
করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

করোনা মহামারির মারাত্মক প্রভাবের মধ্যেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে প্রায় মন্দা পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। এর কারণ হিসেবে যে বিষয়টি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট।
কোনো দেশের বিদেশি মুদ্রার রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়।
এ রকম পরিস্থিতিতে মনে হতে পারে ইউএস ডলারই বোধ হয় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। কিন্তু জানলে আশ্চর্য হবেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হলেও, ১৮০টি ফিয়াট মুদ্রার মধ্যে ইউএস ডলার সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী নয়। ফিয়াট হলো এমন মুদ্রা, যার মূল্য সোনা বা রুপার মতো ভৌতিক পণ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।
বিশ্ব অর্থনীতিতে বেশ কিছু মুদ্রা রয়েছে, যেগুলো ইউএস ডলারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। কারণ ইউএস ডলারের বিপরীতে সেই মুদ্রাগুলোর দাম বেশি। ইউএস ডলারসহ বেশি শক্তিশালী এমন ১০টি মুদ্রার কথা এখানে তুলে ধরা হলো। তবে এর আগে আমাদের বুঝতে হবে, কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে মুদ্রার দাম নির্ধারিত হয়।
মুদ্রার দাম যেভাবে ঠিক হয়
বিদেশি মুদ্রা কেনাবেচা হয় জোড়ায় জোড়ায়। আপনি টাকার বিনিময়ে ডলার কিনবেন বা ডলারের বিনিময়ে টাকা। এর ফলে যেকোনো মুদ্রার দামই আরেক মুদ্রার সাপেক্ষে নির্ধারিত হয় এবং এই দামকে বলা হয় বিনিময় হার।
বেশির ভাগ মুদ্রাই ফ্লোটিং এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে বিনিময় হয়, অর্থাৎ চাহিদা ও সরবরাহের ওপর ভিত্তি করে সেগুলোর মূল্য নির্ধারিত হয়। ফিক্সড এক্সচেঞ্জ সিস্টেমে সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হারের একটি সীমা নির্ধারণ করে দেয়। এর জন্য সরকার বা কেন্দ্রীয় ব্যাংক মুদ্রার বিনিময় হার নির্দিষ্ট রাখতে নিজস্ব মুদ্রা কেনাবেচা করে। যেন মুদ্রার বিনিময় হার একটি নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকে তা নিশ্চিত করা যায়। অর্থাৎ, মুদ্রার বিনিময় হার অর্থনৈতিক সূচক, ভূরাজনৈতিক ঘটনা, মুদ্রানীতি, মুদ্রার সরবরাহ ও চাহিদাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে।
যখন ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ডলার শক্তিশালী হয়, তখন আমেরিকানরা এক ডলারের জন্য বেশি পাউন্ড পাবে এবং তখন যুক্তরাজ্যে সস্তায় কেনকাটা ও ভ্রমণ করতে পারবে। কিন্তু যুক্তরাজ্যের নাগরিকদের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কেনাকাটা ও ভ্রমণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে, কারণ তারা পাউন্ডের বিপরীতে ডলার কম পাবে।
সবচেয়ে শক্তিশালী ১০ মুদ্রা:
১. কুয়েতি দিনার (কেডব্লিউডি): কুয়েতি দিনার হলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ কুয়েতি দিনারের বিপরীতে ৩.২৬ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। কুয়েত সৌদি আরব ও ইরাকের মধ্যবর্তী পারস্য উপসাগরে অবস্থিত। দেশটি বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় তেল রপ্তানিকারক হিসাবে পরিচিত। ষাটের দশকে দিনার চালু করে কুয়েত। শুরুর দিকে মুদ্রাটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে বাঁধা ছিল। অর্থাৎ কুয়েতি দিনার ও ব্রিটিশ পাউন্ডের মধ্যে বিনিময় একটি নির্দিষ্ট হারে স্থির ছিল। এতে কুয়েতের জন্য ব্রিটিশ পাউন্ড ব্যবহার করা অন্যান্য দেশের সঙ্গে লেনদেন সহজ হয়। এখন কুয়েতি দিনার ব্রিটিশ পাউন্ডের মতো একটি মুদ্রার পরিবর্তে আরও বেশ কয়েকটি মুদ্রার সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট হারে বিনিময় করা হয়।

২. বাহরাইন দিনার (বিএইচডি): বাহরাইন দিনার হলো বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ বাহরাইন দিনারের বিপরীতে ২.৬৫ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। বাহরাইন সৌদি আরবের পূর্ব উপকূলে পারস্য উপসাগরের একটি দ্বীপরাষ্ট্র। কুয়েতের মতো দেশটি তেল ও গ্যাস রপ্তানি থেকে তার সম্পদের বেশির ভাগ আয় করে। ১৯৬৫ সালে বাহরাইন দিনার প্রচলিত হয় এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৩. ওমানি রিয়াল (ওএমআর): ওমানি রিয়াল এখন বিশ্বের তৃতীয় শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ওমানি রিয়ালের বিপরীতে ২.৬০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। ওমান আরব উপদ্বীপের পূর্ব প্রান্তে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেনের মধ্যে অবস্থিত। ধনী প্রতিবেশীদের মতো ওমানও তেল-গ্যাসের একটি প্রধান রপ্তানিকারক দেশ। সত্তরের দশকে ওমানি রিয়াল চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৪. জর্ডানিয়ান দিনার (জেওডি): জর্ডানিয়ান দিনার হলো বিশ্বের চতুর্থ শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ জর্ডানিয়ান দিনারের বিপরীতে ২.৪১ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জর্ডান মধ্যপ্রাচ্যের একটি স্থলবেষ্টিত দেশ যা এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের তুলনায় তেল ও গ্যাস রপ্তানির ওপর কম নির্ভরশীল। দেশটি মন্থর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ক্রমবর্ধমান ঋণের সঙ্গে লড়াই করেছে। ১৯৫০ সালে জর্ডানিয়ান দিনারের প্রচলন শুরু হয় এবং ডলারের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৫. ব্রিটিশ পাউন্ড (জিবিপি): ব্রিটিশ পাউন্ড বিশ্বের পঞ্চম শক্তিশালী মুদ্রা। বর্তমান বাজারে ১ ব্রিটিশ পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। চতুর্দশ শতকে এই মুদ্রা চালু হয় এবং ১৯৭১ সালে মুদ্রাটি ডেসিমেলাইজড হয়। তখন পাউন্ড, শিলিং ও পেন্সের পুরোনো পদ্ধতি বাদ দিয়ে পাউন্ড ও পেন্সের বর্তমান দশমিক পদ্ধতি চালু হয়। এই মুদ্রা অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

৬. কেম্যান দ্বীপপুঞ্জ ডলার (কেওয়াইডি): কেম্যান দ্বীপপুঞ্জের ডলার বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি কেম্যান ডলারের বিপরীতে ১.২০ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সত্তরের দশকে কেম্যান ডলার চালু হয়েছিল এবং তা ডলারের সঙ্গে বাঁধা আছে।

৭. জিব্রাল্টার পাউন্ড: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে কেম্যান ডলারের সঙ্গে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। বর্তমান বাজারে প্রতিটি জিব্রাল্টার পাউন্ডের বিপরীতে ১.২২ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। জিব্রাল্টার স্পেনের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এবং আনুষ্ঠানিকভাবে এটি একটি ব্রিটিশ অঞ্চল। ১৯২০-এর দশকে জিব্রাল্টার পাউন্ড চালু হয়েছিল এবং এটি ব্রিটিশ পাউন্ডের সঙ্গে পেগ করা হয়।

৮. সুইস ফ্রাংক: বিশ্বের শক্তিশালী মুদ্রাগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থানে রয়েছে সুইস ফ্রাংক। বর্তমান বাজারে প্রতিটি ফ্রাংকের বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। সুইস ফ্রাংক হলো সুইজারল্যান্ড ও তার ক্ষুদ্র প্রতিবেশী লিচেনস্টাইনের সরকারি আইনি দরপত্র। সুইজারল্যান্ডের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে মুদ্রাটিকে একটি নিরাপদ আশ্রয় হিসাবে দেখা হয়। ১৮৫০ সালে সুইস ফ্রাংক চালু করা হয়েছিল এবং পরে ফ্রি-ফ্লোটে যাওয়ার আগে এই মুদ্রা ইউরোর সঙ্গে বাঁধা আছে।

৯. ইউরো: ইউরো হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন গঠনকারী ২৭টি দেশের মধ্যে ২০টির সরকারি মুদ্রা। ২০০২ সালের ইউরোর কয়েন ও ব্যাংক নোট চালু হয়। মুদ্রাটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুদ্রার মধ্যে সুইস ফ্রাংকের পাশাপাশি অষ্টম স্থানে রয়েছে। এখন প্রতিটি ইউরোর বিপরীতে ১.০৮ ইউএস ডলার পাওয়া যায়। এটি অন্য কোনো মুদ্রার সঙ্গে বাঁধা নেই।

১০. মার্কিন ডলার: মার্কিন ডলার হলো বিশ্বের ১০তম শক্তিশালী মুদ্রা। বিশ্বে অন্য সব মুদ্রার দাম ইউএস ডলারের চেয়ে কম। সতেরো শতকে এই মুদ্রা চালু হয়। বর্তমানে মুদ্রাটি বিশ্বের বৃহত্তম রিজার্ভ কারেন্সি।

অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর কাছে সবচেয়ে বেশি মজুত করা মুদ্রা হলো ইউএস ডলার। তেল, স্বর্ণ, রুপা ও তামাসহ অনেক পণ্যের মূল্য নির্ধারণের জন্য এই মুদ্রা ব্যবহৃত হয়।
আরও খবর পড়ুন:

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত খেতাব, পদক ও পুরস্কার প্রত্যাহার করার দাবি জানিয়েছে।
ইউডিএফ জানিয়েছে, লাইসকুন দেশের ক্রীড়া মহলের কোনো পক্ষকেই তাঁর এই সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ দলবদলের বিষয়ে ফেডারেশন, কোচিং স্টাফ এমনকি ইউক্রেনের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও অবগত করেননি। তাঁর এই অপ্রত্যাশিত দলবদলের ঘটনায় ফেডারেশন ‘তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা’ জানিয়েছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলা হয়েছে: ‘এই ধরনের পদক্ষেপ শুধু চূড়ান্তভাবে অগ্রহণযোগ্যই নয়, এগুলো জাতীয় দল এবং ইউক্রেনের মর্যাদার ওপর সরাসরি আঘাত। যে মুহূর্তে পুরো ইউক্রেনীয় দল আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমাদের দেশের প্রতিনিধিত্ব করার অধিকারের জন্য নিঃস্বার্থভাবে লড়াই করছে, ঠিক তখনই একজন চ্যাম্পিয়নের এমন পদক্ষেপ পুরো প্রচেষ্টাকেই হেয় করে।’
ইউক্রেনীয় ফেডারেশনের এই সমালোচনার বিপরীতে লাইসকুন তাঁর সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। রাশিয়ার সংবাদপত্র ইজভেস্তিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইউক্রেনে তিনি তাঁর কোচদের অধীনে আর পেশাদারভাবে ‘উন্নতি’ করতে পারছিলেন না।
লাইসকুন অভিযোগ করেন, তাঁর ইউক্রেনীয় কোচিং স্টাফে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা ‘সবাই জিমন্যাস্ট বা ট্রাম্পোলিন ক্রীড়াবিদ ছিলেন’, এটি আন্তর্জাতিক ডাইভিং-এর মতো বিশেষায়িত খেলার জন্য অনুকূল ছিল না। তাঁর মতে, উপযুক্ত বিশেষজ্ঞের অভাবই তাঁকে দলবদলে উৎসাহিত করেছে।
লাইসকুনের দলবদলের পর ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির এক জরুরি বৈঠক বসে। সেখানে সর্বসম্মতিক্রমে তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে ইউক্রেন জাতীয় দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি, ফেডারেশনের অধীনে সোফিয়া লাইসকুনের অর্জিত সমস্ত খেতাব ও পুরস্কার বাতিল করার মতো কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ফেডারেশন জানিয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রীড়া সংস্থাগুলোর কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন জানাবে, যাতে বর্তমান আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী এই ক্রীড়াবিদের ওপর ‘স্পোর্টস কোয়ারেন্টাইন’ আরোপ করা হয়। এর অর্থ হলো, ইউক্রেন চাচ্ছে, লাইসকুন যেন কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে না পারে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর রাশিয়া এবং বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের ওয়ার্ল্ড অ্যাকুয়াটিক্স ইভেন্টগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিষিদ্ধ ছিল। তবে সেই বিধিনিষেধগুলো সম্প্রতি শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে রুশ এবং বেলারুশীয় ক্রীড়াবিদদের তাঁদের জাতীয় পতাকা বা প্রতীক ছাড়াই নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে ব্যক্তিগত ইভেন্টগুলোতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারি থেকে তাঁরা দলগত ইভেন্টেও নিরপেক্ষ ক্রীড়াবিদ হিসেবে অংশ নিতে পারবেন। লাইসকুন-এর এই দলবদল এমন এক সময়ে ঘটল, যখন রাশিয়ার ক্রীড়াবিদেরা ধীরে ধীরে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া মঞ্চে ফেরার সুযোগ পাচ্ছেন।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিম মুনির বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই তো সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’ তাঁর এই মন্তব্য এল ঠিক এমন এক সময়ে, যখন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ একটি নোট প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির কাছে পাঠিয়েছিলেন। তাতে সেনাপ্রধান মুনিরকে পাকিস্তানের প্রথম চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ করার সুপারিশ করা হয়। এরপরই প্রেসিডেন্ট এই অনুমোদন দেন।
সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি এই নিয়োগে অনুমোদন দেন। খবর দ্য ডনের
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’ এই বিবৃতি বহুদিনের জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাল। এর আগে গতকাল সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শাহবাজই প্রেসিডেন্টকে এই নতুন দ্বৈত দায়িত্বপ্রাপ্ত পদে ফিল্ড মার্শাল মুনিরকে নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
এই নতুন ব্যবস্থা পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। যার ফলে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা—চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন সিডিএফের হাতে চলে এল।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১) এখন জানাচ্ছে, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন [...], তাঁর মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তাঁর ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট স্থির করবেন।
ফিল্ড মার্শাল মুনির ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সরকার পিএএ-তে পরিবর্তন আনে, যেখানে সিজেসিএসসির মেয়াদ তিন বছর অপরিবর্তিত রেখে বাকি তিন বাহিনীর প্রধানদের মেয়াদ তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বছর করা হয়। একই সংশোধনীতে সার্ভিস চিফদের পুনর্নিয়োগ বা তাঁদের মেয়াদ পাঁচ বছর পর্যন্ত বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়, যা আগে সর্বোচ্চ তিন বছর ছিল।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, গাজায় যুদ্ধ এবং নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ তুলে এসব দেশ ইসরায়েলকে বাদ দেওয়ার দাবি করেছিল। জেনেভায় এক বৈঠকে গোপন ভোটের দাবি তোলে স্পেনের সম্প্রচার সংস্থা আরটিভিই। তারা জানায়, আয়োজনকারীরা সেই দাবি মানেনি। এতে উৎসবের প্রতি তাদের অবিশ্বাস আরও বেড়েছে।
আয়ারল্যান্ডের সংবাদমাধ্যম আরটিই জানায়, গাজার ভয়াবহ প্রাণহানি এবং চলমান মানবিক সংকটের সময়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া তাদের কাছে অগ্রহণযোগ্য। স্পেন ইউরোভিশনের ‘বিগ ফাইভ’ দেশের একটি। ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে স্পেনের শিল্পীরা সরাসরি ফাইনালে ওঠে। কারণ এসব দেশের সম্প্রচার সংস্থা ইবিইউকে সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রায় ৫০টি সম্প্রচার সংস্থা—যার মধ্যে বিবিসিও আছে—ইউরোপিয়ান ব্রডকাস্টিং ইউনিয়নের (ইবিইউ) বৈঠকে যোগ দেয়। প্রতিবছর ১৫ কোটির বেশি দর্শক এই প্রতিযোগিতা দেখে, তাই ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়। ইসরায়েল তাদের অংশগ্রহণকারী ইউভাল রাফায়েলের পক্ষে ভোট বাড়াতে অন্যদের সাহায্য নিয়েছে, এমন অভিযোগের পর সরকার ও তৃতীয় পক্ষের প্রভাব ঠেকাতে নতুন নিয়মে সম্মতি চাইছিল ইবিইউ।
বিবিসি জানায়, এই নিয়ম মানার ভোটের সঙ্গে একটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়। সদস্যরা রাজি হলে ইসরায়েলকে নিয়ে আর কোনো ভোট হবে না। ইবিইউ জানায়, যারা নতুন নিয়ম মানতে সম্মত, তারা ইউরোভিশন ২০২৬-এ অংশ নিতে পারবে। ইউরোভিশন পরিচালক মার্টিন গ্রিন বলেন, সদস্যরা ইসরায়েলের অংশগ্রহণ নিয়ে খোলামেলা বিতর্কের সুযোগ পেয়েছে। ভোটে দেখা গেছে, অধিকাংশই চায় এই প্রতিযোগিতা রাজনৈতিক মঞ্চ না হোক, নিরপেক্ষতা বজায় থাকুক।
ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, এটি সংহতি, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার প্রতীক। ইসরায়েল বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব পাওয়ার যোগ্য। ইসরায়েলের সম্প্রচার সংস্থা কান–এর প্রধান গলান ইয়োখপাজ বলেন, ইসরায়েলকে সরাতে চাওয়া সংস্কৃতিগত বয়কট ছাড়া কিছু নয়। আজ বয়কট শুরু হলে কাল অন্যদেরও ক্ষতি হতে পারে। ইউরোভিশনের ৭০ তম বছরে কি এমন স্মৃতি আমরা চাই?
যুক্তরাজ্যে ইউরোভিশন দেখায় বিবিসি। তারা জানায়, ইবিইউর নিয়ম কার্যকরে তারা সম্মিলিত সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে। তবে এই সিদ্ধান্ত ইউরোভিশন সম্প্রদায়ের ভেতর বড় বিভাজন তৈরি করেছে। ডাচ সম্প্রচার সংস্থা অ্যাভরোট্রস জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে অংশগ্রহণ তাদের মূল মূল্যবোধের সঙ্গে যায় না।
স্পেনের আরটিভিই জানায়, গত সেপ্টেম্বরেই তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল—ইসরায়েল থাকলে স্পেন ইউরোভিশন থেকে সরে দাঁড়াবে। এই কারণে ২০২৬ সালের ফাইনাল ও সেমিফাইনাল তারা সম্প্রচারও করবে না। স্লোভেনিয়ার আরটিভিও জানায়, তাদের অবস্থান অপরিবর্তিত। নিয়ম বদলালেও মত বদলায়নি। ন্যায়নীতি রক্ষা করা তাদের দায়িত্ব। বেলজিয়ামের সম্প্রচার সংস্থা বলেছে, তারা কয়েক দিনের মধ্যে অবস্থান জানাবে।
অন্যদিকে নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ও আইসল্যান্ডসহ নর্ডিক দেশগুলো নিয়ম সংশোধনকে সমর্থন করেছে। তবে আইসল্যান্ড এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি। জার্মানি, যারা আগে বলেছিল ইসরায়েল বাদ গেলে তারাও সরে দাঁড়াবে, সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। তাদের সংস্থা এআরডি জানায়, তারা পরের বছর অংশ নিতে আগ্রহী এবং বৈচিত্র্য ও সংহতির উৎসব হিসেবে এটিকে দেখে। তবে যারা সরে দাঁড়িয়েছে, তাদের সিদ্ধান্তকে তারা সম্মান করে।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার লক্ষ্যে যখন ভ্লাদিমির পুতিনের ৪-৫ ডিসেম্বরের রাষ্ট্রীয় সফর ও ২৩ তম বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে, তখন কূটনৈতিক আলোচনার বাইরেও একটি বিষয় নজর কেড়েছে—রুশ প্রেসিডেন্টের খাবার সংক্রান্ত অভূতপূর্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা। অন্য বিশ্বনেতাদের মতো তিনিও আনুষ্ঠানিক ভোজসভায় অংশ নেন, তবে তাঁর খাবার সবচেয়ে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত।
পুতিন হোটেল বা আয়োজক দেশের কর্মীদের তৈরি খাবার গ্রহণ করেন না। তাঁর খাবারের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা প্রোটোকল অনুসরণ করা হয়।
বিদেশ সফরে পুতিনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা প্রায় সামরিক নির্ভুলতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত হয়। এই কঠোরতার মূল কারণ হলো নিরাপত্তা—বিশেষজ্ঞদের মতে, সম্ভাব্য বিষক্রিয়া বা গুপ্তহত্যার চেষ্টা এড়াতে এই ব্যবস্থা অপরিহার্য। পুতিনের জন্য খাবার পরিবেশনের আগে যেসব প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়:
বিশেষ শেফ ও লজিস্টিকস: প্রশিক্ষিত রুশ শেফ, পুষ্টিবিদ এবং সহযোগী কর্মীরা তাঁর সঙ্গে ফ্লাইটে আসেন। তাঁরাই বিশেষভাবে নিয়ন্ত্রিত রান্নাঘরে পুতিনের খাবার তৈরি করেন।
মোবাইল পরীক্ষাগার: তিনি ভ্রমণের সময় একটি অত্যাধুনিক মোবাইল খাদ্য পরীক্ষাগারও সঙ্গে রাখেন। এই ল্যাব পরিবেশনের আগে প্রতিটি খাদ্য এবং পানীয়ের উপাদান দ্রুত পরীক্ষা করে সম্ভাব্য বিষ বা ক্ষতিকারক বস্তুর উপস্থিতি যাচাই করে।
নিয়ন্ত্রিত উপাদান: খাবারের উপাদান হয় সরাসরি রাশিয়া থেকে আনা হয়, নতুবা আয়োজক দেশে দীর্ঘ পরীক্ষার মাধ্যমে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। শুধু অনুমোদিত এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করা উপাদানই তাঁর রান্নাঘরে প্রবেশাধিকার পায়।
বিশেষ পরিবেশন: আনুষ্ঠানিক ভোজসভার ক্ষেত্রেও এই সতর্কতা বজায় থাকে। যদিও তিনি উপস্থিত থাকেন, কিন্তু সাধারণত তাঁর প্লেটে পরিবেশিত খাবারটি নিজস্ব শেফদের দ্বারা পৃথকভাবে প্রস্তুতকৃত হয়। খাদ্য পরিবেশনের আগে প্রশিক্ষিত পরীক্ষকদের দ্বারা চূড়ান্ত যাচাই করা হয়। এই প্রক্রিয়া মস্কো এবং বিদেশে উভয় ক্ষেত্রেই অনুসরণ করা হয়।
পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস
খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে এত কড়াকড়ি থাকলেও, পুতিনের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকা কিন্তু বেশ সাধারণ। তাঁর জীবনযাপনও সুশৃঙ্খল। তিনি জমকালো ভোজের পরিবর্তে পুষ্টিকর ও সহজলভ্য খাবার পছন্দ করেন।
সকালের নাশতা: তাঁর সকাল শুরু হয় উচ্চ-প্রোটিন এবং কম-চিনিযুক্ত খাবার দিয়ে। সাধারণত মধুসহ ভরোগ (Tvorog, রুশ কটেজ চিজ) অথবা পরিজ (স্টার্চ ও পানি বা দুধ সহযোগে তৈরি) প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া তিনি তাজা ফলের রস এবং মাঝে মাঝে কাঁচা কোয়েলের ডিম বা অমলেট গ্রহণ করেন। তাঁর খাদ্যাভ্যাসে অতিরিক্ত মিষ্টি বা চর্বিযুক্ত খাবারের স্থান নেই।
দুপুরের ও রাতের খাবার: পুতিন লাল মাংসের চেয়ে মাছ বেশি পছন্দ করেন, বিশেষত গ্রিলড বা স্মোকড মাছের পদ। ভেড়ার মাংসও তাঁর প্রিয়। তবে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত রান্না তিনি এড়িয়ে চলেন। তাঁর বেশির ভাগ খাবারেই টমেটো, শসা এবং অন্যান্য সাধারণ সবজির সালাদ বাধ্যতামূলক। এই সবজিগুলো ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের জোগান দেয়।
পানীয় ও ডেজার্ট: পুতিন মিষ্টি বেক করা সামগ্রী, কেক বা বাটারি পেস্ট্রি একদম পছন্দ করেন না। পানীয়ের ক্ষেত্রে তাজা জুস, সাধারণ ভেষজ পানীয় এবং কেফির (এক প্রকার ফার্মেন্টেড দুগ্ধজাত পানীয়) পান করেন। তবে তাঁর সুশৃঙ্খল রুটিনের মাঝেও একটি ছোট দুর্বলতা রয়েছে—তা হলো পেস্তা আইসক্রিম!
বিশেষজ্ঞরা বলেন, পুতিনের এই খাদ্যাভ্যাস তাঁর রাজনৈতিক ভাবমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ: সংযত, শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং ঐতিহ্যমুখী। পুষ্টি, প্রোটিন এবং সহজলভ্যতা ওপর তাঁর এই জোর, তাঁর দীর্ঘ ও অনিয়মিত কর্মঘণ্টার জন্য প্রয়োজনীয় স্থিতিশীল ক্যালরির জোগান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।

করোনা মহামারির পরপর ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে এক অর্থনৈতিক মন্দা। হু হু করতে বাড়তে শুরু করেছে বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। সে জন্য যে কারণটি সবচেয়ে বেশি শোনা গেছে, তা হলো ইউএস ডলারের সংকট। রাষ্ট্রীয় তহবিলে এই মুদ্রার সংকট দেখা দিলেই অর্থনীতি হুমকিতে পড়ে যায়। এ রকম পরিস্থিতিতে ম
২৮ মার্চ ২০২৩
গত বছর রোমে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় অ্যাকুয়াটিক্স চ্যাম্পিয়নশিপে ১০ মিটার সিঙ্ক্রো ইভেন্টে সোনা জেতেন ইউক্রেনীয় ডাইভার সোফিয়া লাইসকুন (২৩)। তবে সম্প্রতি আকস্মিকভাবে রাশিয়ার প্রতি আনুগত্য দেখানোর পর তাঁকে চরম শাস্তির মুখে পড়তে হলো। ইউক্রেনীয় ডাইভিং ফেডারেশন (ইউডিএফ) ফেডারেশনের অধীনে পাওয়া তাঁর সমস্ত...
১ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনির নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর বলেছেন, পাকিস্তান এখন অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যাবে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
৩ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের অর্থাৎ, ২০২৬ সালের ইউরোভিশন গানের প্রতিযোগিতা বয়কট করবে আয়ারল্যান্ড, স্পেন, নেদারল্যান্ডস ও স্লোভেনিয়া। কারণ আয়োজকেরা ইসরায়েলকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দিয়েছে। দেশগুলোর অভিযোগ, গাজায় গণহত্যা চালানো ইসরায়েলকে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া ঠিক হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে