
বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয়ের পথটি সত্যি খুব কার্যকর। আপনার জন্য রয়েছে ফ্রিল্যান্সিং, ওয়েবসাইট তৈরিসহ আরও অনেক সহজ পথ, যার মাধ্যমে আপনি চাইলেই অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন। ওয়েবসাইট খুলে টাকা উপার্জনের সকল বিষয় নিয়েই আজকের এই আর্টিকেল।
ওয়েবসাইট খুলে সত্যিই কি টাকা আয় করা যায়
অনলাইন ইনকামের ক্ষেত্রে আমরা অনেকেই এই প্রশ্ন নিয়েই চিন্তা করি। সত্যিই কি ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সম্ভব? হ্যাঁ, আপনি চাইলে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনার সে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা অবশ্যই জরুরি।
আপনি যদি সত্যিই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই লেখা সম্পূর্ণ পড়ুন। একটি সুন্দর গোছানো ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনি চাইলে ভালো পরিমাণে আয় করতে পারবেন। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথমেই আপনাকে ইউনিক সব বিষয় ও আইডিয়া প্রয়োগের জন্য আমরা অনুরোধ করছি।
আমরা প্রতিদিন ইন্টারনেটে প্রচুর সার্চ করছি। একেক তথ্যের জন্য একেক ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারছি আমরা। খেয়াল করুন, নির্দিষ্ট কিছু তথ্যের জন্য আপনি সেই ওয়েবসাইটেই যান, যেখানে সংশ্লিষ্ট তথ্যগুলো গোছানোভাবে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইট তৈরির আগে আপনাকে শুরুতেই ঠিক করতে হবে, কোন ধরনের তথ্য নিয়ে আপনি কাজ করবেন। এর পরের ধাপেই সংশ্লিষ্ট সব তথ্য গুছিয়ে নিতে হবে। এবার আপনাকে ওয়েবসাইটের ডিজাইন ঠিক করতে হবে। এমনভাবে ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সব তথ্য খুবই গুছিয়ে উপস্থাপন করা যায়। সঠিক ও নির্ভরযোগ্য তথ্য ও ডিজাইন সুন্দর হলে অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটর আসতে শুরু করবে, এবং সময়ের সঙ্গে ভিজিটর সংখ্যা বাড়বে। এভাবেই আপনি টাকা উপার্জনের পথে আপনি অনেকটা এগিয়ে যাবেন।
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিভিন্নভাবে আয়
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আপনি চাইলে বিভিন্ন উপায়ে ওয়েবসাইট দিয়ে টাকা উপার্জন করতে পারবেন। যেমন—অ্যাডসেন্স, লোকাল বিজ্ঞাপন, কনটেন্ট রাইটিং, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, পেইড রিভিউ ও ট্রাফিক সেল। এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে আপনি প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তবে অবশ্যই সঠিক পথে সঠিকভাবে কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। তবেই আপনি সফল হতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করুন
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অনলাইন ইনকামের অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থেকে টাকা উপার্জনের অসাধারণ একটি পথ হচ্ছে Affiliate Marketing। যেকোনো একটি প্রোডাক্ট প্রমোটের মাধ্যমে একটি অ্যাফিলিয়েট ব্লগ থেকে আপনি আয় করতে পারবেন।
এ ক্ষেত্রে দৈনন্দিন প্রয়োজনে ব্যবহৃত বিভিন্ন পণ্যের রিভিউ লিখে ব্লগ তৈরি করতে পারেন। এর সঙ্গে বিভিন্ন প্রোডাক্টের লিংক কানেক্ট করে দিতে পারেন, যা সে প্রোডাক্টের সঙ্গে সম্পর্কিত। এই লিংকগুলো ক্লিক করে যদি কেউ রিভিউ করা প্রোডাক্ট কিনে থাকে, তাহলে সেখান থেকে আপনি একটা কমিশন পাবেন। আর এই পদ্ধতিকেই বলা হয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
আপনি চাইলে আপনার ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করে ভিজিটরদের থেকে ই-মেইল সাবস্ক্রাইবার, এবং সরাসরি সাবস্ক্রাইবও নিতে পারেন।
অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের ওপর নির্ভর করে আপনি একটি কমিশন পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের ৩০ শতাংশ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৭০ শতাংশ পর্যন্ত কমিশন আপনি পেতে পারেন। ধরুন, আপনি যদি ১০০ ডলারের একটি বই বিক্রি করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে ৫০ ডলার কমিশন হিসেবে পাবেন শুধু ইউজারকে বইটি রেফার করার জন্য।
গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়
Google Adsense হচ্ছে টাকা উপার্জনের সবচেয়ে ভালো ও কার্যকর একটি প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে বিশ্বের প্রচুর ওয়েবসাইট Adsense-এর মাধ্যমে প্রচুর অর্থ উপার্জন করছে। এ ক্ষেত্রে আপনার লাগবে একটি ওয়েবসাইট এবং সেখানে রেগুলার ভিজিটর ও ট্রাফিক। তাহলেই আপনি গুগল অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে পারবেন টাকা ইনকামের জন্য।
বর্তমানে Google Adsense হচ্ছে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত বেস্ট অ্যাড নেটওয়ার্ক। এটি বর্তমানে বেশির ভাগ ওয়েবসাইট ইউজারই ব্যবহার করেন। Adsense মূলত CPC নির্ভর বিজ্ঞাপন শেয়ার করে।
একটি Adsense অ্যাকাউন্ট পেতে হলে আপনাকে তাদের প্রত্যেকটি গাইডলাইন বা নীতিমালা মেনে চলতে হবে। না হলে সেখান থেকে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। সবকিছু ঠিক রেখে কনটেন্ট শেয়ার করুন, এবং মানসম্পন্ন বিজ্ঞাপন আপলোড করুন, যা রেভিনিউ এনে দিতে সাহায্য করবে।
এর পর গুগল অ্যাডসেন্সে সাইন-আপ করুন। নির্দেশনা মেনে ওয়েবসাইটটির অ্যাপ্রুভালের জন্য সাবমিট করেন। তবে গুগলের কিছু সাধারণ নিয়মের দিকে খেয়াল রেখে নিজের ওয়েবসাইটটি যাচাই করুন। অনুমোদন পেয়ে যাবেন।
এর পর সিম্পল একটি অটো অ্যাড কোড আপনার ওয়েবসাইটের এইচটিএমএল-এ সাবমিট করার পরই দেখবেন, গুগল অটোমেটিক অ্যাড রান করবে। পাশাপাশি দেখবেন, অটোমেটিক্যালি রেভিনিউ পাচ্ছেন। এই বিষয়গুলো পুরোটাই গুগলের নিয়ন্ত্রণে। আপনাকে তেমন চিন্তা করতে হবে না।
সাদৃশ্যপূর্ণ বিভিন্ন অ্যাড শো ওয়েবসাইটে দেখা যাবে। সেগুলো আপনার কনটেন্টের সঙ্গে মিল রেখেই থাকবে। অথবা ইউজারের সার্চ রেজাল্ট থেকে হিস্টরি নিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ডিসপ্লে অ্যাড শো করাবে। এটা করা হয় অ্যাড-এ ক্লিকের পরিমাণ বাড়াতে। এর ফলে আপনি ইনকামও ভালো করতে পারবেন।
ধরুন, আপনার ওয়েবসাইটটি হলো কুকুর, বিড়ালের মতো বিভিন্ন পোষা প্রাণীদের লালন-পালন সম্পর্কিত। এখন গুগল অ্যাডসেন্স আপনার ওয়েবসাইটে অনেক ক্ষেত্রেই কুকুর-বিড়ালের বিভিন্ন খাবার, কুকুরের প্রশিক্ষণ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে অ্যাড শো করবে। এগুলোতে যেকোনো সাধারণ একটি ক্লিক থেকেই টাকা আয় হতে থাকবে। এর মানে হচ্ছে, আপনি অ্যাডে যত ক্লিক করবেন, সেটা থেকে ততই টাকা আয় করা যাবে।
CPC বলে একটি বিষয় আছে, যার অর্থ হচ্ছে cost per click। ধরুন, যদি সেই CPC হয় শূন্য দশমিক ৫ ডলার। আর ওই অ্যাডে যদি তিনটি ক্লিক পড়ে, তাহলে সেখান থেকে আপনি দেড় ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এ ছাড়া ধরুন, আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগ ইংরেজি ভাষায় লেখা। এই ওয়েবসাইটে প্রতিদিন যদি ১ হাজার ভিজিটর আসে, তবে সেখান থেকে খুব সহজেই ১ থেকে ১০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করা যাবে।
এসব গাইডলাইন অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। সঠিকভাবে এবং অবশ্যই নিয়ম মেনে আপনি যদি ওপরে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করেন, তবে অবশ্যই আপনি একদিন এই প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে ভালো টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকে ইনকাম অন্তত ১০০ ডলার হতে হবে, তবেই আপনি তা তুলতে পারবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন, আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো কনটেন্ট এবং ট্রাফিক থাকে, তাহলে মাসে ১০০ থেকে ১০০০ ডলার ইনকাম আপনি খুব সহজেই করতে পারবেন। এখান থেকে উপার্জিত টাকা আপনি Electronic Fund Transfer (EFT), Western Union Quick Cash, অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজের হাতে পাবেন।
ফ্রিল্যান্সিং করে আয়
অনলাইন ইনকাম প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। এ বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসেই অনেক টাকা উপার্জন করতে পারে।
সংবাদমাধ্যমসহ বিভিন্ন সূত্রের তথ্যমতে, বাংলাদেশে ৬ লাখের বেশি সক্রিয় ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি বছর দেশে ১০ কোটি ডলারের বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আসছে।
আপনি চাইলেই আপনার নিজের কাজগুলো নিজের ওয়েবসাইটে দেখাতে পারেন। তবে আপনাকে কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হওয়াটাও জরুরি, যা আপনার পোর্টফোলিও হিসেবে কাজ করবে। কেউ যদি আপনাকে দিয়ে কোনো কাজ করাতে চায়, অথবা আপনার পূর্ব কাজের নমুনা দেখতে চায়, তাহলে আপনি তাকে আপনার নিজের ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনি যখন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অ্যাকটিভ থাকবেন, তখন একজন বায়ার আপনার ওয়েবসাইটে সাজানো নমুনাগুলো দেখে আপনাকে যাচাই করবে। আপনার কাজ তাদের পছন্দ হলে, তারা আপনাকে প্রজেক্টটি দেবে। তাই আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং-কে পেশা হিসেবে নিতে চান, তাহলে নিজের একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট (পোর্টফোলিও) থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পেইড রিভিউ কনটেন্ট লিখে আয়
একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের মর্যাদা সবদিকেই অনেক বেশি। আপনি যদি একজন ভালো কনটেন্ট রাইটার হয়ে থাকেন, তাহলে আপনি চাইলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে ইনকাম করতে পারেন। অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা তাদের পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন রিভিউ করার জন্য কনটেন্ট রাইটার খোঁজেন।
একজন রিভিউ লেখকের বা কনটেন্ট রাইটারের কাজ হচ্ছে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবার ইতিবাচক দিকগুলো ক্রেতার সামনে তুলে ধরা, যাতে একজন ক্রেতা সেই পণ্য কিনতে বা সেবা নিতে আগ্রহী হন। এ কাজের জন্য প্রতিষ্ঠানটিও আপনাকে ভালো সম্মানী দিতে চাইবে।
এর দুটি সুবিধা। প্রথমত, আপনি প্রতিষ্ঠান থেকে নির্দিষ্ট একটি সম্মানী পাচ্ছেন। দ্বিতীয়ত, আপনার লেখা রিভিউগুলো আপনার ওয়েবসাইটে থাকছে, যা আপনি পরে অন্য ক্লায়েন্টদের দেখিয়ে নতুন কোনো প্রজেক্ট পেতে পারেন। তবে অবশ্যই আপনাকে কনটেন্ট রাইটিংয়ে পারদর্শী হতে হবে। লেখার কোয়ালিটি হতে হবে সুন্দর ও মার্জিত। তাহলেই আপনার ওয়েবসাইটে কাজ করে টাকা ইনকাম করার পথ সহজ হবে।
‘ফেসবুক ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল’-এর মাধ্যমে আয়
আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে আপনি ফেসবুকের ইনস্ট্যান্ট আর্টিকেল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও আয় করতে পারবেন। সে জন্য আপনার অবশ্যই ন্যূনতম ১০০০ লাইকসহ একটি অ্যাকটিভ পেজ থাকতে হবে। একই সঙ্গে সেই পেজ ফেসবুক থেকে মোনিটাইজ করে নিতে হবে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট ফেসবুক পেজে শেয়ার করেও সেখান থেকে আয় করতে পারবেন।
ওয়েবসাইট থাকলে এবং তাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনফরমেটিভ কনটেন্ট থাকলে, আপনি ওপরে যেকোনো উপায়ে আয় করতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন, যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইউনিক ও তথ্যবহুল কনটেন্ট। এটি থাকলে একজন ইউজারকে তার চাহিদামতো প্রয়োজনীয় সব তথ্য প্রদান করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে ইউজাররাও আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত আসবেন এবং সময়ের সঙ্গে ওয়েবসাইটের ইউজার বাড়তে থাকবে। ইউজার বাড়লে ওয়েবসাইট থেকে আয়ের পরিমাণও বাড়তে থাকবে।
অনলাইনে আয় সম্পর্কিত পড়ুন:

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।
আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।
নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—
১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।
২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।
জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।
রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।
৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।
৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।
নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।
নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।
খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।
মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]
অথবা ডাকযোগে,
সচিব
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ
আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)
আগারগাঁও, ঢাকা।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।
আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।
ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।
সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।
অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।
এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।
এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।
ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।
দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।
অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:
অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।
অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।
যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
২ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।
‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।
গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’
অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।
তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।
কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।
সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।
গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।
গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।
এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।
হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

বর্তমান যুগ হচ্ছে ডিজিটাল যুগ, যেখানে আপনি চাইলে ঘরে বসে অর্থ উপার্জন করতে পারেন খুব সহজেই। এই সময়ে ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করাটাও উপার্জনের খুব জনপ্রিয় একটি পথ। ওয়েবসাইটের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার কী লাগবে? প্রথমেই লাগবে একটি ওয়েবসাইট, যার মাধ্যমে আপনি লাইফটাইম প্যাসিভ ইনকাম করতে পারেন।
১৬ মার্চ ২০২২
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’। আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।
১ দিন আগে
প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি ন
২ দিন আগে
অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।
২ দিন আগে