রাজশাহী প্রতিনিধি

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’
রাজশাহী প্রতিনিধি

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু এতে আপত্তি জানিয়েছে পাশের জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। রাজশাহীকে এই আমের স্বত্ব দেওয়ার নারাজি দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন দাবি করে, এই আম চাঁপাইনবাবগঞ্জের। তবে গবেষকেরা বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হিসেবেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৮৪ সালে। তার আগে ওই এলাকা ছিল বৃহত্তর রাজশাহীরই অন্তর্গত। তাই অতি পুরোনো ‘ফজলি আম’ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আলাদা স্বত্ব দাবি করা একেবারেই হাস্যকর। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি ও রাজশাহীর ফজলি আমের মধ্যে আছে পার্থক্যও।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের শুরু দিকে বাঘার ‘ফজলি আম’ রাজশাহীর জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আবেদন করে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকায় ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর। কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের আপত্তিতে জিআই সনদ আটকে যায় রাজশাহীর ফজলি আমের। আগামী মঙ্গলবার শুনানির মধ্য দিয়ে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে চায় সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর। সেদিনই সিদ্ধান্ত হবে ফজলি কোথাকার।
বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় ১৯১২ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত করা সার্ভে অ্যান্ড সেটেলমেন্ট অপারেশনস ইন দি ডিস্ট্রিক্ট অব রাজশাহীর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের ১৬ নম্বর পৃষ্ঠায় ইংরেজিতে স্পষ্টভাবে ‘দি বাঘা ম্যাঙ্গো’ বা বাঘার আম, যা কলকাতায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে। শুধু তাই নয়, গবেষক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকীর ‘আম’ বইটির অষ্টম অধ্যায়ে আমের জাত বিভাগে ৯৭ পৃষ্ঠার তথ্য অনুযায়ী বাঘার ফজলির পরিচিতি অন্তত ২০০ বছরের বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৫০০ বছর আগে নির্মিত ঐতিহাসিক বাঘা শাহী মসজিদের টেরাকোটার কারুকাজেও দেখা মেলে এই আমের ছবি। গবেষকেরা বলছেন, কারুকাজ করা এই আম ফজলি আমের প্রতিচ্ছবি। জনপ্রিয়তার কারণেই আমটি মসজিদে স্থান পায়।
গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলছেন, বাঘার মসজিদে যে আমের প্রতিচ্ছবি, তা ১০০ ভাগ ফজলি আমের। বাঘার ফজলি আমের ইতিহাস অতি প্রাচীন। একসময় এই আম প্রচুর পরিমাণে ‘নাটোর ম্যাঙ্গো’ নামে কলকাতায় যেত। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে ফজলি আছে, এটা তার চেয়ে আলাদা। চাঁপাইয়ের ফজলি আকারে বড়, স্বাদে কম। বাঘার ফজলি আকারে ছোট, কিন্তু স্বাদ বেশি। ইতিহাস না জেনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্বত্ব নিয়ে দ্বন্দ্ব করছে বলে মনে করেন এই গবেষক।
মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘এটা সত্য যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রচুর ফজলি আমের গাছ আছে। কিন্তু ওই আম আর রাজশাহীর বাঘার আম আলাদা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলিকে এখনো ‘‘মালদার ফজলি’’ হিসেবে এখনো ডাকা হয়। ভারতের মালদার ফজলি আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি একই। ওই আমের স্বাদ, আকার সবই রাজশাহীর থেকে আলাদা।’
ফজলির জিআই নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে আপত্তি দেওয়া হলেও এর সঙ্গে আছেন ইসমাইল খান শামীম। তিনি শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো প্রোডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামের একটি সংগঠন চালান। শামীম বলছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৩০ শতাংশ আমবাগান ফজলির। এখানে ২০০ বছরের পুরোনো বাগানও আছে। তাই তাদের দাবি, ফজলি আম চাঁপাইনবাবগঞ্জেরই।
তবে রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাসান ওয়ালিউল্লাহ বলেছেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমের যে জাতের কথা বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাঘার ফজলির স্বাদ, আকার, ওজনসহ অনেক পার্থক্য রয়েছে। ওই আমটি আসলে ভারতের মালদার। আর ওই ফজলি ‘মালদার ফজলি’ হিসেবে আগেই জিআই পেয়েছে। এর ফলে তখনই চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আমের স্বত্ব শেষ হয়ে গেছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন বলেন, ‘শুনানিতে জিততে দালিলিক প্রমাণপত্রের পাশাপাশি বাঘা ফজলির ভৌগোলিক পরিচয় নিশ্চিত করতে ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়েছে। রাজশাহীর ফজলি যে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বা ভারতের মালদার ফজলির চেয়ে আলাদা, সেটি আমরা প্রমাণ করতে পারব। তাই আশা করছি, বাঘার ফজলিই ‘রাজশাহীর ফজলি আম’ ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাবে।’

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৩৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেকর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত আবু সৈয়দ উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের পীরখাইন গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক চৌকিদারের বাড়ির মালেকুজ্জামানের ছেলে। তিনি আনোয়ারা থানাধীন সদর এলাকার কেজি ভবনে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘর থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি এই বৃদ্ধ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার ভোরে খালে একটি লাশ ভাসতে দেখেন মিলু আকতার নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা। খবর ছড়িয়ে পড়লে উৎসুক জনতা ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। পরে বিষয়টি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হলে আনোয়ারা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটি আবু সৈয়দের বলে শনাক্ত করেন।
স্বজনদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন আবু সৈয়দ। কয়েক মাস আগে ব্রেন স্ট্রোক করে মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিলেন।
নিহত ব্যক্তির ছেলে হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার দিকে আমার বাবা আনোয়ারা থানাধীন ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে আর ঘরে ফেরেননি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাইনি। পরে আমার মা আনোয়ারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। বাবার পরনে লুঙ্গি ও গলার তাবিজ দেখে লাশ শনাক্ত করতে পেরেছি।’
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুনায়েদ চৌধুরী বলেন, খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে এই মামলার রিমান্ড শুনানিতে মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে চাঞ্চল্যকর ও পরস্পরবিরোধী তথ্য উঠে আসে। পুলিশ কবিরকে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক দাবি করলেও, কবির আদালতে দাবি করেছেন—মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধুর, যিনি কবিরের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে সেটি কিনেছিলেন।
গুরুতর আহত ওসমান হাদির অবস্থা এখনো সংকটাপন্ন। গত শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) মতিঝিল এলাকায় প্রচার চালিয়ে ফেরার পথে পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশায় বসা অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহী দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনি মাথায় আঘাত পান। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত সোমবার তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিকানা নিয়ে দুই দফায় গ্রেপ্তারকৃত দুই ব্যক্তি পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দিয়েছেন।
এর মধ্যে গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) একই মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে প্রথম গ্রেপ্তার হন মো. আব্দুল হান্নান। রিমান্ড শুনানিতে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর নয়। হাতে সমস্যার কারণে তিনি চালাতে পারছিলেন না বলে সেটি মিরপুর মাজার রোডের একটি শোরুমে বিক্রি করে দেন। মালিকানা বদলের জন্য শোরুম থেকে ফোনকল করা হলেও অসুস্থতার কারণে তিনি যেতে পারেননি।

তবে গতকাল আদালতে মো. কবিরকে হাজির করা হলে তিনি দাবি করেন, মোটরসাইকেলটি তাঁর বন্ধু মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ কিনেছিলেন এবং সেই কেনার সময় শুভ তাঁর (কবিরের) জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করেছিলেন।
অন্যদিকে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আদালতে জোর দিয়ে দাবি করেন, সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, হান্নানের বিক্রি করা মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক হলেন কবির।
র্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, মো. কবির ঢাকার আদাবর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক। গত রোববার দিবাগত রাতে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী এলাকার একটি ইটভাটার ছনের ঘর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তাঁকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. কাইয়ুম হোসেন বলেন, হত্যাচেষ্টার প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিমসহ কবির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে ওসমান হাদির কাছে গিয়েছিলেন। তাঁদের সেখানে যাওয়ার ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
গতকাল আদালতে শুনানিতে কবিরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। বিচারক কবিরের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার কিছু বলার আছে?’ তখন কবির বলেন, ‘স্যার, আমি ১৮ দিন আগে ওনার (ফয়সাল করিম) গাড়ি (মোটরসাইকেলে ট্রিপ) ও পাঠাও চালাইতাম। উনি আমাকে ফোন দিলে আমি যেতাম। বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ১৮ দিন আগে ফয়সাল আমাকে বলেছে, আমি হাদির সঙ্গে ব্যবসা করি, তার নির্বাচনী প্রচারণায় কাজ করি। তার কাছে যাব। আমি যেতে চাইনি, এরপরও উনি আমাকে নিয়ে গেছেন। এই আমার অপরাধ স্যার।’
এ পর্যায়ে বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘মোটরসাইকেলের মালিক কে?’ জবাবে কবির বলেন, ‘মোটরসাইকেলটা আমার এক বন্ধুর। আমি গাড়ি (মোটরসাইকেল) কিনতে গেছি। সে–ও গাড়ি কিনতে গেছে। সে আমার আইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) দিয়ে গাড়ি কিনছে।’ বিচারক বলেন, ‘তার নাম কী?’ কবির বলেন, ‘স্যার, মাইনুদ্দিন ইসলাম শুভ।’
র্যাব আরও জানায়, গত ৫ ডিসেম্বরের একটি সিসিটিভি ফুটেজে বাংলামোটরে ওসমান হাদির প্রতিষ্ঠিত ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে মো. কবিরকে দেখা যায়। প্রথমে স্বীকার না করলেও ফুটেজ দেখানোর পর কবির নিশ্চিত করেন যে ফয়সাল করিমের সঙ্গে সেদিন তিনি প্রতিষ্ঠানটি দেখে আসতে সেখানে গিয়েছিলেন।
শুনানি শেষে বিচারক কবিরের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন নাকচ করে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, গ্রেপ্তারকৃত কবির এবং প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম—উভয়েই পটুয়াখালী জেলার সদর থানার বড় বিঘাই গ্রামের বাসিন্দা।

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৩৩ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
আইভ্যাক বাংলাদেশের ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ‘চলমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আপনার সদয় অবগতির জন্য জানাতে চাই যে আইভ্যাক জেএফপি, ঢাকা আজ বেলা ২টায় বন্ধ থাকবে। আজ জমা দেওয়ার জন্য বুক করা সমস্ত আবেদনকারীকে পরবর্তী সময়ে একটি স্লট দেওয়া হবে।’

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৩৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

পাবনার ঈশ্বরদীতে আধিপত্য বিস্তার ও চরের জমি নিয়ে বিরোধের জেরে বিরু মোল্লা নামের এক বিএনপি নেতা গুলিতে নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়নের কামালপুরে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত বিরু মোল্লা উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক ছিলেন। দীর্ঘদিনের পারিবারিক দ্বন্দ্ব, আধিপত্য ও জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তাঁর প্রতিপক্ষ আপন চাচাতো ভাই জহুরুল মোল্লার গুলিতে তিনি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জহুরুল মোল্লা বর্তমানে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিরু মোল্লা নিজ বাড়ির সামনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় জহুরুল মোল্লা ও তাঁর লোকজন বিরু মোল্লাকে গুলি করে। কিছুক্ষণ পরই তিনি মারা যান। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিস্তারিত পরে...

বহুকাল আগে রাজশাহীর বাঘা থেকে প্রচুর আম যেত কলকাতা। এই আমের ছবিই পোড়ামাটির টেরাকোটায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ১৫২৩ সালে নির্মিত বাঘা শাহী মসজিদে। এই আমটিই এখন পরিচিত ‘ফজলি আম’ হিসেবে। গত বছর এই আমকে রাজশাহীর ভৌগোলিক নির্দেশক...
২২ মে ২০২২
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় নিখোঁজের ৯ দিন পর ইছামতী নদীর খাল থেকে আবু সৈয়দ (৬৮) নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় উপজেলার খাদ্যগুদামের পাশের ইছামতী খাল থেকে লাশ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
৩৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মো. কবিরকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
৩৭ মিনিট আগে
‘বিদ্যমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি’র কথা বিবেচনা করে আজ (বুধবার) বেলা ২টায় রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র (আইভ্যাক) বন্ধ রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে