Ajker Patrika

আ. লীগের নেতা-কর্মীদের আগামী আট মাস সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আ. লীগের নেতা-কর্মীদের আগামী আট মাস সবার সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশ

বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি থেকে সহিংসতা হতে পারে দাবি করে তা প্রতিরোধে ঢাকা মহানগরের সংসদীয় আসনগুলোতে পৃথক শান্তি সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ।

এসব কর্মসূচি থেকে দেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সতর্ক থাকার পাশাপাশি নৌকাকে বিজয়ী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নেতা-কর্মীদের আগামী আট মাস পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করার নির্দেশনা দিয়েছেন।

আজ শনিবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আওতাধীন সাতটি সংসদীয় আসন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর চারটি সংসদীয় আসনের এলাকায় মিছিল পূর্ব শান্তি সমাবেশ করে। এসব কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশাপাশি নগরের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে বানচাল করতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র চলছে বলে দাবি করেন আওয়ামী লীগের নেতারা। এ ষড়যন্ত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি। দলটি পদযাত্রার নামে আগুন সন্ত্রাসের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও মনে করেন তারা। আওয়ামী লীগকে টানা চতুর্থবারের মতো ক্ষমতায় আনতে নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে নৌকার ভোট চাওয়ার নির্দেশনা দেন তারা। 

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে ঢাকা-১০ সংসদীয় আসন আওয়ামী লীগের আয়োজনে মিছিল পূর্ব শান্তি সমাবেশ করা হয়। সেখানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন আটটি নির্বাচনী আসনে বিজয়ী হতে এখন থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের কাজ শুরু করার নির্দেশনা দেন ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ থাকবে আগামী আট মাস আপনারা পাড়া-প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো আচরণ করবেন। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের খবর তাদের কাছে পৌঁছে দেবেন। ঐক্যবদ্ধভাবে দল করলে আগামী নির্বাচনী নৌকা মার্কাকে বিজয় করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। 

আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ শক্তিশালী রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী চায় বলে জানান দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি বলেন, ‘সরকার বিরোধীদের ক্ষমতা ভাগাভাগির স্বপ্ন পূরণ হবে না।’

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের শান্তি সমাবেশ থেকে ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে বিএনপিকে নির্বাচন আসার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া কোনো সরকার উৎখাত করা যাবে না। নির্বাচনই হল একমাত্র ক্ষমতা বদলের একমাত্র পথ।’

অনির্বাচিত সরকার আনার মাধ্যমে দেশের গণতন্ত্রকে বিএনপি নস্যাৎ করতে চায় বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। দেশের গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে দলটির নেতা-কর্মীরা যে কোনো চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুতও বলে জানান তারা। 

মিরপুর-১ এর গোল চত্বরে আয়োজিত শান্তি সমাবেশ থেকে দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘দেশের মানুষ নির্বাচনে বিশ্বাস করে, দেশের মানুষ ভোট দিতে চায়, দেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে ভোট দেবে। যদি আগামী নির্বাচনে কেউ কোনো প্রকার বানচালের চেষ্টা করে তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করে গণতন্ত্রকে রক্ষা করব।’

বিএনপির পদযাত্রা থেকে হাজারীবাগের বেড়িবাঁধ, কামরাঙ্গীরচর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং নিউমার্কেট এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে দাবি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন। তার দাবি বিএনপি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে জনগণ হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না, দাঁতভাঙা জবাব দেবে।

তাপস বলেন, ‘আমরা চাইলে ঢাকা মহানগরের কোনো এলাকায় আপনাদের (বিএনপি) নামার সুযোগ ছিল না। তারপরেও গণতন্ত্রের স্বার্থে, সংবিধানের স্বার্থে আমরা কোনো বাধা দেব না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

‘২৫ তারিখ ইনশা আল্লাহ দেশে চলে যাচ্ছি’, নিজেই বললেন তারেক রহমান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০২
যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: স্ক্রিনশট
যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনায় সভায় বক্তব্য দেন তারেক রহমান। ছবি: স্ক্রিনশট

২৫ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবার নিজেই তা জানালেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই তারিখ নিশ্চিত করেন। এর আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁর প্রত্যাবর্তনের কথা জানিয়েছিলেন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দ্য সিটি প্যাভিলিয়ন হলে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় তারেক রহমান বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে বহুদিন ছিলাম। ১৭ বা প্রায় ১৮ বছর আপনাদের সঙ্গে ছিলাম। বাট, আগামী ২৫ তারিখে ইনশা আল্লাহ আমি দেশে চলে যাচ্ছি।’

তারেক রহমানের দেশে ফেরার ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মিলনায়তনে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হর্ষধ্বনি দিয়ে ওঠেন।

এ দিকে নিজের বিদায়ের দিন বিমানবন্দরে ভিড় না করার জন্য যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরে ভিড় করলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে, যা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে।

সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনকে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল বা গোষ্ঠীর একক কৃতিত্ব নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এটি বাংলাদেশের সব মানুষের সম্মিলিত অর্জন।

তারেক রহমান বলেন, দেশের ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, কৃষক, শ্রমিক, পেশাজীবী, নারী, শিশু, গৃহিণীসহ সর্বস্তরের মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে আসায় স্বৈরাচার সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে পারেনি এবং দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। তিনি ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনের অর্জনকে বাংলাদেশের জনগণের দীর্ঘদিনের লড়াইয়ের ফল হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

আন্দোলনের সফলতা একটি অধ্যায় হলেও বিজয় ধরে রাখা আরও কঠিন বলে মন্তব্য করেন তারেক রহমান। তিনি সতর্ক করে বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত আছে। ১৯৭১ সালের ষড়যন্ত্রকারীরাই বিভিন্ন সময়ে (১৯৭৫, ১৯৮১, ১৯৯৬) সক্রিয় ছিল এবং আজও তারা সক্রিয়। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের দায়িত্ব হলো, দেশের সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সচেতন ও ঐক্যবদ্ধ থাকা।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন যে আগামী জাতীয় নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সরকার গঠন করতে সক্ষম হবে। তাঁরা বিজয়ী হলে দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবেন এবং জনগণের কাছে তাঁদের জবাবদিহি ও দায়বদ্ধতা থাকবে।

দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যাংকিং ব্যবস্থা ও শিল্প খাতের বর্তমান গভীর সংকটের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ভবিষ্যতে বিএনপির সামনে অত্যন্ত বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে। তবে জনগণের সমর্থন ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব বলে তিনি আশাবাদী।

তারেক রহমান বলেন, তিনি কোনো স্বপ্নের মধ্যে নেই, তিনি একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মধ্যে আছেন। তিনি জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি ও রাষ্ট্র পরিচালনায় একটি সুস্পষ্ট ও বাস্তবভিত্তিক পরিকল্পনা জনগণের সামনে উপস্থাপন করাকে দলের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব বলে মনে করেন।

বিএনপির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি শিক্ষা খাতে আধুনিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাতে প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্যভিত্তিক মডেল এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সহায়তা, যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা উন্নয়নের অঙ্গীকার করেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে ছয় মাসের মধ্যেই জনগণ এর সুফল দেখতে পাবে।

আলোচনা সভার আগে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের শহীদদের মাগফিরাত কামনা এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। যুক্তরাজ্য বিএনপির নবগঠিত আংশিক কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এবং সদস্যসচিব খসরুজ্জামান খসরুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

অন্তর্বর্তী সরকারকে মোদির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করতে হবে: আখতার

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৪১
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

মহান বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। একই সঙ্গে অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নিয়ে মোদির ‘ইতিহাস বিকৃতি’র বিরুদ্ধে বিবৃতি জারির আহ্বান জানিয়েছেন এই নেতা।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শেষে সমাবেশে আখতার হোসেন এসব কথা বলেন।

সমাবেশে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, ১৬ ডিসেম্বরকে নরেন্দ্র মোদি ভারতের বিজয় দিবস হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, বাংলাদেশের বিজয় দিবসকে, বাংলাদেশের জনযুদ্ধকে, বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রামকে ভারতের বিজয় হিসেবে দেখানোর মধ্য দিয়ে নরেন্দ্র মোদি দৃশ্যত ইতিহাস বিকৃতি করেছেন। বাংলাদেশের জন্মের সাথে লেগে থাকা ইতিহাসকে বিকৃতির দায়ে নরেন্দ্র মোদিকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে আখতার বলেন, ‘এটা কোনো ছেলেখেলা নয়। বাংলাদেশের বিজয়কে ভারতের বিজয় দেখিয়ে ইতিহাস বিকৃতি করার ছেলেখেলাকে প্রশ্রয় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দায়িত্ব নিয়ে মোদির ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে বিবৃতি জারি করতে হবে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সংস্কারের নির্বাচন। আপনারা সংস্কারের পক্ষে থাকবেন, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন।’

এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ‘আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শুরু হয়। কাঁটাবন মোড়, নীলক্ষেত মোড় ও পলাশীর মোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এ পদযাত্রা। এতে দলের সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় তাঁরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। ‘গণভোটে হ্যাঁ বলি, সংস্কারের সাথে চলি’, ‘মুক্তির মূল সনদ গণভোট-গণভোট’, ‘এক হাদির কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ নানা স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামের নামে দেশকে বিভক্ত করা যাবে না: নাহিদ ইসলাম

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩০
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলামের নামে দেশকে বিভক্ত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ‘মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শেষে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের নামে যেমন দেশকে বিভাজন করা যাবে না, ইসলামের নামেও দেশকে বিভাজন করা যাবে না। মুক্তিযুদ্ধ এবং ইসলামকে মুখোমুখি দাঁড় করার যে রাজনীতি গত ৫৪ বছর হয়েছে, সে রাজনীতি থেকে আমরা বের হয়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব। ইসলাম আমার, মুক্তিযুদ্ধ আমার, জুলাইও আমার। যারা এগুলোকে বিভক্ত করতে চায়, তারা ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়।’

স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নের সুরাহা হয়নি বলে উল্লেখ করেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। কিন্তু এখনো আমরা মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নের সুরাহা করতে পারিনি। ৫৪ বছর পর এসেও আমরা দেখি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের রাজনীতি। গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আমরা ভেবেছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের এবং বিপক্ষের বিভাজনের রাজনীতির সুরাহা হবে। সে রাজনীতি বাংলাদেশ থেকে দূর হবে। কিন্তু আমরা দুঃখের সঙ্গে দেখতে পাচ্ছি, ৫ আগস্টের পর সে রাজনীতি আবারও ফিরে এসেছে। যে রাজনীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ এবং মুজিববাদী বামপন্থীরা বাংলাদেশকে সব সময় বিভাজিত করে রেখেছিল, বাংলাদেশে সব সময় একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করে রেখেছিল।’

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে এনসিপির অবস্থান এবং বক্তব্য খুবই পরিষ্কার বলে জানান নাহিদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অন্যতম ভিত্তি। আমরা মনে করি, ১৯৪৭ এবং তার পূর্ববর্তী সময়ে বাংলাদেশের মানুষ আজাদির জন্য উপনিবেশবাদবিরোধী যে লড়াই শুরু করছিল, তার অন্যতম পরিণতি হচ্ছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম। এই স্বাধীনতা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন ভূখণ্ড পেয়েছিলাম; কিন্তু আমরা সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি অর্জন করতে পারিনি। আমাদের পাশের রাষ্ট্র বারবার এখানে তাঁবেদারি রাষ্ট্র, তাঁবেদারি দেশ কায়েম করতে চেয়েছে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, এবারের নির্বাচন সংস্কারের নির্বাচন। আপনারা সংস্কারের পক্ষে থাকবেন, বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন।

এদিন বিকেল ৪টায় রাজধানীর বাংলামোটর এলাকা থেকে ‘আগ্রাসনবিরোধী যাত্রা’ শুরু হয়। কাঁটাবন মোড়, নীলক্ষেত মোড় ও পলাশীর মোড় হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয় এই পদযাত্রা। এতে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।

এ সময় তাঁরা বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-সংবলিত বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। ‘গণভোটে হ্যাঁ বলি, সংস্কারের সাথে চলি’, ‘মুক্তির মূল সনদ গণভোট-গণভোট’, ‘এক হাদির কিছু হলে, জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’সহ নানা স্লোগান দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পরও স্বাধীনতাযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি: ব্যারিস্টার ফুয়াদ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩১
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পরেও স্বাধীনতাযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ।

আজ মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বিজয়নগরের বিজয় চত্বরে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবি পার্টির উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও আমাদের একের পর এক লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল, সেই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আমরা আজও পাইনি।’

আসাদুজ্জামান ফুয়াদ আরও বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলেন, সেটিও বাস্তবায়িত হয়নি বলেই আজ আমাদের আবার লড়াই করতে হচ্ছে। সেই কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়েছে, ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ হতে হয়েছে এবং তারেক রহমানকে নির্বাসিত জীবন কাটাতে হচ্ছে।’

নির্বাচনের আগে অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে উল্লেখ করে ফুয়াদ বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সিরিয়াস উদ্যোগ আমরা দেখছি না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা অত্যন্ত হতাশাজনক।’

ফুয়াদ বলেন, আগামী নির্বাচনে ফ্যাসিবাদী শক্তি নির্বাচনকে ভন্ডুল করার ষড়যন্ত্র করছে। শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনা প্রমাণ করে যে তারেক রহমানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এখনো হুমকির মুখে রয়েছেন।

এবি পার্টির নেতা আরও বলেন, ভালো ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অন্যথায় দেশের পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়ে উঠবে।

দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসাইন, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুল হালিম খোকন, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক সেলিম খান, মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব বারকাজ নাসির আহমদ প্রমুখ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত