সম্পাদকীয়

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
কামরুদ্দীন আহমদ নাশতার জন্য নিচে নামেন দেরিতে। ততক্ষণে নভেরা বেরিয়ে যান। এক দিন তিনি দেখেন, ব্রেকফাস্ট না করে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন নভেরা। কামরুদ্দীন আহমদকে দেখেই বললেন, ‘আপনি এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করেন? আমি তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছি!’
‘তুমি তো কোনো দিন আমার জন্য অপেক্ষা কর না। আমি কী করে জানব, আজ তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ?’
নভেরা জানালেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর শিক্ষা সমাপ্ত হবে। তাই একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। এ ছাড়াও আগামীকাল থেকে তাঁকে বার্মিজদের পার্টিতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আলোচনায় তাঁদের শিল্পকলা, বিশেষ করে ভাস্কর্য সম্পর্কে আলাপ করার সুযোগ হবে।
পরদিন ভারতীয় ইম্পেরিয়াল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে পার্টি। নভেরা পরলেন কালো শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মতো মালা। প্রতিমার মতো লাগছিল তাঁকে। পার্টিতে যাওয়ার পর সব আলো গিয়ে পড়ল নভেরার ওপর। সবাই জানতে চাইল—এ মেয়ে ইংরেজি জানে কি না। কামরুদ্দীন আহমদ জানালেন, ইংরেজি, ফরাসি দুই ভাষাই জানে।
বাড়ি ফেরার পর নভেরা বললেন, কোনো বিপদ এলে তিনি আগেই টের পান। কেন যেন তাঁর মনে হচ্ছে, কোনো বিপদ আসছে। কামরুদ্দীন সাহেব অভয় দিলেন। সারা রাত দারোয়ানেরা পাহারা দেন। কিন্তু পরদিন রাত দুটোয় হঠাৎ করে কামরুদ্দীন আহমদের ঘরে করাঘাত করতে লাগলেন নভেরা। ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। নভেরা বললেন, ‘ঘরে ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ডাকুন।’
নভেরার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই কেউ ভারী জিনিস দিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ফেলেছে।
সূত্র: কামরুদ্দীন আহমদ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী, পৃষ্ঠা: ৩২২-৩২৩

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
কামরুদ্দীন আহমদ নাশতার জন্য নিচে নামেন দেরিতে। ততক্ষণে নভেরা বেরিয়ে যান। এক দিন তিনি দেখেন, ব্রেকফাস্ট না করে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন নভেরা। কামরুদ্দীন আহমদকে দেখেই বললেন, ‘আপনি এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করেন? আমি তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছি!’
‘তুমি তো কোনো দিন আমার জন্য অপেক্ষা কর না। আমি কী করে জানব, আজ তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ?’
নভেরা জানালেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর শিক্ষা সমাপ্ত হবে। তাই একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। এ ছাড়াও আগামীকাল থেকে তাঁকে বার্মিজদের পার্টিতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আলোচনায় তাঁদের শিল্পকলা, বিশেষ করে ভাস্কর্য সম্পর্কে আলাপ করার সুযোগ হবে।
পরদিন ভারতীয় ইম্পেরিয়াল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে পার্টি। নভেরা পরলেন কালো শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মতো মালা। প্রতিমার মতো লাগছিল তাঁকে। পার্টিতে যাওয়ার পর সব আলো গিয়ে পড়ল নভেরার ওপর। সবাই জানতে চাইল—এ মেয়ে ইংরেজি জানে কি না। কামরুদ্দীন আহমদ জানালেন, ইংরেজি, ফরাসি দুই ভাষাই জানে।
বাড়ি ফেরার পর নভেরা বললেন, কোনো বিপদ এলে তিনি আগেই টের পান। কেন যেন তাঁর মনে হচ্ছে, কোনো বিপদ আসছে। কামরুদ্দীন সাহেব অভয় দিলেন। সারা রাত দারোয়ানেরা পাহারা দেন। কিন্তু পরদিন রাত দুটোয় হঠাৎ করে কামরুদ্দীন আহমদের ঘরে করাঘাত করতে লাগলেন নভেরা। ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। নভেরা বললেন, ‘ঘরে ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ডাকুন।’
নভেরার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই কেউ ভারী জিনিস দিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ফেলেছে।
সূত্র: কামরুদ্দীন আহমদ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী, পৃষ্ঠা: ৩২২-৩২৩
সম্পাদকীয়

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
কামরুদ্দীন আহমদ নাশতার জন্য নিচে নামেন দেরিতে। ততক্ষণে নভেরা বেরিয়ে যান। এক দিন তিনি দেখেন, ব্রেকফাস্ট না করে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন নভেরা। কামরুদ্দীন আহমদকে দেখেই বললেন, ‘আপনি এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করেন? আমি তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছি!’
‘তুমি তো কোনো দিন আমার জন্য অপেক্ষা কর না। আমি কী করে জানব, আজ তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ?’
নভেরা জানালেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর শিক্ষা সমাপ্ত হবে। তাই একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। এ ছাড়াও আগামীকাল থেকে তাঁকে বার্মিজদের পার্টিতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আলোচনায় তাঁদের শিল্পকলা, বিশেষ করে ভাস্কর্য সম্পর্কে আলাপ করার সুযোগ হবে।
পরদিন ভারতীয় ইম্পেরিয়াল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে পার্টি। নভেরা পরলেন কালো শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মতো মালা। প্রতিমার মতো লাগছিল তাঁকে। পার্টিতে যাওয়ার পর সব আলো গিয়ে পড়ল নভেরার ওপর। সবাই জানতে চাইল—এ মেয়ে ইংরেজি জানে কি না। কামরুদ্দীন আহমদ জানালেন, ইংরেজি, ফরাসি দুই ভাষাই জানে।
বাড়ি ফেরার পর নভেরা বললেন, কোনো বিপদ এলে তিনি আগেই টের পান। কেন যেন তাঁর মনে হচ্ছে, কোনো বিপদ আসছে। কামরুদ্দীন সাহেব অভয় দিলেন। সারা রাত দারোয়ানেরা পাহারা দেন। কিন্তু পরদিন রাত দুটোয় হঠাৎ করে কামরুদ্দীন আহমদের ঘরে করাঘাত করতে লাগলেন নভেরা। ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। নভেরা বললেন, ‘ঘরে ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ডাকুন।’
নভেরার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই কেউ ভারী জিনিস দিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ফেলেছে।
সূত্র: কামরুদ্দীন আহমদ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী, পৃষ্ঠা: ৩২২-৩২৩

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
কামরুদ্দীন আহমদ নাশতার জন্য নিচে নামেন দেরিতে। ততক্ষণে নভেরা বেরিয়ে যান। এক দিন তিনি দেখেন, ব্রেকফাস্ট না করে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছেন নভেরা। কামরুদ্দীন আহমদকে দেখেই বললেন, ‘আপনি এত দেরিতে ব্রেকফাস্ট করেন? আমি তো ক্ষুধায় অস্থির হয়ে আছি!’
‘তুমি তো কোনো দিন আমার জন্য অপেক্ষা কর না। আমি কী করে জানব, আজ তুমি আমার জন্য অপেক্ষা করছ?’
নভেরা জানালেন, সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাঁর শিক্ষা সমাপ্ত হবে। তাই একে অন্যের সঙ্গে পরিচিত হওয়া দরকার। এ ছাড়াও আগামীকাল থেকে তাঁকে বার্মিজদের পার্টিতে নিয়ে যেতে হবে। সেখানে আলোচনায় তাঁদের শিল্পকলা, বিশেষ করে ভাস্কর্য সম্পর্কে আলাপ করার সুযোগ হবে।
পরদিন ভারতীয় ইম্পেরিয়াল ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজারের বাড়িতে পার্টি। নভেরা পরলেন কালো শাড়ি, গলায় রুদ্রাক্ষের মতো মালা। প্রতিমার মতো লাগছিল তাঁকে। পার্টিতে যাওয়ার পর সব আলো গিয়ে পড়ল নভেরার ওপর। সবাই জানতে চাইল—এ মেয়ে ইংরেজি জানে কি না। কামরুদ্দীন আহমদ জানালেন, ইংরেজি, ফরাসি দুই ভাষাই জানে।
বাড়ি ফেরার পর নভেরা বললেন, কোনো বিপদ এলে তিনি আগেই টের পান। কেন যেন তাঁর মনে হচ্ছে, কোনো বিপদ আসছে। কামরুদ্দীন সাহেব অভয় দিলেন। সারা রাত দারোয়ানেরা পাহারা দেন। কিন্তু পরদিন রাত দুটোয় হঠাৎ করে কামরুদ্দীন আহমদের ঘরে করাঘাত করতে লাগলেন নভেরা। ধড়মড় করে উঠে বসলেন তিনি। নভেরা বললেন, ‘ঘরে ডাকাত ঢোকার চেষ্টা করছিল। পুলিশ ডাকুন।’
নভেরার ঘরে গিয়ে দেখা গেল, সত্যিই কেউ ভারী জিনিস দিয়ে কাচের দরজা ভেঙে ফেলেছে।
সূত্র: কামরুদ্দীন আহমদ, বাংলার এক মধ্যবিত্তের আত্মকাহিনী, পৃষ্ঠা: ৩২২-৩২৩

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
০৯ অক্টোবর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
০৯ অক্টোবর ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
০৯ অক্টোবর ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

কামরুদ্দীন আহমদ তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত। সে সময় ভাস্কর নভেরা এসেছিলেন রেঙ্গুনে। অফিসের সুপারিনটেনডেন্টকে ভার দিয়েছিলেন নভেরাকে প্রয়োজনমতো কোথাও নিয়ে যাওয়ার। মূলত উডওয়ার্ক যেসব জায়গায় হয়, সেসব জায়গায় যাচ্ছিলেন নভেরা।
০৯ অক্টোবর ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১৩ ঘণ্টা আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে