নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা গৃহকর্ত্রী সাথীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে আজ দুপুরে গৃহকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
গতকাল ঘটনার পর সরেজমিন দেখা যায়, বেডরুমের খাটে আড়াআড়িভাবে চিত হয়ে পড়ে আছে আনুমানিক সাত-আট বছর বয়সী অজ্ঞাত গৃহকর্মীর মরদেহ। বাসার সবকিছু স্বাভাবিক। রান্না ঘরে পানিতে ভেজানো মাছ, পাত্রে ডিম, পাতিলে ভেজানো ছিল রান্নার চালও। কিন্তু কেউ নেই রান্না করার। বাসার গৃহকর্ত্রী সাথী আক্তার পারভীন নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও নিয়ে যাননি। শুধু নিজের তিন বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর পাঁচ মিনিট পর ফিরে আসেন। তবে এরপর আবার তিনি বেরিয়ে যান।
পুলিশের ধারণা, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হতো। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালেও হয়তো ওই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা যাওয়ার পর রান্নার সবকিছু আর মোবাইল ফোন ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।
কলাবাগান থানা-পুলিশের দাবি, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে অজ্ঞাত ফোনে গৃহকর্মী মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয়। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি মালিক সমিতির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত গৃহকর্মী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে অনেক নতুন ও পুরোনো আঘাতের চিহ্ন। মুখে ফেনা, শরীর ফোলা। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই শিশু গৃহকর্মীর সুরতহাল রিপোর্ট করেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নার্গিস আক্তার। সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, কপালে দাগ আছে, বাঁ ও ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন, মুখমণ্ডল ফোলা, বুকে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ হাতে দাগ আছে এবং ডান হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ ও ডান পায়ে হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন আছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের পরিচয় শনাক্তে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ দুপুরে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না অভিযুক্ত নারীর। ওই বাসায় যে গৃহকর্মী আছে, তা অনেকে জানলেও দেখেছেন খুব কমই। গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর ওই নারীও লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। আমরা সেখানকার লোকাল থানাতেও নিহতের সুরতহালকালীন তোলা ছবি পাঠিয়েছি। এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি।’
কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, ‘নানাভাবেই পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে; কিন্তু পাইনি। অভিযুক্ত নারীর নিকটাত্মীয় ও পরিচিতদের মাধ্যমে শুনেছি নিহত গৃহকর্মী এতিম। তবে সেটিও নিশ্চিত নয়। পরিচয় না মিললে আজই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
কলাবাগান থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১-এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তাঁর শিশুসন্তান আর ওই গৃহকর্মী নিয়ে বসবাস করতেন। সাথী ২০১৬ সালে এই বাসায় ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় একাই থাকতেন। তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজ করছিল।
দুই বছর ধরে ভবনটির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে সাথী ও তাঁর স্বামী ডাক্তার শহীদুল হক রাহাত এখানে বসবাস করতেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়ায় তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। নিজেকে এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিলেও আদতে তিনি কী করেন, কেউ জানি না। সাথী আক্তার প্রভাব খাটিয়ে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এমনকি মারধরও করেছেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে (২০২০ সাল থেকে) তিনি বাসার কোনো সার্ভিস চার্জও পরিশোধ করেননি। এই ভবনের দায়িত্বে আসার আমার দুই বছর হলো। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখতেন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে। চাইতে গেলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। বলেন যা দেওয়ার স্বামী দেবে। ডিভোর্স সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলাও চলছে বলে শুনেছি।’
ওসি সাইফুল বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত সাথী আক্তার পারভীনের দুই স্বামী। প্রথম স্বামীর নাম মামুন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একজন চিকিৎসকের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হয় ২০২০ সালে। ওই স্বামীর পরিচয়েই তিনি ফ্ল্যাটটিতে ২০১৬ সাল থেকে থাকেন। ডিভোর্সের পর সাথীর স্বামী ঢাকা থেকে চলে যান এবং তিনি এখন যশোরে থাকেন। সাথীর চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে তিনি আর এ বাসায় আসেন না। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ওই গৃহকর্মীকে বাসায় এনেছিলেন সাথী। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ায় এই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দেন।’
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪ মিনিটে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান সাথী আক্তার। এর ৫ মিনিট পর ৯টা ৯ মিনিটে আবারও ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে ৮ মিনিট পরে আবার বেরিয়ে যান। পরে তিনি আর ফেরেননি। ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর সেদিন ওই সময়ই তিনি বাসা থেকে লাপাত্তা হন।

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্তা গৃহকর্ত্রী সাথীরও কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
তবে আজ দুপুরে গৃহকর্মীর মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. তৌহিদা বেগম ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
গতকাল ঘটনার পর সরেজমিন দেখা যায়, বেডরুমের খাটে আড়াআড়িভাবে চিত হয়ে পড়ে আছে আনুমানিক সাত-আট বছর বয়সী অজ্ঞাত গৃহকর্মীর মরদেহ। বাসার সবকিছু স্বাভাবিক। রান্না ঘরে পানিতে ভেজানো মাছ, পাত্রে ডিম, পাতিলে ভেজানো ছিল রান্নার চালও। কিন্তু কেউ নেই রান্না করার। বাসার গৃহকর্ত্রী সাথী আক্তার পারভীন নিজের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও নিয়ে যাননি। শুধু নিজের তিন বছরের সন্তানকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে যান। এরপর পাঁচ মিনিট পর ফিরে আসেন। তবে এরপর আবার তিনি বেরিয়ে যান।
পুলিশের ধারণা, কলাবাগানের সেন্ট্রাল রোডের ওই বাসায় প্রায়ই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হতো। গত বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকালেও হয়তো ওই শিশু গৃহকর্মীকে নির্যাতন করা হয়েছিল। শিশুটি মারা যাওয়ার পর রান্নার সবকিছু আর মোবাইল ফোন ফেলে লাপাত্তা হয়ে যান গৃহকর্ত্রী সাথী।
কলাবাগান থানা-পুলিশের দাবি, শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাতে অজ্ঞাত ফোনে গৃহকর্মী মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পায় তারা। এরপর রাত দেড়টার দিকে কলাবাগান থানাধীন সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনে গিয়ে বেশ কটি বাসায় খোঁজও নেয়। ওই ভবনটিতে ৪৪টি ফ্ল্যাট। মধ্যরাতে সব ফ্ল্যাটে খোঁজ নেওয়া বেগতিক বুঝে ফিরে আসে পুলিশ। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বাড়ি মালিক সমিতির লোকজন নিয়ে ভবনটির দ্বিতীয় তলা ই-১ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতর থেকে অজ্ঞাত গৃহকর্মী শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃত্যুর আনুমানিক ৪৮ ঘণ্টা পর গতকাল (২৬ আগস্ট) সকালে মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহালে পুলিশ দেখতে পায়, শরীরে অনেক নতুন ও পুরোনো আঘাতের চিহ্ন। মুখে ফেনা, শরীর ফোলা। মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এর আগে ওই শিশু গৃহকর্মীর সুরতহাল রিপোর্ট করেন কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নার্গিস আক্তার। সুরতহাল রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেন, কপালে দাগ আছে, বাঁ ও ডান চোখে আঘাতের চিহ্ন, মুখমণ্ডল ফোলা, বুকে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ হাতে দাগ আছে এবং ডান হাতের আঙুলে আঘাতের চিহ্ন আছে। বাঁ ও ডান পায়ে হাঁটুতে আঘাতের চিহ্ন আছে।
পুলিশ বলছে, নিহতের পরিচয় শনাক্তে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে আজ দুপুরে কলাবাগান থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবনের অন্য বাসিন্দাদের সঙ্গে বিশেষ যোগাযোগ ছিল না অভিযুক্ত নারীর। ওই বাসায় যে গৃহকর্মী আছে, তা অনেকে জানলেও দেখেছেন খুব কমই। গৃহকর্মীর মৃত্যুর পর ওই নারীও লাপাত্তা হয়ে যাওয়ায় পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমরা সব ধরনের চেষ্টা করছি। ওই নারীর গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। আমরা সেখানকার লোকাল থানাতেও নিহতের সুরতহালকালীন তোলা ছবি পাঠিয়েছি। এখনো পরিচয় শনাক্ত হয়নি।’
কলাবাগান থানার ওসি (তদন্ত) আবু জাফর মো. মাহফুজুল কবির বলেন, ‘নানাভাবেই পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে; কিন্তু পাইনি। অভিযুক্ত নারীর নিকটাত্মীয় ও পরিচিতদের মাধ্যমে শুনেছি নিহত গৃহকর্মী এতিম। তবে সেটিও নিশ্চিত নয়। পরিচয় না মিললে আজই পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত গৃহকর্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।’
কলাবাগান থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সেন্ট্রাল রোডের ৭৭ নম্বর ভবনের দ্বিতীয় তলায় ফ্ল্যাট ই-১-এর বাসিন্দা সাথী আক্তার পারভীন তাঁর শিশুসন্তান আর ওই গৃহকর্মী নিয়ে বসবাস করতেন। সাথী ২০১৬ সালে এই বাসায় ওঠেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় একাই থাকতেন। তিন বছর ধরে নিহত গৃহকর্মী ওই বাসায় কাজ করছিল।
দুই বছর ধরে ভবনটির কেয়ারটেকারের দায়িত্ব পালন করছেন মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘২০১৬ সাল থেকে সাথী ও তাঁর স্বামী ডাক্তার শহীদুল হক রাহাত এখানে বসবাস করতেন। কিন্তু স্বামীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব হওয়ায় তাঁকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। নিজেকে এলজিইডির ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে পরিচয় দিলেও আদতে তিনি কী করেন, কেউ জানি না। সাথী আক্তার প্রভাব খাটিয়ে ফ্ল্যাটটিতে থাকতেন। আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতেন। এমনকি মারধরও করেছেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্সের পর থেকে (২০২০ সাল থেকে) তিনি বাসার কোনো সার্ভিস চার্জও পরিশোধ করেননি। এই ভবনের দায়িত্বে আসার আমার দুই বছর হলো। কিন্তু দূরত্ব বজায় রাখতেন। কারও সঙ্গে মিশতেন না। সার্ভিস চার্জ ১ লাখ ৭৪ হাজার টাকা বকেয়া পড়েছে। চাইতে গেলে তিনি খারাপ আচরণ করেন। বলেন যা দেওয়ার স্বামী দেবে। ডিভোর্স সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মামলাও চলছে বলে শুনেছি।’
ওসি সাইফুল বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, অভিযুক্ত সাথী আক্তার পারভীনের দুই স্বামী। প্রথম স্বামীর নাম মামুন। তিনি পেশায় গাড়িচালক। তাঁর ঘরে কন্যাসন্তানও রয়েছে। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একজন চিকিৎসকের সঙ্গে বিবাহ হয়। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হয় ২০২০ সালে। ওই স্বামীর পরিচয়েই তিনি ফ্ল্যাটটিতে ২০১৬ সাল থেকে থাকেন। ডিভোর্সের পর সাথীর স্বামী ঢাকা থেকে চলে যান এবং তিনি এখন যশোরে থাকেন। সাথীর চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করে জানতে পারি, ডিভোর্স হওয়ার পর থেকে তিনি আর এ বাসায় আসেন না। তাঁর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর ওই গৃহকর্মীকে বাসায় এনেছিলেন সাথী। এমনকি স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ায় এই ফ্ল্যাটও বিক্রি করে দেন।’
তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, গত বৃহস্পতিবারের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ৯টা ৪ মিনিটে নিজের শিশুসন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে যান সাথী আক্তার। এর ৫ মিনিট পর ৯টা ৯ মিনিটে আবারও ফিরে আসেন। পরবর্তীকালে ৮ মিনিট পরে আবার বেরিয়ে যান। পরে তিনি আর ফেরেননি। ওই গৃহকর্মীকে নির্যাতন করে হত্যার পর সেদিন ওই সময়ই তিনি বাসা থেকে লাপাত্তা হন।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় তারা।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল...
৩৯ মিনিট আগে
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
১ ঘণ্টা আগেআক্কেলপুর (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় চোরেরা।
সোমবার দিবাগত রাতে (২৩ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের আওয়ালগাড়ী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস ইসলাম (৩৫) ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। চুরি যাওয়া তিনটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন ফেরদৌস ইসলামের মা আসমা বেগম। তাঁর চিৎকার শুনে ফেরদৌস ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেন। পরে গোয়ালঘরে গিয়ে তিনি দেখতে পান, ভেতরে বাঁধা তিনটি গরু নেই। গোয়ালঘরের দেয়ালের ইট ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। বাড়ির উঠানে রাখা মোটরসাইকেলটিও পড়ে ছিল বিকল হয়ে।
ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে গরুগুলো লালন পালন করছিলাম। আগামী কোরবানির ঈদে বিক্রি করতাম। চোরেরা বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে তিনটি ষাঁড় গরু নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তাঁরা মোটরসাইকেলটির তেলও নিয়ে গেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কৃষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় চোরেরা।
সোমবার দিবাগত রাতে (২৩ ডিসেম্বর) ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রুকিন্দিপুর ইউনিয়নের আওয়ালগাড়ী গ্রামের মাঠপাড়া এলাকায়।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ফেরদৌস ইসলাম (৩৫) ওই এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে। চুরি যাওয়া তিনটি গরুর আনুমানিক মূল্য প্রায় তিন লাখ টাকা বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী কৃষক ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মঙ্গলবার ভোরে ঘুম থেকে উঠে ঘরের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করেন ফেরদৌস ইসলামের মা আসমা বেগম। তাঁর চিৎকার শুনে ফেরদৌস ঘুম থেকে উঠে দরজা খুলে দেন। পরে গোয়ালঘরে গিয়ে তিনি দেখতে পান, ভেতরে বাঁধা তিনটি গরু নেই। গোয়ালঘরের দেয়ালের ইট ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। বাড়ির উঠানে রাখা মোটরসাইকেলটিও পড়ে ছিল বিকল হয়ে।
ফেরদৌস বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে গরুগুলো লালন পালন করছিলাম। আগামী কোরবানির ঈদে বিক্রি করতাম। চোরেরা বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে তিনটি ষাঁড় গরু নিয়ে গেছে। যাওয়ার সময় তাঁরা মোটরসাইকেলটির তেলও নিয়ে গেছে। আমি পুলিশকে জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে আক্কেলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন রেজা জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কৃষক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্
২৭ আগস্ট ২০২৩
সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল...
৩৯ মিনিট আগে
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
১ ঘণ্টা আগেসিলেট প্রতিনিধি

সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাওলানা বদরুল ইসলাম (৫৫) কাজলসার ইউনিয়নের কাজিরপাতন গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে । তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাওলানা বদরুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে উঠলে দ্রুতগতির একটি ট্রলি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক ট্রলিটি জব্দে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মাওলানা বদরুল ইসলাম (৫৫) কাজলসার ইউনিয়নের কাজিরপাতন গ্রামের ইলিয়াস আলীর ছেলে । তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার একটি মসজিদের ইমাম হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মাওলানা বদরুল ইসলাম বাড়ি থেকে বের হয়ে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কে উঠলে দ্রুতগতির একটি ট্রলি তাঁকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়ে রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে জকিগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সুজন মিয়া জানান, নিহতের পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনের প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতক ট্রলিটি জব্দে চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্
২৭ আগস্ট ২০২৩
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় তারা।
৬ মিনিট আগে
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল...
৩৯ মিনিট আগে
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
১ ঘণ্টা আগেফেনী প্রতিনিধি

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এই আদেশ দেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারান টমটমচালক মো. সবুজ। ঘটনার ৯ দিন পর ১৩ আগস্ট নিহত সবুজের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া জানান, ৯ ডিসেম্বর এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬৫ জন, তদন্তে প্রাপ্ত আরও ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১২ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করেন। এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন, সন্দেহভাজন ৪৯ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
ফেনী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রে ১২৪ জনকে আসামি করা হলেও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪ জন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৩ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে পরোয়ানার কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।

ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাসান এই আদেশ দেন।
মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নিতে গিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্বিচার গুলিতে প্রাণ হারান টমটমচালক মো. সবুজ। ঘটনার ৯ দিন পর ১৩ আগস্ট নিহত সবুজের ভাই মো. ইউছুফ বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন।
মামলায় ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, ফেনী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল, সাবেক ফেনী পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজীসহ ৬৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি অজ্ঞাতনামা আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানা-পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ফারুক মিয়া জানান, ৯ ডিসেম্বর এ মামলায় এজাহারভুক্ত ৬৫ জন, তদন্তে প্রাপ্ত আরও ৫৯ জনসহ মোট ১২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ১২ ডিসেম্বর আদালত অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করেন। এ পর্যন্ত মামলায় এজাহারনামীয় পাঁচজন, সন্দেহভাজন ৪৯ জনসহ মোট ৫৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাতজনকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কেউ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
ফেনী আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, অভিযোগপত্রে ১২৪ জনকে আসামি করা হলেও বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন ৫৪ জন। গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৩ জন অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি। পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দু-এক দিনের মধ্যে পরোয়ানার কপি সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হবে।

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্
২৭ আগস্ট ২০২৩
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় তারা।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের। আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
১ ঘণ্টা আগেঢামেক প্রতিবেদক

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।
রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।
এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।
বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

ঢাকা মেডিকেলে রেখে যাওয়া মরদেহের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তাঁর নাম রাশেদা আক্তার (২২)। প্রতিবেশী নয়ন ইসলাম তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।
আজ মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে নিহত রাশেদার পরিচয় শনাক্ত করেন তাঁর বড় বোন খালেদা আক্তার ও দুলাভাই মো. মামুন।
এর আগে, সোমবার রাতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ওই তরুণীর মরদেহ রেখে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত যুবক।
নিহত রাশেদার বড় বোন খালেদা আক্তার জানান, তাঁদের বাড়ি মাগুরা সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত আবু বক্কর সিদ্দিক। রাশেদা মাগুরার আলোকদিয়া অমরেশ বসু ডিগ্রি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছেন। কিছুদিন আগে খালেদা ঢাকায় মিরপুর-১ আনসার ক্যাম্পে এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসায় এসে থাকতে শুরু করেন এবং মিরপুরে একটি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন। তাঁর দেখাদেখি ছোট বোন রাশেদাও উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর চলতি মাসের ৭ তারিখে মিরপুরে একই বাসায় এসে ওঠেন। এরপর তিনি গার্মেন্টসে চাকরি নেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
খালেদা আরও জানান, শনিবার রাশেদা গার্মেন্টসে যাননি। সারা দিন বাসাতেই ছিলেন। রাত ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। পরে তাঁরা জানতে পারেন, শনিবার রাতে নিজ গ্রামের পাশের বাড়ির মতিউর রহমানের ছেলে নয়ন ইসলাম ঢাকায় এসে মিরপুরের ওই বাসার সামনে রাশেদার সঙ্গে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে একটি দোকানের সামনে বসে দুজন তুমুল ঝগড়াও করেন। কিছুক্ষণ পর দুজনই সেখান থেকে চলে যান। এরপর আর কোনো খবর মিলছিল না রাশেদার। ফোনেও পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁকে।
রাশেদার দুলাভাই মামুন বলেন, মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকে একজন রাশেদার বড় বোন খালেদাকে ফোন করে জানায়, গ্রামের লোকজন বলাবলি করছে নয়ন রাশেদাকে মেরে ফেলেছে। নয়নের বাড়ির সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাশেদার লাশ ঢাকা মেডিকেল রয়েছে।
এই খবরের ভিত্তিতে বোন ও দুলাভাই ঢাকা মেডিকেলের মর্গে গিয়ে রাশেদার মরদেহ শনাক্ত করেন।
বোন খালেদা অভিযোগ করে বলেন, ‘অনেক দিন ধরে নয়ন আমার বোনকে ডিস্টার্ব করত। ওর জন্য আমার বোন পড়তেও পারত না। ওই নয়নই আমার বোনকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে। মরদেহ মেডিকেলে রেখে পালিয়েছে সে। নয়নের কঠিন বিচার চাই আমরা। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত আছে, তাদেরও বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম আজম জানান, ওই তরুণীর স্বজনেরা মঙ্গলবার রাতে থানায় এসে অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীকালে বিস্তারিত বলা যাবে।

রাজধানীর কলাবাগানের ভূতের গলি এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শনিবার এক গৃহকর্মীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার ৩৫ ঘণ্টা পেরোলেও আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই গৃহকর্মীর নাম, বাবা-মায়ের নাম, ঠিকানা, পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি কলাবাগান থানা-পুলিশ। ফলে এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এমনকি ঘটনার পর থেকে লাপাত্
২৭ আগস্ট ২০২৩
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে এক কৃষকের বাড়ির ইটের দেয়াল ভেঙে গোয়ালঘর থেকে তিনটি ষাঁড় চুরি করে নিয়ে গেছে চোরেরা। শুধু তাই নয়, ওই সময় বাড়ির উঠানে রাখা একটি মোটরসাইকেলের তার ছিঁড়ে বিকল করে এর ট্যাংকি থেকে তেলও বের করে নিয়ে যায় তারা।
৬ মিনিট আগে
সিলেটের জকিগঞ্জে অবৈধ ও দ্রুতগতির ট্রলির ধাক্কায় মাওলানা বদরুল ইসলাম নামে মসজিদের এক ইমাম মারা গেছেন। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার আটগ্রাম স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
৩৭ মিনিট আগে
ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে টমটমচালক মো. সবুজ হত্যা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীসহ পলাতক ৭১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ফেনী সদর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল...
৩৯ মিনিট আগে