
জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে।
‘আমার কাছে এটা মা-বাবারা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর মতো একটি বিষয়।’ ২৭ বছর বয়স্ক পিএইচডি শিক্ষার্থী জেন সুয়ে কুকুরটিকে নতুন খণ্ডকালীন চাকরির প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিয়ে বলেন সিএনএনকে।
সুয়ে চাচ্ছিলেন একটু বৈচিত্র্য আসুক কুকুরটার জীবনে। কারণ ছুটির দিনে তিনি এবং তাঁর স্বামী সাধারণত ঘরে থাকেন না।
‘ওকে’কে রেস্তোরাঁয় পৌঁছে দেওয়াটা সব দিক থেকেই লাভজনক। অন্য কুকুরদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ পাওয়ায় একাকিত্ব অনুভব করে না সে।’ বলেন তিনি।
পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস্তোরাঁর মালিক এ বাবদ বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারেন তাঁদের থেকে। সাধারণত চীনের ক্যাট বা ডগ ক্যাফেতে আসা দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি হিসেবে ৩০-৬০ ইউয়ান (চার থেকে সাড়ে ৪ ডলার) গুনতে হয়। কখনো আবার কোনো ফি নেওয়া হয় না, তবে রেস্তোরাঁর কোনো খাবার অর্ডার করতে হয়।
সুয়ে জানিয়েছেন, ওকের এ চাকরি তাঁদের অর্থও সাশ্রয় করে। কুকুরটিকে বাড়িতে রেখে গেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে যেতে হতো। যা বেশ খরুচে।
‘ফুজওতে গ্রীষ্মকালটা রীতিমতো ভয়ংকর।’ বলেন তিনি। তবে চীনে ‘জলখাবারের অর্থ রোজগার’ নামে পরিচয় পাওয়া এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সুয়ের পোষা প্রাণী বিষয়ক ভাবনাটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এক হিসেবে কিন্তু এই পোষা প্রাণীরা কাজই করছে। কোনোটি খণ্ডকালীন কোনোটা পূর্ণকালীন। কাজ শেষে রাতে পরিবারের কাছে ফিরেও আসছে, আমরা মানুষেরা যেমনটা করি।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইনস্টাগ্রামের চীনা বিকল্প চওহওসুতে ক্যাফে মালিকদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবং পোষা প্রাণীর মালিকদের সিভি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
একটি ভাইরাল পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘একটি ক্যাট ক্যাফেতে কাজ করার বেতন কত?’ রেস্তোরাঁর মালিক লিখেন, ‘অনেক লোক বলেন যে তারা তাদের বিড়ালদের আমাদের ক্যাফেতে কাজ করতে পাঠাতে চান, যদি তা-ই হয় তবে আমাকে আমাদের ক্যাফের বেতন সম্পর্কে জানানোর সুযোগ দিন। যেমন আমরা আমাদের কিছু পুরোনো কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি।’
মজাদার এই পোস্টটি কয়েক শ লাইক পরে। পোস্টে জানানো হয় দাতৌ নামের একটি ধূসর-সাদা বিড়াল কর পরিশোধের পর পাঁচ ক্যান খাবার পায় মজুরি হিসেবে।
‘বিড়াল চাকুরে প্রয়োজন’ এমন শিরোনামে অপর এক রেস্তোরাঁ মালিক পোস্ট করেন। এতে ছয় শ কমেন্ট পড়ে।
‘আমরা সুস্থ, ভালো মেজাজের বিড়াল খুঁজছি। প্রতিদিন হালকা খাবার দেব। এ ছাড়া পোষা প্রাণীর মালিকের বন্ধুদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিই।’
সুয়ে জানান, এ ধরনের কিছু পোস্টে চোখ আটকায় তার। তখনই ওকে’কে কাজে পাঠানোর চিন্তা মাথায় আসে। তারপরই ফুজওয়েতে ‘ইয়েসংওই’ নামের এমন একটি রেস্তোরাঁর খোঁজ পান। এর মালিককে মেসেজ পাঠান নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে। তারপর চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য ওকে’কে প্রস্তুত করতে থাকেন।
‘ক্যাফের মালিক প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওকে’কে পর্যবেক্ষণ করে। উদ্দেশ্য সে গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করছে কিনা এবং অন্য চারটি কুকুরের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে কিনা তা বোঝা।’ সুয়ে বলেন সিএনএনকে।
নিঃসন্দেহ মালিক সন্তুষ্ট হন। কারণ কুকুরটি চাকরিটা পায়।
সুয়ে বলেন, ‘আমার ওকে এখন রেস্তোরাঁটির স্টার।’
তবে চাকরি খুঁজে পাওয়ার বেলায় সব প্রাণীই ওকের মতো এত সৌভাগ্যবান নয়।
বেইজিংয়ের ৩৩ বছর বয়স্ক স্কুলশিক্ষক সিন সিনের দুটি বিড়াল আছে, একটি সাদা-কালো এবং একটি কমলা। আর আছে একটি শিবা ইনো কুকুর।
দুই বছরের টাক্সেডো বা দুই রঙা বিড়াল চং বয়েরের জন্য একটি চাকরি খুঁজছিলেন সিন সিন। চওহওসুতে ৮ সেপ্টেম্বর সিভি পোস্ট করেন। আশা করছিলেন কোনো ক্যাট ক্যাফেতে সুযোগ পেয়ে যাবে এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাকরির দেখা পাননি।
বিড়ালটির মজুরি হিসেবে কয়েক ক্যান কেট ফুড কিংবা হালকা নাশতাই ছিল তাঁর চাওয়া।
‘ভেবেছিলাম রেস্তোরাঁর মালিকেরা যোগাযোগ করবে আমার সঙ্গে। এখন মনে হচ্ছে আমার নিজেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিড়ালটির সিভি আমার মনে হচ্ছে বাইরে পাঠাতে হবে।’ সিএনএনের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন সিন সিন।
ভদ্রমহিলা জানান বিড়ালটা দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাত হলেই তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা শুরু হয়। এটা সিন সিন এবং তাঁর স্বামীর ঘুমে খুব ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী চেয়েছিলাম সে একটি কাজের বিড়াল হোক এবং নিজের খাবার নিজেই উপার্জন করুক।’
সিন জানান, বিড়ালদুটিকে খাওয়াতে মাসে তাঁর ৫০০ ইউয়ান বা ৭১ ডলার খরচ হয়।
‘আমার মনে হয় দিনের বেলা চং বয়েরের খুব আলস সময় কাটে। একটি চাকরি শরীরের কিছু শক্তি ক্ষয় করতে সাহায্য করবে ওকে।’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য চীনের প্রথম ক্যাট ক্যাফে উদ্বোধন হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণের শহর গুয়াংজুতে। চীনের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা অর্থনীতিবিষয়ক গণমাধ্যম সিবিএনডাটা জানিয়েছে দেশটিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ক্যাফে প্রতি বছর ২০০ শতাংশ বাড়ছে।
২০২৩ সালের চার হাজারের বেশি ক্যাট ক্যাফে বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। নিঃসন্দেহে সংখ্যাটা এখন আরও বেড়েছে।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে।
‘আমার কাছে এটা মা-বাবারা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর মতো একটি বিষয়।’ ২৭ বছর বয়স্ক পিএইচডি শিক্ষার্থী জেন সুয়ে কুকুরটিকে নতুন খণ্ডকালীন চাকরির প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিয়ে বলেন সিএনএনকে।
সুয়ে চাচ্ছিলেন একটু বৈচিত্র্য আসুক কুকুরটার জীবনে। কারণ ছুটির দিনে তিনি এবং তাঁর স্বামী সাধারণত ঘরে থাকেন না।
‘ওকে’কে রেস্তোরাঁয় পৌঁছে দেওয়াটা সব দিক থেকেই লাভজনক। অন্য কুকুরদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ পাওয়ায় একাকিত্ব অনুভব করে না সে।’ বলেন তিনি।
পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস্তোরাঁর মালিক এ বাবদ বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারেন তাঁদের থেকে। সাধারণত চীনের ক্যাট বা ডগ ক্যাফেতে আসা দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি হিসেবে ৩০-৬০ ইউয়ান (চার থেকে সাড়ে ৪ ডলার) গুনতে হয়। কখনো আবার কোনো ফি নেওয়া হয় না, তবে রেস্তোরাঁর কোনো খাবার অর্ডার করতে হয়।
সুয়ে জানিয়েছেন, ওকের এ চাকরি তাঁদের অর্থও সাশ্রয় করে। কুকুরটিকে বাড়িতে রেখে গেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে যেতে হতো। যা বেশ খরুচে।
‘ফুজওতে গ্রীষ্মকালটা রীতিমতো ভয়ংকর।’ বলেন তিনি। তবে চীনে ‘জলখাবারের অর্থ রোজগার’ নামে পরিচয় পাওয়া এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সুয়ের পোষা প্রাণী বিষয়ক ভাবনাটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এক হিসেবে কিন্তু এই পোষা প্রাণীরা কাজই করছে। কোনোটি খণ্ডকালীন কোনোটা পূর্ণকালীন। কাজ শেষে রাতে পরিবারের কাছে ফিরেও আসছে, আমরা মানুষেরা যেমনটা করি।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইনস্টাগ্রামের চীনা বিকল্প চওহওসুতে ক্যাফে মালিকদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবং পোষা প্রাণীর মালিকদের সিভি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
একটি ভাইরাল পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘একটি ক্যাট ক্যাফেতে কাজ করার বেতন কত?’ রেস্তোরাঁর মালিক লিখেন, ‘অনেক লোক বলেন যে তারা তাদের বিড়ালদের আমাদের ক্যাফেতে কাজ করতে পাঠাতে চান, যদি তা-ই হয় তবে আমাকে আমাদের ক্যাফের বেতন সম্পর্কে জানানোর সুযোগ দিন। যেমন আমরা আমাদের কিছু পুরোনো কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি।’
মজাদার এই পোস্টটি কয়েক শ লাইক পরে। পোস্টে জানানো হয় দাতৌ নামের একটি ধূসর-সাদা বিড়াল কর পরিশোধের পর পাঁচ ক্যান খাবার পায় মজুরি হিসেবে।
‘বিড়াল চাকুরে প্রয়োজন’ এমন শিরোনামে অপর এক রেস্তোরাঁ মালিক পোস্ট করেন। এতে ছয় শ কমেন্ট পড়ে।
‘আমরা সুস্থ, ভালো মেজাজের বিড়াল খুঁজছি। প্রতিদিন হালকা খাবার দেব। এ ছাড়া পোষা প্রাণীর মালিকের বন্ধুদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিই।’
সুয়ে জানান, এ ধরনের কিছু পোস্টে চোখ আটকায় তার। তখনই ওকে’কে কাজে পাঠানোর চিন্তা মাথায় আসে। তারপরই ফুজওয়েতে ‘ইয়েসংওই’ নামের এমন একটি রেস্তোরাঁর খোঁজ পান। এর মালিককে মেসেজ পাঠান নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে। তারপর চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য ওকে’কে প্রস্তুত করতে থাকেন।
‘ক্যাফের মালিক প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওকে’কে পর্যবেক্ষণ করে। উদ্দেশ্য সে গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করছে কিনা এবং অন্য চারটি কুকুরের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে কিনা তা বোঝা।’ সুয়ে বলেন সিএনএনকে।
নিঃসন্দেহ মালিক সন্তুষ্ট হন। কারণ কুকুরটি চাকরিটা পায়।
সুয়ে বলেন, ‘আমার ওকে এখন রেস্তোরাঁটির স্টার।’
তবে চাকরি খুঁজে পাওয়ার বেলায় সব প্রাণীই ওকের মতো এত সৌভাগ্যবান নয়।
বেইজিংয়ের ৩৩ বছর বয়স্ক স্কুলশিক্ষক সিন সিনের দুটি বিড়াল আছে, একটি সাদা-কালো এবং একটি কমলা। আর আছে একটি শিবা ইনো কুকুর।
দুই বছরের টাক্সেডো বা দুই রঙা বিড়াল চং বয়েরের জন্য একটি চাকরি খুঁজছিলেন সিন সিন। চওহওসুতে ৮ সেপ্টেম্বর সিভি পোস্ট করেন। আশা করছিলেন কোনো ক্যাট ক্যাফেতে সুযোগ পেয়ে যাবে এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাকরির দেখা পাননি।
বিড়ালটির মজুরি হিসেবে কয়েক ক্যান কেট ফুড কিংবা হালকা নাশতাই ছিল তাঁর চাওয়া।
‘ভেবেছিলাম রেস্তোরাঁর মালিকেরা যোগাযোগ করবে আমার সঙ্গে। এখন মনে হচ্ছে আমার নিজেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিড়ালটির সিভি আমার মনে হচ্ছে বাইরে পাঠাতে হবে।’ সিএনএনের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন সিন সিন।
ভদ্রমহিলা জানান বিড়ালটা দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাত হলেই তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা শুরু হয়। এটা সিন সিন এবং তাঁর স্বামীর ঘুমে খুব ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী চেয়েছিলাম সে একটি কাজের বিড়াল হোক এবং নিজের খাবার নিজেই উপার্জন করুক।’
সিন জানান, বিড়ালদুটিকে খাওয়াতে মাসে তাঁর ৫০০ ইউয়ান বা ৭১ ডলার খরচ হয়।
‘আমার মনে হয় দিনের বেলা চং বয়েরের খুব আলস সময় কাটে। একটি চাকরি শরীরের কিছু শক্তি ক্ষয় করতে সাহায্য করবে ওকে।’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য চীনের প্রথম ক্যাট ক্যাফে উদ্বোধন হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণের শহর গুয়াংজুতে। চীনের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা অর্থনীতিবিষয়ক গণমাধ্যম সিবিএনডাটা জানিয়েছে দেশটিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ক্যাফে প্রতি বছর ২০০ শতাংশ বাড়ছে।
২০২৩ সালের চার হাজারের বেশি ক্যাট ক্যাফে বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। নিঃসন্দেহে সংখ্যাটা এখন আরও বেড়েছে।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে।
‘আমার কাছে এটা মা-বাবারা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর মতো একটি বিষয়।’ ২৭ বছর বয়স্ক পিএইচডি শিক্ষার্থী জেন সুয়ে কুকুরটিকে নতুন খণ্ডকালীন চাকরির প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিয়ে বলেন সিএনএনকে।
সুয়ে চাচ্ছিলেন একটু বৈচিত্র্য আসুক কুকুরটার জীবনে। কারণ ছুটির দিনে তিনি এবং তাঁর স্বামী সাধারণত ঘরে থাকেন না।
‘ওকে’কে রেস্তোরাঁয় পৌঁছে দেওয়াটা সব দিক থেকেই লাভজনক। অন্য কুকুরদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ পাওয়ায় একাকিত্ব অনুভব করে না সে।’ বলেন তিনি।
পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস্তোরাঁর মালিক এ বাবদ বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারেন তাঁদের থেকে। সাধারণত চীনের ক্যাট বা ডগ ক্যাফেতে আসা দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি হিসেবে ৩০-৬০ ইউয়ান (চার থেকে সাড়ে ৪ ডলার) গুনতে হয়। কখনো আবার কোনো ফি নেওয়া হয় না, তবে রেস্তোরাঁর কোনো খাবার অর্ডার করতে হয়।
সুয়ে জানিয়েছেন, ওকের এ চাকরি তাঁদের অর্থও সাশ্রয় করে। কুকুরটিকে বাড়িতে রেখে গেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে যেতে হতো। যা বেশ খরুচে।
‘ফুজওতে গ্রীষ্মকালটা রীতিমতো ভয়ংকর।’ বলেন তিনি। তবে চীনে ‘জলখাবারের অর্থ রোজগার’ নামে পরিচয় পাওয়া এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সুয়ের পোষা প্রাণী বিষয়ক ভাবনাটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এক হিসেবে কিন্তু এই পোষা প্রাণীরা কাজই করছে। কোনোটি খণ্ডকালীন কোনোটা পূর্ণকালীন। কাজ শেষে রাতে পরিবারের কাছে ফিরেও আসছে, আমরা মানুষেরা যেমনটা করি।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইনস্টাগ্রামের চীনা বিকল্প চওহওসুতে ক্যাফে মালিকদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবং পোষা প্রাণীর মালিকদের সিভি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
একটি ভাইরাল পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘একটি ক্যাট ক্যাফেতে কাজ করার বেতন কত?’ রেস্তোরাঁর মালিক লিখেন, ‘অনেক লোক বলেন যে তারা তাদের বিড়ালদের আমাদের ক্যাফেতে কাজ করতে পাঠাতে চান, যদি তা-ই হয় তবে আমাকে আমাদের ক্যাফের বেতন সম্পর্কে জানানোর সুযোগ দিন। যেমন আমরা আমাদের কিছু পুরোনো কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি।’
মজাদার এই পোস্টটি কয়েক শ লাইক পরে। পোস্টে জানানো হয় দাতৌ নামের একটি ধূসর-সাদা বিড়াল কর পরিশোধের পর পাঁচ ক্যান খাবার পায় মজুরি হিসেবে।
‘বিড়াল চাকুরে প্রয়োজন’ এমন শিরোনামে অপর এক রেস্তোরাঁ মালিক পোস্ট করেন। এতে ছয় শ কমেন্ট পড়ে।
‘আমরা সুস্থ, ভালো মেজাজের বিড়াল খুঁজছি। প্রতিদিন হালকা খাবার দেব। এ ছাড়া পোষা প্রাণীর মালিকের বন্ধুদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিই।’
সুয়ে জানান, এ ধরনের কিছু পোস্টে চোখ আটকায় তার। তখনই ওকে’কে কাজে পাঠানোর চিন্তা মাথায় আসে। তারপরই ফুজওয়েতে ‘ইয়েসংওই’ নামের এমন একটি রেস্তোরাঁর খোঁজ পান। এর মালিককে মেসেজ পাঠান নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে। তারপর চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য ওকে’কে প্রস্তুত করতে থাকেন।
‘ক্যাফের মালিক প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওকে’কে পর্যবেক্ষণ করে। উদ্দেশ্য সে গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করছে কিনা এবং অন্য চারটি কুকুরের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে কিনা তা বোঝা।’ সুয়ে বলেন সিএনএনকে।
নিঃসন্দেহ মালিক সন্তুষ্ট হন। কারণ কুকুরটি চাকরিটা পায়।
সুয়ে বলেন, ‘আমার ওকে এখন রেস্তোরাঁটির স্টার।’
তবে চাকরি খুঁজে পাওয়ার বেলায় সব প্রাণীই ওকের মতো এত সৌভাগ্যবান নয়।
বেইজিংয়ের ৩৩ বছর বয়স্ক স্কুলশিক্ষক সিন সিনের দুটি বিড়াল আছে, একটি সাদা-কালো এবং একটি কমলা। আর আছে একটি শিবা ইনো কুকুর।
দুই বছরের টাক্সেডো বা দুই রঙা বিড়াল চং বয়েরের জন্য একটি চাকরি খুঁজছিলেন সিন সিন। চওহওসুতে ৮ সেপ্টেম্বর সিভি পোস্ট করেন। আশা করছিলেন কোনো ক্যাট ক্যাফেতে সুযোগ পেয়ে যাবে এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাকরির দেখা পাননি।
বিড়ালটির মজুরি হিসেবে কয়েক ক্যান কেট ফুড কিংবা হালকা নাশতাই ছিল তাঁর চাওয়া।
‘ভেবেছিলাম রেস্তোরাঁর মালিকেরা যোগাযোগ করবে আমার সঙ্গে। এখন মনে হচ্ছে আমার নিজেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিড়ালটির সিভি আমার মনে হচ্ছে বাইরে পাঠাতে হবে।’ সিএনএনের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন সিন সিন।
ভদ্রমহিলা জানান বিড়ালটা দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাত হলেই তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা শুরু হয়। এটা সিন সিন এবং তাঁর স্বামীর ঘুমে খুব ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী চেয়েছিলাম সে একটি কাজের বিড়াল হোক এবং নিজের খাবার নিজেই উপার্জন করুক।’
সিন জানান, বিড়ালদুটিকে খাওয়াতে মাসে তাঁর ৫০০ ইউয়ান বা ৭১ ডলার খরচ হয়।
‘আমার মনে হয় দিনের বেলা চং বয়েরের খুব আলস সময় কাটে। একটি চাকরি শরীরের কিছু শক্তি ক্ষয় করতে সাহায্য করবে ওকে।’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য চীনের প্রথম ক্যাট ক্যাফে উদ্বোধন হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণের শহর গুয়াংজুতে। চীনের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা অর্থনীতিবিষয়ক গণমাধ্যম সিবিএনডাটা জানিয়েছে দেশটিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ক্যাফে প্রতি বছর ২০০ শতাংশ বাড়ছে।
২০২৩ সালের চার হাজারের বেশি ক্যাট ক্যাফে বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। নিঃসন্দেহে সংখ্যাটা এখন আরও বেড়েছে।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে।
‘আমার কাছে এটা মা-বাবারা বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানোর মতো একটি বিষয়।’ ২৭ বছর বয়স্ক পিএইচডি শিক্ষার্থী জেন সুয়ে কুকুরটিকে নতুন খণ্ডকালীন চাকরির প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দিয়ে বলেন সিএনএনকে।
সুয়ে চাচ্ছিলেন একটু বৈচিত্র্য আসুক কুকুরটার জীবনে। কারণ ছুটির দিনে তিনি এবং তাঁর স্বামী সাধারণত ঘরে থাকেন না।
‘ওকে’কে রেস্তোরাঁয় পৌঁছে দেওয়াটা সব দিক থেকেই লাভজনক। অন্য কুকুরদের সঙ্গে খেলাধুলার সুযোগ পাওয়ায় একাকিত্ব অনুভব করে না সে।’ বলেন তিনি।
পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস্তোরাঁর মালিক এ বাবদ বাড়তি অর্থ আদায় করতে পারেন তাঁদের থেকে। সাধারণত চীনের ক্যাট বা ডগ ক্যাফেতে আসা দর্শনার্থীদের প্রবেশ ফি হিসেবে ৩০-৬০ ইউয়ান (চার থেকে সাড়ে ৪ ডলার) গুনতে হয়। কখনো আবার কোনো ফি নেওয়া হয় না, তবে রেস্তোরাঁর কোনো খাবার অর্ডার করতে হয়।
সুয়ে জানিয়েছেন, ওকের এ চাকরি তাঁদের অর্থও সাশ্রয় করে। কুকুরটিকে বাড়িতে রেখে গেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু করে যেতে হতো। যা বেশ খরুচে।
‘ফুজওতে গ্রীষ্মকালটা রীতিমতো ভয়ংকর।’ বলেন তিনি। তবে চীনে ‘জলখাবারের অর্থ রোজগার’ নামে পরিচয় পাওয়া এ বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
সুয়ের পোষা প্রাণী বিষয়ক ভাবনাটা আপনার পছন্দ নাও হতে পারে। কিন্তু এক হিসেবে কিন্তু এই পোষা প্রাণীরা কাজই করছে। কোনোটি খণ্ডকালীন কোনোটা পূর্ণকালীন। কাজ শেষে রাতে পরিবারের কাছে ফিরেও আসছে, আমরা মানুষেরা যেমনটা করি।
সাম্প্রতিক মাসগুলিতে ইনস্টাগ্রামের চীনা বিকল্প চওহওসুতে ক্যাফে মালিকদের নিয়োগের বিজ্ঞাপন এবং পোষা প্রাণীর মালিকদের সিভি পোস্ট করতে দেখা গেছে।
একটি ভাইরাল পোস্টের শিরোনাম ছিল, ‘একটি ক্যাট ক্যাফেতে কাজ করার বেতন কত?’ রেস্তোরাঁর মালিক লিখেন, ‘অনেক লোক বলেন যে তারা তাদের বিড়ালদের আমাদের ক্যাফেতে কাজ করতে পাঠাতে চান, যদি তা-ই হয় তবে আমাকে আমাদের ক্যাফের বেতন সম্পর্কে জানানোর সুযোগ দিন। যেমন আমরা আমাদের কিছু পুরোনো কর্মচারীদের বেতন দিয়েছি।’
মজাদার এই পোস্টটি কয়েক শ লাইক পরে। পোস্টে জানানো হয় দাতৌ নামের একটি ধূসর-সাদা বিড়াল কর পরিশোধের পর পাঁচ ক্যান খাবার পায় মজুরি হিসেবে।
‘বিড়াল চাকুরে প্রয়োজন’ এমন শিরোনামে অপর এক রেস্তোরাঁ মালিক পোস্ট করেন। এতে ছয় শ কমেন্ট পড়ে।
‘আমরা সুস্থ, ভালো মেজাজের বিড়াল খুঁজছি। প্রতিদিন হালকা খাবার দেব। এ ছাড়া পোষা প্রাণীর মালিকের বন্ধুদের জন্য ৩০ শতাংশ ছাড় দিই।’
সুয়ে জানান, এ ধরনের কিছু পোস্টে চোখ আটকায় তার। তখনই ওকে’কে কাজে পাঠানোর চিন্তা মাথায় আসে। তারপরই ফুজওয়েতে ‘ইয়েসংওই’ নামের এমন একটি রেস্তোরাঁর খোঁজ পান। এর মালিককে মেসেজ পাঠান নিজের আগ্রহের কথা জানিয়ে। তারপর চাকরির সাক্ষাৎকারের জন্য ওকে’কে প্রস্তুত করতে থাকেন।
‘ক্যাফের মালিক প্রায় এক ঘণ্টা ধরে ওকে’কে পর্যবেক্ষণ করে। উদ্দেশ্য সে গ্রাহকদের সঙ্গে ঠিক ব্যবহার করছে কিনা এবং অন্য চারটি কুকুরের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে কিনা তা বোঝা।’ সুয়ে বলেন সিএনএনকে।
নিঃসন্দেহ মালিক সন্তুষ্ট হন। কারণ কুকুরটি চাকরিটা পায়।
সুয়ে বলেন, ‘আমার ওকে এখন রেস্তোরাঁটির স্টার।’
তবে চাকরি খুঁজে পাওয়ার বেলায় সব প্রাণীই ওকের মতো এত সৌভাগ্যবান নয়।
বেইজিংয়ের ৩৩ বছর বয়স্ক স্কুলশিক্ষক সিন সিনের দুটি বিড়াল আছে, একটি সাদা-কালো এবং একটি কমলা। আর আছে একটি শিবা ইনো কুকুর।
দুই বছরের টাক্সেডো বা দুই রঙা বিড়াল চং বয়েরের জন্য একটি চাকরি খুঁজছিলেন সিন সিন। চওহওসুতে ৮ সেপ্টেম্বর সিভি পোস্ট করেন। আশা করছিলেন কোনো ক্যাট ক্যাফেতে সুযোগ পেয়ে যাবে এটি। কিন্তু এখন পর্যন্ত চাকরির দেখা পাননি।
বিড়ালটির মজুরি হিসেবে কয়েক ক্যান কেট ফুড কিংবা হালকা নাশতাই ছিল তাঁর চাওয়া।
‘ভেবেছিলাম রেস্তোরাঁর মালিকেরা যোগাযোগ করবে আমার সঙ্গে। এখন মনে হচ্ছে আমার নিজেকেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিড়ালটির সিভি আমার মনে হচ্ছে বাইরে পাঠাতে হবে।’ সিএনএনের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন সিন সিন।
ভদ্রমহিলা জানান বিড়ালটা দিনের বেলা ঘুমিয়ে কাটায়, আর রাত হলেই তার সমস্ত কর্ম তৎপরতা শুরু হয়। এটা সিন সিন এবং তাঁর স্বামীর ঘুমে খুব ব্যাঘাত সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার স্বামী চেয়েছিলাম সে একটি কাজের বিড়াল হোক এবং নিজের খাবার নিজেই উপার্জন করুক।’
সিন জানান, বিড়ালদুটিকে খাওয়াতে মাসে তাঁর ৫০০ ইউয়ান বা ৭১ ডলার খরচ হয়।
‘আমার মনে হয় দিনের বেলা চং বয়েরের খুব আলস সময় কাটে। একটি চাকরি শরীরের কিছু শক্তি ক্ষয় করতে সাহায্য করবে ওকে।’ বলেন তিনি।
উল্লেখ্য চীনের প্রথম ক্যাট ক্যাফে উদ্বোধন হয় ২০১১ সালে, দক্ষিণের শহর গুয়াংজুতে। চীনের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চলা অর্থনীতিবিষয়ক গণমাধ্যম সিবিএনডাটা জানিয়েছে দেশটিতে এ ধরনের প্রতিষ্ঠান বা ক্যাফে প্রতি বছর ২০০ শতাংশ বাড়ছে।
২০২৩ সালের চার হাজারের বেশি ক্যাট ক্যাফে বা এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে। নিঃসন্দেহে সংখ্যাটা এখন আরও বেড়েছে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্যারট্রিজ জুয়েলার্সের দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ, লকেটটি গিলে ফেলার কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁকে ধরা হয়। চুরির প্রায় এক সপ্তাহ পরে এই মূল্যবান জিনিসটি উদ্ধার করা সম্ভব হলো।
ফেবার্গে এগ-এর আদলে তৈরি এই লকেটটির মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২৩ লাখ টাকার বেশি)। জুয়েলারের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, গিলে ফেলা এই লকেটটিতে ৬০টি সাদা হিরা এবং ১৫টি নীলকান্তমণি বসানো রয়েছে। লকেটটি খুললে এর ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার তৈরি একটি ছোট অক্টোপাস দেখা যায়। এই কারণে লকেটটির নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অক্টোপাস ডিম’। ১৯৮৩ সালের জেমস বন্ড ছবি ‘অক্টোপাসি’ থেকে অনুপ্রাণিত।
চুরি করার পর থেকেই পুলিশ ওই ব্যক্তিকে নিজেদের হেফাজতে রেখে লাগাতার নজরদারি চালাচ্ছিল। নিউজিল্যান্ড পুলিশ এর আগে জানিয়েছিল, যেহেতু এই ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন, তাই যা ঘটেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে পর্যবেক্ষণ করা আমাদের কর্তব্য।
ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয়েছে এবং আগামী ৮ ডিসেম্বর তাঁকে ফের আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুধু এই লকেট চুরিই নয়, ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আরও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরি করেছিলেন তিনি। এর একদিন পরে একটি ব্যক্তিগত ঠিকানা থেকে ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের লিটার এবং ফ্লি কন্ট্রোল (মাছি নিয়ন্ত্রণ) পণ্য চুরি করেন।
প্যারট্রিজ জুয়েলার্স জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই বিরল ফেবার্গে লকেটটি নির্মাতাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে। পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস
১৬ অক্টোবর ২০২৪
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

নিউজিল্যান্ডে এক ব্যক্তি হীরাখচিত লকেট চুরি করেছেন এমন এক উপায়ে, যা শুনলে সিনেমার দৃশ্যই মনে হয়। দোকানদারেরা টের পাওয়ার আগেই তিনি লকেটটি গিলে ফেলেন। পরে পুলিশ এসে তাঁকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে পুলিশ জানিয়েছে, গিলে ফেলা ফ্যাবারজে এগ লকেট, যার মূল্য ৩৩ হাজার ৫৮৫ নিউজিল্যান্ড ডলার (১৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার) এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
জুয়েলারির ওয়েবসাইট অনুযায়ী, যে ফ্যাবারজে এগ চুরি করা হয়েছে, তাতে রয়েছে ৬০টি সাদা হীরা এবং ১৫টি নীল নীলা। ডিমটি খুললে দেখা যায়, ভেতরে ১৮ ক্যারেট সোনার একটি ছোট্ট অক্টোপাস।
ডিমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘অক্টোপাসি এগ’, যা ১৯৮৩ সালের একই নামের জেমস বন্ড চলচ্চিত্র থেকে অনুপ্রাণিত; যার কাহিনির কেন্দ্রে রয়েছে এক জটিল ফ্যাবারজে এগ চুরির ঘটনা।
ফ্যাবারজে দুই শতাব্দীর বেশি আগে রাশিয়ায় প্রতিষ্ঠিত এক বিশ্বখ্যাত জুয়েলারি ব্র্যান্ড, যা রত্ন ও মূল্যবান ধাতু দিয়ে তৈরি ডিম-আকৃতির শিল্পকর্মের জন্য পরিচিত।
বিবিসি জানিয়েছে, ৮ ডিসেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার কথা রয়েছে অভিযুক্ত ব্যক্তির। তিনি গত ১২ নভেম্বর একই জুয়েলারি দোকান থেকে একটি আইপ্যাড চুরির অভিযোগেও অভিযুক্ত। পরদিন ১০০ নিউজিল্যান্ড ডলার মূল্যের বিড়ালের বর্জ্য পরিষ্কারের সামগ্রী ও পিঁপড়া নিয়ন্ত্রণের পণ্য চুরির অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে। পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস
১৬ অক্টোবর ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

সদ্য মা হয়েছেন জর্জিয়া ব্যারিংটন। কিন্তু মেয়ে ওটিলিকে তিনি জন্ম দেননি। জন্ম দিয়েছেন তাঁর প্রিয় বন্ধু ডেইজি হোপ; যিনি কিশোর বয়সে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রাখতে জর্জিয়ার হয়ে সন্তানের জন্ম দেন।
দুই বন্ধু ছোটবেলা থেকেই অবিচ্ছেদ্য। তাঁরা নিজেদের ‘সোল সিস্টার্স’ বলে ডাকেন। একসঙ্গে বড় হয়েছেন। তাঁদের বাবারাও ঘনিষ্ঠ বন্ধু।
শৈশবের সেই বন্ধনই একদিন হয়ে ওঠে জীবন বদলে দেওয়া উদারতার ভিত্তি।
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
মেয়ার-রোকিটানস্কি-কুস্টার-হাউসার সিনড্রোম বিরল এক জন্মগত রোগ, যা প্রতি ৫ হাজার নারীর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রে দেখা যায়। জর্জিয়ার মনে হয়েছিল, একমুহূর্তে তাঁর ভবিষ্যৎটা যেন বদলে গেল।
১৫ বছর বয়সকালের সেই ঘটনা মনে করে জর্জিয়া বলেন, ‘আমার গোটা পৃথিবীই ভেঙে পড়েছিল। আমি সব সময় ভেবে বড় হয়েছি, আমি একজন মা হব আর সেটা আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হলো। আমি যা কিছু স্বপ্ন দেখেছিলাম, সবই শেষ হয়ে গেল।’
সে সময় ডেইজি খুব মাতৃত্বপ্রবণ ছিলেন না। কিন্তু তিনি বন্ধুর রোগ নির্ণয়ের কথা এখনো স্পষ্ট মনে করতে পারেন। তাঁর কাছে ‘অন্যায়’ মনে হয়েছিল—যে বন্ধু মাতৃত্বের স্বপ্ন দেখতেন, তিনি কিনা মা হতে পারবেন না!
এমা বার্নেটের সঙ্গে ‘রেডি টু টক’ অনুষ্ঠানে ডেইজি বলেন, ‘আমি তাঁকে ভরসা দিতে চেয়েছিলাম, বোঝাতে চেয়েছিলাম—পৃথিবী শেষ হয়ে যায়নি। তাই বলেছিলাম, একদিন আমি তাঁর হয়ে সন্তান ধারণ করব। তখন হয়তো বুঝিনি কথাটার গভীরতা কতটা। কিন্তু ভেতরে ভেতরে জানতাম, জর্জিয়ার জন্য আমি এটা করবই।’
১০ বছরের বেশি সময় পরে ডেইজি সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন। ২০২৩ সালে দুই বন্ধু মিলে আইভিএফ প্রক্রিয়া শুরু করেন।
জর্জিয়া একজন ধাত্রী হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। নিজেকে এমন এক জগতে নিমজ্জিত করেছিলেন, যে জগতে তিনি হয়তো কোনো দিন অংশ নিতে পারবেন না বলে ভয় পেয়েছিলেন।
জর্জিয়া বলেন, ‘একবার আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, এটা কি আমার জন্য সঠিক পেশা? কিন্তু আসলে এটা আমাকে সেরে উঠতে সাহায্য করেছে। আর অন্তর থেকে জানতাম—কোনো না কোনোভাবে আমি মা হবই।’
কয়েক বছর পরে ডেইজি তাঁর প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। আর সেই প্রসবে ধাত্রী ছিলেন জর্জিয়াই।
ডেইজি বলেন, ‘আমার সন্তানের প্রতি যে ভালোবাসা অনুভব করেছি, তা ছিল অসাধারণ। তখন মনে হয়েছিল, প্রত্যেকেরই তো এই অনুভূতি পাওয়ার অধিকার আছে।’
তথ্যসূত্র: বিবিসি

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে। পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস
১৬ অক্টোবর ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
৮ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ২০৫০ সালের মধ্যে বন্য বিড়াল বা মালিকহীন বিড়াল নির্মূলের ঘোষণা দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। দেশটির সংরক্ষণমন্ত্রী তামা পোতাকা গত শুক্রবার এই ঘোষণা দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার বন্য বিড়ালকে নিউজিল্যান্ডের বিশ্বস্বীকৃত ‘প্রিডেটর-ফ্রি ২০৫০’ তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে। এই তালিকায় কিছু শিকারি প্রাণীকে যুক্ত করা হয়েছে, যেগুলো জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। ২০১৬ সালে এই উদ্যোগ চালু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো নতুন শিকারিকে এ তালিকায় যুক্ত করা হলো।
দীর্ঘদিন ধরেই নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় বন্য বিড়াল ধরা ও মেরে ফেলা হচ্ছিল। তবে তালিকায় যুক্ত হওয়ায় এবার তাদের বিরুদ্ধে সমন্বিত জাতীয় পর্যায়ের অভিযানে নামবে সরকার—যার মধ্যে থাকবে বৃহৎ আকারের নির্মূল কর্মসূচি ও বিশেষ গবেষণা। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রকাশ করা হবে ২০২৬ সালের মার্চ মাসে।
নিউজিল্যান্ডের বনভূমি ও উপকূলীয় দ্বীপগুলোতে বর্তমানে ২৫ লাখেরও বেশি বন্য বিড়াল ও মালিকহীন বিড়ালের বিচরণ। লেজসহ এসব বিড়ালের দৈর্ঘ্য এক মিটার এবং ওজন প্রায় সাত কেজি পর্যন্ত হতে পারে। এসব বন্য বিড়াল দেশটির দুর্লভ প্রাণিজগৎ ধ্বংসের মূল কারণগুলোর একটি হয়ে উঠেছে।
রাকিউরা স্টুয়ার্ট দ্বীপে এই বিড়াল পুকুনুই বা সাউদার্ন ডটারেল প্রজাতি নামে একধরনের পাখিকে প্রায় বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। মাউন্ট রুয়াপেহু এলাকায় তারা প্রতি সপ্তাহে প্রায় ১০০ বাদুড় শিকার করায় সে প্রজাতিও হুমকিতে।
রেডিও নিউজিল্যান্ডকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সংরক্ষণমন্ত্রী পোতাকা বন্য বিড়ালকে আখ্যা দেন ‘স্টোন-কোল্ড কিলার’ বা নির্দয় শিকারি হিসেবে। তিনি বলেন, ‘জীববৈচিত্র্য রক্ষা, বনভূমির সৌন্দর্য বজায় রাখা এবং আমাদের কাঙ্ক্ষিত পরিবেশ নিশ্চিত করতে হলে এসব হত্যাকারীকে সরিয়ে ফেলতেই হবে।’
বন্য বিড়ালকে তালিকায় যুক্ত করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রচারণা চললেও অতীতে বিষয়টি নিয়ে প্রবল জনমত-বিরোধিতা দেখা গেছে। পরিবেশবিদ গ্যারেথ মরগান ২০১৩ সালে ‘ক্যাটস টু গো’ প্রচারণা শুরু করলে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। তবে এবার সংরক্ষণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, খসড়া কৌশল নিয়ে জনমতের ৯০ শতাংশই বন্য বিড়াল নির্মূল করার পক্ষে মত দিয়েছে।
এদিকে, গৃহপালিত বিড়াল এ তালিকায় না থাকলেও সেগুলোও দেশটির জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, গৃহপালিত প্রাণী হিসেবে বিড়াল পালনের দিক থেকে নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ দেশগুলোর একটি।

জেন সুয়ে তাঁর দুই বছর বয়স্ক সাময়েড কুকুর ‘ওকে’কে প্রথম কাজে পাঠান সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝির দিকে। কুকুরটির চাকরিদাতা দক্ষিণ চীনের ফুজওয়ের একটি ডগ ক্যাফে। পোষা প্রাণীর এ ধরনের রেস্তোরাঁ অর্থাৎ পেট ক্যাফে চীনে এখন একটি বড় ব্যবসা। দর্শনার্থীরা দোকানে ঘুরে বেড়ানো প্রাণীগুলোর সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। ফলে রেস
১৬ অক্টোবর ২০২৪
এক চুরির ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গেল নিউজিল্যান্ডে। এক ব্যক্তি একটি বহুমূল্য হীরকখচিত লকেট চুরি করতে গিয়ে তা গিলে ফেলেন। তবে অবশেষে সেই লকেটটি ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায়’ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে বিবিসিকে জানানো হয়েছে, লকেটটি উদ্ধার করতে ‘মেডিকেল হস্তক্ষেপের প্রয়োজন হয়নি’।
৫ ঘণ্টা আগে
এক প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, গত শুক্রবার বিকেলে অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলে পারট্রিজ জুয়েলার্সে পুলিশ ডাকা হলে ৩২ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে দোকান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
২ দিন আগে
১৫ বছর বয়সে জর্জিয়া এমন কিছু জানতে পারেন, যা কোনো অল্প বয়সী মেয়ে আশা করে না। তিনি জরায়ু ছাড়াই জন্মগ্রহণ করেছেন এবং কোনো দিন সন্তান ধারণ করতে পারবেন না।
৭ দিন আগে