পিরোজপুরে বিপরীত দিক থেকে আসা বাসের ধাক্কায় নাজমিন বেগম (৩০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী গৃহবধূ নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় মোটরসাইকেলচালক তাঁর স্বামী ও তিন বছরের সন্তান গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ রোববার সকালে পিরোজপুর সদরের কদমতলা ইউনিয়নের পিরোজপুর-নাজিরপুর-ঢাকা সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাজমিন বেগম পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বুনিচাকাঠী গ্রামের আলমগীর মোল্লার স্ত্রী এবং পিরোজপুর পৌরসভার ব্রাহ্মণকাঠী এলাকার ইলিয়াস দরানীর মেয়ে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পিরোজপুর পৌরসভার ব্রাহ্মণকাঠী এলাকায় চাচির মৃত্যুতে দাফনে গিয়েছিলেন। দাফন শেষে স্বামীর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে শিশুসন্তানকে নিয়ে নাজিরপুরের বুইচাকাঠী গ্রামের শ্বশুরবাড়ি ফিরছিলেন নাজমিন বেগম। সকাল ১০টার দিকে কদমতলা এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাস তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।
তাঁরা আরও বলেন, তাতে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে বাসের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নাজমিন মারা যান। এ ঘটনায় নাজমিনের তিন বছরের সন্তান সুমাইয়া ও স্বামী আলমগীর মোল্লা গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে।
পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রমজান বলেন, গৃহবধূ নাজমিনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এ ঘটনায় আহত তাঁর স্বামী আলমগীর ও শিশুসন্তান সুমাইয়ার চিকিৎসা চলছে।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, দুর্ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে