিয়ে মাটি সরানোর পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিধান দত্ত বলেন, ‘গভীর রাতে স্থানীয় লোকজন কাজ করছিলেন। মাটি চাপা পড়ে রণ মালাকার মারা গেছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বর্ষা মৌসুমে রণচাপ গ্রামের নিচু জমিতে পানি জমে দীর্ঘ সময় জলাবদ্ধ থাকে। এতে আমন ফসল আবাদ ব্যাহত হয়েছিল। পানি নিষ্কাশনের উদ্দেশ্যে স্থানীয় লোকজন মনু নদের বেড়িবাঁধ কেটে একটি পাইপ বসানোর উদ্যোগ নেন। এ জন্য রোববার রাত ২টার দিকে একটি খননযন্ত্র (এক্সকাভেটর) ভাড়া করে বেড়িবাঁধ কাটার কাজ শুরু করা হয়।
ওই সময় রণ মালাকার কোদাল দিয়ে কাটা অংশের নিচের মাটি সমান করছিলেন। একপর্যায়ে ওপরে স্তূপ করে রাখা মাটি ধসে তাঁর শরীরের ওপর পড়ে। প্রায় এক ঘণ্টা খননযন্ত্র দিয়ে মাটি সরানোর পর তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য বিধান দত্ত বলেন, ‘গভীর রাতে স্থানীয় লোকজন কাজ করছিলেন। মাটি চাপা পড়ে রণ মালাকার মারা গেছেন। তিনি পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ছিলেন।’
কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান মোল্লা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
১৫ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

নভেম্বর মাসে দেশে ৫২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন এবং আহত ১৭১ জন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ ও আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
দুর্ঘটনার শিকার ৭৪৬টি যানবাহনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, বাস ১৩ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং কার-জিপ-মাইক্রোবাস ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেল ক্রসিংয়ে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত, মহাসড়কে অবাধে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যান চলাচল, পর্যাপ্ত রোড সাইন ও সড়কবাতির অভাব, মিডিয়ান ও ডিভাইডার না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টো পথে চলাচল, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়ক নিরাপত্তায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি ও ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটালভাবে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও নিয়মিত রোড সেফটি অডিট, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন স্ক্র্যাপ করা এবং মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ।

নভেম্বর মাসে দেশে ৫২৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫০৭ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০১ জন এবং আহত ১৭১ জন; যা মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬৯ শতাংশ, নিহতের ৪১ দশমিক ১০ শতাংশ ও আহতের ২০ দশমিক ৮২ শতাংশ।
আজ সোমবার বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
দুর্ঘটনার শিকার ৭৪৬টি যানবাহনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মোটরসাইকেল ৩১ দশমিক ২৩ শতাংশ, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ড ভ্যান ও লরি ২০ দশমিক ২৪ শতাংশ, বাস ১৩ শতাংশ, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৭ দশমিক ১০ শতাংশ, নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৯ দশমিক ১১ শতাংশ এবং কার-জিপ-মাইক্রোবাস ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট দুর্ঘটনার ৪৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৮ দশমিক ৫৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়া, ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ অন্যান্য কারণে, শূন্য দশমিক ৫৭ শতাংশ চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষে ঘটে।
স্থানভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৩৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ দুর্ঘটনা জাতীয় মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ৭১ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে এবং ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে ৫ দশমিক ১৩ শতাংশ, চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং রেল ক্রসিংয়ে শূন্য দশমিক ৭৬ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে—বর্ষায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কে গর্ত, মহাসড়কে অবাধে মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত যান চলাচল, পর্যাপ্ত রোড সাইন ও সড়কবাতির অভাব, মিডিয়ান ও ডিভাইডার না থাকা, নির্মাণ ও যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য, উল্টো পথে চলাচল, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন এবং বেপরোয়া ও বিশ্রামহীনভাবে গাড়ি চালানো।
দুর্ঘটনা প্রতিরোধে সংগঠনটি কয়েকটি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে—সড়ক নিরাপত্তায় রাজনৈতিক অঙ্গীকার জোরদার, মহাসড়কে পর্যাপ্ত আলোকসজ্জা, দক্ষ চালক তৈরি ও ডিজিটাল ফিটনেস ব্যবস্থা, সার্ভিস লেন ও ফুটপাত নির্মাণ, চাঁদাবাজি বন্ধ, সড়ক পরিবহন আইন ডিজিটালভাবে প্রয়োগ, আধুনিক বাস নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা, মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও নিয়মিত রোড সেফটি অডিট, মেয়াদোত্তীর্ণ যানবাহন স্ক্র্যাপ করা এবং মোটরসাইকেল ও ব্যাটারিচালিত রিকশার আমদানি ও নিবন্ধন নিয়ন্ত্রণ।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
১৬ মিনিট আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো হলো—শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার; দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার; নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন।
ছাত্র-জনতা বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তারা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্র-জনতা মূল সড়কে চলে আসে।
বেলা ১টা ২৭ মিনিটে ছাত্র-জনতা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার সড়কে এসে তৃতীয়বারের মতো পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেড টপকাতে না পেরে তারা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। প্রতিনিধিদলটি কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন বলে জানা যায়।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে এবং জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্র-জনতা। এই কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দিলে ব্যারিকেড ভাঙার ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন পুরানা পল্টন এলাকায় শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনার প্রতিবাদে এবং দেশে নৈরাজ্যের অভিযোগে গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ এই ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দেন।
বিক্ষোভকারীদের মূল দাবিগুলো হলো—শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করে হত্যাচেষ্টায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার; দেশব্যাপী অভিযান চালিয়ে সব অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার; নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির ব্যবস্থা করা।
আজ সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসু কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অভিমুখে রওনা দেন।
ছাত্র-জনতা বেলা ১টা ২০ মিনিটের দিকে দোয়েল চত্বরে এসে প্রথম পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। এ সময় তারা ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যায়। এরপর হাইকোর্ট মাজারের সামনে এসে বিক্ষোভকারীরা দ্বিতীয় দফা পুলিশের ব্যারিকেডের মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেডও ভেঙে ছাত্র-জনতা মূল সড়কে চলে আসে।
বেলা ১টা ২৭ মিনিটে ছাত্র-জনতা শিক্ষা ভবনসংলগ্ন সচিবালয় অভিমুখে যাওয়ার সড়কে এসে তৃতীয়বারের মতো পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এই ব্যারিকেড টপকাতে না পেরে তারা সেখানেই অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে।
মূল বিক্ষোভকারীরা শিক্ষা ভবনের সামনে অবস্থানকালে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ডাকসুর ভিপি আবু সাদিক কায়েমের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ের উদ্দেশে রওনা হন। প্রতিনিধিদলটি কার্যালয়ে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া তুলে ধরবেন বলে জানা যায়।
এদিকে, উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আজ বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে তাঁকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।

কুড়িগ্রামের উলিপুর থানা চত্বরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এক যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনা রাজনৈতিক নয়। দুই কিশোর-কিশোরীর প্রেমের বিরোধের জেরে প্রেমিককে ‘অপহরণের’ ঘটনা মীমাংসা করতে গিয়ে থানা চত্বরে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির দুই পক্ষ। এ সময় যুবদল নেতা আশরাফুল আলমের মৃত্যু হয়।
২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে লিফট মেরামতের কাজ করার সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে ইব্রাহিম খলিল অপু (২৫) নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
২ মিনিট আগে
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় মনু নদের বেড়িবাঁধের মাটি কাটার সময় মাটি ধসে পড়ে রণ মালাকার (৪০) নামে এক দিনমজুর মারা গেছেন। রোববার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের রণচাপ গ্রামের মনু নদের তীরবর্তী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া রণ মালাকার রণচাপ গ্রামেরই বাসিন্দা।
৫ মিনিট আগে
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। এ বিভাগে ১৫৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৩২ জন এবং আহত ২৫৭ জন। আর সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা হয়েছে সিলেট বিভাগে—১৯টি দুর্ঘটনায় নিহত ২১ জন ও আহত ৮৯ জন।
১৫ মিনিট আগে