Ajker Patrika

শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ৪ ঘণ্টার লোডশেডিং

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ জুলাই ২০২২, ১৯: ৫১
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় ৪ ঘণ্টার লোডশেডিং

দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল ঢাকার আশুলিয়াও পড়েছে লোডশেডিংয়ের কবলে। নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ থাকার কথা থাকলেও বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে এখন আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছে। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিল্পাঞ্চলের কারখানাগুলোর শিল্পোৎপাদন, উৎপাদন চালু রাখতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। এতে শঙ্কায় পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। অতিরিক্ত গরমে জনজীবনেও পড়ছে এর বিরূপ প্রভাব। আশুলিয়ার পাশাপাশি সাভার ও ধামরাইয়েও দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ঘাটতি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে লোডশেডিং সম্পর্কিত তথ্য জানান আশুলিয়া অঞ্চলের বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডিজিএম (সদর-কারিগরি) মোহাম্মদ আব্দুল জলিল মিয়া। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ ঢাকার আশুলিয়া ও গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এতে করে কালিয়াকৈরেও একইভাবে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়ছেন সাধারণ জনগণ। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিদিন এই অঞ্চলে গড়ে ৩৯০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও ঘাটতি আছে প্রায় ৯০ মেগাওয়াট। ফলে শিল্পাঞ্চল হওয়া সত্ত্বেও প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে।

আশুলিয়ার জামগড়া এলাকার পোশাক কারখানা দিব্য ফ্যাশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবেল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের এখন প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হয় জেনারেটরের জ্বালানি তেলের জন্য। আরও বড় কারখানার আরও বেশি খরচ হয়। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকলে তো এই অতিরিক্ত খরচটা হতো না। আমাদের উৎপাদন ব্যয় বাড়ছে।’

প্রকৌশলী আব্দুল জলিল মিয়া বলেন, ‘জাতীয় পর্যায়ে গ্যাস স্বল্পতার কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সারা দেশে চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন কম থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে। ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিতরণ ব্যবস্থার শতভাগ সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় লোড শেডিং দিতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। সকলের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।’

প্রচণ্ড গরমে বিদ্যুতের বিভ্রাট নিয়ে বিরক্তি ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ মানুষ। আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকার ফল ব্যবসায়ী আলম মিয়া বলেন, ‘কারেন্ট ১ ঘণ্টা থাকে, সারা দিন ভইরাই এমন করতাছে। দিন রাত ২৪ ঘণ্টাই এমন চলে। কারেন্টের কারণে নানা ঝামেলার মধ্যে আছি। ব্যবসা-বাণিজ্য তো আগের মতো নাইকা। কাস্টমার বাজারে আসে না।’ 

আশুলিয়ায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমপক্ষে ৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হচ্ছেআরেক ব্যবসায়ী সেলিম মন্ডল বলেন, ‘বিল্ডিং গুলাতে দেখা যায় ৪-৫টা করে এসি। তারা বিদ্যুৎ ফুরাইতেছে বেশি। সাধারণ ফ্যান চালাইলেও তো তারা থাকতে পারে।’ 

কথা হয় পথচারী নাহিদ হাসানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘কারেন্ট তো একটু পরপরই চলে যায়। বাচ্চাকাচ্চারা গরমে কান্নাকাটি করে। দেশের তো উন্নতি হচ্ছে, কিন্তু এতে তো দেশের ক্ষতি হচ্ছে। মার্কেটে লাখ লাখ টাকা খরচ করে মানুষ ব্যবসা করতে বসছে। অন্ধকারে বেচাকেনা করতে পারে না।’ 

এদিকে ঢাকার সাভার অঞ্চল ও ধামরাই উপজেলার বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্বে থাকা ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এও রয়েছে বিদ্যুতের ঘাটতি। সাভারের পৌরসভা থেকে শুরু করে পুরো সাভার থানা এলাকা এবং আশুলিয়ার নয়ারহাট ও পার্শ্ববর্তী ধামরাই উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩। এখানেও ২ থেকে ৩ ঘণ্টার লোড শেডিং চলছে।

ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ এর ডিজিএম (সদর-কারিগরি) প্রকৌশলী মুহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের চাহিদা আছে সর্বোচ্চ ২৪০ মেগাওয়াট, কিন্তু ঘাটতি তো ভেরিয়েশন হয়। যেমন আজকে আমাদের ৪০ মেগাওয়াট ঘাটতি আছে। গড়ে আমাদের ১২ থেকে ১৫ শতাংশ ঘাটতি থাকে। আবার কোনো সময় ঘাটতি থাকে না, তখন দেখা যায় টানা ২-৩ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। যেসব ফিডারে ৫০ শতাংশের ওপর ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড আছে সে জায়গায় আমরা নিরবচ্ছিন্ন রাখার চেষ্টা করছি।’

তবে আশার কথা হচ্ছে আশুলিয়ায় অবস্থিত ঢাকা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে থেমে নেই শিল্পোৎপাদন। কারণ তারা নিজেরাই নিজেদের পাওয়ার প্ল্যান্টের মাধ্যমে গ্যাস দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে থাকে। শুধু তাই নয়, নিজেদের উৎপাদিত চাহিদার অবশিষ্ট বিদ্যুৎ তারা জাতীয় গ্রিডেও সরবরাহ করে থাকে। 

এ তথ্য নিশ্চিত করেন বেপজার নির্বাহী পরিচালক (পিআর) নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, ‘ডিইপিজেডে আমাদের ৮০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা আছে। আমাদের নিজেদের চাহিদা আছে ৪০-৫০ মেগাওয়াট। বাকিটা আমরা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করি। এমনকি বিকেল ৫টা থেকে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত আমাদের সকল কারখানা বন্ধ থাকায় আমাদের উৎপাদিত সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ আমরা জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করি। তবে রাতে কিছু কারখানা খোলা থাকলে হয়তো ৮-১০ মেগাওয়াট আমাদের প্রয়োজন হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভৈরবে গ্যাসের লিকেজ থেকে আগুন, ১০ শিশুসহ দগ্ধ ১৫

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি ও ভৈরব সংবাদদাতা
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্যাস সিলিন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে ১০ শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের লুন্দিয়া চরপাড়া বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, দগ্ধদের উদ্ধার করে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ১২ জনকে ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠান। বাকি তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকান মালিক, লুন্দিয়া টুকচানপুর গ্রামের বাসিন্দা জহির মিয়া পুরি ও রুটি ভাজি বিক্রি শেষে সকালে ১০টার দিকে প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে বাড়ি যান। তিনি ভুলে গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ করেননি। দীর্ঘ সময় ধরে দোকানের ভেতর গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। পরে এক পর্যায়ে গ্যাসের বিস্ফোরণে দোকানে আগুন ধরে যায়। এসময় দোকানের সামনে থাকা পথচারী এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দগ্ধ হন।

আহতরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫০) ও নাছির মিয়া (৪০)।

চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে স্বজনেরা জানান, আহতদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ দগ্ধ হওয়ায় তাঁর অবস্থা সংকটজনক।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ রাস্তার ওপর আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চোখের সামনে কয়েকজন মানুষ আগুনে পুড়তে দেখি। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডার থেকেই আগুন ছড়িয়েছে।’

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী হাসপাতালে আসে। একজনের শরীরের ৮০ শতাংশ এবং অন্যদের ২০–৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি যুবকের

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি 
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত
দুলাল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার একটি গ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেপ্তার আসামির নাম দুলাল মিয়া (২৮)। তিনি ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। বিচারক আশরাফুল আলম আসামির জবানবন্দি নথিভুক্ত করেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাকছুদ আহাম্মদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামির জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ জানান, গত মঙ্গলবার রাতে দুলাল মিয়া আট বছরের ওই শিশুকে ঘর থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে শ্বাস রোধ করে তাকে হত্যা করেন দুলাল।

মাকছুদ আহাম্মদ জানান, এদিকে ওই রাতেই শিশুকে না পেয়ে তার পরিবার খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সে সময় সন্ধান চেয়ে মাইকে প্রচারও করা হয়। তখন দুলাল মিয়াও শিশুটির বাবার সঙ্গে খোঁজাখুঁজিতে যোগ দেন। পরদিন গত বুধবার সকালে বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় দুলাল মিয়া ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিয়ে পুলিশ সদস্যদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেন।

জবানবন্দির বরাতে ওসি মাকছুদ আহাম্মদ বলেন, ‘লাশ উদ্ধারের সময় দুলাল মিয়ার আচরণে আমাদের সন্দেহ হয়। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুর রউফ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আল সরকারের সঙ্গে কথা হয়। পরে বুধবার রাতে শিশুটির বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা করেন। মামলার পরই দ্রুত তদন্ত শুরু করে ঘটনাস্থলসংলগ্ন বিভিন্ন আলামত পর্যালোচনা শেষে ওই রাতেই দুলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শিশুটির লাশের ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মামলা ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাবনার চাটমোহরে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করে ভুক্তভোগী পরিবারের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনের একটি মামলাকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাঁদের অভিযোগ, মামলায় নির্দোষ ব্যক্তিদের ফাঁসানো হয়েছে। পুনঃতদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটন ও অভিযুক্তদের খালাস দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

আজ শুক্রবার সকালে চাটমোহর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন মামলার ১ নম্বর বিবাদী, ছাইকোলা ইউনিয়নের কুবড়াগাড়ি গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন।

জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কুবড়াগাড়ি গ্রামের আব্দুর রহিম (৬৫) নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। ওই সময় দুর্বৃত্তরা তাঁকে ঘর থেকে বাইরে ডেকে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে দেয়। এতে তিনি দগ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ঢাকায় চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এ ঘটনায় আব্দুর রহিমের ভাই আব্দুল আজিজ বাদী হয়ে প্রতিবেশী সাতজনকে বিবাদী করে অ্যাসিড অপরাধ দমন আইনে মামলা করেন। মামলার ছয়জন জামিন পেলেও ১ নম্বর বিবাদী শফিকুল ইসলাম এখনো কারাগারে।

সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া খাতুন দাবি করেন, ঘটনার দিন ওই সময়ে তাঁর স্বামী চাটমোহরে ছিলেন না। তাঁরা দুজনই সেদিন চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ছিলেন, যেখানে তাঁরা ফুটপাতে বিরিয়ানি বিক্রি করেন। তা সত্ত্বেও তাঁর স্বামীকে মামলার ১ নম্বর বিবাদী করা হয়েছে। এ ছাড়া শফিকুলের পিতা শহিদ সরদারসহ আরও দুই ভাইকে মামলায় জড়ানো হয়েছে।

সুমাইয়ার ভাষ্য, ‘আমার স্বামী গ্রামে থাকেন না। আমরা তিন সন্তান নিয়ে হাটহাজারীতেই থাকি। প্রতিপক্ষ আমাদের ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে মিথ্যা মামলা করেছে। প্রকৃত ঘটনা তদন্ত করা হয়নি। আমরা অন্যায়ের শিকার।’ তিনি অভিযোগ করেন, মামলার তদন্তে গাফিলতি থাকায় তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে হয়রানির শিকার। তিন সন্তানসহ মানবেতর জীবন যাপন করছেন বলেও দাবি করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মামলাটি পুনঃতদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান পরিবারের সদস্যরা। সেখানে শফিকুল ইসলামের পিতা শহিদ সরদার, তাঁর মা ও অন্যান্য স্বজন উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গুলশানে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ জব্দ, গ্রেপ্তার ১

উত্তরা-বিমানবন্দর (ঢাকা) প্রতিনিধি 
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব
র‍্যাবের হাতে জব্দ হওয়া ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ। ছবি: র‍্যাব

রাজধানীর গুলশানে মদের চালানসহ এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ ও মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়।

আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

গ্রেপ্তার রবিউল ইসলাম (২১) নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ভিটি গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‍্যাব-১-এর কর্মকর্তা মো. রাকিব হাসান বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে অভিযান চালিয়ে ৫৪০ বোতল বিদেশি মদ, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত পিকআপ ভ্যানসহ রবিউল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে গুলশান থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত