Ajker Patrika

উৎপাদন বন্ধ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী

রহিম বাদশা, চাঁদপুর 
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২২, ১২: ১৫
উৎপাদন বন্ধ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে, লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী

হাঁসফাঁস গরমে বিদ্যুতের মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ চাঁদপুরবাসী। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিদ্যুতের সংকট এতটা প্রকট হয়নি চাঁদপুরে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চাহিদার ৬০-৭০ শতাংশ সরবরাহ পেলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি পাচ্ছে অর্ধেকের মতো। গত তিন দিন ধরে বিদ্যুতের এই ঘনঘন আসা-যাওয়া লক্ষ করা গেলেও শিগগির এই সমস্যা থেকে উত্তরণের কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারেনি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিভাগ।

গত কয়েক দিন ধরে চাঁদপুর শহর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং চলছে। তবে গত রোববার থেকে চাঁদপুর শহরে অস্বাভাবিক হারে বিভিন্ন এলাকায় লোডশেডিং পালাক্রমে হচ্ছে। একেক দফায় আধা ঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত থাকছে না বিদ্যুৎ।

আজ মঙ্গলবারও এই ধারা অব্যাহত ছিল। সম্প্রতি গরম বাড়ায় বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে শহরবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অফিস, ব্যাংক-বিমা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি রাতে ঠিকমতো ঘুমাতে পারছে না লোকজন।

জেলার অন্যান্য উপজেলা ও গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে টানা কয়েক ঘণ্টা করে থাকছে না বিদ্যুৎ। গত শনিবার বিকেল থেকে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিং করতে হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে। চাহিদার অনুপাতে অর্ধেকেরও কম বরাদ্দ পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সমিতির কর্তাব্যক্তিরা।

চাঁদপুর শহরের প্রফেসরপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পালাক্রমে লোডশেডিং করা হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা পরপর। বিশেষ করে রাতের বেলায়ও একাধিকবার দীর্ঘ সময়ের জন্য লোডশেডিং করা হচ্ছে গত তিন দিন ধরে। এতে শিশু ও বয়স্ক মানুষের কষ্ট বেড়ে গেছে। লোডশেডিংয়ের সময় গরমে ঘুমাতেও পারছি না। ভ্যাপসা গরমে ঘরেও টেকা যায় না।

শহরের হাজী মুহসীন রোডের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক টেকনিশিয়ান জানান, লোডশেডিংয়ের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে এক্স-রেসহ অন্যান্য প্যাথলজিক্যাল টেস্ট বন্ধ থাকছে। এতে রোগী ও সঙ্গে আসা স্বজনদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

শাহরাস্তি পৌর এলাকার আলমগীর হোসেন জানান, গত তিন দিন ধরে এক ঘণ্টা পরপর পালাক্রমে দিনে-রাতে লোডশেডিং করা হচ্ছে। কখনো কখনো এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকার পর দেড়-দুই ঘণ্টা লোডশেডিং করা হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আরও খারাপ। সেখানে টানা দুই-তিন ঘণ্টা করেও লোডশেডিং করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদপুরের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, শহরে প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা দিনের বেলা ১৮ মেগাওয়াট ও রাতে ২২ মেগাওয়াট। আমরা চাহিদামতো বিদ্যুৎ পেয়ে আসছিলাম। তবে গত তিন দিন ধরে চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাচ্ছি। রোববার দিনে ১১ মেগাওয়াট ও রাতে ১৪ মেগাওয়াট পেয়েছি। সোমবার দিনে পেয়েছি ১২ মেগাওয়াট আর রাতে ১৪ মেগাওয়াট। এ কারণে বাধ্য হয়ে পালাক্রমে বিভিন্ন এলাকা ও পাড়া-মহল্লায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, মূলত গ্যাস ও জ্বালানির সংকটের কারণে সারা দেশে বিদ্যুতের উৎপাদন কমে গেছে। চাঁদপুর শহরে অবস্থিত ১৫০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটিও প্রায় পক্ষকালব্যাপী বন্ধ রয়েছে গ্যাসের সংকটের কারণে। তবে ডাকাতিয়ার অপর প্রান্তে ইচলী এলাকার ‘চাঁদপুর পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেড’ নামের প্রাইভেট বিদ্যুৎকেন্দ্রে অল্প পরিসরে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে।

প্রকৌশলী মিজানুর রহমান জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ কম পাওয়ায় পরিস্থিতি সামাল দিতে লোডশেডিং করতে হচ্ছে। কবে নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করতে না পারলেও ঈদের আগে চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের জোগান বাড়বে বলে আশাবাদী তিনি। এমন পরিস্থিতিতে সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা গেছে, চাঁদপুর জেলায় দুটি সমিতির মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই সমিতি মিলে প্রতিদিন ১২৫ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ মেগাওয়াট। এ কারণে আগের চেয়ে লোডশেডিং বেড়ে গেছে।

চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার দেব কুমার জানান, বর্তমান সময়ে তাঁর সমিতির আওতায় পিক আওয়ারে ৮০ মেগাওয়াট ও অফ পিক আওয়ারে ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। সেই অনুপাতে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে অনেক কম। গতকাল সোমবার জাতীয় গ্রিড থেকে পিক আওয়ারে ৪৫ ও অফ পিকে ৩০-৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে। সরবরাহ ব্যাপক হারে না বাড়া পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেট সীমান্তে খাসিয়াদের গুলিতে ২ জন নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট  
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের পূর্ব তুরুং গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান এবং একই এলাকার বরম সিদ্দিপুরের আজমন আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খাসিয়াদের সুপারিপুঞ্জিতে ঢুকলে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। লাশ দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া সীমান্ত পিলার নম্বর ১২৬০/৪-এসের পাশ দিয়ে বাংলাদেশি কয়েক ব্যক্তি আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রাজন টিলার সুপারিবাগানে ঢোকে।

এ সময় সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বাগানমালিক খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুকের কয়েক রাউন্ডটি গুলি ছোড়ে। এতে মো. আশিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা লাশ বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।

অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বরম সিদ্দিপুর নামক স্থান দিয়ে দুই ব্যক্তি সুপারিবাগানে ঢুকলে খাসিয়ারা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মো. ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইয়াকুবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তোপখানায় উদীচীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০: ৫৬
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর তোপখানায় বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে হামলা ও আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের উল্টো দিকের এই কার্যালয়ে দেওয়া আগুন ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

রাত সোয়া ৮টার দিকে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর একাংশের সাধারণ সম্পাদক জামসেদ আনোয়ার তপন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি মাত্র কার্যালয়ে পৌঁছেছি। আধা ঘণ্টা আগে উদীচী কার্যালয়ে হামলা হয়।’

হামলা ও অগ্নিসংযোগ কারা করেছে, তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি।

ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তরের কর্মকর্তা শাহজাহান শিকদার বলেন, আজ সন্ধ্যা ৭টা ৩৯ মিনিটের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ৮টা ১৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পুলিশের ভয়ে ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে ময়মনসিংহে আ.লীগ নেতার মৃত্যু

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু। ছবি: সংগৃহীত
কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের গ্রেপ্তারের ভয়ে ময়মনসিংহ নগরীর নিজ বাড়ির ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে এক আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর বাঘমারা ওই আওয়ামী লীগ নেতার বাসায় পুলিশ অভিযান চালাতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজু। তিনি ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

নিহতের ভাই কাজী শিপলু বলেন, ‘গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ আমার ভাইকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়। পুলিশ আমাদের বাসার এসে গেট খুলতে বলে। পরে আমার ভাই রাজু বিষয়টি টের পেয়ে গ্রেপ্তার এড়াতে দোতলা বাড়ির ছাদ থেকে লাফ দেওয়ার সময় বেলকনির সঙ্গে মাথায় আঘাত লাগে।

‘এতে রাজু গুরুতর আহত হন। পুলিশ চলে গেলে আশপাশের লোকজন রাজুকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

‘সেখান থেকে পরিবারের লোকজন স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা রাজুকে আইসিইউতে রাখেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।’

রাজুর স্ত্রী সাথী জানান, ৮-১০ বছর ধরে রাজু রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তিনি রাজনীতি থেকে সরে আসেন। তাঁর নামে কোনো মামলাও নেই। বিগত ৫ আগস্টের পর তিনি স্বাভাবিক জীবন যাপন করছিলেন।

এ বিষয়ে ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘পুলিশের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে কাজী মঞ্জুর মোর্শেদ রাজুর বাসায় অভিযান পরিচালনা করে। ওই বাসার কলাপসিবল গেটে পুলিশ নক করে। তবে, কেউ গেট না খোলায় পুলিশ ফিরে আসে। পরে সেখানে কী হয়েছে, সে বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাটি কাটা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এসআইসহ ৬ জন টেঁটাবিদ্ধ, বাড়িঘরে আগুন

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি
সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
সংঘর্ষের সময় কয়েকটি বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে পুলিশের এসআইসহ অন্তত ছয়জন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। এ সময় অন্তত চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংশপুরা গ্রামে মো. জহির ও খলিলুর রহমানের লোকজনের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

টেঁটাবিদ্ধ সিরাজদিখান থানার এসআই হাফিজুর রহমানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বাকি আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মাটি কাটা নিয়ে কংশপুরা গ্রামের খলিলুর রহমান ও পূর্ব রামকৃষ্ণদি গ্রামের মো. জহিরের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কংশপুরা গ্রামে দুই পক্ষের লোকজন টেঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় উভয় পক্ষের কয়েকটি বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়। সংঘর্ষ থামাতে সিরাজদিখান থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে এসআই হাফিজুর হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়।

সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক জাহানারা আক্তার বলেন, পুলিশের এসআইয়ের ডান হাতে টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন। তাঁকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে।

জানতে চাইলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘জহিরের অবৈধ মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ায় লোকজন নিয়ে আমার বাড়িঘরে হামলা চালিয়েছে। ঘরবাড়ি ভাঙচুর ও স্বর্ণালংকার লুটপাট করা হয়েছে। আমার কয়েকজন লোক টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।’

এদিকে মো. জহির বলেন, ‘খলিলের সঙ্গে আমার বিরোধ অনেক আগের। আজকের ঘটনায় আমি জড়িত নই।’

লতব্দী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন খান খোকন বলেন, ড্রেজার মেশিন দিয়ে মাটি কাটা ও ভরাটকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছিল। আজকের ঘটনায় কয়েকজন টেঁটাবিদ্ধ হয়েছেন।

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হান্নান বলেন, ঘটনার পর এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে মামলা দায়ের করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত