মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার।
সরকারের এ নিয়ম মানছেন না জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ নম্বর বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৫০ টাকার জায়গায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ফি আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নে বাসিন্দারা।
জানা যায়, সরকারি নিয়ম উপেক্ষা করে জন্ম সনদের জন্য বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অতিরিক্ত ফি আদায় করা হয়। অতিরিক্ত ফি অন্যদিকে উদ্যোক্তাদের দুর্ব্যবহারে অনেকেই অতিষ্ঠ। সাম্প্রতিক সময়ে ৪ জন উদ্যোক্তার একজন গোলাম রব্বানীর ছেলে সুমন তাঁর পা টেবিল ও দেয়ালে রেখে সেবা দিচ্ছেন এমন একটি ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে চলছে সমালোচনা। ছাত্রলীগ কর্মীসহ অনেকেই এ নিয়ে ফেসবুকে প্রতিবাদী স্ট্যাটাস দিয়েছেন।
এরই মধ্যে জন্মনিবন্ধনে করতে সেবা প্রার্থীর কাছে ওই অভিযুক্ত উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম দুটি জন্মনিবন্ধন করতে ৫০০ টাকা চাওয়ার একটি ভিডিও প্রকাশ হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, তারতাপাড়া এলাকার মাজেদ ও আশিক নামে দুজন যুবক জন্মনিবন্ধন করতে আসলে তারা বলেন দুটি জন্মনিবন্ধনের জন্য কত টাকা দিতে হবে! তখন বিলকিস বেগম বলেন, কত দিবা ৫০০ দিবা। পরে ওই শিক্ষার্থীরা নতুন নিয়মে ৫০ টাকা লাগে বলে জানায়। বিলকিস বেগম জবাবে বলেন, কোনো ইউনিয়নে ২৫০ টাকার কমে জন্মনিবন্ধন করে তোমরা দেখাতে পারবে? ৭ ইউনিয়নে ঘুরে আস, এর কমে কেউ করে না।
সরেজমিনে গিয়ে নাতনির জন্মনিবন্ধন করতে আসা বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া এলাকার বাসিন্দা আঙ্গুরী বেগমের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, ৫০ টাকার জন্মনিবন্ধনে ২০০ টাকা নিচ্ছেন ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা বিলকিস বেগম। ৩টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হয়েছে।
একই এলাকার নুরুন্নাহার বলেন, ছেলের জন্মনিবন্ধন করতে এসেছি। সরকার নতুন নিয়মে জন্মনিবন্ধনের জন্য ফি ৫০ টাকা করলেও ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। অতিরিক্ত টাকার পাশাপাশি অনেককে হয়রানির শিকার হতে হয়।
চরনাংলা এলাকার মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষার্থী ছোটন বলে, জন্ম নিবন্ধনের জন্য আগেই বাইরে থেকে আবেদন করার পরও ১৫০ টাকা দিতে হয়েছে।
চর সুখনগরী এলাকার জমিলা বেগমের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমার নাতি ও মেয়ের জন্মনিবন্ধন করতে ২৫০ টাকা করে দিতে হয়েছে। ৪টি জন্মনিবন্ধনের জন্য ১ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। ইউনিয়নে এ অভিযোগ নতুন নয়।
অভিযোগের বিষয়ে বিলকিস বেগমের কাছে জানতে চাইলে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির্জা ফকরুল ইসলাম বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো প্রমাণ পাইনি। সকলকে বলা আছে অতিরিক্ত টাকা দেবেন না। সরকারি ফি ৫০ টাকা ও উদ্যোক্তা ফি ৫০ সহ মোটে ১০০ টাকা নিতে পারে।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, কেউ যদি জন্ম নিবন্ধনে অতিরিক্ত টাকা চায় তাহলে সরাসরি আমাকে জানাবে। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিশায় রিছিল বলেন, সরকার নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার সুযোগ নেই। উদ্যোক্তারা আবেদন বাবদ ন্যূনতম খরচ নিতে পারেন। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
১৯ মিনিট আগে
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৩৯ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।
ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
রোববার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বড় খোঁচাবাড়ি বাজারের পেছনে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. খাইরুল ইসলাম। অভিযানে আব্দুল্লাহ নামের ওই কীটনাশক ব্যবসায়ীর দুটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত রাখা বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার পাওয়া যায়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আব্দুল্লাহকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দ করা ৭৬৬ বস্তা সার গুদামে রেখে সিলগালা করা হয়েছে।
ইউএনও মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। জব্দকৃত সার কিছুদিন পর কৃষি কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে ন্যায্যমূল্যে উন্মুক্ত বাজারে বিক্রি করা হবে। কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার
১১ এপ্রিল ২০২২
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
১৯ মিনিট আগে
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৩৯ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেকাপ্তাই (রাঙামাটি) প্রতিনিধি

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’
তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে।
কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি দ্রুত কমে যাওয়ায় উৎপাদন সীমিত রাখা হয়েছে। রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা পর্যন্ত কেন্দ্রের ৫ নম্বর ইউনিট থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়।
এ বিষয়ে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বলেন, ‘শুষ্ক মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি কমতে থাকায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে মাত্র একটি ইউনিট চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে। রুল কার্ভ অনুযায়ী এই সময়ে কাপ্তাই হ্রদে পানির স্তর থাকার কথা ১০৪ দশমিক ৮০ ফুট (মিন সি লেভেল)। কিন্তু রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত হ্রদের পানির স্তর নেমে এসেছে ৯৮ দশমিক ৯০ ফুটে।’
তিনি আরও বলেন, পানির স্তর যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিদ্যুৎ উৎপাদন আরও হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার
১১ এপ্রিল ২০২২
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৩৯ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার।
চুমকির স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন রোববার বিকেলে বলেন, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চুমকি আক্তার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টার তাঁর ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ইকরামুল হোসেন আরও জানান, চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি শাশুড়ির (চুমকির মা) কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
আহত চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। শুনেছি ওর ডান হাত আর পায়ে আঘাত লেগেছে। ও এখন ওই দেশের হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং আমাদের কোনো ছেলে নেই।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ওই হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি নিহত এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। রোববার নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
নিহতরা হলেন কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মণ্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় আহত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের মধ্যে রয়েছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার চুমকি আক্তার।
চুমকির স্বামী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য মো. ইকরামুল হোসেন রোববার বিকেলে বলেন, চলতি বছরের ৭ নভেম্বর চুমকি আক্তার জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানে যান। শনিবার বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ছোড়া গ্রেনেডের স্প্লিন্টার তাঁর ডান হাত ও ডান পায়ে লাগে। পরে তাঁকে হেলিকপ্টারে করে প্রায় ৭০০ কিলোমিটার দূরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
ইকরামুল হোসেন আরও জানান, চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি শাশুড়ির (চুমকির মা) কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
আহত চুমকি আক্তারের মা জহুরা বেগম বলেন, ‘আমার চার মেয়ের মধ্যে চুমকি সবার ছোট। তার ছেলেটাকে আমার কাছে রেখে গেছে। শুনেছি ওর ডান হাত আর পায়ে আঘাত লেগেছে। ও এখন ওই দেশের হাসপাতালে ভর্তি আছে।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী কৃষিকাজ করেন এবং আমাদের কোনো ছেলে নেই।’
এদিকে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, ওই হামলায় ছয়জন বাংলাদেশি নিহত এবং আটজন শান্তিরক্ষী আহত হয়েছেন। রোববার নিহত ও আহতদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়।
নিহতরা হলেন কর্পোরাল মো. মাসুদ রানা (নাটোর), সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম (কুড়িগ্রাম), শামীম রেজা (রাজবাড়ী), শান্ত মণ্ডল (কুড়িগ্রাম), মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম (কিশোরগঞ্জ) এবং লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া (গাইবান্ধা)।
আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান (কুষ্টিয়া), সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন (দিনাজপুর), কর্পোরাল আফরোজা পারভিন ইতি (ঢাকা), ল্যান্স কর্পোরাল মহিবুল ইসলাম (বরগুনা), সৈনিক মো. মেজবাউল কবির (কুড়িগ্রাম), মোসা. উম্মে হানি আক্তার (রংপুর), চুমকি আক্তার (মানিকগঞ্জ) ও মো. মানাজির আহসান (নোয়াখালী)।

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার
১১ এপ্রিল ২০২২
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
১৯ মিনিট আগে
একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী পৌর শহরের প্রাণকেন্দ্র নিমতলা মোড়সংলগ্ন চারতলা বিশাল ‘এল’ আকৃতির ভবনটি একসময় মানুষের পদচারণে সরগরম ছিল। সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের টানা আটবারের সংসদ সদস্য মরহুম মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মালিকানাধীন এই ভবনটি ‘মন্ত্রী মার্কেট’ নামে পরিচিত। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতা-বিক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট থাকত মার্কেটটি। তবে এখন সেই দৃশ্য আর নেই।
প্রায় এক যুগ আগে নির্মিত মন্ত্রী মার্কেটটি অল্প সময়েই শহরের অন্যতম জনপ্রিয় বিপণিকেন্দ্রে পরিণত হয়। কিন্তু ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বিক্ষুব্ধ জনতার ভাঙচুরের শিকার হয় ভবনটির সামনের অংশ। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারের মৃত্যুর পর মার্কেটটি কার্যত প্রাণহীন হয়ে পড়ে।
সরেজমিন দেখা গেছে, একসময় ক্রেতাদের ভিড়ে ঠাসা মার্কেটটি এখন প্রায় জনশূন্য। ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারিয়ে দোকান ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। এমনকি মার্কেটে থাকা ব্যাংক ও সরকারি দপ্তরগুলোও স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
মন্ত্রী মার্কেটের নিচতলায় রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ও গ্যারেজ, দ্বিতীয় তলায় মার্কেট, তৃতীয় তলায় অগ্রণী ব্যাংক, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক ও আয়কর অফিস এবং চতুর্থ তলায় মন্ত্রীর ব্যক্তিগত বাসভবন। বর্তমানে নিচতলার দলীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ। দ্বিতীয় তলায় অধিকাংশ দোকান বন্ধ। তৃতীয় তলার ব্যাংক ও আয়কর অফিসগুলোতে ‘শিগগিরই স্থান পরিবর্তন’ লেখা ব্যানার ঝুলছে। চতুর্থ তলার বাসভবনও জনশূন্য।
দ্বিতীয় তলায় ১৫ বাই ১০ ফুট আয়তনের ১৮টি দোকানঘর রয়েছে। একসময় সেখানে বেশির ভাগই গার্মেন্টসের দোকান ছিল। বর্তমানে ইলেকট্রনিকস, কম্পিউটার অ্যাকসেসরিজ, জুয়েলারি, বেকারি ও ফটোকপির কয়েকটি দোকান টিকে আছে। মার্কেট চালুর সময় দোকানপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা নেওয়া হতো সিকিউরিটি বাবদ আর মাসিক চার হাজার টাকা ভাড়া নেওয়া হতো। ৫ আগস্টের পর ভাড়া কমিয়ে তিন হাজার টাকা করা হলেও এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়ার নিয়ম ছিল।
ব্যবসায়ীরা জানান, কেউ সিকিউরিটির টাকা ফেরতের অপেক্ষায় আছেন, কেউ আবার কয়েক মাসের ভাড়া না দিয়ে সিকিউরিটির টাকার সঙ্গে সমন্বয় করে চলে গেছেন। প্রায় এক বছর ধরে ব্যবসার সুদিন ফেরার আশায় অপেক্ষা করেও অনেকে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মন্ত্রী মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ দোকান ফাঁকা। কয়েকটি দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতা নেই। নিচতলায় খোলা থাকা চার-পাঁচটি দোকানের অবস্থাও নাজুক।

মন্ত্রী মার্কেটের গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ‘এক্সপোর্ট কালেকশন’-এর রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর নিরাপত্তাহীনতার কারণে এই মার্কেটটি প্রায় অচল হয়ে গেছে। ক্রেতা আসে না। ব্যবসায়ীরা ছয় মাস বা এক বছর অপেক্ষা করে পুঁজি হারিয়ে চলে যাচ্ছে।’
কম্পিউটার হ্যাভেনের মালিক সঞ্জয় কুমার বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারণে এই মার্কেট এখন পরিত্যক্ত। আগের মতো লোকজন আসে না। গার্মেন্টসের বেশির ভাগ ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে চলে গেছেন। আমরা কয়েকজন কোনো রকমে টিকে আছি।’
গালিব গার্মেন্টসের স্বত্বাধিকারী হেলাল শাহ বলেন, ‘আমি প্রায় চার বছর এখানে ব্যবসা করেছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর ক্রেতা কমে যায়। ব্যবসা টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়নি। আমার মতো আরও অনেক ব্যবসায়ী অন্যত্র চলে গেছেন।’
মন্ত্রী মার্কেটের তত্ত্বাবধায়ক আতিয়ার রহমান বলেন, ‘অনেক ব্যবসায়ী ও ব্যাংক চলে যাচ্ছে। আবার কেউ কেউ নতুন করে আসছেন। এখন সিকিউরিটি মানি নেওয়া হয় না। এক বছরের ভাড়া অগ্রিম নেওয়া হয়।’
মন্ত্রী মার্কেট ভবনে অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক ফুলবাড়ী শাখার ব্যবস্থাপক মকছেদ আলী বলেন, ‘৫ আগস্টের পর বিভিন্ন স্থানে রাজনৈতিক নেতাদের ভবনে থাকা প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরাও শাখা স্থানান্তরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
উল্লেখ্য, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের টিকিটে দিনাজপুর-৫ (ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর) আসন থেকে টানা আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বন ও পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী, ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা-বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ফুলবাড়ী দোকান ব্যবসায়ী সমিতির আহ্বায়ক এম এ কাইয়ুম বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের প্রভাব ব্যবসায়ও পড়েছে। মন্ত্রী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা অন্যত্র ব্যবসা করতে চাইলে বা কোনো সমস্যায় পড়লে সমিতি তাদের পাশে থাকবে।’

শিশুর জন্ম থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত সরকারি নিয়মানুযায়ী জন্মনিবন্ধনের জন্য কোনো ফি নেওয়া হয় না। শিশুদের ৫ বছর বয়স পর্যন্ত ২৫ টাকা ও ৫ বছরের ওপরে সব বয়সীদের জন্য ৫০ টাকা ফি নেওয়ার নিয়ম করে দিয়েছেন সরকার
১১ এপ্রিল ২০২২
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক সার মজুত রাখার অভিযোগে এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে ভ্রাম্যমাণ আদালত সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। একই সঙ্গে দুটি গুদাম থেকে ৭৬৬ বস্তা সার জব্দ করা হয়েছে এবং গুদাম দুটি সিলগালা করা হয়েছে।
১৪ মিনিট আগে
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে পানিস্বল্পতার কারণে দেশের একমাত্র জলবিদ্যুৎকেন্দ্র—কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন দিন দিন কমছে। পানির ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল এই কেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও বর্তমানে মাত্র একটি ইউনিট চালু রেখে গড়ে ৪০ মেগাওয়াট
১৯ মিনিট আগে
চুমকির দুই বছর বয়সী একটি ছেলে রয়েছে। ছেলের নাম ইব্রাহিম আরাবী। মিশনে যাওয়ার সময় শিশুটিকে তিনি তাঁর মায়ের কাছে রেখে যান। চুমকি আক্তার ঘিওর উপজেলার পেঁচারকান্দা এলাকার আব্দুল হামিদ ও জহুরা বেগমের মেয়ে।
৩৯ মিনিট আগে