
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বগা বন্দরের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের পুত্র বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহমুদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহমুদ হাসান অভিযোগ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে তাঁর বাবা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাজারো নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ‘জনতা ভবন’ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার উদ্দেশ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন।
শোভাযাত্রাটি সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে পৌঁছালে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের উপস্থিত নেতৃত্বে ও হুকুমে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁর বাবার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁর বাবার ডান পা ভেঙে যায়, কোপের আঘাতে তাঁর ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ও ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে ঝুলে পড়েছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মাহামুদ এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। শুক্রবারের ঘটনা একটি গোষ্ঠীর অপকৌশল। নিউজ করার জন্যই ওই গোষ্ঠী ইচ্ছে করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ আসছে আমি নাকি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তা কিন্তু না। আমি পরে শুনেছি কিছু লোক আহত হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের চারটি পক্ষের তিনটি পক্ষ একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচির ডাক দেয়। এর মধ্যে সভাপতি আ স ম ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব এই দুটি পক্ষের কর্মসূচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে (জনতা ভবন) এবং আরেকটি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মসূচি বাউফল প্রেসক্লাব সড়কের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগ অন্য অংশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অপরপক্ষ এভিআর গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসিব আলম তালুকদার কাছিপাড়া কলেজ মাঠে।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে আওয়ামী লীগের তিনটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায়। বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক ওরফে জুয়েলের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাউফল সরকারি কলেজ মাঠে, সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) সামনে জড়ো হয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এতে বাধা দেন। তখন পুলিশ ও আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আর অপর পাশেই লাঠিসোঁটা ও বগিদা নিয়ে অবস্থান করছিলেন আ স ম ফিরোজের কর্মী-সমর্থকেরা।
আ স ম ফিরোজ একটি গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরাই দলীয় ও নিজ নিজ নেতার নামে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। তখন আবদুল মোতালেবের কর্মী-সমর্থকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ আহত হন। একপর্যায়ে আবদুল মোতালেবের ওপর হামলা চালায় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ক্যাডার বাহিনী। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন বলে তাঁর মেয়ে মোসা. রেশমা জানিয়েছেন।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশ আহত হওয়ার অভিযোগে নাম উল্লেখ না করে ২৫০-৩০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে মামলা রুজু করেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বগা বন্দরের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে এই সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেবের পুত্র বগা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহমুদ হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাহমুদ হাসান অভিযোগ করেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে তাঁর বাবা আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্বে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাজারো নেতা-কর্মীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় ‘জনতা ভবন’ এ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার উদ্দেশ্যে আনন্দ শোভাযাত্রা বের করেন।
শোভাযাত্রাটি সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে পৌঁছালে সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের উপস্থিত নেতৃত্বে ও হুকুমে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁর বাবার ওপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তাঁর বাবার ডান পা ভেঙে যায়, কোপের আঘাতে তাঁর ফুসফুসের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ও ডান হাতের তৃতীয় আঙুল কেটে ঝুলে পড়েছে। তিনি এখন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। মাহামুদ এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্থানীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজ বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ মিথ্যা। শুক্রবারের ঘটনা একটি গোষ্ঠীর অপকৌশল। নিউজ করার জন্যই ওই গোষ্ঠী ইচ্ছে করে এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ আসছে আমি নাকি ঘটনাস্থলে ছিলাম। তা কিন্তু না। আমি পরে শুনেছি কিছু লোক আহত হয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের চারটি পক্ষের তিনটি পক্ষ একই দিনে একই সময়ে কর্মসূচির ডাক দেয়। এর মধ্যে সভাপতি আ স ম ফিরোজ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব এই দুটি পক্ষের কর্মসূচি উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে (জনতা ভবন) এবং আরেকটি জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের কর্মসূচি বাউফল প্রেসক্লাব সড়কের পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগ অন্য অংশের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। অপরপক্ষ এভিআর গ্রুপের চেয়ারম্যান হাসিব আলম তালুকদার কাছিপাড়া কলেজ মাঠে।
এ কর্মসূচিকে ঘিরে শুক্রবার সকাল নয়টা থেকে আওয়ামী লীগের তিনটি পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে দেখা যায়। বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হক ওরফে জুয়েলের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাউফল সরকারি কলেজ মাঠে, সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের পক্ষের নেতা-কর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) সামনে জড়ো হয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের পক্ষের নেতা-কর্মীরা বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জড়ো হয়।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, আবদুল মোতালেবের নেতৃত্বে গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বাউফল সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে আনন্দ শোভাযাত্রাটি বের হয়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের (জনতা ভবন) দিকে যাচ্ছিলেন। সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনে পৌঁছালে সংঘর্ষ এড়াতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল আমিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল এতে বাধা দেন। তখন পুলিশ ও আবদুল মোতালেব হাওলাদারের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। আর অপর পাশেই লাঠিসোঁটা ও বগিদা নিয়ে অবস্থান করছিলেন আ স ম ফিরোজের কর্মী-সমর্থকেরা।
আ স ম ফিরোজ একটি গাড়ির মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরাই দলীয় ও নিজ নিজ নেতার নামে স্লোগান দিতে থাকে। একপর্যায়ে পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ লাঠিপেটা ও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা চালায়। তখন আবদুল মোতালেবের কর্মী-সমর্থকেরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ সদস্যসহ কমপক্ষে অর্ধশত মানুষ আহত হন। একপর্যায়ে আবদুল মোতালেবের ওপর হামলা চালায় সংসদ সদস্য আ স ম ফিরোজের ক্যাডার বাহিনী। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন বলে তাঁর মেয়ে মোসা. রেশমা জানিয়েছেন।
এদিকে পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশ আহত হওয়ার অভিযোগে নাম উল্লেখ না করে ২৫০-৩০০ ব্যক্তির বিরুদ্ধে উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে মামলা রুজু করেছেন।

সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) অফিসার সমিতির নির্বাচনে ১৮টি পদের সব পদেই জয় পেয়েছে বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত আনারুল-রিয়াজ-বিদ্যুৎ পরিষদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে অফিসার সমিতি দ্বিবার্ষিক নির্বাচন ২০২৬-২৭-এর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মো. শহিদুল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ঘোষিত ফলাফল অনুযায়ী, সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট। সহসভাপতি পদে মো. রোকনুজ্জামান মামুন ৫১৬ ভোট ও কোষাধ্যক্ষ পদে মো. আল-আমিন বিদ্যুৎ ৫০১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া বিএনপিপন্থী প্যানেল থেকে বিজয়ী অন্যরা হলেন যুগ্ম সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন উৎপল, দপ্তর সম্পাদক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, প্রচার সম্পাদক মো. আব্দুল মানিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেন শামীম, সমাজ কল্যাণ ও ক্রীড়া সম্পাদক মো. মজিবুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরমান আলী।
এ ছাড়াও নির্বাচিত সদস্যরা হলেন মো. আলী রেজা, মো. আব্দুল মতিন, মোসা. রোকসানা বেগম টুকটুকি, মো. মাইনুল ইসলাম দুলাল, মো. বোরহান উদ্দিন, মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোছা. হাবিবা হায়দার লিচু ও মো. নাসির উদ্দীন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৩
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেপঞ্চগড় প্রতিনিধি

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঘন কুয়াশা ও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পঞ্চগড়। ভোর থেকেই কুয়াশায় ঢেকে থাকছে জেলার সড়ক ও জনপথ। তীব্র শীতের কারণে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এর প্রভাব পড়েছে হাসপাতালগুলোতেও। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ। ঘন কুয়াশার কারণে ভোর থেকেই যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগের দিন মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুপুরের দিকে সূর্যের দেখা মিললেও শীতের তীব্রতা কমেনি। মঙ্গলবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় মাত্র ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিনের তাপমাত্রা কমে আসায় দিন ও রাত—দুই সময়েই সমানভাবে শীত অনুভূত হচ্ছে।
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
ময়দানদিঘি এলাকার অটোরিকশাচালক কুদ্দুস মিয়া বলেন, ‘কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। তারপরও সামনে ঠিকমতো দেখা যায় না। ঠান্ডার কারণে যাত্রীও কমে গেছে।’
একই এলাকার দিনমজুর আব্দুল লতিফ বলেন, ‘সকালে কাজে বের হতে খুব কষ্ট হয়। এত ঠান্ডায় শরীর অবশ হয়ে যায়। কাজ না করলে সংসার চলে না, আবার এই শীতে কাজ করাও কঠিন।’
এদিকে জেলার হাসপাতালগুলোতে শীতজনিত রোগীর ভিড় বেড়েছে। সর্দি-কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালের এক চিকিৎসক জানান, হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শিশু ও বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। তিনি এ সময় গরম কাপড় ব্যবহার, উষ্ণ খাবার গ্রহণ এবং প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পঞ্চগড় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক শিশুর বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে ঠান্ডা লেগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। তাই হাসপাতালে এনে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।’ একই হাসপাতালে ভর্তি এক বৃদ্ধ রোগীর ছেলে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘শীত শুরুর পর থেকেই বাবার কাশি বেড়েছে। ঠান্ডা সহ্য করতে না পেরে অবস্থা খারাপ হলে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।’
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় জানান, ১১ থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তেঁতুলিয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। গত শনিবার তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও পরবর্তী দিনগুলোতে তা আবার কমেছে। আজ সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেচুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে। জেলার ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতির ধারক এই নদী বর্তমানে পরিণত হয়েছে শহরের এক বিশালাকার ড্রেনে।
স্থানীয়দের ভাষ্য, মাথাভাঙ্গা আজ শুধু নামেই নদী। ক্রমাগত পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া আর যথাযথ খননের অভাবে নদীটি সংকুচিত হয়ে নালায় পরিণত হয়েছে। এর বুক চিরে এখন আর জাহাজ চলে না।
স্থানীয়রা বলেন, মাথাভাঙ্গা শুধু একটি নদী নয়, এটি চিত্রা, নবগঙ্গা ও ভৈরবের মতো নদ-নদীগুলোর উৎস। ফলে মাথাভাঙ্গা মারা গেলে এই অঞ্চলের পুরো নদী ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়বে। বর্তমানে নদীর পানি এতটাই দূষিত, তা ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। চর্মরোগ, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগের ঝুঁকি নিয়ে তবুও অনেক প্রান্তিক মানুষ এই পানিতেই নিত্যকাজ সারছেন। অন্যদিকে দূষণের কারণে প্রায় হারিয়ে গেছে দেশি প্রজাতির মাছ ও জলজ প্রাণী। ড্রেনের নোংরা পানি শোধন না করে নদীতে ফেলা বন্ধ করা এবং সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত খননকাজ শুরু করাই এখন সময়ের দাবি। চুয়াডাঙ্গাবাসী চান, প্রশাসন যেন শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে বাস্তবেই মাথাভাঙ্গাকে তার হারানো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে দেয়।
জেলার প্রবীণ বাসিন্দাদের স্মৃতি হাতড়ালে পাওয়া যায় এক টইটম্বুর মাথাভাঙ্গার ছবি। মালোপাড়ার প্রবীণ জামাত আলী বিষণ্ণ মনে বলেন, ‘ছোটবেলায় এই নদীর স্রোত দেখে ভয় পেতাম। বড় বড় জাহাজ চলত এখানে। আজ নদীটার এই হাল দেখে মনটা কষ্টে ফেটে যায়।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মাথাভাঙ্গা নদীর এই মরণদশার অন্যতম কারণ চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। শহরের প্রায় সব কটি প্রধান ড্রেনের মুখ সরাসরি যুক্ত করে দেওয়া হয়েছে নদীর সঙ্গে। দিনরাত পৌরসভার নোংরা পানি, হোটেলের আবর্জনা, প্লাস্টিক এবং বাজারের পচা বর্জ্য মিশছে নদীর স্বচ্ছ জলে। বিশেষ করে নিচের বাজার এলাকার মাংসপট্টির বর্জ্য এবং ব্রিজসংলগ্ন হোটেলগুলোর উচ্ছিষ্ট সরাসরি নদীতে ফেলায় নদীর পানি কালো হয়ে যাচ্ছে। এলাকাটি দিয়ে যাতায়াত করলেই নাকে আসে উৎকট দুর্গন্ধ।
স্থানীয় যুবক রিমন আলী বলেন, ‘আগে যেখানে বন্ধুরা মিলে সাঁতার কাটতাম, আজ সেখানে দুর্গন্ধের চোটে দাঁড়ানোই দায়।’
নদীটি রক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ‘মাথাভাঙ্গা নদী বাঁচাও আন্দোলন’। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, সরকারি-বেসরকারি বহু প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করে রেখেছে। বড় বড় এনজিওর ভবনও নদীর সীমানার ভেতরে ঢুকে পড়েছে।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি সরাসরি আঙুল তুলেছেন পৌরসভার দিকে। তিনি বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীর গলার কাঁটা চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা। তারা নদীটিকে ড্রেন বানিয়ে ছাড়ছে। প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ ছাড়া নদী রক্ষা সম্ভব নয়।
নদীটির এমন শোচনীয় অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, আন্তসীমান্ত নদী হওয়ার কারণে বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে এবং তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘নদীদূষণকারীদের কোনো ছাড় নেই। জরিমানা নয়, এখন থেকে সরাসরি জেল হবে। পরিবেশ আইনে ব্যবস্থা নিয়ে আমি এই নদীকে বাঁচাতে চাই।’
জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক শারমিন আক্তার বলেন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ড্রেনগুলো নদীতে গিয়ে পড়েছে। আমি জানার পর সংশ্লিষ্ট বিভাগে নোটিশ করেছি। তবে এখনো আমরা বিকল্প পাইনি। এ বিষয়ে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে আমরা কাজ করব। আপনাদের সঙ্গে বসব।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট...
৬ ঘণ্টা আগেজিল্লুর রহমান, মান্দা (নওগাঁ)

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নওগাঁর মান্দা উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নে কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা কাজ দেখিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দপ্রাপ্ত চারটি প্রকল্পের ৩০ দশমিক ৫ টন চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকল্পগুলোর কাজ কাগজে-কলমে সম্পন্ন দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ইতিমধ্যে সমুদয় চাল উত্তোলন করেছেন।
অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলো হলো বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তা (৫.৫ টন), চকরামাকান্ত পাকা রাস্তা হতে আব্বাসের বাড়ির রাস্তা (৯ টন), চকমানিক মসজিদ হতে সোহবারের বাড়ির রাস্তা (৭ টন) এবং চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তা (৯ টন)।
সরকারি হিসাবে প্রতি টন চালের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। সে অনুযায়ী আত্মসাৎকৃত ৩০ দশমিক ৫ টন চালের বাজারমূল্য ১৪ লাখ ৯৪ হাজার ৫০০ টাকা।
সরেজমিনে প্রকল্প এলাকাগুলো ঘুরে কোথাও দৃশ্যমান কোনো কাজ পাওয়া যায়নি। দু-একটি স্থানে সামান্য মাটি ফেলে পুরো কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। চকগৌরী ব্রিজ হতে আতাউরের বাগান অভিমুখে রাস্তায় একেবারেই কোনো কাজ করা হয়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে চকগৌরী গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, কয়েকটা শ্রমিক দিয়ে মাত্র এক দিন সামান্য কাজ করানো হয়েছে। এভাবে সরকারের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে, অথচ গ্রামীণ এলাকার রাস্তাগুলো অবহেলিতই থেকে যাচ্ছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বনগ্রাম দুলালের বাড়ি হতে আতাউরের পাইকড়ের গাছ পর্যন্ত রাস্তার প্রকল্প সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘আমাকে নামমাত্র সভাপতি করা হয়েছে। প্রকল্পের সবকিছু দেখভাল করেন ইউপি চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম বাবু ও ইউপি সদস্য মনসুর রহমান। কত টনের প্রকল্প, সেটাও আমাদের জানানো হয়নি। শুধু কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
আরেক প্রকল্পের সভাপতি তানজিলা খাতুন বলেন, ‘প্রকল্প সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। সবকিছু মনসুর মেম্বারই করেন।’
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মনসুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভাই, উপজেলায় গেলে কথা হবে। এরপর ব্যস্ততা দেখিয়ে তিনি মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।’
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আরিফুল ইসলামকে অফিসে পাওয়া যায়নি। তাঁর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সেটি রিসিভ হয়নি।
মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আখতার জাহান সাথী আজকের পত্রিকাকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
১৮ মার্চ ২০২৩
সভাপতি পদে মো. আনোয়ারুল ইসলাম ভোট পেয়েছেন ৪৪৯টি এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থী মো. মাসুদ রানা পেয়েছেন ২৪৮টি ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিএনপি-সমর্থিত মো. রিয়াজ উদ্দিন পেয়েছেন ৫০৭ ভোট এবং তাঁর নিকটতম জামায়াত-সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কাজী মামুন রানা পেয়েছেন ১৮৬ ভোট।
১ ঘণ্টা আগে
টানা কুয়াশা ও কনকনে শীতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। অনেকেই সকালে কাজে যেতে পারছে না। শীত নিবারণের জন্য বিভিন্ন স্থানে মানুষকে খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুন পোহাতে দেখা গেছে।
১ ঘণ্টা আগে
একসময় বিশাল জাহাজ আর পালতোলা নৌকা চলাচলে মুখর ছিল চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদী। সেসব এখন শুধুই গল্প। জেলা শহরের বুক চিরে বয়ে যাওয়া ১২৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের আন্তসীমান্ত নদীটি এখন দখল, দূষণ আর অযত্নের কবলে পড়ে মৃতপ্রায়; যেন নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় আর্তনাদ করছে।
৬ ঘণ্টা আগে