Ajker Patrika

সোশ্যাল মিডিয়া কী

আরাফাত রহমান
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৩৩
সোশ্যাল মিডিয়া কী

সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়—যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া। 

সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ও ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ‘ঈশ্বর কী করেছেন’। সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে। 

প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডিগ্রি—এভাবে বিভাজন করতে পারত। 

প্রথম দিকের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে রয়েছে সিক্সডিগ্রি, ফ্রেন্ডস্টার, লিংকডিন ইত্যাদিপরে ২০০১ সালে ফ্রেন্ডস্টার আসে, যার সঙ্গে খুব অল্প দিনের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০২ সালে লিংকডিন প্রতিষ্ঠা হয় ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী পেশাদারদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে এই লিংকডিনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন লোক প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে, চাকরি দিচ্ছে কিংবা নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০০৩ সালে মাইস্পেস আসার পর ২০০৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইট। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ফেসবুক সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়ে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়। 

এর মাঝে অনেকেই এসেছে। তবে সবাই যে সফল হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালে গুগলের মতো বড় জায়ান্ট নিয়ে আসে গুগল প্লাস, যা ২০১৮ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে, যখন তাদের প্রায় ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়। 

সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরন

সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়—

কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়১. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট: সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ধরনের সাইটগুলো মানুষের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আপনি চাইলেই আপনার নিজস্ব গ্রুপ ও কমিউনিটি তৈরি করে নিতে পারবেন; আপনার আইডিয়া ও তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। মানুষ নতুন বন্ধু তৈরি করতে, নতুন তথ্য জানতে, নিজের মেধার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, টুইটার ও লিংকডিন এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। 

২. বার্তা আদান-প্রদানভিত্তিক: হিরো আলমের কোনো মিম বা গান আমরা আমাদের বন্ধুর সঙ্গে ইনবক্সে শেয়ার করি। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ভাইভার, টেলিগ্রাম। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। এমন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রুপ তৈরি করা, ফাইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি। 

৩. ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সাইট: কনটেন্টের ধরনের ওপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ধারিত হতে পারে। ইনস্টাগ্রাম, ইমগুর, ইউটিউব ও ভিমিও—এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো গড়ে উঠেছে ভিডিও ও ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ইউটিউব বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আর ইনস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, গানের অংশ বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি শেয়ার ও ভিডিও তৈরিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা। 

৪. আলোচনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম: এসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি নানা ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। কোরা, রেডিট মূলত এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম। যেমন কোরাতে আপনি একটি প্রশ্ন করতে পারেন। সেই প্রশ্নটি হতে পারে শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আবার যে কেউ দিতে পারবে। এভাবেই কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একটি কমিউনিটি। রেডিটে একটি টপিকের ওপর আলোচনা এবং এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি কমিউনিটি। 

সোশ্যাল মিডিয়া হতে আয়ের উপায়

সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে বর্তমানে শুধুমাত্র যোগাযোগেরই মাধ্যম, তা কিন্তু নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া হতে যেভাবে আপনি আয় করতে পারেন তা হলো—

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস১. কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যারা কনটেন্ট তৈরি করছে, তাদের সেই কনটেন্ট শেয়ারের জন্য অর্থ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মনিটাইজেশন বা তাদের নিজস্ব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনিও আপনার কনটেন্টের বিনিময়ে আয় করতে পারবেন। আপনার কনটেন্টগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয়, কিংবা আপনার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা বয়স বা পেশার একটি ফ্যানবেজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার শরণাপন্ন হবে, যারা ওই নির্দিষ্ট বয়স, শ্রেণি বা পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাদের সেই পণ্য বা সেবা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও চাইলে ভালো আয় করতে পারেন। 

২. ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার বাড়ি রাজশাহী। রাজশাহী থেকে আপনি খেজুরের গুড় এনে ঢাকায় বিক্রি করতে চান। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে এখন অনেকেই নিজের ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবসাটাই দাঁড় করিয়েছেন ফেসবুক পেজকে ভিত্তি করে। এখন আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই পেজে যথাযথ প্রমোশোনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-কমার্স আয়ের খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। 

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন৩. সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত-সেবা প্রদান: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসাকে বড় করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ করছে। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাড মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এই সেবা প্রদানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, যা আয়ের পথ খুলে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সময়ে বেশ ভালো একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। আর দিন শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করাটা তো রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আদতে সামাজিক করে তুলছে, নাকি আমরা দিন দিন হয়ে উঠছি আরও অসামাজিক, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।

প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বিবিএসের জরিপ: ইন্টারনেটের আওতার বাইরে দেশের ৪৪% পরিবার

  • মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবার।
  • ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ ব্যবহার করে স্মার্টফোন।
  • কম্পিউটারের ব্যবহার বেড়েছে, কমেছে রেডিও শোনা।
‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮: ১০
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।

‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।

‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।

অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।

এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।

২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।

জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।

তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।

বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। ছবি: আজকের পত্রিকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।

রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।

সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।

সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারির সাশ্রয়ী ফোন আনল রিয়েলমি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪৭
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।

ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।

এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।

ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।

রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এআইকে ব্যক্তিগত অর্থ উপদেষ্টা বানালেন ২৭ বছরের এই সিইও

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
তাকি ওং। ছবি: রয়টার্স
তাকি ওং। ছবি: রয়টার্স

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।

ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।

ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।

তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।

এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত