সম্পাদকীয়
শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এখলাসউদ্দিন আহমদ। কিন্তু পেশাজীবনে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠে। জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা মাসিক ‘টাপুর টুপুর’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন এই ছড়াকার।
এখলাসউদ্দিন আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায়। তবে শৈশবেই চলে আসেন পূর্ব বাংলায়। তাই বাংলার মাটি ও মানুষের প্রতি যে তাঁর টান থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এখলাসের অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়েছে তাঁর কলমের মাধ্যমে। শিল্পী রফিকুন নবীর উদ্যোগ ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘ঊনসত্তুরের ছড়া’ নামে একটি প্রতিবাদী সংকলন। সেই সংকলনের লেখক তালিকায় অন্যদের সঙ্গে ছিল এখলাসউদ্দিন আহমদের নামটিও। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তিনি তাঁর সাহিত্যের মাধ্যমে দেশপ্রেম, আদর্শ, সততা ও মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরেছিলেন, যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
এখলাসউদ্দিনের লেখায় শিশুদের আনন্দ, কল্পনা আর শৈশবের মাধুর্য যেমন উঠে এসেছে, তেমনি তাদের জীবনধারা আর স্বপ্নগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি শিশুসাহিত্য প্রচার ও প্রসারে বিরামহীন কাজ করে গেছেন। তিনি শিশুদের মনে করতেন নতুন সমাজের ভিত্তি আর তাদের মনন গঠনে সাহিত্যের শক্তি অপরিসীম। সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি শিশুদের শিখিয়েছেন প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসা।
তিনি শামসুর রাহমানসহ তখনকার সেরা লেখকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন শিশুদের জন্য লিখতে। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসটি সংবাদপত্রের পাতায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
এখলাসউদ্দিনের রচিত ‘এক যে ছিল নেংটি’, ‘ইকরি মিকরি’, ‘তুনুর দুপুর’, ‘বৈঠকি ছড়া’, ‘প্রতিরোধের ছড়া’ ইত্যাদি গ্রন্থ বাংলা শিশুসাহিত্যের স্বর্ণসম্পদ। বৈঠকি ছড়া গ্রন্থে অধিকাংশ ছড়াই রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন। তাঁর সৃষ্ট ‘তুনু’ চরিত্রটি শিশু-কিশোরদের মাঝে খুব প্রিয় বলেই বিবেচিত হয়।
১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে শিশু একাডেমি পুরস্কার এবং ২০০০ সালে একুশে পদক অর্জন ছাড়াও এখলাসউদ্দিন আহমদ পেয়েছেন আরও সম্মাননা। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন বাংলা শিশুসাহিত্যের এই নক্ষত্র।
শিশুসাহিত্যিক ও ছড়াকার হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন এখলাসউদ্দিন আহমদ। কিন্তু পেশাজীবনে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সাংবাদিকতাকে। দীর্ঘদিন কর্মরত ছিলেন দৈনিক জনকণ্ঠে। জনপ্রিয় কিশোর পত্রিকা মাসিক ‘টাপুর টুপুর’-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকও ছিলেন এই ছড়াকার।
এখলাসউদ্দিন আহমদের জন্ম ১৯৪০ সালের ১৫ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনায়। তবে শৈশবেই চলে আসেন পূর্ব বাংলায়। তাই বাংলার মাটি ও মানুষের প্রতি যে তাঁর টান থাকবে, সেটাই তো স্বাভাবিক। উনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে এখলাসের অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়েছে তাঁর কলমের মাধ্যমে। শিল্পী রফিকুন নবীর উদ্যোগ ও সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘ঊনসত্তুরের ছড়া’ নামে একটি প্রতিবাদী সংকলন। সেই সংকলনের লেখক তালিকায় অন্যদের সঙ্গে ছিল এখলাসউদ্দিন আহমদের নামটিও। মুক্তিযুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণ না করলেও তিনি তাঁর সাহিত্যের মাধ্যমে দেশপ্রেম, আদর্শ, সততা ও মানবিক মূল্যবোধ তুলে ধরেছিলেন, যা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।
এখলাসউদ্দিনের লেখায় শিশুদের আনন্দ, কল্পনা আর শৈশবের মাধুর্য যেমন উঠে এসেছে, তেমনি তাদের জীবনধারা আর স্বপ্নগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি শিশুসাহিত্য প্রচার ও প্রসারে বিরামহীন কাজ করে গেছেন। তিনি শিশুদের মনে করতেন নতুন সমাজের ভিত্তি আর তাদের মনন গঠনে সাহিত্যের শক্তি অপরিসীম। সাহিত্যের মাধ্যমে তিনি শিশুদের শিখিয়েছেন প্রকৃতি ও মানুষকে ভালোবাসা।
তিনি শামসুর রাহমানসহ তখনকার সেরা লেখকদের অনুপ্রাণিত করেছিলেন শিশুদের জন্য লিখতে। কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসটি সংবাদপত্রের পাতায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশেও তাঁর অবদান অনস্বীকার্য।
এখলাসউদ্দিনের রচিত ‘এক যে ছিল নেংটি’, ‘ইকরি মিকরি’, ‘তুনুর দুপুর’, ‘বৈঠকি ছড়া’, ‘প্রতিরোধের ছড়া’ ইত্যাদি গ্রন্থ বাংলা শিশুসাহিত্যের স্বর্ণসম্পদ। বৈঠকি ছড়া গ্রন্থে অধিকাংশ ছড়াই রাজনৈতিক চেতনাসম্পন্ন। তাঁর সৃষ্ট ‘তুনু’ চরিত্রটি শিশু-কিশোরদের মাঝে খুব প্রিয় বলেই বিবেচিত হয়।
১৯৭১ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৯৯ সালে শিশু একাডেমি পুরস্কার এবং ২০০০ সালে একুশে পদক অর্জন ছাড়াও এখলাসউদ্দিন আহমদ পেয়েছেন আরও সম্মাননা। ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন বাংলা শিশুসাহিত্যের এই নক্ষত্র।
আমাদের দেশে প্রচলিত যে সাক্ষাৎকারের প্র্যাকটিস তাতে আমি খুবই হতাশ ছিলাম। অধিকাংশ সাক্ষাৎকার একটা নিস্পৃহ প্রশ্ন উত্তর পর্ব, যেন জেরা করা হচ্ছে। যিনি সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন তিনি খুবই সামান্য হোমওয়ার্ক করে এসেছেন। তো এসব হতাশা
১৭ ঘণ্টা আগে১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ভাষাশহীদদের স্মরণে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে কলেজের ১২ নম্বর ব্যারাকের পাশে নির্মাণ করা হয় প্রথম শহীদ স্মৃতিস্তম্ভটি। এখানেই প্রথম শহীদ বরণ করেছিলেন শাহাদাত। এই স্মৃতিস্তম্ভের নকশা করেছিলেন সাঈদ হায়দার।
২ দিন আগেতৃতীয় দিনে বইমেলার প্রবেশমুখে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এদিন প্রবেশমুখে ফিরেছে শৃঙ্খলাও। তল্লাশি করে সবাইকে ঢুকতে দিচ্ছে পুলিশ, তবে কিছুটা ঢিলেঢালা। গেটে মানুষের লম্বা সারি দেখে মনে হয়, বেচাবিক্রি জমে উঠেছে নিশ্চয়। কিন্তু মেলার মাঠে ঢুকে কেমন যেন খাপছাড়া লাগে সব। স্টলগুলোর বেশির ভাগই ফাঁকা।
৩ দিন আগেএবারের মেলায় একটা ব্যতিক্রম চোখে পড়ছে শুরুর দিন থেকে। প্রতিবছর প্রকাশনীগুলো পরিচিত ও জনপ্রিয় লেখকদের বড় বড় ছবি ব্যবহার করেন স্টল প্যাভিলিয়নের সামনে, ভেতরে, ওপরে। এবার সেটা অনেকটাই কম। তবে এই ব্যতিক্রমের মাঝেও একজন লেখক আছেন যথারীতি স্বমহিমায়। তিনি হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর বই আছে এমন সব প্রকাশনীই তাঁর বিশ
৪ দিন আগে