ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হওয়া পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সবাইকে একটি আদেশে নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও পাঁচটি আলাদা আদেশ দেওয়া হয়েছে।
অতিরিক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন। এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে অতিরিক্ত ৮ জনের নিয়োগের প্রমাণ মিলেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ জুন স্থানীয় পত্রিকায় সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে চারটি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জেলার ৪৪টি ইউনিয়নের জন্য ৫৫টি পরিবারকল্যাণ সহকারী পদের জন্য স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে আবেদন চাওয়া হয়। এসব পদের নিয়োগ কমিটির সভাপতি ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান, সদস্যসচিব জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন ও সদস্য ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার।
২০২২ সালের ২৫ নভেম্বর ওই নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হয়। পরদিন প্রকাশিত হয় ফলাফল। পরীক্ষায় ১৮৬ জন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। মৌখিক পরীক্ষার পর চূড়ান্তভাবে প্রার্থী নির্বাচনের ফল প্রকাশ করা হয় ওই বছরের ৩০ নভেম্বর। নিয়োগ কমিটি ৫৫টি পদের বিপরীতে ৫১ জনকে সুপারিশ করে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফলাফল সরকারি দুটি ওয়েবসাইটেও রয়েছে।
এরপর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর জেলা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের চিকিৎসা কর্মকর্তা আব্দুল মান্নাসহ ৭ জন কর্মকর্তাকে স্থায়ী ঠিকানা যাচাইয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর সঠিক হলে এক আদেশেই সব প্রার্থীর নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ঠিকানা যাচাই বাছাইয়ের পর পাঁচটি আদেশ জারি করা হয়।
২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রথম আদেশে ২৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই মাসের ২৮ তারিখ জারি করা দ্বিতীয় আদেশে নিয়োগ পান ১৭ জন। এই আদেশে দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ইউনিয়নে পলি দাশ এবং তেতলী ইউনিয়নে পপি রানী দাশ ও মন্টি সরকারকে পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের কারও রোল নম্বর চূড়ান্ত ফলাফলের তালিকায় নেই। এমনকি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বরইকান্দি ইউনিয়নে লোকবল নিয়োগের কথা উল্লেখও ছিল না।
এ নিয়ে জানতে মোবাইল ফোনে পপি রানী দাশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পলি ফোনকল রিসিভ করলেও এ ব্যাপারে কথা বলেননি। তবে সব পরীক্ষায় পাস করেছেন বলে দাবি করেছেন মন্টি। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামীর বাড়ি গোয়াইনঘাট। বাবার বাড়ি নেত্রকোনার কলমাকান্দায়। ওপর থেকে নিয়োগ দিছে। চিঠি পেয়ে যোগদান করেছি।’
এই তিনজনের বিষয়ে দক্ষিণ সুরমার উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মানুদা রঞ্জন তালুকদার বলেন, ‘পপি, পলি ও মন্টিকে জেলা অফিসের পাঠানো আদেশে নিয়ম মেনে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁদের সবার স্থায়ী ঠিকানা সঠিক নয়।’
চলতি বছরের ১১ জানুয়ারি তৃতীয় আদেশে আরও ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। এতে স্নিগ্ধা বিশ্বাস নামের একজনকে গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয়। অথচ ওই ইউনিয়নের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিই প্রকাশিত হয়নি। এই সিগ্ধা বিশ্বাসকে শুধু ঠিকানা পরিবর্তন করে দুই আদেশে দুই উপজেলার দুটি ইউনিটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি চতুর্থ আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় ৬ জনকে। এতে তাহসিন মাসুমা কচি ওসমানীনগরের উমরপুর ইউনিয়নের নিয়োগ পান। তিনি মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি।
এরপর গত ২ ফেব্রুয়ারি পঞ্চম আদেশে নিয়োগ দেওয়া হয় চারজনকে। এর মধ্যে বালাগঞ্জের সদর ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত শক্তি রানী পাল লিখিত ও মৌখিক কোনো পরীক্ষাতেই উত্তীর্ণ হননি। ওসমানীনগর উপজেলার কোনো ইউনিয়নের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশিত হয়নি। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলার উছমানপুর ইউনিয়নে নিয়োগ দেওয়া হয় মৌখিক পরীক্ষায় ফেল করা পূর্ণিমাকে। একই ইউনিয়নে নিয়োগ পেয়েছেন তাছলিমা আক্তার ও সিগ্ধা বিশ্বাস।
এ নিয়ে জানতে নিয়োগপ্রাপ্ত তাহসিন মাসুমা কচি কচিকে ফোন কল করা হয়। তিনি রিসিভ করেননি। তাসলিমা বলেন, ‘ভাইভা পরীক্ষায় পাস করিনি। আমাকে ওয়েটিং লিস্ট থেকে জেলা অফিস ফোনে ডেকে পাঠায়। সেখানে ডা. জেসমিন ম্যাম জনস্বার্থে উছমানপুরে কাজ করব কি না জানতে চান। রাজি হলে নিয়োগ দেওয়া হয়।’ কিন্তু নিজের গ্রামের নাম নিয়ে দুই ধরনের তথ্য দেন তাসলিমা।
একইভাবে নিয়োগ পান পূর্ণিমা। তাঁর বাড়ি জৈন্তাপুর উপজেলার রামেশ্বর গ্রামে। তাসলিমা ও পূর্ণিমার মতো চাকরি পান শক্তি রানী পালও। শক্তি রানী পাল বলেন, ‘আমার বাবার বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে। তবে স্বামীর বাড়ি বালাগঞ্জের চানপুর।’
একইভাবে নিয়োগ পাওয়া সিগ্ধা বিশ্বাসের ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া গেছে।
এ নিয়ে জানতে চাইলে ওসমানীনগরের উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মহিতোষ মজুমদার বলেন, ‘নিয়োগ আদেশ জেলা অফিসের এক ই-মেইলে চার উপজেলায় পাঠানো হয়। নিয়োগপ্রাপ্তরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’
পরিবারকল্যাণ সহকারী পদে নিয়োগের জারি করা সবগুলো আদেশে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিনের স্বাক্ষর রয়েছে। স্বাক্ষর রয়েছে পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন, জেলা অফিসে সংযুক্ত উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী বরুণ ছত্রীর।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপপরিচালকের সহকারী বাশির উদ্দিন বলেন, ‘যে চারটি নিয়োগের আদেশে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলোর ফাইল স্বাক্ষর করেছেন বরুণ ছত্রী। এগুলোয় আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।’
এ নিয়ে জানতে চাইলে আর বরুণ ছত্রী বলেন, ‘না দেখে কিছু বলতে পারব না। এসব স্মারকে নিয়োগই হয়নি। স্বাক্ষর থাকলেও আমার কিছু বলার নাই, উপপরিচালকের স্বাক্ষর করেছেন। সেগুলো স্ক্যান করা কি না তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
এ সব অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় সিলেটের উপপরিচালক ডা. লুৎফুন্নাহার জেসমিন বলেন, ‘আমরা দেই নাই, এসব জানতামও না। পূর্বের নিয়োগ আদেশ থেকে সহকারীসহ আমার সই স্ক্যান করে দেওয়া হয়েছে। যাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তারা ওই সব গ্রামেরও না, ভুয়া। আমরা পাঁচটি আদেশে ৫০ জনকে নিয়োগ দিয়েছি। একজন তদন্তে বাদ পড়েছেন। আমাদের দেওয়া আদেশ আর জারি করা আদেশের মধ্যে মিল নেই।’
তাহলে এসব আদেশে নিয়োগপ্রাপ্তরা যোগদান করলেন কীভাবে এমন প্রশ্নে ডা. জেসমিন আরও বলেন, ‘অফিসের অভ্যন্তরে থাকা সিন্ডিকেট পরিকল্পিতভাবে এই অনিয়ম করে আমাকে ফাঁসিয়েছে।’
সিলেট বিভাগের পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘৮ জনের নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে— এটি প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলার তদন্তে কারা কীভাবে এদের নিয়োগ দিয়েছেন, তা বেরিয়ে আসবে।’
আরও খবর পড়ুন:

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১৭ মিনিট আগে
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’
পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।
পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।
সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেটঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’
এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’
বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’
টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১৭ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।
এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।
পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১৭ মিনিট আগে
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

সিলেট জেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে ‘পরিবার কল্যাণ সহকারী’ পদে নিয়োগে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ৫৫টি শূন্য পদে নিয়োগের চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন ৫১ জন। কিন্তু নিয়োগ পেয়েছেন ৫৮ জন। নয় পদে অতিরিক্ত আটজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২৭ মার্চ ২০২৩
‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায়...
১৭ মিনিট আগে
বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।
৪৪ মিনিট আগে
বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগে