Ajker Patrika

ফেসবুকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

আপডেট : ০৮ মার্চ ২০২২, ১৭: ৫৭
ফেসবুকে কীভাবে টাকা আয় করা যায়

বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। জনপ্রিয়তা পাবেই-বা না কেন? এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই যে বর্তমানে আয়ের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে! ফেসবুকের মাধ্যমে কীভাবে আয় করা যায়, তা নিয়েই আজকের এই লেখা। 

যুগের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমরা হয়ে উঠছি আধুনিক। বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারে নিজেদের জীবনকে সহজ করে নিয়েছি এবং নিচ্ছি। আর এই প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে ঘরে বসে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে মানুষ। 

আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বেশির ভাগ সময় অতিবাহিত হচ্ছে ফেসবুকে। আপনি চাইলে ফেসবুককে একটি পরিবার হিসেবে ধরে নিলেও ভুল হবে না। 

একটি যোগাযোগমাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের যেকোনো স্থানে, যেকোনো দেশের মানুষের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। এই ফেসবুকের মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে বার্তা বিনিময় করা যায়, কল করা যায়, ভিডিও কলের মাধ্যমে একই সঙ্গে কথা বলে তথ্য আদান-প্রদান করা যায়। সম্পূর্ণ হিসাব করলে ফেসবুক সবার চেয়ে এগিয়ে আছে বলতে হবে। 

বর্তমানে গুগল অ্যাডসেন্স ও ফেসবুক থেকে আয়ের বিষয়ে আমরা অনেকেই অবগত। এর মধ্যে ফেসবুক এমন জনপ্রিয় একটি জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, আপনি শুধু কিছু নিয়মকানুন ও গাইডলাইন জানলে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারেন। 

ফেসবুক থেকে আয় (২০২২) 
আমরা অনেকেই এমন অনেক বিজ্ঞাপন দেখেছি যে, কীভাবে ঘরে বসে ফেসবুক থেকে টাকা উপার্জন করা যায়, তাই না? কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, এই বিজ্ঞাপন সব সময় আমাদের উপকারে আসে না। কারণ, তারা শেখানোর চেয়ে নিজেদের উপার্জনের উদ্দেশ্যেই হয়তো এমন বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। 

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউনের কারণে গৃহবন্দী সময়কে কাজে লাগিয়ে সহজেই আপনিও পারেন ফেসবুকের মাধ্যমে আয় করতে। তবে তার জন্য আপনাকে সঠিক গাইডলাইন অনুসরণ করতে হবে। 

গোটা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে আমরাও এখন ডিজিটাল আইডিয়া কার্যকর করতে বেশি আগ্রহী হচ্ছি। ফেসবুককে আমরা সবচেয়ে সহজ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে দেখে আসছি, যা থেকে খুব সহজেই ইনকাম করতে পারবেন। দিনের পর দিন আমরা টাকা আয়ের জন্য এই প্ল্যাটফর্মটাই বেছে নিচ্ছি, যেটা ঘরে বসে কাজ করতে আমাদের উদ্দীপনা দিচ্ছে।

ফেসবুকে ২০২২ সালে বেশ কিছু পরিবর্তন আসায় প্ল্যাটফর্মটি থেকে আয়ের পদ্ধতিতেও কিছু পরিবর্তন এসেছেফেসবুকে আয় করার পদ্ধতি
জেনে খুশি হবেন যে, ফেসবুকে শুধু এক-দুটি মাধ্যমেই টাকা উপার্জন করা যায় না। ফেসবুকে আপনি বিভিন্ন উপায়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন, আর সেটা খুবই সহজ। চলুন তবে আজ দেখে নিই আপনি কী কী উপায়ে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে ইনকাম করতে পারবেন। 

এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশনফেসবুকে কনটেন্ট ক্রিয়েশন করে আয়
এখনকার সময়ে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি পেশা হচ্ছে কনটেন্ট ক্রিয়েশন। আগে শুধু ভিডিও আপলোডের জন্য ইউটিউবকে গুরুত্ব দেওয়া হতো। কিন্তু বর্তমানে আমরা এখন ভিডিও আপলোডের ক্ষেত্রে, নিজেকে একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে। আমরা দেখছি, দিনের পর দিন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা ফেসবুককে ভিডিও আপলোড ও কনটেন্ট শেয়ারিংয়ের অন্যতম সেরা প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে শুরু করেছে। 

কনটেন্ট ক্রিয়েটররা সাধারণত কী করেন? তাঁরা নিজের সৃজনশীলতা, মেধা ও বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে শিক্ষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য কিংবা অন্য যেকোনো বিষয়ের ওপর কনটেন্ট তৈরি করেন। 

একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর তাঁর কনটেন্টগুলো নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্, কিংবা নিজস্ব পেজ অ্যাকাউন্টে পাবলিশ করেন। এর মাধ্যমে তাঁদের সেই কনটেন্ট বিশ্ব দেখতে পারে এবং ভিউ বাড়ে। সেই ভিডিও সবাই উপভোগ করে, আবার নিজের ফ্রেন্ড সার্কেলে সেই ভিডিও শেয়ারও করে অনেকে। 

এভাবে ভিডিওগুলো ছড়িয়ে পড়ে সারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং এর ভিউ বাড়তে থাকে। আপনি একজন কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবে ফেসবুককে বেছে নিয়ে থাকলে আপনার জন্য টাকা ইনকাম করার বিভিন্ন সুযোগ রয়েছে। যেমন—
১। ফেসবুক অ্যাড থেকে
২। গুগল অ্যাডসেন্স থেকে
৩। বিভিন্ন স্পনসরশিপ থেকে

কনটেন্ট ক্রিয়েটর ক্যারিয়ারে আপনি সাফল্য পেতে পারেন এভাবেই। সঠিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েট করে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিতে পারলে আপনি নিজেকে একটি ভালো উচ্চতায় অধিষ্ঠিত করতে পারবেন। একজন ভালো কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে উঠতে পারলে ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন খুব সহজে। 

ফেসবুক পেজ এখন হয়ে উঠেছে টাকা আয়ের অন্যতম উপায়ফেসবুক পেজের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা সবাই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানি, যা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি ব্যবসার পথ। অল্প সময়ে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই পেশায় আগ্রহী হচ্ছে অনেকেই। আমরা সব সময় চাই নিজের একটি পরিচয় তৈরি করতে। আমরা চাই একটি স্বাধীন ব্যবসা করতে। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স হচ্ছে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফর্ম। এ ক্ষেত্রে ফেসবুকের জনপ্রিয়তা এতটাই বেড়েছে যে, নতুন টার্ম হিসেবে সামনে এসেছে এফ-কমার্স। এফ-কমার্স হলো ফেসবুক পেজ বা আইডির মাধ্যমে নিজের ব্যবসা উদ্যোগকে এগিয়ে নেওয়া। বর্তমানে বহু ব্যবসা গড়ে উঠছে শুধু ফেসবুককে কেন্দ্র করেই। 

ফেসবুকে আমরা বিভিন্ন বয়সের মানুষ রয়েছি। এ ক্ষেত্রে ই-কমার্স ব্যবসা আমাদের সাফল্য এনে দিতে অনেক সহায়তা করতে পারে। এখনকার সময়ে যারা ব্যবসা করার চিন্তাধারা নিয়ে এগিয়ে আসে, তারা ফেসবুকে নিজের একটি পেজ খোলে। সময়ের সঙ্গে তাদের সেই পেজে মানুষের উপস্থিতি বাড়ে। দিনের পর দিন বাড়তে থাকে তাদের পেজের ফলোয়ার। ব্যবসার উদ্দেশ্যে খোলা পেজটি আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা পেতে থাকে। 

অনেকেই আবার তাদের ফেসবুক পেজটিতে ঠিকমতো সময় দিতে পারে না কর্মব্যস্ততার কারণে। সে ক্ষেত্রে অনেকেই তাদের পেজটি বিক্রি করেও টাকা আয় করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে লাভ উভয় পক্ষের। প্রথমত, পেজ বিক্রির মাধ্যমে আপনি একটা ভালো টাকা পেতে পারেন, যা আপনাকে লাভবান করবে। পাশাপাশি যিনি পেজ কিনবে, তিনিও লাভবান হবে। কারণ, সেটা জনপ্রিয়তা পাওয়া একটি ফেসবুক পেজ। তাই ফেসবুক থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনি আপনার পেজটি বিক্রি করে টাকা আয় করতে পারেন। 

নিজের কোনো ফ্যানপেজ থাকলে, তাও টাকা আয়ে কাজে লাগাতে পারেনফেসবুকে ফ্যান পেজ তৈরি করে আয়
টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সত্যিই অসাধারণ একটি প্ল্যাটফর্ম। আপনি নিজের পরিচিতি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ফেসবুকে পেজ খুলতে পারেন। 

সে ক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা জানেন না কীভাবে একটি ফেসবুক পেজ তৈরি করতে হয়। ধরুন, আপনার একটি ফেসবুক আইডি আছে এবং সেই ফেসবুক আইডিতে ৫০০-এর অধিক ফ্রেন্ড আছে; তাহলে দেরি না করে আপনিও তৈরি করতে পারেন একটি ফ্যানপেজ। এই ফ্যানপেজে আপনি চাইলে আপনার ব্যবসার প্রচার, বিভিন্ন পণ্য বিক্রি ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

ফেসবুক পেজে ভিডিও আপলোড করে আয় এখন বেশ জনপ্রিয়ফেসবুকে ভিডিও আপলোড করে টাকা উপার্জন
আপনি চাইলে ইউটিউবের মতো ফেসবুকেও এখন ভিডিও আপলোড করে টাকা আয় করতে পারেন। ঠিক একইভাবে আপনি ইউটিউবের মতো আপনার ফেসবুক ভিডিওগুলোতে মনিটাইজ করে ইনকাম করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একটু পার্থক্য হচ্ছে—ইউটিউবে গুগল অ্যাডসেন্স ব্যবহার করে ভিডিও মনিটাইজ করে টাকা উপার্জন করা হয়। আর অনেকটা একইভাবে হলেও ফেসবুকে অ্যাড চয়েসের মাধ্যমে কাজ করে টাকা আয় করা হয়। 

স্বাধীন পেশা হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং বেশ জনপ্রিয়Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন
প্রথমে জানিয়ে নিই ফ্রিল্যান্সিং কী এবং তারপর আমরা জানাব কীভাবে Freelancing ও ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে টাকা উপার্জন করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত কোনো প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ না করে নিজের মতো স্বাধীনভাবে কাজ করাকে বোঝায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে নিজের দক্ষতা, শিক্ষা ও অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে একাধিক ক্লায়েন্টের কাজ করা। এ ক্ষেত্রে আপনি কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের অধীনে কাজ করতে বাধ্য নন এবং আপনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। 

বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ফাইভার, আপওয়ার্কসহ অন্যসব জায়গায় গেলে আপনি দেখতে পাবেন, আপনার সামনে ফেসবুক মার্কেটিং ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতে প্রচুর জব অফার রয়েছে। তাই আপনি যদি ফেসবুক মার্কেটিং শিখতে পারেন, তাহলে আপনার জন্য ফ্রিল্যান্সিং করে টাকা উপার্জন একটি অসাধারণ পথ। 

এই কাজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে কীভাবে ফেসবুকে অ্যাড রান করতে হয়। আপনাকে তারা ফেসবুক পেজ ম্যানেজ করার জন্য হায়ার করবে। তাই অবশ্যই শিখে নিন, কীভাবে ফেসবুক পেজ চালাতে হয়। আরেকটি খুশির বিষয় হচ্ছে, আপনি চাইলে এই কাজগুলো মোবাইল দিয়েও সম্পন্ন করতে পারবেন। বর্তমানে ছাত্রদের জন্য অনলাইনে ইনকাম এবং মোবাইল দিয়ে টাকা উপার্জনের ক্ষেত্রে ফেসবুক সবচেয়ে বেশি সাহায্য করছে। 

ফেসবুক গ্রুপকেও উপার্জনের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেনফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে টাকা আয়
আমরা আগেই বলেছি ই-কমার্স হচ্ছে বর্তমান সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যবসাক্ষেত্র। আপনি চাইলে এই প্ল্যাটফর্মকে ভাগ্য পরিবর্তনের কেন্দ্রবিন্দুও করতে পারেন। ফেসবুককে কেন্দ্র করে এখন নানা ব্যবসা করা হচ্ছে। আপনার ব্যবসার পণ্যসমূহ ঠিক তখনই মানুষের আকর্ষণ কেড়ে নেবে, যখন সেটা সুন্দরভাবে তুলে ধরতে পারবেন। তাই এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন প্রচার হতে পারে সবচেয়ে কার্যকর পদ্ধতি। 

আপনার ব্যবসাকে সবার সামনে সুন্দর করে তুলে ধরার ক্ষেত্রে একটা গ্রুপের ভূমিকাও অনেক। কারণ, আপনার ব্যবসার পণ্যগুলো প্রোমোট করে কমিশনভিত্তিক ভালো পরিমাণের টাকা আয় করতে একটি গ্রুপ থাকা জরুরি। তাই গ্রুপ থেকে আপনি টাকা আয় করতে চাইলে গ্রুপের মাধ্যমে অন্যের প্রোডাক্ট প্রোমোট করে ভালো টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

অনলাইন মার্কেটিং হচ্ছে এই সময়ের আরেকটি অসাধারণ জায়গা, যার মাধ্যমে আমরা ভালো টাকা উপার্জন করতে পারি। ফেসবুককে কেন্দ্র করে অনেকগুলো মার্কেটপ্লেস আছে। খুঁজলে দেখতে পাবেন ফেসবুকে অনেক রকম অনলাইন শপ রয়েছে। 

আমরা বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজে পণ্যের ছবি, বিবরণ, সাইজ ও মূল্য লিখে সেই প্রোডাক্টগুলোকে প্রোমোট করি। পণ্য অর্ডার করতে গ্রাহকেরা ইনবক্সে অথবা কমেন্টে আমাদের জানান। আবার কিছু কিছু কোম্পানিতে অর্ডার করার সময় ক্রেডিট কার্ড বা বিকাশের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সিস্টেম চালু থাকে।

ফেসবুক মার্কেটপ্লেস হিসেবে পরিচিত জনপ্রিয় অ্যাপে নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারেনফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে টাকা আয়
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করা যায় সহজেই। এই জায়গায় আপনি নিজের বা অন্য কারও নতুন-পুরোনো পণ্য বিক্রি করে আয় করতে পারবেন। আপনি যদি প্লে স্টোর চেক করেন, তাহলে অনেকগুলো রিসেলিং অ্যাপ পেয়ে যাবেন। যেমন—  Glowroad, Shop 101, Messho. আপনার প্রথম কাজ হবে এই অ্যাপগুলো ইনস্টল করা। তারপর রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংক ডিটেইলসহ সাবমিট করুন। 

এই অ্যাপগুলোতে আপনি কী পাবেন? এখানে আপনি বিভিন্ন কোম্পানির ভিন্ন ভিন্ন প্রোডাক্ট পাবেন। আপনার কাজ হবে সেই প্রোডাক্টগুলোর ছবি ডাউনলোড করে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করে এসবের মূল্য দিয়ে দেওয়া। 

এই মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে ধরুন আপনি ওই অ্যাপ থেকে একটি টি-শার্ট কিনলেন ১৫০ টাকা দিয়ে। এবার আপনি সেটা চেঞ্জ করে প্রাইস করলেন ২৫০ টাকা। এ ক্ষেত্রে যখন আপনি আইটেমটি বিক্রি করতে পারবেন, তখন আপনার লাভ হচ্ছে ১০০ টাকা। 

আপনি এভাবে চাইলে অনেকগুলো ছবি আপনার নিজের ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে লিস্ট করতে পারেন। এবার কেউ আপনাকে ওই পণ্য কেনার জন্য মেসেজ করলে তখন তাঁর অ্যাড্রেসটা সেই অ্যাপসে, আর সেখানে আপনার প্রাইসটি ফিক্সড করে দিন। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি ফেসবুক শপ ডিজাইন জেনে থাকেন, তাহলে এটা আপনার জন্য আরও বেশি ভালো হয়। 

এরপর কোম্পানি সেই অ্যাড্রেসে প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে দেবে আপনার নামে। আর পণ্যটি বিক্রি হওয়ার পর একটা ফিক্সড কমিশন চলে আসবে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে। এভাবেই আপনি ফেসবুক মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আয় করতে হলে আগে একটু ভালোভাবে জেনে নিতে হবেগুগল অ্যাডসেন্স ও টাকা উপার্জন
আমরা সবাই গুগল অ্যাডসেন্স সম্পর্কে খুব একটা পরিচিত নই। এটি হচ্ছে গুগল পরিচালিত একটি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন, যা মূলত একটি লাভ-অংশীদার প্রকল্প নামে পরিচিত। গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে গুগল ও তার ব্যবহারকারীরা তাদের নিজেদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন প্রচার করে অর্থ উপার্জন করে থাকে। এ ক্ষেত্রে একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের মালিক কিছু নিয়ম অনুসরণ করে তাদের নিজেদের সাইটে গুগল নির্ধারিত বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা উপার্জন করতে পারেন। 

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে গুগল অ্যাডসেন্সের পাবলিশার হতে হবে। এরপর আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলে অ্যাডসেন্সের বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে। সেই বিজ্ঞাপন দেখে কেউ যখন ক্লিক করবে, তখন প্রতি ক্লিকের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আপনি পাবেন। এটা ছাড়াও শুধু আপনার ব্লগ/সাইটের বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্যও আপনি কিছু ইনকাম করতে পারেন। 

তবে হ্যাঁ, গুগল অ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপনের কোডগুলো সঠিক জায়গায় বসাতে হবে, যাতে করে ভিজিটররা সহজে বিজ্ঞাপনটি দেখতে পান এবং ক্লিক করেন। জেনে রাখা ভালো, গুগল অ্যাডসেন্স সব সময় কনটেন্ট-বিষয়ক বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে। তাই ভিজিটরের সুবিধার্থে আপনি বিজ্ঞাপনের কোডগুলো বসাবেন। ভিজিটর নিশ্চয়ই তাঁর প্রয়োজনে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবেন। তবে ভুল করেও বেশি বিজ্ঞাপন ব্যবহার না করাই ভালো। 

কারণ, গুগল অ্যাডসেন্স তাদের বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি অন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেখতে পছন্দ করে না। গুগল অ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার আগে খেয়াল করে দেখুন অন্য বিজ্ঞাপনের বিষয়গুলো। চেষ্টা করুন ভিজিটরের চাহিদামতো অরিজিনাল, সৃজনশীল ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করতে। অ্যাডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম জেনারেট করতে এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

ব্লগে সব সময় নতুন নতুন আর্টিকেল পোস্ট করার চেষ্টা করুন, যা ইউনিক ও নতুন ভিজিটর পেতে অবশ্যই আপনাকে সাহায্য করবে। এসইও অনুযায়ী ব্লগে সৃজনশীল কনটেন্ট শেয়ার করলেই ভিজিটর ও আয় দুটিই বাড়তে থাকবে এবং এ বিষয়ে আপনি আশাবাদী থাকতে পারেন। 

বিভিন্ন কোম্পানির পণ্য প্রোমোট করেও আয় করতে পারেনফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং গ্রুপ থেকে আয়
বর্তমান সময়ে আয়ের অনেক উৎস বের হচ্ছে। আর ফেসবুক সোশ্যাল মিডিয়া ঘরে বসে সহজে আয় করার নতুন পদ্ধতি তৈরির ক্ষেত্রে অনেক বেশিই প্রভাব ফেলছে। ফেসবুকে আয়ের এতসব প্ল্যাটফর্মের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো আর্টিকেল রাইটিং কিংবা কনটেন্ট রাইটিং। 

এখন ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে আপনি সহজেই পেতে পারেন আর্টিকেল রাইটিংয়ের কাজ। এই কাজ করে আপনি ভালো টাকা আয় করতে পারবেন। তাই আপনি যদি মনে করেন আর্টিকেল রাইটিং আপনার জন্য সহজ হবে, তাহলে আজই শুরু করতে পারেন আর্টিকেল রাইটিং। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও ফেসবুকে আয়
আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগবে যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংটা আবার কী? তাই প্রথমেই আমরা আপনাকে বলতে চাই যে, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে কোনো কোম্পানি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেওয়া। এটাও খুবই জনপ্রিয় একটি আয়ের পথ। 

আপনি চাইলে খুব সহজেই আপনার ফেসবুক পেজ বা গ্রুপে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করতে পারবেন। এই মাধ্যমে আপনি যাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করে দেবেন, তাদের কাছ থেকে কিছু কমিশন পাবেন।

যে মার্কেটপ্লেসে অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে, সেখানে আপনি এই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে থাকতে পারেন। বড় বড় ওয়েবসাইট; যেমন—আমাজন, আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট ওয়েবসাইটগুলোতে অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে চাইলে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন। এ ছাড়া টেক রিলেটেড কনটেন্ট পেজ হলে আপনার জন্য রয়েছে সুবর্ণ সুযোগ। চাইলে আপনার ফেসবুক পেজ থেকে খুবই বড় অঙ্কের টাকা আয় করতে পারবেন। 

এসব পথ অনুসরণ করে আপনি খুব সহজেই ফেসবুক থেকে আয় করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে ঘরে বসে আয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের অবদান সত্যিই অপরিসীম। তাই বসে না থেকে আজই শুরু করতে পারেন ফেসবুকে টাকা উপার্জন।

ফেসবুক সম্পর্কিত পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।

আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।

নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—

১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।

২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।

রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।

৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।

৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।

নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।

খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।

মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

অথবা ডাকযোগে,

সচিব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ

আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)

আগারগাঁও, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩১
প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।

আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।

সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১১
৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।

অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।

এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।

এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।

ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।

অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:

অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।

অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।

যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্মীদের ফোনের টেক্সট মেসেজ দেখতে পারবেন বস, গুগলের নতুন ফিচার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গুগলের এই নতুন ফিচারটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর জন্য। ছবি: গুগল ব্লগ
গুগলের এই নতুন ফিচারটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর জন্য। ছবি: গুগল ব্লগ

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।

গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’

অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।

সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।

গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।

গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।

এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।

হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত