Ajker Patrika

ধানের পোকা দমনে ‘পার্চিং পদ্ধতি’র জনপ্রিয়তা বাড়ছে

মো. আতাউর রহমান, জয়পুরহাট
আপডেট : ০১ এপ্রিল ২০২২, ১৮: ১০
ধানের পোকা দমনে ‘পার্চিং পদ্ধতি’র জনপ্রিয়তা বাড়ছে

জয়পুরহাটে ধানের ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনে পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতির জনপ্রিয়তা দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। খেতের পোকামাকড় দমনে তাই এই জেলায় কীটনাশকের পরিবর্তে বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতির প্রসার ঘটছে। 

জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, পার্চিং পদ্ধতি দুই প্রকার। ডেথ পার্চিং ও লাইফ পার্চিং। ডেথ পার্চিংয়ে প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। এই কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়টি মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটি পুঁতে দিতে হয়। অন্যদিকে লাইফ পার্চিংয়ের জন্য ধানের চারা লাগানোর পরপরই প্রতি ৫ শতাংশ জমির জন্য একটি করে ধইঞ্চা গাছ লাগিয়ে পাখি বসার ব্যবস্থা করতে হয়। আর এ কাজে প্রতি বিঘায় (৩৩ শতাংশ জমির জন্য) ছয়-সাতটি ধইঞ্চার গাছ লাগাতে হয়। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম জানান, জয়পুরহাট সদর উপজেলাসহ কালাই, ক্ষেতলাল, আক্কেলপুর ও পাঁচবিবি উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় এসেছে। আরও ৪-৫ শতাংশ জমি পার্চিং পদ্ধতির আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান আছে। 

কৃষক ও কৃষি বিভাগের ধারণা, খেতের পোকামাকড় দমনে পার্চিং নামক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির সুফল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এরই মধ্যে এটি কৃষকদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে ধানখেতের ক্ষতিকর মাজরা, ফুতিসহ অন্যান্য পোকামাকড় দমনে জৈবিক এই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন তাঁরা। 

সদর উপজেলার কোমরগ্রামের কৃষক কালাম হাজি বলেন, ‘আমি সাত বিঘা বোরো ধানখেতের এরই মধ্যে পাঁচ বিঘা জমিতে বৈজ্ঞানিক ডেথ পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করেছি। বাকি জমিতেও পার্চিং করার ইচ্ছে আছে।’ 

জেলার সদর উপজেলার করিমনগর গ্রামের কৃষক হাফিজুর রহমান বলেন, ‘স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের উৎসাহে আমি ১০ বিঘা জমিতে প্রতিবছরই বৈজ্ঞানিক পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকি। এতে বেশ সুফলও পাই। ধানখেতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহার করলে কীটনাশক না দিলেও চলে। তবে আমি মাত্র একবার কীটনাশক স্প্রে করব। যাতে করে ধানের জমিতে অবশিষ্ট যে কয়েকটি মাজরা পোকা থাকে, সেগুলো দমন হয়।’ 

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কায়ছার ইকবাল বলেন, ‘মাজরা পোকা ধানের সবচেয়ে বড় শত্রু। গাছের মরা ডাল বা টি আকৃতির বাঁশের খুঁটির ওপরে বসে থেকে একেকটা পাখি দিনে তার সমান ওজনের, অর্থাৎ প্রায় ২০০ থেকে ২৫০টি মাজরা পোকা খেয়ে নেয়। ফলে মাজরা পোকা ধানের মাজ কাটতে পারে না। তাই জমিতে ফলনও বেশি হয়।’ 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং—এ দুই ধরনের পার্চিং পদ্ধতির মধ্যে ডেথ পার্চিং পদ্ধতির সুবিধা বেশি। কম খরচে বেশি ফলন পাওয়ায় এবং কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত পরিবেশ পাওয়ার সুবাদে ভবিষ্যতে লাইফ পার্চিং ও ডেথ পার্চিং পদ্ধতিতেই কৃষকেরা চাষাবাদ করবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের নতুন কমিটি

দেশের স্বাস্থ্যখাতের সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে প্রতীক ইজাজ (দেশ রূপান্তর) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে মো. মোজাহিদুল ইসলাম শুভ (এখন টেলিভিশন) নির্বাচিত হয়েছেন।

শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বিএইচআরএফ নির্বাচন–২০২৬ এর চেয়ারম্যান আবুল খায়ের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সদস্য মনিরুজ্জামান উজ্জ্বল ও কবির আহমেদ খান। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ ২০২৬–২৭ আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে।

কমিটিতে সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন—মোহাম্মদ আয়নাল হোসেন (সিটিজেন জার্নাল) ও মোহাম্মদ আল আমিন (ডেইলি সান)। যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন মাহমুদ কমল (মাছরাঙা টিভি)। অর্থ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আজাদুল আদনান (আমার দেশ), সাংগঠনিক সম্পাদক তবিবুর রহমান (সমকাল), দপ্তর সম্পাদক তানভীরুল ইসলাম (ঢাকা পোস্ট) এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাহমুদুল হাসান (কালবেলা)।

কার্যনির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামিমুজ্জামান চৌধুরী (মোহনা টিভি), বুদ্ধদেব কুন্ডু (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), তাওসিয়া তাজমিম (দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড—টিবিএস) এবং নেসার উদ্দিন আহাম্মদ।

এর আগে, বিএইচআরএফের সদ্য বিদায়ী সভাপতি রাশেদ রাব্বির সভাপতিত্বে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল ও সাবেক অর্থ সম্পাদক মো. বায়েজদী মুন্সী বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রথম আলোর কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের মানববন্ধন

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মানববন্ধন শুরু হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দৈনিক প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মানববন্ধন করে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।

আজ শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কার্যালয়ের সামনে ‘প্রথম আলোর ওপর আক্রমণের প্রতিবাদ’ লেখা ব্যানার হাতে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এতে অংশ নেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হকসহ সাংবাদিক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

প্রথম আলোর ওপর হামলার নিন্দা ও সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে এর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ বলেন, ‘গত ২৭ বছরে এই প্রথম আজকে আমাদের পত্রিকা প্রকাশিত হয়নি। পত্রিকার অনলাইন ভার্সনও বন্ধ রয়েছে। প্রথম আলোর ওপরে হামলাকে আমরা বাংলাদেশের বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতের প্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপরে কঠিন আক্রমন হিসেবেই দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি আন্তর্জাতিকভাবে নস্যাৎ, ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য, আগামী নির্বাচনকে পথভ্রষ্ট করার জন্য এই হামলা চালানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক। হামলায় জড়িতদের শনাক্ত করে খুঁজে বের করা হোক।’

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাজ্জাদ শরিফ বক্তব্য দেওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করে। তারা প্রথম আলোর উদ্দেশ্যে গালিগালাজ করে।

এ পরিস্থিতিতে কর্মসূচি দ্রুত শেষ করে প্রথম আলোর কর্মীরা বিক্ষোভস্থল থেকে চলে যান। এরপর পুলিশ হট্টগোলকারীদের কারওয়ান বাজারের কাঁচাবাজারের দিকে সরিয়ে দেয়।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

উপকূলীয় স্বাস্থ্যসেবায় ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবায় চালু হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স। ছবি: নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়

দেশের উপকূলীয় ও দুর্গম চরাঞ্চলবাসীর জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় একটি আধুনিক ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স চালু করেছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের উদ্যোগে মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কাছে এটি হস্তান্তর করা হয়।

আজ শুক্রবার সকালে ভোলার মনপুরা উপজেলার রামনেওয়াজ লঞ্চঘাটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘শহীদ ওসমান হাদি’ নামে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারির অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির নামকরণ করা হয়েছে ‘শহীদ ওসমান হাদি ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স’। ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সটির মাধ্যমে নদী ও সাগরবেষ্টিত দুর্গম এলাকায় রোগী পরিবহন, জরুরি চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং দ্রুত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নৌপরিবহন উপদেষ্টা ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স হস্তান্তরের সময় শরিফ ওসমান হাদির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

উপদেষ্টা জানান, ওসমান হাদির নৃশংস হত্যাকাণ্ডে জড়িত অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ কঠোর শাস্তি প্রদানে বর্তমান সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।

অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা বলেন, শহীদ ওসমান হাদি ছিলেন অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে একজন আপসহীন ও সাহসী কণ্ঠস্বর। তাঁর আত্মত্যাগ ও আদর্শ মানবিক সমাজ গঠনে আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। উপকূলীয় মানুষের জীবন রক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের মতো মানবিক উদ্যোগের সঙ্গে তাঁর নাম যুক্ত করতে পেরে আমরা গর্বিত।

তিনি আরও বলেন, সরকার উপকূলীয় ও দুর্গম অঞ্চলের জনগণের মৌলিক অধিকার, বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। নদী ও সাগরনির্ভর জনপদের বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্সের মতো উদ্যোগ মানুষের জীবন বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও মনপুরা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে ঝালকাঠিতে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে আবারও বিক্ষোভ-মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন এলাকাবাসী।

আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) জুমার নামাজ শেষে ঝালকাঠি ঈদগাহ মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে একটি বিক্ষোভ-মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বরিশাল–খুলনা আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি কলেজ মোড়ে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

তবে অবরোধ চলাকালে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, ওষুধ বহনকারী যানসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত যানবাহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হয়।

এ কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), গণঅধিকার পরিষদ ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন এবং হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

মহাসড়ক অবরোধের কারণে সড়কের উভয় পাশে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলমান থাকবে। প্রয়োজনে আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে বলেও জানান তাঁরা।

একই ইস্যুতে জেলার নলছিটি উপজেলায়ও জুমার নামাজের পরে বিক্ষোভ-মিছিল করেছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, ওসমান হাদির বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল এলাকায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত