করোনা এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে দেশের রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এরপর গত জানুয়ারিতে প্রায় ২০০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছিল। তবে সেই ধারা অব্যাহত থাকেনি। আবারও কমতে থাকে রেমিট্যান্স।
তবে, রমজানের আগে বাড়তে শুরু করেছে রেমিট্যান্স প্রবাহ। রমজান মাসে মানুষের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা বেড়ে যায়। যার কারণে বাড়তি খরচের কথা মাথায় রেখে বেশি বেশি অর্থ পাঠানো শুরু করেছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। চলতি মাসের প্রথম ১৭ দিনে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১১৬ কোটি ৪১ লাখ ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৮ টাকা ধরে)।
গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম ১৭ দিনে রেমিট্যান্স এসেছিল ১০৫ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। মার্চ মাসের প্রথম ১৭ দিনে এসেছে ১১৬ কোটি ৪১ লাখ মার্কিন ডলার। রেমিট্যান্সের এই ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে রেমিট্যান্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মার্চ মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২ কোটি ৫২ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৮ কোটি ৬১ লাখ ডলার এবং বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৭ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) টানা দুই বিলিয়ন ডলার করে রেমিট্যান্স এসেছিল। এর পরের মাস সেপ্টেম্বর থেকে টানা পাঁচ মাস দেড় বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থেমে যায়।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে