এম মেহেদী হাসিন

রংপুর: মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তারা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। পাশের গ্রামে ব্যাগ তৈরির ছোট কারখানা ছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সেখানে কাজ নেয় মারিয়া। পাঁচ মাস কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেয়।
নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া। তাই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জমানো পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ফেলে একটি পুরোনো সেলাই মেশিন। তারপর কাজ শেখায় বড় বোন মারুফাকেও। দুই বোন মিলে শুরু করে ব্যাগ সেলাইয়ের কাজ। পড়াশোনার ফাঁকে শুরু হয় দুই বোনের স্বপ্নবুনন।
নতুন উদ্যোক্তা এ দুই বোনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর বালাপাড়ার ইসলামপুর গ্রামে। ছোট বোন মারিয়া আক্তার দশম শ্রেণির ছাত্রী, আর বড় বোন মারুফা গত বছর এইচএসসি পাস করেছেন। পরিবারে আছেন বাবা, মা ও ছোট ভাই। ছোট ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা আবদুল মালেক ভ্যানচালক। মা মনিরা বেগম গৃহিণী।
মারিয়া ও মারুফাদের অভাবের সংসার। বাবা আবদুল মালেক ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করেন তা দিয়ে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। ভূমিহীন আবদুল মালেকের সম্পদ বলতে আছে শুধু ছয় শতক জমির ওপর পৈতৃক বাড়ি ও আটটি ছাগল। গত বছর উদ্দীপন, আশা, ব্র্যাকসহ কয়েকটি এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ তুলে জরাজীর্ণ মাটির ঘর ভেঙে নতুন ঘর তুলেছেন। একটি গরু ছিল, সেটিও বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে প্রতি সপ্তাহে আয়ের বড় অংশ চলে যায়। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে আবদুল মালেকের। বাবার এমন অনটনের সংসারে পরিবর্তন আনতে চায় মারিয়া ও মারুফা। হাসি ফোটাতে চায় বাবা–মায়ের মুখে।
প্লাস্টিকের বস্তা কিনে সেগুলো দিয়ে বাজারের ব্যাগ তৈরি করে মারিয়ারা। তাদের সহযোগিতা করেন মা মনিরা বেগম। প্রতিটি ব্যাগ আট টাকা দরে বাজারে বিক্রি হয়। ব্যাগ তৈরিতে খরচ হয় ৩ টাকা। পাঁচ মাসের নতুন উদ্যোগে তারা এখন মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করছে। তাতে সংসার চালাতে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে বাবা আবদুল মালেকের।
ছোট এই উদ্যোগকে বড় করার স্বপ্ন দুই বোনের। তবে লোকবলের সংকটের কারণে তৈরি করা ব্যাগ সঠিকভাবে বাজারজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ছোট ব্যবসা, তাই লোক নিয়োগ দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। অন্যদিকে বড় উদ্যোক্তারা ব্যাগের বাজার দখল করে আছেন। ফলে বাজারে নিজেদের ব্যাগের চাহিদা তৈরি করতে পারছে না তারা। তবে মারিয়ারা হাল ছাড়তে রাজি নয়। যেকোনো মূল্যে এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে চায় তারা। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে খুব সহজেই ব্যবসা বড় করা যেত বলে তাদের বিশ্বাস।
মারিয়া বলে, ‘বাজারে চাহিদা তৈরি করতে পারলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ব্যাগ তৈরি করা যেত। এতে মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় হতো। তখন লোক রেখে ব্যবসা বড় করা যেত।’
ব্যাগ তৈরির পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে পড়তে বসে দুই বোন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৯টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে কাজে বসে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে। তাই বাবা–মাও তাদের ওপর সন্তুষ্ট।
মারিয়াদের মা মনিরা বেগম বলেন, ‘ছইলেরা বাপের কষ্ট দেখি বসি না থাকি কিছু করবার চায়। হামরাও নিষেধ করি না। এখন স্কুল–কলেজ বন্ধ। কাজ করবার চাইছে করুক। কাজও করুক, পড়াশোনাও করুক।’

রংপুর: মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তারা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। পাশের গ্রামে ব্যাগ তৈরির ছোট কারখানা ছিল। বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে সেখানে কাজ নেয় মারিয়া। পাঁচ মাস কাজ করার পর চাকরি ছেড়ে দেয়।
নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া। তাই চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জমানো পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে কিনে ফেলে একটি পুরোনো সেলাই মেশিন। তারপর কাজ শেখায় বড় বোন মারুফাকেও। দুই বোন মিলে শুরু করে ব্যাগ সেলাইয়ের কাজ। পড়াশোনার ফাঁকে শুরু হয় দুই বোনের স্বপ্নবুনন।
নতুন উদ্যোক্তা এ দুই বোনের বাড়ি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রাধানগর বালাপাড়ার ইসলামপুর গ্রামে। ছোট বোন মারিয়া আক্তার দশম শ্রেণির ছাত্রী, আর বড় বোন মারুফা গত বছর এইচএসসি পাস করেছেন। পরিবারে আছেন বাবা, মা ও ছোট ভাই। ছোট ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ে। বাবা আবদুল মালেক ভ্যানচালক। মা মনিরা বেগম গৃহিণী।
মারিয়া ও মারুফাদের অভাবের সংসার। বাবা আবদুল মালেক ভ্যান চালিয়ে যা রোজগার করেন তা দিয়ে তিন ছেলেমেয়ের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। ভূমিহীন আবদুল মালেকের সম্পদ বলতে আছে শুধু ছয় শতক জমির ওপর পৈতৃক বাড়ি ও আটটি ছাগল। গত বছর উদ্দীপন, আশা, ব্র্যাকসহ কয়েকটি এনজিও থেকে ২ লাখ টাকা ঋণ তুলে জরাজীর্ণ মাটির ঘর ভেঙে নতুন ঘর তুলেছেন। একটি গরু ছিল, সেটিও বিক্রি করতে হয়েছে। বর্তমানে ঋণের টাকা পরিশোধ করতে প্রতি সপ্তাহে আয়ের বড় অংশ চলে যায়। ফলে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে আবদুল মালেকের। বাবার এমন অনটনের সংসারে পরিবর্তন আনতে চায় মারিয়া ও মারুফা। হাসি ফোটাতে চায় বাবা–মায়ের মুখে।
প্লাস্টিকের বস্তা কিনে সেগুলো দিয়ে বাজারের ব্যাগ তৈরি করে মারিয়ারা। তাদের সহযোগিতা করেন মা মনিরা বেগম। প্রতিটি ব্যাগ আট টাকা দরে বাজারে বিক্রি হয়। ব্যাগ তৈরিতে খরচ হয় ৩ টাকা। পাঁচ মাসের নতুন উদ্যোগে তারা এখন মাসে ১০ হাজার টাকা আয় করছে। তাতে সংসার চালাতে কিছুটা স্বস্তি দেখা দিয়েছে বাবা আবদুল মালেকের।
ছোট এই উদ্যোগকে বড় করার স্বপ্ন দুই বোনের। তবে লোকবলের সংকটের কারণে তৈরি করা ব্যাগ সঠিকভাবে বাজারজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে না। ছোট ব্যবসা, তাই লোক নিয়োগ দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও তৈরি হয়নি। অন্যদিকে বড় উদ্যোক্তারা ব্যাগের বাজার দখল করে আছেন। ফলে বাজারে নিজেদের ব্যাগের চাহিদা তৈরি করতে পারছে না তারা। তবে মারিয়ারা হাল ছাড়তে রাজি নয়। যেকোনো মূল্যে এই উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে চায় তারা। সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতা পেলে খুব সহজেই ব্যবসা বড় করা যেত বলে তাদের বিশ্বাস।
মারিয়া বলে, ‘বাজারে চাহিদা তৈরি করতে পারলে প্রতিদিন ১০০ থেকে ১৫০টি ব্যাগ তৈরি করা যেত। এতে মাসে ২০ হাজার টাকার বেশি আয় হতো। তখন লোক রেখে ব্যবসা বড় করা যেত।’
ব্যাগ তৈরির পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়ম করে পড়তে বসে দুই বোন। সকালে ঘুম থেকে উঠে ৯টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে কাজে বসে। সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পড়াশোনা করে। তাই বাবা–মাও তাদের ওপর সন্তুষ্ট।
মারিয়াদের মা মনিরা বেগম বলেন, ‘ছইলেরা বাপের কষ্ট দেখি বসি না থাকি কিছু করবার চায়। হামরাও নিষেধ করি না। এখন স্কুল–কলেজ বন্ধ। কাজ করবার চাইছে করুক। কাজও করুক, পড়াশোনাও করুক।’

আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় চার দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। মাঠঘাটে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
সকালে রোদ দেখা দেওয়ায় দিনের বেলায় শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা আবার বেড়ে যায়। রাত ও ভোরের দিকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ করা যাচ্ছে। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। সে হিসাবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ায় চার দিন ধরে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতায় ভোগান্তিতে পড়েছেন নিম্ন আয়ের শ্রমজীবীরা। মাঠঘাটে কাজ করতে গিয়ে তাঁদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
সকালে রোদ দেখা দেওয়ায় দিনের বেলায় শীতের প্রকোপ কিছুটা কম থাকে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ঠান্ডা আবার বেড়ে যায়। রাত ও ভোরের দিকে কুয়াশা ও হিমেল বাতাসে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে জেলার তাপমাত্রায় উল্লেখযোগ্য ওঠানামা লক্ষ করা যাচ্ছে। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে শনিবার ৯ দশমিক ৩, শুক্রবার ৯ দশমিক ৫, বৃহস্পতিবার ৮ দশমিক ৯, বুধবার ১০ দশমিক ৭, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৭ এবং সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। গতকাল শনিবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, তাপমাত্রা ১০ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি হলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ এবং ৬ ডিগ্রির নিচে নেমে গেলে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচিত হয়। সে হিসাবে বর্তমানে তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, গত কয়েক দিনে জেলার তাপমাত্রা ক্রমেই নিম্নমুখী। আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে, যা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের আওতায় পড়ে। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় শরীরে ঠান্ডার প্রভাব বেশি অনুভূত হচ্ছে। পরিস্থিতি আরও কয়েক দিন স্থায়ী হতে পারে। রাত ও ভোরের দিকে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের তীব্রতা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তাঁরা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। তাই নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাঁকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া
১৯ জুন ২০২১
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেমিজান মাহী, দুর্গাপুর (রাজশাহী)

১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে সারবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অনেককে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৮৫ জন শহীদ হন।
এই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণকবরের পাশে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ৬ মার্চ গগণবাড়িয়া গ্রামে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ ও জীবন্ত মানুষ মাটিচাপা দেওয়ার গণকবর ও বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গগণবাড়িয়া ঐতিহাসিক গণকবর ও বধ্যভূমিতে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে গগণবাড়িয়া গ্রামের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহাসিক গণকবরের পাশে নির্মিত বধ্যভূমিটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। দাওকান্দি সরকারি কলেজের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গগণবাড়িয়া গ্রামের ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে এবং জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা।’
যুগিশো গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যদুনাথ সরকারের ভাতিজা এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গগণবাড়িয়া গ্রামের গণহত্যার স্থানটি অবহেলিত ছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হলে ২০০২ সালে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই স্থানে গণকবরের পাশে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান বলেন, ‘গগণবাড়িয়া একটি ঐতিহাসিক স্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশতুরা আমিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গগণবাড়িয়ার গণকবর ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে সারবদ্ধভাবে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ছাড়া অনেককে জীবন্ত মাটিচাপা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় ১৮৫ জন শহীদ হন।
এই গণহত্যার স্মৃতি ধরে রাখতে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গণকবরের পাশে একটি বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারী কর্মকর্তারা ২০১১ সালের ৬ মার্চ গগণবাড়িয়া গ্রামে নারকীয় এই হত্যাযজ্ঞ ও জীবন্ত মানুষ মাটিচাপা দেওয়ার গণকবর ও বধ্যভূমি পরিদর্শন করলেও এখন পর্যন্ত এই ঘটনার বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে গগণবাড়িয়া ঐতিহাসিক গণকবর ও বধ্যভূমিতে গণহত্যায় শহীদদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার দুপুরে গগণবাড়িয়া গ্রামের শহীদ মিনারে গিয়ে দেখা যায়, ঐতিহাসিক গণকবরের পাশে নির্মিত বধ্যভূমিটি ধুয়েমুছে পরিষ্কার করা হচ্ছে। দাওকান্দি সরকারি কলেজের প্রভাষক আয়নাল হক বলেন, ‘স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের বর্ণনা অনুযায়ী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গগণবাড়িয়া গ্রামের ১৮৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে গুলি করে এবং জীবন্ত মাটিচাপা দিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা।’
যুগিশো গ্রামের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা যদুনাথ সরকারের ভাতিজা এবং প্রাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. প্রফুল্ল চন্দ্র সরকার বলেন, ‘স্বাধীনতার পর দীর্ঘদিন সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে গগণবাড়িয়া গ্রামের গণহত্যার স্থানটি অবহেলিত ছিল। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দপ্তর ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানানো হলে ২০০২ সালে শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ওই স্থানে গণকবরের পাশে বধ্যভূমি নির্মাণ করা হয়।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড কাউন্সিলের কমান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আনিছুর রহমান বলেন, ‘গগণবাড়িয়া একটি ঐতিহাসিক স্থান। মহান মুক্তিযুদ্ধে সেখানে ভয়াবহ গণহত্যা চালানো হয়েছিল।’
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশতুরা আমিনা বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় গগণবাড়িয়ার গণকবর ও বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তাঁরা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। তাই নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাঁকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া
১৯ জুন ২০২১
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
১ ঘণ্টা আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেআদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন একই উপজেলার শিয়ালশন গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম হোসেন (২৩), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে রাহিম রানা (২০) ও একই গ্রামের লিটন আলীর ছেলে তৌফিক আলী (২২)।
আদমদীঘি থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার থেকে আদমদীঘি অভিমুখে যাচ্ছিল দুই মোটরসাইকেল। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে দুটি মোটরসাইকেলের। এ সময় দুই মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ১১টায় সেখানকার চিকিৎসক রিমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার ও দুই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের ছেলে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন একই উপজেলার শিয়ালশন গ্রামের মিলন হোসেনের ছেলে মোস্তাকিম হোসেন (২৩), জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুরের পুনঘরদীঘি গ্রামের জুয়েল রানার ছেলে রাহিম রানা (২০) ও একই গ্রামের লিটন আলীর ছেলে তৌফিক আলী (২২)।
আদমদীঘি থানা-পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার থেকে আদমদীঘি অভিমুখে যাচ্ছিল দুই মোটরসাইকেল। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কারের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে দুটি মোটরসাইকেলের। এ সময় দুই মোটরসাইকেলে থাকা চার আরোহী গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। রাত ১১টায় সেখানকার চিকিৎসক রিমন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার উপপরিদর্শক বাবুল আকতার জানান, দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যাওয়া প্রাইভেট কার ও দুই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তাঁরা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। তাই নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাঁকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া
১৯ জুন ২০২১
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৪৩ মিনিট আগে
চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
৬ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সেকেন্ডারি সেচ খাল ৭৫৪ কিলোমিটার (কিমি) কাগজে থাকলেও বাস্তবে আছে ৪০০ কিমি। খালের বাকি অংশ বিভিন্নভাবে দখল ও ভরাট হয়ে গেছে। কৃষকদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে সেচের অভাবে ফসল উৎপাদনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে অনাবাদি হয়ে পড়ছে কৃষিজমি। তাই জরুরি ভিত্তিতে খাল সংস্কার এবং অবৈধ দখল মুক্ত করতে হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, সেচ নিশ্চিত করতে খালগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুর ও লক্ষ্মীপুর জেলার ছয়টি উপজেলার প্রকল্পভুক্ত আবাদযোগ্য জমিতে সেচ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে সেচ প্রকল্প তৈরি করা হয়। প্রকল্পভুক্ত ৫৩ হাজার
হেক্টর এলাকা বন্যামুক্ত এবং জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করে সাড়ে ২৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেওয়ার লক্ষ্যে ১৯৭৮ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়।
সরেজমিনে কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সঠিক সময়ে সেচের প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে; বিশেষ করে বোরো আবাদের সময় পানি সংকট দেখা দেয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ২০২৪ সালে সদর উপজেলার বাগাদি ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামে পানির অভাবে ৪০ একর জমি অনাবাদি ছিল বলেও তথ্য মিলেছে।
মধ্য বাগাদি গ্রামের কৃষক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘সামনে বোরো আবাদ শুরু হবে। গেল বছর মৌসুমের শুরুতে একবার পানি দেওয়ার পর সংকট শুরু হয়।
পানির অভাবে আমাদের জমিগুলো ফেটে যায়।’
একই এলাকার আরেক কৃষক কবির ঢালী বলেন, ‘সঠিক সময়ে পানি পাই না। প্রয়োজন শেষ হলে পানি পাওয়া যায়। তখন অতিরিক্ত পানিতে ধানগাছ নষ্ট হয়ে যায়। সেচ প্রকল্প করা হয়েছে ফসল উৎপাদনের জন্য। কিন্তু সেচ খালে মাছচাষিরা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে রাখেন। তাঁদের পানির প্রয়োজনের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকে। এসব সমস্যা দূর করতে হবে।’
পাশের নানুপুর গ্রামের কৃষক ইব্রাহীম গাজী বলেন, ‘বোরো মৌসুমে নদীতেও পানি কম থাকে। যে কারণে সেচ পাম্পগুলো চালিয়ে কোনো লাভ হয় না। পানির অভাবে আমাদের ধানের চারাগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ে।’
সদরের বালিয়া ইউনিয়নের দুর্গাদি গ্রামের কৃষক হান্নান গাজী বলেন, গেল বছর সেচ খালের কিছু অংশ সংস্কার হয়েছে। কিন্তু ওই খাল থেকে জমিগুলোতে পানি আসার জন্য সুরু খাল স্থানীয় লোকজন ভরাট করে রেখেছে। অনেক সময় লোকজন খালে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ না করায় পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।
একই ইউনিয়নের সাপদী গ্রামের কৃষক লেয়াকত হোসেন খান বলেন, সেচ খাল সংস্কার হলেও প্রধান খালের মুখে হাজার ফুট সংস্কার হয়নি। এ ছাড়া খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে গেছে, অনেকে বাড়িঘর তৈরি করেছে। সরকারিভাবে উদ্যোগ নিয়ে এসব সমস্যা দূর করতে হবে। ফসল উৎপাদনের জন্য সঠিক সময় পানি যেমন প্রয়োজন, তেমনি বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশন দরকার হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. রহুল আমিন বলেন, ‘কৃষকদের সেচ নিশ্চিত করতে আমাদের আন্তরিকতার অভাব নেই। তবে স্থানীয় মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো প্রয়োজন। কারণ, তারা সেচ খালের বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার জন্য বাঁধ দেয়; পরে সেগুলো অপসারণ করা হয় না। আমরা নির্ধারিত সর্বোচ্চ পন্ড লেভেল (২.৪৪ মি.) পানি দিলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে পানি খালে প্রবেশ করতে সমস্যার সৃষ্টি হয়। স্বাভাবিক থাকলে সব খালে পানি পৌঁছে যাওয়ার কথা।’ তিনি আরও বলেন, সেচ প্রকল্প প্রতিষ্ঠার সময় খাল ছিল ৭৫০ কিলোমিটার। এখন প্রায় ৪০০ কিলোমিটার খাল সচল রয়েছে। সেচ প্রকল্পের বাগাদি পাম্পহাউসের মেশিনগুলো প্রায় সাড়ে চার যুগ আগে বসানো। এগুলো এখন কোনোরকমে সংস্কার করে সেচ চালু রাখা হয়। তবে নতুন করে পাম্প মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবছর বোরো আবাদের সময় কৃষকেরা পানি না পেলে অভিযোগ দেয়। তবে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করি। গেল বছর থেকে খাল সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ২৫ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। এ বছর আরও ৩০ কিলোমিটার সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যে পানি দেওয়া শুরু হবে। কোনো এলাকায় সেচসংকট দেখা দিলে ওই এলাকায় আমরা তাৎক্ষণিক পানির ব্যবস্থা করব।’

মারিয়া আক্তার ও মারুফা আক্তার দুই বোন। করোনাকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে কয়েক মাস বাড়িতে বেকার সময় পার করছিল তাঁরা। এভাবে বেশি দিন বসে থাকতে ভালো লাগছিল না ছোট বোন মারিয়ার। তাই নিজেই কিছু একটা করার তাড়না পেয়ে বসে তাঁকে। আগে থেকেই সেলাইয়ের কাজ জানত মারিয়া
১৯ জুন ২০২১
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘণ্টায় ৯-১০ কিলোমিটার বেগে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীতের অনুভূতি আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
২৩ মিনিট আগে
১৯৭১ সালের ২২ অক্টোবর রাতে তৎকালীন পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতায় রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি কমিটির সদস্যরা রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষকে ধরে এনে গগণবাড়িয়া গ্রামে বেঁধে রাখে। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে তাঁদের গগণবাড়িয়া গ্রামের একটি মাঠে নিয়ে গিয়ে...
৪৩ মিনিট আগে
বগুড়ার আদমদীঘিতে মোটরসাইকেলের সঙ্গে প্রাইভেট কারের মুখোমুখি সংঘর্ষে রিমন হোসেন (১৭) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় বগুড়া-নওগাঁ মহাসড়কের সান্তাহার পূর্ব ঢাকা রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রিমন হোসেন উপজেলার কাশিমালা গ্রামের উজ্জ্বল প্রামানিকের
১ ঘণ্টা আগে