Ajker Patrika

চবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, বিয়ে–গর্ভপাত জানে না পরিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
চবি ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য, বিয়ে–গর্ভপাত জানে না পরিবার

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনার পর অনেক নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। ওই ছাত্রীর স্বামীর দাবি, বিশেষ পরীক্ষার জন্য অনুমতি না পাওয়ায় হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, সেই ছাত্রী বিশেষ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেননি। তাঁর বিয়ের বিষয়েও জানে না পরিবার। এর মধ্যে একবার গর্ভপাতও করানো হয়েছে।

অন্যদিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে কীভাবে এবং কারা মরদেহ উদ্ধার করল এ বিষয়ে কারও সুস্পষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও হল প্রশাসনের কেউ ছিলেন না। এ ছাড়া ওই কক্ষের দরজা ভেতর থেকে লাগানোও ছিল না। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের কথা বললেও পরে সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। 

সব মিলিয়ে আবাসিক হলে ছাত্রীর মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট খুলছে না। তবে এই ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবার কোনো মামলা বা অভিযোগ করেনি। হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। 

গতকাল শনিবার বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হলের একটি কক্ষে ওড়না প্যাঁচানো ঝুলন্ত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্ত শেষে আজ রোববার বিকেলে মরদেহ তাঁর বাড়ি লালমনিরহাট সদরের নায়েকগর হারাটি গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্রী তৃতীয় সেমিস্টারে ফলাফল ছিল সিজিপিএ ৩ দশমিক ৯০। গত ৯ মার্চ শুরু হয় ৪র্থ সেমিস্টারের পরীক্ষা। কিন্তু অসুস্থ থাকায় পাঁচটি কোর্সের মধ্যে তিনটির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। 

বিয়ের কথা জানত না পরিবার
দুই বছর আগে তেজগাঁও কলেজের অনার্সের ছাত্র মো. কাউসারের সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয় বলে জানা যায়। তবে বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতেন না। সহপাঠীদের থেকেও বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। মরদেহ উদ্ধারের দিন ক্যাম্পাসে অবস্থান করছিলেন মো. কাউসার। কাউসার খোঁজাখুঁজি শুরু করার পরই মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। 

চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা, গর্ভপাত
ওই ছাত্রীর স্বামীর বরাত দিয়ে একজন সহকারী প্রক্টর নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, ওই শিক্ষার্থী চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। গত মাসে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গর্ভপাত করানো হয়। এ জন্য কয়েক দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। এ কারণেই সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। 

স্বামীর দাবি, বিশেষ পরীক্ষার সুযোগ না দেওয়ায় আত্মহত্যা
ওই ছাত্রীর স্বামী গত শনিবার রাতে গণমাধ্যমকে বলেন, বিশেষ পরীক্ষার অনুমতি না পাওয়ায় ওই ছাত্রী হতাশ ছিলেন। সেই হতাশা থেকেই আত্মহত্যা করেন। 

তবে বিভাগ কর্তৃপক্ষ বলছে, সেই ছাত্রী বিশেষ পরীক্ষার জন্য আবেদন করেননি। এমনকি বিশেষ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে যে সময় লাগে তা এখনো হয়নি। কারণ, যে সেমিস্টারে বিশেষ পরীক্ষার কথা বলা হচ্ছে, সে সেমিস্টারের পরীক্ষা এখনো চলমান। 

বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, ওই ছাত্রী চতুর্থ সেমিস্টারে পাঁচটি পরীক্ষার মধ্যে দুটি পরীক্ষা দিয়েছেন। যে পরীক্ষাগুলো দিতে পারেননি সেগুলো পরের ব্যাচের সঙ্গে দেওয়ার সুযোগ আছে। তখনো যদি কোনো সমস্যা হয়, এরপর বিশেষ পরীক্ষার কথা আসবে। এ ছাড়া চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা এখনো শেষ হয়নি। ভাইভা বাকি আছে। বিশেষ পরীক্ষার কিছু প্রক্রিয়া আছে। 

অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ আতিকুর বলেন, ‘ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিতে না পেরে বিভাগের দুইজন শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বিশেষ পরীক্ষার কথা বলেন। সে এর আগে বিশেষ পরীক্ষার বিষয়টি জানতও না। এ ছাড়া বিশেষ পরীক্ষার অনুমতি বিভাগ দেয় না।’ 

লাশ উদ্ধারের আগের দিন মারধরের অভিযোগ
এ দিকে ওই ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করার আগের দিন ইফতারের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সামনে ওই ছাত্রীকে স্বামীর হাতে মারধরের শিকার হতে দেখেছেন কয়েকজন ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক কয়েকটি গ্রুপেও পোস্ট দেখা যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন মো. আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শুক্রবার ইফতারের পর বঙ্গবন্ধু উদ্যানের সামনে এই ছেলেটিকে মেয়েটির সঙ্গে উচ্চ স্বরে কথা বলতে এবং থাপ্পড় দিতে দেখা যায়। মেয়েটি চুপ করে দাঁড়িয়েছিল। থাপ্পড় দিয়ে দিয়ে বলছিল, “ওষুধ খাবি না কেন? আমাদের দায়ী করতে? তোকে কীভাবে মারতে হবে? গলা টিপে নাকি অন্য কোনোভাবে? ” আমরা ব্যক্তিগত বিষয় ভেবে পাত্তা দিই নাই। পরে টিভিতে এই ছেলের ছবি দেখে নিশ্চিত হই।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে সে অস্বীকার করেছে।’ সিসিটিভি ফুটেজ চেক করেছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে থাকার কারণে চেক করার সুযোগ হয়নি।’ 

সহপাঠীদের ভাষ্য
ওই ছাত্রীর কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তিনি খুব মিশুক প্রকৃতির ছিলেন। ক্লাসের সিআরও (প্রতিনিধি) ছিলেন। সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক ছিল। পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করা, গর্ভপাত, পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা—এসব কারণে হতাশা ও বিষণ্নতায় ভুগে থাকতে পারে। এ কারণে হয়তো এমনটা করেছেন। 

ছাত্রীর বড় ভাই আল আমিন সরকার বিপুল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি শুরু থেকে জেনে আসছি ওর পরীক্ষার কারণে ঘটনাটা ঘটেছে। জুনিয়রদের সঙ্গে ক্লাস করতে হবে, এক বছর পিছিয়ে যেতে হবে—এসব কারণে এটা হয়েছে। কিন্তু এখানে এসে ওর বিয়ের বিষয়টা জানতে পারলাম। স্যারেরা বলতেছে, হলে নাকি গ্যাঞ্জাম হয়েছে। তার স্বামী নাকি রাগারাগি করছে, মনোমালিন্য থেকেও এটা হতে পারে। কিন্তু আমি বিষয়টা জানি না। তাই আমি কোনো অভিযোগ করছি না। আমার বোন যেখানে নাই, অভিযোগ করে কী করব!’ 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘ময়নাতদন্ত শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় হাটহাজারী থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।’ 

মরদেহ উদ্ধারের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর বলেন, ‘ওই সময় আমরা ছিলাম না। আমরা শুনেছি তার স্বামী নাকি অতিথি কক্ষে বসে একটা মেয়েকে বলছিল ওই ছাত্রীকে ডেকে দিতে। ওই মেয়ে ছাত্রীর কক্ষ ঘুরে এসে জানায় কেউ নেই। এরপর আরেকজনকে বলে ডেকে দিতে সেও ঘুরে এসে দেখে কেউ নাই। পরবর্তীতে তৃতীয়জনকে বললে সে এসে বলে ওই ছাত্রী জানালার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে একটা অপমৃত্যু মামলা করেছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭ ঘণ্টা পর ঝালকাঠির অবরোধ প্রত্যাহার, যান চলাচল স্বাভাবিক

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি অংশে অবরোধ সাত ঘণ্টা পর প্রত্যাহার করে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা ও মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে ছাত্র-জনতা। সাত ঘণ্টা পর পুলিশের অনুরোধে আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

আজ জুমার নামাজ শেষে বেলা আড়াইটার দিকে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড় এলাকায় অবরোধ শুরু করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের উভয় পাশে বিপুলসংখ্যক যানবাহন আটকে পড়ে। ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তবে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, জরুরি ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচামাল বহনকারী যান চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

অবরোধ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। এ সময় মহাসড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি, সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, গণঅধিকার পরিষদ ঝালকাঠি জেলা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগরসহ অন্য নেতারা।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠি জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন ফেরদৌস ইফতি বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোদ্ধাকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করেছে। তিনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হামলাকারীদের ইন্টারপোলের মাধ্যমে দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঝালকাঠি সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বেলা আড়াইটায় অবরোধ শুরু হওয়ায় বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করা হলে তাঁরা রাত সাড়ে ৯টার দিকে অবরোধ প্রত্যাহারে সম্মত হন। পরে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ ও সাবেক মেয়রের বাড়িতে আগুন

দিনাজপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৪৪
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা
সাবেক প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছেন একদল লোক। ছবি: আজকের পত্রিকা

সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বোচাগঞ্জের বাড়িতে আগুন দিয়েছে একদল লোক। আজ শুক্রবার রাতে দুজনের বাড়িতে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে বোচাগঞ্জ থানা-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

স্থানীয় জনতা ও বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও সেতাবগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র আসলাম হোসেনের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। তবে কারা আগুন দিয়েছে, এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।

বোচাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সাব-অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাত সোয়া ৮টার দিকে সাবেক মেয়র আসলামের বাড়িতে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছাই। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এ ছাড়া খালিদ মাহমুদের বাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে জানার জন্য বোচাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ময়মনসিংহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা: অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ১৮
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত
দিপু চন্দ্র দাস। ছবি: সংগৃহীত

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামের এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা ও মরদেহে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার নিহত দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিক্ষুব্ধ জনতার হাতে নিহত হন দিপু চন্দ্র দাস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার পাইওনিয়ার নিট কম্পোজিট কারখানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত দিপু চন্দ্র দাস জেলার তারাকান্দা উপজেলার মোকামিয়া কান্দা গ্রামের রবি চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি ওই কোম্পানির শ্রমিক ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলায় র‍্যাকের নিন্দা

কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে যে হামলা চালিয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রিপোর্টার্স অ্যাগেইনস্ট করাপশন (র‍্যাক)।

অন্যদিকে, দুই গণমাধ্যমে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করতে গিয়ে নাজেহাল ও হেনস্তার শিকার হয়েছেন ইংরেজি দৈনিক দ্য নিউ এজের সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক নূরুল কবীর। এ ঘটনারও তীব্র নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে র‍্যাক। অবিলম্বে এসব ঘটনার সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও দ্রুত তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানিয়েছে র‍্যাক।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সভাপতি আলাউদ্দিন আরিফ ও সাধারণ সম্পাদক তাবারুল হক বলেন, সংবাদমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান ভিত্তি। গণমাধ্যমের কণ্ঠ রুদ্ধ করতে সহিংসতা, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা কিংবা হেনস্তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার এবং আইনের শাসনের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

১৮ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) রাত ১২টার দিকে উচ্ছৃঙ্খল কতিপয় ব্যক্তি প্রথমে দৈনিক প্রথম আলো, তারপর দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকা অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ সময় পত্রিকা দুটির অনেক সাংবাদিক ভবনের ভেতরে আটকা পড়েছিলেন। খবর পেয়ে সেনা, পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের সরিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ভবনের ভেতরে আটকে পড়া সাংবাদিকদের উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

পত্রিকা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাতে আকস্মিক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর কর্মীদের সবাইকে দ্রুত অফিস ত্যাগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে শুক্রবার ছাপা পত্রিকা বের করা সম্ভব হয়নি।

র‍্যাক নেতারা বলেন, মনে হচ্ছে একটি গোষ্ঠী অত্যন্ত সচেতনভাবে প্রতিপক্ষ বানাতে গণমাধ্যমকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক। স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী বর্তমান সরকারের সময় এমন ঘটনা ন্যক্কারজনক। ডিআরইউ মনে করে, ওসমান হাদি একজন দেশপ্রেমিক জুলাই যোদ্ধা ছিলেন। শহীদ ওসমান হাদিসহ ছাত্র-জনতার ত্যাগের কারণে তৎকালীন ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

হাদির মৃত্যুকে পুঁজি করে যারা গণমাধ্যমের ওপর হামলা করেছে, তারা হাদির অনুসারী নয়, এটা স্পষ্ট। কতিপয় মহল হাদির মৃত্যুকে ব্যবহার করে নিজেদের কদর্য চেহারা প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এসব ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দৃস্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান নেতারা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

আমি লজ্জিত, নিজেকে মাটিতে পুঁতে দিতে ইচ্ছে করছে—ফেসবুকে প্রেস সচিব

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত