
আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

আটলান্টিক মহাসাগর ও গালফ অব মেক্সিকোর মাঝখানের কোনো জায়গা। চিকচিক করা জলের ওপর গাঙচিলের ঝাঁক চেঁচামেচি জুড়েছে। আকাশের সমস্ত রং যেন গলে পড়েছে সাগরে, প্রবাল ও চুনাপাথরের দ্বীপের মাঝখানে প্রণালিতে পরিণত হয়ে যে ধারণ করেছে সবুজাভ–নীল রং। তবে এর বাইরে সাগরের যতদূর চোখ যাচ্ছে নীলের অবাধ বিস্তার।
চোখের রোদচশমাটা একটু ঠিকঠাক করতেই পাশে সাগরের জলে কিছু একটির আভাস। একটা বটলনোজ ডলফিন। আপনার আশপাশে অলস সময় কাটাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। আর আপনি বসে আছেন একটি গাড়ির ভেতরে, যেটি ৫০ মাইল বেগে ছুটে চলেছে মহাসাগরের ওপর দিয়ে যাওয়া ১১৩ মাইল লম্বা আশ্চর্য এক সড়ক দিয়ে।
অদ্ভুত সুন্দর এ পথের দেখা পেতে হলে আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে। মহাসাগরের বুক চিরে যাওয়া মহাসড়কটি যুক্ত করেছে মূলভূমির সঙ্গে দুর্গম ফ্লোরিডা কিকে। বলা চলে এটাই বদলে দিয়েছে রাজ্যটিকে।
১২৫ মাইল দীর্ঘ অনেকগুলো দ্বীপের এক শিকলের মতো এই ফ্লোরিডা কি। আর এর প্রধান শহর বলতে পারেন কি ওয়েস্টকে।
তবে ফ্লোরিডার মিয়ামি থেকে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত যাওয়া এখনকার মতো সহজ ছিল না আগে। বিশ শতকের গোড়ার দিকে গোটা দিন লেগে যেত নৌকা বা জাহাজে সেখানে পৌঁছাতে। তারপরও গোটা বিষয়টি নির্ভর করত আবহাওয়া ও জোয়ার-ভাটার ওপর। এখনকার এই আয়েশি যাত্রার জন্য ধন্যবাদ পেতে পারে ১১৩ মাইল দীর্ঘ রাস্তা, যেটি মূলভূমির দক্ষিণ অংশ থেকে ছড়িয়েছে। এই পথে সে ৪৪টি দ্বীপের সঙ্গে সংযোগ তৈরি করেছে ৪২টি সেতুর মাধ্যমে। যাত্রাপথেই আশ্চর্য সুন্দর এক টুকরা ম্যানগ্রোভ অরণ্যের দেখা পেয়ে যাবেন, যেখানে উত্তর আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান অঞ্চল এক হয়েছে।
মহাসড়কটির শুরু আসলে সাগরের ওপরের এক রেলপথের মাধ্যমে। আর এর মূল কৃতিত্ব আধুনিক ফ্লোরিডার জনক হিসেবে পরিচিত হেনরি মরগান ফ্ল্যাগারের। ফ্লোরিডা ভ্রমণে গিয়ে সেখানকার পর্যটনের অপার সম্ভাবনা দেখে ফ্ল্যাগার তাঁর সম্পদের বিশাল একটি অংশ ঢাললেন জায়গাটির উন্নয়নে।
এর অংশ হিসেবে ১৮৮৫ সালে আটলান্টিক উপকূলের ফ্লোরিডার উত্তরের সীমার জ্যাকসনভিলের সঙ্গে দক্ষিণের মিয়ামির কিছু বিচ্ছিন্ন রেলপথকে যুক্ত করলেন। এই রেলপথের শেষ হওয়ার কথা মিয়ামিতেই। তবে ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন পানামা খাল তৈরির কাজ শুরু করল, কি ওয়েস্টের জন্য বড় সম্ভাবনা দেখলেন ফ্ল্যাগার। ১৯০০ সাল পর্যন্ত কি ওয়েস্টই ছিল ফ্লোরিডার সবচেয়ে বড় শহর, তবে দ্বীপটির দুর্গম অবস্থানের কারণে উত্তরে বিভিন্ন মালামাল সরবরাহ ছিল ব্যয়বহুল ও ঝক্কির কাজ।
কাজেই ফ্ল্যাগার সিদ্ধান্ত নিলেন রেলপথটিকে ১৫৬ মাইল দক্ষিণে কি ওয়েস্ট পর্যন্ত বিস্তৃত করার, যার বেশির ভাগটাই যাবে খোলা সাগরের ওপর দিয়ে। ১৯০৫ থেকে ১৯১২ সালের মধ্যে নির্মাণ এলাকার ওপর আঘাত হানে তিনটি প্রচণ্ড হারিকেন। এতে প্রাণ যায় এক শর বেশি শ্রমিকের। তবে ফ্ল্যাগার লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল। কাজটি সম্পন্ন করতে সময় লাগে সাত বছর। খরচ হয় ৫ কোটি ডলার (এখনকার হিসাবে ১৫৬ কোটি ডলার)। রেলপথ তৈরি হয় ৪ হাজার আফ্রো–আমেরিকান, বাহামিয়ান ও ইউরোপীয় শ্রমিকের শ্রমে।
১৯১২ সালে রেলপথ তৈরির কাজ যখন শেষ হলো, তখন একে বলা হতো পৃথিবীর অষ্টম বিস্ময়। ১৯৩৫ সাল পর্যন্ত চালু ছিল রেলপথটি। তারপরই শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ হারিকেনে কয়েক মাইল রেলট্র্যাক পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়। তবে এটাকে সংস্কার করার বদলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পানির ওপরের দীর্ঘতম সড়কগুলোর একটি তৈরি শুরু করল। আর এর বড় ভিত ছিল ফ্ল্যাগারের প্রায় ‘ধ্বংস করা অসম্ভব সেতু’গুলো। ২০০ মাইল গতির বাতাসের সামনেও যেগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে পারে।
ওই সময় ফ্লোরিডা ইস্ট কোস্ট রেলওয়ের থেকে রাস্তার বেড ও রেলসেতুগুলো ফ্লোরিডা রাজ্যের পক্ষ থেকে কিনে নেওয়া হয় ৬ লাখ ৪০ হাজার ডলারে। অবশ্য গোটা সড়কপথটি নতুনভাবে তৈরি করতে হয়েছে তা নয়। এর কিছু কিছু অংশ রেলপথ চালু থাকার সময়ও ছিল। বলা চলে অনেক অংশেই সেতুগুলোর মাধ্যমে ওগুলোকে সংযুক্ত করা হয়। নতুন এই পথ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ১৯৩৮ সালে।
রেলপথ তৈরির পর এক শ বছরের বেশি পেরিয়ে গেলেও মূল সেতুগুলোর ২০টি আজও মায়ামি থেকে কি ওয়েস্টের দিকে যাওয়া সড়কপথের যাত্রীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এমনিতে গোটা পথটি চার ঘণ্টার মধ্যে পাড়ি দিয়ে দিতে পারবেন। তবে পথে আপনাকে থামতেই হবে সাগরের অসাধারণ দৃশ্য দেখতে।
মিয়ামির ৬৯ মাইল দক্ষিণে পড়বে কিই লারগো। সেখানকার সাগরের জীববৈচিত্র্য দেখতে ভিড় জমান সাঁতারু ও ডুবুরিরা। শরীরটা শুকিয়ে আবার গাড়িতে চেপে পৌঁছে যাবেন আইলামোরাডায়। একটা সময় এখানে ছিল সাগরের ওপরের এক রেলস্টেশন। ৩৫ মিনিটের তথ্যচিত্রে আপনার সামনে নিয়ে আসা হবে রেলপথ তৈরির ইতিহাস ও নানা প্রতিবন্ধকতা।
এখান থেকে ৩৫ মাইল দক্ষিণে অবস্থান পিজিয়ন কি নামের ছোট্ট এক প্রবাল দ্বীপের। সাগরের ওপরের রেলপথের সবচেয়ে জটিল ‘সেভেন মাইল ব্রিজ’ তৈরির জন্য ১৯০৮ থেকে ১৯১২ সাল পর্যন্ত ৪০০ শ্রমিকের আস্তানা ছিল জায়গাটি। এখন কেবল চারজন স্থায়ী বাসিন্দার আবাসস্থল দ্বীপটি। পাঁচ একরের দ্বীপটিকে জাতীয় ঐতিহাসিক এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে চমৎকার একটি জাদুঘরও পাবেন।
অসাধারণ সাগরের দৃশ্য এবং মিয়ামি ও কি ওয়েস্টের পর্যটনকেন্দ্রগুলোর সেতুবন্ধ হিসেবে এখন দারুণ জনপ্রিয় মহাসড়কটি। তা ছাড়া সড়কপথে কি ওয়েস্টে পৌঁছার একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া যেতে পারবেন উড়োজাহাজ কিংবা উচ্চগতির ফেরিতে চেপে। তবে সড়কপথে চলতে চলতে সাগরের আশ্চর্য দৃশ্য দেখার সুযোগ মেলে কেবল এ রাস্তাটি ধরে গেলেই।
সূত্র: বিবিসি, ফ্লোরিডা গাইড বুক
বিচিত্র সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো! ভাবতে ভাবতে মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড় এ সময় চোখে পড়ল, যে কোম্পানি থেকে এই ই-মেইল এসেছে, সেখানে আপনি চাকরিই করেন না, কখনো করেনওনি! ভাবুন তো কেমন লাগার কথা।
এমনই ঘটনা ঘটেছে এক নারীর সঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ সাইমন ইনগারি নামের একজন ক্যারিয়ার কাউন্সিলর তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনা শেয়ার করেছেন।
সাইমন ইনগারি তাঁর টুইটে জানান, তাঁর স্ত্রী এমন একটি কোম্পানি থেকে ছাঁটাইয়ের ই-মেইল পেয়েছেন, যেখানে তিনি কখনো কাজই করেননি। ইমেইল পাওয়ার পর তিনি এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন যে তিনি পুরো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন।
ইনগারি বলেন, ‘আমার স্ত্রী ভাবতে শুরু করেছিল, সে কি কোনো ডেডলাইন মিস করেছিল, নাকি তাঁর বড় কোনো ভুল হয়েছিল। পরে চেক করে দেখে ই-মেইল প্রেরক কোম্পানিটি তাঁর কর্মস্থলই নয়।’
ইনগারি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘আমার স্ত্রী একটি টার্মিনেশন ইমেইল পেয়েছে। ইমেইলটি দেখেই তাঁর বুক ধক করে ওঠে। এক সেকেন্ডের জন্য সে থমকে যায়। কোনো ডেডলাইন মিস করেছে? কিছু ভুল বলেছে? শেষে জানা গেল, যে কোম্পানিতে সে কখনো চাকরিই করেনি, সেখান থেকেই তাঁকে “বরখাস্ত” করা হয়েছে।’
এই ঘটনার মাধ্যমে ওই কোম্পানির এইচআর বিভাগের অসতর্কতার বিষয়টি তুলে ধরে ইনগারি অনুরোধ জানান, ভবিষ্যতে ইমেইল পাঠানোর সময় যেন প্রাপকের আইডি আরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। তিনি লেখেন, ‘প্রিয় এইচআর, দয়া করে পরেরবার ইমেইল আইডিটা একটু ভালো করে দেখবেন। এমন ভুলে তো কারও সত্যিই হার্ট অ্যাটাক হয়ে যেতে পারে।’
এই পোস্ট নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এমন ভুলের সম্ভাব্য গুরুতর পরিণতির কথা তুলে ধরেন। কেউ কেউ ঘটনাটিকে হাস্যরসের চোখে দেখলেও, অন্যরা এটিকে আধুনিক করপোরেট দুনিয়ায় বাড়তে থাকা অসতর্কতা ও চাকরির অনিশ্চয়তার প্রতিফলন বলে মন্তব্য করেন।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘তাঁর উচিত একটি অপ্রত্যাশিত এবং কঠোর জবাব দেওয়া। এতে করে অন্তত তাঁরা বুঝতে পারার আগেই যে ভুল ঠিকানায় ইমেইল পাঠানো হয়েছে, তিনি নিজের ক্ষোভ উগরে দেওয়ার সুযোগ পাবেন।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘এটা কোনো ছোটখাটো ভুল নয়। একটি ভুল ইমেইল কারও পুরো দিন, সপ্তাহ—এমনকি মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এইচআর সারাদিন সহমর্মিতার কথা বলে, অথচ স্প্যামের মতো করে বরখাস্তের ইমেইল পাঠায়।’
আরেকজন বলেন, ‘মানবিক কোনো মান যাচাই ছাড়াই যখন কোম্পানিগুলো সব অটোমেশন বা স্বয়ংক্রিয় করে ফেলে, তখনই এমনটা ঘটে। এটি অত্যন্ত নিম্নমানের পরিচালনা এবং ব্র্যান্ডের জন্য ক্ষতিকর। ভাগ্য ভালো যে এটি কেবল একটি ভুল সতর্কবার্তা ছিল।’

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার পর শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা ও বিতর্ক।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামের শৃঙ্খলা বজায় রাখার নামে ব্যক্তিগত স্বাধীনতার ওপর একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে স্থানীয় গ্রাম কমিটি। ভাইরাল হওয়া ছবির ভিত্তিতে জরিমানার তালিকাটি নিচে দেওয়া হলো:
প্রাদেশিক বৈষম্য: ইউনান প্রদেশের বাইরের কাউকে বিয়ে করলে দম্পতিকে ১ হাজার ৫০০ ইউয়ান (প্রায় ২৩,০০০ টাকা) জরিমানা দিতে হবে।
বিয়ের আগে গর্ভধারণ: কোনো নারী বিয়ের আগে গর্ভবতী হলে তাঁকে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
লিভ ইন রিলেশন: বিয়ে ছাড়াই কোনো যুগল একত্রে বসবাস করলে প্রতিবছর ৫০০ ইউয়ান জরিমানা দিতে হবে।
সন্তান জন্মের সময়: বিয়ের মাত্র ১০ মাসের মধ্যে কোনো দম্পতি সন্তান জন্ম দিলে তাঁকে ‘অকাল গর্ভধারণ’ হিসেবে গণ্য করে ৩ হাজার ইউয়ান জরিমানা করা হবে।
পারিবারিক কলহ: স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে এবং তা মেটাতে গ্রাম কর্তাদের ডাকলে উভয় পক্ষকে ৫০০ ইউয়ান করে জরিমানা দিতে হবে।
সামাজিক আচরণ: মদ্যপ অবস্থায় বিশৃঙ্খলা করলে ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার ইউয়ান এবং গুজব ছড়ালে ১ হাজার ইউয়ান পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
চীনের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘উইবো’-তে এই নোটিশ শেয়ার হওয়ার পর নেটিজেনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। অনেক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘গ্রাম কমিটি কি এখন মানুষের শোবার ঘরের পাহারাদার হতে চায়?’ কেউ কেউ এটিকে মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন। সমালোচকদের মতে, আধুনিক চীনের আইনি কাঠামোয় এ ধরনের নিয়মাবলি সম্পূর্ণ অবৈধ এবং মধ্যযুগীয় বর্বরতার শামিল।
বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে স্থানীয় মেংডিং টাউন সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ১৬ ডিসেম্বর রেড স্টার নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রশাসনের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, নোটিশটি গ্রাম কমিটির নিজস্ব উদ্যোগে টাঙানো হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘এই নিয়মগুলো অত্যন্ত অস্বাভাবিক এবং ইউনিয়ন বা টাউন সরকারের কাছ থেকে কোনো প্রকার পূর্বানুমতি নেওয়া হয়নি। আমরা ইতিমধ্যেই নোটিশটি সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি এবং এটি এখন কার্যকর নেই।’
লিংক্যাং গ্রামটির জনসংখ্যা বা বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রাম কমিটিগুলো নিজেদের ছোটখাটো ‘রাজা’ মনে করে এ ধরনের অবৈধ নিয়ম জারি করে থাকে। এই ঘটনাটি চীনের গ্রামীণ স্বায়ত্তশাসনের সীমাবদ্ধতা এবং সাধারণ মানুষের আইনি অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয়তাকে আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম হয়েছে।
লারা বুসি ত্রাবুক্কো নামের এই শিশুটির আগমনে গ্রামের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ জনে। তার খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষাদান অনুষ্ঠানে পুরো গ্রাম ভেঙে পড়েছিল। এমনকি ৯ মাস বয়সী লারা এখন ওই অঞ্চলের প্রধান পর্যটন আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। লারার মা সিনজিয়া ত্রাবুক্কো বলেন, ‘যারা আগে এই গ্রামের নামও জানত না, তারাও এখন লারাকে দেখতে আসছে।’
লারার জন্ম এক দিকে যেমন আশার প্রতীক, অন্য দিকে এটি ইতালির ভয়াবহ জনসংখ্যা হ্রাসের চিত্রকেও ফুটিয়ে তুলেছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে ইতালিতে জন্মহার সর্বকালের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে (৩,৬৯,৯৪৪ জন)। প্রজনন হার প্রতি নারী পিছু মাত্র ১.১৮, যা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে অন্যতম সর্বনিম্ন।
২০২৫ সালের প্রথম সাত মাসের উপাত্ত অনুযায়ী, আব্রুজ্জো অঞ্চলে জন্মহার গত বছরের তুলনায় আরও ১০.২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
বিশেষজ্ঞ ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই পরিস্থিতির জন্য একাধিক কারণকে দায়ী করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে—তরুণ প্রজন্মের মধ্যে কর্মসংস্থানের অভাব ও দেশত্যাগের প্রবণতা। কর্মজীবী মায়েদের জন্য ডে-কেয়ার বা নার্সারির অভাব। অনেক নারী মা হওয়ার পর আর কর্মক্ষেত্রে ফিরতে পারেন না। পুরুষদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বন্ধ্যাত্ব এবং অনেকের সন্তান না নেওয়ার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ট্যাক্স বেশি হলেও সেই অনুযায়ী সামাজিক সেবা বা উন্নত জীবনযাত্রার অভাব।
জর্জিয়া মেলোনির সরকার এই পরিস্থিতিকে ‘জনসংখ্যার শীতকাল’ (Demographic Winter) হিসেবে অভিহিত করেছে। সংকট মোকাবিলায় ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে প্রতিটি শিশুর জন্মের পর এককালীন ১ হাজার ইউরো ‘বেবি বোনাস’ এবং প্রতি মাসে প্রায় ৩৭০ ইউরো শিশু ভাতা দেওয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে। তবে লারার মায়ের মতে, শুধু অর্থ দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়; পুরো ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন প্রয়োজন।
এদিকে, জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেক শহরে প্রসূতি বিভাগ (Maternity Unit) বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। পালিয়ারা দে মার্সি থেকে এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত সুলমোনা শহরের হাসপাতালটি এখন বন্ধের ঝুঁকিতে। নিয়ম অনুযায়ী বছরে অন্তত ৫০০ শিশুর জন্ম না হলে সেই ইউনিট চালু রাখা কঠিন। ২০২৪ সালে সেখানে মাত্র ১২০টি শিশুর জন্ম হয়েছে। এটি বন্ধ হয়ে গেলে গর্ভবতী নারীদের দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে অন্য শহরে যেতে হবে, যা জরুরি অবস্থায় অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
গ্রামের মেয়র জিউসেপিনা পেরোজি আশা প্রকাশ করেন, লারার জন্ম অন্যদেরও পরিবার গঠনে অনুপ্রাণিত করবে। কিন্তু লারার ভবিষ্যৎ শিক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েই গেছে। গ্রামটিতে কয়েক দশক ধরে কোনো শিক্ষক নেই, এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের স্কুলগুলোও শিক্ষার্থীর অভাবে বন্ধ হওয়ার পথে।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎ
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ক্যালিফোর্নিয়ার সুজ লোপেজ যখন তাঁর ছোট ছেলে রিউকে কোলে নিয়ে বসেন, তখন এক অলৌকিক বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান। কারণ, ছোট্ট রিউ তাঁর মায়ের জরায়ুর ভেতরে নয়, বেড়ে উঠেছিল পেটের ভেতরে একটি বিশাল আকৃতির ওভারিয়ান সিস্টের আড়ালে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং বিরল এই ঘটনাকে ‘মিরাকল’ বা অলৌকিক বলছেন চিকিৎসকেরা।
লস অ্যাঞ্জেলেসের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টারের প্রসূতি ও প্রসব বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জন ওজিমেক এপিকে বলেন, ‘প্রতি ৩০ হাজার গর্ভাবস্থার মধ্যে মাত্র একটি জরায়ুর বাইরে পেটের ভেতরে (Abdominal Pregnancy) ঘটে। আর পূর্ণ মেয়াদে সুস্থ শিশু জন্ম দেওয়ার ঘটনা ১ কোটিতে একজনের ক্ষেত্রেও দেখা যায় না। এটি সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
৪১ বছর বয়সী সুজ লোপেজ পেশায় একজন নার্স। আশ্চর্যের বিষয় হলো, সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্র কয়েক দিন আগ পর্যন্ত তিনি জানতেনই না যে তিনি অন্তঃসত্ত্বা।
সুজ দীর্ঘদিন ধরে ওভারিয়ান সিস্টের সমস্যায় ভুগছিলেন। যখন তাঁর পেট বড় হতে শুরু করে, তিনি ভেবেছিলেন, এটি ২১ পাউন্ড ওজনের সেই সিস্টেরই বৃদ্ধি।
সাধারণ গর্ভাবস্থার কোনো লক্ষণ; যেমন সকালবেলায় অসুস্থতা বোধ করা (Morning Sickness) বা শিশুর নড়াচড়া—কিছুই তিনি অনুভব করেননি। অনিয়মিত পিরিয়ডের কারণে ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়াকেও তিনি স্বাভাবিক ধরে নিয়েছিলেন।
অবশেষে পেটে অসহ্য ব্যথা শুরু হলে তিনি সিস্ট অপসারণের জন্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। সেখানে সিটি স্ক্যান করার আগে বাধ্যতামূলক গর্ভাবস্থা পরীক্ষায় ফল ‘পজিটিভ’ আসে।
হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড এবং এমআরআই স্ক্যানে দেখা যায়, সুজের জরায়ু সম্পূর্ণ খালি। অথচ একটি পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ তাঁর লিভারের কাছে পেটের এক কোণে অ্যামনিওটিক থ্যাকের ভেতরে বেড়ে উঠছে। ড. ওজিমেক জানান, ভ্রূণটি লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সরাসরি আক্রান্ত করেনি, বরং পেলভিসের পাশের দেয়ালে গেঁথে ছিল। এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হলেও লিভারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রণযোগ্য ছিল।
গত ১৮ আগস্ট এক জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ৮ পাউন্ড (৩.৬ কেজি) ওজনের রিউকে পৃথিবীতে আনা হয়। অস্ত্রোপচারের সময় সুজের সেই বিশাল সিস্টটিও অপসারণ করা হয়। অত্যধিক রক্তক্ষরণ হলেও চিকিৎসকদের দক্ষতায় সুজ এবং তাঁর সন্তান দুজনেই সুস্থভাবে ফিরে আসেন।
সুজের স্বামী অ্যান্ড্রু লোপেজ বলেন, ‘বাইরে শান্ত থাকলেও আমি ভেতরে-ভেতরে প্রার্থনা করছিলাম। যেকোনো মুহূর্তে স্ত্রী বা সন্তানকে হারানোর ভয় আমাকে তাড়া করছিল।’
বর্তমানে রিউ সম্পূর্ণ সুস্থ এবং প্রাণচঞ্চল। নিজের ১৮ বছর বয়সী বড় বোন কাইলার সঙ্গে তার খুনসুটি লেগেই থাকে। সামনেই রিউয়ের প্রথম বড়দিন। সুজ লোপেজ আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, ‘আমি এখন অলৌকিক ঘটনায় বিশ্বাস করি। ঈশ্বর আমাদের জীবনের সেরা উপহারটি দিয়েছেন।’
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এই কেস এতই বিরল যে তাঁরা এটি একটি মেডিকেল জার্নালে প্রকাশের পরিকল্পনা করছেন।

ভাবুন তো সাগরের ওপর দিয়ে চলে গেছে ১১৩ মাইল দীর্ঘ এক মহাসড়ক। আর আপনি গাড়িতে চেপে সেটা অতিক্রম করছেন। দুই পাশে জলের রাজ্যের নানা প্রাণী, মাথার ওপর গাঙচিল সবকিছু মিলিয়ে ভ্রমণটা যে আনন্দদায়ক হবে তাতে সন্দেহ নেই। তবে এ জন্য আপনাকে যেতে হবে মার্কিন মুল্লুকের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে।
২৯ মে ২০২৩
একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন, একটা ই-মেইল এসেছে যার ‘সাবজেক্ট’ অপশনে লেখা ‘টার্মিনেশন লেটার’। ঘুম ঘুম চোখে এই ই-মেইল দেখলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুম তো থাক, অন্য সব ভাবনাও হারাম হয়ে যাওয়ার কথা! তখন ভাবনায় আসবে ঠিক কি কারণে চাকরি থেকে ছাঁটাই হতে হলো!
২ দিন আগে
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে শুরু করে স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত ঝগড়া—সবকিছুতেই এখন থেকে গুনতে হবে মোটা অঙ্কের জরিমানা। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের লিংক্যাং গ্রামের কমিটি এমন নিয়ম জারি করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘গ্রামের নিয়মাবলি: সবাই সমান’ শিরোনামের একটি নোটিশ ভাইরাল হওয়ার...
৩ দিন আগে
ইতালির আব্রুজ্জো অঞ্চলের মাউন্ট জিরিফালকোর পাদদেশে অবস্থিত এক প্রাচীন গ্রাম পালিয়ারা দে মার্সি। জনশূন্য এই গ্রামে মানুষের চেয়ে বিড়ালের সংখ্যাই বেশি। গত কয়েক দশক ধরে গ্রামটি নিস্তব্ধতায় ডুবে ছিল, কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে সেখানে বইছে খুশির জোয়ার। কারণ, দীর্ঘ ৩০ বছর পর এই গ্রামে প্রথম কোনো শিশুর জন্ম
৪ দিন আগে