Alexa
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

টিসিবির কার্ড পৌঁছায়নি অনেক দরিদ্রের হাতে

আপডেট : ১৮ মার্চ ২০২৩, ১১:২৩

ফাইল ছবি ‘শরীলে বল নাই। ঠিকমতো হাঁটতেও পারি না। বয়স হইল ৭০। আর কত বছর হইলে কার্ড পামু তা জানি না।’ কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চৈতরপাড়া এলাকার বিধবা জমিলা বেগম। স্বামী মারা যাওয়ার পর সন্তানেরাও খোঁজ নেন না। নিজেকেই নিজের আহার জোগাড় করতে হয়। কবে টিসিবির কার্ড বিতরণ হয়েছে, তা-ও জানেন না।

সারা দেশের মতো গাজীপুরের কালীগঞ্জেও কার্ডের মাধ্যমে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বল্প দামে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই কর্মসূচি চালু হয়েছে। তবে বহু দরিদ্র পরিবার এখনো কার্ড পায়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রাপ্ত তথ্যমতে, গত বছর ১৫ হাজার ৬৪৫টি পরিবারের মধ্যে টিসিবির কার্ড বিতরণ করা হয়েছে; যার মধ্যে কালীগঞ্জ পৌরসভায় ৩ হাজার ৩৭১টি, মুক্তারপুর ইউনিয়নে ১ হাজার ৯৭৯টি, বাহাদুরসাদীতে ১ হাজার ৪৪৩টি, জামালপুরে ১ হাজার ৭৯৭টি, তুমলিয়ায় ১ হাজার ৬৮৬, নাগরীতে ২ হাজার ৪৯টি, বক্তারপুরে ১ হাজার ৭৫৭ এবং জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নে ১ হাজার ৫৬৩টি কার্ড বিতরণ করা হয়। এ বছর সরকার নতুন করে কোনো বরাদ্দ না দেওয়ায় পুরোনো কার্ডের মাধ্যমেই চলছে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম।

কালীগঞ্জ পৌরসভার দুর্বাটি গ্রামের ৫০ বছর বয়সী হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমি স্বামী পরিত্যক্তা। এলাকার কাউন্সিলরকে বলার পরেও কোনো কার্ড পাইনি।’
৭০ বছর বয়সী মো. আমিন উদ্দিন জানান, তিনি এই কার্ডের ব্যাপারে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করলেও কার্ড পাননি। তাঁকে জানানো হয়েছে, যদি পরবর্তী কোনো সময় দেয় তবেই পাওয়া সম্ভব।

কালীগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোফজ্জল হোসেন আকন্দ মোমেন বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডে বহু মানুষকে কার্ড দেওয়া উচিত ছিল কিন্তু সাধ্যে কুলায়নি। যেসব কার্ড পেয়েছি তা যথেষ্ট নয়। একজনকে দিলে আরেকজন মুখের দিকে তাকিয়ে থাকে। এ নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। পড়তে হয়েছে রোশানলেও।’

কাউন্সিলর মো. আফসার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে খোঁজ নিয়ে কার্ড বিতরণ করেছি। চেষ্টা করেছি নিতান্তই যাদের কার্ড দরকার, তারা যেন পায়।’

কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র এস এম রবিন হোসেন বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকায় বিতরণের জন্য ৩ হাজার ৩৭১টি কার্ড পেয়েছি। এ অঞ্চলের যে অবস্থা, তাতে এই কার্ডে কিছুই হবে না। আরও বেশি দরকার ছিল। অনেকেই অভিযোগ করেন, কার্ড পাননি। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।’

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসসাদিকজামান বলেন, গত বছর বরাদ্দকৃত টিসিবির কার্ড পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সরকার নতুন কোনো বরাদ্দ দেয়নি; যে কারণে চাহিদা থাকলেও নতুনদের মধ্যে বিতরণের কোনো সুযোগ নেই।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     

    আ.লীগে প্রার্থীজট, নির্ভার বিএনপি

    কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক: থাকছে না নয়-ছয় নীতি

    আরাভ বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের দিয়ে যৌন ব্যবসা করতেন: স্ত্রীর জবানবন্দি

    ধাওয়ার পর পুলিশের গুলি, কোপায় এমপি ফিরোজের লোকেরা

    ৩ দিন আটক রেখে আরাভকে ছেড়ে দিয়েছিল পুলিশ

    ভারতকে পাশে চায় বিএনপি

    স্বর্ণের দাম এক লাফে সাড়ে ৭ হাজার টাকা বাড়ানোর পর কমল ১১০০

    ভাস্কর শামীম শিকদার আর নেই

    ১২ দফা নিয়ে আলোচনার আশ্বাস

    র‍্যাপার ব্যাড বানির বিরুদ্ধে ৪০ মিলিয়ন ডলারের মামলা করল তাঁর প্রাক্তন

    সিঙ্গারের ফ্রি এসি ক্লিনিং সার্ভিস আবারও চালু 

    বাঁশখালীতে হরিণ শিকারের পর জবাই, ৫ জনের কারাদণ্ড