
বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে। আজকের পত্রিকা'র হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার আকরামের আলাপচারিতা শুধু ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথে সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেখানে এল বাংলাদেশও।
রানা আব্বাস, দুবাই থেকে

প্রশ্ন: নব্বইয়ের দশকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল অন্য রকম। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ কমে গেছে। আপনি নিজেই বলছিলেন, ফাইনালে পাকিস্তান আন্ডারডগ। একজন পাকিস্তানি কিংবদন্তি হয়ে নিজের দলকে আন্ডারডগ হিসেবে ভাবতে কতটা খারাপ লাগে?
ওয়াসিম আকরাম: ফ্যাক্ট লুকাতে পারবেন না। ভারত দারুণ খেলছে। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা হেরেছে। আমি বলতে চাচ্ছি, তারা বেশ ধারাবাহিক। ক্রিকেটার তৈরি করছে। এমনকি তাদের ‘এ’ দল দারুণ। ‘সি’ দলও দারুণ। বিসিসিআইকে কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে তারা আইপিএল থেকে টাকা আয় করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালোমতো গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। টি-টোয়েন্টিতে টেকনিক ভালো না থাকলে ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। তাই লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে এলে খেলার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তবে সাদা বল থেকে লাল বলের ভালো ক্রিকেটার হওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
প্রশ্ন: এখানেই কি ভারতের সঙ্গে উপমহাদেশের বাকিদের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে?
আকরাম: সম্ভবত এটাই। তারা ক্রিকেটারের ওপর ফোকাস করে। (শুবমান) গিলের কথাই কল্পনা করুন। সে টি-টোয়েন্টি দারুণ খেলে। সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দেখুন তার টেকনিক। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার খেলার ধরন বদলে যায়। কোচ তাকে বলে দেয় না। সে (গিল) নিজের কাজ নিজে করে। আমাদের ক্রিকেটারদের এগুলো শিখতে হবে। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস করতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। বড় মঞ্চে ঘাবড়ানো যাবে না।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে বাংলাদেশে বড় কোনো সাফল্য নেই। বড় মঞ্চে কেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ?
আকরাম: এখানে ক্রিকেট বোর্ডের করার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষেরও এখানে কিছু করার নেই। এটা করতে হবে ক্রিকেটারদের। তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকতে হবে। সেটা তো কোচ আপনাকে শেখাতে পারবে না। আপনার নিজেকেই শিখতে হবে। এই অবস্থায় আমি এভাবে ব্যাটিং করব। এই অবস্থায় আমাকে এভাবে বোলিং করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে একটা ইতিবাচক ব্যাপার খুঁজে পাওয়া গেছে এবং সেটা হলো তাদের অসাধারণ ফিল্ডিং। দুই-তিনটা ক্যাচ মিস বাদ দিলে সব ঠিক আছে। এমনটা হতেই পারে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদি প্রস্তাব দেয়, কাজ করতে আগ্রহী হবেন?
আকরাম: আমি কিছুদিনের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করব কি না সেটা এখন বলা কঠিন। বাংলাদেশ দলে মুশতাক আহমেদের (স্পিন পরামর্শক) মতো একজন খুব ভালো কোচ আছেন। ফিল সিমন্স, শন টেইট আছেন। তাঁরা ভালো কাজ করছেন। তাসকিন আহমেদের কথা যদি বলি; চার-পাঁচ বছর ধরে তার বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম সে সম্ভবত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে (লিটন দাস ছিটকে যাওয়ায়) অধিনায়ক হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে তাসকিন খুব একটা সুশৃঙ্খল নয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ফাস্ট বোলাররা সুশৃঙ্খল হয় না। কারণ, তারা ফাস্ট বোলার। তাদের ভেতরে আগুন আছে। তারা ভালো নেতা হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অধিনায়কের মধ্যে কাকে আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
আকরাম: অবশ্যই মাশরাফি। আরেকজন উইকেটরক্ষক—মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি রাজনীতিতে জড়িয়ে গেল। সাকিব (আল হাসান) কিছুদিনের জন্য ছিল। এখন লিটন দাস। আমি গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সেভাবে দেখিনি। লিটন দাসের অধীনে দল খুব ভালো খেলছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ার সময় বাংলাদেশ তাকে মিস করেছে। যখন আপনি ১৩৩ (১৩৬) রানের মতো অল্প লক্ষ্য তাড়া করবেন ভালো আক্রমণের বিপক্ষে, তখন ২০ ওভার খেলতে হবে। প্রথম ৬ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণ করতে পারবেন না। আগে তার বোলিংটা দেখুন। তারপর ৪০ রানের একটা জুটি গড়লেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু সেটা তো হয়নি। তারা বাজে শট খেলেছে। কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এমনটা করেছে। তবে আমি আবারও বলছি, ছন্দে থাকা অধিনায়ককে তারা হারিয়েছে। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: আপনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে খেলেছেন। সেখানে আপনার সবচেয়ে ভালো স্মৃতি কোনটা?
আকরাম: বাংলাদেশে আমার অনেক অসাধারণ স্মৃতি আছে। সেখানকার মানুষ, খাবার—সবই দারুণ। সেখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি গত ১০-১২ বছর বাংলাদেশে যাইনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি খুব খুশি যে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। ঢাকা-করাচি অথবা করাচি থেকে ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, বগুড়া; প্রতিটি শহরের কথা আমার মনে আছে। সেখানকার মানুষ এখনো আমাকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা।
প্রশ্ন: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে অনেক পাকিস্তানি কিংবদন্তিই কাজ করেছেন। কিন্তু আপনাকে খুব একটা দেখা যায়নি কখনো। কারণটা কী?
উত্তর: দেখুন আমার বয়স প্রায় ৬০ বছর। এই কাজটা অনেক কঠিন। আমি শুধু লাহোরভিত্তিক কাজ করতে পারব না। কারণ, কোচিং অনেক কঠিন কাজ। আপনাকে সব সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কঠিন। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য আমি আছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জিনিস প্রায়ই দেখা যায়, গিল ও অভিষেককে প্রস্তুত করেছে যুবরাজ সিং। এই দুই ছেলে (গিল-অভিষেক) যুবরাজ সিংয়ের কাছে যেত। কেউ আমার কাছে আসেনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ এলে আমি তাকে টিপস, সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাদের সময় দিতেও রাজি। কিন্তু এটা হচ্ছে না। আমি এটা বিনা মূল্যে করতে পারব। আমার টাকা নিয়ে অহংকার নেই। তবে কোনো তরুণ ক্রিকেটার এলে আমি তাকে সময় দিতে রাজি। কিন্তু এখনো কেউ আমাকে ডাকেনি।
প্রশ্ন: আপনার আত্মজীবনী ‘সুলতান অব সুইং’ বইয়ে খেলোয়াড়ি জীবন, পারিবারিক সম্পর্ক, মাদকাসক্ত হয়ে পড়া নিয়ে অনেক স্পর্শকাতর কথা খোলামেলা তুলে ধরেছেন। আপনার প্রয়াত স্ত্রীর শেষ মুহূর্তগুলো এত হৃদয়স্পর্শী, চোখে পানি এসে যায়। আপনার খেলোয়াড়ি জীবন এত বর্ণাঢ্য, চাইলে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এড়িয়েও যেতে পারতেন। কিন্তু কীভাবে তুলে ধরা?
আকরাম: এটা লেখা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শানিরা (শানিয়ারা থম্পসন) আমাকে এই বই লিখতে রাজি করিয়েছিল। আমি বিরক্ত হইনি। এটা নিয়ে পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার চিন্তিত ছিল। কারণ, তারা ভেবেছিল যে আমি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলব। কিন্তু সেই বইটি পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা। আমার সংগ্রাম, ট্র্যাজেডি, জয়, সুখ-দুঃখ—এসব নিয়ে লেখা। এই বইটি লেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। এটা লেখার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছে। বই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান লেখক গিডিয়ন হেইগ দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমার সন্তানেরাও আমাকে সমর্থন করেছে। এই বইটি আসলে তাদের জন্য। যখন তারা বড় হবে, তখন তারা বুঝতে পারবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা কী কী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমার জীবনে একটা ট্র্যাজেডি আছে। আমার প্রথম স্ত্রী হুমাকে আমি এখনো মিস করি। সে মারা যাওয়ার পর শানিরাকে বিয়ে করেছি। আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলে আমি এমন দুজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি। আয়লা নামে আমাদের ১১ বছরের একটি মেয়ে আছে। সে আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। জীবন চলতেই থাকবে। এটা বলা সহজ। এরপরও জীবনকে চলতেই হবে।
প্রশ্ন: ধারাভাষ্য ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: অনেক ব্যস্ত। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। পাকিস্তানে অনেক টেলিভিশনে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকে মেলবোর্নে। পাকিস্তান-মেলবোর্নে তাই অহরহ যাতায়াত করতে হয়। অনেক লম্বা যাত্রা। কিন্তু কাজ তো করতে হবে। এটা কঠিন। ১১ বছর বয়সী মেয়ে আছে। ছেলেরাও বড় হয়েছে। তৈমুরের বয়স ২৭ বছর, আকবরের বয়স ২৪ বছর ও ইসার বয়স ১১ হয়েছে। আমার সন্তান, স্ত্রী ও পরিবারকে মিস করি। অনেক কঠিন। কিন্তু এভাবেই হচ্ছে।
আকরামের চোখে সময়ের সেরা ব্যাটার
বর্তমান সময়ে সেটা বলা কঠিন। আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলি তাহলে জো রুট শীর্ষে থাকবে। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলিও আছে। আমার মনে হয় বর্তমানে এরা বড় নাম। তারপর কেন উইলিয়ামসন এবং অবশ্যই পাকিস্তানের বাবর আজমের নাম নিতে হয়। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে আমার মনে হয় ইদানীং অভিষেক শর্মা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার ব্যাটিংয়ে আসলে সবাই মুগ্ধ। এবারের এশিয়া কাপে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে। লাল বলের ক্রিকেটেও সে সমান ভালো খেলোয়াড়। তার টেকনিক ভালো। সে শট খেলতে পারে। সে ব্লক করতে পারে। তার হাতে সব শটই আছে। সে দারুণ একটি প্রতিভা।
প্রশ্ন: নব্বইয়ের দশকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল অন্য রকম। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ কমে গেছে। আপনি নিজেই বলছিলেন, ফাইনালে পাকিস্তান আন্ডারডগ। একজন পাকিস্তানি কিংবদন্তি হয়ে নিজের দলকে আন্ডারডগ হিসেবে ভাবতে কতটা খারাপ লাগে?
ওয়াসিম আকরাম: ফ্যাক্ট লুকাতে পারবেন না। ভারত দারুণ খেলছে। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা হেরেছে। আমি বলতে চাচ্ছি, তারা বেশ ধারাবাহিক। ক্রিকেটার তৈরি করছে। এমনকি তাদের ‘এ’ দল দারুণ। ‘সি’ দলও দারুণ। বিসিসিআইকে কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে তারা আইপিএল থেকে টাকা আয় করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালোমতো গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। টি-টোয়েন্টিতে টেকনিক ভালো না থাকলে ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। তাই লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে এলে খেলার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তবে সাদা বল থেকে লাল বলের ভালো ক্রিকেটার হওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
প্রশ্ন: এখানেই কি ভারতের সঙ্গে উপমহাদেশের বাকিদের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে?
আকরাম: সম্ভবত এটাই। তারা ক্রিকেটারের ওপর ফোকাস করে। (শুবমান) গিলের কথাই কল্পনা করুন। সে টি-টোয়েন্টি দারুণ খেলে। সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দেখুন তার টেকনিক। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার খেলার ধরন বদলে যায়। কোচ তাকে বলে দেয় না। সে (গিল) নিজের কাজ নিজে করে। আমাদের ক্রিকেটারদের এগুলো শিখতে হবে। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস করতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। বড় মঞ্চে ঘাবড়ানো যাবে না।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে বাংলাদেশে বড় কোনো সাফল্য নেই। বড় মঞ্চে কেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ?
আকরাম: এখানে ক্রিকেট বোর্ডের করার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষেরও এখানে কিছু করার নেই। এটা করতে হবে ক্রিকেটারদের। তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকতে হবে। সেটা তো কোচ আপনাকে শেখাতে পারবে না। আপনার নিজেকেই শিখতে হবে। এই অবস্থায় আমি এভাবে ব্যাটিং করব। এই অবস্থায় আমাকে এভাবে বোলিং করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে একটা ইতিবাচক ব্যাপার খুঁজে পাওয়া গেছে এবং সেটা হলো তাদের অসাধারণ ফিল্ডিং। দুই-তিনটা ক্যাচ মিস বাদ দিলে সব ঠিক আছে। এমনটা হতেই পারে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদি প্রস্তাব দেয়, কাজ করতে আগ্রহী হবেন?
আকরাম: আমি কিছুদিনের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করব কি না সেটা এখন বলা কঠিন। বাংলাদেশ দলে মুশতাক আহমেদের (স্পিন পরামর্শক) মতো একজন খুব ভালো কোচ আছেন। ফিল সিমন্স, শন টেইট আছেন। তাঁরা ভালো কাজ করছেন। তাসকিন আহমেদের কথা যদি বলি; চার-পাঁচ বছর ধরে তার বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম সে সম্ভবত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে (লিটন দাস ছিটকে যাওয়ায়) অধিনায়ক হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে তাসকিন খুব একটা সুশৃঙ্খল নয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ফাস্ট বোলাররা সুশৃঙ্খল হয় না। কারণ, তারা ফাস্ট বোলার। তাদের ভেতরে আগুন আছে। তারা ভালো নেতা হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অধিনায়কের মধ্যে কাকে আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
আকরাম: অবশ্যই মাশরাফি। আরেকজন উইকেটরক্ষক—মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি রাজনীতিতে জড়িয়ে গেল। সাকিব (আল হাসান) কিছুদিনের জন্য ছিল। এখন লিটন দাস। আমি গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সেভাবে দেখিনি। লিটন দাসের অধীনে দল খুব ভালো খেলছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ার সময় বাংলাদেশ তাকে মিস করেছে। যখন আপনি ১৩৩ (১৩৬) রানের মতো অল্প লক্ষ্য তাড়া করবেন ভালো আক্রমণের বিপক্ষে, তখন ২০ ওভার খেলতে হবে। প্রথম ৬ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণ করতে পারবেন না। আগে তার বোলিংটা দেখুন। তারপর ৪০ রানের একটা জুটি গড়লেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু সেটা তো হয়নি। তারা বাজে শট খেলেছে। কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এমনটা করেছে। তবে আমি আবারও বলছি, ছন্দে থাকা অধিনায়ককে তারা হারিয়েছে। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: আপনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে খেলেছেন। সেখানে আপনার সবচেয়ে ভালো স্মৃতি কোনটা?
আকরাম: বাংলাদেশে আমার অনেক অসাধারণ স্মৃতি আছে। সেখানকার মানুষ, খাবার—সবই দারুণ। সেখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি গত ১০-১২ বছর বাংলাদেশে যাইনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি খুব খুশি যে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। ঢাকা-করাচি অথবা করাচি থেকে ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, বগুড়া; প্রতিটি শহরের কথা আমার মনে আছে। সেখানকার মানুষ এখনো আমাকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা।
প্রশ্ন: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে অনেক পাকিস্তানি কিংবদন্তিই কাজ করেছেন। কিন্তু আপনাকে খুব একটা দেখা যায়নি কখনো। কারণটা কী?
উত্তর: দেখুন আমার বয়স প্রায় ৬০ বছর। এই কাজটা অনেক কঠিন। আমি শুধু লাহোরভিত্তিক কাজ করতে পারব না। কারণ, কোচিং অনেক কঠিন কাজ। আপনাকে সব সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কঠিন। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য আমি আছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জিনিস প্রায়ই দেখা যায়, গিল ও অভিষেককে প্রস্তুত করেছে যুবরাজ সিং। এই দুই ছেলে (গিল-অভিষেক) যুবরাজ সিংয়ের কাছে যেত। কেউ আমার কাছে আসেনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ এলে আমি তাকে টিপস, সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাদের সময় দিতেও রাজি। কিন্তু এটা হচ্ছে না। আমি এটা বিনা মূল্যে করতে পারব। আমার টাকা নিয়ে অহংকার নেই। তবে কোনো তরুণ ক্রিকেটার এলে আমি তাকে সময় দিতে রাজি। কিন্তু এখনো কেউ আমাকে ডাকেনি।
প্রশ্ন: আপনার আত্মজীবনী ‘সুলতান অব সুইং’ বইয়ে খেলোয়াড়ি জীবন, পারিবারিক সম্পর্ক, মাদকাসক্ত হয়ে পড়া নিয়ে অনেক স্পর্শকাতর কথা খোলামেলা তুলে ধরেছেন। আপনার প্রয়াত স্ত্রীর শেষ মুহূর্তগুলো এত হৃদয়স্পর্শী, চোখে পানি এসে যায়। আপনার খেলোয়াড়ি জীবন এত বর্ণাঢ্য, চাইলে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এড়িয়েও যেতে পারতেন। কিন্তু কীভাবে তুলে ধরা?
আকরাম: এটা লেখা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শানিরা (শানিয়ারা থম্পসন) আমাকে এই বই লিখতে রাজি করিয়েছিল। আমি বিরক্ত হইনি। এটা নিয়ে পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার চিন্তিত ছিল। কারণ, তারা ভেবেছিল যে আমি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলব। কিন্তু সেই বইটি পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা। আমার সংগ্রাম, ট্র্যাজেডি, জয়, সুখ-দুঃখ—এসব নিয়ে লেখা। এই বইটি লেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। এটা লেখার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছে। বই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান লেখক গিডিয়ন হেইগ দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমার সন্তানেরাও আমাকে সমর্থন করেছে। এই বইটি আসলে তাদের জন্য। যখন তারা বড় হবে, তখন তারা বুঝতে পারবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা কী কী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমার জীবনে একটা ট্র্যাজেডি আছে। আমার প্রথম স্ত্রী হুমাকে আমি এখনো মিস করি। সে মারা যাওয়ার পর শানিরাকে বিয়ে করেছি। আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলে আমি এমন দুজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি। আয়লা নামে আমাদের ১১ বছরের একটি মেয়ে আছে। সে আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। জীবন চলতেই থাকবে। এটা বলা সহজ। এরপরও জীবনকে চলতেই হবে।
প্রশ্ন: ধারাভাষ্য ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: অনেক ব্যস্ত। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। পাকিস্তানে অনেক টেলিভিশনে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকে মেলবোর্নে। পাকিস্তান-মেলবোর্নে তাই অহরহ যাতায়াত করতে হয়। অনেক লম্বা যাত্রা। কিন্তু কাজ তো করতে হবে। এটা কঠিন। ১১ বছর বয়সী মেয়ে আছে। ছেলেরাও বড় হয়েছে। তৈমুরের বয়স ২৭ বছর, আকবরের বয়স ২৪ বছর ও ইসার বয়স ১১ হয়েছে। আমার সন্তান, স্ত্রী ও পরিবারকে মিস করি। অনেক কঠিন। কিন্তু এভাবেই হচ্ছে।
আকরামের চোখে সময়ের সেরা ব্যাটার
বর্তমান সময়ে সেটা বলা কঠিন। আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলি তাহলে জো রুট শীর্ষে থাকবে। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলিও আছে। আমার মনে হয় বর্তমানে এরা বড় নাম। তারপর কেন উইলিয়ামসন এবং অবশ্যই পাকিস্তানের বাবর আজমের নাম নিতে হয়। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে আমার মনে হয় ইদানীং অভিষেক শর্মা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার ব্যাটিংয়ে আসলে সবাই মুগ্ধ। এবারের এশিয়া কাপে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে। লাল বলের ক্রিকেটেও সে সমান ভালো খেলোয়াড়। তার টেকনিক ভালো। সে শট খেলতে পারে। সে ব্লক করতে পারে। তার হাতে সব শটই আছে। সে দারুণ একটি প্রতিভা।

বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে। আজকের পত্রিকা'র হেড অব স্পোর্টস রানা আব্বাস'কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার আকরামের আলাপচারিতা শুধু ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথে সীমাবদ্ধ থাকেনি, সেখানে এল বাংলাদেশও।
রানা আব্বাস, দুবাই থেকে

প্রশ্ন: নব্বইয়ের দশকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল অন্য রকম। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ কমে গেছে। আপনি নিজেই বলছিলেন, ফাইনালে পাকিস্তান আন্ডারডগ। একজন পাকিস্তানি কিংবদন্তি হয়ে নিজের দলকে আন্ডারডগ হিসেবে ভাবতে কতটা খারাপ লাগে?
ওয়াসিম আকরাম: ফ্যাক্ট লুকাতে পারবেন না। ভারত দারুণ খেলছে। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা হেরেছে। আমি বলতে চাচ্ছি, তারা বেশ ধারাবাহিক। ক্রিকেটার তৈরি করছে। এমনকি তাদের ‘এ’ দল দারুণ। ‘সি’ দলও দারুণ। বিসিসিআইকে কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে তারা আইপিএল থেকে টাকা আয় করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালোমতো গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। টি-টোয়েন্টিতে টেকনিক ভালো না থাকলে ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। তাই লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে এলে খেলার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তবে সাদা বল থেকে লাল বলের ভালো ক্রিকেটার হওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
প্রশ্ন: এখানেই কি ভারতের সঙ্গে উপমহাদেশের বাকিদের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে?
আকরাম: সম্ভবত এটাই। তারা ক্রিকেটারের ওপর ফোকাস করে। (শুবমান) গিলের কথাই কল্পনা করুন। সে টি-টোয়েন্টি দারুণ খেলে। সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দেখুন তার টেকনিক। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার খেলার ধরন বদলে যায়। কোচ তাকে বলে দেয় না। সে (গিল) নিজের কাজ নিজে করে। আমাদের ক্রিকেটারদের এগুলো শিখতে হবে। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস করতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। বড় মঞ্চে ঘাবড়ানো যাবে না।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে বাংলাদেশে বড় কোনো সাফল্য নেই। বড় মঞ্চে কেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ?
আকরাম: এখানে ক্রিকেট বোর্ডের করার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষেরও এখানে কিছু করার নেই। এটা করতে হবে ক্রিকেটারদের। তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকতে হবে। সেটা তো কোচ আপনাকে শেখাতে পারবে না। আপনার নিজেকেই শিখতে হবে। এই অবস্থায় আমি এভাবে ব্যাটিং করব। এই অবস্থায় আমাকে এভাবে বোলিং করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে একটা ইতিবাচক ব্যাপার খুঁজে পাওয়া গেছে এবং সেটা হলো তাদের অসাধারণ ফিল্ডিং। দুই-তিনটা ক্যাচ মিস বাদ দিলে সব ঠিক আছে। এমনটা হতেই পারে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদি প্রস্তাব দেয়, কাজ করতে আগ্রহী হবেন?
আকরাম: আমি কিছুদিনের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করব কি না সেটা এখন বলা কঠিন। বাংলাদেশ দলে মুশতাক আহমেদের (স্পিন পরামর্শক) মতো একজন খুব ভালো কোচ আছেন। ফিল সিমন্স, শন টেইট আছেন। তাঁরা ভালো কাজ করছেন। তাসকিন আহমেদের কথা যদি বলি; চার-পাঁচ বছর ধরে তার বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম সে সম্ভবত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে (লিটন দাস ছিটকে যাওয়ায়) অধিনায়ক হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে তাসকিন খুব একটা সুশৃঙ্খল নয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ফাস্ট বোলাররা সুশৃঙ্খল হয় না। কারণ, তারা ফাস্ট বোলার। তাদের ভেতরে আগুন আছে। তারা ভালো নেতা হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অধিনায়কের মধ্যে কাকে আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
আকরাম: অবশ্যই মাশরাফি। আরেকজন উইকেটরক্ষক—মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি রাজনীতিতে জড়িয়ে গেল। সাকিব (আল হাসান) কিছুদিনের জন্য ছিল। এখন লিটন দাস। আমি গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সেভাবে দেখিনি। লিটন দাসের অধীনে দল খুব ভালো খেলছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ার সময় বাংলাদেশ তাকে মিস করেছে। যখন আপনি ১৩৩ (১৩৬) রানের মতো অল্প লক্ষ্য তাড়া করবেন ভালো আক্রমণের বিপক্ষে, তখন ২০ ওভার খেলতে হবে। প্রথম ৬ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণ করতে পারবেন না। আগে তার বোলিংটা দেখুন। তারপর ৪০ রানের একটা জুটি গড়লেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু সেটা তো হয়নি। তারা বাজে শট খেলেছে। কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এমনটা করেছে। তবে আমি আবারও বলছি, ছন্দে থাকা অধিনায়ককে তারা হারিয়েছে। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: আপনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে খেলেছেন। সেখানে আপনার সবচেয়ে ভালো স্মৃতি কোনটা?
আকরাম: বাংলাদেশে আমার অনেক অসাধারণ স্মৃতি আছে। সেখানকার মানুষ, খাবার—সবই দারুণ। সেখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি গত ১০-১২ বছর বাংলাদেশে যাইনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি খুব খুশি যে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। ঢাকা-করাচি অথবা করাচি থেকে ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, বগুড়া; প্রতিটি শহরের কথা আমার মনে আছে। সেখানকার মানুষ এখনো আমাকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা।
প্রশ্ন: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে অনেক পাকিস্তানি কিংবদন্তিই কাজ করেছেন। কিন্তু আপনাকে খুব একটা দেখা যায়নি কখনো। কারণটা কী?
উত্তর: দেখুন আমার বয়স প্রায় ৬০ বছর। এই কাজটা অনেক কঠিন। আমি শুধু লাহোরভিত্তিক কাজ করতে পারব না। কারণ, কোচিং অনেক কঠিন কাজ। আপনাকে সব সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কঠিন। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য আমি আছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জিনিস প্রায়ই দেখা যায়, গিল ও অভিষেককে প্রস্তুত করেছে যুবরাজ সিং। এই দুই ছেলে (গিল-অভিষেক) যুবরাজ সিংয়ের কাছে যেত। কেউ আমার কাছে আসেনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ এলে আমি তাকে টিপস, সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাদের সময় দিতেও রাজি। কিন্তু এটা হচ্ছে না। আমি এটা বিনা মূল্যে করতে পারব। আমার টাকা নিয়ে অহংকার নেই। তবে কোনো তরুণ ক্রিকেটার এলে আমি তাকে সময় দিতে রাজি। কিন্তু এখনো কেউ আমাকে ডাকেনি।
প্রশ্ন: আপনার আত্মজীবনী ‘সুলতান অব সুইং’ বইয়ে খেলোয়াড়ি জীবন, পারিবারিক সম্পর্ক, মাদকাসক্ত হয়ে পড়া নিয়ে অনেক স্পর্শকাতর কথা খোলামেলা তুলে ধরেছেন। আপনার প্রয়াত স্ত্রীর শেষ মুহূর্তগুলো এত হৃদয়স্পর্শী, চোখে পানি এসে যায়। আপনার খেলোয়াড়ি জীবন এত বর্ণাঢ্য, চাইলে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এড়িয়েও যেতে পারতেন। কিন্তু কীভাবে তুলে ধরা?
আকরাম: এটা লেখা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শানিরা (শানিয়ারা থম্পসন) আমাকে এই বই লিখতে রাজি করিয়েছিল। আমি বিরক্ত হইনি। এটা নিয়ে পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার চিন্তিত ছিল। কারণ, তারা ভেবেছিল যে আমি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলব। কিন্তু সেই বইটি পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা। আমার সংগ্রাম, ট্র্যাজেডি, জয়, সুখ-দুঃখ—এসব নিয়ে লেখা। এই বইটি লেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। এটা লেখার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছে। বই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান লেখক গিডিয়ন হেইগ দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমার সন্তানেরাও আমাকে সমর্থন করেছে। এই বইটি আসলে তাদের জন্য। যখন তারা বড় হবে, তখন তারা বুঝতে পারবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা কী কী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমার জীবনে একটা ট্র্যাজেডি আছে। আমার প্রথম স্ত্রী হুমাকে আমি এখনো মিস করি। সে মারা যাওয়ার পর শানিরাকে বিয়ে করেছি। আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলে আমি এমন দুজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি। আয়লা নামে আমাদের ১১ বছরের একটি মেয়ে আছে। সে আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। জীবন চলতেই থাকবে। এটা বলা সহজ। এরপরও জীবনকে চলতেই হবে।
প্রশ্ন: ধারাভাষ্য ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: অনেক ব্যস্ত। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। পাকিস্তানে অনেক টেলিভিশনে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকে মেলবোর্নে। পাকিস্তান-মেলবোর্নে তাই অহরহ যাতায়াত করতে হয়। অনেক লম্বা যাত্রা। কিন্তু কাজ তো করতে হবে। এটা কঠিন। ১১ বছর বয়সী মেয়ে আছে। ছেলেরাও বড় হয়েছে। তৈমুরের বয়স ২৭ বছর, আকবরের বয়স ২৪ বছর ও ইসার বয়স ১১ হয়েছে। আমার সন্তান, স্ত্রী ও পরিবারকে মিস করি। অনেক কঠিন। কিন্তু এভাবেই হচ্ছে।
আকরামের চোখে সময়ের সেরা ব্যাটার
বর্তমান সময়ে সেটা বলা কঠিন। আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলি তাহলে জো রুট শীর্ষে থাকবে। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলিও আছে। আমার মনে হয় বর্তমানে এরা বড় নাম। তারপর কেন উইলিয়ামসন এবং অবশ্যই পাকিস্তানের বাবর আজমের নাম নিতে হয়। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে আমার মনে হয় ইদানীং অভিষেক শর্মা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার ব্যাটিংয়ে আসলে সবাই মুগ্ধ। এবারের এশিয়া কাপে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে। লাল বলের ক্রিকেটেও সে সমান ভালো খেলোয়াড়। তার টেকনিক ভালো। সে শট খেলতে পারে। সে ব্লক করতে পারে। তার হাতে সব শটই আছে। সে দারুণ একটি প্রতিভা।
প্রশ্ন: নব্বইয়ের দশকে ভারত-পাকিস্তানের লড়াইটা ছিল অন্য রকম। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ কমে গেছে। আপনি নিজেই বলছিলেন, ফাইনালে পাকিস্তান আন্ডারডগ। একজন পাকিস্তানি কিংবদন্তি হয়ে নিজের দলকে আন্ডারডগ হিসেবে ভাবতে কতটা খারাপ লাগে?
ওয়াসিম আকরাম: ফ্যাক্ট লুকাতে পারবেন না। ভারত দারুণ খেলছে। টি-টোয়েন্টিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন, ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ ফাইনালে তারা হেরেছে। আমি বলতে চাচ্ছি, তারা বেশ ধারাবাহিক। ক্রিকেটার তৈরি করছে। এমনকি তাদের ‘এ’ দল দারুণ। ‘সি’ দলও দারুণ। বিসিসিআইকে কৃতিত্ব দিতে হবে, যেভাবে তারা আইপিএল থেকে টাকা আয় করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট কাঠামো ভালো। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তরুণ ক্রিকেটাররা ভালোমতো গড়ে ওঠার সুযোগ পায়। টি-টোয়েন্টিতে টেকনিক ভালো না থাকলে ভালো ক্রিকেটার পাবেন না। তাই লাল বল থেকে সাদা বলের ক্রিকেটে এলে খেলার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। তবে সাদা বল থেকে লাল বলের ভালো ক্রিকেটার হওয়াটা প্রায় অসম্ভব।
প্রশ্ন: এখানেই কি ভারতের সঙ্গে উপমহাদেশের বাকিদের পার্থক্য তৈরি হচ্ছে?
আকরাম: সম্ভবত এটাই। তারা ক্রিকেটারের ওপর ফোকাস করে। (শুবমান) গিলের কথাই কল্পনা করুন। সে টি-টোয়েন্টি দারুণ খেলে। সাম্প্রতিক টেস্ট সিরিজে দেখুন তার টেকনিক। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী তার খেলার ধরন বদলে যায়। কোচ তাকে বলে দেয় না। সে (গিল) নিজের কাজ নিজে করে। আমাদের ক্রিকেটারদের এগুলো শিখতে হবে। তাদের সামর্থ্যের ওপর বিশ্বাস করতে হবে। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। বড় মঞ্চে ঘাবড়ানো যাবে না।
প্রশ্ন: বড় মঞ্চে বাংলাদেশে বড় কোনো সাফল্য নেই। বড় মঞ্চে কেন খেই হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ?
আকরাম: এখানে ক্রিকেট বোর্ডের করার কিছু নেই। বাংলাদেশের মানুষেরও এখানে কিছু করার নেই। এটা করতে হবে ক্রিকেটারদের। তাদের নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে। ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী সচেতন থাকতে হবে। সেটা তো কোচ আপনাকে শেখাতে পারবে না। আপনার নিজেকেই শিখতে হবে। এই অবস্থায় আমি এভাবে ব্যাটিং করব। এই অবস্থায় আমাকে এভাবে বোলিং করতে হবে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট থেকে একটা ইতিবাচক ব্যাপার খুঁজে পাওয়া গেছে এবং সেটা হলো তাদের অসাধারণ ফিল্ডিং। দুই-তিনটা ক্যাচ মিস বাদ দিলে সব ঠিক আছে। এমনটা হতেই পারে। নিজেদের ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) যদি প্রস্তাব দেয়, কাজ করতে আগ্রহী হবেন?
আকরাম: আমি কিছুদিনের জন্য কাজ করতে পারি। কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করব কি না সেটা এখন বলা কঠিন। বাংলাদেশ দলে মুশতাক আহমেদের (স্পিন পরামর্শক) মতো একজন খুব ভালো কোচ আছেন। ফিল সিমন্স, শন টেইট আছেন। তাঁরা ভালো কাজ করছেন। তাসকিন আহমেদের কথা যদি বলি; চার-পাঁচ বছর ধরে তার বোলিং দেখে আমি খুবই মুগ্ধ। আমি ভেবেছিলাম সে সম্ভবত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচে (লিটন দাস ছিটকে যাওয়ায়) অধিনায়ক হবে। আমাকে বলা হয়েছে যে তাসকিন খুব একটা সুশৃঙ্খল নয়। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, ফাস্ট বোলাররা সুশৃঙ্খল হয় না। কারণ, তারা ফাস্ট বোলার। তাদের ভেতরে আগুন আছে। তারা ভালো নেতা হতে পারে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অধিনায়কের মধ্যে কাকে আপনার বেশি ভালো লেগেছে?
আকরাম: অবশ্যই মাশরাফি। আরেকজন উইকেটরক্ষক—মুশফিকুর রহিম। মাশরাফি রাজনীতিতে জড়িয়ে গেল। সাকিব (আল হাসান) কিছুদিনের জন্য ছিল। এখন লিটন দাস। আমি গত এক বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেট সেভাবে দেখিনি। লিটন দাসের অধীনে দল খুব ভালো খেলছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রান তাড়ার সময় বাংলাদেশ তাকে মিস করেছে। যখন আপনি ১৩৩ (১৩৬) রানের মতো অল্প লক্ষ্য তাড়া করবেন ভালো আক্রমণের বিপক্ষে, তখন ২০ ওভার খেলতে হবে। প্রথম ৬ ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদিকে আক্রমণ করতে পারবেন না। আগে তার বোলিংটা দেখুন। তারপর ৪০ রানের একটা জুটি গড়লেই পাকিস্তানকে চাপে ফেলা যেত। কিন্তু সেটা তো হয়নি। তারা বাজে শট খেলেছে। কয়েকজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার এমনটা করেছে। তবে আমি আবারও বলছি, ছন্দে থাকা অধিনায়ককে তারা হারিয়েছে। আশা করি সে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।
প্রশ্ন: আপনি নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশে খেলেছেন। সেখানে আপনার সবচেয়ে ভালো স্মৃতি কোনটা?
আকরাম: বাংলাদেশে আমার অনেক অসাধারণ স্মৃতি আছে। সেখানকার মানুষ, খাবার—সবই দারুণ। সেখানে আমার অনেক বন্ধু আছে। আমি গত ১০-১২ বছর বাংলাদেশে যাইনি। তবে আগামী জানুয়ারিতে যাওয়ার পরিকল্পনা আছে। আমার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাব। আমি খুব খুশি যে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ভালো। ঢাকা-করাচি অথবা করাচি থেকে ঢাকা সরাসরি ফ্লাইট শুরু হয়েছে। এটা একটা ভালো লক্ষণ। আমি বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট, বগুড়া; প্রতিটি শহরের কথা আমার মনে আছে। সেখানকার মানুষ এখনো আমাকে ভালোবাসে। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি সব সময় আমার ভালোবাসা।
প্রশ্ন: পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে অনেক পাকিস্তানি কিংবদন্তিই কাজ করেছেন। কিন্তু আপনাকে খুব একটা দেখা যায়নি কখনো। কারণটা কী?
উত্তর: দেখুন আমার বয়স প্রায় ৬০ বছর। এই কাজটা অনেক কঠিন। আমি শুধু লাহোরভিত্তিক কাজ করতে পারব না। কারণ, কোচিং অনেক কঠিন কাজ। আপনাকে সব সময় সেখানে উপস্থিত থাকতে হবে। পরিবার থেকে দূরে থাকা অনেক কঠিন। কিন্তু পাকিস্তানের জন্য আমি আছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা জিনিস প্রায়ই দেখা যায়, গিল ও অভিষেককে প্রস্তুত করেছে যুবরাজ সিং। এই দুই ছেলে (গিল-অভিষেক) যুবরাজ সিংয়ের কাছে যেত। কেউ আমার কাছে আসেনি। বাংলাদেশ-পাকিস্তানের কেউ এলে আমি তাকে টিপস, সহায়তা করতে প্রস্তুত। তাদের সময় দিতেও রাজি। কিন্তু এটা হচ্ছে না। আমি এটা বিনা মূল্যে করতে পারব। আমার টাকা নিয়ে অহংকার নেই। তবে কোনো তরুণ ক্রিকেটার এলে আমি তাকে সময় দিতে রাজি। কিন্তু এখনো কেউ আমাকে ডাকেনি।
প্রশ্ন: আপনার আত্মজীবনী ‘সুলতান অব সুইং’ বইয়ে খেলোয়াড়ি জীবন, পারিবারিক সম্পর্ক, মাদকাসক্ত হয়ে পড়া নিয়ে অনেক স্পর্শকাতর কথা খোলামেলা তুলে ধরেছেন। আপনার প্রয়াত স্ত্রীর শেষ মুহূর্তগুলো এত হৃদয়স্পর্শী, চোখে পানি এসে যায়। আপনার খেলোয়াড়ি জীবন এত বর্ণাঢ্য, চাইলে একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় এড়িয়েও যেতে পারতেন। কিন্তু কীভাবে তুলে ধরা?
আকরাম: এটা লেখা আমার জন্য কঠিন ছিল। আমার স্ত্রী শানিরা (শানিয়ারা থম্পসন) আমাকে এই বই লিখতে রাজি করিয়েছিল। আমি বিরক্ত হইনি। এটা নিয়ে পাকিস্তানের অনেক ক্রিকেটার চিন্তিত ছিল। কারণ, তারা ভেবেছিল যে আমি তাদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলব। কিন্তু সেই বইটি পুরোপুরি আমার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লেখা। আমার সংগ্রাম, ট্র্যাজেডি, জয়, সুখ-দুঃখ—এসব নিয়ে লেখা। এই বইটি লেখা আমার জন্য খুব কঠিন ছিল। এটা লেখার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় লেগেছে। বই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান লেখক গিডিয়ন হেইগ দুর্দান্ত কাজ করেছেন। আমার সন্তানেরাও আমাকে সমর্থন করেছে। এই বইটি আসলে তাদের জন্য। যখন তারা বড় হবে, তখন তারা বুঝতে পারবে মাঠে এবং মাঠের বাইরে তারা কী কী অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছে। আমার জীবনে একটা ট্র্যাজেডি আছে। আমার প্রথম স্ত্রী হুমাকে আমি এখনো মিস করি। সে মারা যাওয়ার পর শানিরাকে বিয়ে করেছি। আমার ভাগ্য ভালো ছিল বলে আমি এমন দুজন জীবনসঙ্গী পেয়েছি। আয়লা নামে আমাদের ১১ বছরের একটি মেয়ে আছে। সে আমাদের বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা। জীবন চলতেই থাকবে। এটা বলা সহজ। এরপরও জীবনকে চলতেই হবে।
প্রশ্ন: ধারাভাষ্য ও ক্রিকেটীয় কার্যক্রমের বাইরে সময় কাটে কীভাবে?
উত্তর: অনেক ব্যস্ত। আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। পাকিস্তানে অনেক টেলিভিশনে কাজ করতে হয়। পরিবার থাকে মেলবোর্নে। পাকিস্তান-মেলবোর্নে তাই অহরহ যাতায়াত করতে হয়। অনেক লম্বা যাত্রা। কিন্তু কাজ তো করতে হবে। এটা কঠিন। ১১ বছর বয়সী মেয়ে আছে। ছেলেরাও বড় হয়েছে। তৈমুরের বয়স ২৭ বছর, আকবরের বয়স ২৪ বছর ও ইসার বয়স ১১ হয়েছে। আমার সন্তান, স্ত্রী ও পরিবারকে মিস করি। অনেক কঠিন। কিন্তু এভাবেই হচ্ছে।
আকরামের চোখে সময়ের সেরা ব্যাটার
বর্তমান সময়ে সেটা বলা কঠিন। আমি যদি টেস্ট ক্রিকেটের কথা বলি তাহলে জো রুট শীর্ষে থাকবে। স্টিভ স্মিথ, বিরাট কোহলিও আছে। আমার মনে হয় বর্তমানে এরা বড় নাম। তারপর কেন উইলিয়ামসন এবং অবশ্যই পাকিস্তানের বাবর আজমের নাম নিতে হয়। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে আমার মনে হয় ইদানীং অভিষেক শর্মা আমাকে মুগ্ধ করেছে। তার ব্যাটিংয়ে আসলে সবাই মুগ্ধ। এবারের এশিয়া কাপে সে যেভাবে ব্যাটিং করছে। লাল বলের ক্রিকেটেও সে সমান ভালো খেলোয়াড়। তার টেকনিক ভালো। সে শট খেলতে পারে। সে ব্লক করতে পারে। তার হাতে সব শটই আছে। সে দারুণ একটি প্রতিভা।

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বয়স ‘৫৯’ যেন তাঁর কাছে শুধুই সংখ্যা! তারুণ্যের আভা চোখেমুখে, ভারী ব্যক্তিত্বের সঙ্গে নায়কোচিত চলনবলন। এই এশিয়া কাপেও তিনি ছিলেন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায়। দুবাইয়ের হোটেল তাজে ওয়াসিম আকরাম সময় দিলেন ভারত-পাকিস্তান ফাইনালের সকালে।
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে