কামরুল হাসান

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো হয় এই সাধারণ মানুষটিকে। এরপর ফাঁসির আসামি হয়ে তিনি দুই বছর ‘কনডেম সেলে’ কাটান। পরে বেঁচে ফিরে আসেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। সে ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে বলি সেই সন্ত্রাসী লোকটির গল্প। তাঁর নাম গাজি লিয়াকত ওরফে কালা লিয়াকত। নামটি শুনেই আশা করি বুঝতে পারছেন, কী ভয়ংকর লোকটি। কালা লিয়াকত থাকতেন পুরান ঢাকার জুড়িয়াটুলি লেনে। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল সূত্রাপুরজুড়ে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে কালা লিয়াকতের নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠতেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁর আধিপত্য ছিল শ্যামবাজার থেকে শুরু করে বাবুবাজার পর্যন্ত। একদিন সকালে সেই কালা লিয়াকত খুন হন প্রতিপক্ষের হাতে।
জনকণ্ঠ অফিস তখন মতিঝিলে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রিপোর্টারদের মিটিং। সকালে অফিসে এসে শুনি পিএবিএক্স নম্বরে ফোন এসেছে—কালা লিয়াকত খুন। সবার হাতে-হাতে তখন মোবাইল ফোন ছিল না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষ ছিল খুবই শ্রদ্ধাশীল। কোনো কিছু ঘটলেই তারা সংবাদপত্র অফিসে ফোন করে খবর দিত। অনেক সময় থানার ওসিরাও ফোন করে লোক পাঠাতে বলতেন।
খুনের খবর শুনে গেলাম জুড়িয়াটুলি লেনে। দেখি, কালা লিয়াকতের লাশ বাসার সামনে ফাঁকা একটা জায়গায় খাটিয়ার ওপর রাখা। তার চারপাশে একদল যুবক ঘোরাঘুরি করছে, যাদের চলাফেরা অন্যরকম। কেমন যেন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ। যাকে জিজ্ঞাসা করি কেউ কিছু বলে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সব দেখছি। একজন এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। একটু পর এক নারী এসে আমাকে নিয়ে একটি ঘরের ভেতরে গেলেন। বলেন, ‘ওখানে যারা আছে সবার মাথা গরম, হাতে অস্ত্র আছে। কোনো কিছু জানতে চাইলে আমাকে বলেন।’ তিনি আমার দরকারি প্রশ্নগুলোর জবাব দিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা শেষ করে বের হব—এমন সময় তিনি একটু অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলেন। ফিরে এলেন এক প্লেট বিরিয়ানি হাতে নিয়ে। সামনে লাশ পড়ে আছে, আর তার সামনে বসে আমি বিরিয়ানি খাব? খুবই অস্বাভাবিক মনে হলো। কিন্তু তিনি নাছোড়। পরে অনেক অনুনয়বিনয় করে বেরিয়ে এলাম।
পরে জানলাম তিনিই কালা লিয়াকতের স্ত্রী। নাম রোকেয়া বেগম। আমাকে বলেছিলেন, তাঁর স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন তিনি তাঁদের চেনেন। এই খুনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কালা লিয়াকতের প্রতিপক্ষ সুন্দর বাবু নামের আরেক সন্ত্রাসী। রোকেয়া বেগম সুন্দর বাবুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন।
এরপর দিন যায়। কালা লিয়াকতের কথা ভুলে যাই। জনকণ্ঠ ছেড়ে আসি প্রথম আলোয়। ২০০৬ সালে পুরোনো মামলা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে আবার সামনে আসে কালা লিয়াকতের নাম। তত দিনে ডিবির পরিদর্শক রেজাউল করিম এই খুনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন, বিচারও শেষ হয়েছে।
আমার উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাসীরা খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে, তা তুলে আনা। সেই তালিকায় এলো কালা লিয়াকতের নাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলাম কালা লিয়াকতের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে। কথা বলতে গিয়ে তিনি দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। বললেন, সুন্দর বাবু নামে যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি তাঁর স্বামীর খুনি সুন্দর বাবু নন। এই কথা তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আদালতকে বলেছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তাঁর এই কথা কয়েকটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। রোকেয়া বেগমের কাছে মামলার নথিপত্র ছিল। দেখি, শাহ আলম বাবু ওরফে সুন্দর বাবু নামের যে আসামি আছেন, তাঁর বাবার নাম আফজাল হোসেন। ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনের বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালের ২৬ জুন সেই শাহ আলম বাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সেই থেকে তিনি কনডেম সেলে।
মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। এবার যেতে হবে ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনে শাহ আলম বাবুর বাড়িতে। এসে পেয়ে গেলাম শাহ আলমের স্ত্রী জমিলা খাতুনকে। তিনি আমাকে দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন। তারপর খুব ভালো করে দেখলেন। একটি ঘরে বসতে দিয়ে বললেন, এই ঘরে ব্লক ও বাটিকের কারখানা ছিল। সেই কারখানার কাপড় বিক্রি করা হতো নিউমার্কেটে। ব্যবসা ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন জানতে পারেন, তাঁর স্বামী খুনের আসামি। যে লোকটি কোনো দিন নিজের সন্তানের গায়ে হাত তোলেননি, তিনি কী করে মানুষ খুন করবেন? কোনো কিছুতেই হিসাব মেলে না।
জমিলা বলেন, তাঁদের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন আবদুল গণি নামের এক মুহুরি। তিনি প্রথম এ ঘটনাটি জানান। এরপর গণিকে দিয়ে মামলার নকল তোলেন। কয়েক দিন পর বাড়িতে পুলিশ আসে। জমিলা এরপর শাহ আলমকে নিয়ে যান এপিপি গোলাম মোস্তফার কাছে। তিনি সব শুনে বলেন, আত্মসমর্পণের সময় কাগজপত্রে শাহ আলম বাবু নামের সঙ্গে ‘সুন্দর বাবু’ লিখতে হবে। শাহ আলম এতে রাজি না হলেও পরে সুন্দর বাবু নামেই আদালতে হাজির হতে বাধ্য হন।
২০০৩ সালের ২৬ জুন শাহ আলম বাবু আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি প্রকৃত ‘সুন্দর বাবু’ নন। মামলার বাদীও আদালতে হাজির হয়ে জানান, এই বাবু তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নন। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাক্ষীরাও শাহ আলমকে শনাক্ত করেননি। তবুও তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়।
জমিলা বলেন, রেজাউল করিম নামের সেই পুলিশ তাঁর স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে তিনি অভিযোগপত্রে শাহ আলমের নাম ঢুকিয়ে দেন। ফাঁসির আসামি হয়ে শাহ আলম যান কারাগারে। কিন্তু জমিলা দমার পাত্র নন। তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিস, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে। মামলা হাইকোর্টে আসে।
জমিলাকে নিয়ে প্রতিবেদন করি প্রথম আলোয়। এতে বেশ সাড়া পড়ে। এরপর ফলোআপ চলতে থাকে। একটি মানবাধিকার সংস্থা এগিয়ে আসে। জমিলা একটু ভরসা পান। তিনি প্রায়ই ফোনে তাঁর কষ্টের কথা বলেন। একদিন বলেন, স্বামীর জন্য এত কিছু করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। শাহ আলম জেলে যাওয়ার পর প্রথমে হাত পড়ে কারখানাটায়। এরপর একে একে গ্রামের জমি, ভিটের গাছপালা, গাভি, গয়না, ঘরের আসবাব, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু বিক্রি হয়ে যায়। জমিলার তিন সন্তানের মধ্যে মেজ ছেলে সেলিম পড়ত বিকেএসপিতে। তার পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বড় মেয়ে আফসানার বিয়ের চিন্তা করছিলেন জমিলা। তা-ও থেমে যায়। ছোট ছেলে রাকিব মহল্লার পাশে একটি স্কুলে পড়ত। বাবার জেল হওয়ার পর কয়েক দিন সে ঠিকমতো খায়নি। বায়না ধরেছিল, বাবা না এলে কিছুই খাবে না। কিন্তু ক্ষুধার কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে ছেলেটি। তবু লড়াই চালিয়ে যান জমিলা। তাঁর জয়ও হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শাহ আলমকে মুক্তি দেন। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তখনো আসল খুনি ‘সুন্দর বাবু’ ধরা পড়েননি।
পরদিন শুক্রবার সকালে যাই শাহ আলমের নয়াপল্টনের বাসায়। দেখি আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। জমিলার বাড়িতে যেন ঈদের আনন্দ। অনেকবার রিপোর্টের কারণে ওই পরিবারের সবাই আমাকে চেনে। আমাকে দেখে এগিয়ে আসেন জমিলা। আমাকে নিয়ে যান শাহ আলমের কাছে। শাহ আলম শোনান তাঁর কনডেম সেলের গল্প। বলেন, ‘রাত এলেই মনে হতো আমাকে মেরে ফেলা হবে। যেকোনো মুহূর্তে কনডেম সেল থেকে নেওয়া হবে ফাঁসির মঞ্চে। ভয়ে দুই চোখ এক করতে পারতাম না। এভাবে দুই বছর নির্ঘুম কেটেছে, প্রায় অন্ধকারে ছিলাম। এখন স্বাভাবিক আলোয় এসে তাকাতে পারছি না। নিজের কাছে বিশ্বাস হয় না, আমি বেঁচে আছি।’
শাহ আলমের সব বক্তব্য রেকর্ড করি। রেকর্ডার পকেটে ঢুকিয়ে জমিলাকে বলি, এবার তাহলে যাই। গাড়ির সামনে আসতেই জমিলা ছেলে-মেয়েদের নাম ধরে ডাকেন। সবাইকে বলেন, আংকেলকে সালাম করো। ছেলে-মেয়েরা লাইন ধরে সালাম করে। আমি জমিলার মেয়ে আফসানার মাথায় হাত রাখতেই সে আমাকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে কান্না সংক্রমিত করে জমিলা ও শাহ আলমকে। আমাকেও। নয়াপল্টনের রাস্তায় তখন অনেক মানুষ। তাদের চোখও তখন ভেজা।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো হয় এই সাধারণ মানুষটিকে। এরপর ফাঁসির আসামি হয়ে তিনি দুই বছর ‘কনডেম সেলে’ কাটান। পরে বেঁচে ফিরে আসেন দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। সে ঘটনা সিনেমার গল্পকেও হার মানায়।
দুই ব্যক্তির মধ্যে প্রথমে বলি সেই সন্ত্রাসী লোকটির গল্প। তাঁর নাম গাজি লিয়াকত ওরফে কালা লিয়াকত। নামটি শুনেই আশা করি বুঝতে পারছেন, কী ভয়ংকর লোকটি। কালা লিয়াকত থাকতেন পুরান ঢাকার জুড়িয়াটুলি লেনে। তাঁর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ছিল সূত্রাপুরজুড়ে। ১৯৯৬-৯৭ সালের দিকে কালা লিয়াকতের নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে উঠতেন পুরান ঢাকার ব্যবসায়ীরা। তাঁর আধিপত্য ছিল শ্যামবাজার থেকে শুরু করে বাবুবাজার পর্যন্ত। একদিন সকালে সেই কালা লিয়াকত খুন হন প্রতিপক্ষের হাতে।
জনকণ্ঠ অফিস তখন মতিঝিলে। প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রিপোর্টারদের মিটিং। সকালে অফিসে এসে শুনি পিএবিএক্স নম্বরে ফোন এসেছে—কালা লিয়াকত খুন। সবার হাতে-হাতে তখন মোবাইল ফোন ছিল না। সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর সাধারণ মানুষ ছিল খুবই শ্রদ্ধাশীল। কোনো কিছু ঘটলেই তারা সংবাদপত্র অফিসে ফোন করে খবর দিত। অনেক সময় থানার ওসিরাও ফোন করে লোক পাঠাতে বলতেন।
খুনের খবর শুনে গেলাম জুড়িয়াটুলি লেনে। দেখি, কালা লিয়াকতের লাশ বাসার সামনে ফাঁকা একটা জায়গায় খাটিয়ার ওপর রাখা। তার চারপাশে একদল যুবক ঘোরাঘুরি করছে, যাদের চলাফেরা অন্যরকম। কেমন যেন একটা ভুতুড়ে পরিবেশ। যাকে জিজ্ঞাসা করি কেউ কিছু বলে না। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে সব দেখছি। একজন এসে আমার পরিচয় জানতে চাইলেন। একটু পর এক নারী এসে আমাকে নিয়ে একটি ঘরের ভেতরে গেলেন। বলেন, ‘ওখানে যারা আছে সবার মাথা গরম, হাতে অস্ত্র আছে। কোনো কিছু জানতে চাইলে আমাকে বলেন।’ তিনি আমার দরকারি প্রশ্নগুলোর জবাব দিলেন। তাঁর সঙ্গে কথা শেষ করে বের হব—এমন সময় তিনি একটু অপেক্ষা করতে বলে চলে গেলেন। ফিরে এলেন এক প্লেট বিরিয়ানি হাতে নিয়ে। সামনে লাশ পড়ে আছে, আর তার সামনে বসে আমি বিরিয়ানি খাব? খুবই অস্বাভাবিক মনে হলো। কিন্তু তিনি নাছোড়। পরে অনেক অনুনয়বিনয় করে বেরিয়ে এলাম।
পরে জানলাম তিনিই কালা লিয়াকতের স্ত্রী। নাম রোকেয়া বেগম। আমাকে বলেছিলেন, তাঁর স্বামীকে যাঁরা খুন করেছেন তিনি তাঁদের চেনেন। এই খুনের নেতৃত্ব দিয়েছেন কালা লিয়াকতের প্রতিপক্ষ সুন্দর বাবু নামের আরেক সন্ত্রাসী। রোকেয়া বেগম সুন্দর বাবুসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করে সূত্রাপুর থানায় মামলা করেন।
এরপর দিন যায়। কালা লিয়াকতের কথা ভুলে যাই। জনকণ্ঠ ছেড়ে আসি প্রথম আলোয়। ২০০৬ সালে পুরোনো মামলা নিয়ে প্রতিবেদন করতে গিয়ে আবার সামনে আসে কালা লিয়াকতের নাম। তত দিনে ডিবির পরিদর্শক রেজাউল করিম এই খুনের মামলায় অভিযোগপত্র দিয়েছেন, বিচারও শেষ হয়েছে।
আমার উদ্দেশ্য ছিল, সন্ত্রাসীরা খুন হওয়ার পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা কেমন আছে, তা তুলে আনা। সেই তালিকায় এলো কালা লিয়াকতের নাম। অনেক খোঁজাখুঁজির পর পেলাম কালা লিয়াকতের স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে। কথা বলতে গিয়ে তিনি দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। বললেন, সুন্দর বাবু নামে যাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে, তিনি তাঁর স্বামীর খুনি সুন্দর বাবু নন। এই কথা তিনি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং আদালতকে বলেছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শোনেনি। তাঁর এই কথা কয়েকটি পত্রিকায় ছাপাও হয়েছে। রোকেয়া বেগমের কাছে মামলার নথিপত্র ছিল। দেখি, শাহ আলম বাবু ওরফে সুন্দর বাবু নামের যে আসামি আছেন, তাঁর বাবার নাম আফজাল হোসেন। ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনের বাসিন্দা তিনি। ২০০৩ সালের ২৬ জুন সেই শাহ আলম বাবু আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০০৪ সালের ১৮ আগস্ট আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সেই থেকে তিনি কনডেম সেলে।
মাথায় বিদ্যুৎ খেলে গেল। এবার যেতে হবে ৫৭ নম্বর নয়াপল্টনে শাহ আলম বাবুর বাড়িতে। এসে পেয়ে গেলাম শাহ আলমের স্ত্রী জমিলা খাতুনকে। তিনি আমাকে দেখে প্রথমে একটু ঘাবড়ে গেলেন। তারপর খুব ভালো করে দেখলেন। একটি ঘরে বসতে দিয়ে বললেন, এই ঘরে ব্লক ও বাটিকের কারখানা ছিল। সেই কারখানার কাপড় বিক্রি করা হতো নিউমার্কেটে। ব্যবসা ভালোই চলছিল। হঠাৎ একদিন জানতে পারেন, তাঁর স্বামী খুনের আসামি। যে লোকটি কোনো দিন নিজের সন্তানের গায়ে হাত তোলেননি, তিনি কী করে মানুষ খুন করবেন? কোনো কিছুতেই হিসাব মেলে না।
জমিলা বলেন, তাঁদের বাড়ির একটি কক্ষে ভাড়া থাকতেন আবদুল গণি নামের এক মুহুরি। তিনি প্রথম এ ঘটনাটি জানান। এরপর গণিকে দিয়ে মামলার নকল তোলেন। কয়েক দিন পর বাড়িতে পুলিশ আসে। জমিলা এরপর শাহ আলমকে নিয়ে যান এপিপি গোলাম মোস্তফার কাছে। তিনি সব শুনে বলেন, আত্মসমর্পণের সময় কাগজপত্রে শাহ আলম বাবু নামের সঙ্গে ‘সুন্দর বাবু’ লিখতে হবে। শাহ আলম এতে রাজি না হলেও পরে সুন্দর বাবু নামেই আদালতে হাজির হতে বাধ্য হন।
২০০৩ সালের ২৬ জুন শাহ আলম বাবু আদালতে হাজির হয়ে জানান, তিনি প্রকৃত ‘সুন্দর বাবু’ নন। মামলার বাদীও আদালতে হাজির হয়ে জানান, এই বাবু তাঁর স্বামীর হত্যাকারী নন। আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণকালে সাক্ষীরাও শাহ আলমকে শনাক্ত করেননি। তবুও তাঁর মৃত্যুদণ্ড হয়।
জমিলা বলেন, রেজাউল করিম নামের সেই পুলিশ তাঁর স্বামীর কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে তিনি অভিযোগপত্রে শাহ আলমের নাম ঢুকিয়ে দেন। ফাঁসির আসামি হয়ে শাহ আলম যান কারাগারে। কিন্তু জমিলা দমার পাত্র নন। তিনি লড়াই চালিয়ে যেতে থাকেন। এক অফিস থেকে অন্য অফিস, এক আদালত থেকে আরেক আদালতে। মামলা হাইকোর্টে আসে।
জমিলাকে নিয়ে প্রতিবেদন করি প্রথম আলোয়। এতে বেশ সাড়া পড়ে। এরপর ফলোআপ চলতে থাকে। একটি মানবাধিকার সংস্থা এগিয়ে আসে। জমিলা একটু ভরসা পান। তিনি প্রায়ই ফোনে তাঁর কষ্টের কথা বলেন। একদিন বলেন, স্বামীর জন্য এত কিছু করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। শাহ আলম জেলে যাওয়ার পর প্রথমে হাত পড়ে কারখানাটায়। এরপর একে একে গ্রামের জমি, ভিটের গাছপালা, গাভি, গয়না, ঘরের আসবাব, টিভি, ফ্রিজ সবকিছু বিক্রি হয়ে যায়। জমিলার তিন সন্তানের মধ্যে মেজ ছেলে সেলিম পড়ত বিকেএসপিতে। তার পড়া বন্ধ হয়ে যায়। বড় মেয়ে আফসানার বিয়ের চিন্তা করছিলেন জমিলা। তা-ও থেমে যায়। ছোট ছেলে রাকিব মহল্লার পাশে একটি স্কুলে পড়ত। বাবার জেল হওয়ার পর কয়েক দিন সে ঠিকমতো খায়নি। বায়না ধরেছিল, বাবা না এলে কিছুই খাবে না। কিন্তু ক্ষুধার কাছে শেষ পর্যন্ত হার মানে ছেলেটি। তবু লড়াই চালিয়ে যান জমিলা। তাঁর জয়ও হয়। হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ শাহ আলমকে মুক্তি দেন। ২০০৬ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন। তখনো আসল খুনি ‘সুন্দর বাবু’ ধরা পড়েননি।
পরদিন শুক্রবার সকালে যাই শাহ আলমের নয়াপল্টনের বাসায়। দেখি আশপাশের শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করেছে। জমিলার বাড়িতে যেন ঈদের আনন্দ। অনেকবার রিপোর্টের কারণে ওই পরিবারের সবাই আমাকে চেনে। আমাকে দেখে এগিয়ে আসেন জমিলা। আমাকে নিয়ে যান শাহ আলমের কাছে। শাহ আলম শোনান তাঁর কনডেম সেলের গল্প। বলেন, ‘রাত এলেই মনে হতো আমাকে মেরে ফেলা হবে। যেকোনো মুহূর্তে কনডেম সেল থেকে নেওয়া হবে ফাঁসির মঞ্চে। ভয়ে দুই চোখ এক করতে পারতাম না। এভাবে দুই বছর নির্ঘুম কেটেছে, প্রায় অন্ধকারে ছিলাম। এখন স্বাভাবিক আলোয় এসে তাকাতে পারছি না। নিজের কাছে বিশ্বাস হয় না, আমি বেঁচে আছি।’
শাহ আলমের সব বক্তব্য রেকর্ড করি। রেকর্ডার পকেটে ঢুকিয়ে জমিলাকে বলি, এবার তাহলে যাই। গাড়ির সামনে আসতেই জমিলা ছেলে-মেয়েদের নাম ধরে ডাকেন। সবাইকে বলেন, আংকেলকে সালাম করো। ছেলে-মেয়েরা লাইন ধরে সালাম করে। আমি জমিলার মেয়ে আফসানার মাথায় হাত রাখতেই সে আমাকে জড়িয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে। সে কান্না সংক্রমিত করে জমিলা ও শাহ আলমকে। আমাকেও। নয়াপল্টনের রাস্তায় তখন অনেক মানুষ। তাদের চোখও তখন ভেজা।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ২৮ হাজার ৭৬৬টি মোটরসাইকেল ও ৪৩ হাজার ৩৫২টি গাড়ি তল্লাশি করা হয়। তল্লাশিকালে ২৯১টি অবৈধ মোটরসাইকেল আটক করা হয়।
অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও ‘ফ্যাসিস্টদের’ দমনে ১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যা থেকে দেশজুড়ে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২’ নামে বিশেষ অভিযান শুরু করে যৌথ বাহিনী।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
হাদিকে গুলির ঘটনায় মাস্ক পরা দুই তরুণ জড়িত বলে তাঁর সহযোদ্ধাদের সন্দেহ। তাঁদের দাবি, কয়েকদিন ধরে দুই তরুণ মাস্ক পরে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হাদির সঙ্গে গণসংযোগে অংশ নিচ্ছেন। বার বার তাঁদের মাস্ক খুলতে বলা হলেও তাঁরা রাজি হননি। হাদিঘনিষ্ঠদের সন্দেহ, এই তরুণরা হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গতিবিধি বোঝার জন্য তাঁর সঙ্গে যুক্ত হন।
দুজনের মধ্যে মাস্ক পরা একজন হাদির পাশে বসে আছে— এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই তাকে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ হিসেবে দেখিয়েছেন। তবে মাস্ক করা এই তরুণই যে হাদিকে গুলি করেছেন, কিংবা এই তরুণই যে ফয়সাল, তা নিশ্চিত করে বলছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে ‘সন্দেহভাজন’ হিসেবে শনাক্ত একজনের ছবি প্রকাশ করে ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ডিএমপির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিজয়নগর বক্স কালভার্ট এলাকায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের হামলায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেফতারে রাজধানীতে জোর অভিযান পরিচালনা করছে। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ছবির ব্যক্তিকে প্রাথমিকভাবে সনাক্ত করা গেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ তাকে হন্য হয়ে খুঁজছে। উক্ত ব্যক্তি সম্পর্কে কোন তথ্য থাকলে বা তার সন্ধান পেলে দ্রুত নিম্নলিখিত মোবাইল নম্বর অথবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে জানানোর জন্য বিনীত অনুরোধ করা হলো।’
পুলিশের বিবৃতিতে এই তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদীর সঙ্গে দেখা গেছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণটিই ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনেছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রমনিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে গুলিবিদ্ধ হন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ সংসদীয় আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদি। হাদিকে বহনকারী রিকশাকে অনুসরণ করে পেছন দিকে থেকে মোটরসাইকেলে এসে তাঁকে গুলি করে চলে যায় আততায়ীরা। হাদি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার নামে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর সঙ্গে ফয়সাল করিমের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সেই ছবিগুলোতে থাকা ফয়সাল করিমের সঙ্গে মাস্ক পরা ব্যক্তির চেহারার কিছুটা সাদৃশ্য আছে। সেকারণে গুলি ছোড়ার ঘটনায় তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
এর মধ্যেই দুপুরে ডিএমপি সন্দেহভাজনকে শনাক্তের কথা জানায় এবং ওসমান হাদিকে গুলি করা ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে পারলে ৫০ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

পেশাদারদের যোগাযোগমাধ্যম লিংকডইনে ফয়সাল করিমের নামে প্রোফাইল আছে। সেখানে তিনি নিজেকে অ্যাপল সফট আইটি, ওয়াইসিইউ টেকনোলজি ও এনলিস্ট ওয়ার্ক নামে তিন প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
লিংকডইন প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল করিম ২০১৩ সালে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটারবিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করেছেন। পরে আরেকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এমবিএ করেছেন বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দমনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মাঠে ছিলেন বলে ছাত্রলীগের সূত্র জানিয়েছে।
ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় নাম আসার পর ফয়সাল করিমের সঙ্গে আওয়ামী লীগ আমলে বাংলাদেশের দুইবারের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কিছু নেতার ছবি ফেসবুকে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে হাদির সঙ্গে ঢাকা–৮ আসনে গণসংযোগ এবং বাংলামোটরে হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারের আড্ডায় ফয়সালের অংশ নেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে। অনেকে ধারণা করছেন, ফয়সাল করিম ওসমান হাদিকে বেশ কিছুদিন ধরে অনুসরণ করছিলেন।
২০১৬ সালে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সহযোগিতা ও সরকারের তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ‘ব্যাটল অব ৭১’ নামে একটি কম্পিউটার গেম তৈরি করেছিল ফয়সাল করিমের মালিকানাধীন ওয়াইসিইউ টেকনোলজি লিমিটেড। সে বছরের নভেম্বরে ওই গেমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বেসিসের তৎকালীন সভাপতি এবং পরে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারও উপস্থিত ছিলেন।
২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘আসনভিত্তিক নির্বাচন পরিচালনা ও সমন্বয়ক কমিটি’ করেছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। ঢাকা–১২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। এই আসনের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য ছিলেন ফয়সাল করিম।
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পর গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকার আদাবরের বাইতুল আমান হাউজিং সোসাইটি এলাকায় ব্রিটিশ কলাম্বিয়া স্কুলের চতুর্থ তলায় অফিসে অস্ত্রের মুখে ১৭ লাখ টাকা লুটের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আদাবর থানার মামলার প্রধান আসামি ছিলেন ফয়সাল করিম।
মামলা হওয়ার কিছুদিন পর ৭ নভেম্বর আদাবর এলাকা থেকে ফয়সাল করিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাঁর কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও পাঁচটি গুলিও উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট থেকে জামিন পান ফয়সাল করিম। জামিনের সময়সীমা বাড়াতে গত ১২ আগস্ট আবারও আবেদন করলে হাইকোর্ট নতুন করে তাঁর এক বছরের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনে থাকা অবস্থায় এবার তাঁর বিরুদ্ধে ওসমান হাদিকে গুলি করার অভিযোগ এল। এত অল্প সময়ের মধ্যে তিনি কীভাবে জামিন পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। কারণ, কোনো অপরাধমূলক কাজের প্রমাণ না থাকলেও অভ্যুত্থানের পর শুধু মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা সভা করায় গ্রেপ্তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সাংবাদিকের জামিন বারবার নাকচ করা হয়েছিল। আর এ রকম লুটের ঘটনায় দুটি অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিকে এতো দ্রুত জামিন দেওয়া হলো কীভাবে, সেই প্রশ্ন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এখন আলোচনা–সমালোচনায় সরব।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় করা হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
স্ত্রী লায়লা আফরোজ (৪৮) ও মেয়ে নাফিসা লাওয়াল বিনতে আজিজ (১৫) হত্যার ঘটনায় গতকাল মামলাটি করেন নাটোরের স্থায়ী বাসিন্দা আ জ ম আজিজুল ইসলাম। মামলায় কথিত গৃহকর্মী মোছা. আয়েশাকে (২০) একমাত্র আসামি করা হয়েছে। তবে এজাহারে তাঁর বাবার নাম ও ঠিকানায় ‘অজ্ঞাত’ লেখা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুজ্জামান তালুকদার। গতকাল সকাল ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৯টা ৩৫ মিনিটের মধ্যে যেকোনো সময় এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এজাহারে বাদী আজিজুল লিখেছেন, তিনি পেশায় একজন শিক্ষক। মোহাম্মদপুরে পরিবার নিয়ে থাকেন। চার দিন আগে উল্লিখিত আসামি তাঁর বাসায় খণ্ডকালীন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। গতকাল সকাল ৭টার দিকে তিনি (আজিজুল) তাঁর কর্মস্থল উত্তরায় চলে যান। কর্মস্থলে থাকাকালে তিনি তাঁর স্ত্রীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।
পরে তিনি বেলা ১১টার দিকে বাসায় আসেন। এসে দেখতে পান, তাঁর স্ত্রীর গলাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা। স্ত্রী রক্তাক্ত জখম হয়ে মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন আর মেয়ের গলার নিচে ডান পাশে কাটা। মেয়ে গুরুতর অবস্থায় বাসার প্রধান ফটকে পড়ে আছে। মেয়ের এই অবস্থা দেখে তিনি দ্রুত তাকে উদ্ধার করেন। পরিচ্ছন্নতাকর্মী আশিকের মাধ্যমে মেয়েকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। হাসপাতালে নেওয়ার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
মামলায় আজিজুল আরও লিখেছেন, তিনি বাসার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করেন। এতে তিনি দেখতে পান, আসামি সকাল ৭টা ৫১ মিনিটের সময় কাজ করার জন্য বাসায় আসেন। সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের সময় আসামি তাঁর (বাদী) মেয়ের স্কুলড্রেস পরে বাসা থেকে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ অন্যান্য মূলবান সামগ্রী নিয়ে যান আসামি।
মামলায় বাদী লিখেছেন, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে তিনি নিশ্চিত হন যে, অজ্ঞাত কারণে আসামি তাঁর (বাদী) স্ত্রী ও মেয়েকে ছুরি বা অন্য কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যা করেন।
মা-মেয়ে হত্যার আসামিকে শনাক্ত করা যায়নি। মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশ জানায়, গৃহকর্মীর পরিচয় এখনো শনাক্ত করা যায়নি। পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
২০ নভেম্বর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

সৌদি আরবে এক প্রবাসী ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বাংলাদেশে তাঁর পরিবারের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে একটি চক্র। না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) ধাপে ধাপে মোট ৩৫ লাখ টাকা পাঠালে সৌদি আরবের রিয়াদে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ফেলে যায় অপহরণকারীরা।
গত মঙ্গলবার অপহরণকারী এই চক্রের বাংলাদেশি সদস্য মো. জিয়াউর রহমানকে (৪২) মাগুরার শালিখা থানার হরিপুর বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
গ্রেপ্তারের পর সংস্থার বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান জানান, অপহরণকারীদের দেওয়া এমএফএস ও ব্যাংক হিসাব নম্বর বিশ্লেষণ করে জিয়াউর রহমানকে শনাক্ত করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মুক্তিপণ থেকে ৫ লাখ টাকা কমিশন নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি মো. রাসেল নামের ওই প্রবাসীকে অপহরণের পর সে মাসের ২১ তারিখে তাঁর শ্বশুর রাজধানীর খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলাটি সিআইডির ঢাকা মেট্রো (পূর্ব) ইউনিট তদন্ত করছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মো. রাসেল ২০ বছর ধরে রিয়াদে ব্যবসা করছেন। ১২ জানুয়ারি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা তাঁকে অপহরণ করে তাঁর বড় ভাই সাইফুল ইসলামের কাছে ইমু ও ভিওআইপিতে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা না দিলে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। কয়েক ধাপে টাকা পাঠানোর পর তাঁকে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

আজকের গল্পে দুটি চরিত্র। একজন ভয়ংকর সন্ত্রাসী আর অন্যজন গড়পড়তা সাধারণ মানুষ। এই সন্ত্রাসীর গল্পের সঙ্গে সাধারণ মানুষটিকে টেনে আনার একটি যোগসূত্র আছে। সেটা হলো, একদিন এই সন্ত্রাসী খুন হন। আর সেই খুনের মামলায় জড়ানো
১৩ নভেম্বর ২০২১
অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২-এর বিশেষ অভিযানে গত রোববার বিকেল থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৬৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১৪টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে
জুলাই–আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত মুখ ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদিকে গুলি করার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে বহুল আলোচিত নাম ফয়সাল করিম মাসুদ কিংবা দাউদ খান। গতকাল শুক্রবার হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই এই দুই নামে এক ব্যক্তির ছবি ফেসবুকে ভেসে বেড়াচ্ছে।
১১ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে খুন করার পর কথিক গৃহকর্মী আয়েশা ওই বাসা থেকে একটি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, বেশ কিছু স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার রাতে মোহাম্মদপুর থানায় কর হত্যা মামলার এজাহারে এই দাবি করা হয়েছে। তবে আয়েশা নামে পরিচয় দেওয়া ওই তরুণীর প্রকৃত পরিচয় মেলেনি এখনো।
১৫ দিন আগে