নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
বাংলাদেশের আকাশে নবীনতম এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রাতেও এর ব্যতিক্রম নেই। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি ফ্লাইটে লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে এয়ারলাইনসটি। এসব যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন যেসব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, তাঁদের মধ্যে চারজনের অভিজ্ঞতা শুনেছে আজকের পত্রিকা।
রুমানা আক্তার
এয়ার এ্যাস্ট্রার শুরুর থেকেই সহকারী ব্যবস্থাপকের (প্রশিক্ষণ) দায়িত্বে আছেন রুমানা। ১৪ বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় দাপ্তরিক দায়িত্বের পাশাপাশি ফ্লাইটের পার্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং (আইটি) কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনেরও অনুমোদন পেয়েছেন রুমানা।
আয়নুন নাহার
এয়ার এ্যাস্ট্রায় পার্সার হিসেবে শুরু থেকে কর্মরত আছেন আয়নুন নাহার। এভিয়েশন সেক্টরে আট বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বে নিষ্ঠার বিবেচনায় আয়নুনকেও প্রশিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এয়ার এ্যাস্ট্রা। তিনিও সফলভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে নতুন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান এয়ার এ্যাস্ট্রার নিয়মিত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। তাঁদের পেশাগত দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতা অন্যান্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। অতি সম্প্রতি তাঁরা দুজনই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইন-চার্জ হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়েছেন।

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
বাংলাদেশের আকাশে নবীনতম এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রাতেও এর ব্যতিক্রম নেই। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি ফ্লাইটে লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে এয়ারলাইনসটি। এসব যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন যেসব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, তাঁদের মধ্যে চারজনের অভিজ্ঞতা শুনেছে আজকের পত্রিকা।
রুমানা আক্তার
এয়ার এ্যাস্ট্রার শুরুর থেকেই সহকারী ব্যবস্থাপকের (প্রশিক্ষণ) দায়িত্বে আছেন রুমানা। ১৪ বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় দাপ্তরিক দায়িত্বের পাশাপাশি ফ্লাইটের পার্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং (আইটি) কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনেরও অনুমোদন পেয়েছেন রুমানা।
আয়নুন নাহার
এয়ার এ্যাস্ট্রায় পার্সার হিসেবে শুরু থেকে কর্মরত আছেন আয়নুন নাহার। এভিয়েশন সেক্টরে আট বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বে নিষ্ঠার বিবেচনায় আয়নুনকেও প্রশিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এয়ার এ্যাস্ট্রা। তিনিও সফলভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে নতুন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান এয়ার এ্যাস্ট্রার নিয়মিত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। তাঁদের পেশাগত দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতা অন্যান্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। অতি সম্প্রতি তাঁরা দুজনই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইন-চার্জ হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়েছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
বাংলাদেশের আকাশে নবীনতম এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রাতেও এর ব্যতিক্রম নেই। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি ফ্লাইটে লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে এয়ারলাইনসটি। এসব যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন যেসব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, তাঁদের মধ্যে চারজনের অভিজ্ঞতা শুনেছে আজকের পত্রিকা।
রুমানা আক্তার
এয়ার এ্যাস্ট্রার শুরুর থেকেই সহকারী ব্যবস্থাপকের (প্রশিক্ষণ) দায়িত্বে আছেন রুমানা। ১৪ বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় দাপ্তরিক দায়িত্বের পাশাপাশি ফ্লাইটের পার্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং (আইটি) কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনেরও অনুমোদন পেয়েছেন রুমানা।
আয়নুন নাহার
এয়ার এ্যাস্ট্রায় পার্সার হিসেবে শুরু থেকে কর্মরত আছেন আয়নুন নাহার। এভিয়েশন সেক্টরে আট বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বে নিষ্ঠার বিবেচনায় আয়নুনকেও প্রশিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এয়ার এ্যাস্ট্রা। তিনিও সফলভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে নতুন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান এয়ার এ্যাস্ট্রার নিয়মিত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। তাঁদের পেশাগত দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতা অন্যান্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। অতি সম্প্রতি তাঁরা দুজনই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইন-চার্জ হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়েছেন।

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
বাংলাদেশের আকাশে নবীনতম এয়ারলাইনস এয়ার এ্যাস্ট্রাতেও এর ব্যতিক্রম নেই। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এ পর্যন্ত ৭ হাজারের বেশি ফ্লাইটে লক্ষাধিক যাত্রী পরিবহন করেছে এয়ারলাইনসটি। এসব যাত্রীর নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন যেসব ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, তাঁদের মধ্যে চারজনের অভিজ্ঞতা শুনেছে আজকের পত্রিকা।
রুমানা আক্তার
এয়ার এ্যাস্ট্রার শুরুর থেকেই সহকারী ব্যবস্থাপকের (প্রশিক্ষণ) দায়িত্বে আছেন রুমানা। ১৪ বছরের বেশি সময়ের অভিজ্ঞতায় দাপ্তরিক দায়িত্বের পাশাপাশি ফ্লাইটের পার্সার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। সম্প্রতি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের অধীনে ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং (আইটি) কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করে ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনেরও অনুমোদন পেয়েছেন রুমানা।
আয়নুন নাহার
এয়ার এ্যাস্ট্রায় পার্সার হিসেবে শুরু থেকে কর্মরত আছেন আয়নুন নাহার। এভিয়েশন সেক্টরে আট বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। অভিজ্ঞতা ও দায়িত্বে নিষ্ঠার বিবেচনায় আয়নুনকেও প্রশিক্ষক হিসেবে মনোনয়ন দেয় এয়ার এ্যাস্ট্রা। তিনিও সফলভাবে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ইনস্ট্রাকশনাল ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করে প্রশিক্ষক হিসেবে নতুন ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দক্ষতা ও দায়িত্বশীলতার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান
জেসমিন আক্তার মুক্তা ও নিশাত জাহান এয়ার এ্যাস্ট্রার নিয়মিত ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট হিসেবে দায়িত্বরত আছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। তাঁদের পেশাগত দক্ষতা ও নিয়মানুবর্তিতা অন্যান্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। অতি সম্প্রতি তাঁরা দুজনই ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট ইন-চার্জ হিসেবে জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে পদোন্নতি পেয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
২১ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
২১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ (রিপোর্ট) জানাতে পারেন না।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘নারী ও প্রযুক্তি: অনলাইন সহিংসতা নিরসন ও আইনি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন (সিএসডব্লিউসি) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা এবং সিএসডব্লিউসির ফোকাল মনীষা বিশ্বাস মূল নিবন্ধ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ইত্যাদির রিপোর্টিং (অভিযোগ করা) ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রক্রিয়া জটিল ও ইংরেজিনির্ভর। অনেক ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকার কারণে রিপোর্ট ‘পলিসি ভায়োলেশন (নীতিভঙ্গ) নয়’ বলে বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী সরাসরি কীভাবে রিপোর্ট করতে হয়, তা জানেন না৷
মূল নিবন্ধে অতীতের কিছু গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ করেন না৷ আরও বলা হয়, এআই জেনারেটেড ছবি, ডিপফেক কনটেন্ট—এগুলো শনাক্ত ও মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তি সহায়তা সক্ষমতা সীমিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তি উদ্ভূত লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতা-সংক্রান্ত কনটেন্ট রিপোর্ট করতে পারলেও তা খুব সীমিত। এ ছাড়া ইমো, লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করার সুবিধা না থাকায় অপরাধীরা এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নেয়।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে মনীষা বিশ্বাস জানান, থানায় ভুক্তভোগীরা পরামর্শ নেওয়ার পরে মামলা করতে উৎসাহিত না হওয়ায় অভিযোগ নেওয়া হয় না। কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে উপাত্ত সরানোর মাধ্যমে পারস্পরিক মীমাংসারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সভায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘সাইবার সহিংসতার কথা যখন বলি, তখন প্রথমে মাথায় আসে, কেন এটা নিয়ে এত চিন্তা করছি। তার একটা কারণ হলো, এটি দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং একে কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমাদের দেশে সাইবার সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান। ‘মি টু’ আন্দোলনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার পেছনেও এই ভয় কাজ করেছে যে, কথা বললেই তাঁদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। বাস্তব জীবনে যেভাবে নারীদের দোষারোপ করা হয়, সেই একই চিত্র ডিজিটাল জগতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে নারীরা নিরাপদভাবে অনলাইন পরিসরে বিচরণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ বলেন, ‘ফরেনসিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের জন্য থানায় মোবাইল ফোন বা ব্যক্তিগত ডিভাইস জমা দিতে হয়, যা ভুক্তভোগীকে আরও নিরুৎসাহিত করে মামলা করার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে আমাদের যথাযথ ডেটা নেই যে কতজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং কতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন।’
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের হেল্পলাইন ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম জানান, নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে ১০৯-এর জরুরি হেল্পলাইন সেবায় ভুক্তভোগীদের চাহিদার ধরনগুলো পরিবর্তন হচ্ছে এবং এখন সাইবারসংক্রান্ত অভিযোগ বেশি আসছে।
ঢাকা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপপুলিশ কমিশনার মোছা. মাকসুদা আক্তার বলেন, সাইবারসংক্রান্ত মামলার ভুক্তভোগীদের জন্য মনোসামাজিক সেবা দরকার। যদি পুলিশের কাছে আসতে ভুক্তভোগীরা ভয় পান, তাহলে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা দরকার।
সভার সমাপনী বক্তব্যে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আহমেদ বলেন, সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা এবং একে প্রান্তিক নারীবান্ধব করা প্রয়োজন। আইনবিদদের সঙ্গে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা খুব জরুরি।
সভায় নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-কে সংশোধন করে ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত উপাদান এবং ডিজিটাল অসম্মতিপূর্ণ পর্নোগ্রাফিকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ই-এফআইআর ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যার ফলে ভুক্তভোগীকে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে না, যা হয়রানি ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ (রিপোর্ট) জানাতে পারেন না।
আজ বুধবার রাজধানীর ডেইলি স্টার ভবনে আজিমুর রহমান কনফারেন্স হলে ‘নারী ও প্রযুক্তি: অনলাইন সহিংসতা নিরসন ও আইনি সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
নারী ও শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন অ্যান্ড চিলড্রেন (সিএসডব্লিউসি) এ সভার আয়োজন করে।
সভায় বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টের (ব্লাস্ট) জ্যেষ্ঠ গবেষণা কর্মকর্তা এবং সিএসডব্লিউসির ফোকাল মনীষা বিশ্বাস মূল নিবন্ধ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম—ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, গুগল ইত্যাদির রিপোর্টিং (অভিযোগ করা) ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রক্রিয়া জটিল ও ইংরেজিনির্ভর। অনেক ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট ভিন্ন থাকার কারণে রিপোর্ট ‘পলিসি ভায়োলেশন (নীতিভঙ্গ) নয়’ বলে বাতিল হয়। অনেক ক্ষেত্রে ভুক্তভোগী সরাসরি কীভাবে রিপোর্ট করতে হয়, তা জানেন না৷
মূল নিবন্ধে অতীতের কিছু গবেষণার তথ্য তুলে ধরে বলা হয়, ৮৮ শতাংশ নারী অনলাইনে হয়রানির শিকার হয়েও অভিযোগ করেন না৷ আরও বলা হয়, এআই জেনারেটেড ছবি, ডিপফেক কনটেন্ট—এগুলো শনাক্ত ও মোকাবিলায় স্থানীয় পর্যায়ে প্রযুক্তি সহায়তা সক্ষমতা সীমিত। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রযুক্তি উদ্ভূত লিঙ্গভিত্তিক যৌন সহিংসতা-সংক্রান্ত কনটেন্ট রিপোর্ট করতে পারলেও তা খুব সীমিত। এ ছাড়া ইমো, লাইকির মতো প্ল্যাটফর্মগুলোতে রিপোর্ট করার সুবিধা না থাকায় অপরাধীরা এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম বেছে নেয়।
২০২৪ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন থানা থেকে পাওয়া নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতার তথ্য বিশ্লেষণ করে মনীষা বিশ্বাস জানান, থানায় ভুক্তভোগীরা পরামর্শ নেওয়ার পরে মামলা করতে উৎসাহিত না হওয়ায় অভিযোগ নেওয়া হয় না। কিছু ক্ষেত্রে অভিযুক্ত ব্যক্তি থানায় এসে উপাত্ত সরানোর মাধ্যমে পারস্পরিক মীমাংসারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
সভায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘সাইবার সহিংসতার কথা যখন বলি, তখন প্রথমে মাথায় আসে, কেন এটা নিয়ে এত চিন্তা করছি। তার একটা কারণ হলো, এটি দ্রুত ছড়িয়ে যায় এবং একে কখনো মুছে ফেলা যায় না। আমাদের দেশে সাইবার সহিংসতার ক্ষেত্রে নারীদের চরিত্রকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রবণতা এখনো গভীরভাবে বিদ্যমান। ‘মি টু’ আন্দোলনে বাংলাদেশি নারীদের অংশগ্রহণ তুলনামূলকভাবে কম হওয়ার পেছনেও এই ভয় কাজ করেছে যে, কথা বললেই তাঁদের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। বাস্তব জীবনে যেভাবে নারীদের দোষারোপ করা হয়, সেই একই চিত্র ডিজিটাল জগতেও প্রতিফলিত হচ্ছে। এর ফলে নারীরা নিরাপদভাবে অনলাইন পরিসরে বিচরণ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার হামিদুল মেজবাহ বলেন, ‘ফরেনসিক সাক্ষ্য সংরক্ষণের জন্য থানায় মোবাইল ফোন বা ব্যক্তিগত ডিভাইস জমা দিতে হয়, যা ভুক্তভোগীকে আরও নিরুৎসাহিত করে মামলা করার ক্ষেত্রে। সেই সঙ্গে আমাদের যথাযথ ডেটা নেই যে কতজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন এবং কতজন নারী পুলিশ কর্মকর্তা আছেন, যাঁরা প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন।’
নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে জাতীয় হেল্পলাইন সেন্টারের হেল্পলাইন ইনচার্জ রাইসুল ইসলাম জানান, নারীর প্রতি সহিংসতার জন্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব অনেক বেশি। বর্তমানে ১০৯-এর জরুরি হেল্পলাইন সেবায় ভুক্তভোগীদের চাহিদার ধরনগুলো পরিবর্তন হচ্ছে এবং এখন সাইবারসংক্রান্ত অভিযোগ বেশি আসছে।
ঢাকা ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারের উপপুলিশ কমিশনার মোছা. মাকসুদা আক্তার বলেন, সাইবারসংক্রান্ত মামলার ভুক্তভোগীদের জন্য মনোসামাজিক সেবা দরকার। যদি পুলিশের কাছে আসতে ভুক্তভোগীরা ভয় পান, তাহলে কিশোর-কিশোরীদের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে হেল্পডেস্ক স্থাপন করা দরকার।
সভার সমাপনী বক্তব্যে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেটিকস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইআইডি) নির্বাহী পরিচালক সাইদ আহমেদ বলেন, সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধি করা এবং একে প্রান্তিক নারীবান্ধব করা প্রয়োজন। আইনবিদদের সঙ্গে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের একসঙ্গে বসা খুব জরুরি।
সভায় নারী ও শিশুর প্রতি সাইবার সহিংসতা প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করা হয়। সুপারিশে বলা হয়, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২-কে সংশোধন করে ডিজিটাল শিশু যৌন নিপীড়ন-সংক্রান্ত উপাদান এবং ডিজিটাল অসম্মতিপূর্ণ পর্নোগ্রাফিকে অপরাধ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি। ই-এফআইআর ব্যবস্থা চালু করতে হবে। যার ফলে ভুক্তভোগীকে ব্যক্তিগতভাবে পুলিশ স্টেশনে যেতে হবে না, যা হয়রানি ও মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে।

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
০৬ মার্চ ২০২৪
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
২১ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
২১ ঘণ্টা আগেমুহাম্মদ শফিকুর রহমান

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা। আর সেখান থেকে শুরু তাঁর উদ্যোগ—বাংলার আদি খাদ্য ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এটি শুধু ব্যবসা নয়, দেশের জন্য কিছু করার দায়বদ্ধতা। সংসার সামলে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দাঁড়িয়েছেন শাহেলী। ‘আহরণ’ নামের ফেসবুক পেজের কান্ডারি তিনি।
পরিবার
স্বামী এবং এক সন্তানকে নিয়ে শাহেলীর পরিবার। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায়। চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজি বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন তিনি। উদ্যোক্তা হতে গিয়ে শাহেলী স্বামীর সহযোগিতা পেয়েছেন সব সময়।

শুরুর গল্প
বছর সাতেক আগে শাহেলী ব্যবসায় নেমে পড়েন। প্রথম দিকে টুকটাক সমস্যা হলেও বুদ্ধি করে সব সামলে নেন। শাহেলীর পেজ আহরণে অনুসারীর সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। সাত বছর আগে খোলা এই পেজ তাঁর বিক্রির মাধ্যম। অবশ্য অফলাইনেও তিনি পণ্য বিক্রি করেন।
কেন উদ্যোক্তা হলেন
পড়াশোনা করে যে চাকরিই করতে হবে, এমন নয়। শাহেলী মনে করেন, উদ্যোক্তা হওয়ার মতো মেধা আর দক্ষতা থাকলে চাকরি না করে নিজে কিছু করে অন্যের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি করা উচিত। কাজ করতে করতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন শাহেলী; যাকে বলে ঠেকে ঠেকে শেখা।

মাসে আয় আড়াই লাখ টাকা
শুরুতে তাঁর পুঁজি ছিল মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরিশ্রম ও দক্ষতায় এখন তাঁর মাসিক বিক্রি পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকায় ওঠানামা করে। প্রতি মাসে গড়ে প্রায় আড়াই লাখ টাকা আয় করেন তিনি। বর্তমানে তাঁর কাজে সহকারী হিসেবে যুক্ত আছেন ১৪ জন।
যা বিক্রি করেন
শাহেলীর পেজ আহরণে পাওয়া যাবে মধু, বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী খাবার, খেজুরের গুড়, শুঁটকি, বিভিন্ন প্রজাতির চাল ইত্যাদি।

কাঁচামাল সংগ্রহ
শাহেলী কাঁচামাল পেতে ছুটে বেড়ান কৃষকের দোরগোড়ায়। নিজে উপস্থিত থেকে পণ্যের সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করেন। মানের বেলায় তিনি বিন্দুমাত্র ছাড় দেন না। এ কারণে অনেক ক্রেতা বিভিন্ন জায়গায় প্রতারিত হয়ে তাঁর কাছে এসে স্বস্তি খুঁজে পান।
আনন্দ
উদ্যোক্তা হিসেবে শাহেলী এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য পরিচিতি গড়ে তুলেছেন। তাই ভিড়ের মধ্যে একদম অচেনা কেউ এগিয়ে এসে যখন বলেন, ‘আপনি মেহেরুন না? আপনার পণ্যের গুণগত মান সত্যিই অসাধারণ’—সেই প্রশংসা শাহেলীর মন ভরিয়ে দেয়। অচেনা মানুষের এমন আন্তরিক সাড়া তাঁকে আরও অনুপ্রাণিত করে এগিয়ে যেতে।
চ্যালেঞ্জ
একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হয়ে দেশের নানান জায়গায় ছুটে বেড়াবে—এটা অনেকে সহজে মেনে নিতে পারে না। শাহেলীর ভাষায়, ‘একজন নারীও পুরুষের মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করার সাহস ও সক্ষমতা রাখে। কিন্তু অনেকে নানা অপ্রয়োজনীয় মন্তব্য করে। এতে আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর চেষ্টা করা হয়।’
তবে শাহেলী জানান, তিনি শুরু থেকে সাহসী। তাই এসব মন্তব্য বা চ্যালেঞ্জ তিনি খুব সহজে সামলে নিতে পারেন। প্রতিটি চ্যালেঞ্জ তাঁর আগামীর পথ আরও দৃঢ় করে।

আফটার সেলস সার্ভিস
নানা কারণে কুরিয়ারে পণ্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাহলে কি ক্রেতা ক্ষতি মেনে নেবে? মোটেই না।
পণ্য নষ্ট হয়ে গেলে গ্রাহক যেভাবে ক্ষতিপূরণ চায়, সেভাবে ক্ষতিপূরণ দেন শাহেলী। আর যারা পণ্য নিতে চায়, পেজে বার্তা পাঠালেই তা ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
ভবিষ্যৎ
একটা গ্রাম হবে। সেই গ্রামে একজন মানুষ যখন প্রবেশ করবে, দেখবে ঢেঁকিতে ধান ভানা হচ্ছে, নারীরা পাটায় সর পিষছে, ঘানিতে সরিষা ভাঙিয়ে তেল বের হচ্ছে। মোটামুটি বাংলার আদি চিত্র দেখা যাবে সেই গ্রামে। এমন স্বপ্ন শাহেলীর। এ ধরনের একটি গ্রাম প্রতিষ্ঠার ইচ্ছা তাঁর।

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
০৬ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৫ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
২১ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
২১ ঘণ্টা আগেবাড়ছে আতঙ্ক
ফিচার ডেস্ক

২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসেও সেই স্বপ্ন অধরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ১১ মাসে সারা দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ নারী ও কন্যাশিশু। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, বরং এটি নতুন করে আশা জাগানো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি একটি গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
চব্বিশের জুলাইয়ের পর মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় দায় রয়েছে, তা নতুন সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাস্তবতার ভিন্ন রূপ। ১১ মাসে মোট নির্যাতিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৯ জন; এর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ মোট নির্যাতিতের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু ও কিশোরী। এই জরিপে বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে।
কন্যা ও শিশুদের প্রতি নির্যাতনের এ সংখ্যা প্রমাণ করে, পরিবার বা সমাজের কোনো স্তরেই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, এমনকি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত পরিবারেও নারীরা নিরাপদ নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসে ৫৯৩ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ১০১ জন। নিপীড়নের শিকার হয় ৯৫ জন; এর মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ৬১ জন। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮১ জনকে, যাদের মধ্যে ১৪১ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭২৪ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ৫০০ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও কন্যাশিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ২৯ নারী ও কন্যশিশু। তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।
প্রতিবেদনটির উদ্বেগজনক দিক হলো, গত ১১ মাসের এই পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের সারা বছরের মোট নির্যাতনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ২ হাজার ২২৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
এটি দেশের নাগরিকদের জন্য এক চরম হতাশার বার্তা। এরই মধ্যে গঠন করা হয় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। যাদের কাজ আইনি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য পর্যালোচনা করে প্রাসঙ্গিক সংস্কার প্রস্তাব করা। সে প্রস্তাব করাও হয়ে গেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্তে এসেও সেই স্বপ্ন অধরা। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রকাশিত বার্ষিক প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য বলছে, ২০২৫ সালের ১১ মাসে সারা দেশে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২ হাজার ৫৪৯ নারী ও কন্যাশিশু। এই পরিসংখ্যান শুধু সংখ্যা নয়, বরং এটি নতুন করে আশা জাগানো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতি একটি গভীর প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।
চব্বিশের জুলাইয়ের পর মানুষ স্বপ্ন দেখেছিল, নারীর অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার যে পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় দায় রয়েছে, তা নতুন সরকার দৃঢ়তার সঙ্গে পালন করবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি হবে এবং অপরাধীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। কিন্তু পরিসংখ্যান দেখাচ্ছে বাস্তবতার ভিন্ন রূপ। ১১ মাসে মোট নির্যাতিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫৪৯ জন; এর মধ্যে রয়েছে ১ হাজার ১৭৪ কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ মোট নির্যাতিতের প্রায় অর্ধেকই কন্যাশিশু ও কিশোরী। এই জরিপে বিভিন্ন নির্যাতনের কথা বলা হয়েছে।
কন্যা ও শিশুদের প্রতি নির্যাতনের এ সংখ্যা প্রমাণ করে, পরিবার বা সমাজের কোনো স্তরেই মেয়েদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে কর্মক্ষেত্র, এমনকি সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত পরিবারেও নারীরা নিরাপদ নয়।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসে ৫৯৩ নারী ও কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ১০১ জন। নিপীড়নের শিকার হয় ৯৫ জন; এর মধ্যে কন্যাশিশু ও কিশোরী ৬১ জন। ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে ১৮১ জনকে, যাদের মধ্যে ১৪১ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭২৪ নারী ও কন্যাশিশু। এদের মধ্যে ৫০০ জন কন্যাশিশু ও কিশোরী। অর্থাৎ ধর্ষণ ও দলগত ধর্ষণের শিকার হওয়া নারী ও কন্যাশিশুদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছিল কন্যাশিশু ও কিশোরী। ধর্ষণ ও হত্যার শিকার হয়েছে ২৯ নারী ও কন্যশিশু। তাদের মধ্যে ১৬ জনের বয়স ১৮ বছরের মধ্যে।
প্রতিবেদনটির উদ্বেগজনক দিক হলো, গত ১১ মাসের এই পরিসংখ্যান ২০২৪ সালের সারা বছরের মোট নির্যাতনের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছর ২ হাজার ২২৫ নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছিল।
এটি দেশের নাগরিকদের জন্য এক চরম হতাশার বার্তা। এরই মধ্যে গঠন করা হয় নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন। যাদের কাজ আইনি, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোয় নারীদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য পর্যালোচনা করে প্রাসঙ্গিক সংস্কার প্রস্তাব করা। সে প্রস্তাব করাও হয়ে গেছে। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, গত ১১ মাসের নারী ও শিশু নির্যাতনের সংখ্যা গত বছরের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে।

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
০৬ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
২০ ঘণ্টা আগে
আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
২১ ঘণ্টা আগেব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন

আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
মুন্তাহা মিতু, যশোর
আপনার স্বামী যে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লিখেছেন, এর আইনগত অবস্থা হলো এই যে, আইন অনুযায়ী এখনই চূড়ান্তভাবে তালাক হয়নি। বাংলাদেশের আইনে—
» শুধু চিঠিতে লিখে দিলেই তালাক সম্পূর্ণ হয় না।
» স্বামীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
» নোটিশ দেওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিন সময় থাকে। এটিই আইনি ইদ্দত ও মীমাংসার সময়।
» যদি চেয়ারম্যানকে নোটিশ না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইনগতভাবে তালাক এখনো কার্যকর হয়নি।
দ্বিতীয়ত, ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে কি না। হবে যদি—
» চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয়ে থাকে।
» এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী আবার সংসারে না ফেরেন।
» তাহলে ৯০ দিন শেষে তালাক কার্যকর হবে।
তৃতীয়ত, হিল্লা। ৯০ দিন পর যদি আপনারা আবার সংসার করতে চান, তাহলে হিল্লা লাগবে না। কারণ—
» বাংলাদেশের আইনে একসঙ্গে লেখা ‘তিন তালাক’-কে এক তালাক হিসেবেই গণ্য করা হয়।
» এটা তালাক-এ-বাইন কুবরা বা চূড়ান্ত তিন তালাক নয়।
হিল্লা লাগে শুধু তখন, যখন—
» স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা সময়ে ৩ বার তালাক সম্পন্ন করেছেন।
» প্রতিবারই ইদ্দত শেষ হয়েছে।
» আপনার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।
আর স্বাভাবিকভাবে বিয়ের বিষয়ে বলব, এটা আসলে নির্ভর করছে কখন ফিরতে চান, তার ওপর। যদি ৯০ দিনের ভেতরে অর্থাৎ ইদ্দতের সময় ফিরতে চান, তাহলে নতুন বিয়ে লাগবে না। স্বামী চাইলে মুখে বা কাজে সংসারে ফেরালেই হবে। তবে যদি ৯০ দিন শেষ হয়ে যায়, তখন নতুন করে নিকাহ করতে হবে, নতুন দেনমোহর ও সাক্ষী লাগবে, হিল্লা লাগবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

আমার স্বামী ডিভোর্স লেটার দিয়েছে ১ মাস আগে। সেখানে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লেখা ছিল। এতে আইন অনুযায়ী কি আমাদের তালাক হয়ে গেছে? নাকি ৯০ দিন পরই হবে? ৯০ দিন পর যদি আমরা আবার সংসার করতে চাই, তাহলে কি হিল্লা করাতে হবে? নাকি স্বাভাবিকভাবে বিয়ে করলেই হবে?
মুন্তাহা মিতু, যশোর
আপনার স্বামী যে ‘তিন তালাক এ বাইন’ লিখেছেন, এর আইনগত অবস্থা হলো এই যে, আইন অনুযায়ী এখনই চূড়ান্তভাবে তালাক হয়নি। বাংলাদেশের আইনে—
» শুধু চিঠিতে লিখে দিলেই তালাক সম্পূর্ণ হয় না।
» স্বামীকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে লিখিত নোটিশ দিতে হয়।
» নোটিশ দেওয়ার তারিখ থেকে ৯০ দিন সময় থাকে। এটিই আইনি ইদ্দত ও মীমাংসার সময়।
» যদি চেয়ারম্যানকে নোটিশ না দেওয়া হয়ে থাকে, তাহলে আইনগতভাবে তালাক এখনো কার্যকর হয়নি।
দ্বিতীয়ত, ৯০ দিন পর তালাক কার্যকর হবে কি না। হবে যদি—
» চেয়ারম্যানকে নোটিশ দেওয়া হয়ে থাকে।
» এই ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রী আবার সংসারে না ফেরেন।
» তাহলে ৯০ দিন শেষে তালাক কার্যকর হবে।
তৃতীয়ত, হিল্লা। ৯০ দিন পর যদি আপনারা আবার সংসার করতে চান, তাহলে হিল্লা লাগবে না। কারণ—
» বাংলাদেশের আইনে একসঙ্গে লেখা ‘তিন তালাক’-কে এক তালাক হিসেবেই গণ্য করা হয়।
» এটা তালাক-এ-বাইন কুবরা বা চূড়ান্ত তিন তালাক নয়।
হিল্লা লাগে শুধু তখন, যখন—
» স্বামী-স্ত্রী আলাদা আলাদা সময়ে ৩ বার তালাক সম্পন্ন করেছেন।
» প্রতিবারই ইদ্দত শেষ হয়েছে।
» আপনার ক্ষেত্রে সেটি হয়নি।
আর স্বাভাবিকভাবে বিয়ের বিষয়ে বলব, এটা আসলে নির্ভর করছে কখন ফিরতে চান, তার ওপর। যদি ৯০ দিনের ভেতরে অর্থাৎ ইদ্দতের সময় ফিরতে চান, তাহলে নতুন বিয়ে লাগবে না। স্বামী চাইলে মুখে বা কাজে সংসারে ফেরালেই হবে। তবে যদি ৯০ দিন শেষ হয়ে যায়, তখন নতুন করে নিকাহ করতে হবে, নতুন দেনমোহর ও সাক্ষী লাগবে, হিল্লা লাগবে না।
পরামর্শ দিয়েছেন
ব্যারিস্টার ইফফাত গিয়াস আরেফিন
অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট

পৃথিবীর দৈর্ঘ্য ক্রমেই ছোট করে দিচ্ছে হাজার হাজার ফ্লাইট। প্রতিদিন সেসব ফ্লাইটে ভ্রমণ করছেন ৬০ লাখের বেশি যাত্রী। এই যাত্রীদের নিরাপত্তা ও পরিষেবার জন্য নিয়োজিত থাকেন অসংখ্য ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্ট, যাঁদের সিংহভাগই নারী।
০৬ মার্চ ২০২৪
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর প্রক্রিয়া অনেক জটিল। কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে অভিযোগ জানানোর সুযোগও নেই। এ ছাড়া বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই প্রযুক্তি সহায়তা নীতিমালা ইংরেজিনির্ভর হয়ে থাকে। এসব কারণে বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার...
৫ ঘণ্টা আগে
বাংলার ইতিহাস পড়ে এবং বয়োজ্যেষ্ঠদের কাছে শুনে বড় হয়েছেন মেহেরুন নেছা শাহেলী। তাঁদের কথা শুনলেই মনে হতো, বাংলার প্রকৃতিতে এখনো সাগর, নদী, আকাশ, পাখি আর সবুজ আছে। কিন্তু হারিয়ে যাচ্ছে আদি শস্য ও প্রাকৃতিক খাদ্যের আবেদন। সেই অভাব তাঁকে ভাবায়, জাগায় পুনরুদ্ধারের আকাঙ্ক্ষা।
২০ ঘণ্টা আগে
২০২৪ সালের অভ্যুত্থানের পর দেশের সাধারণ মানুষ এবং নারী অধিকারকর্মীরা নতুন করে নারীর সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখেছিলেন। ধারণা করা হয়েছিল, রাষ্ট্রের কাঠামোগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি সহিংসতা রোধে সরকার আরও কঠোর ও দায়িত্বশীল ভূমিকা নেবে। কিন্তু ২০২৫ সালের শেষ প্রান্ত
২১ ঘণ্টা আগে