নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও ঘোষণা। দূরপাল্লার বাসসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। কোনো গণপরিবহনও ঢোকেনি খুলনায়। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা। বাহন না পেয়ে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্র-শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতিও দুদিনের ধর্মঘট ডাকে। কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা-যশোরগামী কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।
বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা
খুলনা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে খুলনাগামী বাসগুলো চলাচল করছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত। গতকাল বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। খুলনাগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। খুলনায় বাস ঢুকতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে গিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হয়েছে তাদের। এরপর বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী ইশিতা বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে, তাই টার্মিনালে এলাম। কিন্তু শুনছি, যশোরে গিয়ে নেমে যেতে হবে।’ আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বাস মালিক সমিতি কিংবা রাজনৈতিক দল হোক বা সংগঠনই হোক, তারা ধর্মঘট ডেকে বসে থাকে। আমাদের কথা ভাবে না।’
খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাসের চালক তমাল ইসলাম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে যশোর পর্যন্ত যাচ্ছি। খুলনায় বিএনপির সমাবেশের জন্য ধর্মঘটের কারণে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়েই আবার ফিরে আসতে হবে। খুলনায় ধর্মঘটের কারণে যাত্রীসংখ্যাও অনেক কম।’
ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা রোকনুজ্জামান রানু বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে কোনো পরিবহন ধর্মঘট নেই। তবে খুলনা মালিক সমিতি মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়ে যশোর পর্যন্ত বাস চলাচল রেখেছি।’
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের মহড়া
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে থাকা সব পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাসই চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বিকেলে কাপড়ের ব্যাগ ও লুঙ্গি পরে হেঁটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় তাঁরা জানান, কচুয়া উপজেলা থেকে এসেছেন। পথে দুই স্থানে বাধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে বলেন, ‘সমাবেশে যাচ্ছি’।
জনদুর্ভোগ মাগুরায়
মাগুরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি কাজের জন্য খুলনায় যেতে বাধ্য হয়ে অনেকে এসেছেন। গন্তব্যে না যেতে পারায় হতাশায় পড়েছেন তাঁদের কেউ কেউ। নৌবাহিনীর একটি চাকরির পরীক্ষা দিতে খুলনায় যেতে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন মাগুরা আঠারখাদা এলাকার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের শৈশব মণ্ডল। তিনি জানান, শনিবার খুলনায় তাঁর পরীক্ষা। এ জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন, যশোরের বাস আছে, তা-ও অনিয়মিত।
এদিন মাগুরা থেকে খুলনার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। এমনকি নিয়মিত পরিবহন বলতেও কিছু ছিল না। এই রুটে কেন বাস বন্ধ, সে প্রশ্ন ছিল অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাজমা খাতুন নামের একজন বলেন, ‘শুনেছি খুলনায় এক রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। কিন্তু এর জন্য বাস বন্ধ কি না জানি না। আমি বাচ্চাকে নিয়ে তিন ঘণ্টা এক কাউন্টারে বসে আছি। এখন যা অবস্থা, তাতে ভেঙে ভেঙে খুলনায় যেতে হবে। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্ট হবে।’
যশোরগামী একটি বাসের কাউন্টারের মাস্টার নবাব আলী জানান, যশোর পর্যন্ত বাস যাচ্ছে। তবে খুলনায় যেতে হলে কয়েকটি বাস পাল্টাতে হবে। খুলনার বাস কেন বন্ধ, তা তিনি বলতে পারেন না।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বাসে পুলিশের তল্লাশি চলছে। কেন এটা করা হচ্ছে, তা তাঁরা বলতে পারছেন না। তবে ওই যাত্রীদের ধারণা, যশোর কিংবা খুলনার দিকে তাঁরা যাবেন এমন সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা মিয়া জানান, ঢাকা থেকে যে পরিবহনগুলো খুলনায় যেত, সেগুলো যাচ্ছে না। আবার খুলনা থেকে কোনো পরিবহনই মাগুরা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে না। এ জন্য আজ যাত্রীসংখ্যা খুব নগণ্য।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ বিএনপির সমাবেশে যেতে কোনো বাধা দিচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রুটিনমাফিক কাজ। এটা পুলিশ নিয়মিত করে থাকে।
গতকাল সকাল থেকে শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জ, বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক মানুষ ভ্যানে কিংবা বিকল্প উপায়ে নিকটস্থ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই যানবাহন না পেয়ে বাড়ির পথ ধরেছে।
আঞ্চলিক বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির (কালীগঞ্জ) সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, বাস বন্ধের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাতক্ষীরায় আটকা অনেক যাত্রী
সাতক্ষীরায় দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী আটকা পড়েন, বিশেষ করে খুলনাগামী যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে আবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারছেন না পরিবহনসংকটে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ভ্যান বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
যশোর পৌরসভার বাসিন্দা আকরামুল হক বলেন, তিনি সাতক্ষীরায় এসেছেন গত বৃহস্পতিবার। গতকাল বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন, বাস বন্ধ। বাড়ি ফিরতে না পেরে খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেছেন। খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। এ ছাড়া জোর করে চলাচল করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা খুলনা রুটের বাস বন্ধ রেখেছেন।
দুর্বিষহ দুর্ভোগ যশোরে
যশোর থেকে খুলনাগামী আন্তজেলা বাসসহ সব ধরনের বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাসের শেষ গন্তব্যস্থল হলো খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। তবে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ কারণে খুলনার টার্মিনালগুলোতে ঢুকতে পারছে না যাত্রীবাহী বাস। ফলে এই অঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাস থেমে জড়ো হচ্ছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। দূরদূরান্ত থেকে যাত্রীরা খুলনায় যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছে। এমনকি অনেকেই নিজ গন্তব্যে না যেতে পেরে যশোর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আবার অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যায়।
যশোর থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলেনি গতকাল সকাল থেকে; এমনকি খুলনা থেকেও কোনো বাস যশোরে ছেড়ে আসেনি। বাকি ১৯ রুটের বাস যশোর টার্মিনালে নিয়মিত আসছে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে খুলনা ছাড়া সব রুটে ছেড়ে যায়। পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, যশোর থেকে খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর কারণ তাঁরা বলতে পারছেন না।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন যশোর বাস টার্মিনালে থেমে যাচ্ছে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই মানুষকে বাস থেকে যশোরে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক বা নছিমনে করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও ঘোষণা। দূরপাল্লার বাসসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। কোনো গণপরিবহনও ঢোকেনি খুলনায়। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা। বাহন না পেয়ে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্র-শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতিও দুদিনের ধর্মঘট ডাকে। কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা-যশোরগামী কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।
বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা
খুলনা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে খুলনাগামী বাসগুলো চলাচল করছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত। গতকাল বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। খুলনাগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। খুলনায় বাস ঢুকতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে গিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হয়েছে তাদের। এরপর বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী ইশিতা বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে, তাই টার্মিনালে এলাম। কিন্তু শুনছি, যশোরে গিয়ে নেমে যেতে হবে।’ আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বাস মালিক সমিতি কিংবা রাজনৈতিক দল হোক বা সংগঠনই হোক, তারা ধর্মঘট ডেকে বসে থাকে। আমাদের কথা ভাবে না।’
খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাসের চালক তমাল ইসলাম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে যশোর পর্যন্ত যাচ্ছি। খুলনায় বিএনপির সমাবেশের জন্য ধর্মঘটের কারণে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়েই আবার ফিরে আসতে হবে। খুলনায় ধর্মঘটের কারণে যাত্রীসংখ্যাও অনেক কম।’
ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা রোকনুজ্জামান রানু বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে কোনো পরিবহন ধর্মঘট নেই। তবে খুলনা মালিক সমিতি মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়ে যশোর পর্যন্ত বাস চলাচল রেখেছি।’
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের মহড়া
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে থাকা সব পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাসই চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বিকেলে কাপড়ের ব্যাগ ও লুঙ্গি পরে হেঁটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় তাঁরা জানান, কচুয়া উপজেলা থেকে এসেছেন। পথে দুই স্থানে বাধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে বলেন, ‘সমাবেশে যাচ্ছি’।
জনদুর্ভোগ মাগুরায়
মাগুরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি কাজের জন্য খুলনায় যেতে বাধ্য হয়ে অনেকে এসেছেন। গন্তব্যে না যেতে পারায় হতাশায় পড়েছেন তাঁদের কেউ কেউ। নৌবাহিনীর একটি চাকরির পরীক্ষা দিতে খুলনায় যেতে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন মাগুরা আঠারখাদা এলাকার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের শৈশব মণ্ডল। তিনি জানান, শনিবার খুলনায় তাঁর পরীক্ষা। এ জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন, যশোরের বাস আছে, তা-ও অনিয়মিত।
এদিন মাগুরা থেকে খুলনার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। এমনকি নিয়মিত পরিবহন বলতেও কিছু ছিল না। এই রুটে কেন বাস বন্ধ, সে প্রশ্ন ছিল অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাজমা খাতুন নামের একজন বলেন, ‘শুনেছি খুলনায় এক রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। কিন্তু এর জন্য বাস বন্ধ কি না জানি না। আমি বাচ্চাকে নিয়ে তিন ঘণ্টা এক কাউন্টারে বসে আছি। এখন যা অবস্থা, তাতে ভেঙে ভেঙে খুলনায় যেতে হবে। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্ট হবে।’
যশোরগামী একটি বাসের কাউন্টারের মাস্টার নবাব আলী জানান, যশোর পর্যন্ত বাস যাচ্ছে। তবে খুলনায় যেতে হলে কয়েকটি বাস পাল্টাতে হবে। খুলনার বাস কেন বন্ধ, তা তিনি বলতে পারেন না।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বাসে পুলিশের তল্লাশি চলছে। কেন এটা করা হচ্ছে, তা তাঁরা বলতে পারছেন না। তবে ওই যাত্রীদের ধারণা, যশোর কিংবা খুলনার দিকে তাঁরা যাবেন এমন সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা মিয়া জানান, ঢাকা থেকে যে পরিবহনগুলো খুলনায় যেত, সেগুলো যাচ্ছে না। আবার খুলনা থেকে কোনো পরিবহনই মাগুরা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে না। এ জন্য আজ যাত্রীসংখ্যা খুব নগণ্য।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ বিএনপির সমাবেশে যেতে কোনো বাধা দিচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রুটিনমাফিক কাজ। এটা পুলিশ নিয়মিত করে থাকে।
গতকাল সকাল থেকে শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জ, বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক মানুষ ভ্যানে কিংবা বিকল্প উপায়ে নিকটস্থ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই যানবাহন না পেয়ে বাড়ির পথ ধরেছে।
আঞ্চলিক বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির (কালীগঞ্জ) সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, বাস বন্ধের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাতক্ষীরায় আটকা অনেক যাত্রী
সাতক্ষীরায় দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী আটকা পড়েন, বিশেষ করে খুলনাগামী যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে আবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারছেন না পরিবহনসংকটে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ভ্যান বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
যশোর পৌরসভার বাসিন্দা আকরামুল হক বলেন, তিনি সাতক্ষীরায় এসেছেন গত বৃহস্পতিবার। গতকাল বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন, বাস বন্ধ। বাড়ি ফিরতে না পেরে খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেছেন। খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। এ ছাড়া জোর করে চলাচল করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা খুলনা রুটের বাস বন্ধ রেখেছেন।
দুর্বিষহ দুর্ভোগ যশোরে
যশোর থেকে খুলনাগামী আন্তজেলা বাসসহ সব ধরনের বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাসের শেষ গন্তব্যস্থল হলো খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। তবে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ কারণে খুলনার টার্মিনালগুলোতে ঢুকতে পারছে না যাত্রীবাহী বাস। ফলে এই অঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাস থেমে জড়ো হচ্ছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। দূরদূরান্ত থেকে যাত্রীরা খুলনায় যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছে। এমনকি অনেকেই নিজ গন্তব্যে না যেতে পেরে যশোর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আবার অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যায়।
যশোর থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলেনি গতকাল সকাল থেকে; এমনকি খুলনা থেকেও কোনো বাস যশোরে ছেড়ে আসেনি। বাকি ১৯ রুটের বাস যশোর টার্মিনালে নিয়মিত আসছে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে খুলনা ছাড়া সব রুটে ছেড়ে যায়। পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, যশোর থেকে খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর কারণ তাঁরা বলতে পারছেন না।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন যশোর বাস টার্মিনালে থেমে যাচ্ছে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই মানুষকে বাস থেকে যশোরে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক বা নছিমনে করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও ঘোষণা। দূরপাল্লার বাসসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। কোনো গণপরিবহনও ঢোকেনি খুলনায়। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা। বাহন না পেয়ে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্র-শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতিও দুদিনের ধর্মঘট ডাকে। কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা-যশোরগামী কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।
বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা
খুলনা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে খুলনাগামী বাসগুলো চলাচল করছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত। গতকাল বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। খুলনাগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। খুলনায় বাস ঢুকতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে গিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হয়েছে তাদের। এরপর বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী ইশিতা বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে, তাই টার্মিনালে এলাম। কিন্তু শুনছি, যশোরে গিয়ে নেমে যেতে হবে।’ আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বাস মালিক সমিতি কিংবা রাজনৈতিক দল হোক বা সংগঠনই হোক, তারা ধর্মঘট ডেকে বসে থাকে। আমাদের কথা ভাবে না।’
খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাসের চালক তমাল ইসলাম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে যশোর পর্যন্ত যাচ্ছি। খুলনায় বিএনপির সমাবেশের জন্য ধর্মঘটের কারণে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়েই আবার ফিরে আসতে হবে। খুলনায় ধর্মঘটের কারণে যাত্রীসংখ্যাও অনেক কম।’
ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা রোকনুজ্জামান রানু বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে কোনো পরিবহন ধর্মঘট নেই। তবে খুলনা মালিক সমিতি মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়ে যশোর পর্যন্ত বাস চলাচল রেখেছি।’
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের মহড়া
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে থাকা সব পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাসই চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বিকেলে কাপড়ের ব্যাগ ও লুঙ্গি পরে হেঁটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় তাঁরা জানান, কচুয়া উপজেলা থেকে এসেছেন। পথে দুই স্থানে বাধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে বলেন, ‘সমাবেশে যাচ্ছি’।
জনদুর্ভোগ মাগুরায়
মাগুরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি কাজের জন্য খুলনায় যেতে বাধ্য হয়ে অনেকে এসেছেন। গন্তব্যে না যেতে পারায় হতাশায় পড়েছেন তাঁদের কেউ কেউ। নৌবাহিনীর একটি চাকরির পরীক্ষা দিতে খুলনায় যেতে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন মাগুরা আঠারখাদা এলাকার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের শৈশব মণ্ডল। তিনি জানান, শনিবার খুলনায় তাঁর পরীক্ষা। এ জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন, যশোরের বাস আছে, তা-ও অনিয়মিত।
এদিন মাগুরা থেকে খুলনার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। এমনকি নিয়মিত পরিবহন বলতেও কিছু ছিল না। এই রুটে কেন বাস বন্ধ, সে প্রশ্ন ছিল অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাজমা খাতুন নামের একজন বলেন, ‘শুনেছি খুলনায় এক রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। কিন্তু এর জন্য বাস বন্ধ কি না জানি না। আমি বাচ্চাকে নিয়ে তিন ঘণ্টা এক কাউন্টারে বসে আছি। এখন যা অবস্থা, তাতে ভেঙে ভেঙে খুলনায় যেতে হবে। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্ট হবে।’
যশোরগামী একটি বাসের কাউন্টারের মাস্টার নবাব আলী জানান, যশোর পর্যন্ত বাস যাচ্ছে। তবে খুলনায় যেতে হলে কয়েকটি বাস পাল্টাতে হবে। খুলনার বাস কেন বন্ধ, তা তিনি বলতে পারেন না।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বাসে পুলিশের তল্লাশি চলছে। কেন এটা করা হচ্ছে, তা তাঁরা বলতে পারছেন না। তবে ওই যাত্রীদের ধারণা, যশোর কিংবা খুলনার দিকে তাঁরা যাবেন এমন সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা মিয়া জানান, ঢাকা থেকে যে পরিবহনগুলো খুলনায় যেত, সেগুলো যাচ্ছে না। আবার খুলনা থেকে কোনো পরিবহনই মাগুরা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে না। এ জন্য আজ যাত্রীসংখ্যা খুব নগণ্য।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ বিএনপির সমাবেশে যেতে কোনো বাধা দিচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রুটিনমাফিক কাজ। এটা পুলিশ নিয়মিত করে থাকে।
গতকাল সকাল থেকে শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জ, বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক মানুষ ভ্যানে কিংবা বিকল্প উপায়ে নিকটস্থ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই যানবাহন না পেয়ে বাড়ির পথ ধরেছে।
আঞ্চলিক বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির (কালীগঞ্জ) সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, বাস বন্ধের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাতক্ষীরায় আটকা অনেক যাত্রী
সাতক্ষীরায় দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী আটকা পড়েন, বিশেষ করে খুলনাগামী যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে আবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারছেন না পরিবহনসংকটে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ভ্যান বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
যশোর পৌরসভার বাসিন্দা আকরামুল হক বলেন, তিনি সাতক্ষীরায় এসেছেন গত বৃহস্পতিবার। গতকাল বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন, বাস বন্ধ। বাড়ি ফিরতে না পেরে খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেছেন। খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। এ ছাড়া জোর করে চলাচল করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা খুলনা রুটের বাস বন্ধ রেখেছেন।
দুর্বিষহ দুর্ভোগ যশোরে
যশোর থেকে খুলনাগামী আন্তজেলা বাসসহ সব ধরনের বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাসের শেষ গন্তব্যস্থল হলো খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। তবে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ কারণে খুলনার টার্মিনালগুলোতে ঢুকতে পারছে না যাত্রীবাহী বাস। ফলে এই অঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাস থেমে জড়ো হচ্ছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। দূরদূরান্ত থেকে যাত্রীরা খুলনায় যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছে। এমনকি অনেকেই নিজ গন্তব্যে না যেতে পেরে যশোর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আবার অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যায়।
যশোর থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলেনি গতকাল সকাল থেকে; এমনকি খুলনা থেকেও কোনো বাস যশোরে ছেড়ে আসেনি। বাকি ১৯ রুটের বাস যশোর টার্মিনালে নিয়মিত আসছে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে খুলনা ছাড়া সব রুটে ছেড়ে যায়। পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, যশোর থেকে খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর কারণ তাঁরা বলতে পারছেন না।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন যশোর বাস টার্মিনালে থেমে যাচ্ছে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই মানুষকে বাস থেকে যশোরে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক বা নছিমনে করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও ঘোষণা। দূরপাল্লার বাসসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১৭টি রুটে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে খুলনা থেকে ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। কোনো গণপরিবহনও ঢোকেনি খুলনায়। এতে করে দক্ষিণাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে খুলনা। বাহন না পেয়ে পথে পথে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা।
খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে শুক্র-শনিবার বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। বাগেরহাট আন্তজেলা বাস মালিক ও শ্রমিক সমিতিও দুদিনের ধর্মঘট ডাকে। কুষ্টিয়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা জানান, খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি এবং খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে খুলনা-যশোরগামী কোনো যাত্রীবাহী বাস চলাচল করছে না। সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি জানান, খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে।
বিস্তারিত জানিয়েছেন আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিরা
খুলনা জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ হয়ে খুলনাগামী বাসগুলো চলাচল করছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত। গতকাল বিভিন্ন বাস টার্মিনালে যাত্রীর চাপ অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। খুলনাগামী যাত্রীর সংখ্যা ছিল একেবারেই কম। খুলনায় বাস ঢুকতে না পারায় দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ হয়ে যশোরে গিয়ে বাস থেকে নেমে যেতে হয়েছে তাদের। এরপর বিকল্প উপায়ে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। খুলনাগামী যাত্রী ইশিতা বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জরুরি প্রয়োজনে খুলনা যেতে হবে, তাই টার্মিনালে এলাম। কিন্তু শুনছি, যশোরে গিয়ে নেমে যেতে হবে।’ আরেক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধর্মঘট ডাকা মানেই আমাদের দুর্ভোগ। বাস মালিক সমিতি কিংবা রাজনৈতিক দল হোক বা সংগঠনই হোক, তারা ধর্মঘট ডেকে বসে থাকে। আমাদের কথা ভাবে না।’
খুলনাগামী গড়াই পরিবহনের একটি বাসের চালক তমাল ইসলাম বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে যশোর পর্যন্ত যাচ্ছি। খুলনায় বিএনপির সমাবেশের জন্য ধর্মঘটের কারণে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল হয়েই আবার ফিরে আসতে হবে। খুলনায় ধর্মঘটের কারণে যাত্রীসংখ্যাও অনেক কম।’
ঝিনাইদহ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির নেতা রোকনুজ্জামান রানু বলেন, ‘ঝিনাইদহ থেকে কোনো পরিবহন ধর্মঘট নেই। তবে খুলনা মালিক সমিতি মহাসড়কে নিষিদ্ধ তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের যে ঘোষণা দিয়েছে, তাতে সমর্থন জানিয়ে যশোর পর্যন্ত বাস চলাচল রেখেছি।’
বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ ও সহযোগীদের মহড়া
বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, টার্মিনালে থাকা সব পরিবহনের কাউন্টার বন্ধ। বাগেরহাট থেকে খুলনাগামী বাস ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রামসহ অভ্যন্তরীণ রুটের কোনো বাসই চলছে না। বাস টার্মিনালসহ আশপাশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীদের লাঠি হাতে মহড়া দিতে দেখা গেছে।
বিকেলে কাপড়ের ব্যাগ ও লুঙ্গি পরে হেঁটে যেতে দেখা যায় দুই ব্যক্তিকে। কথায় কথায় তাঁরা জানান, কচুয়া উপজেলা থেকে এসেছেন। পথে দুই স্থানে বাধার মুখে পড়েছেন। রাজমিস্ত্রির কাজে যাচ্ছেন বলে পার পেয়েছেন। আসলে কোথায় যাচ্ছেন, জানতে চাইলে প্রথমে কাজের কথা বললেও কিছুক্ষণ পরে বলেন, ‘সমাবেশে যাচ্ছি’।
জনদুর্ভোগ মাগুরায়
মাগুরা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি কাজের জন্য খুলনায় যেতে বাধ্য হয়ে অনেকে এসেছেন। গন্তব্যে না যেতে পারায় হতাশায় পড়েছেন তাঁদের কেউ কেউ। নৌবাহিনীর একটি চাকরির পরীক্ষা দিতে খুলনায় যেতে বাসস্ট্যান্ডে এসেছেন মাগুরা আঠারখাদা এলাকার মৃগিডাঙ্গা গ্রামের শৈশব মণ্ডল। তিনি জানান, শনিবার খুলনায় তাঁর পরীক্ষা। এ জন্য বাসস্ট্যান্ডে এসে দেখেন, যশোরের বাস আছে, তা-ও অনিয়মিত।
এদিন মাগুরা থেকে খুলনার বাসগুলো ছেড়ে যায়নি। এমনকি নিয়মিত পরিবহন বলতেও কিছু ছিল না। এই রুটে কেন বাস বন্ধ, সে প্রশ্ন ছিল অপেক্ষমাণ অনেক যাত্রীর। কিন্তু কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি কাউন্টার-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
নাজমা খাতুন নামের একজন বলেন, ‘শুনেছি খুলনায় এক রাজনৈতিক দলের সমাবেশ। কিন্তু এর জন্য বাস বন্ধ কি না জানি না। আমি বাচ্চাকে নিয়ে তিন ঘণ্টা এক কাউন্টারে বসে আছি। এখন যা অবস্থা, তাতে ভেঙে ভেঙে খুলনায় যেতে হবে। ছোট বাচ্চাকে নিয়ে খুব কষ্ট হবে।’
যশোরগামী একটি বাসের কাউন্টারের মাস্টার নবাব আলী জানান, যশোর পর্যন্ত বাস যাচ্ছে। তবে খুলনায় যেতে হলে কয়েকটি বাস পাল্টাতে হবে। খুলনার বাস কেন বন্ধ, তা তিনি বলতে পারেন না।
কয়েকজন যাত্রী জানান, বাসে পুলিশের তল্লাশি চলছে। কেন এটা করা হচ্ছে, তা তাঁরা বলতে পারছেন না। তবে ওই যাত্রীদের ধারণা, যশোর কিংবা খুলনার দিকে তাঁরা যাবেন এমন সন্দেহ করা হচ্ছে।
মাগুরা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার বাদশা মিয়া জানান, ঢাকা থেকে যে পরিবহনগুলো খুলনায় যেত, সেগুলো যাচ্ছে না। আবার খুলনা থেকে কোনো পরিবহনই মাগুরা হয়ে ঢাকা যাচ্ছে না। এ জন্য আজ যাত্রীসংখ্যা খুব নগণ্য।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ বিএনপির সমাবেশে যেতে কোনো বাধা দিচ্ছে না। যা হচ্ছে তা রুটিনমাফিক কাজ। এটা পুলিশ নিয়মিত করে থাকে।
গতকাল সকাল থেকে শ্যামনগর, মুন্সিগঞ্জ, বংশীপুর বাসষ্ট্যান্ডসহ আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বল্পসংখ্যক মানুষ ভ্যানে কিংবা বিকল্প উপায়ে নিকটস্থ গন্তব্যে যাচ্ছেন। তবে বেশির ভাগ মানুষই যানবাহন না পেয়ে বাড়ির পথ ধরেছে।
আঞ্চলিক বাস মালিক-শ্রমিক সমিতির (কালীগঞ্জ) সভাপতি মনিরুজ্জামান জানান, বাস বন্ধের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই।
সাতক্ষীরায় আটকা অনেক যাত্রী
সাতক্ষীরায় দূরদূরান্ত থেকে আসা অনেক যাত্রী আটকা পড়েন, বিশেষ করে খুলনাগামী যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে আবার পরীক্ষা দিতে যেতে পারছেন না পরিবহনসংকটে। অনেকেই বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে ভ্যান বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
যশোর পৌরসভার বাসিন্দা আকরামুল হক বলেন, তিনি সাতক্ষীরায় এসেছেন গত বৃহস্পতিবার। গতকাল বাড়িতে ফেরার জন্য তিনি সাতক্ষীরা বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখেন, বাস বন্ধ। বাড়ি ফিরতে না পেরে খুবই দুর্ভোগে রয়েছেন বলে জানান তিনি।
সাতক্ষীরা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি সাইফুল করিম সাবু বলেন, বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে শ্রমিকেরা ধর্মঘট করেছেন। খুলনার কেন্দ্রীয় শ্রমিক নেতাদের আহ্বানে তাঁদের বাস চলাচল বন্ধ করতে হয়েছে। এ ছাড়া জোর করে চলাচল করতে গেলে তাঁদের ওপর হামলা ও ভাঙচুর হতে পারে, এই আশঙ্কায় তাঁরা খুলনা রুটের বাস বন্ধ রেখেছেন।
দুর্বিষহ দুর্ভোগ যশোরে
যশোর থেকে খুলনাগামী আন্তজেলা বাসসহ সব ধরনের বাস বন্ধ রেখেছেন পরিবহনমালিক ও শ্রমিকেরা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাসের শেষ গন্তব্যস্থল হলো খুলনার সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনাল। তবে খুলনার বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিনের ‘পরিবহন ধর্মঘটের’ কারণে খুলনার টার্মিনালগুলোতে ঢুকতে পারছে না যাত্রীবাহী বাস। ফলে এই অঞ্চলের রুটগুলোর যাত্রীবাহী বাস থেমে জড়ো হচ্ছে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। দূরদূরান্ত থেকে যাত্রীরা খুলনায় যেতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়ছে। এমনকি অনেকেই নিজ গন্তব্যে না যেতে পেরে যশোর থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয়। আবার অনেকেই সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যে যায়।
যশোর থেকে খুলনাগামী কোনো বাস চলেনি গতকাল সকাল থেকে; এমনকি খুলনা থেকেও কোনো বাস যশোরে ছেড়ে আসেনি। বাকি ১৯ রুটের বাস যশোর টার্মিনালে নিয়মিত আসছে এবং নির্দিষ্ট সময় শেষে খুলনা ছাড়া সব রুটে ছেড়ে যায়। পরিবহনশ্রমিকেরা জানান, যশোর থেকে খুলনাগামী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর কারণ তাঁরা বলতে পারছেন না।
গতকাল দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী যাত্রীবাহী পরিবহন যশোর বাস টার্মিনালে থেমে যাচ্ছে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই মানুষকে বাস থেকে যশোরে নামিয়ে দেওয়া হয়। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ইজিবাইক বা নছিমনে করে ভেঙে ভেঙে যেতে হয়।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও
২২ অক্টোবর ২০২২
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও
২২ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও
২২ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর আজ শনিবার খুলনায় গণসমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। সমাবেশ সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় শুরু হয়েছে পূর্বঘোষিত পরিবহন ধর্মঘট। এদিন দুপুরে হঠাৎ এল লঞ্চ ধর্মঘটেরও
২২ অক্টোবর ২০২২
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫