আরাফাত রহমান

সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়—যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ও ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ‘ঈশ্বর কী করেছেন’। সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডিগ্রি—এভাবে বিভাজন করতে পারত।
পরে ২০০১ সালে ফ্রেন্ডস্টার আসে, যার সঙ্গে খুব অল্প দিনের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০২ সালে লিংকডিন প্রতিষ্ঠা হয় ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী পেশাদারদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে এই লিংকডিনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন লোক প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে, চাকরি দিচ্ছে কিংবা নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০০৩ সালে মাইস্পেস আসার পর ২০০৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইট। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ফেসবুক সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়ে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়।
এর মাঝে অনেকেই এসেছে। তবে সবাই যে সফল হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালে গুগলের মতো বড় জায়ান্ট নিয়ে আসে গুগল প্লাস, যা ২০১৮ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে, যখন তাদের প্রায় ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরন
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়—
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট: সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ধরনের সাইটগুলো মানুষের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আপনি চাইলেই আপনার নিজস্ব গ্রুপ ও কমিউনিটি তৈরি করে নিতে পারবেন; আপনার আইডিয়া ও তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। মানুষ নতুন বন্ধু তৈরি করতে, নতুন তথ্য জানতে, নিজের মেধার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, টুইটার ও লিংকডিন এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
২. বার্তা আদান-প্রদানভিত্তিক: হিরো আলমের কোনো মিম বা গান আমরা আমাদের বন্ধুর সঙ্গে ইনবক্সে শেয়ার করি। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ভাইভার, টেলিগ্রাম। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। এমন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রুপ তৈরি করা, ফাইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
৩. ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সাইট: কনটেন্টের ধরনের ওপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ধারিত হতে পারে। ইনস্টাগ্রাম, ইমগুর, ইউটিউব ও ভিমিও—এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো গড়ে উঠেছে ভিডিও ও ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ইউটিউব বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আর ইনস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, গানের অংশ বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি শেয়ার ও ভিডিও তৈরিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা।
৪. আলোচনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম: এসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি নানা ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। কোরা, রেডিট মূলত এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম। যেমন কোরাতে আপনি একটি প্রশ্ন করতে পারেন। সেই প্রশ্নটি হতে পারে শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আবার যে কেউ দিতে পারবে। এভাবেই কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একটি কমিউনিটি। রেডিটে একটি টপিকের ওপর আলোচনা এবং এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি কমিউনিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া হতে আয়ের উপায়
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে বর্তমানে শুধুমাত্র যোগাযোগেরই মাধ্যম, তা কিন্তু নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া হতে যেভাবে আপনি আয় করতে পারেন তা হলো—
১. কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যারা কনটেন্ট তৈরি করছে, তাদের সেই কনটেন্ট শেয়ারের জন্য অর্থ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মনিটাইজেশন বা তাদের নিজস্ব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনিও আপনার কনটেন্টের বিনিময়ে আয় করতে পারবেন। আপনার কনটেন্টগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয়, কিংবা আপনার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা বয়স বা পেশার একটি ফ্যানবেজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার শরণাপন্ন হবে, যারা ওই নির্দিষ্ট বয়স, শ্রেণি বা পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাদের সেই পণ্য বা সেবা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও চাইলে ভালো আয় করতে পারেন।
২. ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার বাড়ি রাজশাহী। রাজশাহী থেকে আপনি খেজুরের গুড় এনে ঢাকায় বিক্রি করতে চান। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে এখন অনেকেই নিজের ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবসাটাই দাঁড় করিয়েছেন ফেসবুক পেজকে ভিত্তি করে। এখন আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই পেজে যথাযথ প্রমোশোনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-কমার্স আয়ের খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত-সেবা প্রদান: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসাকে বড় করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ করছে। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাড মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এই সেবা প্রদানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, যা আয়ের পথ খুলে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সময়ে বেশ ভালো একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। আর দিন শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করাটা তো রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আদতে সামাজিক করে তুলছে, নাকি আমরা দিন দিন হয়ে উঠছি আরও অসামাজিক, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়—যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ও ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ‘ঈশ্বর কী করেছেন’। সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডিগ্রি—এভাবে বিভাজন করতে পারত।
পরে ২০০১ সালে ফ্রেন্ডস্টার আসে, যার সঙ্গে খুব অল্প দিনের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০২ সালে লিংকডিন প্রতিষ্ঠা হয় ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী পেশাদারদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে এই লিংকডিনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন লোক প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে, চাকরি দিচ্ছে কিংবা নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০০৩ সালে মাইস্পেস আসার পর ২০০৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইট। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ফেসবুক সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়ে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়।
এর মাঝে অনেকেই এসেছে। তবে সবাই যে সফল হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালে গুগলের মতো বড় জায়ান্ট নিয়ে আসে গুগল প্লাস, যা ২০১৮ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে, যখন তাদের প্রায় ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরন
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়—
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট: সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ধরনের সাইটগুলো মানুষের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আপনি চাইলেই আপনার নিজস্ব গ্রুপ ও কমিউনিটি তৈরি করে নিতে পারবেন; আপনার আইডিয়া ও তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। মানুষ নতুন বন্ধু তৈরি করতে, নতুন তথ্য জানতে, নিজের মেধার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, টুইটার ও লিংকডিন এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
২. বার্তা আদান-প্রদানভিত্তিক: হিরো আলমের কোনো মিম বা গান আমরা আমাদের বন্ধুর সঙ্গে ইনবক্সে শেয়ার করি। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ভাইভার, টেলিগ্রাম। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। এমন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রুপ তৈরি করা, ফাইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
৩. ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সাইট: কনটেন্টের ধরনের ওপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ধারিত হতে পারে। ইনস্টাগ্রাম, ইমগুর, ইউটিউব ও ভিমিও—এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো গড়ে উঠেছে ভিডিও ও ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ইউটিউব বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আর ইনস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, গানের অংশ বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি শেয়ার ও ভিডিও তৈরিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা।
৪. আলোচনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম: এসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি নানা ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। কোরা, রেডিট মূলত এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম। যেমন কোরাতে আপনি একটি প্রশ্ন করতে পারেন। সেই প্রশ্নটি হতে পারে শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আবার যে কেউ দিতে পারবে। এভাবেই কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একটি কমিউনিটি। রেডিটে একটি টপিকের ওপর আলোচনা এবং এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি কমিউনিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া হতে আয়ের উপায়
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে বর্তমানে শুধুমাত্র যোগাযোগেরই মাধ্যম, তা কিন্তু নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া হতে যেভাবে আপনি আয় করতে পারেন তা হলো—
১. কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যারা কনটেন্ট তৈরি করছে, তাদের সেই কনটেন্ট শেয়ারের জন্য অর্থ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মনিটাইজেশন বা তাদের নিজস্ব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনিও আপনার কনটেন্টের বিনিময়ে আয় করতে পারবেন। আপনার কনটেন্টগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয়, কিংবা আপনার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা বয়স বা পেশার একটি ফ্যানবেজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার শরণাপন্ন হবে, যারা ওই নির্দিষ্ট বয়স, শ্রেণি বা পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাদের সেই পণ্য বা সেবা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও চাইলে ভালো আয় করতে পারেন।
২. ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার বাড়ি রাজশাহী। রাজশাহী থেকে আপনি খেজুরের গুড় এনে ঢাকায় বিক্রি করতে চান। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে এখন অনেকেই নিজের ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবসাটাই দাঁড় করিয়েছেন ফেসবুক পেজকে ভিত্তি করে। এখন আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই পেজে যথাযথ প্রমোশোনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-কমার্স আয়ের খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত-সেবা প্রদান: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসাকে বড় করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ করছে। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাড মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এই সেবা প্রদানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, যা আয়ের পথ খুলে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সময়ে বেশ ভালো একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। আর দিন শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করাটা তো রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আদতে সামাজিক করে তুলছে, নাকি আমরা দিন দিন হয়ে উঠছি আরও অসামাজিক, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
আরাফাত রহমান

সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়—যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ও ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ‘ঈশ্বর কী করেছেন’। সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডিগ্রি—এভাবে বিভাজন করতে পারত।
পরে ২০০১ সালে ফ্রেন্ডস্টার আসে, যার সঙ্গে খুব অল্প দিনের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০২ সালে লিংকডিন প্রতিষ্ঠা হয় ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী পেশাদারদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে এই লিংকডিনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন লোক প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে, চাকরি দিচ্ছে কিংবা নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০০৩ সালে মাইস্পেস আসার পর ২০০৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইট। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ফেসবুক সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়ে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়।
এর মাঝে অনেকেই এসেছে। তবে সবাই যে সফল হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালে গুগলের মতো বড় জায়ান্ট নিয়ে আসে গুগল প্লাস, যা ২০১৮ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে, যখন তাদের প্রায় ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরন
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়—
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট: সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ধরনের সাইটগুলো মানুষের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আপনি চাইলেই আপনার নিজস্ব গ্রুপ ও কমিউনিটি তৈরি করে নিতে পারবেন; আপনার আইডিয়া ও তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। মানুষ নতুন বন্ধু তৈরি করতে, নতুন তথ্য জানতে, নিজের মেধার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, টুইটার ও লিংকডিন এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
২. বার্তা আদান-প্রদানভিত্তিক: হিরো আলমের কোনো মিম বা গান আমরা আমাদের বন্ধুর সঙ্গে ইনবক্সে শেয়ার করি। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ভাইভার, টেলিগ্রাম। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। এমন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রুপ তৈরি করা, ফাইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
৩. ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সাইট: কনটেন্টের ধরনের ওপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ধারিত হতে পারে। ইনস্টাগ্রাম, ইমগুর, ইউটিউব ও ভিমিও—এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো গড়ে উঠেছে ভিডিও ও ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ইউটিউব বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আর ইনস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, গানের অংশ বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি শেয়ার ও ভিডিও তৈরিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা।
৪. আলোচনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম: এসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি নানা ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। কোরা, রেডিট মূলত এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম। যেমন কোরাতে আপনি একটি প্রশ্ন করতে পারেন। সেই প্রশ্নটি হতে পারে শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আবার যে কেউ দিতে পারবে। এভাবেই কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একটি কমিউনিটি। রেডিটে একটি টপিকের ওপর আলোচনা এবং এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি কমিউনিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া হতে আয়ের উপায়
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে বর্তমানে শুধুমাত্র যোগাযোগেরই মাধ্যম, তা কিন্তু নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া হতে যেভাবে আপনি আয় করতে পারেন তা হলো—
১. কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যারা কনটেন্ট তৈরি করছে, তাদের সেই কনটেন্ট শেয়ারের জন্য অর্থ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মনিটাইজেশন বা তাদের নিজস্ব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনিও আপনার কনটেন্টের বিনিময়ে আয় করতে পারবেন। আপনার কনটেন্টগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয়, কিংবা আপনার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা বয়স বা পেশার একটি ফ্যানবেজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার শরণাপন্ন হবে, যারা ওই নির্দিষ্ট বয়স, শ্রেণি বা পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাদের সেই পণ্য বা সেবা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও চাইলে ভালো আয় করতে পারেন।
২. ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার বাড়ি রাজশাহী। রাজশাহী থেকে আপনি খেজুরের গুড় এনে ঢাকায় বিক্রি করতে চান। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে এখন অনেকেই নিজের ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবসাটাই দাঁড় করিয়েছেন ফেসবুক পেজকে ভিত্তি করে। এখন আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই পেজে যথাযথ প্রমোশোনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-কমার্স আয়ের খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত-সেবা প্রদান: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসাকে বড় করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ করছে। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাড মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এই সেবা প্রদানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, যা আয়ের পথ খুলে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সময়ে বেশ ভালো একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। আর দিন শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করাটা তো রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আদতে সামাজিক করে তুলছে, নাকি আমরা দিন দিন হয়ে উঠছি আরও অসামাজিক, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

সোশ্যাল মিডিয়া কী? একটি ইংরেজি শব্দ, যার অর্থ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বইয়ের ভাষায়—যেসব ওয়েবসাইট ও অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে মানুষ একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ করে ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করে, তাকে সোশ্যাল মিডিয়া বলা হয়। বর্তমান সময়ে মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে এই সোশ্যাল মিডিয়া।
সোশ্যাল মিডিয়ার ইতিহাস
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জন্মের গল্প যদি খোঁজা হয়, তাহলে ফিরে যেতে হবে ১৮৪৪ সালের মে মাসের ২৪ তারিখে, যেদিন স্যামুয়েল মোর্স বাল্টিমোর থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে তাঁর প্রথম টেলিগ্রামটি পাঠিয়েছিলেন। কিছু ডট ও ড্যাশের মাধ্যমে তিনি সেদিন লিখেছেন ‘ঈশ্বর কী করেছেন’। সেই প্রথম টেলিগ্রামের পরের প্রায় ১৮০ বছর যোগাযোগমাধ্যমে এক বিপ্লব ঘটে গেছে। সারা দুনিয়াকে মানুষ নিয়ে এসেছে মাত্র সাড়ে পাঁচ ইঞ্চি পর্দার মাঝে।
প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডিগ্রি—এভাবে বিভাজন করতে পারত।
পরে ২০০১ সালে ফ্রেন্ডস্টার আসে, যার সঙ্গে খুব অল্প দিনের মধ্যেই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী যুক্ত হয়। ২০০২ সালে লিংকডিন প্রতিষ্ঠা হয় ক্যারিয়ারের প্রতি মনোযোগী পেশাদারদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য নিয়ে। বর্তমানে এই লিংকডিনে প্রায় ৭৪০ মিলিয়ন লোক প্রতিনিয়ত চাকরি খুঁজছে, চাকরি দিচ্ছে কিংবা নিজের দক্ষতা বৃদ্ধিতে পরস্পরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। ২০০৩ সালে মাইস্পেস আসার পর ২০০৬ সালে এটি হয়ে ওঠে পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি ভিজিট করা সাইট। কিন্তু ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা পাওয়া ফেসবুক সব ধরনের সোশ্যাল মিডিয়াকে ছাড়িয়ে গিয়ে নিজের শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করে নেয়।
এর মাঝে অনেকেই এসেছে। তবে সবাই যে সফল হয়েছে, তা কিন্তু নয়। ২০১২ সালে গুগলের মতো বড় জায়ান্ট নিয়ে আসে গুগল প্লাস, যা ২০১৮ সালে মুখ থুবড়ে পড়ে, যখন তাদের প্রায় ৫ লাখ ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস হয়ে যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন ধরন
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করেছে। কনটেন্ট ও যোগাযোগের ধরনের ওপর ভিত্তি করে সোশ্যাল মিডিয়াকে বেশ কিছু ভাগে ভাগ করা যায়—
১. সোশ্যাল নেটওয়ার্ক সাইট: সোশ্যাল মিডিয়াগুলোর মধ্যে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো ব্যাপক জনপ্রিয়। এই ধরনের সাইটগুলো মানুষের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ করিয়ে দেয়। আপনি চাইলেই আপনার নিজস্ব গ্রুপ ও কমিউনিটি তৈরি করে নিতে পারবেন; আপনার আইডিয়া ও তথ্য শেয়ার করতে পারবেন। মানুষ নতুন বন্ধু তৈরি করতে, নতুন তথ্য জানতে, নিজের মেধার সম্পর্কে সবাইকে জানাতে এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে থাকে। ফেসবুক, টুইটার ও লিংকডিন এই ধরনের সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট।
২. বার্তা আদান-প্রদানভিত্তিক: হিরো আলমের কোনো মিম বা গান আমরা আমাদের বন্ধুর সঙ্গে ইনবক্সে শেয়ার করি। এ ক্ষেত্রে আমরা ব্যবহার করি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, উইচ্যাট, ভাইভার, টেলিগ্রাম। এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া আমরা সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করি। এমন অ্যাপের মাধ্যমে আমরা গ্রুপ তৈরি করা, ফাইল আদান-প্রদানসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারি।
৩. ছবি ও ভিডিও শেয়ারের সাইট: কনটেন্টের ধরনের ওপরও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নির্ধারিত হতে পারে। ইনস্টাগ্রাম, ইমগুর, ইউটিউব ও ভিমিও—এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলো গড়ে উঠেছে ভিডিও ও ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। ইউটিউব বর্তমানে জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে। আর ইনস্টাগ্রাম হয়ে উঠেছে ছবি শেয়ারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে। তবে বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে স্ন্যাপচ্যাট ও টিকটকের মতো প্ল্যাটফর্ম। এই ধরনের প্ল্যাটফর্মগুলো অগমেন্টেড রিয়্যালিটি, ভার্চুয়াল রিয়্যালিটি, গানের অংশ বা ফিল্টার ব্যবহার করে ছবি শেয়ার ও ভিডিও তৈরিতে নিয়ে এসেছে ভিন্নতা।
৪. আলোচনাভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম: এসব প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক, প্রশ্ন ও উত্তর ইত্যাদি নানা ধরনের কনটেন্ট শেয়ার করা হয়। কোরা, রেডিট মূলত এই ধরনের প্ল্যাটফর্ম। যেমন কোরাতে আপনি একটি প্রশ্ন করতে পারেন। সেই প্রশ্নটি হতে পারে শিক্ষা, ব্যবসা, অর্থনীতি কিংবা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত বিষয়ে। এই ধরনের প্রশ্নের উত্তর আবার যে কেউ দিতে পারবে। এভাবেই কোরাতে বিভিন্ন প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে গড়ে উঠেছে একটি কমিউনিটি। রেডিটে একটি টপিকের ওপর আলোচনা এবং এর ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে একটি কমিউনিটি।
সোশ্যাল মিডিয়া হতে আয়ের উপায়
সোশ্যাল মিডিয়াগুলো যে বর্তমানে শুধুমাত্র যোগাযোগেরই মাধ্যম, তা কিন্তু নয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্ল্যাটফর্মগুলো হয়ে উঠতে পারে অর্থ আয়ের অন্যতম উৎস। সোশ্যাল মিডিয়া হতে যেভাবে আপনি আয় করতে পারেন তা হলো—
১. কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার: বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যারা কনটেন্ট তৈরি করছে, তাদের সেই কনটেন্ট শেয়ারের জন্য অর্থ প্রদান করে সংশ্লিষ্ট প্ল্যাটফর্ম। আপনি কনটেন্ট ক্রিয়েটর হলে ফেসবুক, ইউটিউব, টিকটকসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে মনিটাইজেশন বা তাদের নিজস্ব পার্টনারশিপ প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত হতে আবেদন করতে পারেন। নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করতে পারলে আপনিও আপনার কনটেন্টের বিনিময়ে আয় করতে পারবেন। আপনার কনটেন্টগুলো যদি একটি নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক হয়, কিংবা আপনার একটি নির্দিষ্ট শ্রেণি বা বয়স বা পেশার একটি ফ্যানবেজ থাকে, তাহলে বিভিন্ন ব্র্যান্ড আপনার শরণাপন্ন হবে, যারা ওই নির্দিষ্ট বয়স, শ্রেণি বা পেশার মানুষের কাছে পৌঁছাতে চায়। তাদের সেই পণ্য বা সেবা টাকার বিনিময়ে আপনার পেজ বা চ্যানেলে প্রচারের মাধ্যমে আপনিও চাইলে ভালো আয় করতে পারেন।
২. ব্যবসা স্থাপনের মাধ্যমে: আপনি বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় করতে পারেন। ধরুন, আপনার বাড়ি রাজশাহী। রাজশাহী থেকে আপনি খেজুরের গুড় এনে ঢাকায় বিক্রি করতে চান। এ ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পেজ খুলে আপনি চাইলে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। ফেসবুকে এখন অনেকেই নিজের ব্যবসার প্রচার চালাচ্ছেন। আবার অনেকে ব্যবসাটাই দাঁড় করিয়েছেন ফেসবুক পেজকে ভিত্তি করে। এখন আপনি সহজেই একটি ফেসবুক পেজ খুলে সেই পেজে যথাযথ প্রমোশোনের মাধ্যমে নিজের পণ্য বিক্রি করতে পারেন। বর্তমান সময়ে এফ-কমার্স বা ফেসবুক-কমার্স আয়ের খুব জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।
৩. সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত-সেবা প্রদান: বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবসাকে বড় করার অন্যতম মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি সহজেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আপনার পণ্য কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতে পারবেন। তাই বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজার বা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এক্সপার্ট নিয়োগ করছে। আপনি নিজেও সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, অ্যাড মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এই সেবা প্রদানে দক্ষ হয়ে উঠতে পারেন, যা আয়ের পথ খুলে দেবে। সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট এবং সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এই সময়ে বেশ ভালো একটি পেশায় পরিণত হয়েছে। বাজারে এর চাহিদাও ক্রমশ বাড়ছে।
সোশ্যাল মিডিয়া বর্তমানে মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সকালে ঘুম থেকে উঠে অধিকাংশ মানুষের দিন শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে ঢুঁ মারার মাধ্যমে। আর দিন শেষে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্ক্রল করাটা তো রীতিমতো অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের আদতে সামাজিক করে তুলছে, নাকি আমরা দিন দিন হয়ে উঠছি আরও অসামাজিক, তা নিয়ে বিতর্ক হতেই পারে।
প্রযুক্তি সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া কোনটি? এ প্রশ্নের উত্তর দিতে হলে দুটি সাইটের নাম আসে; প্রথমটি জিওসিটি ও অন্যটি সিক্সডিগ্রি। তবে ১৯৯৭ সালে তৈরি করা সিক্সডিগ্রিস ডটকম-কেই অধিকাংশ মানুষ প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া হিসেবে বিবেচনা করে। সিক্সডিগ্রিস ব্যবহারকারীরা তাঁদের কাছের লোকেদের সাইটে নিবন্ধিত করতে পারত এবং তাদের প্রথ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে