রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌরসভা এলাকার বিবাহ রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান (৩৫) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নেশাদ্রব্য না পেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান পরিবার ও স্বজনেরা।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলা সদরের কাঠালবাড়িয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন থেকে মেহেদী পৌর এলাকার মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সম্প্রতি সময়ে তিনি মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। আর এ ঘটনায় তাঁর বাবা-মা গত তিন দিন আগে ঘরে তালা দিয়ে রাখেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি নেশাদ্রব্য জন্য চিৎকার করেছিলেন। এ সময় তাঁর পরিবারের লোকজন যোহরের নামাজ পড়তে যান। এ সময় মেহেদী ঘরের আড়ায় সঙ্গে কাপড় পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের চাচা কামাল হোসেন বলেন, ‘গ্রামের বখাটে যুবকদের পাল্লায় পড়ে মেহেদী হাসান মাদকাসক্ত হয়ে যায়। ওর বাবা আব্দুল মোমিন মৌলভি বিভিন্নভাবে তাঁকে মাদকমুক্ত করার চেষ্টা করেন। এতে কোনো প্রতিকার না হওয়ায় বিগত সময়ে দুইবার থানা-পুলিশের মাধ্যমে শোধনাগারে রাখা হয়েছিল। কিন্তু এতেও কোনো প্রতিকার হয়নি। মাদকের টাকার জন্য মাঝে মধ্যে বাবা-মাকেও লাঞ্ছিত করত সে। যার কারণে মেহেদীকে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে ওর বাবা-মা। কিন্তু ঘরের মধ্যে মাদক না পেয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।’
এ বিষয়ে পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন বলেন, ‘আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের মোবাইলে কল করে জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করতে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে