
বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে গতকাল ঢুকেই চোখ পড়ল ‘স্টুয়ার্ট ল’ স্ট্যান্ড। বাংলাদেশ দলের সাবেক ও বর্তমানে বিসিবির যুব দলের প্রধান কোচ স্টুয়ার্ট ল এই মুহূর্তে আছেন ঢাকায়। বাংলাদেশ দল এখন তাঁরই রাজ্য কুইন্সল্যান্ডের ব্রিসবেনে। সাবেক অজি ক্রিকেটার আজকের পত্রিকাকে বললেন বাংলাদেশের পুরো বিশ্বকাপ অভিযান নিয়েই।
রানা আব্বাস, ব্রিসবেন থেকে

প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
প্রশ্ন: কুইন্সল্যান্ডের ক্রিকেটার হিসেবে অ্যালান বোর্ডার মাঠ নিয়ে আপনার নিশ্চয়ই অনেক সুখস্মৃতি...
স্টুয়ার্ট ল: অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
প্রশ্ন: অস্ট্রেলিয়ার একেক জায়গায় একেক আবহাওয়া। বিচিত্র এ কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া বাংলাদেশের জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং?
ল: বাংলাদেশের মতো এশিয়ার দলগুলোর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগবে। ঢাকা থেকে এখানকার আবহাওয়ার আচরণ একটু ভিন্ন। খেলোয়াড়দের প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে উইকেটে পেস এবং বাউন্সের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়া। বেশির ভাগ পিচ, এমনকি অ্যালান বোর্ডার মাঠের উইকেটেও পেস ও বাউন্স রয়েছে। উপমহাদেশের ক্রিকেটাররা যেটার সঙ্গে অভ্যস্ত নয়। এর জন্য তাদের একটু সময় লাগবে। যদিও হাতে বেশি সময় নেই। তবে তারা কতটা মানিয়ে নিতে পারছে সেটার ওপর বিশ্বকাপে পারফর্ম করা অনেকাংশে নির্ভর করছে। যত বেশি তারা এ ধরনের কন্ডিশনে খেলবে, তত ভালো করার সম্ভাবনা বাড়বে। বাংলাদেশে এই জিনিসটার অভাব রয়েছে। তাদের এমন উইকেটে খেলা প্রয়োজন যেখানে ঘাস আছে, শক্ত এবং পেস-বাউন্সি। এ ধরনের উইকেটে খেললে দ্রুত উন্নতি হবে। আমি জানি, তাদের ঘরোয়া ক্রিকেট এখনো এই পর্যায়ে যায়নি। ভারত এই জিনিসটার চর্চা অনেক দিন ধরে করছে। পাকিস্তানও বেশ লম্বা সময় ধরে এটা করে আসছে। এ জন্য তারা পেস ও বাউন্সি উইকেটেও ভালো করে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ দল প্রথমবার এখানে টি-টোয়েন্টি খেলতে এসেছে। ভালো কিছু করা আসলে কতটা কঠিন?
ল: এটা আসলেই কঠিন হবে। তারা একটা পুনর্নির্মাণ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে তারা টানা হেরেছে। তবে তারা উন্নতির চেষ্টা করছে, যেটা দারুণ ব্যাপার। আপনি উন্নতি করতে পারবেন না, যদি না মনে করেন আপনার উন্নতির দরকার। তারা বলেছে, তারা পরিবর্তন আনতে চাচ্ছে, উন্নতি করতে চাচ্ছে। তাদের কোচিং স্টাফ অনেক সমৃদ্ধ। অস্ট্রেলিয়ায় জেমি সিডন্সের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। কোন মাঠে কেমন রান হতে পারে এ সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা রয়েছে। তাদের যদি কোনো পরামর্শের দরকার হয়, আমি মনে করি জেমি এটা খুব ভালোভাবেই দিতে পারবে। অ্যালান ডোনাল্ডেরও পেস ও বাউন্সি উইকেটে বোলিং করার অভিজ্ঞতা প্রচুর। খেলোয়াড়ি জীবনে অস্ট্রেলিয়ায় দারুণ খেলেছে। পরামর্শের জন্য তাদের চেয়ে ভালো কেউ হতে পারে না। অস্ট্রেলিয়ায় কিছু মাঠ অনেক বড়, কিছু মাঠের বাউন্ডারি আবার ছোট, এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ শুধু ছক্কা মারার ভাবনায় না থেকে মাঠের চারপাশ ব্যবহার করতে পারে।
প্রশ্ন: বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কি এক-দুটি ম্যাচ জিততে পারবে বলে মনে হয়?
ল: তাদের না জেতার কোনো কারণ নেই। কয়েকটা বড় দল খুবই শক্তিশালী। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপক্ষের ফাস্ট বোলারদের সামলে পেস-বাউন্সের বিপক্ষে কীভাবে খেলছে। যদি তারা সামলাতে পারে, কয়েকটা ম্যাচ না জেতার কোনো কারণ দেখি না। আশা করি, তারা পারবে।
প্রশ্ন: সিডন্স বলছিলেন, এখানে জেতার জন্য ১৬০-১৭০ যথেষ্ট। আপনি কি তাঁর সঙ্গে একমত?
ল: আপনাকে বাংলাদেশের শক্তির দিকে তাকাতে হবে। আমার মতে, বাংলাদেশের শক্তির জায়গা স্পিন। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে স্পিন একটা বড় প্রভাবক। যখন এখানে বিগ ব্যাশ শুরু হচ্ছিল, সবাই ভেবেছে স্পিন কাজে দেবে না। যেটা আসলে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। কোয়ালিটি স্পিন আসলেই ফ্যাক্টর। আমি মনে করি এটা বাংলাদেশের আছে। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে তারা ১৬০-১৭০ ডিফেন্ড করতে পারেনি, যেটা উচিত ছিল। যদি ধারাবাহিকভাবে ১৭০-১৮০ করতে পারে, জেতার জন্য প্রতিপক্ষকে তারা স্কোরবোর্ডের চাপে ফেলতে পারবে বলে আমার মনে হয়।
প্রশ্ন: অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এবার কতটা আশাবাদী? তিনি কি পারবেন সামনে থেকে বিশ্বকাপটা রাঙাতে?
ল: অবশ্যই সে পারবে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার। যদি সেরা না-ও হয় খেলাটার অন্যতম সেরা একজন অলরাউন্ডার। সেটাও লম্বা সময় ধরে। না পারার কারণ দেখি না। সে কোয়ালিটি পারফরমার। সে অস্ট্রেলিয়ায় খেলার খুব একটা সুযোগ পায়নি। এটা তাই তার জন্য নতুন একটা চ্যালেঞ্জ। তার ক্লাস এবং সামর্থ্যের একজন খেলোয়াড় এ ধরনের কন্ডিশনে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারবে। সাকিব সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারবে, যদি ছেলেরা তাকে অনুসরণ করে।
প্রশ্ন: সাম্প্রতিক সময়ে অনেক পরিবর্তন, পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে দলে, এটা বিশ্বকাপে কতটা কাজে দেবে বলে মনে হয়?
ল: আপনি যখন ম্যাচ জিতবেন না এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না, অবশ্যই ভিন্ন কিছুর চেষ্টা করবেন। অন্য খেলোয়াড়দের সুযোগ দেবেন এবং বাজিয়ে দেখে তাদের মেধা দেখতে চাইবেন। এখন যারা সুযোগ পেয়েছে তারা নিশ্চয়ই প্রমাণ করে এসেছে। তবে এটা বলা কঠিন (কতটা কাজে দেবে)। তবে আগামীকাল কী ঘটবে, সেটা আগে থেকে বলে দেওয়া যায় না। খেলোয়াড়েরা যদি নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখে এবং ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে, সুযোগ নিশ্চয়ই থাকবে।
প্রশ্ন: এই বিশ্বকাপে আপনার চোখে কে ফেবারিট? অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড নাকি উপমহাদেশের কোনো দল?
ল: আমার মনে হয় ইংল্যান্ড ফেবারিটের তকমা পাবে। তারা এই মুহূর্তে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে। ভারতকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। পাকিস্তানও যেকোনো কিছু করতে পারে। অস্ট্রেলিয়া সব সময় ফেবারিটের তকমা নিয়ে থাকে। নিউজিল্যান্ডও ভালো দল। তারা ফাইনালে অনেক খেলেছে। যদিও খুব একটা জিততে পারেনি। তবে আমার বাজি ইংল্যান্ডের পক্ষে। তারা সব দিক কভার করে বিশ্বকাপে এসেছে। দলটা দেখতেও অনেক শক্তিশালী। টপ অর্ডারে অ্যালেক্স হেলস দারুণ ফর্মে আছে। সে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশন ভালোবাসে। যে দল ব্যাটিংয়ের দিক থেকে কন্ডিশনের সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে, তারা জিতবে।
প্রশ্ন: একজন অস্ট্রেলীয় হয়েও আপনার চোখে অস্ট্রেলিয়া ফেবারিট নয়?
ল: টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা আসলে কঠিন। একই সঙ্গে টুর্নামেন্ট যত সামনে গড়াবে, বড় ম্যাচে (টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে) অস্ট্রেলিয়ার জেতার অভ্যাস কম। বিশ্বকাপে তাদের ধারাবাহিক ভালো করার উদাহরণও খুব কম। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ ধরে রাখা কঠিন কাজ। অন্য দলগুলো তাদের চেয়ে এগিয়ে। প্রতিটি ম্যাচ তাদের জন্য ফাইনালের মতো। আমার মনে হয় ইংল্যান্ড যেভাবে খেলছে, তারা অনেক এগিয়ে বাকি দলগুলোর চেয়ে।
টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
১০ ঘণ্টা আগে
বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
১১ ঘণ্টা আগে
পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
কেরালার গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন অপরাজিত ৮০ রান এনে দেন স্মৃতি। এই ইনিংস খেলার পথে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। স্মৃতির আগে তিনজন ক্রিকেটার এই কীর্তি গড়েন।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের উপর চড়াও হন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি ও শেফালি বার্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬২ রান তোলেন দুজন। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল স্মৃতির ৪৮ বলের ইনিংস। এদিন ২৭ রান করতেই ১০ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি।
স্মৃতির আগে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সুজি বেটস ও শার্লট এডওয়ার্ডস। ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। তবে ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম ১০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেন স্মৃতি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তাঁর লাগল ২৮১ ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ২০১৩ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্মৃতির।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
কেরালার গ্রিনফিল্ড আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন অপরাজিত ৮০ রান এনে দেন স্মৃতি। এই ইনিংস খেলার পথে মেয়েদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি। স্মৃতির আগে তিনজন ক্রিকেটার এই কীর্তি গড়েন।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কার বোলারদের উপর চড়াও হন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি ও শেফালি বার্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ১৬২ রান তোলেন দুজন। ১১ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো ছিল স্মৃতির ৪৮ বলের ইনিংস। এদিন ২৭ রান করতেই ১০ হাজারি রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন তিনি।
স্মৃতির আগে ১০ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন সুজি বেটস ও শার্লট এডওয়ার্ডস। ভারতের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে এই কীর্তি গড়লেন তিনি। তবে ইনিংসের হিসেবে দ্রুততম ১০ রানের ক্লাবে প্রবেশ করলেন স্মৃতি। এই মাইলফলক স্পর্শ করতে তাঁর লাগল ২৮১ ইনিংস। বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি দিয়ে ২০১৩ সালের এপ্রিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় স্মৃতির।

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
১০ ঘণ্টা আগে
বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
১১ ঘণ্টা আগে
পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
অ্যাশেজ নিশ্চিত হওয়ার পরও বক্সিং ডে টেস্টের প্রতি আগ্রহের ভাটায় কমতি পরেনি। প্রথম দিনই মেলবোর্নে হাজির হন সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার ১৯৯ দর্শক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাতে বেশ খুশি হয়েছিল। সেই উন্মাদনা বেশিক্ষণ টেকেওনি। প্রথম দিনই পতন ঘটে ২০ উইকেট। আর দ্বিতীয় দিনে দাঁড়ি পড়ে যায় ম্যাচের। ফলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তো বটেই বোর্ডের অংশীদারদের মিলিয়ে টিকিট বিক্রি, খাবার ও পানীয় এবং সম্প্রচারস্বত্ব বাবদ ২৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২০৫ কোটি টাকা) রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য এজ।
এই ঘাটতির মূল দায় দেওয়া হচ্ছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) উইকেটকে। যখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আইসিসি থেকে পিচ নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তাদের সম্প্রচার সহযোগীরাও গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধান টড গ্রিনবার্গ বলেছেন যে, গভর্নিং বডি অন্তত ১০ মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব ক্ষতির অনুমান করছে। যার কিছুটা অংশ পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে আগেভাগে ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রভাব অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইকোসিস্টেমের অন্যান্য অংশেও পড়বে।
সমালোচকেরা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা পর্যন্ত পিচে ১০ মিলিমিটার ঘাস রাখায় শূলে চড়াচ্ছেন পিচ কিউরেটর ম্যাথু পেজকে। যদিও পেজ নিজেও অবাক, ‘আমরা চার বা পাঁচ দিন ধরে ব্যাট ও বলের সেই লড়াইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি যা একটি টেস্টকে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রথম দিনের ঘটনায় রীতিমত স্তব্ধ ছিলাম। আমি কখনোই আগে এমন টেস্টের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আশা করি আগামীতেও কখনো থাকবে না। দুই দিন আমার জন্য রোলারকোস্টার রাইড ছিল।’
পেজ অবশ্য পাশে পাচ্ছেন মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান স্টুয়ার্ট ফক্সকে। তিনি বলেন, ‘৮ বছর আগে আমরা ম্যাটকে নিয়োগ দিয়েছিলাম কারণ সে দেশের অন্যতম সেরা, এমনকি সেরা বলে বিবেচনা করা হয়। আমি এখনও তা বিশ্বাস করি এবং সবসময় করব। সে দারুণ কাজ করেছে। সে এবং তার দল এটি ঠিক করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে।’

অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
অ্যাশেজ নিশ্চিত হওয়ার পরও বক্সিং ডে টেস্টের প্রতি আগ্রহের ভাটায় কমতি পরেনি। প্রথম দিনই মেলবোর্নে হাজির হন সর্বোচ্চ ৯৪ হাজার ১৯৯ দর্শক। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তাতে বেশ খুশি হয়েছিল। সেই উন্মাদনা বেশিক্ষণ টেকেওনি। প্রথম দিনই পতন ঘটে ২০ উইকেট। আর দ্বিতীয় দিনে দাঁড়ি পড়ে যায় ম্যাচের। ফলে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তো বটেই বোর্ডের অংশীদারদের মিলিয়ে টিকিট বিক্রি, খাবার ও পানীয় এবং সম্প্রচারস্বত্ব বাবদ ২৫ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার (প্রায় ২০৫ কোটি টাকা) রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে। এমনই তথ্য জানিয়ে অস্ট্রেলিয়ান সংবাদমাধ্যম দ্য এজ।
এই ঘাটতির মূল দায় দেওয়া হচ্ছে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের (এমসিজি) উইকেটকে। যখন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া আইসিসি থেকে পিচ নিয়ে নেতিবাচক রিপোর্টের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তাদের সম্প্রচার সহযোগীরাও গতকাল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। যদিও ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া প্রধান টড গ্রিনবার্গ বলেছেন যে, গভর্নিং বডি অন্তত ১০ মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব ক্ষতির অনুমান করছে। যার কিছুটা অংশ পরিচালন ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। তবে আগেভাগে ম্যাচ শেষ হওয়ার প্রভাব অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইকোসিস্টেমের অন্যান্য অংশেও পড়বে।
সমালোচকেরা থেকে শুরু করে সাবেক ক্রিকেটাররা পর্যন্ত পিচে ১০ মিলিমিটার ঘাস রাখায় শূলে চড়াচ্ছেন পিচ কিউরেটর ম্যাথু পেজকে। যদিও পেজ নিজেও অবাক, ‘আমরা চার বা পাঁচ দিন ধরে ব্যাট ও বলের সেই লড়াইয়ের ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা করি যা একটি টেস্টকে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রথম দিনের ঘটনায় রীতিমত স্তব্ধ ছিলাম। আমি কখনোই আগে এমন টেস্টের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আশা করি আগামীতেও কখনো থাকবে না। দুই দিন আমার জন্য রোলারকোস্টার রাইড ছিল।’
পেজ অবশ্য পাশে পাচ্ছেন মেলবোর্ন ক্রিকেট ক্লাবের প্রধান স্টুয়ার্ট ফক্সকে। তিনি বলেন, ‘৮ বছর আগে আমরা ম্যাটকে নিয়োগ দিয়েছিলাম কারণ সে দেশের অন্যতম সেরা, এমনকি সেরা বলে বিবেচনা করা হয়। আমি এখনও তা বিশ্বাস করি এবং সবসময় করব। সে দারুণ কাজ করেছে। সে এবং তার দল এটি ঠিক করার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে।’

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
৮ ঘণ্টা আগে
বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
১১ ঘণ্টা আগে
পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
১২ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
বিপিএলের গত পর্বে চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে খেলেছেন নাফি। ব্যাট হাতে ৫ ম্যাচে করেন ২০১ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে দরজা খুলে যায় তাঁর। দেশটির ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ, পিএসএল ও ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
নাফি বলেন, ‘আমি আগেরবার বিপিএলের ভালো পারফর্ম করেছিলাম। এজন্য ক্রিকেটে সুযোগ পাই। বিপিএলে পারফর্ম করার পরই পাকিস্তানের মানুষ জানতে পারে যে নাফি নামেও একজন আছে। এরপরই আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি।’
বিপিএলের চলতি পর্বে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন নাফি। এর আগে সবশেষ গ্লোবাল সুপার লিগেও (জিএসএল) খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তিনি, ‘রংপুরের হয়ে আমি জিএসএল খেলেছি। এই দলটা আমার জন্য নতুন নয়। বিপিএলে রংপুর আমার জন্য নতুন দল। নতুন লক্ষ্য হলো গত বছর যেমন পারফর্ম করেছিলাম, রংপুর রাইডার্সের জন্যও তেমন পারফর্ম করার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত নাফি। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। জাতীয় দলের খেলার জন্য এতদিন কষ্ট করেছি। অবশেষে সে সুযোগ এসেছে। একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
বিপিএলের গত পর্বে চট্টগ্রাম কিংসের হয়ে খেলেছেন নাফি। ব্যাট হাতে ৫ ম্যাচে করেন ২০১ রান। এমন পারফরম্যান্সের পর পাকিস্তান ক্রিকেটে দরজা খুলে যায় তাঁর। দেশটির ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ, পিএসএল ও ‘এ’ দলের হয়ে খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার। আজ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের জন্য পাকিস্তান দলে ডাক পেয়েছেন তিনি।
নাফি বলেন, ‘আমি আগেরবার বিপিএলের ভালো পারফর্ম করেছিলাম। এজন্য ক্রিকেটে সুযোগ পাই। বিপিএলে পারফর্ম করার পরই পাকিস্তানের মানুষ জানতে পারে যে নাফি নামেও একজন আছে। এরপরই আমি ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলি।’
বিপিএলের চলতি পর্বে রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলছেন নাফি। এর আগে সবশেষ গ্লোবাল সুপার লিগেও (জিএসএল) খেলেছেন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে। তাই মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তিনি, ‘রংপুরের হয়ে আমি জিএসএল খেলেছি। এই দলটা আমার জন্য নতুন নয়। বিপিএলে রংপুর আমার জন্য নতুন দল। নতুন লক্ষ্য হলো গত বছর যেমন পারফর্ম করেছিলাম, রংপুর রাইডার্সের জন্যও তেমন পারফর্ম করার চেষ্টা থাকবে ইনশাআল্লাহ।’
প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়ে স্বাভাবিকভাবেই বেশ উচ্ছ্বসিত নাফি। তিনি বলেন, ‘এটা আমার জন্য গর্বের মুহূর্ত। জাতীয় দলের খেলার জন্য এতদিন কষ্ট করেছি। অবশেষে সে সুযোগ এসেছে। একাদশে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
১০ ঘণ্টা আগে
পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে শান্ত যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
সবশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ১৪ ম্যাচ খেললেও শান্ত খেলেছিলেন পাঁচ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সাত মাস ধরে ব্রাত্য তিনি। বাংলাদেশ এ বছর ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও শান্ত দেশের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলেছেন এক ম্যাচ। এবারের বিপিএলে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার পরই বদলে গেলেন তিনি। দুই ম্যাচ খেলে ১৩৮ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ব্যাটিং করেছেন ১৫৬.৮১ স্ট্রাইকরেটে। যার মধ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরশু সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সিলেটে আগামীকাল শান্তর রাজশাহী ওয়ারিয়র্স খেলবে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ রাজিন সালেহ। সাংবাদিকদের রাজিন বলেন, শান্ত আসলে তাঁর যে স্বাভাবিক খেলাটা, তাঁকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়, সেটা নিতান্তই ভুল। শান্ত তা প্রমাণ করেছেন। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা খেলেছেন তিনি এবং পারফর্ম করেছেন।
এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে রাজশাহী একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে। প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ১৯২ রান তাড়া করে ২ উইকেটে জিতেছে রাজশাহী। তবে গতকাল ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজশাহী। ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ১৩২ রান। যেখানে তানজিদ হাসান তামিম দুই ম্যাচেই ওপেনিং করেছেন। ১০ ও ২০ রান করে আউট হয়েছেন। তামিম পরের ম্যাচে জ্বলে উঠবেন বলে আশা রাজিনের। সিলেটে সাংবাদিকদের রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমাদের টপঅর্ডারে একটু ধস নামছে। সেখান থেকে কিছু রান এলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের এখানে তামিম আছে। অবশ্যই সে পারফর্মার। সে পারফর্ম করবে। তার পারফরম্যান্স দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
আকবর আলীর নেতৃত্বে এনসিএল চার দিনের ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট—দুই টুর্নামেন্টই জিতেছে রংপুর। তবে এবারের বিপিএলে দুই ম্যাচের কোনোটিতে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের একাদশে সুযোগ মেলেনি আকবরের। পারফর্মারের চেয়ে দলকে বেশি গুরুত্ব দেন রাজিন, ‘আমাদের যারা বেঞ্চে বসে আছে, প্রত্যেক ক্রিকেটারই পারফর্মার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবাই পারফর্মার। অবশ্যই আকবর আলী ভালো ক্রিকেটার। তবে সমন্বয়ের জন্য আমাদের যে রকম চিন্তাভাবনা করা হয়, সেভাবে আমাদের দল করা হয়। আমরা ক্রিকেটারের চিন্তা না করে দলের চিন্তা করি।’
সিলেটে পরশু প্রথম দুই ম্যাচেই লড়াই করার মতো রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে। কিন্তু গতকালের দুই ম্যাচ মিলিয়ে দিনের সর্বোচ্চ ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে সিলেট টাইটানস। রাজিনের মতে, দুই দিনে উইকেট ভিন্ন আচরণ করেছে। রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটার দিকে দেখুন। দুইটা ইনিংসেই ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। উইকেট অনেক ভালো ছিল বলে ব্যাটিং ভালো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটায় আমি মনে করি না যে উইকেট ভালো ছিল। তবে যদি গতকালের দুইটা ম্যাচই দেখেন, রান বেশি হয়নি।’

পারফরম্যান্স একটু এদিক-সেদিক হলেই নাজমুল হোসেন শান্তর ওপর দিয়ে বয়ে যায় সমালোচনার বন্যা। লর্ড শান্ত তো বলা হয়ই, সামাজিক মাধ্যমে আরও বাজেভাবে বিদ্রূপ করা হয় বাংলাদেশের এই বাঁহাতি ব্যাটারকে। সমালোচকদের জবাব দিতে শান্ত যেন বেছে নিলেন ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগকেই (বিপিএল)।
সবশেষ বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল ১৪ ম্যাচ খেললেও শান্ত খেলেছিলেন পাঁচ ম্যাচ। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও সাত মাস ধরে ব্রাত্য তিনি। বাংলাদেশ এ বছর ৩০টি টি-টোয়েন্টি খেললেও শান্ত দেশের হয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে খেলেছেন এক ম্যাচ। এবারের বিপিএলে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক হওয়ার পরই বদলে গেলেন তিনি। দুই ম্যাচ খেলে ১৩৮ রান করে সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক তিনি। ব্যাটিং করেছেন ১৫৬.৮১ স্ট্রাইকরেটে। যার মধ্যে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে পরশু সিলেট টাইটানসের বিপক্ষে ৬০ বলে ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
সিলেটে আগামীকাল শান্তর রাজশাহী ওয়ারিয়র্স খেলবে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে। ম্যাচের আগের দিন আজ সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ রাজিন সালেহ। সাংবাদিকদের রাজিন বলেন, শান্ত আসলে তাঁর যে স্বাভাবিক খেলাটা, তাঁকে নিয়ে যে সমালোচনা হয়, সেটা নিতান্তই ভুল। শান্ত তা প্রমাণ করেছেন। স্বাভাবিক ক্রিকেট খেলাটা খেলেছেন তিনি এবং পারফর্ম করেছেন।
এখন পর্যন্ত দুই ম্যাচ খেলে রাজশাহী একটি করে ম্যাচ জিতেছে ও হেরেছে। প্রথম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে ১৯২ রান তাড়া করে ২ উইকেটে জিতেছে রাজশাহী। তবে গতকাল ঢাকার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে রাজশাহী। ঢাকার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং পেয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করেছিল ১৩২ রান। যেখানে তানজিদ হাসান তামিম দুই ম্যাচেই ওপেনিং করেছেন। ১০ ও ২০ রান করে আউট হয়েছেন। তামিম পরের ম্যাচে জ্বলে উঠবেন বলে আশা রাজিনের। সিলেটে সাংবাদিকদের রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমাদের টপঅর্ডারে একটু ধস নামছে। সেখান থেকে কিছু রান এলে আমাদের জন্য ভালো হতো। আমাদের এখানে তামিম আছে। অবশ্যই সে পারফর্মার। সে পারফর্ম করবে। তার পারফরম্যান্স দেখতে উন্মুখ হয়ে আছি।’
আকবর আলীর নেতৃত্বে এনসিএল চার দিনের ক্রিকেট, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট—দুই টুর্নামেন্টই জিতেছে রংপুর। তবে এবারের বিপিএলে দুই ম্যাচের কোনোটিতে রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের একাদশে সুযোগ মেলেনি আকবরের। পারফর্মারের চেয়ে দলকে বেশি গুরুত্ব দেন রাজিন, ‘আমাদের যারা বেঞ্চে বসে আছে, প্রত্যেক ক্রিকেটারই পারফর্মার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সবাই পারফর্মার। অবশ্যই আকবর আলী ভালো ক্রিকেটার। তবে সমন্বয়ের জন্য আমাদের যে রকম চিন্তাভাবনা করা হয়, সেভাবে আমাদের দল করা হয়। আমরা ক্রিকেটারের চিন্তা না করে দলের চিন্তা করি।’
সিলেটে পরশু প্রথম দুই ম্যাচেই লড়াই করার মতো রান উঠেছিল স্কোরবোর্ডে। কিন্তু গতকালের দুই ম্যাচ মিলিয়ে দিনের সর্বোচ্চ ১৪৪ রানের ইনিংস খেলেছে সিলেট টাইটানস। রাজিনের মতে, দুই দিনে উইকেট ভিন্ন আচরণ করেছে। রাজশাহীর সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘প্রথম ম্যাচটার দিকে দেখুন। দুইটা ইনিংসেই ভালো পারফরম্যান্স হয়েছে। উইকেট অনেক ভালো ছিল বলে ব্যাটিং ভালো হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচটায় আমি মনে করি না যে উইকেট ভালো ছিল। তবে যদি গতকালের দুইটা ম্যাচই দেখেন, রান বেশি হয়নি।’

অনেক পরিবর্তন হয়েছে মাঠটায়। অনেক সংস্কার হয়েছে। সেখানে শেফিল্ড শিল্ড জিতেছি। দারুণ এক মাঠ। অনুশীলনের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। খেলাটা সম্পর্কে খুদে ক্রিকেটারদের পুঙ্খানুপুঙ্খ ধারণা দিতে এখানে দারুণ সব কোচ আছে।
১৭ অক্টোবর ২০২২
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ৩ টি-টোয়েন্টিতে নিজের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি স্মৃতি মান্ধানা। করেন মাত্র ৪০ রান। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে এসে ঠিকই জ্বলে উঠলেন ভারতের সহ-অধিনায়ক। তাতেই দারুণ এক মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই ব্যাটার।
৮ ঘণ্টা আগে
অ্যাশেজের প্রথম ৪ টেস্ট শেষে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। টানা ৩ জয়ে মর্যাদাপূর্ণ সিরিজটি জিতে নেয় স্বাগতিকেরা। এরপরও স্বস্তিতে থাকার অবস্থা নেই ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ)। প্রথম চারটি টেস্ট শেষ হয়েছে ১৩ দিনেই। তাতেই বিরাট ক্ষতির মুখে পড়েছে সংস্থাটি। এর অঙ্কটাও বিশাল।
১০ ঘণ্টা আগে
বছরখানেক আগেও পাকিস্তান ক্রিকেটে অচেনা মুখ ছিলেন খাজা নাফি। কিন্তু দৃশ্যপট বদলেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) কল্যাণে। বাংলাদেশের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে খেলার সুবাদে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন পরিচিত মুখ তিনি। তাই বিপিএলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুললেন না নাফি।
১১ ঘণ্টা আগে