অনলাইন ডেস্ক
নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস স্পাইওয়্যারের নির্মাতা ইসরায়েলি কোম্পানিকে এনএসও গ্রুপকে ১৬৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে ম্যালওয়্যার হামলার ঘটনায় এ রায় দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জুরি। দীর্ঘ চার বছরের আইনি লড়াইয়ের পর মেটার পক্ষে এ রায়কে বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মেটা অভিযোগ করেছিল, এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে একধরনের অত্যাধুনিক সাইবার হামলার মাধ্যমে বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশের ১ হাজার ৪০০ জনকে টার্গেট করা হয়েছিল। এসব ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোক ছিলেন। মেটার দাবি, ভিডিও কলের মাধ্যমে, এমনকি কল না ধরলেও ম্যালওয়্যার ছড়ানো হতো।
২০১৯ সালে এনএসওর বিরুদ্ধে মামলা করে মেটা। গত বছর মেটার পক্ষে রায় দিয়ে বিচারক বলেন, ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছে। এরপর এক সপ্তাহব্যাপী জুরি ট্রায়ালের পর চলতি সপ্তাহে রায় দেওয়া হয়, এনএসও মেটাকে কত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেবে।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সপ্তাহব্যাপী জুরি ট্রায়ালের পর আদালত রায়ে মেটাকে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৯ ডলার ক্ষতিপূরণ এবং ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ডলার শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল উগ বলেন, ‘এই রায় দুর্বৃত্ত সাইবার শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এটি অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে আরও জোরালো করল।’
অন্যদিকে, নিজেদের একটি ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয় দেয় এনসিও গ্রুপ। তারা জানায়, তাদের পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ফোন নম্বরগুলো টার্গেট করা সম্ভব নয়। আদালতে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, পেগাসাসের কারণে হোয়াটসঅ্যাপের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি।
এক বিবৃতিতে এনএসও গ্রুপের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই রায় বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি ধাপ মাত্র। আমরা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব এবং আপিল করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি জঙ্গিবাদ ও গুরুতর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি কেবল অনুমোদিত সরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই ব্যবহৃত হয়।’
মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এনএসওর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য তাদের এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। মেটা আরও জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ আদায় হলে তা ডিজিটাল অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যাতে এনএসও হোয়াটসঅ্যাপকে টার্গেট করতে না পারে, সে জন্য আদালতের কাছে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
তথ্যসূত্র: এনগেজেট
নজরদারি সফটওয়্যার পেগাসাস স্পাইওয়্যারের নির্মাতা ইসরায়েলি কোম্পানিকে এনএসও গ্রুপকে ১৬৭ মিলিয়ন ডলারের বেশি জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের একটি আদালত। হোয়াটসঅ্যাপে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ছড়িয়ে ম্যালওয়্যার হামলার ঘটনায় এ রায় দিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি জুরি। দীর্ঘ চার বছরের আইনি লড়াইয়ের পর মেটার পক্ষে এ রায়কে বড় বিজয় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
মেটা অভিযোগ করেছিল, এনএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে হোয়াটসঅ্যাপে একধরনের অত্যাধুনিক সাইবার হামলার মাধ্যমে বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশের ১ হাজার ৪০০ জনকে টার্গেট করা হয়েছিল। এসব ভুক্তভোগীদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মীসহ বিভিন্ন পেশার লোক ছিলেন। মেটার দাবি, ভিডিও কলের মাধ্যমে, এমনকি কল না ধরলেও ম্যালওয়্যার ছড়ানো হতো।
২০১৯ সালে এনএসওর বিরুদ্ধে মামলা করে মেটা। গত বছর মেটার পক্ষে রায় দিয়ে বিচারক বলেন, ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার ফ্রড অ্যান্ড অ্যাবিউজ অ্যাক্ট লঙ্ঘন করেছে। এরপর এক সপ্তাহব্যাপী জুরি ট্রায়ালের পর চলতি সপ্তাহে রায় দেওয়া হয়, এনএসও মেটাকে কত পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেবে।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় অনুষ্ঠিত এক সপ্তাহব্যাপী জুরি ট্রায়ালের পর আদালত রায়ে মেটাকে ৪ লাখ ৪৪ হাজার ৭১৯ ডলার ক্ষতিপূরণ এবং ১৬ কোটি ৭২ লাখ ৫৪ হাজার ডলার শাস্তিমূলক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এক বিবৃতিতে হোয়াটসঅ্যাপের বৈশ্বিক যোগাযোগ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট কার্ল উগ বলেন, ‘এই রায় দুর্বৃত্ত সাইবার শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা। এটি অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইকে আরও জোরালো করল।’
অন্যদিকে, নিজেদের একটি ‘সাইবার ইন্টেলিজেন্স’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচয় দেয় এনসিও গ্রুপ। তারা জানায়, তাদের পেগাসাস স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্রের ফোন নম্বরগুলো টার্গেট করা সম্ভব নয়। আদালতে প্রতিষ্ঠানটির আইনজীবীরা দাবি করেছেন, পেগাসাসের কারণে হোয়াটসঅ্যাপের কোনো ধরনের ক্ষতি হয়নি।
এক বিবৃতিতে এনএসও গ্রুপের গ্লোবাল কমিউনিকেশনস বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এই রায় বিচারিক প্রক্রিয়ার একটি ধাপ মাত্র। আমরা আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাব এবং আপিল করব।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তি জঙ্গিবাদ ও গুরুতর অপরাধ দমনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং এটি কেবল অনুমোদিত সরকারি সংস্থাগুলোর মাধ্যমেই ব্যবহৃত হয়।’
মেটার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এনএসওর কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য তাদের এখনো দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। মেটা আরও জানিয়েছে, ক্ষতিপূরণ আদায় হলে তা ডিজিটাল অধিকার রক্ষা নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোকে অনুদান হিসেবে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, ভবিষ্যতে যাতে এনএসও হোয়াটসঅ্যাপকে টার্গেট করতে না পারে, সে জন্য আদালতের কাছে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চাওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে তাদের।
তথ্যসূত্র: এনগেজেট
বিশ্বজুড়ে স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে খুব কমই নিজেদের প্রসেসর তৈরি করে থাকে। এখন পর্যন্ত অ্যাপল, গুগল, হুয়াওয়ে ও স্যামসাং নিজেদের চিপ ডিজাইন করেছে। এবার এই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট শাওমি। প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসেই বাজারে আনতে যাচ্ছে তাদের প্রথম ফ্ল্যাগশিপ
২ ঘণ্টা আগেডিজিটাল যুগের নতুন চালিকা শক্তি একটি ছোট্ট ‘লাইক’ বাটন—যা একদিকে যেমন সৃজনশীলতার অনুপ্রেরণা, তেমনি আবার হয়ে উঠেছে আবেগের বোঝা। ইন্টারনেট দুনিয়া আজকের রূপ পেয়েছে ‘লাইক’ বাটনের বদৌলতে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘লাইক’ বাটনের ব্যবহার প্ল্যাটফর্মগুলোকে এক ধরনের ডিজিটাল নেশায় পরিণত করেছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্যে চালকবিহীন স্বচালিত ট্যাক্সি চালুর জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছে রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার। তবে দেশটির সরকার জানিয়েছে, পুরোপুরি স্বচালিত যানবাহনের অনুমোদন পেতে ২০২৭ সালের দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৫০ কোটি বছরেরও বেশি সময় আগে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানো এক রহস্যময় শিকারির জীবাশ্ম আবিষ্কার করেছেন জীবাশ্মবিদেরা। তিনটি চোখ এবং পেনসিল শার্পনারের মতো গোল মুখবিশিষ্ট এই অদ্ভুত আকৃতির প্রাণীর বৈজ্ঞানিক নাম দেওয়া হয়েছে মোসুরা ফেনটনি (Mosura fentoni)। এ ছাড়া প্রাণীটির ডাকনাম রাখা হয়েছে ‘সি মথ’।
৬ ঘণ্টা আগে