Alexa
শুক্রবার, ৩১ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

বার-বেঞ্চের সম্প্রীতিই কাম্য

আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:৩৪

বার-বেঞ্চের সম্প্রীতিই কাম্য দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি নিম্ন আদালতে বিচারকদের সঙ্গে আইনজীবীদের বিরোধে জড়িয়ে পড়ার খবর প্রায়ই শোনা যায়। ইদানীং এটা সম্ভবত বেড়েছে। এর কারণ হয়তো এটাই, বার ও বেঞ্চের মধ্যে পারস্পরিক যে আস্থা ও বিশ্বাসের সম্পর্ক থাকা দরকার, এখন হয়তো সেটায় ঘাটতি পড়েছে। সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালতে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল, সে কথা আমরা স্মরণ করতে পারি। এক হাতে তালি বাজে না বলে একটি কথা আছে। বিচারপতি হলেই তিনি কোনো দোষ বা অন্যায় করবেন না, সেটা যেমন ঠিক বলে ধরে নেওয়া যায় না, তেমনি আইনজীবী হলেই তিনি ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যান না। তাই কারও ভুলত্রুটি হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। তবে এ নিয়ে বড় জটিলতা তৈরি না করাই বাঞ্ছনীয়।

নিম্ন আদালতে বার-বেঞ্চ সম্প্রীতি ফেরাতে শনিবার ৬৪ জেলার আইনজীবী সমিতির সঙ্গে বর্ধিত সভার আয়োজন করেছিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। ওই সভা থেকে সারা দেশের আইনজীবীদের প্রতি যেকোনো মূল্যে বার ও বেঞ্চের সুসম্পর্ক রক্ষা করার বার্তা দেওয়া হয়েছে। যদিও সমাবেশে বক্তব্য দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতারা কিছুটা হট্টগোল করেছেন, তবু আমরা আশা করব, বিরোধ কমিয়ে সম্প্রীতি বাড়ানোর উদ্যোগই অব্যাহত থাকবে।  

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ঠিক এ কথাটাই সবাইকে নতুন করে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন। তিনি শনিবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের আইনজীবী সমিতির এক অনুষ্ঠানে অত্যন্ত স্পষ্ট করে বলেছেন, বার ও বেঞ্চের মধ্যে যদি সম্প্রীতি না থাকে, তাহলে জুডিশিয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং নিরীহ মানুষ বিচারবঞ্চিত হবে। তাই ন্যায়বিচারের স্বার্থে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেছেন, বিচার বিভাগ মহান সংবিধানের শেষ রক্ষাকবচ। বার ও বেঞ্চ বিচার বিভাগের অবিচ্ছেদ্য অংশ। পরস্পর পরস্পরের পরিপূরক। বার না থাকলে বেঞ্চ অকেজো, বেঞ্চ না থাকলে বার অকেজো। তাই জুডিশিয়ারির স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় একে অপরকে যথাযথ সম্মান দেখাতে হবে। যদি বার ও বেঞ্চের মধ্যে সম্প্রীতি না থাকে, তাহলে জুডিশিয়ারি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বিচারবঞ্চিত হবে নিরীহ মানুষ। এতে বিচার বিভাগের প্রতি আস্থাহীনতা বেড়ে যাবে।

বিচারকেরা আইনজীবীদের প্রতিদ্বন্দ্বী নন উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো নাগরিক অধিকার লঙ্ঘিত হলে বা কেউ আইনি সমস্যায় পড়লে প্রথমে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন। বিচারপ্রার্থীদের প্রতিনিধি হিসেবে আইনজীবীরাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেন। আইনজীবীরা সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখেন।

আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি কোনো বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে জানানোর আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘যদি কোনো বিচারক বিচার বিক্রি করেন, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিন্দুমাত্র সংকোচ করব না।’

বিভিন্ন জেলায় বিচার বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কারও বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে যেমন ব্যবস্থা নিতে হবে, তেমনি আইনজীবীদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে জোর দিতে হবে।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    পঠিতসর্বশেষ

    এলাকার খবর

     
     

    নতুন শিক্ষাক্রমে ব্যাপক প্রস্তুতির প্রয়োজন ছিল

    হিরো আলম যেভাবে সুপারহিরো হয়ে উঠছে

    ওষুধের দাম বৃদ্ধি ঠেকান

    নিরপেক্ষ বিচারক

    ধন্যবাদ এবং প্রত্যাখ্যান

    রুচির দুর্ভিক্ষ: বড় বিতর্ক!

    এক বছরে একাই ৬ লাখ রুপির ইডলি অর্ডার করেছেন

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রার্থী অজয় বঙ্গাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা

    অভিযুক্ত হওয়ার পর যা বললেন ট্রাম্প ও তাঁর সমর্থকেরা

    রোজার তাৎপর্য, ইতিহাস ও উদ্দেশ্য

    মেসিদের কাছে হার আশা করেননি ফ্রান্সের সাবেক ফুটবলার

    উত্তরা-আগারগাঁও রুটে চালু হলো মেট্রোরেলের সব স্টেশন