ইশতিয়াক হাসান

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

পর্বতারোহণের ইতিহাসে সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় অমীমাংসিত রহস্য। সত্যি কি মানুষ প্রথম এভারেস্ট জয় করে ১৯৫৩ সালে? নাকি মৃত্যুর আগে দুঃসাহসী দুই পর্বতারোহী ১৯২৪ সালেই কাজটি করে গিয়েছেন।
ব্রিটিশ পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি এবং অ্যান্ড্রু স্যান্ডি আরভিনকে শেষ দেখা যায় ১৯২৪ সালের ৮ জুন। তখন তাঁরা চূড়া থেকে মাত্র ৮০০ ফুট নিচে। তারপরই মেঘের আড়ালে অদৃশ্য হয়ে যান তাঁরা। আর কখনোই দেখা মেলেনি।
১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহ যখন পাওয়া যায়, পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে, ম্যালরি–আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে ম্যালরির সঙ্গে ছিল না তাঁর বহন করা ক্যামেরাটি। আর আরভিনের মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায়নি আজও।
তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষক মনে করছেন, পর্বতারোহণের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় রহস্যটি তিনি সমাধান করেছেন।
অভিযানের আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলো নিরীক্ষণ করে লেখক গ্রায়েম হয়ল্যান্ড এখন বিশ্বাস করছেন, ওই পর্বতারোহী জুটির ভাগ্যে কী ঘটেছে এবং মৃত্যুর আগে সত্যি তাঁরা পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়াটিতে পৌঁছেছিলেন কিনা সেটা তিনি শনাক্ত করতে পেরেছেন।
এভারেস্টের ওই অভিযাত্রী দলটির অপর এক সদস্যের দূরসম্পর্কের আত্মীয় হয়ল্যান্ড, ম্যালরি–আরভিন রহস্য সমাধানে এভারেস্টে নয়বার অভিযান চালিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, রহস্যের মূলে আছে বায়ুচাপ।
তাঁর আত্মীয় আরেক পর্বতারোহী, হাওয়ার্ড সোমারভেল একই অভিযানে চূড়ার ১ হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গেলেও অক্সিজেনের অভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন। অভিযানের সময় আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল তাঁর।
চিকিৎসক হিসেবে ভারতে নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার আগে ১৯২৪ সালের অভিযানে আবহাওয়া সংক্রান্ত প্রতিবেদন পেশ করেন তিনি। এতে দেখা যায়, বেস ক্যাম্পে মানে যেখানে রিডিং নেন, সেখানে ৮ জুন সকাল থেকে ৯ জুনের মধ্যে বায়ুচাপ কমে যায়। এতে দেখা যায় বায়ুচাপ ১৬ দশমকি ২৫ এইচজি থেকে ১৫ দশমিক ৯৮–এ নেমে যায়।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এই পরিসংখ্যান চাপের ১০ মিলিবার পতনের সমান। এভারেস্টে আবহাওয়াজনিত মৃত্যু সাধারণত চূড়ায় বায়ুচাপ কমার সঙ্গে সম্পর্কিত। মাত্র ছয় মিলিবার চাপের পতন ১৯৯৬ সালের মতো ঘটনা ঘটানোর জন্য যথেষ্ট, যখন ২০ জন পর্বতারোহী আটকা পড়েন পর্বতে এবং তাঁদের মধ্যে আটজন মারা যান।
‘প্রবল ঝড়ের মধ্যে পর্বতারোহণ করছিলেন তাঁরা। শুধু তুষার ঝড় বললে ভুল হবে, এটা ছিল অনেকটা তুষার বোমা পতনের (স্নো বম্ব) মতো!’ সিএনএনকে বলেন হয়ল্যান্ড।
এভারেস্টে এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে হয়ল্যান্ডকেও। ‘এটা ভয়ংকর, তাপমাত্রা ব্যাপকভাবে কমে যাচ্ছে, আপনি শ্বাস নিতে হাঁপাচ্ছেন। এক হাজার নটিক্যাল গতিতে বাতাস বইছে। পরিচিত একজনের কথা জানি, যিনি এমন পরিস্থিতিতে উড়ে গিয়ে পর্বতের আরও ওপরে পড়েছিলেন।’ সিএনএনকে বলেন তিনি।
বায়ুচাপ কমে যাওয়ার অর্থ পর্বতের উচ্চতা বেড়ে যাওয়ার মতো, মানে স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় ৬৫০ ফুট উচ্চতার পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। হয়ল্যান্ড একে ‘একটি অদৃশ্য মৃত্যুফাঁদ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
উত্তর–পশ্চিম রিজ ধরে ইতিমধ্যে প্রতিকূলতার মধ্যেই পর্বতে আরোহণ করছিলেন এ জুটি। ম্যালরি তাঁর স্ত্রীর কাছে একটি চিঠিতে লিখেছিলেন যে চূড়ায় পৌঁছার ৫০ ভাগের এক ভাগ সম্ভাবনা দেখছেন। হয়ল্যান্ড মনে করেন আসলে এটি ছিল ২০–১ এর মতো। তবে তাঁর ধারণা, তাঁদের কী আঘাত করতে যাচ্ছে সে সম্পর্কে কোনো ধারণাই দুই পর্বতারোহীর ছিল না।
‘ম্যালরি দেখেন নর্টন ও সোমারভেল ৪ জুন বাড়তি অক্সিজেনের সহায়তা ছাড়াই চূড়ার এক হাজার ফুটের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছিলেন। কাজেই সরঞ্জামসহ চূড়া জয় সম্ভব হতেই পারে।’ প্রকাশিতব্য একটি বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘তিনি যেটা জানতেন না তা হলো, বায়ুচাপের পতন পর্বতটিকে আরও উঁচু করে তুলছে।’
ম্যালরি–আরভিন সিল্ক, তুলা এবং উলের পোশাক পরে ছিলেন। হয়ল্যান্ড পরিস্থিতি বোঝার জন্য এভারেস্ট অভিযানে একই ধরনের পোশাক পরেন। তিনি জানান, এ ধরনের জামাকাপড় খুব আরামদায়ক কিন্তু একটি তুষারঝড় বা প্রচণ্ড ঠান্ডায় রাতে টিকে থাকার মতো উষ্ণতা দেয় না।
পূর্বে, এটি অনুমান করা হয়েছিল যে এই জুটি এভারেস্ট জয় করে নেমে যাওয়ার পথে মারা গিয়েছিলেন। একে হয়ল্যান্ড ‘অতিরিক্ত আশা’ হিসেবেই দেখছেন।
‘বছরের পর বছর ধরে ম্যালরি এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছেছিলেন এটা প্রমাণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছি আমি। প্রমাণ করতে চেয়েছিলাম ১৫তম নয় ১৬তম ব্রিটিশ হিসেবে আমি এভারেস্টের চূড়ায় আরোহণ করেছি। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে বাস্তবতা ভিন্ন। আপনাকে মন বদলাতে হবে। একটা উইশফুল থিংকিং আঁকড়ে ধরে থাকতে পারেন না আপনি।’ বলেন তিনি।
হয়ল্যান্ডের আগে কেউ আবহাওয়ার প্রতিবেদন অতটা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করেননি। লন্ডনের রয়্যাল জিওগ্রাফিক সোসাইটিতে আছে এগুলো।
শেষ পর্যন্ত পর্বতটিতে আরোহণ করেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিক এডমন্ড হিলারি এবং নেপালের শেরপা তেনজিং নোরগে, ১৯৫৩ সালে। এটিই প্রথম নথিভুক্ত এভারেস্ট জয়।
১৯৩৩ সালে পার্সি উইন–হ্যারিস নামের এক পর্বতারোহী চূড়ার কাছে একটা কুঠার খুঁজে পান। অনুমান করা হয় এটি আরভিনের। ১৯৩৬ সালে ফ্রাঙ্ক স্মিথ নামের এক পর্বতারোহীর মনে হয় দূরে দুটি শরীর দেখতে পেয়েছেন তিনি। একটি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তিনি এটি দেখতে পান ৮ হাজার ১০০ মিটার বা ২৬ হাজার ৫৭৫ ফুটের আশপাশে।
চীনা পর্বতারোহী ওয়াং হোংবাও ১৯৭৫ সালের অভিযানের সময় একটি শরীর দেখার কথা বলেন।
অবশেষে, ১৯৯৯ সালে হয়ল্যান্ডের পিড়াপিড়িতে হওয়া একটি অভিযানে ২৬ হাজার ৭০০ ফুট উচ্চতায় খুঁজে পাওয়া যায় ম্যালরির মৃতদেহ। যা ছিল চূড়া থেকে ২ হাজার ৩৩৫ ফুট নিচে। আমেরিকান পর্বতারোহী কনরাড অ্যাঙ্কার পর্বতের উত্তর ঢালে বরফে জমে যাওয়া এবং অক্ষতভাবে সংরক্ষিত এক মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। যেখানে কুঠারটি পাওয়া গিয়েছিল এর কয়েক শ মিটার নিচে পাওয়া যায় মৃতদেহটি।
মৃতদেহটির পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায় কলারের একটি ট্যাগ দেখে। সেখানে লেখা ছিল— জি ম্যালরি। কোমরে দড়ির শক্ত দাগ পাওয়া যায় মৃতদেহটির। এতে বোঝা যায় আছড়ে পড়ার আগে দড়িতে বেঁধে আরভিনের সঙ্গে আটকানো ছিল তাঁর শরীর। মাথায়ও একটা গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। ম্যালরির সঙ্গে কিছু খুঁটিনাটি জিনিসও মেলে।
এগুলোর মধ্যে ছিল একটি আল্টিমিটার, একটি চিরকুট ও পর্বতারোহণের সরঞ্জামের একটি রসিদ। ম্যালরির পকেটে ছিল একজোড়া চশমা। যা থেকে বোঝা যায় যে, তিনি অন্ধকারে ছিলেন বা কম দেখছিলেন।
তবে এমন কয়েকটি সূত্র পাওয়া গেল, যেটা তাঁরা সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন কিনা, সে বিষয়টির আগাগোড়া রহস্যের জালে আটকে দিল।
ম্যালরির সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর একটি ছবি ছিল। প্রতিজ্ঞা করেছিলেন ছবিটা চূড়ায় রেখে আসবেন। কিন্তু ওই ছবিটা খুঁজে পাওয়া গেল না। দুই অভিযাত্রী একটি ক্যামেরা নিয়েছিলেন সঙ্গে। ওটারও খোঁজ মেলেনি।
অথচ এভারেস্টের নেশা পেয়ে না বসলে ম্যালরির জীবনটা অন্যরকমও হতে পারে। ওয়েস্ট কিরবি এবং এস্টাবর্নের বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেন ম্যালরি। তারপর উইনচেস্টার কলেজে গণিতে বৃত্তি পান। এখানেই পর্বত আরোহণের নেশা মাথায় চেপে বসে, সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন নিয়তির দিকে।
ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেন ম্যালরি। সেখানেই শিক্ষকতা করেন কিছুদিন। একই সঙ্গে পর্বতারোহণে আরও শাণিত করে তুলতে থাকেন নিজেকে। তারপর ব্রিটিশ সেনাদলে নাম লেখান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেন। যুদ্ধের পরই মাউন্ট এভারেস্ট পেয়ে বসল তাঁকে। জীবনের বাকি সময় পর্বতটা মোহাবিষ্ট করে রাখল ম্যালরিকে।
১৯২১ সাল। নেপাল–তিব্বত সীমান্তে পর্বতটির চূড়ায় পৌঁছার একটি পথের খোঁজে প্রথম ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলে নাম লেখান জর্জ ম্যালরি। দলনেতা ছিলেন চার্লস হাওয়ার্ড বারি। আগে কখনো হিমালয় অভিযানে যাননি ম্যালরি। কিন্তু কী আশ্চর্য! অভিযান শুরুর পর দেখা গেল অলিখিতভাবে গোটা দলের নেতৃত্বভার নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। পর্বত এলাকাটির বহু কাঙ্ক্ষিত একটি মানচিত্রও তৈরি করা হলো এই অভিযানেই। ১৯২২ সালের অভিযানেও ছিলেন তিনি, যেটিকে বিবেচনা করা হয় এভারেস্ট জয়ের প্রথম সত্যিকারের প্রচেষ্টা হিসেবে।
১৯২৪ সালে তৃতীয়বারের মতো এভারেস্ট রোমাঞ্চে শামিল হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ম্যালরি। অভিযান শুরুর আগে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, মানুষ কেন এভারেস্ট জয়ের চেষ্টা করে? তাঁর ছোট্ট উত্তর ছিল, ‘কারণ ওটা ওখানে আছে।’ যা, পর্বতারোহণের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় উক্তিতে পরিণত হয় কালক্রমে।
তবে ম্যালরির জানা ছিল না, এটাই তাঁর শেষ এভারেস্টযাত্রা। আর কখনো দেখা হবে না প্রিয়তমা স্ত্রী কিংবা আদরের সন্তানদের সঙ্গে। জুনের সেই বিখ্যাত অভিযানের সময় তাঁর বয়স ছিল ৩৭।
হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন, এ জুটি আরোহণ বাতিল করে বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় পড়ে যান। তাঁর ধারণা, ম্যালরি প্রাথমিক পতন থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন, কিন্তু বেস ক্যাম্পে ফিরে যাওয়ার সময় আরেকটি মারাত্মক ধস বা পতনে মারা যান। আরভিনের লাশ আর কখনোই পাওয়া যায়নি।
গবেষকেরা বহু বছর ধরেই দাবি করে আসছেন যে, আরও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ও ছবির অভাব থেকে বোঝা যায় যে, এই জুটি শিখরে পৌঁছেছিলেন এবং ফিরে আসার সময় পড়ে গিয়েছিলেন।
যাই হোক, নতুন প্রমাণ পর্যালোচনা করে হয়ল্যান্ড বিশ্বাস করেন— বিষয়টি এমন নয়।
অভিযানের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে বেলা ২টায় পর্বতটিতে তুষারঝড় আঘাত হানে। তাঁরা চূড়ায় পৌঁছানোর অনেক আগেই এটা হয় বলে জানান হয়ল্যান্ড। ছবির অভাব, তিনি মনে করেন কিছুই প্রমাণ করে না। ম্যালরির ভুলে যাওয়ার বাতিক ছিল বলেও জানান তিনি।
স্ত্রীকে লেখা তাঁর শেষ চিঠিতে ম্যালরি লিখেছিলেন, ‘একটি তাঁবুর দরজা থেকে তুষার এবং অদৃশ্য হয়ে যাওয়া একটা আশার দিকে তাকিয়ে আছি’ এবং এটিকে ‘খুব খারাপ একটি সময়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁর এবং আরভিন দুজনেরই শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল না এবং তিনি লিখেছেন যে, ‘আমি যথেষ্ট ফিট হতে পারব কিনা তা নিয়ে সন্দেহে আছি।’
হয়ল্যান্ড বলেন, এভারেস্ট মানুষকে পাগল করে তোলে। ম্যালরি এভারেস্ট জয় করার আকাঙ্ক্ষায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন।
‘সামিট ফিভার’ বা ‘চূড়া জ্বর’ নামে বিপজ্জনক একটি জিনিস আছে, আপনি চূড়াটি দেখেন এবং আপনি ভাবেন ‘ঠিক আছে, হয় মৃত্যু না হয় খ্যাতি। প্রাণ হারানোর চিন্তাও আপনাকে দমাতে পারে না।’
‘অনুভূতি আমি বুঝি, আপনি সম্পূর্ণরূপে পর্বত দ্বারা আচ্ছন্ন হয়ে পড়বেন। ম্যালরি এভারেস্টে মোহিত হয়ে পড়েছিলেন এবং এটি তাঁর মৃত্যু ডেকে আনে।’ বলেন হায়ল্যান্ড।
তবে ম্যালরি যেমন এভারেস্টে আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যুকে বরণ করে নেন তেমনি মানুষ আজও মোহিত ম্যালরিতে। আজও পর্বতারোহীরা হন্যে হয়ে খোঁজেন আরভিনের দেহ। পর্বতপ্রেমীরা বিশ্বাস করতে চান ম্যালরি-আরভিন সত্যি চূড়ায় পৌঁছেছিলেন। হায়ল্যান্ডের এই গবেষণা হয়তো তাঁদের হতাশ করবে, তবে সবাই নিঃসন্দেহ তা মানতে চাইবেন না।
সূত্র: সিএনএন, উইকিপিডিয়া

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘ইনস্টিটিউট ফর জাপান স্টাডিজ’-এর পরিচালক এক বিবৃতিতে বলেন, জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা শুধু এশিয়া নয়, পুরো বিশ্বের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করবে। তাঁর ভাষায়, ‘জাপানের পারমাণবিক হওয়ার প্রচেষ্টা মানবজাতির জন্য এক মহাবিপর্যয় বয়ে আনবে।’
যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই প্রতিক্রিয়ার পেছনে রয়েছে জাপানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তার সাম্প্রতিক মন্তব্য। জাপানের বার্তা সংস্থা কিয়োদো নিউজের খবরে বলা হয়, ওই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে বলেছেন, টোকিওর পারমাণবিক অস্ত্র রাখা উচিত।
এই প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন বা বেপরোয়া মন্তব্য নয়; বরং জাপানের বহুদিনের পারমাণবিক অস্ত্রায়নের আকাঙ্ক্ষারই প্রতিফলন।
উত্তর কোরিয়ার মতে, জাপান তাদের তথাকথিত ‘অ-পারমাণবিক নীতি’ পুনর্বিবেচনার কথা বলে কার্যত একটি ‘লাল রেখা’ অতিক্রম করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জাপানের কর্মকর্তাদের মন্তব্যগুলোই বলে দিচ্ছে, টোকিও এখন প্রকাশ্যেই পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের বাসনা জানাচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরও দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্র যখন গত অক্টোবরে দক্ষিণ কোরিয়াকে একটি পারমাণবিক সাবমেরিন নির্মাণের অনুমোদন দেয়, তার পরপরই জাপানে এই ধরনের বক্তব্য জোরালো হতে শুরু করে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিয়ংয়ের সঙ্গে বাণিজ্য ও নিরাপত্তা ইস্যুতে শীর্ষ বৈঠকের পর ওই অনুমোদন দিয়েছিলেন।
উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা সতর্ক করে বলেন—জাপান যদি পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করে, তবে এশিয়া ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। তবে তিনি পিয়ংইয়ংয়ের নিজস্ব পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
ধারণা করা হয়, উত্তর কোরিয়া নিজেই একটি ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক অস্ত্রভান্ডারের অধিকারী। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও নিরস্ত্রীকরণের আহ্বান থাকার পরও দেশটি তার পারমাণবিক সক্ষমতা বজায় রাখা ও সম্প্রসারণের ঘোষণা দিয়ে আসছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে দেওয়া ভাষণে উত্তর কোরিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম সন গিয়ং বলেন—পারমাণবিক অস্ত্র তাদের রাষ্ট্রীয় আইন, জাতীয় নীতি এবং সার্বভৌম অধিকারের অংশ, যা তারা কোনো পরিস্থিতিতেই ত্যাগ করবে না।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার ধাওয়া করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এটি সফল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করার ঘটনা ঘটবে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সপ্তাহে ভেনেজুয়েলার ওপর ‘সর্বাত্মক নৌ অবরোধ’ ঘোষণার পর থেকে এই চিরুনি অভিযান শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন কোস্ট গার্ড বর্তমানে একটি তেল ট্যাংকারকে ধাওয়া করছে। তবে অভিযানের সুনির্দিষ্ট অবস্থান বা জাহাজটির পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
এই অভিযান নিয়ে হোয়াইট হাউস বা পেন্টাগন থেকে তাৎক্ষণিক কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর কেভিন হ্যাসেট আজ জানিয়েছেন, এর আগে জব্দ করা দুটি ট্যাংকার ‘ব্ল্যাক মার্কেট’ বা কালোবাজারের মাধ্যমে বিভিন্ন নিষিদ্ধ দেশে তেল সরবরাহ করছিল।
কেভিন হ্যাসেট দাবি করেছেন, এই আটকের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রে তেলের দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই। তাঁর মতে, এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কেবল কালোবাজারি জাহাজগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে।
তবে বাজার বিশ্লেষক ও তেল ব্যবসায়ীরা ভিন্নমত পোষণ করছেন। একজন তেল ব্যবসায়ী রয়টার্সকে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ ভূরাজনৈতিক ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। আগামীকাল সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম বাড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা তেলের দামের এই ঊর্ধ্বগতিকে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর ওপর চাপ বাড়াতে ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। গত কয়েক মাসে প্রশান্ত মহাসাগর ও ক্যারিবিয়ান সাগরে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট ভেসেলগুলোর ওপর অন্তত দুই ডজন সামরিক হামলা চালানো হয়েছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, এসব সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছেন।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
ব্রাজিলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর ফোজ দো ইগুয়াসুতে দক্ষিণ আমেরিকার আঞ্চলিক জোট ‘মারকোসুর’-এর শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লুলা এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘ভেনেজুয়েলায় সশস্ত্র হস্তক্ষেপ একটি মানবিক বিপর্যয়ে রূপ নেবে। এটি এমন একটি নজির সৃষ্টি করবে, যা বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকি।’
এ বিষয়ে এক প্রতিবেদনে রোববার (২১ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উত্তেজনা সম্প্রতি আরও বেড়েছে। গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভেনেজুয়েলায় যাতায়াতকারী সব নিষেধাজ্ঞাভুক্ত তেলবাহী জাহাজের ওপর ‘অবরোধ’ আরোপের নির্দেশ দেন। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপকে নিকোলাস মাদুরো সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর নতুন কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। ভেনেজুয়েলার অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি তেল খাতকে লক্ষ্য করেই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
লুলা স্মরণ করিয়ে দেন, ফকল্যান্ডস যুদ্ধের চার দশকেরও বেশি সময় পর দক্ষিণ আমেরিকা আবারও অন্য মহাদেশীয় কোনো শক্তির সামরিক উপস্থিতির আশঙ্কায় ভুগছে। তিনি বলেন, ‘দক্ষিণ আমেরিকা আবার এমন এক ভূতের ছায়ায় পড়ছে, যেখানে এই অঞ্চলের বাইরে থেকে আসা সামরিক শক্তি আমাদের শান্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
চলতি সপ্তাহের শুরুতেই লাতিন আমেরিকার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির শীর্ষ নেতা ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা এবং মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউদিয়া শেইনবাউম ভেনেজুয়েলা পরিস্থিতিতে সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে গত শনিবারের বক্তব্যে লুলা আরও কঠোর দেখিয়েছেন।
‘মারকোসুর’ সম্মেলন শেষে দেওয়া এক যৌথ ঘোষণায় লাতিন আমেরিকার নেতারা ভেনেজুয়েলায় গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার রক্ষায় শান্তিপূর্ণ পথেই অগ্রসর হওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। এই ঘোষণায় আর্জেন্টিনা, প্যারাগুয়ে ও পানামার প্রেসিডেন্টদের পাশাপাশি বলিভিয়া, ইকুয়েডর ও পেরুর শীর্ষ কর্মকর্তারাও সমর্থন জানান।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার হবে নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

ভারতেও ট্রেনের ভাড়া বাড়ছে। পকেটে টান পড়তে যাচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। ২৬ ডিসেম্বর থেকে ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। তবে স্বস্তির খবর হলো, লোকাল ট্রেনের ভাড়া অপরিবর্তিত থাকছে। মূলত দূরপাল্লার যাত্রীদের জন্যই এই বাড়তি ভাড়া কার্যকর হবে।
ভারতের রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ঘোষণা অনুযায়ী, ভ্রমণের দূরত্ব ও কোচের ধরনভেদে নতুন ভাড়ার হার নির্ধারিত হবে। ২১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারণ শ্রেণিতে ভাড়ায় কোনো পরিবর্তন নেই। তবে ২১৫ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে এক পয়সা করে ভাড়া বাড়বে।
মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেনের (নন-এসি) যাত্রীদের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া বাড়বে দুই পয়সা। এসি কোচ বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচের ক্ষেত্রেও কিলোমিটার প্রতি দুই পয়সা ভাড়া বাড়ানো হয়েছে।
তবে যদি কোনো যাত্রী নন-এসি কোচে ৫০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেন, নতুন নিয়ম অনুযায়ী তাঁকে আগের চেয়ে ১০ রুপি বেশি ভাড়া দিতে হবে।
কেন এই ভাড়া বৃদ্ধি
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত এক দশকে রেলপথ সম্প্রসারণের ফলে জনবল এবং অন্যান্য ব্যয় বহুগুণ বেড়েছে। রেলওয়ের বর্তমান জনবল ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার কোটি রুপিতে এবং পেনশনের পেছনে খরচ হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি রুপি। সব মিলিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট পরিচালনা ব্যয় বেড়ে হয়েছে ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি রুপি।
যাত্রীদের ভাড়া ও পণ্য পরিবহনের মাধ্যমে খরচ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে রেলওয়ে। এর আগে গত জুলাই মাসেও ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল (নন-এসিতে এক পয়সা ও এসিতে দুই পয়সা)। তারও আগে ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি বড় ধরনের ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর করা হয়েছিল, যেখানে এসি কোচে ভাড়া বেড়েছিল কিলোমিটার প্রতি চার পয়সা পর্যন্ত।
রেলওয়ে কর্মকর্তাদের মতে, উন্নত সেবা এবং ক্রমবর্ধমান ব্যয় মেটাতে এই সামান্য ভাড়া বৃদ্ধি অপরিহার্য হয়ে পড়েছিল। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এই ভাড়া বৃদ্ধির ফলে রেলওয়ের বার্ষিক আয় প্রায় ৬০০ কোটি রুপি বাড়বে।

১৯৯৯ সালে ম্যালরির মৃতদেহের যখন খোঁজ মেলে পর্বতারোহী ও পাহাড়প্রেমীদের আশার পারদ চূড়ায় গিয়ে ঠেকে। ম্যালরি-আরভিন সত্যি এভারেস্ট জয় করেছেন কিনা তার কোনো সূত্র নিশ্চয় এবার মিলবে! কিন্তু সিদ্ধান্তে পৌঁছার মতো কোনো প্রমাণই মেলেনি। তবে এই দুই পর্বতারোহী নিখোঁজের ১০০তম বার্ষিকীর দিন যখন ঘনিয়ে আসছে একজন গবেষ
২০ মে ২০২৪
জাপানের পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের যে কোনো প্রচেষ্টা কঠোরভাবে প্রতিহত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ রোববার (২১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জাপানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো মূল্যে রোধ করা উচিত, কারণ এটি মানবজাতির জন্য ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলা উপকূলে আন্তর্জাতিক জলসীমায় আরও একটি তেলের ট্যাংকার জব্দ করছে মার্কিন কোস্ট গার্ড। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) তিনজন মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এ নিয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে ভেনেজুয়েলাসংশ্লিষ্ট তিনটি তেলবাহী জাহাজ জব্দ করল ট্রাম্প প্রশাসন।
৭ ঘণ্টা আগে
ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান চাপ ও সম্ভাব্য সামরিক পদক্ষেপ ‘ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়’ ডেকে আনবে বলে সতর্ক করেছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা। তিনি মত দিয়েছেন, ভেনেজুয়েলায় কোনো ধরনের সশস্ত্র হস্তক্ষেপ শুধু ওই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো পৃথিবীর জন্যই এক বিপজ্জনক...
১০ ঘণ্টা আগে