কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।
কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না।
১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যাম্পে পৃথিবীর সেরা আর দক্ষ পুরুষ অভিযাত্রীদের সঙ্গে ছিলেন জুনকো তাবেই—জাপানের এক গৃহবধূ। কী অপূর্ব স্পর্ধা!
অবশ্য তাবেই যেদিন এভারেস্ট সামিটে সফল হন, এর মাত্র ১১ দিন পর, ২৭ তারিখ এভারেস্টে পৌঁছান আরেক নারী, মিসেস ফান্টোগ। মানে প্রায় কাছাকাছি সময়ে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারী রোমাঞ্চের স্বাদ পেতে চেয়েছিলেন, পেয়েছেনও। এরপর একে একে অনেক নারী পৃথিবীর উচ্চতম সেই পাহাড়চূড়া জয় করেছেন। সেই ইতিহাসে লেখা আছে আমাদের দেশেরও দুজন নারীর নাম—নিশাত মজুমদার আর ওয়াসফিয়া নাজরীন।
অ্যালানারনেট নামের একটি ব্লগে ‘এভারেস্ট বাই নাম্বার্স: ২০২৪’ শিরোনামের একটি লেখা পাওয়া যায়। সে লেখা থেকে জানা যায়, ২০২৪ সালের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত এভারেস্ট চূড়ায় আরোহনের জন্য প্রায় ১২ হাজার অভিযান চালানো হয়। নেপাল ও তিব্বত এ দুটি রুটে ৬ হাজার ৬৬৪ জন এই সময়ের মধ্যে সামিট করেন। অন্যদিকে দ্য হিমালয়ান ডেটাবেজ জানাচ্ছে, এভারেস্টে এ পর্যন্ত অভিযান চালানো হয় ১১ হাজার ১০০ বারের বেশি। আর অভিযাত্রী ছিলেন ৮৫ হাজার ৩০০ জনের বেশি।
আমরা জানি, সামিটের সংখ্যাটা এখন বেড়েছে। ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৮৮৩ জন নারী এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। তাঁদের কেউ ছিলেন গৃহিণী, কেউ শিক্ষার্থী, কেউ প্রকৌশলী, কেউ সার্জন, কেউ সাংবাদিক, লেখক, বক্তা, ব্যাংকার, বিমানবালা, নার্স, ফিজিশিয়ান আবার কেউবা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা কিংবা পরিচালক। বিভিন্ন পেশা আর বিভিন্ন বয়সের নারীরা আরোহণ করেন পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু মাউন্ট পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টে। তাঁদের নাম জড়িয়ে আছে এভারেস্ট আরোহণ আর জয়ের ইতিহাসের সঙ্গে।
একেকজন আরোহীর এভারেস্ট জয়ের গল্প একেক রকম। সে গল্পগুলোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে নারীদের আত্মবিশ্বাস, সংগ্রাম আর অর্জনের না-বলা অনেক কথা। জুনকো তাবেইর পর সারা বিশ্ব থেকে পর্বতপ্রেমী নারীরা ছুটে গেছেন হিমালয়ে। চেষ্টা করেছেন এভারেস্ট জয়ের। সাফল্য পেয়েছেন, উড়িয়েছেন নিজেদের দেশের পতাকা। আবার কখনো ব্যর্থও হয়েছেন। ভারতীয় নারী সন্তোষ যাদব প্রথম নারী হিসেবে দুবার এভারেস্ট জয় করেন। এরপর রেকর্ড বাড়তেই থাকে। সময়ের সঙ্গে এ ক্ষেত্রে নারীদের আগ্রহ আরও বেড়েছে। আলতাই নেটওয়ার্কের একটি প্রতিষ্ঠান কান্ডু অ্যাডভেঞ্চার্সের তথ্যমতে, ২০২২ সালে নেপালের পর্যটন বিভাগের কাছে সামিটের অনুমতি চাওয়া মোট আবেদনকারীর মধ্যে নারীর সংখ্যা ছিল ২৩ শতাংশ। অঙ্কের হিসাবে এটি এখনো কম মনে হয় বটে; কিন্তু সংখ্যাটি এটাও প্রমাণ করে, সারা বিশ্বে নারীরা আগের চেয়ে আরও কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং কাজের দিকে এগিয়ে চলেছেন।
লাকপা শেরপা নামের নেপালি এক নারী ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বার এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেন। অপ্রতিরোধ্য এই নারী ৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আরোহণ করেছিলেন এভারেস্টে! আবার সন্তান জন্মের ৮ সপ্তাহ পর পুনরায় গিয়েছিলেন এভারেস্টের কাছে। ১৯৯৫ সালে অক্সিজেন সিলিন্ডার সঙ্গে না নিয়ে সফলভাবে এভারেস্ট সামিট করা প্রথম নারী অ্যালিসন হার্জরেভেস। ছুরিম শেরপা প্রথম নারী, যিনি ২০১২ সালে এক মৌসুমে দুবার এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছিলেন।
পাহাড় ডিঙাতে শুধু যে শারীরিক সুস্থতা দরকার, তা নয়। এর পাশাপাশি একজন আরোহীর মনোবল থাকতে হয় দৃঢ়। তার প্রমাণ দিয়েছেন ভারতের উত্তর প্রদেশের মেয়ে অরুণিমা সিনহা। ভারতীয় এই ভলিবল খেলোয়াড় একটি রেল দুর্ঘটনায় পা হারান। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই সিদ্ধান্ত নেন, জয় করবেন মাউন্ট এভারেস্ট। ২০১৩ সালের ২১ মে ১৭ ঘণ্টার কঠিন পরিশ্রমের পর সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে এভারেস্ট জয় করেন অরুণিমা। বয়সও কখনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি নারী আরোহীদের সামনে। ১৩ বছর বয়সী ভারতের মালাভাথ পূর্ণা ও ১৫ বছর বয়সী নেপালের মিং কিপাসহ বেশ কিছু কিশোরী এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণের রেকর্ড গড়েছে। আবার জাপানের নাগরিক তামায়ে ওয়াতানাবে ৭৩ বছর বয়সে আরোহণ করেন এভারেস্টের চূড়া! এই জয়ের ইতিহাসে ২০১২ সালে নিজের নাম যুক্ত করেছেন নিশাত মজুমদার। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তাঁর সঙ্গেই দ্বিতীয় বাংলাদেশি নারী হিসেবে এভারেস্ট জয় করেন ওয়াসফিয়া নাজরীন।
বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া আরোহণের স্বপ্নপূরণের জন্য আরোহীরা নিজের মনোবল ও সাহসকে সর্বোচ্চ বিন্দুতে নিয়ে যান। এভারেস্টে আরোহণের গল্পে যেমন অনুপ্রেরণা আছে, তেমনি আছে ট্র্যাজেডি। এই পর্বতের ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে অনেক আরোহীই মারা গেছেন, অনেকে চিরতরে হারিয়ে গেছেন সাদা তুষারের বিজন প্রান্তরে। তেমনই একজন নারী যুক্তরাষ্ট্রের পর্বতারোহী ফ্র্যান্সিস আর্সেন্তিয়েভ। তাঁকে বলা হয় ‘স্লিপিং বিউটি অব মাউন্ট এভারেস্ট’। ১৯৯৮ সালে এভারেস্টে একটি অভিযানে যাওয়ার সময় মারা যান তিনি।
এসব নাম ও তথ্য নিছক গল্প নয়; প্রেরণা। জীবন ঘষে আগুন জ্বালানোর প্রেরণা। মাউন্ট এভারেস্ট সেখানে উপলক্ষ মাত্র।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৮ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৯ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
১০ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছিলেন প্রিয় মুহূর্তগুলো।
মা, বাবা, ভাই, ভাবি এবং তাঁদের সন্তানদের নিয়ে মাহমুদার পরিবার। সেখানে আর কেউ ছবি তোলে না; তাই ফটোগ্রাফি নিয়ে তাঁর যে জগৎ, সেটি পুরোপুরি নিজের হাতে গড়া। একাকী এই পথচলাই যেন তাঁকে আরও বিশেষ মনোযোগী করে তুলেছে, আরও অনুপ্রাণিত করেছে।
শুরুটা খুব সাধারণ, তারপরও বিশেষ
‘সুন্দর মুহূর্ত ধরে রাখতে ভালো লাগে’—এমনই এক সাধারণ অনুভূতি থেকে মাহমুদা ছবি তুলতে শুরু করেন। সময়কে কেউ থামাতে পারে না। কিন্তু ছবি সেই সময়ের ছাপকে ধরে রাখতে পারে। এই টান থেকে তাঁর ফটোগ্রাফির যাত্রা।
প্রথম ক্যামেরা? ক্যামেরা বলা যাবে না। কারণ, এখন পর্যন্ত তিনি মোবাইল ফোন দিয়েই ছবি তোলেন। এই মোবাইল যেন তাঁর হাতে এক জাদুর বাক্স।

স্বীকৃতির প্রথম ধাপ
মোবাইল ফোন দিয়ে তোলা তাঁর ছবি প্রথমবার জায়গা করে নেয় ‘তরুণেরাই পরিবর্তনের প্রভাবক’ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে। জাতিসংঘের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত হয়েছিল প্রদর্শনী। সেখান থেকে তিনি পেয়েছেন একটি সার্টিফিকেট। এটি তাঁর কাছে শুধু একটি কাগজ নয়, নিজেকে আরও একধাপ এগিয়ে নেওয়ার সাহস।
অনলাইন প্রতিযোগিতায় তাঁর সাফল্য রয়েছে। ‘প্রাণোচ্ছ্বাস আত্মসেবা নয়, মানবসেবা’-এর ১৭ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত ফটোগ্রাফি কনটেস্টে তিনি দ্বিতীয় হয়েছেন।

যেসব ছবি ছুঁয়ে যায়
প্রিয় ছবির কথা উঠলে তিনি স্মরণ করেন এই নভেম্বরের এক ভোরের স্মৃতি। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়াশাঘেরা পথে হাঁটতে হাঁটতে দেখেছিলেন, একটি ছেলে এবং একটি মেয়ে সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছে। চারদিকে কুয়াশা, ভোরের ঠান্ডা, নিস্তব্ধতা আর দুই বন্ধুর পথচলার মিষ্টি স্মৃতি। তিনি মোবাইল ফোনে মুহূর্তটাকে বন্দী করেছিলেন।
ভয়ের দিক
যে কাজ মানুষকে আনন্দ দেয়, সেটির পেছনেও ভয় থাকে। মাহমুদার ভয় খুব সাধারণ, কিন্তু বাস্তব। তা হলো, সব সময় অনুমতি নিয়ে ছবি তোলা যায় না। কেউ যদি বিরক্ত হয়! কেউ রাগ করলে? এসব মাঝে মাঝে তাঁকে থামিয়ে দেয়।

নারী ফটোগ্রাফার হওয়ার বাড়তি চ্যালেঞ্জ
বাইরের মানুষ বাজে কথা না বললেও অনেক জায়গায় শুনতে হয়, মেয়ে হয়ে ছবি তুলছেন? বিষয়টি সবাই ভালো চোখে দেখে না। তার ওপর বিশেষ চ্যালেঞ্জ হলো, বাড়ির লোকজন এখনো জানেই না, তিনি ছবি তোলেন! তাই নিজের ভালোবাসার কাজটুকু তাঁকে চুপিচুপি, নিজের মতো করে করতে হয়।
পাখির ছবি, প্রকৃতির ছবি
মাহমুদার ভালো লাগে ল্যান্ডস্কেপ, স্ট্রিট ফটোগ্রাফি ও পোর্ট্রেট। বারান্দায় এসে ডেকে ওঠা শালিক পাখিগুলো তাঁর ছবি তোলার নিয়মিত বিষয়। খেলা করতে করতে শালিকদের যে স্বচ্ছন্দ ভঙ্গি, সেগুলো তিনি ক্যামেরায় ধরে রাখার চেষ্টা করেন।

অভাববোধ করেন একজন গাইডের
মাহমুদার বড় আফসোস, কেউ নেই যিনি বলে দেবেন, কোন ছবি ভালো, কোনটা নয়, কোথায় ভুল, কীভাবে আরও ভালো হওয়া যায়। একজন অভিজ্ঞ মানুষের কাছ থেকে পথনির্দেশনা পেলে তিনি বিশ্বাস করেন, গল্প আরও গভীরভাবে বলতে পারবেন।
স্বপ্ন এখনো চলমান
একদিন চাকরি হবে, ব্যস্ততা তখন নিশ্চয় বাড়বে। কিন্তু ছবি তোলার নেশা কখনো হারিয়ে যাবে না। সুযোগ পেলে নিজের একটি ক্যামেরা কিনবেন; তখন আরও দক্ষভাবে, আরও গল্পময় ছবি তুলবেন। নতুন নতুন গল্পের সন্ধানে পথচলা অব্যাহত থাকবে— মাহমুদার স্বপ্ন আপাতত এতটুকুই।

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না। ১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যা
২২ মে ২০২৪
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৮ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৯ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
১০ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
নুসরাত জিনিয়া, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: দীর্ঘ ১৪ বছরের মানসিক-শারীরিক নির্যাতন, অর্থনৈতিক চাপ এবং ইঙ্গিতে যৌতুক দাবি করা—এ সবই আইনের চোখে অপরাধ।
যৌতুক নিরোধ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী
এ ক্ষেত্রে যা করতে পারেন, তা হলো:
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করার সুযোগ যদি শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন থাকে—
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০-এ শাস্তির বিধান আছে।
যৌতুক মামলা করতে চাইলে কী হয়
যৌতুক মামলায় অভিযোগ করলে পুলিশ তদন্ত করবে এবং প্রমাণ পেলে মামলাটি আদালতে যাবে।
সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য সুবিধা
ভরণপোষণ ও সন্তানের হেফাজতের অধিকার
আপনি পারিবারিক আদালতে ভরণপোষণ মামলা এবং সন্তানের হেফাজত মামলা করতে পারবেন। ৮ বছর বয়সী সন্তানের হেফাজত সাধারণত মায়ের পক্ষেই যায়, যদিও পরিস্থিতি অনুযায়ী বিচারক সিদ্ধান্ত নেন।
মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয়, নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে কি না? তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
নিরাপদ আশ্রয় বা জরুরি সহায়তা যদি আপনি বিপদের মুখে থাকেন—
তবে মামলা করা একটি বড় সিদ্ধান্ত। আপনার ভাববার বিষয় নিজের ও সন্তানের নিরাপত্তা, স্বামীর সঙ্গে থাকা কি বাস্তবে সম্ভব, নাকি ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ছে? আপনার কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে কি না?
তবে সম্পূর্ণ প্রমাণ না থাকলেও প্রাথমিক তথ্য দিয়ে মামলা করা যায়।
পরিস্থিতি অনুযায়ী মামলা করা আপনার প্রতি চলমান নির্যাতন এবং যৌতুকের চাপ থেকে মুক্তির উপায় হতে পারে। তবে এ ধরনের সমস্যার সমাধানের জন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর পরামর্শ নিন।

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না। ১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যা
২২ মে ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৭ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৯ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
১০ ঘণ্টা আগেকেনিয়ার ‘ইঙ্কড সিস্টারহুড’
ফিচার ডেস্ক

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন, পরিবর্তনের ডাক দেওয়া একটি নীরব আন্দোলন এই বাইক যাত্রা। এই মোটরসাইকেল আরোহীদের মধ্যে আছেন বিজ্ঞানী, আইনজীবী ও সরকারি কর্মকর্তারা। এই দলের নাম ইঙ্কড সিস্টারহুড। দলটি পরিণত হয়েছে সংহতি ও নিরাপত্তার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা গভীর সৌহার্দ্যের প্রতীকে।
২০১৭ সালে নাইরোবির একটি রাইডিং স্কুল থেকে তাদের যাত্রা শুরু। এর সদস্যরা একটি বিশেষ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন। শুধু পুরুষেরাই মোটরসাইকেল চালানো উপভোগ করেন, এমন ধারণা তাঁরা ভেঙে দিতে চান। এই দলের সমন্বয়কারী হিসেবে আছেন কেনিয়া হাইকোর্টের আইনজীবী লুসি মোনিয়েন্যে। তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছরে আমরা শতাধিক সদস্যে উন্নীত হয়েছি। এই সংখ্যা বাড়ছে আবার কমছেও। কারণ, জীবনে নানা ঘটনা ঘটে।’ প্রাতিষ্ঠানিক স্মৃতি ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ইঙ্কড সিস্টারহুড নামের এই ক্লাব কেনিয়ার প্রচলিত আইনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত। এই ক্লাবের মাধ্যমে নারীরা মোটরসাইকেল চালানোকে স্বাধীনতার প্রতীক এবং করপোরেট চাকরি থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে গ্রহণ করছেন।
ইঙ্কড সিস্টারহুড শখের ক্লাব নয়, এটি কেনিয়ার নারীদের সামাজিক ও মানসিক সমর্থনেরও উৎস।
এর সদস্যরা সড়কের নিরাপত্তা প্রচার এবং দাতব্য রাইড, বৃক্ষরোপণ, স্মৃতি রাইড এবং লিঙ্গ-নিরপেক্ষ প্রচারণার মতো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বৃহত্তর কমিউনিটিকে সহায়তা করছেন। তাঁদের মার্কেটিং পরামর্শক ও রাইডার আমান্ডা খামাতি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের মধ্যে কারও সন্তান হলে বা কেউ কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গেলে, আমরা তাঁর পরিবারে যাই। শুধু বাইকিং নয়, আমরা একসঙ্গে সামাজিকতা করি এবং সময় কাটাই।’
কেউ কেউ এই শখকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের মাধ্যম হিসেবে দেখেন। সমাজবিজ্ঞানী কিসিয়ানান কেনানা বলেন, ‘মোটরসাইকেলে বসলে নিজেকে শক্তিশালী মনে হয়। সবাই ভাবে, রাইডিং শুধু পুরুষদের জন্য। আর আমি সেই নারীদের একজন, যারা দেখাতে এসেছে, এটা সবাই করতে পারে।’
পুরুষতান্ত্রিক ধারণার পরিবর্তন
কেনিয়ার নারীরা শিক্ষা, রাজনীতি ও খেলাধুলায় এগিয়ে এলেও লৈঙ্গিকভিত্তিক সহিংসতা ও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এখনো। কেনিয়া এমন একটি দেশ, যেখানে এখনো এমন গ্রাম আছে, যেগুলোর তিন মিটার গভীর কংক্রিটের ট্যাংক থেকে পানি নিতে হয়। দীর্ঘ সারিতে দাঁড়িয়ে সেই পানি সংগ্রহ করে নারীরা। উত্তর কেনিয়ার পরিবারগুলো জীবনধারণের সংস্থান করছে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে। এমন সামাজিক অবস্থায় এই নারী বাইকারদের যাত্রাকে উল্টো ধারারই বলতে হবে। এই বাইকারদের বড় বাধা কেনিয়ার সামাজিক পুরোনো স্টেরিওটাইপ ধারণা।
এ বিষয়ে কেনানা বলেন, ‘বেশির ভাগ মানুষ মনে করে, একজন নারী বাইকার পুরুষদের চেয়ে ধীরে চালাবে, তারা লম্বা দূরত্বে যেতে পারবে না, তারা দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়বে। এ ছাড়া তারা টমবয়, জেদি এবং শুধু অ্যাড্রেনালিন পছন্দ করে। হ্যাঁ, শেষ অংশটি হয়তো সত্যি হতে পারে, কিন্তু বাকিটা...।’
গত কয়েক বছরে ইঙ্কড সিস্টারহুডের সদস্যদের সম্পর্কে পুরুষতান্ত্রিক ধারণায় পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। ট্যাক্স পরামর্শক এবং মোটরবাইকপ্রেমী মাইকেল ওথিয়েনো বলেন, ‘নারীদের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য হলো, নারীরা আরও বেশি করে প্রশিক্ষণের সন্ধান করেন এবং এতে তাঁরা আরও দক্ষ হয়ে উঠেছেন। তাঁরা হেলমেট খুললে তার নিচে ড্রেডলকস বা বিনুনি দেখা যাবে। এতে আপনি বুঝতে পারবেন, তাঁরা বাইকিং মন থেকে গ্রহণ করেছেন। তাঁরা পুরুষের মতোই দক্ষ। কেউ কেউ তো আরও ভালো।’
সূত্র: আফ্রিকা নিউজ

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না। ১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যা
২২ মে ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৮ ঘণ্টা আগে
বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
১০ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

বাবা কবি। তাই সন্তানেরাও কবিতা লিখবেন—এমন কোনো কথা নেই। বিখ্যাত রোমান্টিক কবি লর্ড বায়রনের কন্যার বেলায়ও তেমন ঘটেনি। বায়রনের কন্যার নাম অ্যাডা লাভলেস। বাবার মতো রোমান্টিক কবি না হয়ে অ্যাডা বেছে নিয়েছিলেন প্রযুক্তির পথ। আর তার সূত্রপাত হয়েছিল অনুবাদ করা থেকে।
চার্লস ব্যাবেজের অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিন-সম্পর্কিত একটি ফরাসি নিবন্ধ অনুবাদ করেছিলেন অ্যাডা লাভলেস। শুধু তা-ই নয়, এর সঙ্গে তিনি নিজস্ব নোটসও যুক্ত করেছিলেন। এর মধ্যে তিনি বার্নোলি সংখ্যা গণনার জন্য একটি ধাপে ধাপে নির্দেশনা বা অ্যালগরিদম তৈরি করেন। তাঁর এই অ্যালগরিদম যেন মেশিন দিয়ে সম্পাদনা করা যায়, সেভাবে ডিজাইন হয়েছিল। এই অ্যালগরিদমকে বিশ্বের প্রথম কম্পিউটার প্রোগ্রাম হিসেবে গণ্য করা হয়। অ্যাডা লাভলেসই প্রথম উপলব্ধি করেন, অ্যানালিটিক্যাল ইঞ্জিনটি শুধু গাণিতিক হিসাব-নিকাশের বাইরেও বর্ণ, প্রতীক বা সাংকেতিক তথ্য নিয়ে কাজ করতে পারে। যেমন সংগীত। এই ধারণা ভিত্তি স্থাপন করে আধুনিক কম্পিউটিংয়ের।
অ্যাডার এই দূরদর্শী কাজের জন্য চার্লস ব্যাবেজ তাঁকে ‘দ্য এনসেনট্রেস অব নম্বরস’ বা সংখ্যার জাদুকর নামে আখ্যায়িত করেন।
তাঁর সম্মানে একটি প্রোগ্রামিং ভাষার নামকরণ করা হয় অ্যাডা বা আদা। এটি ১৯৮০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগ থেকে তৈরি করা আধুনিক কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ভাষার নাম। অ্যাডার জন্ম ১৮১৫ সালের ১০ ডিসেম্বর। তিনি মৃত্যুবরণ করেন ১৮৫২ সালের ২৭ নভেম্বর।

উনপঞ্চাশ বছর হয়ে গেল। কয়েকটা দিন বেশি অবশ্য। সেটা হিসাবে ধরা হলো না। ১৯৭৫ সালের মে মাসের ১৬ তারিখ। এ বছরের মতো সেদিনও মাউন্ট এভারেস্টের চূড়া ছুঁয়ে দেখতে গিয়েছিলেন অভিযাত্রীরা। পৃথিবীর উচ্চতম সেই শৃঙ্গের শিখরে বরফের স্তর এক ইঞ্চি না বাড়লেও সে দিনটা ইতিহাসে খানিক ভিন্নই ছিল মনে হয়। কারণ, সেদিন বেসক্যা
২২ মে ২০২৪
মাহমুদা পারভীন। নামটি এখনো খুব পরিচিত নয়। সরকারি বাঙলা কলেজ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন তিনি। তবে তাঁর আরেকটি পরিচয় আরও উজ্জ্বল; তিনি একজন মুহূর্ত-শিকারি, ফটোগ্রাফার। কোনো প্রশিক্ষণ নেই, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে গ্রুমিংও নয়; নিজের ভালোবাসা আর অনুভূতির টানে তিনি ধরে রাখতে শুরু করেছ
৭ ঘণ্টা আগে
প্রশ্ন: বিয়ের পর থেকে আমি নানা জুলুমের শিকার। বলতে গেলে, সব ধরনের জুলুম হয়েছে ১৪ বছর ধরে। আমাদের ৮ বছরের একটি সন্তান আছে। ইশারা-ইঙ্গিতে সাহায্য চায়। অর্থাৎ যৌতুক। সেটা পায় না বলে নানা কারণে রাগ প্রকাশ করে এবং চাপ দেয়। এর থেকে রক্ষা পেতে আমি কী করতে পারি?
৮ ঘণ্টা আগে
পূর্ব আফ্রিকার প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র কেনিয়া। মালভূমি ও পাহাড়ে ঘেরা এ দেশে বহু জাতির মানুষের বসবাস। কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি। এই শহরের রাস্তায় এখন দেখা যাচ্ছে দলে দলে বাইকার জ্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের গিয়ার এবং হেলমেট পরা নারী মোটরবাইকচালকদের। না, এটি দৃশ্যত কোনো আন্দোলন নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বললেন,
৯ ঘণ্টা আগে