ইশতিয়াক হাসান

যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি নয়, নর্থ সি বা উত্তর সাগরে অবস্থিত সিল্যান্ড; তাহলে নিশ্চয় চমকাবেন! আরও অবাক হবেন যখন জানবেন এর আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গকিলোমিটার বা ৪০০ বর্গমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলেন তবে অবশ্য ছোট দেশের তকমাটা ভ্যাটিকান সিটিরই থাকবে। তবে এটা বাদে বাকি সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের।
আপনি হয়তো পৃথিবীর দুর্গম সব জায়গা চষে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন মানুষের আশ্চর্য জীবনধারা। তবে সিল্যান্ডে যাওয়া দূরের কথা, এর নামই হয়তো শোনেননি। অবশ্য আপনার কী দোষ বলেন, যে গ্রেট ব্রিটেনের উপকূলে এর অবস্থান, সেখানকার কয়জন মানুষইবা এর কথা জানেন।
যুক্তরাজ্যের সাফোকের ১২ কিলোমিটার পূর্বে সাগরের বুকে একটি প্ল্যাটফর্ম বা দুর্গ বলতে পারেন একে। নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ বলেই দাবি করেন এখানকার নাগরিকেরা। মজার ঘটনা, একে দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড আক্রান্তের কোনো কেস নেই।
আসলে এটি একটি মাইক্রোনেশন। এরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বা রাজ্য দাবি করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট, ডাকটিকিটসহ অনেক কিছুই। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে জানিয়ে রাখছি সিল্যান্ডের একটি ফুটবল টিমও আছে।
এবার কীভাবে এই খুদে দেশের জন্ম তা বরং জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা ও নৌ সদস্যদের জন্য একটি দুর্গ হিসেবে এ কাঠামো বা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেটা ১৯৪২ সালের কথা। যুদ্ধের ডামাডোলে এমনকি এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জন পর্যন্ত নৌ সেনা অবস্থান করেছেন। রাফ টাওয়ার বা এইচ এম ফোর্ট রাফস নামেও পরিচিত প্ল্যাটফর্মটি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরই এটি পরিত্যক্ত হয়।
তবে ১৯৬৬ সালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পেডি রয় বেটস নামে এক ব্যক্তি এটিকে নিজের করে নেন। পেডি তাঁর পাইরেট রেডিও স্টেশনের (এ ধরনের রেডিও স্টেশন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পরিচালিত হয়) রেডিও এসেক্সের জন্য একটা জায়গা খুঁজছিলেন। শুরুতে অবশ্য তিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন অন্য একটি নৌ দুর্গ নক জনে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য সাগর মাঝের স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মেরিন ব্রডকাস্টিং অফেন্সেস অ্যাক্ট পাস করলে ওটা ছাড়তে হয় তাঁকে।
সুযোগ বুঝে বেটস এইচএম ফোর্ট রাফসে, যেটি সাগরের আরও ভেতরের দিকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় আরও পাকাপোক্তভাবে যার অবস্থান, উঠে পড়েন। ১৯৬৬ সালের বড়দিনের সময় এটি নিজের দখলে নিয়ে নেন বেটস। ৯ মাস বাদে ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ছিল তাঁর স্ত্রী জোয়ানের জন্মদিন। এর কিছুদিনের মধ্যে গোটা পরিবার এখানে উঠে আসে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে যে সময়টাকে সিল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা যায়, প্ল্যাটফর্মটিতে ৫০ জন মানুষও বাস করেন। এর মধ্যে আছে পরিবারের সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকেরা।
৯১ বছর বয়সে বেটস রয়ের মৃত্যুর পর খুদে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর ছেলে মাইকেল বেটস, সেটা ২০১২ সালের ঘটনা। এখনো স্পেনে সি ফুড রপ্তানির পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। মাইকেল একজন লেখকও।
মজার ঘটনা, মাইকেল বিয়ে করেন সিল্যান্ডেই, ১৯৭৮ সালে। বিয়েতে প্ল্যাটফর্মের ওপর একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। তবে অন্য বড় দেশগুলোর মতো খুদে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকেও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর মধ্যে আছে, ১৯৬৮ সালে যখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থিত সব দুর্গ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও। বেটস রয় যেহেতু তখনো একজন ব্রিটিশ নাগরিক, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। মূলভূমিতে এসেক্সের ক্রাউন কোর্ট অব চেলমসফোর্ডে তলব করা হয় তাঁকে।
১৯৭৮ সালে সিল্যান্ডের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার আচেনবাচ জার্মান ও ডাচ কিছু ভাড়াটে সেনাকে ভাড়া করেন সিল্যান্ড আক্রমণের জন্য। তখন বেটস রয় ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রিয়ায়। মাইকেলকে করা হয় জিম্মি। তবে মাইকেল শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আবার সিল্যান্ডের কর্তৃত্ব ফিরে পান।
এমনিতে সিল্যান্ডকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হবে না আপনার। বহু ঝড়ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যার ওপরে কনটেইনারের মতো দেখতে একটি দালান। জাহাজ থেকে নৌকা থেকে একটি ক্রেনের সাহায্যে যখন প্রজাতন্ত্র বা প্ল্যাটফর্মটিতে উঠতে যাবেন, ঝোড়ো গতির বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে হবে আপনাকে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই সিল্যান্ড এমন এক জায়গা, যেখানে চাইলেই ভ্রমণ করা যায় না। সেখানে ভ্রমণের অনুমোদন বা সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কোনোভাবে সুযোগ পেলেও সেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা হওয়া মুশকিল। এখানকার ভিসা দেওয়া হয় কালেভদ্রে।
তবে সেখানে ভ্রমণ করতে না পারলে কী হবে ২৯.৯৯ পাউন্ড খরচ করে জায়গাটির লর্ড কিংবা লেডি খেতাব নিতে পারবেন। এমনকি সুযোগ আছে সিল্যান্ডের পরিচয়পত্র কেনারও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সিল্যান্ড গভ ডট অরগ ওয়েবসাইটে।
ফুটবলের পাশাপাশি আইস হকি আর আমেরিকান ফুটবলের দলও আছে সিল্যান্ডের। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও উড়েছে এর পতাকা। আর্জেন্টিনায় তাদের একটি দূতাবাস আছে।
সিল্যান্ডের পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা সবই আছে। এখন পর্যন্ত শ পাঁচেক পাসপোর্ট ইস্যু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স মাইকেল, তাঁর তিন সন্তান দ্বিতীয় স্ত্রী মেই শি এখনো সিল্যান্ড সাম্রাজ্যের ঝান্ডা বহন করে যাচ্ছেন।
যদিও অফিশিয়ালি একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত নয় প্রিন্স মাইকেল বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রজাতন্ত্রটি এখনো তার স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। এখানে নিয়মিত এর বাসিন্দারা থাকেন, এদের মধ্যে আছেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী।
মজার ঘটনা, অনেকেই সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর এর নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা স্থলভাগের আইনকানুনকে পেছনে রেখে অন্যরকম এক জীবন কাটাতে চান।
‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’ বলেন মাইকেল, ‘আমাদের মতো এ ধরনের উৎসাহ জাগানোর মতো অঞ্চল আরও বেশি প্রয়োজন পৃথিবীর। তবে এ ধরনের খুব বেশি এলাকা নেই।’
সূত্র: সিল্যান্ড গভ ডট অরগ, বিবিসি

যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি নয়, নর্থ সি বা উত্তর সাগরে অবস্থিত সিল্যান্ড; তাহলে নিশ্চয় চমকাবেন! আরও অবাক হবেন যখন জানবেন এর আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গকিলোমিটার বা ৪০০ বর্গমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলেন তবে অবশ্য ছোট দেশের তকমাটা ভ্যাটিকান সিটিরই থাকবে। তবে এটা বাদে বাকি সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের।
আপনি হয়তো পৃথিবীর দুর্গম সব জায়গা চষে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন মানুষের আশ্চর্য জীবনধারা। তবে সিল্যান্ডে যাওয়া দূরের কথা, এর নামই হয়তো শোনেননি। অবশ্য আপনার কী দোষ বলেন, যে গ্রেট ব্রিটেনের উপকূলে এর অবস্থান, সেখানকার কয়জন মানুষইবা এর কথা জানেন।
যুক্তরাজ্যের সাফোকের ১২ কিলোমিটার পূর্বে সাগরের বুকে একটি প্ল্যাটফর্ম বা দুর্গ বলতে পারেন একে। নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ বলেই দাবি করেন এখানকার নাগরিকেরা। মজার ঘটনা, একে দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড আক্রান্তের কোনো কেস নেই।
আসলে এটি একটি মাইক্রোনেশন। এরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বা রাজ্য দাবি করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট, ডাকটিকিটসহ অনেক কিছুই। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে জানিয়ে রাখছি সিল্যান্ডের একটি ফুটবল টিমও আছে।
এবার কীভাবে এই খুদে দেশের জন্ম তা বরং জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা ও নৌ সদস্যদের জন্য একটি দুর্গ হিসেবে এ কাঠামো বা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেটা ১৯৪২ সালের কথা। যুদ্ধের ডামাডোলে এমনকি এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জন পর্যন্ত নৌ সেনা অবস্থান করেছেন। রাফ টাওয়ার বা এইচ এম ফোর্ট রাফস নামেও পরিচিত প্ল্যাটফর্মটি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরই এটি পরিত্যক্ত হয়।
তবে ১৯৬৬ সালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পেডি রয় বেটস নামে এক ব্যক্তি এটিকে নিজের করে নেন। পেডি তাঁর পাইরেট রেডিও স্টেশনের (এ ধরনের রেডিও স্টেশন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পরিচালিত হয়) রেডিও এসেক্সের জন্য একটা জায়গা খুঁজছিলেন। শুরুতে অবশ্য তিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন অন্য একটি নৌ দুর্গ নক জনে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য সাগর মাঝের স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মেরিন ব্রডকাস্টিং অফেন্সেস অ্যাক্ট পাস করলে ওটা ছাড়তে হয় তাঁকে।
সুযোগ বুঝে বেটস এইচএম ফোর্ট রাফসে, যেটি সাগরের আরও ভেতরের দিকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় আরও পাকাপোক্তভাবে যার অবস্থান, উঠে পড়েন। ১৯৬৬ সালের বড়দিনের সময় এটি নিজের দখলে নিয়ে নেন বেটস। ৯ মাস বাদে ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ছিল তাঁর স্ত্রী জোয়ানের জন্মদিন। এর কিছুদিনের মধ্যে গোটা পরিবার এখানে উঠে আসে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে যে সময়টাকে সিল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা যায়, প্ল্যাটফর্মটিতে ৫০ জন মানুষও বাস করেন। এর মধ্যে আছে পরিবারের সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকেরা।
৯১ বছর বয়সে বেটস রয়ের মৃত্যুর পর খুদে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর ছেলে মাইকেল বেটস, সেটা ২০১২ সালের ঘটনা। এখনো স্পেনে সি ফুড রপ্তানির পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। মাইকেল একজন লেখকও।
মজার ঘটনা, মাইকেল বিয়ে করেন সিল্যান্ডেই, ১৯৭৮ সালে। বিয়েতে প্ল্যাটফর্মের ওপর একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। তবে অন্য বড় দেশগুলোর মতো খুদে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকেও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর মধ্যে আছে, ১৯৬৮ সালে যখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থিত সব দুর্গ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও। বেটস রয় যেহেতু তখনো একজন ব্রিটিশ নাগরিক, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। মূলভূমিতে এসেক্সের ক্রাউন কোর্ট অব চেলমসফোর্ডে তলব করা হয় তাঁকে।
১৯৭৮ সালে সিল্যান্ডের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার আচেনবাচ জার্মান ও ডাচ কিছু ভাড়াটে সেনাকে ভাড়া করেন সিল্যান্ড আক্রমণের জন্য। তখন বেটস রয় ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রিয়ায়। মাইকেলকে করা হয় জিম্মি। তবে মাইকেল শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আবার সিল্যান্ডের কর্তৃত্ব ফিরে পান।
এমনিতে সিল্যান্ডকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হবে না আপনার। বহু ঝড়ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যার ওপরে কনটেইনারের মতো দেখতে একটি দালান। জাহাজ থেকে নৌকা থেকে একটি ক্রেনের সাহায্যে যখন প্রজাতন্ত্র বা প্ল্যাটফর্মটিতে উঠতে যাবেন, ঝোড়ো গতির বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে হবে আপনাকে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই সিল্যান্ড এমন এক জায়গা, যেখানে চাইলেই ভ্রমণ করা যায় না। সেখানে ভ্রমণের অনুমোদন বা সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কোনোভাবে সুযোগ পেলেও সেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা হওয়া মুশকিল। এখানকার ভিসা দেওয়া হয় কালেভদ্রে।
তবে সেখানে ভ্রমণ করতে না পারলে কী হবে ২৯.৯৯ পাউন্ড খরচ করে জায়গাটির লর্ড কিংবা লেডি খেতাব নিতে পারবেন। এমনকি সুযোগ আছে সিল্যান্ডের পরিচয়পত্র কেনারও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সিল্যান্ড গভ ডট অরগ ওয়েবসাইটে।
ফুটবলের পাশাপাশি আইস হকি আর আমেরিকান ফুটবলের দলও আছে সিল্যান্ডের। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও উড়েছে এর পতাকা। আর্জেন্টিনায় তাদের একটি দূতাবাস আছে।
সিল্যান্ডের পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা সবই আছে। এখন পর্যন্ত শ পাঁচেক পাসপোর্ট ইস্যু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স মাইকেল, তাঁর তিন সন্তান দ্বিতীয় স্ত্রী মেই শি এখনো সিল্যান্ড সাম্রাজ্যের ঝান্ডা বহন করে যাচ্ছেন।
যদিও অফিশিয়ালি একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত নয় প্রিন্স মাইকেল বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রজাতন্ত্রটি এখনো তার স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। এখানে নিয়মিত এর বাসিন্দারা থাকেন, এদের মধ্যে আছেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী।
মজার ঘটনা, অনেকেই সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর এর নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা স্থলভাগের আইনকানুনকে পেছনে রেখে অন্যরকম এক জীবন কাটাতে চান।
‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’ বলেন মাইকেল, ‘আমাদের মতো এ ধরনের উৎসাহ জাগানোর মতো অঞ্চল আরও বেশি প্রয়োজন পৃথিবীর। তবে এ ধরনের খুব বেশি এলাকা নেই।’
সূত্র: সিল্যান্ড গভ ডট অরগ, বিবিসি
ইশতিয়াক হাসান

যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি নয়, নর্থ সি বা উত্তর সাগরে অবস্থিত সিল্যান্ড; তাহলে নিশ্চয় চমকাবেন! আরও অবাক হবেন যখন জানবেন এর আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গকিলোমিটার বা ৪০০ বর্গমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলেন তবে অবশ্য ছোট দেশের তকমাটা ভ্যাটিকান সিটিরই থাকবে। তবে এটা বাদে বাকি সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের।
আপনি হয়তো পৃথিবীর দুর্গম সব জায়গা চষে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন মানুষের আশ্চর্য জীবনধারা। তবে সিল্যান্ডে যাওয়া দূরের কথা, এর নামই হয়তো শোনেননি। অবশ্য আপনার কী দোষ বলেন, যে গ্রেট ব্রিটেনের উপকূলে এর অবস্থান, সেখানকার কয়জন মানুষইবা এর কথা জানেন।
যুক্তরাজ্যের সাফোকের ১২ কিলোমিটার পূর্বে সাগরের বুকে একটি প্ল্যাটফর্ম বা দুর্গ বলতে পারেন একে। নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ বলেই দাবি করেন এখানকার নাগরিকেরা। মজার ঘটনা, একে দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড আক্রান্তের কোনো কেস নেই।
আসলে এটি একটি মাইক্রোনেশন। এরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বা রাজ্য দাবি করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট, ডাকটিকিটসহ অনেক কিছুই। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে জানিয়ে রাখছি সিল্যান্ডের একটি ফুটবল টিমও আছে।
এবার কীভাবে এই খুদে দেশের জন্ম তা বরং জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা ও নৌ সদস্যদের জন্য একটি দুর্গ হিসেবে এ কাঠামো বা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেটা ১৯৪২ সালের কথা। যুদ্ধের ডামাডোলে এমনকি এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জন পর্যন্ত নৌ সেনা অবস্থান করেছেন। রাফ টাওয়ার বা এইচ এম ফোর্ট রাফস নামেও পরিচিত প্ল্যাটফর্মটি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরই এটি পরিত্যক্ত হয়।
তবে ১৯৬৬ সালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পেডি রয় বেটস নামে এক ব্যক্তি এটিকে নিজের করে নেন। পেডি তাঁর পাইরেট রেডিও স্টেশনের (এ ধরনের রেডিও স্টেশন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পরিচালিত হয়) রেডিও এসেক্সের জন্য একটা জায়গা খুঁজছিলেন। শুরুতে অবশ্য তিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন অন্য একটি নৌ দুর্গ নক জনে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য সাগর মাঝের স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মেরিন ব্রডকাস্টিং অফেন্সেস অ্যাক্ট পাস করলে ওটা ছাড়তে হয় তাঁকে।
সুযোগ বুঝে বেটস এইচএম ফোর্ট রাফসে, যেটি সাগরের আরও ভেতরের দিকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় আরও পাকাপোক্তভাবে যার অবস্থান, উঠে পড়েন। ১৯৬৬ সালের বড়দিনের সময় এটি নিজের দখলে নিয়ে নেন বেটস। ৯ মাস বাদে ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ছিল তাঁর স্ত্রী জোয়ানের জন্মদিন। এর কিছুদিনের মধ্যে গোটা পরিবার এখানে উঠে আসে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে যে সময়টাকে সিল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা যায়, প্ল্যাটফর্মটিতে ৫০ জন মানুষও বাস করেন। এর মধ্যে আছে পরিবারের সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকেরা।
৯১ বছর বয়সে বেটস রয়ের মৃত্যুর পর খুদে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর ছেলে মাইকেল বেটস, সেটা ২০১২ সালের ঘটনা। এখনো স্পেনে সি ফুড রপ্তানির পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। মাইকেল একজন লেখকও।
মজার ঘটনা, মাইকেল বিয়ে করেন সিল্যান্ডেই, ১৯৭৮ সালে। বিয়েতে প্ল্যাটফর্মের ওপর একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। তবে অন্য বড় দেশগুলোর মতো খুদে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকেও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর মধ্যে আছে, ১৯৬৮ সালে যখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থিত সব দুর্গ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও। বেটস রয় যেহেতু তখনো একজন ব্রিটিশ নাগরিক, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। মূলভূমিতে এসেক্সের ক্রাউন কোর্ট অব চেলমসফোর্ডে তলব করা হয় তাঁকে।
১৯৭৮ সালে সিল্যান্ডের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার আচেনবাচ জার্মান ও ডাচ কিছু ভাড়াটে সেনাকে ভাড়া করেন সিল্যান্ড আক্রমণের জন্য। তখন বেটস রয় ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রিয়ায়। মাইকেলকে করা হয় জিম্মি। তবে মাইকেল শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আবার সিল্যান্ডের কর্তৃত্ব ফিরে পান।
এমনিতে সিল্যান্ডকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হবে না আপনার। বহু ঝড়ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যার ওপরে কনটেইনারের মতো দেখতে একটি দালান। জাহাজ থেকে নৌকা থেকে একটি ক্রেনের সাহায্যে যখন প্রজাতন্ত্র বা প্ল্যাটফর্মটিতে উঠতে যাবেন, ঝোড়ো গতির বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে হবে আপনাকে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই সিল্যান্ড এমন এক জায়গা, যেখানে চাইলেই ভ্রমণ করা যায় না। সেখানে ভ্রমণের অনুমোদন বা সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কোনোভাবে সুযোগ পেলেও সেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা হওয়া মুশকিল। এখানকার ভিসা দেওয়া হয় কালেভদ্রে।
তবে সেখানে ভ্রমণ করতে না পারলে কী হবে ২৯.৯৯ পাউন্ড খরচ করে জায়গাটির লর্ড কিংবা লেডি খেতাব নিতে পারবেন। এমনকি সুযোগ আছে সিল্যান্ডের পরিচয়পত্র কেনারও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সিল্যান্ড গভ ডট অরগ ওয়েবসাইটে।
ফুটবলের পাশাপাশি আইস হকি আর আমেরিকান ফুটবলের দলও আছে সিল্যান্ডের। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও উড়েছে এর পতাকা। আর্জেন্টিনায় তাদের একটি দূতাবাস আছে।
সিল্যান্ডের পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা সবই আছে। এখন পর্যন্ত শ পাঁচেক পাসপোর্ট ইস্যু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স মাইকেল, তাঁর তিন সন্তান দ্বিতীয় স্ত্রী মেই শি এখনো সিল্যান্ড সাম্রাজ্যের ঝান্ডা বহন করে যাচ্ছেন।
যদিও অফিশিয়ালি একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত নয় প্রিন্স মাইকেল বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রজাতন্ত্রটি এখনো তার স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। এখানে নিয়মিত এর বাসিন্দারা থাকেন, এদের মধ্যে আছেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী।
মজার ঘটনা, অনেকেই সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর এর নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা স্থলভাগের আইনকানুনকে পেছনে রেখে অন্যরকম এক জীবন কাটাতে চান।
‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’ বলেন মাইকেল, ‘আমাদের মতো এ ধরনের উৎসাহ জাগানোর মতো অঞ্চল আরও বেশি প্রয়োজন পৃথিবীর। তবে এ ধরনের খুব বেশি এলাকা নেই।’
সূত্র: সিল্যান্ড গভ ডট অরগ, বিবিসি

যদি বলি পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট দেশ ভ্যাটিকান সিটি নয়, নর্থ সি বা উত্তর সাগরে অবস্থিত সিল্যান্ড; তাহলে নিশ্চয় চমকাবেন! আরও অবাক হবেন যখন জানবেন এর আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গকিলোমিটার বা ৪০০ বর্গমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। তবে আপনি যদি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির কথা বলেন তবে অবশ্য ছোট দেশের তকমাটা ভ্যাটিকান সিটিরই থাকবে। তবে এটা বাদে বাকি সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের।
আপনি হয়তো পৃথিবীর দুর্গম সব জায়গা চষে বেড়িয়েছেন, দেখেছেন মানুষের আশ্চর্য জীবনধারা। তবে সিল্যান্ডে যাওয়া দূরের কথা, এর নামই হয়তো শোনেননি। অবশ্য আপনার কী দোষ বলেন, যে গ্রেট ব্রিটেনের উপকূলে এর অবস্থান, সেখানকার কয়জন মানুষইবা এর কথা জানেন।
যুক্তরাজ্যের সাফোকের ১২ কিলোমিটার পূর্বে সাগরের বুকে একটি প্ল্যাটফর্ম বা দুর্গ বলতে পারেন একে। নিজেদের স্বাধীন একটি দেশ বলেই দাবি করেন এখানকার নাগরিকেরা। মজার ঘটনা, একে দেশ হিসেবে বিবেচনা করলে এটি একমাত্র দেশ যেখানে কোভিড আক্রান্তের কোনো কেস নেই।
আসলে এটি একটি মাইক্রোনেশন। এরা নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র বা রাজ্য দাবি করলেও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নেই। তবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট, ডাকটিকিটসহ অনেক কিছুই। এতেও যদি আপনার মন না ভরে তবে জানিয়ে রাখছি সিল্যান্ডের একটি ফুটবল টিমও আছে।
এবার কীভাবে এই খুদে দেশের জন্ম তা বরং জেনে নেওয়া যাক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সেনা ও নৌ সদস্যদের জন্য একটি দুর্গ হিসেবে এ কাঠামো বা প্ল্যাটফর্মটি তৈরি করে যুক্তরাজ্য সরকার। সেটা ১৯৪২ সালের কথা। যুদ্ধের ডামাডোলে এমনকি এখানে সর্বোচ্চ ৩০০ জন পর্যন্ত নৌ সেনা অবস্থান করেছেন। রাফ টাওয়ার বা এইচ এম ফোর্ট রাফস নামেও পরিচিত প্ল্যাটফর্মটি ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত নানা কাজে ব্যবহার করা হয়। তারপরই এটি পরিত্যক্ত হয়।
তবে ১৯৬৬ সালে পাল্টে যায় দৃশ্যপট। পেডি রয় বেটস নামে এক ব্যক্তি এটিকে নিজের করে নেন। পেডি তাঁর পাইরেট রেডিও স্টেশনের (এ ধরনের রেডিও স্টেশন বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই পরিচালিত হয়) রেডিও এসেক্সের জন্য একটা জায়গা খুঁজছিলেন। শুরুতে অবশ্য তিনি ক্যাম্প স্থাপন করেন অন্য একটি নৌ দুর্গ নক জনে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য সাগর মাঝের স্টেশনগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য মেরিন ব্রডকাস্টিং অফেন্সেস অ্যাক্ট পাস করলে ওটা ছাড়তে হয় তাঁকে।
সুযোগ বুঝে বেটস এইচএম ফোর্ট রাফসে, যেটি সাগরের আরও ভেতরের দিকে এবং আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় আরও পাকাপোক্তভাবে যার অবস্থান, উঠে পড়েন। ১৯৬৬ সালের বড়দিনের সময় এটি নিজের দখলে নিয়ে নেন বেটস। ৯ মাস বাদে ১৯৬৭ সালের সেপ্টেম্বরের ২ তারিখ দুর্গটিকে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন। সেদিন ছিল তাঁর স্ত্রী জোয়ানের জন্মদিন। এর কিছুদিনের মধ্যে গোটা পরিবার এখানে উঠে আসে। ১৯৭০ দশকের গোড়ার দিকে যে সময়টাকে সিল্যান্ডের স্বর্ণযুগ বলা যায়, প্ল্যাটফর্মটিতে ৫০ জন মানুষও বাস করেন। এর মধ্যে আছে পরিবারের সদস্য, স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকেরা।
৯১ বছর বয়সে বেটস রয়ের মৃত্যুর পর খুদে প্রজাতন্ত্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব বুঝে নেন তাঁর ছেলে মাইকেল বেটস, সেটা ২০১২ সালের ঘটনা। এখনো স্পেনে সি ফুড রপ্তানির পাশাপাশি প্রজাতন্ত্রের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন এই ব্রিটিশ নাগরিক। মাইকেল একজন লেখকও।
মজার ঘটনা, মাইকেল বিয়ে করেন সিল্যান্ডেই, ১৯৭৮ সালে। বিয়েতে প্ল্যাটফর্মের ওপর একটি হেলিকপ্টার নামানো হয়। তবে অন্য বড় দেশগুলোর মতো খুদে সিল্যান্ড প্রজাতন্ত্রকেও বিভিন্ন জটিলতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
এর মধ্যে আছে, ১৯৬৮ সালে যখন আন্তর্জাতিক জলসীমায় অবস্থিত সব দুর্গ ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখন ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয় সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষকেও। বেটস রয় যেহেতু তখনো একজন ব্রিটিশ নাগরিক, আগ্নেয়াস্ত্র নীতিমালার আওতায় তাঁর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। মূলভূমিতে এসেক্সের ক্রাউন কোর্ট অব চেলমসফোর্ডে তলব করা হয় তাঁকে।
১৯৭৮ সালে সিল্যান্ডের স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার আচেনবাচ জার্মান ও ডাচ কিছু ভাড়াটে সেনাকে ভাড়া করেন সিল্যান্ড আক্রমণের জন্য। তখন বেটস রয় ও তাঁর স্ত্রী ছিলেন অস্ট্রিয়ায়। মাইকেলকে করা হয় জিম্মি। তবে মাইকেল শেষ পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে লুকিয়ে রাখা অস্ত্র ব্যবহার করে আবার সিল্যান্ডের কর্তৃত্ব ফিরে পান।
এমনিতে সিল্যান্ডকে দেখে বিশেষ কিছু মনে হবে না আপনার। বহু ঝড়ঝঞ্ঝা মোকাবিলা করা একটি প্ল্যাটফর্ম, যার ওপরে কনটেইনারের মতো দেখতে একটি দালান। জাহাজ থেকে নৌকা থেকে একটি ক্রেনের সাহায্যে যখন প্রজাতন্ত্র বা প্ল্যাটফর্মটিতে উঠতে যাবেন, ঝোড়ো গতির বাতাস আর সাগরের ঢেউয়ের সঙ্গে যুঝতে হবে আপনাকে।
তবে স্বাভাবিকভাবেই সিল্যান্ড এমন এক জায়গা, যেখানে চাইলেই ভ্রমণ করা যায় না। সেখানে ভ্রমণের অনুমোদন বা সুযোগ পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। কোনোভাবে সুযোগ পেলেও সেখানে থাকা-খাওয়ার ভালো ব্যবস্থা হওয়া মুশকিল। এখানকার ভিসা দেওয়া হয় কালেভদ্রে।
তবে সেখানে ভ্রমণ করতে না পারলে কী হবে ২৯.৯৯ পাউন্ড খরচ করে জায়গাটির লর্ড কিংবা লেডি খেতাব নিতে পারবেন। এমনকি সুযোগ আছে সিল্যান্ডের পরিচয়পত্র কেনারও। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন সিল্যান্ড গভ ডট অরগ ওয়েবসাইটে।
ফুটবলের পাশাপাশি আইস হকি আর আমেরিকান ফুটবলের দলও আছে সিল্যান্ডের। মাউন্ট এভারেস্টের চূড়ায়ও উড়েছে এর পতাকা। আর্জেন্টিনায় তাদের একটি দূতাবাস আছে।
সিল্যান্ডের পতাকা আছে, জাতীয় সংগীত, মুদ্রা সবই আছে। এখন পর্যন্ত শ পাঁচেক পাসপোর্ট ইস্যু করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। প্রিন্স মাইকেল, তাঁর তিন সন্তান দ্বিতীয় স্ত্রী মেই শি এখনো সিল্যান্ড সাম্রাজ্যের ঝান্ডা বহন করে যাচ্ছেন।
যদিও অফিশিয়ালি একটি দেশ হিসেবে স্বীকৃত নয় প্রিন্স মাইকেল বিবিসিকে জানিয়েছিলেন, ‘প্রজাতন্ত্রটি এখনো তার স্বাধীনতা রক্ষা করে চলেছে। এখানে নিয়মিত এর বাসিন্দারা থাকেন, এদের মধ্যে আছেন সার্বক্ষণিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দুজন নিরাপত্তা প্রহরী।
মজার ঘটনা, অনেকেই সিল্যান্ড কর্তৃপক্ষ বরাবর এর নাগরিক হওয়ার জন্য আবেদন করেন। তাঁরা স্থলভাগের আইনকানুনকে পেছনে রেখে অন্যরকম এক জীবন কাটাতে চান।
‘আমরা এমন এক সমাজে বাস করি যেখানে মানুষ যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন না।’ বলেন মাইকেল, ‘আমাদের মতো এ ধরনের উৎসাহ জাগানোর মতো অঞ্চল আরও বেশি প্রয়োজন পৃথিবীর। তবে এ ধরনের খুব বেশি এলাকা নেই।’
সূত্র: সিল্যান্ড গভ ডট অরগ, বিবিসি

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২১ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে! প্রাথমিকভাবে সবাই বড় কোনো চুরির আশঙ্কা করলেও কোনো দামি জিনিস খোয়া যায়নি; বরং দোকানের বাথরুমের কমোড আর ডাস্টবিনের চিপায় উদ্ধার হলো আসল ‘অপরাধী’। সেখানে অঘোরে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছিল এক বুনো র্যাকুন!
ঘটনার সূত্রপাত হয় থ্যাংকসগিভিংয়ের ছুটিতে। দোকান বন্ধ থাকার সুযোগে এই ‘মুখোশধারী ডাকাত’ সিলিংয়ের টাইলস ভেঙে দোকানের ভেতরে প্রবেশ করে। পশুপালন দপ্তরের কর্মকর্তা সামান্থা মার্টিন গণমাধ্যমকে জানান, ভেতরে ঢুকেই র্যাকুনটি পুরোদস্তুর তাণ্ডব শুরু করে। তবে তার প্রধান আকর্ষণ ছিল নিচের দিকের তাকগুলোতে সাজিয়ে রাখা স্কচ হুইস্কির বোতলগুলো। বেশ কয়েকটি বোতল ভেঙে, প্রচুর পরিমাণে স্কচ সাবাড় করে র্যাকুনটি মাতাল হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেশার ঘোরে সে বাথরুমে আশ্রয় নেয় এবং সেখানেই জ্ঞান হারায়।
খবর পেয়ে সামান্থা মার্টিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে র্যাকুনটিকে উদ্ধার করেন। তিনি কৌতুক করে বলেন, ‘পশু সুরক্ষা ও নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তার জীবনে এটা আর দশটা দিনের মতোই একটি সাধারণ দিন!’

র্যাকুনটি এতটাই নেশাগ্রস্ত ছিল যে সেটিকে ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য’ হ্যানোভার কাউন্টি অ্যানিমেল প্রটেকশন শেল্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে পুলিশি কাস্টডিতে নয়, বরং তার নেশা কাটানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।
বেশ কয়েক ঘণ্টা একটানা ঘুমের পর যখন র্যাকুনটি হ্যাংওভার কাটে। শারীরিক কোনো চোট পাওয়া যায়নি। এটি নিশ্চিত হয়েই তাকে সসম্মানে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে এক রহস্যময় ছায়ামূর্তির তাণ্ডব দেখা গেলেও র্যাকুনটি ঠিক কতটা স্কচ হজম করেছিল, তা অজানাই রয়ে গেছে। দোকানের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মজার পোস্ট দিয়ে জানানো হয়, র্যাকুনটিকে নিরাপদে ‘সোবার রাইড’, অর্থাৎ নেশামুক্ত অবস্থায় বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারা প্রশাসনের কাছে কৃতজ্ঞ!

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলে নিজেদের সবচেয়ে ছোট দেশের নাগরিক বলে মনে করে সিল্যান্ডবাসী। সিল্যান্ডের আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গ কিলোমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট,
০৮ মে ২০২৩
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২১ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি। এটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পৌনে এক কোটি টাকা।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) বিবিসি জানিয়েছে, পান্না জেলা ভারতের অন্যতম হিরা উত্তোলন অঞ্চল। সেখানেই কয়েক সপ্তাহ আগে লিজ নেওয়া একটি জমিতে কাজ করতে গিয়ে চকচকে পাথরটির সন্ধান পান সতীশ ও সাজিদ। পরে সেটি শহরের সরকারি হিরা মূল্যায়ন কর্মকর্তার কাছে নিয়ে গেলে নিশ্চিত হওয়া যায়—এটি উৎকৃষ্ট মানের প্রাকৃতিক হিরা।

মূল্যায়ন কর্মকর্তা অনুপম সিং জানান, হিরাটির সম্ভাব্য দাম ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা। শিগগিরই এটিকে সরকারি নিলামে তোলা হবে। এই নিলামে দেশ-বিদেশের ক্রেতারা অংশ নেবেন। তিনি আরও জানান, হিরার দাম নির্ভর করে ডলারের বিনিময় হার ও আন্তর্জাতিক রাপাপোর্ট রিপোর্টের মানদণ্ডের ওপর।
২৪ বছর বয়সী সতীশ খাটিক একটি মাংসের দোকান চালান, আর ২৩ বছরের সাজিদ মোহাম্মদ ফল বিক্রি করেন। দুজনই দরিদ্র পরিবারের সন্তান এবং পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে তাঁদের পরিবার পান্নায় হিরা খোঁজার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এত দিন কোনো বড় সাফল্য আসেনি।
উন্নয়ন সূচকে পান্না জেলা পিছিয়ে থাকা একটি এলাকা। এখানে দারিদ্র্য, পানির সংকট ও বেকারত্ব নিত্যদিনের বাস্তবতা। তবে এই জেলাতেই ভারতের অধিকাংশ হিরা মজুত রয়েছে, যা স্থানীয়দের ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখায়।
সাজিদের বাবা নাফিস জানান, বছরের পর বছর খোঁড়াখুঁড়ি করেও তাঁরা পেয়েছেন শুধু ধুলো আর কাঁচের টুকরো। তিনি বলেন, ‘ঈশ্বর অবশেষে আমাদের ধৈর্য আর পরিশ্রমের ফল দিয়েছেন।’ সংসারের ক্রমবর্ধমান খরচ ও বিয়ের ব্যয় মেটাতে না পেরে হতাশা থেকেই জমিটি লিজ নিয়েছিলেন সাজিদ।
হিরা খোঁজার কাজ সহজ নয়। দিনের কাজ শেষে সন্ধ্যায় কিংবা ছুটির সময় মাটি খুঁড়ে, পাথর ধুয়ে, চালুনিতে ছেঁকে হাজারো কণার ভিড় থেকে সম্ভাব্য হিরা আলাদা করতেন সতীশ ও সাজিদ। পান্নার জেলা খনি কর্মকর্তা রবি প্যাটেল বলেন, ‘গত ১৯ নভেম্বর তারা জমিটি লিজ নেয়। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এমন মানের হিরা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।’
এখনো নিলামের টাকা হাতে না পেলেও দুই বন্ধু আশাবাদী। বড় শহরে চলে যাওয়া বা ব্যবসা বাড়ানোর চিন্তা আপাতত তাঁরা বাদ দিয়েছেন। তাঁদের একটাই লক্ষ্য—এই অর্থ দিয়ে নিজেদের বোনদের বিয়ে দেওয়া।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলে নিজেদের সবচেয়ে ছোট দেশের নাগরিক বলে মনে করে সিল্যান্ডবাসী। সিল্যান্ডের আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গ কিলোমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট,
০৮ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৬ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ দিন আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলে নিজেদের সবচেয়ে ছোট দেশের নাগরিক বলে মনে করে সিল্যান্ডবাসী। সিল্যান্ডের আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গ কিলোমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট,
০৮ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২১ ঘণ্টা আগে
কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

কাজের মধ্যে ঘন ঘন টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নিয়ে চাকরি খুইয়েছেন এক চীনা প্রকৌশলী। চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশের ওই প্রকৌশলী ঘন ঘন এবং প্রতিবার এক ঘণ্টার বেশি সময় টয়লেটে কাটাচ্ছিলেন। যদিও তাঁর দাবি ছিল, তিনি অর্শ বা পাইলসের সমস্যায় ভুগছেন।
হংকং থেকে প্রকাশিত ইংরেজি ভাষার দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবরে বলা হয়েছে জিয়াংসু প্রদেশের লি নামক ওই ব্যক্তি গত বছর এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে এক মাসে ১৪ বার টয়লেটে যাওয়ার জন্য বিরতি নেন। এর মধ্যে একবার তিনি চার ঘণ্টা টয়লেটে কাটান। এর জেরে তাঁকে চাকরি হারাতে হয়।
এই খবর সম্প্রতি সাংহাই ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়নসের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
ওই ব্যক্তি বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের জন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলে বিষয়টি সামনে আসে। লি প্রমাণ হিসেবে গত বছর মে ও জুন মাসে তাঁর সঙ্গীর কেনা অর্শের ওষুধ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তাঁর হাসপাতালে ভর্তি ও অস্ত্রোপচারের নথিও পেশ করেন।
এরপর লি ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে বেআইনিভাবে চুক্তি বাতিলের দায়ে ৩ লাখ ২০ হাজার ইউয়ান ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। অন্যদিকে কোম্পানি লি-এর ঘন ঘন এবং দীর্ঘ সময় ধরে বিরতিতে থাকার প্রমাণস্বরূপ সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে জমা দেয়।
আদালতের বিশ্বাস, লি টয়লেটে যে সময় ব্যয় করেছেন, তা তাঁর ‘শারীরিক প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি’ ছিল। এ ছাড়া লি যে ডাক্তারি নথি জমা দিয়েছেন, তা তাঁর বহুবার দীর্ঘ পানির বিরতি নেওয়ার পরের সময়ের। চুক্তিতে প্রয়োজন থাকা সত্ত্বেও লি তাঁর অসুস্থতার কথা কোম্পানিকে আগে জানাননি বা অসুস্থতাজনিত ছুটির জন্য আবেদনও করেননি।
কোম্পানি লি-কে তাঁর অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে প্রথমে একটি চ্যাট অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করে, কিন্তু কোনো উত্তর পায়নি। লি-এর পদে কাজ করার জন্য তাঁকে সব সময় কাজের অনুরোধে সাড়া দিতে হয়। সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করার পর কোম্পানি তাঁকে বরখাস্ত করে।
লি ২০১০ সালে কোম্পানিতে যোগ দেন এবং ২০১৪ সালে একটি উন্মুক্ত-মেয়াদি চুক্তি নবায়ন করেন। চুক্তি অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিজের কর্মস্থল ত্যাগ করাকে অনুপস্থিতি বলে গণ্য করা হবে এবং ১৮০ দিনের মধ্যে মোট তিন কার্যদিবস অনুপস্থিত থাকলে চুক্তি সঙ্গে সঙ্গে বাতিল হয়ে যাবে।
বরখাস্ত করার আগে কোম্পানি ট্রেড ইউনিয়নের অনুমতিও নিয়েছিল। দুই দফা বিচার পর্বের পর আদালত অবশেষে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন এবং লি-এর কোম্পানিতে অবদানের কথা এবং বেকারত্বের পর তাঁর অসুবিধার কথা বিবেচনা করে কোম্পানিকে ৩০ হাজার ইউয়ান ভাতা দিয়ে মামলাটি মিটিয়ে নিতে রাজি করান।
চীনে এ ধরনের বিরতি নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। এর আগে ২০২৩ সালেও জিয়াংসু প্রদেশের আরেক ব্যক্তিকে একই অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাঁর দীর্ঘতম বিরতি ছিল এক দিনে ছয় ঘণ্টা।

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত না হলে নিজেদের সবচেয়ে ছোট দেশের নাগরিক বলে মনে করে সিল্যান্ডবাসী। সিল্যান্ডের আয়তন মোটে ০.০০৪ বর্গ কিলোমিটার। আরও পরিষ্কারভাবে বললে একটা প্ল্যাটফর্ম নিয়েই গোটা দেশটি। আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ছাড়া সবকিছুই আছে সিল্যান্ডের। সেগুলো কী? তাদের আছে জাতীয় পতাকা, সংগীত, মুদ্রা, পাসপোর্ট,
০৮ মে ২০২৩
সকালে দোকানের শাটার খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার অ্যাশল্যান্ডের একটি সরকারি মদের দোকানের কর্মীদের। দোকানের মেঝেতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে শত শত ভাঙা কাচের টুকরা। মেঝে ভেসে গেছে দামি বিলেতি মদে!
৬ ঘণ্টা আগে
ভারতের মধ্যাঞ্চলের একটি প্রত্যন্ত এলাকায় হঠাৎ পাওয়া একটি হিরার খোঁজ দুই বন্ধুর জীবনে আশার আলো জ্বালিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলায় সম্প্রতি এক শীতের সকালে শৈশবের বন্ধু সতীশ খাটিক ও সাজিদ মোহাম্মদের হাতে ধরা পড়েছে ১৫.৩৪ ক্যারেটের মূল্যবান ওই হিরাটি।
২১ ঘণ্টা আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
৪ দিন আগে