সোহেল মারমা, জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম ও মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, থানচি

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
কথাগুলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফজলপাড়া বাজারসংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা নুরবানু বেগমের। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। সে সময় থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রাণভয়ে থানার পাশের ফজলপাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাঙালিপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। গুলির শব্দ থামার পর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরে তারা। মাঝরাতে আলীকদমে চেকপোস্টে হামলার খবর আসে। এমনিতেই রুমা ও থানচিতে তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তার মধ্যে থানা ও চেকপোস্টে হামলা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার থানচি থেকে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
গতকাল থানচির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদের গাড়িতে এলাকা ছাড়ছে অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল ছিল কম। বাঙালিপাড়ার মো. মাসুম উর ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছি। আপাতত বান্দরবান সদরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি।’
থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো রাত আতঙ্কে কেটেছে। ভয়ে অনেকে বান্দরবান সদরের বিভিন্ন পরিচিতজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
থানচি উপজেলাটি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে। থানচির পাশের উপজেলা রুমা ৩০ কিলোমিটার দূরে। থানচির ফজলপাড়ার বাসিন্দা আরিফ ওরফে কানাইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮টা ২০ মিনিটে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। হেডম্যান, ফজল ও বাঙালিপাড়ার মানুষ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা আমরা সবাই জঙ্গলেই ছিলাম।’ থানচি বাজারের জান্নাত রেস্টুরেন্টের কর্মচারী মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা খাদ্যগুদামে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’ রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘৪০ বছর চাকরিজীবনে এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। সশস্ত্র হামলার পর সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে।’
যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম বলেন, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৬ মামলা
গতকাল দুপুরে থানচি থানা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) সঞ্জয় সরকার বলেন, তিন ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় চার শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
থানা ঘিরে শতাধিক অস্ত্রধারীর গুলি
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা আক্রমণের চেষ্টার আগে কেএনএফের একটি দল রেকি করে। এরপর উপজেলার নাইক্ষ্যানপাড়া থেকে থানার দিকে আসার চেষ্টা করে ৮০-৯০ জনের সশস্ত্র দল। উপজেলার হাসপাতাল রোড দিয়েও ৩০ জনের একটি দল থানা আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে থানচি সদর ইউনিয়নের টুকতং ম্রোপাড়ায় সশস্ত্র একটি দলকে দেখা যায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে তিন-চারজন অপরিচিত লোক থানচি থানা জামে মসজিদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। ঠিক একই সময় থানচি সদর ইউনিয়নের তংক্ষ্যংপাড়ায় ১০-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান করছিল। স্থানীয়রা গোপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে ৮টায় টুকতংপাড়া থেকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন গতকাল সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
তিন উপজেলায় হামলার পরিকল্পনা ছিল
রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামের এক যুবককে গুলির ঘটনায় কেএনএফের বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এর জেরে ফেসবুকে ‘বান্দরবনবাসী’ নামের একটি পেজ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গত ১২ মার্চ বম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ নামের পেজ থেকে ‘সুন্দর ফিডব্যাক’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পোস্টের ২১ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন বন্ধ করে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। অপহরণ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। পরদিন দুপুরে গুলি চালিয়ে হামলা হয় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেয় কেএনএফ। ঘণ্টাখানেক পর থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তার কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাতে আলীকদম চেকপোস্টে হামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যে তিন উপজেলায় হামলার হুমকি দিয়েছিল কেএনএফ, তার মধ্যে দুটিতে এরই মধ্যে হামলা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখনো কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
এদিকে হামলার বিষয়ে গতকাল সকালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের ফেসবুক পেজে সংগঠনটির মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান ‘কর্নেল সলোমন’-এর বরাতে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনার যে চুক্তি সরকার করেছে, তার কোনো শর্তই সরকারপক্ষ সম্পাদন করেনি। পোস্টে জেলে বন্দীদের (কেএনএফ সদস্য নয়) মুক্তি না দেওয়া, নিরীহ জনগণকে হয়রানি, গ্রেপ্তারের হুমকিসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির খবর
থানচি, রুমার পর এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেএনএফ এই গুলি করেছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে রোয়াংছড়ির পাহাড় থেকে এই গুলির শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও স্থানীয়দের কাছ থেকে রোয়াংছড়িতে ফায়ার হয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্পটে আছি, ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি।’

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
কথাগুলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফজলপাড়া বাজারসংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা নুরবানু বেগমের। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। সে সময় থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রাণভয়ে থানার পাশের ফজলপাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাঙালিপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। গুলির শব্দ থামার পর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরে তারা। মাঝরাতে আলীকদমে চেকপোস্টে হামলার খবর আসে। এমনিতেই রুমা ও থানচিতে তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তার মধ্যে থানা ও চেকপোস্টে হামলা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার থানচি থেকে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
গতকাল থানচির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদের গাড়িতে এলাকা ছাড়ছে অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল ছিল কম। বাঙালিপাড়ার মো. মাসুম উর ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছি। আপাতত বান্দরবান সদরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি।’
থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো রাত আতঙ্কে কেটেছে। ভয়ে অনেকে বান্দরবান সদরের বিভিন্ন পরিচিতজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
থানচি উপজেলাটি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে। থানচির পাশের উপজেলা রুমা ৩০ কিলোমিটার দূরে। থানচির ফজলপাড়ার বাসিন্দা আরিফ ওরফে কানাইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮টা ২০ মিনিটে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। হেডম্যান, ফজল ও বাঙালিপাড়ার মানুষ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা আমরা সবাই জঙ্গলেই ছিলাম।’ থানচি বাজারের জান্নাত রেস্টুরেন্টের কর্মচারী মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা খাদ্যগুদামে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’ রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘৪০ বছর চাকরিজীবনে এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। সশস্ত্র হামলার পর সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে।’
যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম বলেন, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৬ মামলা
গতকাল দুপুরে থানচি থানা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) সঞ্জয় সরকার বলেন, তিন ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় চার শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
থানা ঘিরে শতাধিক অস্ত্রধারীর গুলি
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা আক্রমণের চেষ্টার আগে কেএনএফের একটি দল রেকি করে। এরপর উপজেলার নাইক্ষ্যানপাড়া থেকে থানার দিকে আসার চেষ্টা করে ৮০-৯০ জনের সশস্ত্র দল। উপজেলার হাসপাতাল রোড দিয়েও ৩০ জনের একটি দল থানা আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে থানচি সদর ইউনিয়নের টুকতং ম্রোপাড়ায় সশস্ত্র একটি দলকে দেখা যায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে তিন-চারজন অপরিচিত লোক থানচি থানা জামে মসজিদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। ঠিক একই সময় থানচি সদর ইউনিয়নের তংক্ষ্যংপাড়ায় ১০-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান করছিল। স্থানীয়রা গোপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে ৮টায় টুকতংপাড়া থেকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন গতকাল সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
তিন উপজেলায় হামলার পরিকল্পনা ছিল
রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামের এক যুবককে গুলির ঘটনায় কেএনএফের বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এর জেরে ফেসবুকে ‘বান্দরবনবাসী’ নামের একটি পেজ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গত ১২ মার্চ বম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ নামের পেজ থেকে ‘সুন্দর ফিডব্যাক’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পোস্টের ২১ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন বন্ধ করে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। অপহরণ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। পরদিন দুপুরে গুলি চালিয়ে হামলা হয় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেয় কেএনএফ। ঘণ্টাখানেক পর থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তার কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাতে আলীকদম চেকপোস্টে হামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যে তিন উপজেলায় হামলার হুমকি দিয়েছিল কেএনএফ, তার মধ্যে দুটিতে এরই মধ্যে হামলা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখনো কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
এদিকে হামলার বিষয়ে গতকাল সকালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের ফেসবুক পেজে সংগঠনটির মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান ‘কর্নেল সলোমন’-এর বরাতে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনার যে চুক্তি সরকার করেছে, তার কোনো শর্তই সরকারপক্ষ সম্পাদন করেনি। পোস্টে জেলে বন্দীদের (কেএনএফ সদস্য নয়) মুক্তি না দেওয়া, নিরীহ জনগণকে হয়রানি, গ্রেপ্তারের হুমকিসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির খবর
থানচি, রুমার পর এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেএনএফ এই গুলি করেছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে রোয়াংছড়ির পাহাড় থেকে এই গুলির শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও স্থানীয়দের কাছ থেকে রোয়াংছড়িতে ফায়ার হয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্পটে আছি, ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি।’
সোহেল মারমা, জমির উদ্দিন, চট্টগ্রাম ও মংবোওয়াংচিং মারমা অনুপম, থানচি

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
কথাগুলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফজলপাড়া বাজারসংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা নুরবানু বেগমের। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। সে সময় থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রাণভয়ে থানার পাশের ফজলপাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাঙালিপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। গুলির শব্দ থামার পর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরে তারা। মাঝরাতে আলীকদমে চেকপোস্টে হামলার খবর আসে। এমনিতেই রুমা ও থানচিতে তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তার মধ্যে থানা ও চেকপোস্টে হামলা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার থানচি থেকে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
গতকাল থানচির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদের গাড়িতে এলাকা ছাড়ছে অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল ছিল কম। বাঙালিপাড়ার মো. মাসুম উর ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছি। আপাতত বান্দরবান সদরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি।’
থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো রাত আতঙ্কে কেটেছে। ভয়ে অনেকে বান্দরবান সদরের বিভিন্ন পরিচিতজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
থানচি উপজেলাটি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে। থানচির পাশের উপজেলা রুমা ৩০ কিলোমিটার দূরে। থানচির ফজলপাড়ার বাসিন্দা আরিফ ওরফে কানাইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮টা ২০ মিনিটে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। হেডম্যান, ফজল ও বাঙালিপাড়ার মানুষ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা আমরা সবাই জঙ্গলেই ছিলাম।’ থানচি বাজারের জান্নাত রেস্টুরেন্টের কর্মচারী মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা খাদ্যগুদামে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’ রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘৪০ বছর চাকরিজীবনে এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। সশস্ত্র হামলার পর সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে।’
যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম বলেন, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৬ মামলা
গতকাল দুপুরে থানচি থানা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) সঞ্জয় সরকার বলেন, তিন ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় চার শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
থানা ঘিরে শতাধিক অস্ত্রধারীর গুলি
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা আক্রমণের চেষ্টার আগে কেএনএফের একটি দল রেকি করে। এরপর উপজেলার নাইক্ষ্যানপাড়া থেকে থানার দিকে আসার চেষ্টা করে ৮০-৯০ জনের সশস্ত্র দল। উপজেলার হাসপাতাল রোড দিয়েও ৩০ জনের একটি দল থানা আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে থানচি সদর ইউনিয়নের টুকতং ম্রোপাড়ায় সশস্ত্র একটি দলকে দেখা যায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে তিন-চারজন অপরিচিত লোক থানচি থানা জামে মসজিদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। ঠিক একই সময় থানচি সদর ইউনিয়নের তংক্ষ্যংপাড়ায় ১০-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান করছিল। স্থানীয়রা গোপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে ৮টায় টুকতংপাড়া থেকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন গতকাল সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
তিন উপজেলায় হামলার পরিকল্পনা ছিল
রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামের এক যুবককে গুলির ঘটনায় কেএনএফের বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এর জেরে ফেসবুকে ‘বান্দরবনবাসী’ নামের একটি পেজ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গত ১২ মার্চ বম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ নামের পেজ থেকে ‘সুন্দর ফিডব্যাক’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পোস্টের ২১ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন বন্ধ করে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। অপহরণ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। পরদিন দুপুরে গুলি চালিয়ে হামলা হয় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেয় কেএনএফ। ঘণ্টাখানেক পর থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তার কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাতে আলীকদম চেকপোস্টে হামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যে তিন উপজেলায় হামলার হুমকি দিয়েছিল কেএনএফ, তার মধ্যে দুটিতে এরই মধ্যে হামলা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখনো কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
এদিকে হামলার বিষয়ে গতকাল সকালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের ফেসবুক পেজে সংগঠনটির মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান ‘কর্নেল সলোমন’-এর বরাতে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনার যে চুক্তি সরকার করেছে, তার কোনো শর্তই সরকারপক্ষ সম্পাদন করেনি। পোস্টে জেলে বন্দীদের (কেএনএফ সদস্য নয়) মুক্তি না দেওয়া, নিরীহ জনগণকে হয়রানি, গ্রেপ্তারের হুমকিসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির খবর
থানচি, রুমার পর এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেএনএফ এই গুলি করেছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে রোয়াংছড়ির পাহাড় থেকে এই গুলির শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও স্থানীয়দের কাছ থেকে রোয়াংছড়িতে ফায়ার হয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্পটে আছি, ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি।’

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
কথাগুলো বান্দরবানের থানচি উপজেলার ফজলপাড়া বাজারসংলগ্ন বাড়ির বাসিন্দা নুরবানু বেগমের। এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে। সে সময় থানচি থানা লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। জবাবে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। প্রাণভয়ে থানার পাশের ফজলপাড়া, হেডম্যানপাড়া ও বাঙালিপাড়ার প্রায় ৫০০ পরিবার জঙ্গলে আশ্রয় নেয়। গুলির শব্দ থামার পর রাত ১০টার দিকে বাড়ি ফেরে তারা। মাঝরাতে আলীকদমে চেকপোস্টে হামলার খবর আসে। এমনিতেই রুমা ও থানচিতে তিন ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছিল।
তার মধ্যে থানা ও চেকপোস্টে হামলা আতঙ্ক আরও বাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার থানচি থেকে অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছেন।
গতকাল থানচির বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বেশির ভাগ দোকানপাট বন্ধ। বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ব্রিজের মাথায় গিয়ে দেখা যায়, চাঁদের গাড়িতে এলাকা ছাড়ছে অনেকে। তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহন চলাচল ছিল কম। বাঙালিপাড়ার মো. মাসুম উর ইসলাম বলেন, ‘নিরাপদ জায়গায় যাচ্ছি। আপাতত বান্দরবান সদরে এক আত্মীয়ের বাসায় যাচ্ছি।’
থানচি সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অং প্রু ম্রো আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুরো রাত আতঙ্কে কেটেছে। ভয়ে অনেকে বান্দরবান সদরের বিভিন্ন পরিচিতজনের বাড়িতে চলে যাচ্ছে।
থানচি উপজেলাটি বান্দরবান সদর থেকে প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে। থানচির পাশের উপজেলা রুমা ৩০ কিলোমিটার দূরে। থানচির ফজলপাড়ার বাসিন্দা আরিফ ওরফে কানাইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৮টা ২০ মিনিটে আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। হেডম্যান, ফজল ও বাঙালিপাড়ার মানুষ ভয়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়। দুই ঘণ্টা আমরা সবাই জঙ্গলেই ছিলাম।’ থানচি বাজারের জান্নাত রেস্টুরেন্টের কর্মচারী মো. মহসীন বলেন, ‘আমরা খাদ্যগুদামে আশ্রয় নিয়েছিলাম।’ রুমা উপজেলা প্রশাসনের কর্মচারী মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘৪০ বছর চাকরিজীবনে এ রকম পরিস্থিতি দেখিনি। সশস্ত্র হামলার পর সবার মধ্যে ভয় কাজ করছে।’
যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসন সূত্র বলেছে, সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় বান্দরবান সদর থেকে রুমা ও থানচি পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম বলেন, সব জায়গায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় ৬ মামলা
গতকাল দুপুরে থানচি থানা পরিদর্শন শেষে চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন) সঞ্জয় সরকার বলেন, তিন ব্যাংকে ডাকাতি, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র লুট, থানায় হামলা এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনায় ছয়টি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় চার শতাধিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
থানা ঘিরে শতাধিক অস্ত্রধারীর গুলি
পুলিশ বলেছে, বৃহস্পতিবার রাতে থানচি থানা আক্রমণের চেষ্টার আগে কেএনএফের একটি দল রেকি করে। এরপর উপজেলার নাইক্ষ্যানপাড়া থেকে থানার দিকে আসার চেষ্টা করে ৮০-৯০ জনের সশস্ত্র দল। উপজেলার হাসপাতাল রোড দিয়েও ৩০ জনের একটি দল থানা আক্রমণের চেষ্টা করে। তবে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি চালিয়ে আক্রমণ ঠেকিয়ে দেয়।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে থানচি সদর ইউনিয়নের টুকতং ম্রোপাড়ায় সশস্ত্র একটি দলকে দেখা যায়। এ ছাড়া মোটরসাইকেলে তিন-চারজন অপরিচিত লোক থানচি থানা জামে মসজিদের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছিল। ঠিক একই সময় থানচি সদর ইউনিয়নের তংক্ষ্যংপাড়ায় ১০-২০ জনের সশস্ত্র একটি দল অবস্থান করছিল। স্থানীয়রা গোপনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। রাত সাড়ে ৮টায় টুকতংপাড়া থেকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা।
থানচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন গতকাল সকালে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, সন্ত্রাসীরা থানার আশপাশে রয়েছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছি।’
তিন উপজেলায় হামলার পরিকল্পনা ছিল
রুমায় উহ্লাচিং মারমা নামের এক যুবককে গুলির ঘটনায় কেএনএফের বিরুদ্ধে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এর জেরে ফেসবুকে ‘বান্দরবনবাসী’ নামের একটি পেজ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িতে হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর গত ১২ মার্চ বম সম্প্রদায়ের দুই ব্যক্তিকে আটকের ঘটনায় ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি (কেএনএ)’ নামের পেজ থেকে ‘সুন্দর ফিডব্যাক’ দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
দ্বিতীয় পোস্টের ২১ দিনের মাথায় গত মঙ্গলবার রাতে রুমায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন বন্ধ করে সোনালী ব্যাংকে হামলা চালায় কেএনএফ সদস্যরা। অপহরণ করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে। পরদিন দুপুরে গুলি চালিয়ে হামলা হয় থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংকে। এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপককে ছেড়ে দেয় কেএনএফ। ঘণ্টাখানেক পর থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তারা। তার কয়েক ঘণ্টা পর মধ্যরাতে আলীকদম চেকপোস্টে হামলা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, যে তিন উপজেলায় হামলার হুমকি দিয়েছিল কেএনএফ, তার মধ্যে দুটিতে এরই মধ্যে হামলা করেছে তারা। এই পরিস্থিতিতে রোয়াংছড়িতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রোয়াংছড়িতে এখনো কোনো সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটেনি। তবে আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি।’
এদিকে হামলার বিষয়ে গতকাল সকালে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট নামের ফেসবুক পেজে সংগঠনটির মিডিয়া ও ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের প্রধান ‘কর্নেল সলোমন’-এর বরাতে একটি পোস্টে দাবি করা হয়, কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনার যে চুক্তি সরকার করেছে, তার কোনো শর্তই সরকারপক্ষ সম্পাদন করেনি। পোস্টে জেলে বন্দীদের (কেএনএফ সদস্য নয়) মুক্তি না দেওয়া, নিরীহ জনগণকে হয়রানি, গ্রেপ্তারের হুমকিসহ ১০টি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কথা বলতে পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির খবর
থানচি, রুমার পর এবার রোয়াংছড়িতে গোলাগুলির শব্দ পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে, কেএনএফ এই গুলি করেছে। গতকাল রাত ১২টার দিকে রোয়াংছড়ির পাহাড় থেকে এই গুলির শব্দ শোনা যায় বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
রোয়াংছড়ির দায়িত্বে থাকা বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমিও স্থানীয়দের কাছ থেকে রোয়াংছড়িতে ফায়ার হয়েছে বলে শুনেছি। আমি স্পটে আছি, ভেরিফাই করার চেষ্টা করছি।’

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
৪০ মিনিট আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার পলাশ গোবরচাকা এলাকার সুলতান তালুকদারের ছেলে।
র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল হক জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাঁরা জানতে পারেন, খুলনার অন্যতম ও পলাতক আসামি চিংড়ি পলাশ তাঁর সহযোগীদের নিয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে একটি বিশেষ দল সেখানে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, চিংড়ি পলাশ দীর্ঘদিন ধরে খুলনা এবং আশপাশের জেলাগুলোর চিংড়িঘের মালিকদের কাছ থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে মোট ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে সোনাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা রয়েছে আটটি। এ ছাড়া মাদক, চাঁদাবাজি, মারামারি ও বিস্ফোরক আইনে একাধিক মামলা রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
২০২৪ সালের ২৯ ডিসেম্বর নৌ পুলিশ ও থানা-পুলিশের যৌথ অভিযানে স্ত্রীসহ মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন পলাশ। চার মাস আগে জামিনে বেরিয়ে তিনি আবারও চাঁদাবাজি শুরু করেছেন অভিযোগ ওঠে।

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৪
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
৪০ মিনিট আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেদশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
জানা যায়, উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। আজ উপকেন্দ্রের বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইক প্রচার করে গ্রাহকদের অবহিত করা হয়। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য বিশেষ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে উপজেলা বিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩৩/১১ কেভি লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের কাজের সময় যেকোনো সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হতে পারে, তাই সবাইকে সাবধান ও সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়।
উপজেলা বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মো. জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে জানান, দশমিনা উপজেলায় ৩৩/১১ কেভি বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। আজ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কাজ করা হবে। তাই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। তিনি আরও বলেন, এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ লাইন সচল হতে পারে। তাই গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
৪০ মিনিট আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
আবহাওয়া অফিস জানায়, গত এক সপ্তাহে পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা ছিল সোমবার ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন দিনমজুর ও বালুশ্রমিকেরা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় জেলার বিভিন্ন এলাকা। দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় সড়কের যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করে। কাজের প্রয়োজনে যাঁরা বের হয়েছেন, তাঁদের অনেকেই শীত নিবারণে ভারী কাপড় জড়িয়ে নিলেও ঠান্ডা হাওয়া শরীরে লাগতেই কাঁপন ধরে যাচ্ছে।
পঞ্চগড় করতোয়া নদীর বালুশ্রমিক খোকন বলেন, ‘এই ঠান্ডার মধ্যে পানিত নামলে হাত-পা হ্যাম হয়ে যায়। কিন্তু কী করমু ভাই, বালু না তুললে বাড়িত পোলা-মাইয়াদর খাওন কেমনে দিব? অন্য পেশায় তো যাইতে পারি না।’ তাঁর পাশে থাকা আরেক শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, ‘শীত পড়লেই আমাদের কষ্ট ডাবল হয়। বরফ পানির ভেতরে বালু তুলতে গেলে হাত-পায়ে ব্যথা ধরে। সরকার যদি এই সময়টায় গরিব মাইনসের লাইগা কিছু সুবিধা দিত, তাহলে একটু বাঁচতাম।’
এদিকে শীতের কারণে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। সর্দি-কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। ফলে হাসপাতালগুলোর রোগীর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ, যা শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক কাজী মো. সাইমুজ্জামান বলেন, শীতার্ত মানুষের জন্য সরকারিভাবে ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন উপজেলায় শীতবস্ত্র বিতরণ চলছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও সহায়তা করছে।

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি।
৮ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।
সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’
গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

পুকুর শুকিয়ে গেছে। গভীর নলকূপগুলোও বিকল। উপায় না দেখে ঘরের সামনে পুকুরে বড় গর্ত খুঁড়ে রাখা হয়েছে। তারপর সেখানে জমা হওয়া পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে। এদিকে নদীতে পানি থাকলেও তা লোনা। কেউ কেউ সেই লোনা পানি ব্যবহার করায় দেখা দিচ্ছে নানা রোগব্যাধি। ফলে বাসিন্দারা নিজেদের ব্যবহারের পানিসংকটের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়েও চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এমন পরিস্থিতি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বিচ্ছিন্ন চরআতাউরে। এই চরে দুটি গুচ্ছগ্রাম ও একটি ব্যারাক হাউসে প্রায় চার শ লোকের বসবাস। তাদের সুবিধার্থে সরকারিভাবে দুটি বড় পুকুর খনন করা হয়। অস্বাভাবিক জোয়ারে পুকুরের পাড় ভেঙে পানি ঢুকে পড়ে। তাতে পলি জমে জমে পুকুরগুলো সমতলের মতো হয়ে গেছে। ফলে এখন আর পানি জমে না এই পুকুরগুলোতে। এ ছাড়া এখানকার বাসিন্দাদের ব্যবহারের জন্য চারটি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে তিনটি অনেক আগে থেকেই বিকল। একটি থেকে কোনোমতে খাওয়ার পানি সংগ্রহ করা যায়। কিন্তু দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য মানুষজনকে নদীর লোনা পানিসহ বিকল্প উৎস খুঁজতে হয়।
সরেজমিনে তরুবীথি গুচ্ছ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এক গৃহিণী ঘরের সামনের গর্তে জমে থাকা ঘোলা পানিতে থালাবাসন পরিষ্কার করছেন। অল্প পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার হয় কি না—প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘কিছুই করার নেই। নদীর লোনা পানির চেয়ে অনেক ভালো গর্তের এই পানি। লোনা পানি ব্যবহারে শরীরে অ্যালার্জিসহ নানা রোগ দেখা দিয়েছে। এ জন্য ঘরের সামনে পুকুরের মধ্যে গর্ত তৈরি করে নিয়েছি। তা দিয়ে দৈনন্দিন গোসল, রান্নার কাজে ব্যবহারসহ বিভিন্ন প্রয়োজন মেটাতে হয়।’
গুচ্ছগ্রামের উত্তর পাড়ে বসবাস করেন লিপি রানী দাস নামের একজন। তিনি বলেন, এখন শীত মৌসুম শুরু হয়েছে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কিছুদিন পর গর্তের পানি শুকিয়ে যাবে। তখন গরু-ছাগল ও নিজেদের প্রয়োজন মেটানো অনেক কঠিন হয়ে যাবে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুধু লিপি, আফিয়া বা হাজেরা নয়। তরুবীথি ও ছায়াবীথি দুটি গুচ্ছ গ্রামের অনেকে নিজেদের প্রয়োজনে ঘরের সামনে গর্ত করে নিয়েছেন। সেই গর্তের পানি তাঁদের একমাত্র ভরসা।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে সেখানে নতুন একটি পুকুর খননের জন্য চিন্তা করতেছি। এ ছাড়া আগের পুকুরগুলো পুনরায় খনন করা যায় কি না তাও দেখতেছি।’

‘চারদিকে গোলাগুলির শব্দ। ভয়ে ছোট বাচ্চাকে নিয়ে প্রথমে খাটের নিচে ঢুকে পড়ি। বেশ কিছুক্ষণ চলে গোলাগুলি। বাইরে হইচই-আওয়াজ। সবাই পাশের জঙ্গলে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যেই বাচ্চাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। গোলাগুলি থেকে বাঁচতে গ্রামের অন্য মানুষের সঙ্গে জঙ্গলে আশ্রয় নিই।’
০৬ এপ্রিল ২০২৪
খুলনার সোনাডাঙ্গা এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ পলাশ তালুকদার ওরফে চিংড়ি পলাশ (৩৪) যশোরে র্যাব-৬-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। গতকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) রাতে যশোর শহরের নাজিরশংকরপুর জিরো পয়েন্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৫ মিনিট আগে
পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় আজ সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম প্রকৌশলী মো. জাকির হোসেন।
৩০ মিনিট আগে
পঞ্চগড়ে টানা তিন দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরেই অবস্থান করছে। আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।
৪০ মিনিট আগে