
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এর অর্থ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সমরাস্ত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করতে থাকবে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উড়ে আসা এত অস্ত্র কীভাবে ঠেকাবে ইসরায়েল? ইসরায়েলের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধরা হতো আয়রন ডোম। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের নিক্ষেপ করা ৫ হাজার রকেট ঠেকাতে গিয়ে গোল পাকিয়ে ফেলেছিল এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এবার আসছে সুসজ্জিত ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। আরও বড় বিষয় হলো, ইরানের এই উন্নত ড্রোনের মুখোমুখি কখনো হয়নি ইসরায়েলের আয়রন ডোম বা ডেভিডস স্লিং ও অ্যারোর মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। খোদ ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না। ফলে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নির্ভর করতে হচ্ছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন উৎক্ষেপণের আগেই গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে রক্ষা করতে অবশ্যই সহায়তা করবে।
হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব এবং ইরান সফল হবে না।’
এদিকে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সফর বাতিল করে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বেঠকে বসেছেন।
দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইরানি ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এবং কোথায় এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করেনি জানাননি সূত্রগুলো।
মার্কিন সেনা উপস্থিতি
ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা সম্ভাব্য ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ড্রোনগুলোকে বাধা দিতে পারে। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে ড্রোনগুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর।
লোহিতসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী এর আগে ইয়েমেনের হুতিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছিল।
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে সিএনএনকে বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম স্থানান্তর করছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধ সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তর করে। বাইরের যেকোনো হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে এবং এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া আরও প্রায় ১ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে এই অঞ্চলে। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ব্যবহারের জন্য একটি ভাসমান পিয়ার বা জেটি স্থাপনে কাজ করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার চলতি সপ্তাহে বলেছেন, এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের প্রথম দিকে ওই জেটি চালু হওয়ার পথে রয়েছে।
স্ট্রাইক গ্রুপ
ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এই অঞ্চলে রয়েছে। স্ট্রাইক গ্রুপে রয়েছে ৬ হাজার নাবিক, টিকন্ডেরোগা শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস ফিলিপাইন সি (সিজি ৫৮) এবং আরলেই-বার্ক শ্রেণির দুটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ম্যাসন (ডিডিজি ৮৭) এবং ইউএসএস গ্রেইভলি (ডিডিজি ১০৭)।
গ্রুপটিতে ক্যারিয়ার এয়ার উইং থ্রিও রয়েছে, যেটি চারটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রনসহ ন৯টি স্কোয়াড্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
হুতি হামলা
গত বেশ কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আক্রমণ চালানো হয়েছে। জানুয়ারিতে জর্ডানে একটি ছোট মার্কিন ফাঁড়িতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।
সেন্টকম নেতা
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নিয়োজিত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে। তিনি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও সমরবিদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ‘ইরানি হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষায় পূর্ণ মার্কিন সমর্থন রয়েছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এর অর্থ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সমরাস্ত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করতে থাকবে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উড়ে আসা এত অস্ত্র কীভাবে ঠেকাবে ইসরায়েল? ইসরায়েলের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধরা হতো আয়রন ডোম। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের নিক্ষেপ করা ৫ হাজার রকেট ঠেকাতে গিয়ে গোল পাকিয়ে ফেলেছিল এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এবার আসছে সুসজ্জিত ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। আরও বড় বিষয় হলো, ইরানের এই উন্নত ড্রোনের মুখোমুখি কখনো হয়নি ইসরায়েলের আয়রন ডোম বা ডেভিডস স্লিং ও অ্যারোর মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। খোদ ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না। ফলে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নির্ভর করতে হচ্ছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন উৎক্ষেপণের আগেই গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে রক্ষা করতে অবশ্যই সহায়তা করবে।
হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব এবং ইরান সফল হবে না।’
এদিকে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সফর বাতিল করে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বেঠকে বসেছেন।
দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইরানি ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এবং কোথায় এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করেনি জানাননি সূত্রগুলো।
মার্কিন সেনা উপস্থিতি
ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা সম্ভাব্য ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ড্রোনগুলোকে বাধা দিতে পারে। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে ড্রোনগুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর।
লোহিতসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী এর আগে ইয়েমেনের হুতিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছিল।
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে সিএনএনকে বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম স্থানান্তর করছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধ সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তর করে। বাইরের যেকোনো হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে এবং এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া আরও প্রায় ১ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে এই অঞ্চলে। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ব্যবহারের জন্য একটি ভাসমান পিয়ার বা জেটি স্থাপনে কাজ করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার চলতি সপ্তাহে বলেছেন, এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের প্রথম দিকে ওই জেটি চালু হওয়ার পথে রয়েছে।
স্ট্রাইক গ্রুপ
ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এই অঞ্চলে রয়েছে। স্ট্রাইক গ্রুপে রয়েছে ৬ হাজার নাবিক, টিকন্ডেরোগা শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস ফিলিপাইন সি (সিজি ৫৮) এবং আরলেই-বার্ক শ্রেণির দুটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ম্যাসন (ডিডিজি ৮৭) এবং ইউএসএস গ্রেইভলি (ডিডিজি ১০৭)।
গ্রুপটিতে ক্যারিয়ার এয়ার উইং থ্রিও রয়েছে, যেটি চারটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রনসহ ন৯টি স্কোয়াড্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
হুতি হামলা
গত বেশ কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আক্রমণ চালানো হয়েছে। জানুয়ারিতে জর্ডানে একটি ছোট মার্কিন ফাঁড়িতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।
সেন্টকম নেতা
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নিয়োজিত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে। তিনি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও সমরবিদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ‘ইরানি হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষায় পূর্ণ মার্কিন সমর্থন রয়েছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এর অর্থ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সমরাস্ত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করতে থাকবে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উড়ে আসা এত অস্ত্র কীভাবে ঠেকাবে ইসরায়েল? ইসরায়েলের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধরা হতো আয়রন ডোম। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের নিক্ষেপ করা ৫ হাজার রকেট ঠেকাতে গিয়ে গোল পাকিয়ে ফেলেছিল এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এবার আসছে সুসজ্জিত ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। আরও বড় বিষয় হলো, ইরানের এই উন্নত ড্রোনের মুখোমুখি কখনো হয়নি ইসরায়েলের আয়রন ডোম বা ডেভিডস স্লিং ও অ্যারোর মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। খোদ ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না। ফলে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নির্ভর করতে হচ্ছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন উৎক্ষেপণের আগেই গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে রক্ষা করতে অবশ্যই সহায়তা করবে।
হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব এবং ইরান সফল হবে না।’
এদিকে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সফর বাতিল করে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বেঠকে বসেছেন।
দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইরানি ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এবং কোথায় এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করেনি জানাননি সূত্রগুলো।
মার্কিন সেনা উপস্থিতি
ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা সম্ভাব্য ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ড্রোনগুলোকে বাধা দিতে পারে। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে ড্রোনগুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর।
লোহিতসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী এর আগে ইয়েমেনের হুতিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছিল।
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে সিএনএনকে বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম স্থানান্তর করছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধ সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তর করে। বাইরের যেকোনো হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে এবং এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া আরও প্রায় ১ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে এই অঞ্চলে। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ব্যবহারের জন্য একটি ভাসমান পিয়ার বা জেটি স্থাপনে কাজ করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার চলতি সপ্তাহে বলেছেন, এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের প্রথম দিকে ওই জেটি চালু হওয়ার পথে রয়েছে।
স্ট্রাইক গ্রুপ
ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এই অঞ্চলে রয়েছে। স্ট্রাইক গ্রুপে রয়েছে ৬ হাজার নাবিক, টিকন্ডেরোগা শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস ফিলিপাইন সি (সিজি ৫৮) এবং আরলেই-বার্ক শ্রেণির দুটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ম্যাসন (ডিডিজি ৮৭) এবং ইউএসএস গ্রেইভলি (ডিডিজি ১০৭)।
গ্রুপটিতে ক্যারিয়ার এয়ার উইং থ্রিও রয়েছে, যেটি চারটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রনসহ ন৯টি স্কোয়াড্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
হুতি হামলা
গত বেশ কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আক্রমণ চালানো হয়েছে। জানুয়ারিতে জর্ডানে একটি ছোট মার্কিন ফাঁড়িতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।
সেন্টকম নেতা
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নিয়োজিত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে। তিনি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও সমরবিদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ‘ইরানি হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষায় পূর্ণ মার্কিন সমর্থন রয়েছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
এর অর্থ, ইরান সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বেশি সমরাস্ত্র ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে উৎক্ষেপণ করতে থাকবে। ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যমগুলোতে এরই মধ্যে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ধেয়ে আসার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
উড়ে আসা এত অস্ত্র কীভাবে ঠেকাবে ইসরায়েল? ইসরায়েলের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তি ও কার্যকর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধরা হতো আয়রন ডোম। কিন্তু গত ৭ অক্টোবর হামাসের নিক্ষেপ করা ৫ হাজার রকেট ঠেকাতে গিয়ে গোল পাকিয়ে ফেলেছিল এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। এবার আসছে সুসজ্জিত ড্রোন এবং ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র। আরও বড় বিষয় হলো, ইরানের এই উন্নত ড্রোনের মুখোমুখি কখনো হয়নি ইসরায়েলের আয়রন ডোম বা ডেভিডস স্লিং ও অ্যারোর মতো আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। খোদ ইসরায়েলি কর্মকর্তারাও এই প্রতিরক্ষাব্যবস্থার কার্যকারিতা নিয়ে খুব একটা আত্মবিশ্বাসী হতে পারছেন না। ফলে এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েলকে নির্ভর করতে হচ্ছে তার প্রধান মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে কয়েক ডজন ড্রোন উৎক্ষেপণের আগেই গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন স্পষ্ট করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রকে রক্ষা করতে অবশ্যই সহায়তা করবে।
হোয়াইট হাউস থেকে বাইডেন বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের প্রতিরক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ। আমরা ইসরায়েলকে সমর্থন করব। আমরা ইসরায়েলকে রক্ষা করতে সাহায্য করব এবং ইরান সফল হবে না।’
এদিকে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবর আসার পরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একটি সফর বাতিল করে হোয়াইট হাউসে ফিরেছেন। সিচুয়েশন রুমে জাতীয় নিরাপত্তা দলের সঙ্গে বেঠকে বসেছেন।
দুজন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন জানিয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা কয়েকটি ইরানি ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র কীভাবে এবং কোথায় এসব ড্রোন ঠেকিয়ে দিয়েছে, তা নির্দিষ্ট করেনি জানাননি সূত্রগুলো।
মার্কিন সেনা উপস্থিতি
ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা মোতায়েন রয়েছে। তারা সম্ভাব্য ইসরায়েলের দিকে ধেয়ে আসা ড্রোনগুলোকে বাধা দিতে পারে। অবশ্য সেটি নির্ভর করছে ড্রোনগুলো কোথা থেকে উৎক্ষেপণ করা হচ্ছে তার ওপর।
লোহিতসাগরে মার্কিন নৌবাহিনী এর আগে ইয়েমেনের হুতিদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকিয়ে দিয়েছিল। এই ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের দিকে ছোড়া হয়েছিল।
সমগ্র মধ্যপ্রাচ্যে হাজার হাজার মার্কিন সেনা রয়েছে। একজন মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা চলতি সপ্তাহে সিএনএনকে বলেছেন, প্রতিরক্ষা বিভাগ মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধ সরঞ্জাম স্থানান্তর করছে।
ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখযোগ্যসংখ্যক যুদ্ধ সরঞ্জাম মধ্যপ্রাচ্যে স্থানান্তর করে। বাইরের যেকোনো হামলা থেকে ইসরায়েলকে রক্ষায় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করতে এবং এই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এ ছাড়া আরও প্রায় ১ হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে এই অঞ্চলে। তারা গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহে ব্যবহারের জন্য একটি ভাসমান পিয়ার বা জেটি স্থাপনে কাজ করছে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার চলতি সপ্তাহে বলেছেন, এপ্রিলের শেষের দিকে বা মে মাসের প্রথম দিকে ওই জেটি চালু হওয়ার পথে রয়েছে।
স্ট্রাইক গ্রুপ
ইউএসএস ডোয়াইট ডি. আইজেনহাওয়ার ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ এই অঞ্চলে রয়েছে। স্ট্রাইক গ্রুপে রয়েছে ৬ হাজার নাবিক, টিকন্ডেরোগা শ্রেণির গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ইউএসএস ফিলিপাইন সি (সিজি ৫৮) এবং আরলেই-বার্ক শ্রেণির দুটি গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ইউএসএস ম্যাসন (ডিডিজি ৮৭) এবং ইউএসএস গ্রেইভলি (ডিডিজি ১০৭)।
গ্রুপটিতে ক্যারিয়ার এয়ার উইং থ্রিও রয়েছে, যেটি চারটি স্ট্রাইক ফাইটার স্কোয়াড্রনসহ ন৯টি স্কোয়াড্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
হুতি হামলা
গত বেশ কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত ইয়েমেনে ইরান-সমর্থিত হুতিদের ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ড্রোন হামলা ঠেকিয়ে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
সেই সঙ্গে ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর দ্বারা আক্রমণ চালানো হয়েছে। জানুয়ারিতে জর্ডানে একটি ছোট মার্কিন ফাঁড়িতে ড্রোন হামলায় তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়।
সেন্টকম নেতা
মধ্যপ্রাচ্যের জন্য নিয়োজিত মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ড বা সেন্টকমের শীর্ষ কমান্ডার জেনারেল মাইকেল কুরিলাকে ইসরায়েলে পাঠানো হয়েছে সম্ভাব্য সামরিক প্রতিক্রিয়ার প্রস্তুতিতে সহায়তা করতে। তিনি ইসরায়েলের জ্যেষ্ঠ প্রতিরক্ষা ও সমরবিদদের সঙ্গে বৈঠক করছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বলেছেন, ‘ইরানি হামলার বিরুদ্ধে ইসরায়েলকে রক্ষায় পূর্ণ মার্কিন সমর্থন রয়েছে।’

তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩১ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থনের পর দক্ষিণ কোরিয়ার পরমাণুচালিত সাবমেরিন প্রকল্প নতুন গতি পেয়েছে। দীর্ঘদিনের মার্কিন আপত্তি দূর হওয়ায় এই উদ্যোগ এখন এশিয়ার নিরাপত্তাকাঠামো পাল্টে দিতে পারে এবং পানির নিচে নতুন এক অস্ত্র প্রতিযোগিতা উসকে দিতে পারে।
উত্তর কোরিয়াকে মোকাবিলায় বহুদিন ধরে পরমাণুচালিত সাবমেরিনের অভিজাত ক্লাবে যোগ দিতে চেয়েছে সিউল। ট্রাম্পের সম্মতি পাওয়ায় দুই দেশের পারমাণবিক চুক্তির আওতায় জ্বালানির প্রবেশাধিকার মিলেছে, যা এত দিন ছিল বড় বাধা।
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার নৌবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সাবমেরিন ক্যাপ্টেন চোই ইল বলেন, সাবমেরিন অত্যন্ত কার্যকর আক্রমণাত্মক অস্ত্র। তাই এই অঞ্চলে অস্ত্র প্রতিযোগিতা অনিবার্য।
সিউলের যুক্তি, উত্তর কোরিয়ার পানির নিচে থাকা হুমকি, বিশেষ করে সাবমেরিন থেকে নিক্ষেপযোগ্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র মোকাবিলায় পরমাণুচালিত সাবমেরিন অপরিহার্য।
দক্ষিণ কোরিয়া অবশ্য বারবার বলছে, পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন করবে না তারা।
গত বুধবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক থেকে পাওয়া এই চুক্তিকে ‘বড় ধরনের সাফল্য’ হিসেবে অভিহিত করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট লি জে মিউং।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি দেশের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার নমনীয়তা বাড়াবে।
এদিকে উত্তর কোরিয়া দাবি করেছে, তারাও একই ধরনের সক্ষমতা বিকাশে মনোনিবেশ করেছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গত মার্চে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখায়, কিম জং-উন একটি তথাকথিত পরমাণুচালিত সাবমেরিন পরিদর্শন করেছেন।
উত্তর কোরিয়ার কর্মসূচি কতটা এগিয়েছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে কিছু বিশ্লেষকের সন্দেহ, পিয়ংইয়ং হয়তো রাশিয়ার সহায়তা পাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়া জানিয়েছে, তারা প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করছে, তবে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

পৃথিবী যখন খেলায় মত্ত, তখন তিনি বন্দী ছিলেন অন্ধকারে। ছয় বছর বয়সে ঘরবন্দী হওয়া লিসা ২০ বছর পর সেই দরজা পেরিয়ে বাইরে এলেও আলো দেখার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলেছেন।
কিছু গল্প ক্ষতের মতো করে উন্মোচিত হয়। কিছু শৈশব যেন কোনোদিনই শুরু হয় না। লিসার জীবন তেমনই এক গল্প। নিঃশব্দে হারিয়ে যাওয়া এক শৈশবের, পরিস্থিতিতে মুছে যাওয়া এক শিশুর এবং এক নারীর।
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও ছিল শুধু অন্ধকার।
ছায়াই ছিল তাঁর পরিচয়। কথোপকথন বলতে ছিল শুধু দরজার নিচ দিয়ে ঠেলে দেওয়া থালাবাটির শব্দ। দুই দশক ধরে বন্দিদশার পর এখন তিনি নিজের নামে সাড়া দিতেও হিমশিম খান।
লিসার বন্দিত্ব শুরু হয়েছিল না লোহার শিক দিয়ে, না শিকল দিয়ে—শুরু হয়েছিল আতঙ্ক দিয়ে।
২০০০ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ার সময় গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁকে হত্যার হুমকি দেন। সেই কথায় আতঙ্ক এত গভীর হয়, তিনি নিজেকে গুটিয়ে ফেলেন নীরবতায়। এরই মধ্যে মারা যান তাঁর মা। কৃষক বাবা হয়ে পড়েন দুর্বল ও আতঙ্কিত। কোনো সহায়তা নেই, নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই, কারও কাছে ভরসা চাওয়ার নেই। তাই তিনি এমন এক সিদ্ধান্ত নেন, যা মেয়ের জীবনের পরবর্তী ২০ বছর নির্ধারণ করে দেয়।
তিনি মেয়েকে মাটির ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখেন। বলেন, অন্ধকারই তাঁকে বিপদ থেকে রক্ষা করবে। জানালাবিহীন একটি ঘরই হয়ে ওঠে তাঁর পৃথিবী। না সূর্যের আলো। না কোনো কথা। না কোনো মানুষের স্পর্শ।
শুধু দরজায় রেখে যাওয়া এক প্লেট খাবার আর প্রতিদিন একটু একটু করে সংকুচিত হয়ে যাওয়া জীবনের প্রতিধ্বনি।
যে ব্যবস্থা তাঁকে রক্ষা করবে ভাবা হয়েছিল, তা-ই শেষমেশ তাঁকে সম্পূর্ণ গ্রাস করে নেয়।
সমাজকল্যাণ দপ্তরের দল যখন কুঁড়েঘরে প্রবেশ করে, তারা দেখতে পায় এক নারীকে, যাঁর দৃষ্টিশক্তি ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব।
চিকিৎসকদের মতে, দীর্ঘদিন প্রাকৃতিক আলো থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে লিসার দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীণ। তাঁর মানসিক বিকাশও গুরুতরভাবে ব্যাহত হয়েছে। আচরণ বয়সের তুলনায় অনেক কম বয়সী শিশুর মতো। প্রতিটি শব্দে ভয় পান। যেকোনো স্পর্শে চমকে ওঠেন।
উদ্ধারের পর লিসাকে নিয়ে যাওয়া হয় জগদলপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, যেখানে তাঁর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার বিস্তারিত পরীক্ষা শুরু হয়। প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, লিসার শৈশব থেমে যায় প্রবল ট্রমায় আর প্রাপ্তবয়স্ক জীবন গঠিত হয়েছে ইন্দ্রিয়ের বঞ্চনায়।
সমাজকল্যাণ দপ্তর পুরো ঘটনায় এরই মধ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষ লিসার পরিবার ও প্রতিবেশীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে—কেন তিনি ২০ বছর ধরে বন্দী ছিলেন এবং এই বন্দিত্ব আইনবহির্ভূত আটক হিসেবে বিবেচিত হবে কি না।
জেলার প্রশাসন কর্মকর্তারা বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়লে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
এ ছাড়া কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখছে, লিসার বাবা কি ভয়ে ও অজ্ঞতার কারণে স্কুল, পঞ্চায়েত বা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোনো সাহায্য চাননি?
লিসা বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের এক আশ্রমে আছেন, যেখানে সেবাকর্মী ও কাউন্সেলররা তাঁকে নতুন করে জীবন খুঁজে পেতে সহায়তা করছেন।
তথ্যসূত্র: এনডিটিভি

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩১ মিনিট আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছে, দিল্লি বিমানবন্দরের টার্মিনালে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন, আর কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এক যাত্রী ইন্ডিগোর এই ব্যর্থতাকে ‘মানসিক অত্যাচার’ বলে অভিহিত করে এনডিটিভিকে জানান, বারো ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও তিনি বিমান সংস্থাটির কাছ থেকে কোনো স্পষ্ট জবাব পাচ্ছেন না। তাঁর কথায়, ‘আমি বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এখানে। প্রতিবার তারা বলছেন এক ঘণ্টা দেরি, দু–ঘণ্টা দেরি। আমরা একটা বিয়েতে যাচ্ছিলাম, কিন্তু আমাদের মালপত্র পর্যন্ত হাতে নেই। ইন্ডিগোর কর্মীরা আমাদের কিছু বলছেন না। এই মুহূর্তে এটি সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা। আমি বুঝি না কেন তারা নতুন যাত্রী নিচ্ছে আর মালপত্র জমিয়ে রাখছেন।’
আরেক যাত্রী জানালেন যে তিনি গতকাল দুপুর থেকে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছেন। তিনি বলেন, ‘তারা বারবার ফ্লাইট পিছিয়ে দিচ্ছে। ইন্ডিগোর তরফ থেকে আমরা কোনো স্পষ্ট খবর পাচ্ছি না।’ আরেক যাত্রী বলেন, ‘খুবই মানসিক চাপের বিষয় এটা। চৌদ্দ ঘণ্টা ধরে আমি বিমানবন্দরে বসে আছি। খাবার বা অন্য কিছুর জন্য কোনো কুপন নেই। আমার কানেকটিং ফ্লাইটটি বাতিল হয়েছে। যাত্রীরা চিৎকার-চেঁচামেচি করছেন, কিন্তু কর্মীরা কোনো স্পষ্ট জবাব দিচ্ছেন না। এমন জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য কর্মীদের বিন্দুমাত্র প্রশিক্ষণ নেই।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরসহ অন্যান্য বিমানবন্দরেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে। আটকা পড়া যাত্রীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ছিলেন। কারণ তাদের কোনো খাবার বা থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়নি। একদল যাত্রী প্রতিবাদস্বরূপ একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট পর্যন্ত আটকে দিয়েছিলেন।
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরের এক যাত্রী বলেন, ‘আমার ফ্লাইট গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাড়ার কথা ছিল। আমি আমার সহকর্মীকে নিয়ে সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ বিমানবন্দরে পৌঁছাই। আমাদের বলা হয়েছিল যে ফ্লাইট সময়মতো চলবে। এখন আমরা এখানে বারো ঘণ্টার বেশি সময় ধরে আছি। ইন্ডিগো আমাদের কোনো স্পষ্ট ধারণা দেয়নি। তারা শুধু বলে চলেছে, অনির্দিষ্টকালের জন্য দেরি হচ্ছে। আমাদের কোনো স্পষ্ট খবর, খাবার বা পানি দেওয়া হয়নি। ইন্ডিগোর সাড়া একেবারেই যাচ্ছেতাই। এখানে বয়স্ক মানুষ আছেন, যাদের বিশেষ দায়বদ্ধতা আছে, তাদের জন্য কোনো সমাধান নেই। এটা খুবই হাস্যকর।’
গোয়া বিমানবন্দরে একদল যাত্রী হতাশায় ভেঙে পড়েন। এক ভিডিওতে দেখা যায় তারা ইন্ডিগোর কর্মীদের লক্ষ্য করে চিৎকার করছেন। পরিস্থিতি সামলাতে বহু পুলিশ কর্মীকেও সেখানে দেখা যায়। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। সেখানে সেন্ট্রাল ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিকিউরিটি ফোর্স (সিআইএসএফ) ইন্ডিগোর যাত্রীদের প্রবেশ করতে বাধা দিয়েছে। বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে কমপক্ষে ঊনপঞ্চাশটি বহির্গমন ও তেতাল্লিশটি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর এই পরিচালনগত ত্রুটি আজ চতুর্থ দিনের মতো চলছে। কুড়ি বছরের পুরোনো এই বিমান সংস্থাটি ক্রু-সংকট ও প্রযুক্তিগত সমস্যাসহ একাধিক কারণে পাঁচ শ পঞ্চাশটিরও বেশি ফ্লাইট বাতিল করার রেকর্ড তৈরি করেছে। এর মধ্যে মুম্বাই বিমানবন্দরে এক শ চারটি, দিল্লি বিমানবন্দরে দু শ পঁচিশটি, বেঙ্গালুরুতে এক শ দু'টি এবং হায়দরাবাদে বিরানব্বইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ভূপাল বিমানবন্দরেও কমপক্ষে পাঁচটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগো স্বীকার করেছে যে তারা নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু-এর প্রয়োজনীয়তা ভুলভাবে আন্দাজ করেছিল এবং পরিকল্পনায় ঘাটতি ছিল, যার ফলস্বরূপ শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময়ে পর্যাপ্ত ক্রু-এর অভাব দেখা দিয়েছে। বিমান সংস্থাটি সতর্ক করেছে, সময়সূচি স্বাভাবিক করার চেষ্টার অংশ হিসেবে আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তারা জানিয়েছে, আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে তারা আরও বিঘ্ন এড়াতে ফ্লাইট পরিচালন কমিয়ে দেবে।
অন্যদিকে, ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স কর্মীদের বলেছেন যে পরিচালন স্বাভাবিক করা এবং সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ‘সহজ লক্ষ্য হবে না।’ বিমান সংস্থাটি গত রাতে তাদের গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে নতুন করে দুঃখ প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে তারা বলেছে, ‘গত দুই দিন ধরে ইন্ডিগোর নেটওয়ার্ক এবং পরিচালন ব্যবস্থায় ব্যাপক বিঘ্ন দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত আমাদের সব গ্রাহক এবং শিল্প স্টেকহোল্ডারদের কাছে আমরা আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ তারা আরও যোগ করেছে, ‘ইন্ডিগো এই বিলম্বের প্রভাব কমাতে এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে নিরলসভাবে ও সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩১ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলছে, ইরান থেকে ধেয়ে আসছে শতাধিক ড্রোন। সেগুলোর অবস্থান শনাক্ত করার চেষ্টা করছে তারা। ইরানি রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বলছে, এরই মধ্যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম ব্যারেজ উৎক্ষেপণ করা হয়েছে।
১৪ এপ্রিল ২০২৪
তবে বিশ্লেষক ও সাবেক সামরিক কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণ কোরিয়ার দ্রুত অগ্রসরমাণ এই কর্মসূচি চীনকে বিরক্ত করতে পারে এবং জাপানকেও একই ধরনের সক্ষমতা অর্জনের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
৩১ মিনিট আগে
যে বয়সে শিশুরা বর্ণমালা শেখে, ছত্তিশগড়ের বাস্তার জেলার বাকাওয়ান্দ গ্রামের বাসিন্দা লিসা তখন ভয়কে জানছিলেন। ছয় বছর বয়সেই তাঁর কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয় বাইরের জগতের সব শব্দ। বাড়ির দরজা শুধু খাবারের জন্য খুলত, জীবনের জন্য নয়। ২০ বছর পর কর্তৃপক্ষ যখন তাঁকে খুঁজে পায়, তখন তাঁর চোখে নয়, স্মৃতিতেও...
১ ঘণ্টা আগে
প্রায় বারো ঘণ্টা ধরে যাত্রীরা নিজেদের মালপত্র হাতে পেতে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর ইন্ডিগোর কাউন্টারগুলি ফাঁকা। ভারতের অন্যতম বৃহত্তম বিমান সংস্থা সংস্থা ইন্ডিগোর পরিচালনগত ত্রুটির কারণে পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে এমন বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা গেছে
১ ঘণ্টা আগে