Alexa
বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩

সেকশন

epaper
 

১০ মাসেও শেষ হয়নি কাজ সড়কে চলাচলে দুর্ভোগ

আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২২, ১৩:৫৭

মৌলভীবাজারের ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর সড়কের টিলাগাঁও বাঘেরটিকি এলাকায় সংস্কারকাজ শেষ না হওয়ায় খানাখন্দে জমে রয়েছে বৃষ্টির পানি। ছবি: আজকের পত্রিকা ১০ মাসেও শেষ হয়নি মৌলভীবাজার জেলার ব্রাহ্মণবাজার-শমসেরনগর সড়কের সংস্কারকাজ। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় ১ হাজার ২০০ মিটার সড়কের পিচঢালাই তুলে পাথর-বালু দিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বৃষ্টিতে ছোট-বড় খানাখন্দে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সড়কে চলাচলকারী গাড়িচালকদের।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) জেলা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন মোবাইলে ফোনে আজকের পত্রিকাকে বলেন, কয়েক মাস ধরেই টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এজন্য সড়কে রোলার করে রাখা পাথর ও বালু ভিজা থাকে। এগুলো পুরোপুরি না শুকালে বিটুমিন প্রয়োগ করা যাবে না। বৃষ্টি বন্ধ হলে কাজ সম্পন্ন করা হবে।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ব্রাহ্মণবাজার থেকে শমসেরনগরের শ্রীমঙ্গল পর্যন্ত সড়কের ৩ হাজার মিটার আরসিসি ঢালাই ও ১ হাজার ৪০০ মিটার বিটুমিন দিয়ে সংস্কার প্রকল্পের দরপত্র আহ্বান করে সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তর। এর আওতায় ১৩টি কালভার্ট ও একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। কাজটি সম্পাদনের দায়িত্ব পায় জামিল ইকবাল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে কাজ শুরু করে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণবাজর-শমসেরনগর সড়কের কুলাউড়া অংশের টিলাগাঁও বাংলা টিলা এলাকার প্রায় ২০০ মিটার, বাঘেরটিকি এলাকায় ৩০০ মিটার ও হাজীপুরের কুনিমোড়া এলাকায় ১৫০ মিটার রাস্তার পুরোনো পিচঢালাই তুলে বালু-মাটি-পাথর দিয়ে রাখার হয়। এরপর এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী ভারী যানবাহন ও পণ্যবোঝাই ট্রাক প্রায়ই দেবে যায়। এজন্য সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নের ঘটনা ঘটত। চলতি বর্ষায় ওই অংশগুলোতে বালু-পাথর ওঠে অসংখ্য গর্ত সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া হাজীপুরের কটারকোনা বাজার থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে ভাঙাচোরা ও বিশাল গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। গর্তে জমে থাকা কাদাপানিতে প্রতিনিয়ত বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে গাড়িচালক ও যাত্রীদের।

সড়কে চলাচলকারী বাসচালক মাসুক মিয়া ও সিএনজি অটোরিকশাচালক এনামুল আলম জানান, ‘শুধু সংস্কারকাজের অংশে নয়, গর্ত ও ভাঙাচোরা সড়কে গাড়ির অনেক ক্ষতি হয়। প্রায়ই গাড়ির চাকা ও যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে যায়।’

হাজীপুর এলাকার বাসিন্দা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিনই কুলাউড়া শহরে যেতে হয়। গত শুকনো মৌসুমে সড়কের ভাঙা অংশগুলোতে কাজ শুরু হয়। এতদিনেও কাজ শেষ করেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারের গাফিলতিতে কয়েক মাস ধরে গর্ত আর ভাঙাচোরা অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছে। সড়কে মোটরসাইকেল নিয়ে চলাচল খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।

সড়কটির সংস্কার বিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী জামিল ইকবালের মোবাইলে ফোনে একাধিকবার কল কল করেও যোগাযোগ করা যায়নি।

মন্তব্য

আপনার পরিচয় গোপন রাখতে
আমি নীতিমালা মেনে মন্তব্য করছি।
Show
 
    সব মন্তব্য

    ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে

    এলাকার খবর

     
     
    ভোটের মাঠে

    মাদারীপুর-২: শাজাহানের দুর্গে নাছিমের চোখ

    প্রস্তুতিতে আ.লীগ, সিদ্ধান্তহীন বিএনপি

    তিস্তার চরে মিষ্টিকুমড়া

    রোগীদের ব্যয় বছরে ৫৩,২৭৪ কোটি টাকা

    আ.লীগে প্রার্থীজট, নির্ভার বিএনপি

    ধাওয়ার পর পুলিশের গুলি, কোপায় এমপি ফিরোজের লোকেরা

    বেলজিয়ামের নেতৃত্বে ডি ব্রুইনা 

    জাপোরিঝিয়ায় আবাসিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে রাশিয়া: জেলেনস্কি

    ঝালকাঠিতে অবৈধভাবে বালু তোলায় দুজনকে জেল-জরিমানা 

    ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠায় ন্যায় বিচার জরুরি’

    ফুটবলকে বিদায় জানালেন মেসুত ওজিল

    শিশুকে ধর্ষণের অপরাধে একজনের যাবজ্জীবন