সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরা প্রবাসীকে বহনকারী গাড়ি গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় চক্রের দুই সদস্যকে কারাগার থেকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে (শোন অ্যারেস্ট) পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআই বলছে, তারা পেশাদার ছিনতাই চক্র। চক্রে চার থেকে পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। যাঁরা গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে সাভার, আশুলিয়া, যাত্রাবাড়ী, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন মহাসড়কে ডাকাতি করতেন। পুলিশ পরিচয়ে গাড়ি থামিয়ে চালক ও যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে হত্যার হুমকি দিয়ে হাত-পা বেঁধে মালামাল ও গাড়ি ছিনতাই করে নিয়ে যেতেন।
২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর রাতে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের হাত-পা বেঁধে সর্বস্ব লুটের ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পিবিআই। সংস্থাটি জানতে পারে ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতরা অপর এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন। পরে আদালতের মাধ্যমে ‘শোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয় পিবিআই।
কারাগার থেকে রিমান্ডে পিবিআইয়ের কাছে আসা আসামিরা হলেন মো. সোহাগ (২৮) ও মো. শরিফুল ইসলাম (৩৭)। তারা সাভার থানার আরেকটি মামলায় কারাগারে ছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবার প্রবাসীর মালামাল ও তাঁকে বহনকারী গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত দুজনকে শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) মীর শাফিন মাহমুদ।
পিবিআইয়ের তদন্তে জানা গেছে, গ্রেপ্তার সোহাগ ও শরিফুল পেশাদার ছিনতাইকারী। গত তিন বছর ধরে তাঁরা পুলিশ, ডিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর পরিচয় ব্যবহার করে ছিনতাই করে আসছিলেন। এমনকি মামলার বাদী আব্দুল মালেকের গাড়ি ছিনতাই করে নেওয়ার পরে সেই গাড়ি ব্যবহার করে গত এক বছর ধরে ছিনতাই করে আসছিলেন। তবে কতটি অপরাধ ঘটিয়েছেন সেটি জানতে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পিবিআই।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সালেহ ইমরান জানান, আসামি সোহাগের বিরুদ্ধে সাভার, আশুলিয়া ও ঢাকার বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। শরিফুলের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে। শরিফুল এই মামলায় নিজের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে