Ajker Patrika

আইজিপি বাহারুলের অপসারণ দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাও চেষ্টা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের ব্যানারে আইজিপি বাহারুল আলম অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ছবি: ফোকাস বাংলা
শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের ব্যানারে আইজিপি বাহারুল আলম অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলটি বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। ছবি: ফোকাস বাংলা

পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমকে অপসারণের দাবিতে পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেছে ‘শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ’। আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পুলিশ সদর দপ্তর ঘেরাওয়ের উদ্দেশে শহীদ মিনার থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি বঙ্গবাজার মোড়ে আসলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে।

এ সময় মিছিলকারীরা সড়কে বসে পড়লে সেখানে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়। আজ বিকেল ৫টার দিকে আন্দোলনকারীরা সড়ক ছেড়ে দেন।

এর আগে, পুলিশ সদর দপ্তর এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। তবে এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কোনো কর্মকর্তা গণমাধ্যমে কথা বলতে চাননি।

শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদের সভাপতি রফিক আহমেদ ডলার বলেন, পিন্টুর মৃত্যু ‘পরিকল্পিত হত্যা’। আদালতের চিকিৎসা নির্দেশ অমান্য করে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। রিমান্ড ও নির্যাতনের কারণে তাঁর চোখ নষ্ট হয়। বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনও হত্যাকাণ্ডকে পরিকল্পিত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। শহীদ পিন্টুর হত্যার বিচারের দাবিতে তাঁরা আইজিপি বাহারুল আলমকে অবিলম্বে অপসারণ এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাচ্ছেন।

নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু পিলখানায় হত্যা মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত হয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। ২০১৫ সালের ৩ মে কারা হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যু হয়। পরিবার ও বিএনপি এটিকে ‘কারা হেফাজতে হত্যা’ বলে দাবি করে আসছে।

২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। সেই সময় পুলিশের বিশেষ শাখার দায়িত্বে ছিলেন বাহারুল আলম, যিনি বর্তমানে বাংলাদেশের পুলিশপ্রধান।

হত্যাকাণ্ডের দেড় দশক পর অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর পুনঃতদন্তের দাবি ওঠে। ২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন ৩০ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতার’ জন্য নাম এসেছে বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলমের।

৯ ডিসেম্বর আইজিপি বাহারুল আলমকে অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে শহীদ পিন্টু স্মৃতি সংসদ। পাশাপাশি ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টু হত্যার বিচার দাবি করে তারা।

এর আগে, ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতা পিন্টু স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তিনি বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে তৎকালীন এসবির প্রধান ও বর্তমান আইজিপি বাহারুল আলমের অপসারণ ও বিচারের দাবিও করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সবাইকে নিয়ে নির্বাচন না হলে, নির্বাচনে যাব না: কাদের সিদ্দিকী

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি 
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বক্তব্য দেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ছবি: আজকের পত্রিকা

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সবাইকে নিয়ে যদি নির্বাচন হয়, আমি আমার গামছার দল নির্বাচন করব। আর যদি বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ বাদ থাকে, শুধু বিএনপি, জামায়াত আর এনসিপি নিয়ে নির্বাচন হয়, আমরা ভোটে যাব না।’

আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) টাঙ্গাইলে হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‍্যালি-পরবর্তী আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘শেখ হাসিনার অন্যায় শেখ মুজিবের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় মুক্তিযুদ্ধের অন্যায় না। শেখ হাসিনার অন্যায় আওয়ামী লীগের অন্যায় না। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগ জন্ম দিয়েছেন শামসুল হক। হাসিনার বিচার করবেন বলে আপনি আওয়ামী লীগেরও বিচার করবেন, করতে পারবেন না। পারবেন না। পারবেন না। আইয়ুব খান পারে নাই, ইয়াহিয়া খান পারে নাই, আপনারাও পারবেন না।’

কাদের সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘আমি যত দিন বেঁচে থাকব বঙ্গবন্ধুকে বুকে লালন করে বেঁচে থাকব, আমি যত দিন বেঁচে থাকব জয়বাংলা বলে বেঁচে থাকব।’

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বীর বিক্রম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী আশরাফ হুমায়ুন বাঙাল এবং কাদেরিয়া বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত ও বরেণ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঋণ শোধ না করায় সাজাপ্রাপ্ত জামিনদার গ্রেপ্তার, আড়াই ঘণ্টা পরেই মৃত্যু

ফকিরহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাগেরহাটের ফকিরহাটে শেখ মজিবর রহমান (৭০) নামের একজন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তারের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

মৃত্যুর আড়াই ঘণ্টা আগে রাত ১টার দিকে মজিবর রহমানকে তাঁর নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। রাত ৩টার দিকে তিনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাসের সাজাপ্রাপ্ত মজিবর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তিনি ফকিরহাট উপজেলার ব্রাহ্মণরাকদিয়া গ্রামের মৃত শেখ ইনতাজের ছেলে। মজিবর একজন অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য ছিলেন। এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের ক্ষেত্রে জামিনদার ছিলেন তিনি। কিন্তু ঋণগ্রহীতা তা পরিশোধ না করার মামলায় জামিনদার মজিবরকে দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা শাওন কুমার দাশ জানান, মজিবর রহমানকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মৃতের স্বজনেরা জানান, মজিবর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস, হৃদ্‌রোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। তিনি এনজিও থেকে এক ব্যক্তির ঋণ গ্রহণের জামিনদার ছিলেন। সেই ঋণগ্রহীতা টাকা পরিশোধ না করায় তাঁর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা হয়। ওই মামলায় তাঁর দুই মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ফকিরহাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আসামি মজিবর গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পেড়েছিলেন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাথায় আঘাত ও বালিশচাপায় মাকে হত্যা, ৬ লাখ টাকা নিয়ে ছেলে উধাও

খুলনা প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

খুলনা নগরীর একটি বাসা থেকে শিউলী বেগম (৪৫) নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, মাথায় আঘাত এবং বালিশচাপা দিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

শিউলী বেগমের স্বজনদের অভিযোগ, বিদেশ থেকে ফেরা ওই নারীর প্রায় ৬ লাখ টাকা কেড়ে নেওয়ার জন্য তাঁর একমাত্র ছেলে রিয়াদ মাকে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলের আশপাশের ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও দেখে এমন প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর ট্যাংক রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে শিউলী বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর লাশ খাটের ওপর পড়ে ছিল। গত রাতে শিউলীর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

শিউলী বেগমের মেয়ে কেয়া জানান, কাজের জন্য দুই বছর আগে সৌদি আরবে পাড়ি জমান শিউলী বেগম। দেশে ফিরে স্বামীকে তালাক দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। পাঁচ-ছয় দিন আগে বিদেশে অর্জিত পৌনে ৬ লাখ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে বাড়িতে নিয়ে আসেন শিউলী। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে তাঁর মায়ের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না।

কেয়া আরও জানান, তিনি মায়ের খোঁজে জেলার ডুমুরিয়া উপজেলায় নানার বাড়িতে চলে যান, কিন্তু সেখানে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে পুনরায় মায়ের সন্ধান করতে থাকেন। একপর্যায়ে মায়ের বসবাস করা ওই ভাড়া বাসার সামনে স্যান্ডেল পড়ে থাকতে দেখেন। একপর্যায়ে পুলিশ এসে বাসার তালা কেটে খাটের ওপর শিউলীর লাশ দেখতে পায়।

শিউলীর মেয়ে কেয়া বলেন, ‘আমার ছোট ভাই রিয়াদ পেশায় একজন টাইলসের মিস্ত্রি। প্রতিদিন ভোর ৬টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। কিন্তু সিসি ক্যামেরা ভিডিওতে দেখা যায়, সে বুধবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটের দিকে বাসা থেকে বের হয়। এ সময় তাঁর কাছে একটি ব্যাগ ছিল। তাঁর আচরণও সন্দেহজনক দেখা গেছে। তা ছাড়া, ব্যাংক থেকে তোলা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘরের সবকিছু এলোমেলো পাওয়া গেছে। ভাই রিয়াদ ঘরের বাইরে থেকে বের হওয়ার পর ওই ঘরে আর কেউ প্রবেশ বা বের হয়নি। ছোট ভাই রিয়াদই মাকে খুন করেছে।’

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শিউলীকে ঘরে থাকা পুতা দিয়ে মাথা আঘাত এবং পরে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য বালিশচাপা দেওয়া হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর লাশ উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

শফিকুল ইসলাম বলেন, শিউলী বেগমের কাছে থাকা পৌনে ৬ লাখ টাকা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁর স্বজনেরা অভিযোগ তুলেছেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর ছেলে রিয়াদকে পরিবারের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি।’

খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপকমিশনার (দক্ষিণ) সুদর্শন কুমার রায় বলেন, ‘শিউলীর পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁর ছেলে রিয়াদকে দোষারোপ করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই আমরা তাঁকে খুঁজে পেয়ে যাব এবং ঘটনার বিস্তারিত জানানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই, বন্ধ করা হয়েছে অক্সিজেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা
সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী। ছবি :আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর তানোরে ৮ ইঞ্চি ব্যাসার্ধের সরু গর্ত দিয়ে মাটির গভীরে চলে যাওয়া শিশু সাজিদের বাঁচার আশা নেই। ৩৫ ফুটের পর মাটি জমে যাওয়ায় তার নিচে অক্সিজেন পাঠানোও সম্ভব নয়। তাই অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

গতকাল বুধবার উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে গভীর নলকূপের জন্য খনন করা ওই গর্তে পড়ে যায় সাজিদ। এরপর বেলা ২টা ৫ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। অভিযানে একে একে যোগ দেয় আটটি ইউনিট।

অভিযানের ২৭ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স বিভাগের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী।

তিনি বলেন, তাঁরা ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছি ৩০ ফুটের পর মাটি ও খড় জমে গেছে। তাঁরা আসার আগেই স্থানীয়রা বাচ্চাটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন এসব ঢুকে যায়। তাঁরা ধারণা করেছিলেন, ৩০ ফুটের পর শিশুটিকে পাওয়া যাবে।

কিন্তু ৪২ ফুট পর্যন্ত মাটি খনন করে গিয়েও পাওয়া যায়নি। মাটি ও খড় আটকে থাকায় এ অবস্থায় অক্সিজেন পাঠিয়ে লাভ নেই। তাই অক্সিজেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

শিশুটির বেঁচে থাকার সম্ভাবনা আছে কি না, জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আপনারা যা ধারণা করছেন, আমরাও সেটিই ধারণা করছি। এখন অলমাইটি আল্লাহ চাইলে সবকিছুই হতে পারে।’

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী জানান, তাঁরা জেনেছেন যে গর্তটি ৯০ ফুট গভীর করে খনন করা হয়েছিল। তাঁরা সে পর্যন্তই যেতে চান। এ জন্য ওই গর্তের পাশে তিনটি এক্সকাভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। তাঁরা ১০ ফুট পরপর সুড়ঙ্গ কেটে গর্তটি দেখবেন। এ ছাড়া ম্যানুয়াল পদ্ধতিতেও তাঁরা চেষ্টা করবেন। উদ্ধার না হওয়া অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

লটারিতে স্কুলে ভর্তির সুযোগ পেল ৩ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থী

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত