Ajker Patrika

রাজধানীর বাজারদর

বর্ষা শুরু হতে না হতেই চড়তে শুরু সবজির দাম

  • গত এক মাসে ৭৫% সবজির দামই বেড়েছে।
  • সপ্তাহের ব্যবধানে চাল ও মাছের দাম কিছুটা বেড়েছে।
  • গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, ডিমের দাম আগের মতো।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ০৭: ৪৫
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর বাজারগুলোতে পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। ছবি আজকের পত্রিকা
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান স্থাপনের পর বাজারগুলোতে পণ্যভিত্তিক সিন্ডিকেট সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী রূপ ধারণ করেছে। ছবি আজকের পত্রিকা

দিনপঞ্জির হিসাবে বর্ষাকাল শুরু হয়েছে মাত্র ১২ দিন। এর মধ্যেই চড়েছে সবজির দাম। রাজধানীর বাজারে গত এক সপ্তাহে দাম বেড়ে শয়ের ঘর ছুঁই ছুঁই করছে কয়েক পদের সবজি। কোনো কোনোটির দাম শতকের ঘর পার হয়ে গেছে। এ কারণ হিসেবে মৌসুমের কথা বলছেন সবজি ব্যবসায়ীরা।

বিক্রেতারা দাম বাড়ার যুক্তি দেখিয়ে বলছেন, বর্ষা মৌসুমে অনেক সবজির উৎপাদন হয় না। যেগুলো উৎপাদিত হয় সেগুলোরও সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে বৃষ্টির কারণে। ফলে চাহিদার চেয়ে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। এতেই দাম চড়ছে। গত এক সপ্তাহে পাইকারি বাজারেই কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে সবজির দাম।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত এক মাসে ৭৫ শতাংশ সবজির দামই বেড়েছে। এসব সবজির দাম এক মাস আগের চেয়ে ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

সবজি ছাড়াও গত এক সপ্তাহে চাল ও মাছের দাম আরেকটু বেড়েছে। তবে গরু ও খাসির মাংস, মুরগি, ডিম, চিনি, আটা, ময়দাসহ অন্যান্য মুদিপণ্যের দাম গত সপ্তাহের মতোই রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মুগদাপাড়া, মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহখানেক আগেও যে টমেটো ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে, এখন তা ১২০-১৩০ টাকা কেজি। কাঁকরোল, করলা, গোল বেগুন, কচুর লতিসহ পাঁচ থেকে ছয় ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা কেজি, গত সপ্তাহের তুলনায় যা ১০ টাকা বেশি। চিচিঙ্গা, লম্বা বেগুনসহ চার থেকে পাঁচ ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় ৫-১০ টাকা বেশি। কিছুটা কমে পাওয়া যাচ্ছে ঢ্যাঁড়স, পটোল ও কাঁচা পেঁপে। এসব সবজির দাম এখনো ৩০-৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, আগামী সপ্তাহ নাগাদ এগুলোর দামও বাড়তে পারে। কারণ, ঘাটে (পাইকারি বাজারে) সবজির সরবরাহ কমে গেছে।

রাজধানীর মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা আনোয়ার বললেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কম। ফলে আড়তদারদের সঙ্গে বেশি দামাদামি করা যায় না। গত এক সপ্তাহে কেজিপ্রতি ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে অনেক সবজিতে।

বাজারে বেড়েছে আলু ও কাঁচা মরিচের দামও। গত এক সপ্তাহে রাজধানীর বাজারগুলোতে আলুর দাম কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৩০ টাকায় উঠেছে।

বর্ষার অঝোর বৃষ্টি তথা বন্যায় সাধারণত সবচেয়ে বেশি বাড়ে কাঁচা মরিচের দাম। যদিও এ পর্যন্ত দেশজুড়ে অতিবৃষ্টি বা বন্যা হয়নি। কিন্তু তবু মরিচের দাম বাড়তে শুরু করেছে। গত সপ্তাহে যে কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি ৭০ টাকায় পাওয়া যেত, গতকাল তা ৮০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।

বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম স্থির থাকলেও বেড়েছে আদা ও রসুনের দাম। খুচরায় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬৫ টাকা কেজিতে। দেশি আদা ১২০-১৮০, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১৭০ টাকা। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৪০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৯০-১৪০ টাকা কেজি।

এদিকে চলতি সপ্তাহে আরেকটু বেড়েছে চালের দাম। সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশনের (টিসিবি) হিসাবে চলতি সপ্তাহে মানভেদে কেজিপ্রতি ৩ টাকা বেড়েছে চালের দাম। টিসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাজারে গত সপ্তাহে যে সরু চালের দাম ছিল ৮২ টাকা কেজি, তা চলতি সপ্তাহে ৮৫ টাকায় উঠেছে। এ ছাড়া মোটা চালের দামও ৩ টাকা বেড়ে ৫৮ টাকায় উঠেছে।

বাজারে মাছের দামও বেড়েছে। গত এক মাসে মাছের দাম কেজিপ্রতি ৩০-৫০ টাকা বেড়েছে। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ছোট ও মাঝারি রুই এবং কাতলা মাছ বিক্রি হয়েছে ২৮০-৩৮০ টাকা কেজিতে, যা কিছুদিন আগেও ছিল ২৫০-৩৩০ টাকা। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হয়েছে ১৮০-২৫০ টাকা কেজিতে, যা ছিল ২৫০-২৪০ টাকা।

মুগদাপাড়া বাজারে মাছ বিক্রেতা বলেন, বর্ষার ও বৃষ্টির পানি ঢুকে পড়ায় অনেক খামারি পুকুরের মাছ তুলে আগেই বিক্রি করে দিয়েছেন। তাই চাষের মাছের সরবরাহ এখন কিছুটা কম।

তবে ফার্মের মুরগি, গরুর মাংস ও ডিমের দাম গত সপ্তাহের জায়গাতেই স্থির আছে। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৪০-১৬০ টাকা কেজি। সোনালি ৩০০-৩১০ টাকা কেজি। গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকা কেজি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চৌদ্দগ্রামে ঘন কুয়াশায় দুই লরির সংঘর্ষ, চালক ও সহযোগী নিহত

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি 
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ৪২
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দুমড়েমুচড়ে যাওয়া একটি লরি। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে আজ ভোরে ঘন কুয়াশার কারণে দুই লরির সংঘর্ষে চালক ও তাঁর সহযোগী (হেলপার) নিহত হয়েছেন। নিহত চালক আব্দুল জব্বার (৩১) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থানার চরকমলা গ্রামের আবুল বাশারের ছেলে এবং হেলপার শাকিল (২২) নোয়াখালীর চরজব্বার থানার চর মহিউদ্দিন গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে।

চৌদ্দগ্রাম মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে চট্টগ্রামমুখী একটি লরিকে পেছনে থাকা আরেকটি লরি ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের লরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই চালক আব্দুল জব্বার মারা যান। গুরুতর আহত হেলপার শাকিলকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁরও মৃত্যু হয়।

চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন জানান, আহত হেলপারকে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

এসআই ফারুক হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে থানার ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঘন কুয়াশায় শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিলম্ব

বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৯
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশাজনিত কারণে আজ রোববার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগমন ও বহির্গমনকারী একাধিক ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ের তুলনায় বিলম্বে অবতরণ ও উড্ডয়ন করেছে। তবে এদিন কোনো ফ্লাইট ডাইভার্ট (অন্য স্থানে অবতরণ) করা হয়নি।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালকের মুখপাত্র মো. মাসুদুল হাসান মাসুদ বলেন, আজ ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত রানওয়ের দৃশ্যমান অবস্থা কম থাকায় ফ্লাইট অপারেশনে সাময়িক বিঘ্ন ঘটে। এ কারণে কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট সময়সূচি অনুযায়ী পরিচালনা করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে সকাল গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হয়। বর্তমানে দৃশ্যমান অবস্থা স্বাভাবিক থাকায় ফ্লাইট পরিচালনা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বিবেচনায় সব ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে।

বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের জন্য সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইনগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী সহায়তা প্রদান করছে বলে জানানো হয়েছে। যাত্রীদের অনাকাঙ্ক্ষিত ভোগান্তির জন্য এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ভ্রমণের আগে নিজ নিজ ফ্লাইটের সর্বশেষ অবস্থা জেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদা না দেওয়ায় হাতিয়ায় ব্যবসায়ীর ওপর হামলার অভিযোগ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৭
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা
আহত ব্যবসায়ী মেহরাজ উদ্দিন। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় চাঁদা না দেওয়ায় মেহরাজ উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ীর ওপর বর্বরোচিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন।

গতকাল শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতের এই ঘটনায় হাতিয়া থানায় চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টা ধারায় একটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় স্থানীয় ইউনুছ মাঝিসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আসামি করা হয়েছে।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ১৮ ডিসেম্বর অভিযুক্ত ইউনুছ মাঝি ও তাঁর সহযোগীরা মেহরাজ উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির হুমকি দেওয়া হয়। এরপর ২৪ ডিসেম্বর সকালে মেহরাজ উদ্দিন তাঁর চাল ভাঙার মেশিনে কাজ করার সময় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

হামলার সময় সন্ত্রাসীরা ধারালো কিরিচ দিয়ে মেহরাজ উদ্দিনের মাথায় এলোপাতাড়ি কোপ দেয়। এতে মাথার হাড় ও খুলি মারাত্মকভাবে জখম হয়। এ ছাড়া লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়।

পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন।

হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এ এস এম আরিফ বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের মাথার আঘাত খুবই গুরুতর। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মেহরাজ উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, কয়েক দিন ধরে ইউনুছ মাঝি, তাঁর ছেলে হাসান ও রাজু এবং পাশের এলাকার আয়াত হোসেন তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। এর আগেও তাঁর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এতে তিনি ও তাঁর পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মেহরাজ উদ্দিনের অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু

ঢামেক প্রতিবেদক
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫১
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর উত্তরার হাউস বিল্ডিং এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় নাজমুল ইসলাম (৩৫) নামে এক পোশাকশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজমুল ইসলামকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী ও ভাতিজা সাকিব আলম জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ওলিপুর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম নুরনবী। বর্তমানে গাজীপুরের টঙ্গীতে থাকতেন নাজমুল। তশরিফা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড নামে একটি পোশাক কারখানায় কোয়ালিটি সুপারভাইজার ছিলেন তিনি।

সাকিব আলম আরও জানান, রাতে গ্রাম থেকে তাঁকে ফোনে জানানো হয়, নাজমুল উত্তরার হাউস বিল্ডিংয়ের জয়নাল মার্কেট নতুন গেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় আহত হয়েছেন। পরে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে গিয়ে তাঁকে দেখতে পান। আহত অবস্থায় নাজমুলকে পথচারীরা সেখানে নিয়ে এসেছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর।

পথচারীদের বরাতে সাকিব আরও বলেন, হাউস বিল্ডিং এলাকার জয়নাল মার্কেটে নতুন গেট এলাকার রেললাইনে দুই দিক থেকে দুটি ট্রেন আসায় ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাজমুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তবে তিনি সেখান দিয়ে কোথায় যাচ্ছিলেন, কেউ তা বলতে পারেননি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত