Ajker Patrika

ওয়েবক্যাম হ্যাকড কি না বুঝবেন কীভাবে, নিরাপদ থাকার ৫ উপায়

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৩৪
কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে কি না। ছবি: মেক ইউজ অব
কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে কি না। ছবি: মেক ইউজ অব

পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, অফিসের কাজে বা অনলাইন ক্লাসের জন্য ওয়েবক্যাম একটি দরকারি প্রযুক্তি। তবে এই ছোট্ট ডিভাইসটিই অনেক সময় আমাদের সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা ঝুঁকি হয়ে দাঁড়ায়। হ্যাকাররা আপনার ওপর নজর রাখতে ওয়েবক্যাম ব্যবহার করতে পারে। আর তখনই গোপনীয়তার লঙ্ঘন ঘটে, যা ব্যক্তিগত জীবনকে বিপদে ফেলতে পারে। তাই, নিজের ওয়েবক্যাম হ্যাক হয়েছে কি না, তা বোঝা জরুরি।

কিছু লক্ষণ দেখে বোঝা যেতে পারে আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাকিংয়ের শিকার হয়েছে কি না। এসব লক্ষণ হলো—

১. আপনার পিসিতে অপরিচিত ফাইল

বেশির ভাগ হ্যাকার তাদের অস্তিত্ব লুকানোর জন্য পিসির ড্রাইভ থেকে নিজেদের হ্যাকিংয়ে সব চিহ্ন মুছে ফেলে। তবে তারা মুছে ফেলার আগে আপনি তাদের ধরে ফেলতে পারেন। এমন ক্ষেত্রে প্রথমে আপনার ওয়েবক্যামের ডিফল্ট স্টোরেজ লোকেশন এবং পিসির রিসাইকেল বিন চেক করুন, কারণ সেখানেই কিছু ভিডিও বা ছবি থাকতে পারে। যদি এসব ফোল্ডারে এমন ভিডিও বা ছবি থাকে, যেগুলো আপনি রেকর্ড করেননি, তখন বুঝতে পারবেন ওয়েবক্যাম হ্যাক হয়েছে। আর যদি পিসি বা ল্যাপটপের একমাত্র ব্যবহারকারী কেবল আপনিই হন, তাহলে আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়। তবে নিশ্চিত হওয়ার আগে অবশ্যই ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপগুলোর সেটিংসে স্বয়ংক্রিয় রেকর্ডিং ফিচার সক্রিয় আছে কি না, তা পরীক্ষা করে নিন।

২. ওয়েবক্যামের লাইট মাঝে মাঝে নিজে থেকে জ্বলে ওঠে

বেশির ভাগ ওয়েবক্যামের পাশে ছোট একটি ইন্ডিকেটর লাইট থাকে, যা ক্যামেরা চালু থাকলে জ্বলে ওঠে। তবে কিছু কিছু পিসিতে এই লাইট না-ও থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে স্ক্রিনের নিচে ট্রে আইকন হিসেবে ক্যামেরা ব্যবহারের নোটিফিকেশন দেখা যায়।

যদি কখনো এমন দেখা যায় যে আপনি ওয়েবক্যাম ব্যবহার করছেন না অথচ ক্যামেরার লাইট জ্বলে উঠছে বা কোনো নোটিফিকেশন আসছে, তাহলে এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে, আপনার ক্যামেরা ব্যবহার হচ্ছে। এ অবস্থায় ধরে নেওয়া যায়, কোনো হ্যাকার টরজান বা অন্য কোনো রিমোট অ্যাকসেস ম্যালওয়্যারের মাধ্যমে আপনার ওয়েবক্যামের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

তবে ‘হ্যাক হয়েছে’ বলার আগে নিশ্চিত হয়ে নিন এটা মিথ্যা অ্যালার্ম নয়। অনেক সময় কোনো ব্রাউজার এক্সটেনশন বা ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকা ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপের কারণেও ক্যামেরার আলো জ্বলে উঠতে পারে।

এটি যাচাই করতে চাইলে একে একে ব্রাউজারের প্রতিটি এক্সটেনশন বন্ধ করুন এবং প্রতিবার ক্যামেরার লাইট দেখুন। যেটা বন্ধ করলে আলো নিভে যায়, সেই এক্সটেনশনই দায়ী ক্যামেরার ইন্ডিকেটর লাইটের জন্য।

৩. কম্পিউটারের নিরাপত্তা সেটিংস পরিবর্তন করা হয়েছে

হ্যাকারদের তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে হলে আপনার কম্পিউটারকে কম নিরাপদ করে। এ জন্য তারা ম্যালওয়্যার ব্যবহার করে নিরাপত্তা সেটিংসে পরিবর্তন আনে। এটি ঘটেছে কি না, তা যাচাই করতে প্রথমে আপনার ওয়েবক্যাম অ্যাপটি খুলুন এবং সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) সেটিংসে যান।

সেখানে গিয়ে খেয়াল করুন পাসওয়ার্ড পরিবর্তন হয়েছে কি না, কোনো অচেনা বা সন্দেহজনক অ্যাপস আছে কি না অথবা এমন কোনো অ্যাপস আছে কি না, যেগুলো আপনার ওয়েবক্যামে অ্যাকসেস পাচ্ছে অথচ আপনি জানেন না। এ ধরনের অ্যাপ দিয়েই হ্যাকাররা ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিতে পারে। পাশাপাশি এমন কোনো নিরাপত্তা নোটিফিকেশন বন্ধ আছে কি না, যা আসলে চালু থাকার কথা নয়।

শুধু ওয়েবক্যাম অ্যাপই নয়, উইন্ডোজ ও অ্যান্টিভাইরাস সফটওয়্যারেও একই ধরনের পরীক্ষা করুন। কারণ এগুলোই সেই মূল নিরাপত্তা স্তর, যেখানে হ্যাকাররা ফাঁকফোকর খোঁজে।

৪. হ্যাকারদের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত বার্তা পাওয়া

হ্যাকারদের মধ্যে একটি সাধারণ প্রতারণার কৌশল হলো—আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাক করা হয়েছে বলে দাবি করে আপনাকে ভয় দেখানো এবং অর্থ আদায়ের চেষ্টা করা। এ ধরনের বার্তাগুলোতে হ্যাকাররা প্রায়ই আপনার চেহারা বা ব্যক্তিগত কোনো তথ্য উল্লেখ করে, যাতে আপনি তাদের দাবি বিশ্বাস করেন।

এই পরিস্থিতিতে তারা সাধারণত অর্থ বা বিটকয়েন দাবি করে এবং কীভাবে, কোথায় সেই অর্থ পাঠাতে হবে তা বার্তায় জানিয়ে দেয়।

এ ধরনের বার্তা পেলে প্রথমে যা মনে রাখা দরকার তা হলো—আপনার ওয়েবক্যামের ওপর হ্যাকার আসলেই কতটা নিয়ন্ত্রণ রাখে সেটা নিশ্চিত হতে হবে। হতে পারে তারা আংশিক বা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, আবার হতে পারে তারা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলছে। অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় থাকা আপনার ছবিই তারা ব্যবহার করে আপনাকে বোকা বানাতে চেষ্টা করে।

তাই ভয় না পেয়ে বার্তাগুলো বিশ্লেষণ করে দেখুন—এগুলো বিশ্বাসযোগ্য কি না এবং সম্ভাব্য প্রমাণ আছে কি না। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে অবশ্যই সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞের সহায়তা নিন।

এ কারণে কোনো অবস্থাতেই হ্যাকারদের দাবি অনুযায়ী মুক্তিপণ বা অর্থ প্রদান করা উচিত নয়। অর্থ দেওয়া মানে তাদের অপরাধে উৎসাহ দেওয়া এবং নিজেকে আরও বড় বিপদে ফেলা। এর পরিবর্তে, যদি আপনি মনে করেন যে হ্যাকারদের হুমকি সত্যি হতে পারে, তাহলে দ্রুত কোনো সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরামর্শ নিন।

৫. ওয়েবক্যাম নিজে থেকেই বারবার চালু হয়ে যাচ্ছে

আপনার ওয়েবক্যাম আসলেই হ্যাক হয়েছে কি না, তা জানার আরেকটি উপায় হলো—ওয়েবক্যামটি উইন্ডোজ সেটিংস থেকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দিন। তারপর কিছু সময় পর্যবেক্ষণ করুন—ক্যামেরা নিজের থেকে আবার চালু হচ্ছে কি না। যদি এমন ঘটে, তবে ধরে নেওয়া যায়, কোনো হ্যাকার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ওয়েবক্যাম বন্ধ করতে উইন্ডোজের সেটিংসে প্রবেশ করুন। এরপর ‘ব্লুটুথ অ্যান্ড ডিভাইসেস’ অপশনে ট্যাপ করুন। এখন ‘ক্যামেরা’ অপশনটি বাছাই করে নিন। এবার ‘ইন্টিগ্রেটেড ওয়েবক্যাম’-এর ডান পাশে থাকা ‘ডিসঅ্যাবল’ বাটনে ক্লিক করুন।

তবে মনে রাখতে হবে, এই উপায় নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করে না যে আপনার ওয়েবক্যাম হ্যাক হয়েছে। কারণ, অনেক সময় উইন্ডোজ আপডেট বা এমন কিছু অ্যাপও আছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্যামেরা চালু করতে পারে। তাই পরীক্ষার সময় এসব বিষয় মনে রাখা জরুরি।

ওয়েবক্যাম হ্যাকিং থেকে বাঁচার ৫ উপায়

১. ফায়ারওয়াল সক্রিয় করুন

ফায়ারওয়াল আপনার নেটওয়ার্ক ট্রাফিক পর্যবেক্ষণ করে এবং সন্দেহজনক সংযোগ ব্লক করে। উইন্ডোজে ফায়ারওয়াল সক্রিয় করতে প্রথমেই কন্ট্রোল প্যানেলে প্রবেশ করুন। এরপর ‘সিস্টেম অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে যান। এবার ‘উইন্ডোজ ডিফেন্ডার ফায়ারওয়াল’ চালু করুন।

ম্যাকওয়েসের নিরাপত্তাব্যবস্থা চালু করতে প্রথমে ‘সিস্টেম প্রিফারেন্সেস’ অপশনে যান। এরপর ‘সিকিউরিটি অ্যান্ড প্রাইভেসি’ অপশন খুঁজে বের করুন। সবশেষে ফায়ারওয়াল চালু করে দিন।

২. ভালো অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন

একটি শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাস ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার ও ভাইরাস থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে। ভালো অ্যান্টিভাইরাস আপনার কম্পিউটারে অতিরিক্ত সুরক্ষা দেয়—ম্যালওয়্যার, ট্র্যাকার ও ক্ষতিকর ওয়েবসাইট ব্লক করে।

৩. ফিশিং প্রতারণা এড়িয়ে চলুন

অজানা ইমেইল, লিংক বা ফাইল ডাউনলোড করবেন না। হ্যাকাররা সাপোর্ট এজেন্ট (সাহায্যকারী হিসেবে) সেজে আপনাকে রিমোট অ্যাকসেস সফটওয়্যার ইনস্টল করাতে পারে, যার মাধ্যমে তারা ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে।

৪. পাবলিক ওয়াই-ফাই ব্যবহার করলে সতর্ক থাকুন

পাবলিক জায়গায় বিনা মূল্যের ওয়াইফাই খুব সহজেই হ্যাক করা যায়। ভিপিএন ব্যবহার করলে আপনার ডেটা এনক্রিপ্টেড থাকবে এবং হ্যাকারদের নজরদারি থেকে নিরাপদ থাকবেন।

৫. ওয়েবক্যাম ঢেকে রাখুন

সবচেয়ে সহজ ও নির্ভরযোগ্য উপায় ক্যামেরায় টেপ বা স্টিকার লাগিয়ে রাখা। এখন বাজারে আক স্লাইডিং ওয়েবক্যাম কভারও পাওয়া যায়, সেগুলোও ব্যবহার করতে পারেন।

তথ্যসূত্র: পিসিম্যাগ ও নর্ড ভিপিএন

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালার খসড়া প্রকাশ

জাতীয় সোর্স কোড নীতিমালা ২০২৫-এর খসড়া প্রকাশ করেছে সরকার। সরকারি অর্থায়নে নির্মিত সফটওয়্যারকে ‘জাতীয় সম্পদ’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং জনগণের অর্থে নির্মিত সফটওয়্যারের ওপর জনস্বার্থভিত্তিক মালিকানা, নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও পুনর্ব্যবহারযোগ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই খসড়া তৈরি করা হয়েছে।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ওয়েবসাইটে (ictd.gov.bd) খসড়াটি প্রকাশ করা হয়েছে। যার ট্যাগলাইন ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’।

আজ বৃহস্পতিবার ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নীতিমালাটি সরকারিভাবে উন্নয়ন/অধিগৃহীত সফটওয়্যার সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন, অ্যাপ, এপিআই (অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস) ও ডিজিটাল সেবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য; যা জাতীয় বাজেট, বৈদেশিক ঋণ বা সরকারের অধীন বাস্তবায়িত উন্নয়ন সহযোগী অর্থায়নে পরিচালিত। এটি সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/সংবিধিবদ্ধ, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার জন্য বাধ্যতামূলক।

নীতিমালার প্রধান বিধানসমূহ—

১. কেন্দ্রীয় জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরি বাধ্যতামূলক: সরকারি অর্থায়নে তৈরি সব সফটওয়্যারের সোর্স কোড, ডকুমেন্টেড ও সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যার উপাদান যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল দ্বারা পরিচালিত জাতীয় সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট সোর্স কোড রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ না হওয়া পর্যন্ত অনির্ভরযোগ্য কোনো সফটওয়্যার প্রোডাকশনে ডেপ্লয় করা যাবে না। রিপোজিটরিতে বিস্তারিত ট্রেসেবিলিটি ও নিরীক্ষাযোগ্যতা নিশ্চিত করার নির্দেশনা রয়েছে। প্রয়োজনে এসক্রো ব্যবস্থা স্থাপনের নির্দেশনা রয়েছে।

২) পুনর্ব্যবহারে অগ্রাধিকার নীতি: নতুন সফটওয়্যার উন্নয়ন শুরুর আগেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে ‘রিইউজ ফার্স্ট’ পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে; বাধ্যতামূলকভাবে বিদ্যমান কাছাকাছি সমাধান পুনর্ব্যবহার এবং পুনর্ব্যবহার না করলে তার যৌক্তিকতা লিখিতভাবে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার বিধান রাখা হয়েছে।

৩) ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’ বাধ্যতামূলক সোর্স কোড উন্মুক্তকরণ ও নির্দিষ্ট শর্তে অব্যাহতি: নীতিমালার মূলনীতি হিসেবে ‘পাবলিক মানি, পাবলিক কোড’; অব্যাহতি না দেওয়া পর্যন্ত সরকারের মালিকানাধীন সোর্স কোড সাধারণভাবে উন্মুক্ত বলে গণ্য হবে।

জাতীয় নিরাপত্তা/প্রতিরক্ষা, গোপনীয়তা বা বিশেষ ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ ওই নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে উন্মুক্তকরণ থেকে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে রেপোজিটরির মাধ্যমে রক্ষণাবেক্ষণ থেকে অব্যাহতি থাকবে না; অব্যাহতিপ্রাপ্ত সিস্টেমের জন্য লিখিত যুক্তি, নিবন্ধন, পাবলিক কোড রেজিস্ট্রি এবং পর্যায়ক্রমিক পর্যালোচনার বিধান রাখা হয়েছে। সোর্স কোড উন্মুক্ত করার ক্ষেত্রে অনুমোদিত লাইসেন্স ব্যবহারের নীতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

৪) নিরাপদ উন্নয়ন, CI/CD (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের একটি প্রক্রিয়া) বাধ্যতামূলক এবং অ্যাকসেস কন্ট্রোল: নিরাপদ কোডিং নির্দেশিকা প্রণয়ন ও তদারকির জন্য ‘স্ট্যান্ডার্ড কোডিং গাইডলাইন কমিটি’ভিত্তিক কাঠামো প্রস্তাব করা হয়েছে। সফটওয়্যার স্থাপনায় অনুমোদিত CI/CD পাইপলাইন অনুসরণ বাধ্যতামূলক—স্বয়ংক্রিয় পরীক্ষা, দুর্বলতা স্ক্যানিং, লাইসেন্স যাচাই এবং প্রোডাকশনে প্রকাশের আগে ম্যানুয়াল অনুমোদনসহ।

রিপোজিটরি ‘রোল বেজড অ্যাকসেস কন্ট্রোল’-এর অধীনে পরিচালিত হবে এবং কন্ট্রিবিউটর/মেইনটেইনার/অনুমোদনকারী/নিরীক্ষকদের প্রবেশাধিকারের আগে সরকার অনুমোদিত এনডিএ (অপ্রকাশ চুক্তি) স্বাক্ষরের বিধান রয়েছে।

৫) ডেটাসেট ব্যবস্থাপনা ও জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধন: সরকারি সফটওয়্যারের সঙ্গে সম্পর্কিত ডেটাসেটকে উন্মুক্ত, সীমাবদ্ধ ও নিয়ন্ত্রিত—এই তিন শ্রেণিতে শ্রেণিবদ্ধ করে প্রয়োজনীয় মেটাডেটাসহ জাতীয় ডেটা ক্যাটালগে নিবন্ধনের নির্দেশনা রয়েছে। মেশিন লার্নিং/এপিআইভিত্তিক সিস্টেমের ক্ষেত্রে ইনপুট-আউটপুট কাঠামো, ডেটাসেট উৎস ও ইউজ কেস ডকুমেন্টেশন রিপোজিটরিতে সংরক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ/নিয়ন্ত্রিত ডেটাসেট ব্যবহারে এনডিএ বাধ্যতামূলক করার বিধান আছে।

৬) বাস্তবায়ন, তদারকি ও সম্মতিসংক্রান্ত বিধান: নীতিমালা প্রয়োগ, ব্যাখ্যা ও ছাড়পত্র প্রদানে কর্তৃপক্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং রিপোজিটরি ব্যবস্থাপনা, CI/CD অবকাঠামো ও নিরাপদ অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল পরিচালন সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে।

নীতিমালা যথাযথভাবে অনুসরণে ব্যর্থ হলে ব্যবস্থা গ্রহণের বিধান রাখা হয়েছে।

নীতিমালাটি প্রতি তিন বছর অন্তর (বা প্রয়োজন অনুযায়ী তার আগেই) পর্যালোচনা ও হালনাগাদের বিধান রয়েছে।

খসড়া নীতিমালাটি অংশীজনের মতামতের জন্য আইসিটি ডিভিশন ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়াটির ওপর দেশে বা বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক লিখিত মতামত বা সুপারিশ পাঠাতে পারবেন।

মতামত পাঠানোর ঠিকানা: [email protected]

অথবা ডাকযোগে,

সচিব

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ

আইসিটি টাওয়ার (চতুর্থ তলা)

আগারগাঁও, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮: ৩১
প্রবাসীরা ৬০ দিনের বেশি দেশে থাকলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে

প্রবাসীরা ছুটি কাটাতে দেশে এসে ৬০ দিনের বেশি অবস্থান করলে মোবাইল ফোন নিবন্ধন করতে হবে। এ ছাড়া প্রবাসীদের যাঁদের জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) নিবন্ধন কার্ড আছে, তাঁরা দেশে আসার সময় ট্যাক্স (কর) ছাড়াই তিনটি ফোন সঙ্গে আনতে পারবেন। অর্থাৎ নিজের ব্যবহারের হ্যান্ডসেটের অতিরিক্ত দুটি নতুন ফোন সঙ্গে নিয়ে আসতে পারবেন।

আবার যাঁদের বিএমইটি কার্ড নেই, তাঁরা নিজের ব্যবহারের ফোনের পাশাপাশি অতিরিক্ত একটি ফোন ট্যাক্স দিয়ে আনতে পারবেন।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) কার্যকর করা এবং বৈধভাবে মোবাইল ফোন আমদানির শুল্কহার কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত সোমবার (১ ডিসেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যবের সচিবালয়ের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

সভায় এনইআইআর কার্যকর-সম্পর্কিত বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর মধ্যে রয়েছে—স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা। সে সঙ্গে দেশের কারখানায় উৎপাদিত ফোনের ভ্যাট-ট্যাক্স কমিয়ে আনা।

সভাসূত্রে জানা যায়, বিটিআরসির পক্ষ থেকে স্মার্টফোনের বৈধ আমদানি শুল্ক উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার বিষয়ে বলা হয়। বিটিআরসি মনে করে, শুল্ক কমালে বৈধভাবে আমদানি করা মোবাইল ফোনের দাম কমে আসবে। বর্তমানে বৈধ পথে মোবাইল আমদানির শুল্ক প্রায় ৬১ শতাংশ। এই শুল্কহার উল্লেখযোগ্য হারে কমাতে সরকার কাজ শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।

সভায় নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে বলা হয়, আমদানি শুল্ক কমালে বাংলাদেশের ১৩-১৪টি ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা মোবাইলের শুল্ক ও ভ্যাট কমাতে হবে। অন্যথায় কোম্পানিগুলোর বিদেশি বিনিয়োগ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমদানি ও অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের শুল্ক কমানো ও তা সমন্বয় নিয়ে বিটিআরসি এবং এনবিআর যৌথভাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একাধিকবার বসেছে এবং দ্রুততার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে। আলোচনার ফলাফল দেশের ডিভাইস ইন্ডাস্ট্রির অনুকূলে আসবে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় বিশ্বাস করে।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিদেশ থেকে মোবাইল ফোন দেশে আনার ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার বৈধ কাগজপত্র নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। কেননা, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর কিংবা মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বিমানবন্দরে চোরাচালানিরা সাধারণ প্রবাসীদের চাপাচাপি করে সোনা, দামি মোবাইল ফোন ইত্যাদির শুল্কহীন পাচারে লিপ্ত আছে। চোরাচালানিদের এই অপচেষ্টা রোধ করার জন্যই কেনা মোবাইলের কাগজ সঙ্গে রাখতে হবে।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে বিদেশের পুরোনো ফোনের ডাম্পিং বন্ধ করা হবে। কেসিং পরিবর্তন করে এসব ইলেকট্রনিক বর্জ্য দেশে ঢুকিয়ে যে রমরমা চোরাকারবারি ব্যবসা শুরু করা হয়েছে, সেটা বন্ধ করা হবে। বিমানবন্দর ও স্থলবন্দরগুলোতে ভারত, থাইল্যান্ড, চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলো শনাক্ত করা হচ্ছে, দ্রুতই কাস্টমস থেকে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশে ক্লোন মোবাইল, চুরি ও ছিনতাই করা ফোন এবং রিফারবিশড মোবাইল ফোন আমদানি বন্ধ করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ১৬ ডিসেম্বরের আগে বাজারে অবৈধভাবে আমদানি করা মজুত ফোনগুলোর মধ্যে যেগুলোর বৈধ আইএমইআই (শনাক্তকরণ নম্বর) আছে, সেই তালিকা বিটিআরসিতে জমা দিয়ে হ্রাসকৃত শুল্কে সেগুলোকে বৈধ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ নিয়ে এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে ক্লোন ও রিফারবিশড ফোনের ক্ষেত্রে এই সুবিধা দেওয়া হবে না। এনইআইআর চালু হলে ১৬ ডিসেম্বরের আগে সচল করা কোনো হ্যান্ডসেট বন্ধ হবে না। এ-সংক্রান্ত গুজব থেকে সচেতন থাকতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১১
৭০০০ এমএএইচ ব্যাটারির ফোন এনেছে অপো

অপো বাজারে আনল তাদের নতুন স্মার্টফোন অপো এ৬। বর্তমানে চলমান ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভ্যাল ২০২৫-এর উৎসবের মধ্যেই ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা-লার্জ ব্যাটারি, আইপি ৬৯ আলটিমেট ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেসিজট্যান্স এবং নিরবচ্ছিন্ন পারফরম্যান্সের জন্য সুপারকুল ভিসি সিস্টেম সহ এই শক্তিশালী ডিভাইসটি উন্মোচিত হলো।

আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী সব অফিশিয়াল অপো স্টোর এবং অনুমোদিত ডিলারদের কাছে অপো এ৬ পাওয়া যাবে।

অপো এ৬ স্মার্টফোনের ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ার ব্যাটারি ২৯.৭৩ ঘণ্টা পর্যন্ত একটানা ইউটিউব প্লেব্যাক এবং ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো ভয়েস কলের নিশ্চয়তা দেয়। পাঁচ বছর স্বাভাবিক ব্যবহারের পরেও এর ব্যাটারি ৮০ শতাংশেরও বেশি সক্ষম থাকবে।

তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইসটিতে রয়েছে ৩৯০০ বর্গমিলিমিটারের ভ্যাপর চেম্বার দিয়ে সজ্জিত সুপারকুল ভিসি সিস্টেম, যা কার্যকর তাপ নিঃসরণ নিশ্চিত করে।

এই স্মার্টফোনটির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হলো এর আইপি ৬৯ রেটিং। অর্থাৎ অপো এ৬ উচ্চচাপের পানির জেট, পানিতে ডোবা, গরম পানি এবং ধুলোবালি থেকেও সম্পূর্ণ সুরক্ষিত থাকবে।

এছাড়াও, অপো এ৬-এ অপটিমাইজড টাচ চিপ অ্যালগরিদম ও স্প্ল্যাশ টাচ মোড থাকায়, স্ক্রিনে পানি বা হালকা তেল লেগে থাকলেও এর টাচ অপারেশন স্মুথ থাকে।

ফটোগ্রাফির জন্য অপো এ৬-এ রয়েছে ৫০ মেগাপিক্সেল রেয়ার এবং ফ্রন্ট ক্যামেরা। এতে যুক্ত করা হয়েছে এআই ইরেজার ২.০-এর মতো সর্বাধুনিক এআইজিসি (এআই জেনারেটিভ কনটেন্ট) ফিচার, যার মাধ্যমে ছবির অবাঞ্ছিত বস্তু সহজেই মুছে ফেলা যায়।

দুর্বল নেটওয়ার্ক এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ নিশ্চিত করতে ডিভাইসটিতে কিউওই এআই স্মার্ট নেটওয়ার্ক সিলেকশন ফিচারও দেওয়া হয়েছে।

অপো এ৬ অরোরা গোল্ড ও স্যাফায়ার ব্লু এই দুটি অনন্য রঙে বাজারে এসেছে। ডিভাইসটি দুইটি ভিন্ন দামে পাওয়া যাচ্ছে:

অপো এ৬ (৬ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৪,৯৯০ টাকা।

অপো এ৬ (৮ জিবি + ১২৮ জিবি) : মূল্য ২৬,৯৯০ টাকা।

যেসব ক্রেতা অপো এ৬ প্রি-অর্ডার করছেন, তাঁরা ‘ও’ ফ্যানস ফেস্টিভাল লটারি অফারে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। এই অফারে মিলিয়ন টাকা ড্রিম ট্রিপ, বাই ওয়ান গেট ওয়ান, অপো এনকো বাডস ৩ প্রো, অপো ওয়াচ এক্স ২, রুম হিটার সহ নানান আকর্ষণীয় পুরস্কার এবং প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর জন্য নিশ্চিত উপহার হিসেবে উইন্টার হুডি জেতার সুযোগ রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কর্মীদের ফোনের টেক্সট মেসেজ দেখতে পারবেন বস, গুগলের নতুন ফিচার

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
গুগলের এই নতুন ফিচারটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর জন্য। ছবি: গুগল ব্লগ
গুগলের এই নতুন ফিচারটি প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোর জন্য। ছবি: গুগল ব্লগ

গুগল সম্প্রতি নতুন একটি ফিচার এনেছে যার মাধ্যমে কর্মীকে দেওয়া অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আদান-প্রদান করা সব ধরনের টেক্সট বার্তা (এসএমএস ও আরসিএস) সংরক্ষণ ও পর্যালোচনা করতে পারবেন নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান। এ তথ্য জানিয়েছে অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি।

‘অ্যান্ড্রয়েড আরসিএস আর্কাইভাল’ নামে এই নতুন ফিচারের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কর্মস্থলের জন্য ব্যবহৃত ডিভাইসগুলোতে গুগল মেসেজেসেথার্ড-পার্টি আর্কাইভিং অ্যাপ্লিকেশন যুক্ত করতে পারবে।

গুগলের সিনিয়র প্রোডাক্ট ম্যানেজার ইয়ান মারসানাই এক ব্লগপোস্টে লিখেছেন, ‘আমাদের নতুন সমাধানটি থার্ড-পার্টি আর্কাইভাল অ্যাপগুলোকে কর্মস্থলের ডিভাইসে থাকা গুগল মেসেজেসের সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যখন কোনো ডিভাইস পুরোপুরি প্রতিষ্ঠান-নিয়ন্ত্রিত থাকে এবং আইটি টিম সেই ডিভাইসটি কনফিগার করে, তখন প্রতিটি আরসিএস বার্তা ডিভাইসে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে আর্কাইভিং অ্যাপকে জানিয়ে দেওয়া হয়। শুধু বার্তা পাঠানো বা গ্রহণের সময়ই নয়, কোনো বার্তা সম্পাদনা করা হলে বা মুছে ফেললেও। এরপর আর্কাইভিং অ্যাপ সেই বার্তার তথ্য পড়ে এবং তা আপনার প্রতিষ্ঠানের আইটি বিভাগকে সরবরাহ করে।’

অর্থাৎ, নিয়োগকর্তারা এখন থেকে কর্মীদের টেক্সট মেসেজগুলো, এমনকি যেগুলো সম্পাদনা বা মুছে ফেলা হয়েছে, সেগুলোও আইনগত বাধ্যবাধকতা এবং নিয়ন্ত্রক হিসেবে সংরক্ষণ করে রাখতে পারবেন।

তবে এই ফিচারটি শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান-পরিচালিত ডিভাইসগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। এটি ব্যক্তিগত ফোন বা আলাদা ওয়ার্ক প্রোফাইল যুক্ত ডিভাইসগুলোর ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না।

কর্মীরা সাধারণত টেক্সট মেসেজিংকে ইমেইল আদান-প্রদানের চেয়ে ভিন্ন মনে করেন। এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের ধারণা থেকে তারা মনে করতেন, কর্মস্থলের ফোনেও তাদের টেক্সট মেসেজগুলো নিরাপদ।

সেক্ষেত্রে এখন তাদের জানা প্রয়োজন, অফিসের ফোনে পাঠানো তাদের টেক্সট বার্তা আর ব্যক্তিগত থাকছে না। নিয়োগকর্তারা এসব বার্তায় প্রবেশাধিকার পাচ্ছেন, যার মধ্যে ব্যক্তিগত কথোপকথন বা সংবেদনশীল তথ্যও থাকতে পারে।

গুগল জানিয়েছে, নতুন এই আপডেট মূলত ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়মকানুন মেনে চলা এবং আইনি তদন্তসংক্রান্ত অনুরোধের সাড়া দিতে সহায়তা করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। অর্থ ও স্বাস্থ্যসেবা খাতের মতো কিছু শিল্পে কর্মীদের যোগাযোগের রেকর্ড সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক।

গুগলের ভাষ্যমতে, এই আপডেট একটি নির্ভরযোগ্য, অ্যান্ড্রয়েড-সমর্থিত বার্তা-সংরক্ষণ সমাধান, যা এসএমএস ও এমএমএস বার্তার সঙ্গেও কাজ করবে। আর্কাইভাল সুবিধাটি সক্রিয় থাকলে কর্মীরা তাদের ডিভাইসে একটি স্পষ্ট নোটিফিকেশন দেখতে পাবেন।

এছাড়া আরও বলা হয়েছে, গুগল পিক্সেল ও অন্যান্য সামঞ্জস্যপূর্ণ অ্যান্ড্রয়েড এন্টারপ্রাইজ ডিভাইসগুলোতে পাওয়া এই নতুন সুবিধাটি কর্মীদের আরসিএস-এর সব সুবিধা—যেমন, টাইপিং ইন্ডিকেটর, রিড রিসিট এবং অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলোর মধ্যে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে, সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ন্ত্রক বিধিনিষেধ পূরণ করতেও নিশ্চিত করছে।

হোয়াটসঅ্যাপ বা টেলিগ্রামের মতো অন্যান্য মেসেজিং অ্যাপ এই আপডেটের আওতায় পড়ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত