ইশতিয়াক হাসান

১৯৫৩ সালের ২৯ মে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন স্যার এডমন্ড হিলারি ও শেরপা তেনজিং নোরগে। তবে নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
২০০৮ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন স্যার এডমন্ড হিলারি।
ছিলেন মৌচাষি
১৯১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জন্ম এডমন্ড হিলারির। সেখানেই বেড়ে ওঠেন। নিউজিল্যান্ডেই পর্বতারোহণে আগ্রহের শুরু তাঁর। পেশা মৌচাষ হলেও নিউজিল্যান্ডের পর্বতগুলোয় চড়তে শুরু করেন। পরে আল্পস এবং একপর্যায়ে হিমালয়ের একের পর এক চূড়া জয় করতে থাকেন। সেখানে ২০ হাজার ফুট উঁচু ১১টি চূড়ায় ওঠেন তিনি। তত দিনে এভারেস্টের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হিলারি। তবে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না।
১৯২০ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে তিব্বত ও নেপালে অবস্থিত পর্বতটিকে জয় করার ৭টি বড় অভিযান ব্যর্থ হয়। ১৯৫২ সালে সুইস পর্বতারোহীদের একটি দল চূড়া থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে থাকা অবস্থায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৫১ ও ১৯৫২ সালে এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতিমূলক দুটি অভিযানে অংশ নেন হিলারি। এটাই ব্রিটিশ অভিযাত্রী স্যার জন হান্টের নজরে আনে তাঁকে। গ্রেট ব্রিটেনের আলপাইন ক্লাবের জয়েন্ট হিমালয়ান কমিটি ও রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ১৯৫৩ সালের এভারেস্ট অভিযানের দলনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন হান্ট।
সর্বোচ্চ চূড়ায়
১৯৫৩ সালের ২৯ মে। এটাই সেই দিন। গত কয়েকটি বছর এর জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁবু থেকে বের হয়ে আসা দুজন মানুষ আধবোজা চোখে তাকালেন। সকালের সোনারোদে বরফে আবৃত চূড়াটি জ্বল জ্বল করছে। পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের পাঁচ মাইলেরও বেশি উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। একটু আগেই ষাট মাইলের বেশি গতিতে আঘাত হানছিল কনকনে হাওয়া। এখন প্রকৃতি অনেকটাই শান্ত। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডা শরীরের হাড়-মাংসে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে এভারেস্টের পা রাখার আশা করছেন।
তবে এভারেস্টের এই উচ্চতায় পৌঁছার পথটা সহজ ছিল না। বেশ কয়েকবারই ভয়ানক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে দুজনকে। একবার তো হিলারি মরতেই বসেছিলেন।
এক মাস আগের কথা সেটা। রশি ধরে এগোনোর সময় একটি বরফধস আবিষ্কার করেন তাঁরা। সামনে থাকা হিলারি একটি বরফের ফাটলের ওপর দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হলেন।
ফাটলটা এত বড় যে হেঁটে অতিক্রম করা অসম্ভব। হিলারি বরফের একটা বড়সড় চাঙর ফাটলের ওপর বসিয়ে দিলেন। কিন্তু বরফের চাঁইটায় পা দিতেই ভেঙে পড়ল। টুকরোটাসহ ফাটলের ভেতর গড়িয়ে পড়লেন হিলারি। নিচে পড়ার সময় শরীরটাকে বাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। এটা বরফের ফাটলের মাঝখানে আটকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল এডমন্ড হিলারিকে।
সঙ্গীকে পড়ে যেতে দেখেও মাথা ঠান্ডা রাখলেন তেনজিং। কুঠারটাকে বরফের ভেতর গেঁথে, দড়িটা পেঁচিয়ে ফেললেন এতে। এক মুহূর্ত পরেই রশিটায় টান পড়ল। কোমরে প্যাঁচানো দড়িতে টান পড়ায় থামল হিলারির পতন। বরফের দুই দেয়ালের মাঝে শূন্যে ঘুরপাক খেতে লাগলেন। বরফের চাঙরটা ফাটলের নিচে পড়ে প্রচণ্ড শব্দে বিধ্বস্ত হলো। তেনজিং তৎপর না হলে হিলারির অবস্থাও হতো ওই বরফের টুকরোটার মতোই!

সামনে বিপদ
দুজনে ভিন্ন দুই পৃথিবীর বাসিন্দা। এডমন্ড হিলারি মৌচাষ করতেন। তেনজিং একজন শেরপা। নেপালের হিমালয় অঞ্চলে বাস করে শেরপা জাতির লোকেরা। পর্বতের গাইড হিসেবে এঁদের জুড়ি মেলা ভার। একটি বিষয়ে দুজনের বড় মিল, পর্বতারোহণের নেশা। আর আছে, চূড়ায় পৌঁছার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি। একজনের ক্ষমতার প্রতি অপরজনের আস্থাও অবিচল।
তিন দিন আগেই চূড়ায় উঠতে ব্যর্থ তিন পর্বতারোহী ফিরে এসেছেন। বিপর্যস্ত তিন অভিযাত্রী হিলারি-তেনজিংকে সতর্ক করে দিয়েছেন সামনের বিপজ্জনক পথ সম্পর্কে। তবে এত সব বিপদের চোখ রাঙানি অগ্রাহ্য করে যাত্রা অব্যাহত রাখলেন দুজনে।
২৯ মে। সকাল ৬টা ৩০ মিনিট। হিলারি তেনজিং নোরগেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সব ঠিক আছে তো?’ সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পেলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে।’ আর মাত্র ১ হাজার ১০০ ফুট, তারপরই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন তাঁরা।
ভয়ংকর পথ
হিমালয়ের সবচেয়ে উঁচু এই পর্বত জয়ের অভিযানের শুরু মার্চের ১০ তারিখ। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল স্যার জন হান্ট ১৪ অভিযাত্রী, ৩৬ শেরপা এবং মালামাল বহন করা ৩৬০ জন কুলির দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
হিলারি, তেনজিংসহ দলের বাকি সদস্যরা নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা গাছপালায় ঠাসা বর্ণিল পাহাড়ি এলাকা ধরে এগোলেন। দুপাশে ছোট ছোট খামার-বাড়ি মুগ্ধ করছে অভিযাত্রীদের। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভূ-প্রকৃতি বদলাতে লাগল। তারপরই খাড়া, দুরারোহ পর্বত সারি হঠাৎই প্রমত্ত একটা নদীকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।
নদী পেরোতে পাথর ও বাঁশ দিয়ে দুর্বল, নড়বড়ে একটা সেতু তৈরি করে নিতে হলো। প্রবল বৃষ্টি এবং গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে হাজির হওয়া ভিমরুলের ঝাঁক চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল।
পুব দিকে বেশ কিছুটা পথ এগোল দলটা। এ সময়ই দেখা দিল এভারেস্ট। পর্বতারোহীদের মনে হলো, আকাশের গায়ে ঝুলে আছে ওটা। ১২ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বেজ ক্যাম্প স্থাপন করলেন তাঁরা। এখান থেকে পর্বতের ওপরের দিকে উঠবেন তাঁরা।
বরফ কেটে ওপরের দিকে যেতে হবে। তাই বেজ ক্যাম্পে কয়েক সপ্তাহ যাত্রাবিরতি করতে হলো দলটিকে। এরই মধ্যে একদিন হিলারির নেতৃত্বে ছোট্ট একটি দল খুমবু হিমবাহে অভিযান চালাল।
‘মানুষের দেখা সবচেয়ে বীভৎস ও নিষিদ্ধ দৃশ্যগুলোর একটি’—খুমবু হিমবাহকে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিখ্যাত পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি। পরে এই এলাকাতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সে যাক, একপর্যায়ে সঙ্গীসহ হিলারি বরফের বড় একটা মাঠের সামনে চলে এলেন। এখানে প্রচণ্ড বিক্ষিপ্ত ও ওলটপালটভাবে হিমবাহ বা বরফের চাঙরের ধস নেমে আসছে। আশপাশের বরফঢাকা জমিতে একটু পরপরই ফাটল তৈরি হচ্ছে। যেকোনো সময় পায়ের নিচের বরফ ফাঁক হয়ে অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এই ভয়ানক বিপৎসংকুল এলাকার মধ্য দিয়ে পথ করে এগোলেন হিলারি। তাঁকে অনুসরণ করল অন্যরা।
এই বিক্ষুব্ধ বরফ রাজ্যে একটা পথ খুঁজে বের করলেন হিলারি। ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় ঘাঁটি গাড়লেন সবাই। এই পথ ধরে চলার সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মতো শব্দে অনবরত বরফের চাই স্থান বদলাচ্ছে, এমন একটি জায়গার নাম হলো, ‘অ্যাটম বম্ব’। এই সেই জায়গা যেখানে বরফের ফাটলের মধ্যে পড়ে হিলারির অভিযান এবং জীবন দুটোই সাঙ্গ হতে বসেছিল।
চূড়ান্ত যাত্রা
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এভারেস্ট জয়ের চূড়ান্ত চেষ্টায় অংশ নিতে পারেন কেবল দলটির স্যার এডমন্ড হিলারি এবং নেপালি শেরপা তেনজিং নোরগে। হিলারি এবং তেনজিং চূড়ায় পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করলেন। আগের মতোই কোমরে বাঁধা দড়ি তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। তেনজিং এবার সামনে, হিলারি পেছনে। খুব সরু, কেবল কয়েক ফুট চওড়া একটি শৈলশিরা ধরে ওপরে উঠছেন দুই পর্বতারোহী। নরম তুষার এই চলাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। একপর্যায়ে সামনে এগোনো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।
এক সময় নরম তুষারের রাজ্য শেষ হলো। এর জায়গা নিল তুলনামূলক শক্ত বরফ। বরফে পা ফেলে একটু নিশ্চিন্তে এগোতে পারছেন দুজনে। তবে সতর্কতায় ঢিল দেননি। তাঁদের ডানে বরফের মোচড়ানো কার্নিশ, পাশ থেকেই পর্বতের কিনারা খাড়া নেমে গেছে ৮ হাজার ফুট। বামে সংকীর্ণ পাথুরে তাক।
মৃত্যু এলাকা
দুজনেই গায়ে চাপিয়েছেন আট প্রস্থ পোশাক, হাতে দস্তানা। পিঠে ৪০ পাউন্ডের অক্সিজেন ট্যাংক। উচ্চতার কারণে বাতাস এখানে অনেক হালকা। মানে এখানে অক্সিজেনের ঘাটতি আছে। কিন্তু পর্বতারোহীদের বেঁচে থাকার জন্য বাড়তি অক্সিজেন দরকার, অন্তত ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। অনেকে এই উচ্চতাকে এভারেস্টের ডেথ জোনের শুরু বলে উল্লেখ করেন।
বরফ ভেঙে এগোনোর সময় হিলারির নিশ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেনের নলের ভেতর বরফ জমতে শুরু করেছে যে। একটু পরপরই নল পরিষ্কার করছেন দুজনেই।
অনেকটা যন্ত্রের মতো এগিয়ে চলেছেন। শুধু জানেন, যেভাবে হোক চূড়ায় পৌঁছাতে হবে। পরে হিলারি অকপটে বলেছিলেন, ‘আমরা কল্পনাও করতে পারছিলাম না, কোনো মানুষের পক্ষে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।’
বড় বাধা
দুই অভিযাত্রী এক সময় চল্লিশ ফুট উঁচু একটা পাথরের দেয়ালের সামনে চলে এলেন। হিলারি জুতার স্পাইক ব্যবহার করে পাথরের দেয়াল এবং একটা তাকের মাঝখান দিয়ে উঠতে শুরু করলেন। দেয়ালের ওপর পৌঁছে তেনজিংকে দড়ি ধরে টেনে ওপরে তুললেন। আবার শুরু হলো বরফ ভেঙে পাহাড়ের ওপর ওঠা।
একেবারে ওপরে
কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেল। চলার গতি ধীর হয়ে এসেছে। ধৈর্যের শেষ সীমায় যেন পৌঁছে গেছেন তাঁরা। তবে ঢাল বেয়ে শেষ অংশটা পেরিয়ে হঠাৎই পৌঁছে গেলেন একেবারে ওপরে, শিখরে। তাঁরা এখন এভারেস্টের চূড়ায় (২৯,০৩৫ ফুট)।
দুজন মানুষ পরস্পরকে আলিঙ্গন করলেন, একে অপরের হাত ধরে ঝাঁকাতে লাগলেন পাগলের মতো। প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে গেলে হিলারি কিছু ছবি তুললেন। তেনজিং শেরপাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এখানে বাস করা দেবতাদের জন্য বরফ খুঁড়ে কিছু চকলেট এবং বিস্কুট রাখলেন। এগুলো তাঁদের জন্য উপহার।
পনেরো মিনিট পর এভারেস্টের চূড়ার মনোমুগ্ধকর, রাজকীয় দৃশ্যকে বিদায় জানিয়ে নিচে নামতে শুরু করলেন দুজনে। তখনো বিশ্বাস হচ্ছে না এমন এক জায়গায় গিয়েছেন, যেখানে তাঁদের আগে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এমন দৃশ্য দেখেছেন, যা আগে কেউ দেখেনি।
এভারেস্ট জয়ের পর
কাকতালীয়ভাবে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আরোহণ অনুষ্ঠানের কাছাকাছি সময়ে ব্রিটিশদের কাছে এভারেস্ট জয়ের ঘোষণা এল। ব্রিটিশদের নেতৃত্বে ও আয়োজনে একটি অভিযানে এভারেস্টজয়, সেই সঙ্গে তরুণী রানির অভিষেক, সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন যুদ্ধ এবং পরবর্তী মন্দায় জর্জরিত জাতি যেন হঠাৎ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। অন্য পর্বতারোহীদের সঙ্গে ব্রিটেনে পৌঁছতেই রানি নাইট উপাধিতে ভূষিত করলেন এডমন্ড হিলারিকে।
এভারেস্টজয় রাতারাতি বিশ্বজুড়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিল হিলারিকে। ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ মেরু অভিযানে গেলেন হিলারি। জয় করলেন উত্তর মেরুও। আরও বিভিন্ন পর্বত অভিযানে নেতৃত্ব দিলেও যত দিন গড়াতে লাগল নেপালের সাধারণ মানুষের কল্যাণে বেশি করে মনোযোগী হয়ে উঠলেন তিনি।
নেপালের মানুষদের জন্য
ষাটের দশকে নেপালে বেশ কিছু ক্লিনিক, হাসপাতালের পাশাপাশি ১৭টি বিদ্যালয় স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখলেন হিলারি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিমালয়ান ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজটি করেন তিনি।
এ সময় এ উন্নয়নকাজগুলো সহজে করার জন্য দুটি এয়ারস্ট্রিপ স্থাপন করা হয়। এর ফলাফল হিসেবে নেপালের প্রত্যন্ত এলাকায় পর্যটক ও পর্বতারোহণে আগ্রহীদের চাপ গেল অপ্রত্যাশিতরকম বেড়ে। পর্বতারোহীদের জ্বালানির জোগান দিতে গিয়ে নির্বিচারে জঙ্গলের গাছ কাটতে শুরু করল নেপালিরা। বিষয়টি নজর এড়ালো না স্যার এডমন্ড হিলারির। তিনি নেপাল সরকারকে চাপ দিলেন জঙ্গল রক্ষায় আইন পাশ ও এভারেস্টের আশপাশের এলাকাকে ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যান ঘোষণার জন্য। নেপালিদের এই প্রক্রিয়ার পুরো খরচ জোগান দেওয়া যেমন সম্ভব ছিল না তেমনি উদ্যান ব্যবস্থাপনায় কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁদের। আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন হিলারি, নিজের জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ড সরকারকে রাজি করালেন এ বিষয়ে সব ধরনের সাহায্য করতে।
হিলারির বই
এদিকে সফল এভারেস্ট অভিযানের পর হিলারি ও স্যার জন হান্ট অভিযান নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে বন্দী করলেন দুই মলাটের মধ্যে, দ্য অ্যাসসেন্ট অব এভারেস্ট নামে। বইটি ইংল্যান্ডে এ নামে প্রকাশিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ পেল দ্য কনকোয়েস্ট অব এভারেস্ট নামে। স্যার এডমন্ড হিলারির আত্মজীবনী নাথিং ভেনচার, নাথিং উইন বের হয় ১৯৭৫ সালে।
১৯৭৭ সালে হিমালয়ে গঙ্গা নদীর উৎস পর্যন্ত এক অভিযান চালান হিলারি। এই অভিযান নিয়ে তাঁর বই ফ্রম দ্য ওশান টু দ্য স্কাই প্রকাশ পায় ১৯৭৯ সালে।
চিরবিদায়
তবে এর মধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে বড় বিপর্যয় নেমে আসে হিলারির। ১৯৭৫ সালে তাঁর স্ত্রী লুইজি এবং মেয়ে বেলিন্দা নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। ফাফলু গ্রামে হিলারির সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন তাঁরা। সেখানে হাসপাতাল তৈরি কাজ করছিলেন হিলারি। জীবনের বাকিটা সময় নেপালি জনসাধারণের উপকারে বিভিন্ন কাজ ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যান হিলারি। টাইম ম্যাগাজিন বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ মানুষের মধ্যে একজন হিসেবে তাঁকে নির্বাচিত করে। দেশের, নেপালের ও সারা পৃথিবীতে তাঁর ভক্তদের শোকে স্তব্ধ করে দিয়ে নিউজিল্যান্ডে নিজ বাড়িতে ২০০৮ সালের এই দিনে মানে জানুয়ারির ১১ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন স্যার এডমন্ড হিলারি।
তথ্যসূত্র:
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন, এচিভমেন্ট ডট অর্গ, উইকিপিডিয়া

১৯৫৩ সালের ২৯ মে প্রথম মানুষ হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ চূড়া মাউন্ট এভারেস্ট জয় করেন স্যার এডমন্ড হিলারি ও শেরপা তেনজিং নোরগে। তবে নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
২০০৮ সালের এই দিনে অর্থাৎ ১১ জানুয়ারি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন স্যার এডমন্ড হিলারি।
ছিলেন মৌচাষি
১৯১৯ সালে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে জন্ম এডমন্ড হিলারির। সেখানেই বেড়ে ওঠেন। নিউজিল্যান্ডেই পর্বতারোহণে আগ্রহের শুরু তাঁর। পেশা মৌচাষ হলেও নিউজিল্যান্ডের পর্বতগুলোয় চড়তে শুরু করেন। পরে আল্পস এবং একপর্যায়ে হিমালয়ের একের পর এক চূড়া জয় করতে থাকেন। সেখানে ২০ হাজার ফুট উঁচু ১১টি চূড়ায় ওঠেন তিনি। তত দিনে এভারেস্টের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হিলারি। তবে কাজটা মোটেই সহজ ছিল না।
১৯২০ থেকে ১৯৫২ সালের মধ্যে তিব্বত ও নেপালে অবস্থিত পর্বতটিকে জয় করার ৭টি বড় অভিযান ব্যর্থ হয়। ১৯৫২ সালে সুইস পর্বতারোহীদের একটি দল চূড়া থেকে মাত্র ১ হাজার ফুট দূরে থাকা অবস্থায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়। ১৯৫১ ও ১৯৫২ সালে এভারেস্ট অভিযানের প্রস্তুতিমূলক দুটি অভিযানে অংশ নেন হিলারি। এটাই ব্রিটিশ অভিযাত্রী স্যার জন হান্টের নজরে আনে তাঁকে। গ্রেট ব্রিটেনের আলপাইন ক্লাবের জয়েন্ট হিমালয়ান কমিটি ও রয়েল জিওগ্রাফিক সোসাইটির ১৯৫৩ সালের এভারেস্ট অভিযানের দলনেতা নির্বাচিত হয়েছিলেন হান্ট।
সর্বোচ্চ চূড়ায়
১৯৫৩ সালের ২৯ মে। এটাই সেই দিন। গত কয়েকটি বছর এর জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তাঁবু থেকে বের হয়ে আসা দুজন মানুষ আধবোজা চোখে তাকালেন। সকালের সোনারোদে বরফে আবৃত চূড়াটি জ্বল জ্বল করছে। পৃথিবীর উচ্চতম পর্বত মাউন্ট এভারেস্টের পাঁচ মাইলেরও বেশি উচ্চতায় দাঁড়িয়ে আছেন তাঁরা। একটু আগেই ষাট মাইলের বেশি গতিতে আঘাত হানছিল কনকনে হাওয়া। এখন প্রকৃতি অনেকটাই শান্ত। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডা শরীরের হাড়-মাংসে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। এডমন্ড হিলারি এবং তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে এভারেস্টের পা রাখার আশা করছেন।
তবে এভারেস্টের এই উচ্চতায় পৌঁছার পথটা সহজ ছিল না। বেশ কয়েকবারই ভয়ানক বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে দুজনকে। একবার তো হিলারি মরতেই বসেছিলেন।
এক মাস আগের কথা সেটা। রশি ধরে এগোনোর সময় একটি বরফধস আবিষ্কার করেন তাঁরা। সামনে থাকা হিলারি একটি বরফের ফাটলের ওপর দাঁড়িয়ে পড়তে বাধ্য হলেন।
ফাটলটা এত বড় যে হেঁটে অতিক্রম করা অসম্ভব। হিলারি বরফের একটা বড়সড় চাঙর ফাটলের ওপর বসিয়ে দিলেন। কিন্তু বরফের চাঁইটায় পা দিতেই ভেঙে পড়ল। টুকরোটাসহ ফাটলের ভেতর গড়িয়ে পড়লেন হিলারি। নিচে পড়ার সময় শরীরটাকে বাঁকিয়ে ফেলেন তিনি। এটা বরফের ফাটলের মাঝখানে আটকে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে দিল এডমন্ড হিলারিকে।
সঙ্গীকে পড়ে যেতে দেখেও মাথা ঠান্ডা রাখলেন তেনজিং। কুঠারটাকে বরফের ভেতর গেঁথে, দড়িটা পেঁচিয়ে ফেললেন এতে। এক মুহূর্ত পরেই রশিটায় টান পড়ল। কোমরে প্যাঁচানো দড়িতে টান পড়ায় থামল হিলারির পতন। বরফের দুই দেয়ালের মাঝে শূন্যে ঘুরপাক খেতে লাগলেন। বরফের চাঙরটা ফাটলের নিচে পড়ে প্রচণ্ড শব্দে বিধ্বস্ত হলো। তেনজিং তৎপর না হলে হিলারির অবস্থাও হতো ওই বরফের টুকরোটার মতোই!

সামনে বিপদ
দুজনে ভিন্ন দুই পৃথিবীর বাসিন্দা। এডমন্ড হিলারি মৌচাষ করতেন। তেনজিং একজন শেরপা। নেপালের হিমালয় অঞ্চলে বাস করে শেরপা জাতির লোকেরা। পর্বতের গাইড হিসেবে এঁদের জুড়ি মেলা ভার। একটি বিষয়ে দুজনের বড় মিল, পর্বতারোহণের নেশা। আর আছে, চূড়ায় পৌঁছার জন্য প্রয়োজন দক্ষতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি। একজনের ক্ষমতার প্রতি অপরজনের আস্থাও অবিচল।
তিন দিন আগেই চূড়ায় উঠতে ব্যর্থ তিন পর্বতারোহী ফিরে এসেছেন। বিপর্যস্ত তিন অভিযাত্রী হিলারি-তেনজিংকে সতর্ক করে দিয়েছেন সামনের বিপজ্জনক পথ সম্পর্কে। তবে এত সব বিপদের চোখ রাঙানি অগ্রাহ্য করে যাত্রা অব্যাহত রাখলেন দুজনে।
২৯ মে। সকাল ৬টা ৩০ মিনিট। হিলারি তেনজিং নোরগেকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘সব ঠিক আছে তো?’ সঙ্গে সঙ্গে উত্তর পেলেন, ‘হ্যাঁ, ঠিক আছে।’ আর মাত্র ১ হাজার ১০০ ফুট, তারপরই ইতিহাসের অংশ হয়ে যাবেন তাঁরা।
ভয়ংকর পথ
হিমালয়ের সবচেয়ে উঁচু এই পর্বত জয়ের অভিযানের শুরু মার্চের ১০ তারিখ। ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল স্যার জন হান্ট ১৪ অভিযাত্রী, ৩৬ শেরপা এবং মালামাল বহন করা ৩৬০ জন কুলির দলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন।
হিলারি, তেনজিংসহ দলের বাকি সদস্যরা নেপালের কাঠমাণ্ডু থেকে যাত্রা শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা গাছপালায় ঠাসা বর্ণিল পাহাড়ি এলাকা ধরে এগোলেন। দুপাশে ছোট ছোট খামার-বাড়ি মুগ্ধ করছে অভিযাত্রীদের। ওপরে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে ভূ-প্রকৃতি বদলাতে লাগল। তারপরই খাড়া, দুরারোহ পর্বত সারি হঠাৎই প্রমত্ত একটা নদীকে জায়গা ছেড়ে দিয়েছে।
নদী পেরোতে পাথর ও বাঁশ দিয়ে দুর্বল, নড়বড়ে একটা সেতু তৈরি করে নিতে হলো। প্রবল বৃষ্টি এবং গোদের ওপর বিষফোড়া হয়ে হাজির হওয়া ভিমরুলের ঝাঁক চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল।
পুব দিকে বেশ কিছুটা পথ এগোল দলটা। এ সময়ই দেখা দিল এভারেস্ট। পর্বতারোহীদের মনে হলো, আকাশের গায়ে ঝুলে আছে ওটা। ১২ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় বেজ ক্যাম্প স্থাপন করলেন তাঁরা। এখান থেকে পর্বতের ওপরের দিকে উঠবেন তাঁরা।
বরফ কেটে ওপরের দিকে যেতে হবে। তাই বেজ ক্যাম্পে কয়েক সপ্তাহ যাত্রাবিরতি করতে হলো দলটিকে। এরই মধ্যে একদিন হিলারির নেতৃত্বে ছোট্ট একটি দল খুমবু হিমবাহে অভিযান চালাল।
‘মানুষের দেখা সবচেয়ে বীভৎস ও নিষিদ্ধ দৃশ্যগুলোর একটি’—খুমবু হিমবাহকে এভাবেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন বিখ্যাত পর্বতারোহী জর্জ ম্যালরি। পরে এই এলাকাতেই মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সে যাক, একপর্যায়ে সঙ্গীসহ হিলারি বরফের বড় একটা মাঠের সামনে চলে এলেন। এখানে প্রচণ্ড বিক্ষিপ্ত ও ওলটপালটভাবে হিমবাহ বা বরফের চাঙরের ধস নেমে আসছে। আশপাশের বরফঢাকা জমিতে একটু পরপরই ফাটল তৈরি হচ্ছে। যেকোনো সময় পায়ের নিচের বরফ ফাঁক হয়ে অতল গহ্বরে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এই ভয়ানক বিপৎসংকুল এলাকার মধ্য দিয়ে পথ করে এগোলেন হিলারি। তাঁকে অনুসরণ করল অন্যরা।
এই বিক্ষুব্ধ বরফ রাজ্যে একটা পথ খুঁজে বের করলেন হিলারি। ১৯ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় ঘাঁটি গাড়লেন সবাই। এই পথ ধরে চলার সময় প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মতো শব্দে অনবরত বরফের চাই স্থান বদলাচ্ছে, এমন একটি জায়গার নাম হলো, ‘অ্যাটম বম্ব’। এই সেই জায়গা যেখানে বরফের ফাটলের মধ্যে পড়ে হিলারির অভিযান এবং জীবন দুটোই সাঙ্গ হতে বসেছিল।
চূড়ান্ত যাত্রা
নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে এভারেস্ট জয়ের চূড়ান্ত চেষ্টায় অংশ নিতে পারেন কেবল দলটির স্যার এডমন্ড হিলারি এবং নেপালি শেরপা তেনজিং নোরগে। হিলারি এবং তেনজিং চূড়ায় পৌঁছাতে যাত্রা শুরু করলেন। আগের মতোই কোমরে বাঁধা দড়ি তাঁদের পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত করেছে। তেনজিং এবার সামনে, হিলারি পেছনে। খুব সরু, কেবল কয়েক ফুট চওড়া একটি শৈলশিরা ধরে ওপরে উঠছেন দুই পর্বতারোহী। নরম তুষার এই চলাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। একপর্যায়ে সামনে এগোনো প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল।
এক সময় নরম তুষারের রাজ্য শেষ হলো। এর জায়গা নিল তুলনামূলক শক্ত বরফ। বরফে পা ফেলে একটু নিশ্চিন্তে এগোতে পারছেন দুজনে। তবে সতর্কতায় ঢিল দেননি। তাঁদের ডানে বরফের মোচড়ানো কার্নিশ, পাশ থেকেই পর্বতের কিনারা খাড়া নেমে গেছে ৮ হাজার ফুট। বামে সংকীর্ণ পাথুরে তাক।
মৃত্যু এলাকা
দুজনেই গায়ে চাপিয়েছেন আট প্রস্থ পোশাক, হাতে দস্তানা। পিঠে ৪০ পাউন্ডের অক্সিজেন ট্যাংক। উচ্চতার কারণে বাতাস এখানে অনেক হালকা। মানে এখানে অক্সিজেনের ঘাটতি আছে। কিন্তু পর্বতারোহীদের বেঁচে থাকার জন্য বাড়তি অক্সিজেন দরকার, অন্তত ২৫ হাজার ফুট উচ্চতায়। অনেকে এই উচ্চতাকে এভারেস্টের ডেথ জোনের শুরু বলে উল্লেখ করেন।
বরফ ভেঙে এগোনোর সময় হিলারির নিশ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্ট হচ্ছে। অক্সিজেনের নলের ভেতর বরফ জমতে শুরু করেছে যে। একটু পরপরই নল পরিষ্কার করছেন দুজনেই।
অনেকটা যন্ত্রের মতো এগিয়ে চলেছেন। শুধু জানেন, যেভাবে হোক চূড়ায় পৌঁছাতে হবে। পরে হিলারি অকপটে বলেছিলেন, ‘আমরা কল্পনাও করতে পারছিলাম না, কোনো মানুষের পক্ষে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছানো সম্ভব।’
বড় বাধা
দুই অভিযাত্রী এক সময় চল্লিশ ফুট উঁচু একটা পাথরের দেয়ালের সামনে চলে এলেন। হিলারি জুতার স্পাইক ব্যবহার করে পাথরের দেয়াল এবং একটা তাকের মাঝখান দিয়ে উঠতে শুরু করলেন। দেয়ালের ওপর পৌঁছে তেনজিংকে দড়ি ধরে টেনে ওপরে তুললেন। আবার শুরু হলো বরফ ভেঙে পাহাড়ের ওপর ওঠা।
একেবারে ওপরে
কয়েক ঘণ্টা পার হয়ে গেল। চলার গতি ধীর হয়ে এসেছে। ধৈর্যের শেষ সীমায় যেন পৌঁছে গেছেন তাঁরা। তবে ঢাল বেয়ে শেষ অংশটা পেরিয়ে হঠাৎই পৌঁছে গেলেন একেবারে ওপরে, শিখরে। তাঁরা এখন এভারেস্টের চূড়ায় (২৯,০৩৫ ফুট)।
দুজন মানুষ পরস্পরকে আলিঙ্গন করলেন, একে অপরের হাত ধরে ঝাঁকাতে লাগলেন পাগলের মতো। প্রাথমিক উত্তেজনা কেটে গেলে হিলারি কিছু ছবি তুললেন। তেনজিং শেরপাদের বিশ্বাস অনুযায়ী এখানে বাস করা দেবতাদের জন্য বরফ খুঁড়ে কিছু চকলেট এবং বিস্কুট রাখলেন। এগুলো তাঁদের জন্য উপহার।
পনেরো মিনিট পর এভারেস্টের চূড়ার মনোমুগ্ধকর, রাজকীয় দৃশ্যকে বিদায় জানিয়ে নিচে নামতে শুরু করলেন দুজনে। তখনো বিশ্বাস হচ্ছে না এমন এক জায়গায় গিয়েছেন, যেখানে তাঁদের আগে কেউ পৌঁছাতে পারেনি। এমন দৃশ্য দেখেছেন, যা আগে কেউ দেখেনি।
এভারেস্ট জয়ের পর
কাকতালীয়ভাবে ব্রিটিশ সিংহাসনে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের আরোহণ অনুষ্ঠানের কাছাকাছি সময়ে ব্রিটিশদের কাছে এভারেস্ট জয়ের ঘোষণা এল। ব্রিটিশদের নেতৃত্বে ও আয়োজনে একটি অভিযানে এভারেস্টজয়, সেই সঙ্গে তরুণী রানির অভিষেক, সব মিলিয়ে দীর্ঘদিন যুদ্ধ এবং পরবর্তী মন্দায় জর্জরিত জাতি যেন হঠাৎ আত্মবিশ্বাস ফিরে পেল। অন্য পর্বতারোহীদের সঙ্গে ব্রিটেনে পৌঁছতেই রানি নাইট উপাধিতে ভূষিত করলেন এডমন্ড হিলারিকে।
এভারেস্টজয় রাতারাতি বিশ্বজুড়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিল হিলারিকে। ১৯৫৮ সালে দক্ষিণ মেরু অভিযানে গেলেন হিলারি। জয় করলেন উত্তর মেরুও। আরও বিভিন্ন পর্বত অভিযানে নেতৃত্ব দিলেও যত দিন গড়াতে লাগল নেপালের সাধারণ মানুষের কল্যাণে বেশি করে মনোযোগী হয়ে উঠলেন তিনি।
নেপালের মানুষদের জন্য
ষাটের দশকে নেপালে বেশ কিছু ক্লিনিক, হাসপাতালের পাশাপাশি ১৭টি বিদ্যালয় স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখলেন হিলারি। তাঁর প্রতিষ্ঠিত অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিমালয়ান ট্রাস্টের মাধ্যমে কাজটি করেন তিনি।
এ সময় এ উন্নয়নকাজগুলো সহজে করার জন্য দুটি এয়ারস্ট্রিপ স্থাপন করা হয়। এর ফলাফল হিসেবে নেপালের প্রত্যন্ত এলাকায় পর্যটক ও পর্বতারোহণে আগ্রহীদের চাপ গেল অপ্রত্যাশিতরকম বেড়ে। পর্বতারোহীদের জ্বালানির জোগান দিতে গিয়ে নির্বিচারে জঙ্গলের গাছ কাটতে শুরু করল নেপালিরা। বিষয়টি নজর এড়ালো না স্যার এডমন্ড হিলারির। তিনি নেপাল সরকারকে চাপ দিলেন জঙ্গল রক্ষায় আইন পাশ ও এভারেস্টের আশপাশের এলাকাকে ন্যাশনাল পার্ক বা জাতীয় উদ্যান ঘোষণার জন্য। নেপালিদের এই প্রক্রিয়ার পুরো খরচ জোগান দেওয়া যেমন সম্ভব ছিল না তেমনি উদ্যান ব্যবস্থাপনায় কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁদের। আবারও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন হিলারি, নিজের জনপ্রিয়তা ও প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে নিউজিল্যান্ড সরকারকে রাজি করালেন এ বিষয়ে সব ধরনের সাহায্য করতে।
হিলারির বই
এদিকে সফল এভারেস্ট অভিযানের পর হিলারি ও স্যার জন হান্ট অভিযান নিয়ে তাঁদের অভিজ্ঞতাকে বন্দী করলেন দুই মলাটের মধ্যে, দ্য অ্যাসসেন্ট অব এভারেস্ট নামে। বইটি ইংল্যান্ডে এ নামে প্রকাশিত হলেও যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশ পেল দ্য কনকোয়েস্ট অব এভারেস্ট নামে। স্যার এডমন্ড হিলারির আত্মজীবনী নাথিং ভেনচার, নাথিং উইন বের হয় ১৯৭৫ সালে।
১৯৭৭ সালে হিমালয়ে গঙ্গা নদীর উৎস পর্যন্ত এক অভিযান চালান হিলারি। এই অভিযান নিয়ে তাঁর বই ফ্রম দ্য ওশান টু দ্য স্কাই প্রকাশ পায় ১৯৭৯ সালে।
চিরবিদায়
তবে এর মধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে বড় বিপর্যয় নেমে আসে হিলারির। ১৯৭৫ সালে তাঁর স্ত্রী লুইজি এবং মেয়ে বেলিন্দা নেপালে প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত হন। ফাফলু গ্রামে হিলারির সঙ্গে দেখা করতে আসছিলেন তাঁরা। সেখানে হাসপাতাল তৈরি কাজ করছিলেন হিলারি। জীবনের বাকিটা সময় নেপালি জনসাধারণের উপকারে বিভিন্ন কাজ ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করে যান হিলারি। টাইম ম্যাগাজিন বিশ শতকের সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী ১০০ মানুষের মধ্যে একজন হিসেবে তাঁকে নির্বাচিত করে। দেশের, নেপালের ও সারা পৃথিবীতে তাঁর ভক্তদের শোকে স্তব্ধ করে দিয়ে নিউজিল্যান্ডে নিজ বাড়িতে ২০০৮ সালের এই দিনে মানে জানুয়ারির ১১ তারিখ মৃত্যুবরণ করেন স্যার এডমন্ড হিলারি।
তথ্যসূত্র:
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ওয়ার্ল্ড ম্যাগাজিন, এচিভমেন্ট ডট অর্গ, উইকিপিডিয়া

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৮ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেফারিয়া রহমান খান

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন। আগামী বছর লিপস্টিকের ট্রেন্ডে থাকবে কিছু বৈচিত্র্য; একদিকে থাকবে স্নিগ্ধ গোলাপি আভা, অন্যদিকে ব্ল্যাক ও চেরি রেডের মতো শেডগুলো।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্রিমিয়াম বিউটি ও মেকআপ স্টুডিও ব্র্যান্ড কেলি ঝাং মেকআপের নতুন পাঁচটি ট্রেন্ডের কথা জানিয়েছে।

স্মোকি রোজ
কয়েক বছর ধরে ন্যুড শেডের জনপ্রিয়তা থাকলেও ২০২৬ সালে ঠোঁটে ফিরে আসবে ক্ল্যাসিক গোলাপি আভা। তবে এবারের গোলাপি কোনো চড়া বা উগ্র শেড নয়, বরং এটি হবে অত্যন্ত স্নিগ্ধ, কোমল ও অনুজ্জ্বল একধরনের ‘স্মোকি রোজ’ শেড। এই শেড চেহারায় তাৎক্ষণিক একটি সতেজ ভাব ফুটিয়ে তোলে এবং একদম ভারী মনে হয় না। যাঁরা একেবারে ন্যাচারাল বা ‘ক্লিন মেকআপ লুক’ পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। সাধারণ ন্যুড শেডগুলো চেহারায় একটি ফ্যাকাশে ভাব আনে। কিন্তু স্মোকি রোজ সাধারণ ন্যুডের চেয়ে একটু বেশি উজ্জ্বল হওয়ায় চেহারায় আনে স্নিগ্ধ ভাব। নিত্যদিনের আউটিংয়ের জন্য নিজেকে মার্জিত এবং সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে আগামী বছর এই ট্রেন্ড থাকবে তালিকার শীর্ষে।

গথিক ব্ল্যাক
যাঁরা একটু সাহসী লুক পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সামনের বছর ফিরতে চলেছে ব্ল্যাক লিপস্টিক। সাধারণত ফ্যাশন শো বা এডিটরিয়ালে এর ব্যবহার বেশি দেখা গেলেও ২০২৬ সালে এটি মূলধারার ফ্যাশনে জায়গা করে নেবে। ক্লিন মেকআপ লুকের বদলে যাঁরা একটু বোল্ড বা ড্রামাটিক লুক চাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সেরা হবে এই পিগমেন্টেড ব্ল্যাক লিপস্টিক।

ক্লাউড লিপস
এটি হতে চলেছে ২০২৬ সালের অন্যতম সেরা ট্রেন্ড। বিশ্বখ্যাত কালার ইনস্টিটিউট প্যানটোন ২০২৬ সালের জন্য যে ‘ক্লাউড ড্যান্সার’ রং বেছে নিয়েছে, সামনের বছর লিপস্টিকের শেডেও এর প্রতিফলন দেখা যাবে। এই ট্রেন্ডে ঠোঁটের বর্ডার কিংবা রেখা খুব একটা স্পষ্ট থাকে না, বরং হালকাভাবে ব্লার করে দেওয়া হয়। এটি দেখতে অনেকটা ফ্রেঞ্চ বা কোরিয়ান মেকআপের মতো মনে হয়, যা খুবই স্নিগ্ধ দেখায়। প্রতিদিনের হালকা সাজের জন্য এই ক্লাউড লিপস হবে দারুণ মানানসই।

ভিনাইল লিপস
যাঁরা ম্যাট নাকি গ্লসি লিপস নিয়ে দ্বিধায় ভোগেন, তাঁদের জন্য সুখবর হিসেবে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে হাই-শাইন বা ভিনাইল লিপস। ভিনাইল ফিনিশ মূলত ঠোঁটে আয়নার মতো একধরনের চকচকে আভা তৈরি করে, যা ঠোঁটকে আরও ভরাট, মসৃণ ও সজীব করে তোলে। লিপ গ্লস, লিপ অয়েল বা স্টেইন ব্যবহার করে খুব সহজে এই লুক তৈরি করা সম্ভব। ম্যাট লিপস্টিকই বেশি পছন্দ হলে লিপস্টিকের ওপর ঠোঁটের মাঝ বরাবর কিছুটা ট্রান্সপারেন্ট গ্লস বা লিপ অয়েল লাগিয়ে নিলে মুহূর্তেই তৈরি হয়ে যাবে কাঙ্ক্ষিত ভিনাইল লুক। ২০২৬ সালে কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে এই লুকই হতে পারে আপনার সেরা পছন্দ।

চেরি রেড
লাল রঙের আবেদন কখনো পুরোনো হওয়ার নয়। ২০২৬ সালে ফিরে আসতে চলেছে চেরি রেড বা গাঢ় লাল লিপস্টিক। উজ্জ্বল ত্বকের সঙ্গে একটি গাঢ় লাল লিপস্টিক মুহূর্তে আপনাকে দিতে পারে আত্মবিশ্বাসী ও অভিজাত লুক। তবে এই বোল্ড লুক নিখুঁতভাবে ফুটিয়ে তুলতে দরকার একটু প্রস্তুতি। সুন্দর একটা ফিনিশ পেতে লিপস্টিক ব্যবহারের আগে ঠোঁট ভালো করে এক্সফোলিয়েট করে সামান্য লিপ বাম লাগিয়ে লিপস্টিক দিলে তা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয় এবং ঠোঁট দেখায় বেশ মসৃণ ও আকর্ষণীয়।
সূত্র: গ্ল্যামার

নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
১১ জানুয়ারি ২০২৩
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৮ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেফিচার ডেস্ক, ঢাকা

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে?
৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে ‘অ্যানালস অব ইন্টারনাল মেডিসিন’-এ প্রকাশিত একটি নতুন গবেষণা ভিন্ন কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে। নতুন এই গবেষণার চমকপ্রদ দিক হলো, ‘একই দাওয়াই সবার জন্য’ এই পুরোনো ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানানো।
গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁদের হৃদ্রোগের ঝুঁকি আগে থেকে কম বা মাঝারি পর্যায়ে রয়েছে, তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি কমার ক্ষেত্রে পরবর্তী পাঁচ বছরে স্যাচুরেটেড ফ্যাট বা সম্পৃক্ত চর্বি কমানো তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি। তবে উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের জন্য চিত্রটি ভিন্ন। তাঁদের ক্ষেত্রে চর্বি কমানো বা পরিবর্তন করা মৃত্যুঝুঁকি এবং হার্ট অ্যাটাকের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়। মূলত স্যাচুরেটেড ফ্যাট লিভারের ব্যাড কোলেস্টেরল বা এলডিএল পরিষ্কার করার ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। ফলে রক্তনালিতে চর্বি জমে প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়। তবে পাঁচ বছরের স্বল্প মেয়াদে সুস্থ ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই কোলেস্টেরল কমানো হৃদ্রোগ প্রতিরোধে সরাসরি ভূমিকা রাখছে না বলেই গবেষণায় উঠে এসেছে।
পরিবর্তন যখন খাদ্যের স্বাদে

গবেষকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তা হলো, আপনি কী খাচ্ছেন না, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো, আপনি তার বদলে কী খাচ্ছেন। কেবল চর্বি কমানোর চেয়ে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের বদলে পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট; যেমন বাদাম, স্যামন বা ম্যাকারেল মাছের তেল গ্রহণ করা অনেক বেশি কার্যকর। এ ক্ষেত্রে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছোট পরীক্ষা বেশ কার্যকর। সেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের এক দলকে দেওয়া হয়েছিল প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাটযুক্ত কেক ও বিস্কুট, আর অন্য দলকে দেওয়া হয়েছিল সমপরিমাণ ক্যালরির স্বাস্থ্যকর ফ্যাট (বাদাম ও মাছ)। এই গবেষণার ফল ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রথম দলের রক্তে ব্যাড কোলেস্টেরল ১০ শতাংশ এবং লিভারে চর্বির পরিমাণ ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল, যা ডায়াবেটিস ও হৃদ্রোগের বড় কারণ। বিপরীতে, যাঁরা স্বাস্থ্যকর চর্বি খেয়েছিলেন, তাঁদের কোলেস্টেরল শুধু কমেইনি, বরং হৃদ্যন্ত্রের কর্মক্ষমতাও বেড়েছিল।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা ও আধুনিক দৃষ্টিভঙ্গি
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নীতা ফরুহি এই গবেষণার পরিপ্রেক্ষিতে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাঁচ বছর সময়কাল হৃদ্রোগের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বোঝার জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ, হৃদ্রোগের ঝুঁকি মডেলগুলো সাধারণত ১০ বছরের হিসাব ধরে তৈরি করা হয়। এ ছাড়া তিনি আরও একটি দিক তুলে ধরেছেন, সব স্যাচুরেটেড ফ্যাট এক নয়। লাল মাংসের ফ্যাট এবং গাঁজানো দুগ্ধজাত পণ্য; যেমন দই বা পনির আমাদের শরীরে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে কাজ করতে পারে। তাই কেবল নিউট্রিশন বা উপাদানের দিকে নয়; বরং সেই উপাদানের উৎসের দিকে নজর দিতে হবে। কিংস কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক টম স্যান্ডার্স আবার বলছেন, গত ৫০ বছরে কোলেস্টেরল এবং হৃদ্রোগে মৃত্যুহার কমার পেছনে এই প্রচলিত খাদ্যাভ্যাসের পরামর্শগুলোর বড় ভূমিকা রয়েছে। তাই গড়পড়তা কোলেস্টেরল লেভেল কমিয়ে রাখা পুরো জনসংখ্যার জন্যই দীর্ঘ মেয়াদে মঙ্গলজনক।
ভারসাম্যই যেখানে চাবিকাঠি
গবেষণা আর পাল্টা গবেষণার এই ভিড়ে সাধারণ মানুষের জন্য বার্তাটি বেশ স্পষ্ট। চর্বি আমাদের শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক। কারণ, এটি ভিটামিন শোষণে সাহায্য করে। এনএইচএসের পরামর্শ অনুযায়ী, পুরুষদের দৈনিক ৩০ গ্রাম এবং নারীদের ২০ গ্রামের বেশি স্যাচুরেটেড ফ্যাট খাওয়া উচিত নয়। কিন্তু জীবন বাঁচাতে শুধু ফ্যাট কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রক্রিয়াজাত মাংস বা কেক-বিস্কুটের বদলে প্লেটে রাখতে হবে তৈলাক্ত মাছ, বাদাম ও উদ্ভিজ্জ তেল। স্যাচুরেটেড ফ্যাট হয়তো অনেকের জন্য তাৎক্ষণিক ঘাতক নয়, কিন্তু সুস্থ জীবনের জন্য খাদ্যের গুণগত মান এবং উৎসের দিকে নজর দেওয়াই বরং বুদ্ধিমানের কাজ।
সূত্র: ডেইলি মেইল

নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
১১ জানুয়ারি ২০২৩
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৮ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

মেষ
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান। বন্ধুদের সঙ্গে সময় ভালো কাটবে, তবে তাদের পকেট মারার চেষ্টা করবেন না!
বৃষ
আজ খুব ব্যস্ত থাকবেন। এত দৌড়ঝাঁপ করবেন যে লোকে ভাববে আপনি বোধহয় অলিম্পিকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে সাবধান, আজ পায়ে চোট পাওয়ার প্রবল যোগ। রাস্তাঘাটে মোবাইলে মুখ গুঁজে না হেঁটে একটু সামনের দিকে তাকান। আর্থিক বিনিয়োগের জন্য দিনটি ভালো, তবে টাকাটা লটারিতে না লাগিয়ে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে লাগালে ভবিষ্যতে বাড়ির লোক আপনাকে অন্তত একটু সম্মান দেবে।
মিথুন
অফিসে আজ বসের প্রচুর কথা শুনতে হতে পারে। মনে রাখবেন, বসের কথাগুলো অনেকটা রেডিওর বিজ্ঞাপনের মতো—শুনতে খারাপ লাগলেও বন্ধ করার উপায় নেই। বাড়িতে গেস্ট আসার সম্ভাবনা আছে, যা আপনার শান্তিতে বিঘ্ন ঘটাবে। জরুরি কাগজে সই করার আগে অন্তত তিনবার পড়ে নিন, নয়তো পরে দেখবেন নিজের সম্পত্তি অজান্তেই কাউকে দান করে দিয়েছেন। আর্থিক দিকটা মোটামুটি উজ্জ্বল।
কর্কট
সকাল থেকে ব্যবসায় ভালো গতি আসবে। কাস্টমারকে কথা বলার সুযোগ দেবেন না, একাই বকে যান। তবে খরচ করার সময় একটু রাশ টানুন, জমানো টাকা খরচ হয়ে যাওয়ার ভয় আছে। ভাই-বোনদের ওপর আজ দাদাগিরি ফলাতে পারবেন, তারা আপনার কথা শুনবে (হয়তো ভয়ে)। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, কিন্তু তাই বলে আজই হিমালয়ে ট্রেকিং করতে বেরিয়ে যাবেন না!
সিংহ
স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার যোগ আছে। মনে রাখবেন, স্ত্রীর হাসি মানেই আপনার পকেটের ফাঁসি! পাশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হবে। যদি কেউ আপনার নামে ষড়যন্ত্র করে, তবে জানবেন জনপ্রিয় হচ্ছেন। আজ নতুন কারোর সঙ্গে বন্ধুত্ব হতে পারে, তবে সেই বন্ধুর থেকে টাকা ধার নেওয়ার কথা এখনই ভাববেন না।
কন্যা
আপনার অসাধারণ বুদ্ধির জোরে আজ ব্যবসায় মুনাফা বাড়বে। ঋণ থেকে মুক্তির সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু তার জন্য লটারি জেতার অপেক্ষা করলে চলবে না। আজ কাউকে ‘না’ বলতে শিখুন, নয়তো লোকে আপনাকে দিয়ে অফিসের সব ছোট কাজ করিয়ে নেবে। ভ্রমণে বেরোলে পেটের দিকে খেয়াল রাখুন, রাস্তার ফুচকা আপনার বড় শত্রু হতে পারে।
তুলা
প্রেমে অতিরিক্ত আশা করা আজ ঠিক হবে না। হয়তো চাঁদ-তারা এনে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, আর সঙ্গী হয়তো ভাবছে পরের মাসে ইলেকট্রিক বিল কে দেবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে। তাড়াহুড়ো এড়িয়ে চলুন, শান্তিতে এক কাপ চা খান। মনে রাখবেন, প্রেম না টিকলে কাচ্চি বিরিয়ানি তো আছেই!
বৃশ্চিক
সকালের দিকে কোনো বন্ধুর দ্বারা একটু বিরক্ত হতে পারেন। হয়তো সে আপনার কাছে পুরোনো ধার চাইতে এসেছে। শরীরের কোথাও ব্যথা আজ আপনার কাজে বাগড়া দিতে পারে। হাঁটাহাঁটি করার সময় একটু সচেতন থাকুন। প্রিয়জনের প্রতি আস্থা বজায় রাখুন, অকারণে গোয়েন্দাগিরি করতে গিয়ে ধরা পড়লে কপালে দুঃখ আছে।
ধনু
আজ সকাল থেকেই মন খাওয়ার দিকে থাকবে। ডায়েট চার্টটা আজ ড্রয়ারে ভরে রাখুন। সমাজে দান-ধ্যান করার জন্য খ্যাতি বাড়তে পারে, তবে নিজের পকেট খালি করে দান করবেন না। অতিথিদের সংখ্যা বাড়তে পারে, তাই ফ্রিজে অন্তত কয়েকটা মিষ্টি মজুত রাখুন। পরিবারে আনন্দের পরিবেশ থাকবে।
মকর
অংশীদারি ব্যবসায় নিজের অধিকার বজায় রাখার চেষ্টা করুন, নয়তো পার্টনার আপনাকে দিয়ে চা বানিয়ে নেবে। শিল্পীদের জন্য আজ দারুণ সুযোগ আসতে পারে। গাড়ি কেনার পরিকল্পনা থাকলে আজ আলোচনা এগোতে পারেন। গুরুজনদের শরীর নিয়ে একটু দুশ্চিন্তা হতে পারে, তাই অযথা তর্ক করে তাঁদের ব্লাড প্রেশার বাড়াবেন না।
কুম্ভ
আজকের দিনটি আপনার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। বিবাদে জড়ানোর সম্ভাবনা আছে, তাই পাড়ার মোড়ে অযথা তর্ক করবেন না। ব্যবসায় একটু ক্ষতির আশঙ্কা আছে, তাই বড় ইনভেস্টমেন্ট আজ এড়িয়ে চলাই মঙ্গল। জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন, অন্তত প্রতিদিন সকালে দাঁত মাজাটা শুরু করতে পারেন!
মীন
আজ কর্মক্ষেত্রে পরিস্থিতি আপনার অনুকূল থাকবে। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের বশে বসের চেয়ারে বসে পড়বেন না। পরিবারের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই বড় সিদ্ধান্ত নিন। মূল্যবান জিনিসপত্রের প্রতি যত্নশীল হোন, নয়তো দেখবেন মোবাইলটা ভুলে বাসেই ফেলে এসেছেন। দিনটি সামগ্রিকভাবে শুভ, শুধু বিকেলের পর একটু শান্ত থাকুন।

নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
১১ জানুয়ারি ২০২৩
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৭ ঘণ্টা আগে
সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেতুষ্টি মনোয়ার

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

সুন্দর দেখাতে ঘরে শুধু দামি আসবাব নয়, বরং সেই ঘরে দরকার আলো-ছায়ার এক নিখুঁত সমন্বয়। আলোকসজ্জা শুধু ঘর আলোকিত করে না, এটি রুচি ও ব্যক্তিত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। সঠিক রঙের দেয়াল ও আসবাবের সঙ্গে সঠিক আলোর ব্যবহার মুহূর্তে আপনার ঘরের আবহ বদলে দিতে পারে। সঙ্গে আপনার ঘর করে তুলবে প্রাণবন্ত ও ইতিবাচক শক্তিতে ভরপুর। এটি যেমন আভিজাত্যপূর্ণ, তেমনি মন ভালো রাখতেও যথেষ্ট কার্যকর। এখন খুব সহজে একটি সুইচ টিপে নিজের ঘর ছবির মতো অনন্য করে তোলা যায়। ঘর স্মার্টভাবে সাজাতে কোন জায়গায় কী রকম আলো ব্যবহার করতে হবে, তা জেনে নিন এখানে।
আলোর ধরন ও ব্যবহার
ঘর সাজাতে সাধারণত কয়েক ধরনের আলো ব্যবহার করা হয়—
উৎসবে বিভিন্ন ঘরে আলোর ব্যবহার
শোয়ার ঘর
শোয়ার ঘর যেহেতু বিশ্রামের জায়গা, তাই সেখানে আলো হওয়া উচিত নরম। তবে বাড়িতে দাওয়াত বা উৎসবের দিনগুলোয় অতিথি সমাগম হলে শোয়ার ঘরেও আড্ডা জমে ওঠে। উৎসবকে কেন্দ্র করে শোয়ার ঘর আলোয় সাজাতে পারেন। দেয়ালের ল্যাম্প অথবা সিলিং থেকে ঝোলানো পেন্ডেন্ট লাইটে ঘরে আভিজাত্য এনে দেয়। এই ঘরের আলোকসজ্জায় ফ্ল্যাশ-মাউন্ট-ফিক্সচার বেছে নিতে পারেন।

বসার ঘর
এটি সবাই মিলে বসে টিভি দেখা বা আড্ডা দেওয়ার জায়গা। এই ঘরে টিভির পেছনে ‘বায়াস লাইটিং’ ব্যবহার করলে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে। এখানে আড্ডার আবহ ঠিক রাখতে সাধারণ আলোর পাশাপাশি মৃদু আলোর ব্যবস্থাও রাখা উচিত।

ডাইনিং
খাবার টেবিলের ঠিক ওপরে একটি ঝাড়বাতি বা মাল্টি-লাইট পেন্ডেন্ট বসালে তা সব দিকে সমানভাবে আলো ছড়াবে। খাবারের পরিবেশ উৎসবমুখর রাখতে আলোর তীব্রতা কমানো-বাড়ানোর জন্য ‘ডিমার সুইচ’ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পড়ার ঘর
পড়ার টেবিলে অবশ্যই অ্যাডজাস্টেবল ল্যাম্প রাখতে হবে। এখানে আলো এমনভাবে সেট করতে হবে, যাতে বইয়ের ওপর সরাসরি আলো পড়ে এবং চোখের ওপর চাপ তৈরি না করে।
সিঁড়ি ও আউটডোর
নিরাপত্তার জন্য সিঁড়িতে স্ট্রিপ লাইট বা ওয়াল মাউন্টেড স্পটলাইট ব্যবহার করতে পারেন। আর উৎসবে বাড়ির প্রবেশপথ বা বাগানে হাঙ্গিং লাইট লাগালে তা বাড়ির সৌন্দর্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে।
সূত্র: হোমলেন

নেপালের মানুষ তাঁকে সব সময় মনে রাখবে এভারেস্টজয়ী হিসেবে নয়, বরং এমন একজন হিসেবে যিনি তাঁদের ভালোবাসতেন। নেপালিদের উন্নয়নে হাসপাতাল, স্কুল স্থাপনসহ অনেক কাজই করেছেন তিনি। স্ত্রী ও মেয়ে উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় মারা যান নেপালের প্রত্যন্ত এক গ্রামে অবস্থান করা হিলারির সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে।
১১ জানুয়ারি ২০২৩
মেকআপের ট্রেন্ড সব সময় পরিবর্তনশীল। সময়ের সঙ্গে ঠোঁটের সাজেও আসে বদল—কখনো ম্যাট ফিনিশ তো কখনো গ্লসি। লিপস্টিকের রং ও টেক্সচারের ক্ষেত্রেও প্রতিবছর নতুন নতুন ট্রেন্ড চোখে পড়ে। তেমনি ২০২৫ সালের বোল্ড এবং গাঢ় শেডগুলো কাটিয়ে ২০২৬ সালে আসতে চলেছে বিশেষ কিছু পরিবর্তন।
৭ ঘণ্টা আগে
দশকের পর দশক ধরে আমাদের শেখানো হয়েছে, ঘি, মাখন, পনির আর লাল মাংস বা রেড মিট মানেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি। এগুলো রক্তনালি বন্ধ করে দেয়, কোলেস্টেরল বাড়ায় এবং হার্ট অ্যাটাকের পথ প্রশস্ত করে। কিন্তু দীর্ঘদিনের এই ধ্রুব সত্য কি বদলে যেতে বসেছে? ৬৬ হাজার মানুষের ওপর করা ১৭টি বড় ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে...
৭ ঘণ্টা আগে
আজ আপনার দিনটি বেশ ভালো, কিন্তু বড্ড তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাতিক আপনার। মনে রাখবেন, তাড়াহুড়ো করে বিয়ে আর তাড়াহুড়ো করে ঋণ করা—দুটাই সমান বিপজ্জনক। আজ ঋণ নেওয়ার আগে ভাবুন, শোধ করার ক্ষমতা আপনার আছে নাকি নাতি-পুতিদের ওপর দায় চাপাতে চান।
৮ ঘণ্টা আগে