
বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে গত দুই মাসে সভাপতি হিসেবে বোর্ডের কার্যক্রমই শুধু নয়; বিসিবির নির্বাচন, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন বুলবুল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ছুটিতে কদিন মেলবোর্নে পরিবারের কাছে ছিলেন। বিদেশ থেকে বোর্ড চালানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক সাবেক পরিচালক...।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল: বোর্ড কি প্রেসিডেন্ট চালান নাকি? ক্রিকেট বোর্ড চালান প্রধান নির্বাহী ও তাঁর জনবল। এসব কথাবার্তা নিয়ে বিচলিত নই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে আপনি একটি জরিপ চালাতে চেয়েছিলেন বলে জানি। সেই জরিপে কেমন সাড়া বা উত্তর পেলেন?
বুলবুল: খুব ভালো ফল এসেছে। ৮টি প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেসব উত্তর নিয়ে ভ্যালু শেয়ারিং সেশন নামে ১৯ আগস্ট একটা সেশন করব। জাতীয় দলের সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটাররা থাকবে। কোচিং স্টাফ থাকবে। পরিচালকদেরও জানিয়েছি, সেশনে কে কী বলতে চান, আমাকে জানান। ক্রিকেটাররা মন খুলে অনেক কিছু লিখে আমাকে জানিয়েছে। একটা প্রশ্নে বর্ণনামূলক উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল—এগোনোর উপায় কী। বাকিগুলো ১ থেকে ৫ নম্বর দেওয়ার বিষয় ছিল। ১ মানে খুব বাজে, ৫ মানে খুব ভালো। বিসিবির সাপোর্ট, আমাদের কাছে তারা কী আশা করে—খাবার, লজিস্টিক, উইকেট, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড় ও বোর্ড—দুই পক্ষের কাছে আসার একটা দারুণ পদ্ধতি এটা। এই রিপোর্ট কার্ড দেখলে বুঝতে পারব, আমরা কোথায় আছি। এ রকম আরও জরিপ করব।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক, পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আনা, টনি হেমিংকে আনা...। (থামিয়ে)
বুলবুল: এসব তো আছেই। আম্পায়ার্স, ম্যাচ রেফারিদের কোর্স, হাই পারফরম্যান্স সেশন। লেভেল থ্রি কোর্স, ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ কোর্স হবে, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে জেলা কোচদের প্রশিক্ষিত করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিভা তুলে আনার কাজটাও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে একটা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বিভাগে হবে। চট্টগ্রামে একটা আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রামের পর সিলেটে আঞ্চলিক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হবে। এসবই বিকেন্দ্রীকরণের পরীক্ষামূলক অংশ। এরপর একটা ফান্ডিং মডেল দাঁড় করানো হবে। আমরা এরই মধ্যে মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করেছি প্রশাসনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে। এই যে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা মেয়েটা কী যে খুশি হয়েছে বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণায়।
প্রশ্ন: সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে?
বুলবুল: তাঁর চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের কী আছে, কী নেই। তাঁকে আমরা কী কাজে লাগাতে পারি। আর আমাদের এই বিনিয়োগে কী লাভ হবে। দিন, মাসের হিসাব করে তাঁকে আমরা একটা ভালো ডিসকাউন্টে রাজি করিয়েছি। এটা খুব দরকার ছিল। গ্রাউন্ডসে এখন এত কাজ হচ্ছে, গামিনি (ডি সিলভার) ব্যাপারে এত দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন (উইকেটের পাশে) পুঁইশাক বের হচ্ছে! এসব এত বছরে বের হয়নি কেন? সব এক এক করে ধরা হচ্ছে।

প্রশ্ন: বিপিএল পরিচালনার দায়িত্ব নাকি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (আইএমজি) দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি কি চূড়ান্ত?
বুলবুল: তিন-চারটা মডেল আছে, এখনো আলোচনা চলছে। ১৮ আগস্ট আইসিসির সাবেক দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল আসছেন। তাঁরা সবাই আমার পরিচিত। কীভাবে আমাদের এসিইউ বিভাগকে বিশ্বমানের করব, সে হিসেবে তাঁকে পরামর্শক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত দুই মাসে অনেক কিছুই ঘটেছে বিসিবিতে। গ্রাউন্ডসের কথা যদি বলি, ইনডোরগুলো রেডি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগে কাজ হচ্ছে। একটা বায়োমেকানিকস ল্যাব করার চেষ্টা চলছে। জরিপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মনের কথা শোনা হচ্ছে। এনসিএলে ময়মনসিংহ বিভাগকে যুক্ত করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটা নাইট অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম করতে চাইছি। গত ১৫ বছরে এটা কি হয়েছে? ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে। সব একার পক্ষে সম্ভব নয়, হচ্ছে একটা টিম হিসেবে। পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছেন। বোর্ডের সবারই সহযোগিতা আছে।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ শেষ হয়ে যাচ্ছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এবার ঢাকায় ফেরার পর আপনার সামনে যে বিষয়টা বেশি আসবে—বিসিবির নির্বাচন।
বুলবুল: এটা কিছু নয়। সব ঠিকঠাক করে বোর্ডের সঙ্গে বসে একটা নির্বাচন কমিশন করব। কাউন্সিলরদের চিঠি দেওয়া হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যা যা হওয়ার—সবই করব। তবে আমার মনোযোগ বেশি থাকবে ট্রিপল সেঞ্চুরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। আচ্ছা, বড় বড় যেসব ক্রিকেট বোর্ড আছে; যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড—এদের সর্বশেষ কবে বোর্ড নির্বাচন হয়েছে, জানেন? বিসিবির নির্বাচন কবে, এটির গুরুত্ব এত বেশি কেন আমাদের এখানে? ক্রিকেট নিয়ে এত কার্যক্রম চলছে, ক্রিকেটের চেয়ে নির্বাচন কেন এত বড় বিষয় হয়ে যায়? কোনো ক্রিকেটার কি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে খেলতে নামে? এত বছরে একটা বোর্ডের ঠিকঠাক অর্গানোগ্রামে চলেনি, সেটি নিয়ে আপনারা কেউ কি প্রশ্ন তুলেছেন? জাস্ট জিজ্ঞেস করছি। আগের একজন সভাপতি মিরপুর থেকে বিকেএসপি কিংবা ফতুল্লায় গেলেও হেলিকপ্টারে গেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে গেলে পুরো বিমান ভাড়া করা হয়েছে। তখন এসব নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেননি কেন? আমার পেছনেও বিসিবির খরচ হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে অফিসে চা খেলাম, লাঞ্চ করলাম—এসবে যতটুকু খরচ হয়, হচ্ছে। তবে আমার জন্য বিসিবিতে কোনো স্পেশাল চা তৈরি হয় না। সবার জন্য যা, আমার জন্যও তা। যাহোক, (নির্বাচনের বিষয়ে) এটা ইলেকশন কমিশন না, ক্রিকেট বোর্ড।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে যতটুকু করার সুযোগ পেয়েছেন, কতটা করতে পারলেন বলে মনে হয়?
বুলবুল: কাজ তো চলমান। এখনই বলতে পারব না। একেবারে শেষে বলতে পারব। তবে যেসব কাজে হাত দিয়েছি, সবই ঠিকঠাক এগোচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতে ফিরল। জাতীয় দল টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। সামনে যে এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে, এখানে থেকে আমরা রাজস্ব ভাগাভাগি থেকে ৩-৪ মিলিয়ন ডলার (৪০-৫০ কোটি টাকা) পাব। এশিয়া কাপ কতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল, তা তো দেখেছেনই। এখানে ক্রিকেট কূটনৈতিকতায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। প্রথমবারের মতো এসিসির এজিএম হয়েছে ঢাকায়।
প্রশ্ন: একাধিকবার বলেছেন, মেয়াদ শেষ হতেই বিদায় নিয়ে চলে যেতে চান। বিসিবি নির্বাচনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ যদি আপনাকে সম্মানজনক গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়, গ্রহণ করবেন?
বুলবুল: এখন শুধু আমি মনোযোগী ট্রিপল সেঞ্চুরি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। এখানে দুটি বিষয় আছে। আমাকে আসতে হবে সরকারের কাউন্সিলর হিসেবে। এলেই হবে না, ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, আমি চাই কি না। যখন দুটি বিষয় এক বিন্দুতে মিলবে, তখন বুঝব। আমাকেও তো চাইতে হবে। আমি এটা শুধু গৌরবের ব্যাপার হিসেবে ভাবি না, এটা অনেক বড় দায়িত্ব। জেনেশুনে এই গুরুদায়িত্ব নেবেন? এটির প্রতিটি পদে ঝুঁকি থাকে।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত মেয়াদ বলেই শুধু বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাজি হয়েছিলেন?
বুলবুল: চার মাসে যখন একটা বোর্ডে নতুন করে অর্গানোগ্রাম তৈরি হয়, পুরো এইচআর রিস্ট্রাকচার করা হয়, তার মানে এগুলো ছিল না। এটা করতেই এখানে এসেছি। যেটা কখনোই ছিল না, সেটা এখন হচ্ছে।
প্রশ্ন: ছুটিতে কদিন মেলবোর্নে পরিবারের কাছে ছিলেন। বিদেশ থেকে বোর্ড চালানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক সাবেক পরিচালক...।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল: বোর্ড কি প্রেসিডেন্ট চালান নাকি? ক্রিকেট বোর্ড চালান প্রধান নির্বাহী ও তাঁর জনবল। এসব কথাবার্তা নিয়ে বিচলিত নই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে আপনি একটি জরিপ চালাতে চেয়েছিলেন বলে জানি। সেই জরিপে কেমন সাড়া বা উত্তর পেলেন?
বুলবুল: খুব ভালো ফল এসেছে। ৮টি প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেসব উত্তর নিয়ে ভ্যালু শেয়ারিং সেশন নামে ১৯ আগস্ট একটা সেশন করব। জাতীয় দলের সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটাররা থাকবে। কোচিং স্টাফ থাকবে। পরিচালকদেরও জানিয়েছি, সেশনে কে কী বলতে চান, আমাকে জানান। ক্রিকেটাররা মন খুলে অনেক কিছু লিখে আমাকে জানিয়েছে। একটা প্রশ্নে বর্ণনামূলক উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল—এগোনোর উপায় কী। বাকিগুলো ১ থেকে ৫ নম্বর দেওয়ার বিষয় ছিল। ১ মানে খুব বাজে, ৫ মানে খুব ভালো। বিসিবির সাপোর্ট, আমাদের কাছে তারা কী আশা করে—খাবার, লজিস্টিক, উইকেট, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড় ও বোর্ড—দুই পক্ষের কাছে আসার একটা দারুণ পদ্ধতি এটা। এই রিপোর্ট কার্ড দেখলে বুঝতে পারব, আমরা কোথায় আছি। এ রকম আরও জরিপ করব।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক, পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আনা, টনি হেমিংকে আনা...। (থামিয়ে)
বুলবুল: এসব তো আছেই। আম্পায়ার্স, ম্যাচ রেফারিদের কোর্স, হাই পারফরম্যান্স সেশন। লেভেল থ্রি কোর্স, ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ কোর্স হবে, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে জেলা কোচদের প্রশিক্ষিত করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিভা তুলে আনার কাজটাও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে একটা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বিভাগে হবে। চট্টগ্রামে একটা আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রামের পর সিলেটে আঞ্চলিক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হবে। এসবই বিকেন্দ্রীকরণের পরীক্ষামূলক অংশ। এরপর একটা ফান্ডিং মডেল দাঁড় করানো হবে। আমরা এরই মধ্যে মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করেছি প্রশাসনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে। এই যে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা মেয়েটা কী যে খুশি হয়েছে বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণায়।
প্রশ্ন: সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে?
বুলবুল: তাঁর চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের কী আছে, কী নেই। তাঁকে আমরা কী কাজে লাগাতে পারি। আর আমাদের এই বিনিয়োগে কী লাভ হবে। দিন, মাসের হিসাব করে তাঁকে আমরা একটা ভালো ডিসকাউন্টে রাজি করিয়েছি। এটা খুব দরকার ছিল। গ্রাউন্ডসে এখন এত কাজ হচ্ছে, গামিনি (ডি সিলভার) ব্যাপারে এত দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন (উইকেটের পাশে) পুঁইশাক বের হচ্ছে! এসব এত বছরে বের হয়নি কেন? সব এক এক করে ধরা হচ্ছে।

প্রশ্ন: বিপিএল পরিচালনার দায়িত্ব নাকি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (আইএমজি) দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি কি চূড়ান্ত?
বুলবুল: তিন-চারটা মডেল আছে, এখনো আলোচনা চলছে। ১৮ আগস্ট আইসিসির সাবেক দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল আসছেন। তাঁরা সবাই আমার পরিচিত। কীভাবে আমাদের এসিইউ বিভাগকে বিশ্বমানের করব, সে হিসেবে তাঁকে পরামর্শক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত দুই মাসে অনেক কিছুই ঘটেছে বিসিবিতে। গ্রাউন্ডসের কথা যদি বলি, ইনডোরগুলো রেডি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগে কাজ হচ্ছে। একটা বায়োমেকানিকস ল্যাব করার চেষ্টা চলছে। জরিপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মনের কথা শোনা হচ্ছে। এনসিএলে ময়মনসিংহ বিভাগকে যুক্ত করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটা নাইট অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম করতে চাইছি। গত ১৫ বছরে এটা কি হয়েছে? ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে। সব একার পক্ষে সম্ভব নয়, হচ্ছে একটা টিম হিসেবে। পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছেন। বোর্ডের সবারই সহযোগিতা আছে।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ শেষ হয়ে যাচ্ছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এবার ঢাকায় ফেরার পর আপনার সামনে যে বিষয়টা বেশি আসবে—বিসিবির নির্বাচন।
বুলবুল: এটা কিছু নয়। সব ঠিকঠাক করে বোর্ডের সঙ্গে বসে একটা নির্বাচন কমিশন করব। কাউন্সিলরদের চিঠি দেওয়া হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যা যা হওয়ার—সবই করব। তবে আমার মনোযোগ বেশি থাকবে ট্রিপল সেঞ্চুরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। আচ্ছা, বড় বড় যেসব ক্রিকেট বোর্ড আছে; যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড—এদের সর্বশেষ কবে বোর্ড নির্বাচন হয়েছে, জানেন? বিসিবির নির্বাচন কবে, এটির গুরুত্ব এত বেশি কেন আমাদের এখানে? ক্রিকেট নিয়ে এত কার্যক্রম চলছে, ক্রিকেটের চেয়ে নির্বাচন কেন এত বড় বিষয় হয়ে যায়? কোনো ক্রিকেটার কি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে খেলতে নামে? এত বছরে একটা বোর্ডের ঠিকঠাক অর্গানোগ্রামে চলেনি, সেটি নিয়ে আপনারা কেউ কি প্রশ্ন তুলেছেন? জাস্ট জিজ্ঞেস করছি। আগের একজন সভাপতি মিরপুর থেকে বিকেএসপি কিংবা ফতুল্লায় গেলেও হেলিকপ্টারে গেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে গেলে পুরো বিমান ভাড়া করা হয়েছে। তখন এসব নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেননি কেন? আমার পেছনেও বিসিবির খরচ হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে অফিসে চা খেলাম, লাঞ্চ করলাম—এসবে যতটুকু খরচ হয়, হচ্ছে। তবে আমার জন্য বিসিবিতে কোনো স্পেশাল চা তৈরি হয় না। সবার জন্য যা, আমার জন্যও তা। যাহোক, (নির্বাচনের বিষয়ে) এটা ইলেকশন কমিশন না, ক্রিকেট বোর্ড।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে যতটুকু করার সুযোগ পেয়েছেন, কতটা করতে পারলেন বলে মনে হয়?
বুলবুল: কাজ তো চলমান। এখনই বলতে পারব না। একেবারে শেষে বলতে পারব। তবে যেসব কাজে হাত দিয়েছি, সবই ঠিকঠাক এগোচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতে ফিরল। জাতীয় দল টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। সামনে যে এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে, এখানে থেকে আমরা রাজস্ব ভাগাভাগি থেকে ৩-৪ মিলিয়ন ডলার (৪০-৫০ কোটি টাকা) পাব। এশিয়া কাপ কতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল, তা তো দেখেছেনই। এখানে ক্রিকেট কূটনৈতিকতায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। প্রথমবারের মতো এসিসির এজিএম হয়েছে ঢাকায়।
প্রশ্ন: একাধিকবার বলেছেন, মেয়াদ শেষ হতেই বিদায় নিয়ে চলে যেতে চান। বিসিবি নির্বাচনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ যদি আপনাকে সম্মানজনক গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়, গ্রহণ করবেন?
বুলবুল: এখন শুধু আমি মনোযোগী ট্রিপল সেঞ্চুরি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। এখানে দুটি বিষয় আছে। আমাকে আসতে হবে সরকারের কাউন্সিলর হিসেবে। এলেই হবে না, ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, আমি চাই কি না। যখন দুটি বিষয় এক বিন্দুতে মিলবে, তখন বুঝব। আমাকেও তো চাইতে হবে। আমি এটা শুধু গৌরবের ব্যাপার হিসেবে ভাবি না, এটা অনেক বড় দায়িত্ব। জেনেশুনে এই গুরুদায়িত্ব নেবেন? এটির প্রতিটি পদে ঝুঁকি থাকে।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত মেয়াদ বলেই শুধু বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাজি হয়েছিলেন?
বুলবুল: চার মাসে যখন একটা বোর্ডে নতুন করে অর্গানোগ্রাম তৈরি হয়, পুরো এইচআর রিস্ট্রাকচার করা হয়, তার মানে এগুলো ছিল না। এটা করতেই এখানে এসেছি। যেটা কখনোই ছিল না, সেটা এখন হচ্ছে।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে ফোনে গত দুই মাসে সভাপতি হিসেবে বোর্ডের কার্যক্রমই শুধু নয়; বিসিবির নির্বাচন, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলেছেন বুলবুল। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস।
রানা আব্বাস, ঢাকা

প্রশ্ন: ছুটিতে কদিন মেলবোর্নে পরিবারের কাছে ছিলেন। বিদেশ থেকে বোর্ড চালানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক সাবেক পরিচালক...।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল: বোর্ড কি প্রেসিডেন্ট চালান নাকি? ক্রিকেট বোর্ড চালান প্রধান নির্বাহী ও তাঁর জনবল। এসব কথাবার্তা নিয়ে বিচলিত নই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে আপনি একটি জরিপ চালাতে চেয়েছিলেন বলে জানি। সেই জরিপে কেমন সাড়া বা উত্তর পেলেন?
বুলবুল: খুব ভালো ফল এসেছে। ৮টি প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেসব উত্তর নিয়ে ভ্যালু শেয়ারিং সেশন নামে ১৯ আগস্ট একটা সেশন করব। জাতীয় দলের সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটাররা থাকবে। কোচিং স্টাফ থাকবে। পরিচালকদেরও জানিয়েছি, সেশনে কে কী বলতে চান, আমাকে জানান। ক্রিকেটাররা মন খুলে অনেক কিছু লিখে আমাকে জানিয়েছে। একটা প্রশ্নে বর্ণনামূলক উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল—এগোনোর উপায় কী। বাকিগুলো ১ থেকে ৫ নম্বর দেওয়ার বিষয় ছিল। ১ মানে খুব বাজে, ৫ মানে খুব ভালো। বিসিবির সাপোর্ট, আমাদের কাছে তারা কী আশা করে—খাবার, লজিস্টিক, উইকেট, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড় ও বোর্ড—দুই পক্ষের কাছে আসার একটা দারুণ পদ্ধতি এটা। এই রিপোর্ট কার্ড দেখলে বুঝতে পারব, আমরা কোথায় আছি। এ রকম আরও জরিপ করব।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক, পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আনা, টনি হেমিংকে আনা...। (থামিয়ে)
বুলবুল: এসব তো আছেই। আম্পায়ার্স, ম্যাচ রেফারিদের কোর্স, হাই পারফরম্যান্স সেশন। লেভেল থ্রি কোর্স, ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ কোর্স হবে, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে জেলা কোচদের প্রশিক্ষিত করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিভা তুলে আনার কাজটাও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে একটা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বিভাগে হবে। চট্টগ্রামে একটা আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রামের পর সিলেটে আঞ্চলিক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হবে। এসবই বিকেন্দ্রীকরণের পরীক্ষামূলক অংশ। এরপর একটা ফান্ডিং মডেল দাঁড় করানো হবে। আমরা এরই মধ্যে মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করেছি প্রশাসনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে। এই যে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা মেয়েটা কী যে খুশি হয়েছে বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণায়।
প্রশ্ন: সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে?
বুলবুল: তাঁর চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের কী আছে, কী নেই। তাঁকে আমরা কী কাজে লাগাতে পারি। আর আমাদের এই বিনিয়োগে কী লাভ হবে। দিন, মাসের হিসাব করে তাঁকে আমরা একটা ভালো ডিসকাউন্টে রাজি করিয়েছি। এটা খুব দরকার ছিল। গ্রাউন্ডসে এখন এত কাজ হচ্ছে, গামিনি (ডি সিলভার) ব্যাপারে এত দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন (উইকেটের পাশে) পুঁইশাক বের হচ্ছে! এসব এত বছরে বের হয়নি কেন? সব এক এক করে ধরা হচ্ছে।

প্রশ্ন: বিপিএল পরিচালনার দায়িত্ব নাকি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (আইএমজি) দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি কি চূড়ান্ত?
বুলবুল: তিন-চারটা মডেল আছে, এখনো আলোচনা চলছে। ১৮ আগস্ট আইসিসির সাবেক দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল আসছেন। তাঁরা সবাই আমার পরিচিত। কীভাবে আমাদের এসিইউ বিভাগকে বিশ্বমানের করব, সে হিসেবে তাঁকে পরামর্শক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত দুই মাসে অনেক কিছুই ঘটেছে বিসিবিতে। গ্রাউন্ডসের কথা যদি বলি, ইনডোরগুলো রেডি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগে কাজ হচ্ছে। একটা বায়োমেকানিকস ল্যাব করার চেষ্টা চলছে। জরিপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মনের কথা শোনা হচ্ছে। এনসিএলে ময়মনসিংহ বিভাগকে যুক্ত করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটা নাইট অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম করতে চাইছি। গত ১৫ বছরে এটা কি হয়েছে? ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে। সব একার পক্ষে সম্ভব নয়, হচ্ছে একটা টিম হিসেবে। পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছেন। বোর্ডের সবারই সহযোগিতা আছে।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ শেষ হয়ে যাচ্ছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এবার ঢাকায় ফেরার পর আপনার সামনে যে বিষয়টা বেশি আসবে—বিসিবির নির্বাচন।
বুলবুল: এটা কিছু নয়। সব ঠিকঠাক করে বোর্ডের সঙ্গে বসে একটা নির্বাচন কমিশন করব। কাউন্সিলরদের চিঠি দেওয়া হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যা যা হওয়ার—সবই করব। তবে আমার মনোযোগ বেশি থাকবে ট্রিপল সেঞ্চুরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। আচ্ছা, বড় বড় যেসব ক্রিকেট বোর্ড আছে; যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড—এদের সর্বশেষ কবে বোর্ড নির্বাচন হয়েছে, জানেন? বিসিবির নির্বাচন কবে, এটির গুরুত্ব এত বেশি কেন আমাদের এখানে? ক্রিকেট নিয়ে এত কার্যক্রম চলছে, ক্রিকেটের চেয়ে নির্বাচন কেন এত বড় বিষয় হয়ে যায়? কোনো ক্রিকেটার কি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে খেলতে নামে? এত বছরে একটা বোর্ডের ঠিকঠাক অর্গানোগ্রামে চলেনি, সেটি নিয়ে আপনারা কেউ কি প্রশ্ন তুলেছেন? জাস্ট জিজ্ঞেস করছি। আগের একজন সভাপতি মিরপুর থেকে বিকেএসপি কিংবা ফতুল্লায় গেলেও হেলিকপ্টারে গেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে গেলে পুরো বিমান ভাড়া করা হয়েছে। তখন এসব নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেননি কেন? আমার পেছনেও বিসিবির খরচ হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে অফিসে চা খেলাম, লাঞ্চ করলাম—এসবে যতটুকু খরচ হয়, হচ্ছে। তবে আমার জন্য বিসিবিতে কোনো স্পেশাল চা তৈরি হয় না। সবার জন্য যা, আমার জন্যও তা। যাহোক, (নির্বাচনের বিষয়ে) এটা ইলেকশন কমিশন না, ক্রিকেট বোর্ড।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে যতটুকু করার সুযোগ পেয়েছেন, কতটা করতে পারলেন বলে মনে হয়?
বুলবুল: কাজ তো চলমান। এখনই বলতে পারব না। একেবারে শেষে বলতে পারব। তবে যেসব কাজে হাত দিয়েছি, সবই ঠিকঠাক এগোচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতে ফিরল। জাতীয় দল টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। সামনে যে এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে, এখানে থেকে আমরা রাজস্ব ভাগাভাগি থেকে ৩-৪ মিলিয়ন ডলার (৪০-৫০ কোটি টাকা) পাব। এশিয়া কাপ কতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল, তা তো দেখেছেনই। এখানে ক্রিকেট কূটনৈতিকতায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। প্রথমবারের মতো এসিসির এজিএম হয়েছে ঢাকায়।
প্রশ্ন: একাধিকবার বলেছেন, মেয়াদ শেষ হতেই বিদায় নিয়ে চলে যেতে চান। বিসিবি নির্বাচনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ যদি আপনাকে সম্মানজনক গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়, গ্রহণ করবেন?
বুলবুল: এখন শুধু আমি মনোযোগী ট্রিপল সেঞ্চুরি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। এখানে দুটি বিষয় আছে। আমাকে আসতে হবে সরকারের কাউন্সিলর হিসেবে। এলেই হবে না, ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, আমি চাই কি না। যখন দুটি বিষয় এক বিন্দুতে মিলবে, তখন বুঝব। আমাকেও তো চাইতে হবে। আমি এটা শুধু গৌরবের ব্যাপার হিসেবে ভাবি না, এটা অনেক বড় দায়িত্ব। জেনেশুনে এই গুরুদায়িত্ব নেবেন? এটির প্রতিটি পদে ঝুঁকি থাকে।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত মেয়াদ বলেই শুধু বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাজি হয়েছিলেন?
বুলবুল: চার মাসে যখন একটা বোর্ডে নতুন করে অর্গানোগ্রাম তৈরি হয়, পুরো এইচআর রিস্ট্রাকচার করা হয়, তার মানে এগুলো ছিল না। এটা করতেই এখানে এসেছি। যেটা কখনোই ছিল না, সেটা এখন হচ্ছে।
প্রশ্ন: ছুটিতে কদিন মেলবোর্নে পরিবারের কাছে ছিলেন। বিদেশ থেকে বোর্ড চালানোর বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এক সাবেক পরিচালক...।
আমিনুল ইসলাম বুলবুল: বোর্ড কি প্রেসিডেন্ট চালান নাকি? ক্রিকেট বোর্ড চালান প্রধান নির্বাহী ও তাঁর জনবল। এসব কথাবার্তা নিয়ে বিচলিত নই।
প্রশ্ন: জাতীয় দলের ক্রিকেটার ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে আপনি একটি জরিপ চালাতে চেয়েছিলেন বলে জানি। সেই জরিপে কেমন সাড়া বা উত্তর পেলেন?
বুলবুল: খুব ভালো ফল এসেছে। ৮টি প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেসব উত্তর নিয়ে ভ্যালু শেয়ারিং সেশন নামে ১৯ আগস্ট একটা সেশন করব। জাতীয় দলের সাদা ও লাল বলের ক্রিকেটাররা থাকবে। কোচিং স্টাফ থাকবে। পরিচালকদেরও জানিয়েছি, সেশনে কে কী বলতে চান, আমাকে জানান। ক্রিকেটাররা মন খুলে অনেক কিছু লিখে আমাকে জানিয়েছে। একটা প্রশ্নে বর্ণনামূলক উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছিল—এগোনোর উপায় কী। বাকিগুলো ১ থেকে ৫ নম্বর দেওয়ার বিষয় ছিল। ১ মানে খুব বাজে, ৫ মানে খুব ভালো। বিসিবির সাপোর্ট, আমাদের কাছে তারা কী আশা করে—খাবার, লজিস্টিক, উইকেট, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। খেলোয়াড় ও বোর্ড—দুই পক্ষের কাছে আসার একটা দারুণ পদ্ধতি এটা। এই রিপোর্ট কার্ড দেখলে বুঝতে পারব, আমরা কোথায় আছি। এ রকম আরও জরিপ করব।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে অনেক কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। তিন ফরম্যাটে তিন অধিনায়ক, পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আনা, টনি হেমিংকে আনা...। (থামিয়ে)
বুলবুল: এসব তো আছেই। আম্পায়ার্স, ম্যাচ রেফারিদের কোর্স, হাই পারফরম্যান্স সেশন। লেভেল থ্রি কোর্স, ব্যাটিং বিশেষজ্ঞ কোর্স হবে, বিকেন্দ্রীকরণের অংশ হিসেবে জেলা কোচদের প্রশিক্ষিত করে বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিভা তুলে আনার কাজটাও শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে রাজশাহীতে একটা বয়সভিত্তিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। ধীরে ধীরে বাকি বিভাগে হবে। চট্টগ্রামে একটা আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি করতে যাচ্ছি। চট্টগ্রামের পর সিলেটে আঞ্চলিক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট হবে। এসবই বিকেন্দ্রীকরণের পরীক্ষামূলক অংশ। এরপর একটা ফান্ডিং মডেল দাঁড় করানো হবে। আমরা এরই মধ্যে মানবসম্পদ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করেছি প্রশাসনিক কাঠামো পর্যালোচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা পেতে। এই যে ফুটবলার ঋতুপর্ণা চাকমা মেয়েটা কী যে খুশি হয়েছে বাড়ি করে দেওয়ার ঘোষণায়।
প্রশ্ন: সাইমন টফেলের সঙ্গে চুক্তি পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে?
বুলবুল: তাঁর চুক্তির ব্যাপারে কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, আমাদের কী আছে, কী নেই। তাঁকে আমরা কী কাজে লাগাতে পারি। আর আমাদের এই বিনিয়োগে কী লাভ হবে। দিন, মাসের হিসাব করে তাঁকে আমরা একটা ভালো ডিসকাউন্টে রাজি করিয়েছি। এটা খুব দরকার ছিল। গ্রাউন্ডসে এখন এত কাজ হচ্ছে, গামিনি (ডি সিলভার) ব্যাপারে এত দিন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এখন (উইকেটের পাশে) পুঁইশাক বের হচ্ছে! এসব এত বছরে বের হয়নি কেন? সব এক এক করে ধরা হচ্ছে।

প্রশ্ন: বিপিএল পরিচালনার দায়িত্ব নাকি আন্তর্জাতিক স্পোর্টস মার্কেটিং প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ম্যানেজমেন্ট গ্রুপকে (আইএমজি) দিতে যাচ্ছে বিসিবি। বিষয়টি কি চূড়ান্ত?
বুলবুল: তিন-চারটা মডেল আছে, এখনো আলোচনা চলছে। ১৮ আগস্ট আইসিসির সাবেক দুর্নীতি দমন বিভাগের প্রধান অ্যালেক্স মার্শাল আসছেন। তাঁরা সবাই আমার পরিচিত। কীভাবে আমাদের এসিইউ বিভাগকে বিশ্বমানের করব, সে হিসেবে তাঁকে পরামর্শক হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত দুই মাসে অনেক কিছুই ঘটেছে বিসিবিতে। গ্রাউন্ডসের কথা যদি বলি, ইনডোরগুলো রেডি হয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি বিভাগে কাজ হচ্ছে। একটা বায়োমেকানিকস ল্যাব করার চেষ্টা চলছে। জরিপের মাধ্যমে খেলোয়াড়দের মনের কথা শোনা হচ্ছে। এনসিএলে ময়মনসিংহ বিভাগকে যুক্ত করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটা নাইট অ্যাওয়ার্ডস প্রোগ্রাম করতে চাইছি। গত ১৫ বছরে এটা কি হয়েছে? ক্রিকেট-সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুরস্কৃত করা হবে। সব একার পক্ষে সম্ভব নয়, হচ্ছে একটা টিম হিসেবে। পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেক সদস্যই আমাকে দারুণভাবে সহযোগিতা করছেন। বোর্ডের সবারই সহযোগিতা আছে।
প্রশ্ন: বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ শেষ হয়ে যাচ্ছে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। এবার ঢাকায় ফেরার পর আপনার সামনে যে বিষয়টা বেশি আসবে—বিসিবির নির্বাচন।
বুলবুল: এটা কিছু নয়। সব ঠিকঠাক করে বোর্ডের সঙ্গে বসে একটা নির্বাচন কমিশন করব। কাউন্সিলরদের চিঠি দেওয়া হবে। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার যা যা হওয়ার—সবই করব। তবে আমার মনোযোগ বেশি থাকবে ট্রিপল সেঞ্চুরি কর্মসূচি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। আচ্ছা, বড় বড় যেসব ক্রিকেট বোর্ড আছে; যেমন ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড—এদের সর্বশেষ কবে বোর্ড নির্বাচন হয়েছে, জানেন? বিসিবির নির্বাচন কবে, এটির গুরুত্ব এত বেশি কেন আমাদের এখানে? ক্রিকেট নিয়ে এত কার্যক্রম চলছে, ক্রিকেটের চেয়ে নির্বাচন কেন এত বড় বিষয় হয়ে যায়? কোনো ক্রিকেটার কি বিএনপি বা আওয়ামী লীগের পরিচয়ে খেলতে নামে? এত বছরে একটা বোর্ডের ঠিকঠাক অর্গানোগ্রামে চলেনি, সেটি নিয়ে আপনারা কেউ কি প্রশ্ন তুলেছেন? জাস্ট জিজ্ঞেস করছি। আগের একজন সভাপতি মিরপুর থেকে বিকেএসপি কিংবা ফতুল্লায় গেলেও হেলিকপ্টারে গেছেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কিংবা সিলেটে গেলে পুরো বিমান ভাড়া করা হয়েছে। তখন এসব নিয়ে আপনারা প্রশ্ন করেননি কেন? আমার পেছনেও বিসিবির খরচ হচ্ছে। সবাইকে নিয়ে অফিসে চা খেলাম, লাঞ্চ করলাম—এসবে যতটুকু খরচ হয়, হচ্ছে। তবে আমার জন্য বিসিবিতে কোনো স্পেশাল চা তৈরি হয় না। সবার জন্য যা, আমার জন্যও তা। যাহোক, (নির্বাচনের বিষয়ে) এটা ইলেকশন কমিশন না, ক্রিকেট বোর্ড।
প্রশ্ন: গত দুই মাসে যতটুকু করার সুযোগ পেয়েছেন, কতটা করতে পারলেন বলে মনে হয়?
বুলবুল: কাজ তো চলমান। এখনই বলতে পারব না। একেবারে শেষে বলতে পারব। তবে যেসব কাজে হাত দিয়েছি, সবই ঠিকঠাক এগোচ্ছে। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল জিতে ফিরল। জাতীয় দল টানা দুটি সিরিজ জিতেছে। সামনে যে এশিয়া কাপ হতে যাচ্ছে, এখানে থেকে আমরা রাজস্ব ভাগাভাগি থেকে ৩-৪ মিলিয়ন ডলার (৪০-৫০ কোটি টাকা) পাব। এশিয়া কাপ কতটা অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গিয়েছিল, তা তো দেখেছেনই। এখানে ক্রিকেট কূটনৈতিকতায় আমরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছি। প্রথমবারের মতো এসিসির এজিএম হয়েছে ঢাকায়।
প্রশ্ন: একাধিকবার বলেছেন, মেয়াদ শেষ হতেই বিদায় নিয়ে চলে যেতে চান। বিসিবি নির্বাচনের পর নতুন পরিচালনা পর্ষদ যদি আপনাকে সম্মানজনক গুরুত্বপূর্ণ কোনো জায়গায় কাজ করার প্রস্তাব দেয়, গ্রহণ করবেন?
বুলবুল: এখন শুধু আমি মনোযোগী ট্রিপল সেঞ্চুরি বাস্তবায়ন আর বোর্ডের কাজে। এখানে দুটি বিষয় আছে। আমাকে আসতে হবে সরকারের কাউন্সিলর হিসেবে। এলেই হবে না, ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করতে হবে। আরেকটা হচ্ছে, আমি চাই কি না। যখন দুটি বিষয় এক বিন্দুতে মিলবে, তখন বুঝব। আমাকেও তো চাইতে হবে। আমি এটা শুধু গৌরবের ব্যাপার হিসেবে ভাবি না, এটা অনেক বড় দায়িত্ব। জেনেশুনে এই গুরুদায়িত্ব নেবেন? এটির প্রতিটি পদে ঝুঁকি থাকে।
প্রশ্ন: সংক্ষিপ্ত মেয়াদ বলেই শুধু বিসিবি সভাপতি হিসেবে রাজি হয়েছিলেন?
বুলবুল: চার মাসে যখন একটা বোর্ডে নতুন করে অর্গানোগ্রাম তৈরি হয়, পুরো এইচআর রিস্ট্রাকচার করা হয়, তার মানে এগুলো ছিল না। এটা করতেই এখানে এসেছি। যেটা কখনোই ছিল না, সেটা এখন হচ্ছে।

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
ইচ্ছা থাকলেও আরও একটি বিশ্বকাপ মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করার বিষয়টি যে হাতে নেই, সেটা ভালোভাবেই জানেন মেসি। কিছুদিন আগে আটবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী জানিয়েছিলেন, শরীর সুস্থ থাকলে ও ফর্ম থাকলে কেবল ২০২৬ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে মাঠে নামবেন তিনি।
ইএসপিএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি বলেন, ‘আশা করি, আমি বিশ্বকাপ খেলতে পারব। আগেই বলেছি যে, আমি আরও একটি বিশ্বকাপ খেলতে চাই। বিশ্বকাপ খেলতে না পারা আমার জন্য সবচেয়ে খারাপ হবে। তেমনটা হলে আমি মাঠে বসে দলের খেলা উপভোগ করব।’
লিওনেল স্কালোনির হাত ধরে গত সাড়ে চার বছরে একটি বিশ্বকাপের পাশাপাশি দুটি কোপা আমেরিকার শিরোপা জিতেছে আর্জেন্টিনা। দলের এমন সাফল্যে কোচের ভূমিকার কথা অকপটে স্বীকার করলেন মেসি, ‘বিশ্বকাপ সবার জন্য, যেকোনো দেশের জন্য বিশেষ; বিশেষ করে আমাদের জন্য। কারণ, আমরা সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এটা উপভোগ করি। সত্যি কথা হলো, আমাদের অসাধারণ সব খেলোয়াড় আছে। বছরের পর বছর ধরে এটা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, লিওনেল স্কালোনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আকাঙ্ক্ষা ও উত্তেজনা অনেকটাই বেড়ে গেছে।’
নিজেদের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মেসি, ‘প্রত্যেকেরই দারুণ মানসিকতা আছে। আমাদের এই দলে অনেক বিজয়ী আছে। যাদের শক্তিশালী মানসিকতা আছে, যারা আরও জিততে চায়। জয়ের ইচ্ছাটা প্রশিক্ষণে ও ম্যাচে দেখা যায়। আমাদের দলটি অসাধারণ। আমরা ভালোভাবে একত্রে কাজ করি। সবাই কঠোর পরিশ্রম করে। নিজ নিজ জায়গা থেকে সেরাটা ঢেলে দেয়। এটাই এই দলের একটি বিশাল শক্তি।’

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
১৪ আগস্ট ২০২৫
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
বয়কট থেকে সরে এসে দুজনকে ড্র অনুষ্ঠানে পাঠাবে ইরান। দেশটির ক্রীড়া মন্ত্রী আহমাদ ডনজামালি সংবাদ সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাকবেন ইরানের প্রধান কোচ আমির গালেনোই। তাঁর সঙ্গী হবেন ইরান ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফআইআরআই) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রধান ওমিদ জামালি–প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বিসিবি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তাঁদের দুজনের সঙ্গে কয়েকজন প্রতিনিধিও উপস্থিত থাকতে পারেন।
গত আগস্টে বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে ড্র হবে। নিয়ম অনুযায়ী, বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দল হিসেবে ড্রয়ে উপস্থিত থাকার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের ৯ জনের একটি প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে ভিসা পেয়েছেন মাত্র চারজন।
ভিসা না পাওয়ার তালিকায় আছেন ইরানি ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি মেহেদী তাজ। নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকায় গত জুনে ১২ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই তালিকায় আছে ইরান। তবে অলিম্পিক ও বিশ্বকাপের মতো বৈশ্বিক টুর্নামেন্টের কথা ভেবে কোচ, অ্যাথলেট ও নির্বাহীদের এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখা হয়েছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে ২০২৬ বিশ্বকাপ আয়োজন করবে কানাডা ও মেক্সিকো। গত মার্চ মাসে ২০২৬ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিত করে ইরান। সপ্তমবারের মতো দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে অংশ নেবে এশিয়ার দেশটি। আগের ছয় আসরে একবারও নকআউট পর্বে পা রাখতে পারেনি তারা। কাতারে অনুষ্ঠিত ২০২২ বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ১-০ গোলে হেরে যায় ইরান। এর আগে ১৯৯৮ বিশ্বকাপে দলটিকে হারিয়েছিল তারা। বিশ্বমঞ্চে সেটাই তাদের একমাত্র জয়।

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
১৪ আগস্ট ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
সচিবালয়ে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতাধীন জেলা ও উপজেলাপর্যায়ে ক্রীড়া স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আজ সাংবাদিকদের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘বাফুফেকে উন্নতমানের ইউরোপীয় পর্যায়ের কোচ আনা এবং নারী খেলোয়াড়দের বেতন বৃদ্ধি—এই দুইটা খাতের জন্য আসলে কোথা থেকে অর্থের জোগাড় করা যায়, সেটা ভাবছি। হয় আমরা অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নেব অথবা যে ফান্ড আছে, সেখান থেকে সোর্স করে বাফুফেকে একটা ফান্ড দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।’
তাহলে কি হাভিয়ের কাবরেরার পরিবর্তে আসতে যাচ্ছেন নতুন কেউ? উত্তরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেটা বাফুফের সিদ্ধান্ত। তবে ভালো কোচ আনতে গেলে একটা আর্থিক ব্যাপার আছে। আপনারা জানেন যে, ইউরোপের বড় বড় দলগুলো কোচদের যে টাকা দেয়, সেটা হয়তো আমাদের পুরো বাফুফের বার্ষিক বাজেটের সমান। আমরা এখনই ওই পর্যায়ে যেতে পারব না। তবে উন্নতমানের কোচ আনার ক্ষেত্রে অর্থ যেন একটা বাধা হয়ে না দাঁড়ায়, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা সহযোগিতা করার বা একটা ফান্ড তাদের দেওয়ার চেষ্টা করছি।’

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
১৪ আগস্ট ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
সম্প্রতি শেষ হয়েছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই ক্রিকেটারদের। অবসর থাকায় গতকাল রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে যান লিটন দাস। ছোট বাচ্চাদের সঙ্গ পেয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গিয়েছিলেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তবে ক্রিকেটের মানুষ বলে কথা।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ শেষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগে আপাতত কোনো ব্যস্ততা নেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের। এই অবসরে আজ রাজধানীর উত্তরার একটি স্কুলে অতিথি হয়ে গেলেন লিটন দাস। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সময় কাটাতে গিয়ে যেন ছেলেবেলায় ফিরে গেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেখানে স্বাভাবিকভাবেই সেখানে এল বাংলাদেশ দল-প্রসঙ্গ। সেখানে লিটন জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষে নন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হবে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি। তার আগে প্রস্তুতির দারুণ এক মঞ্চ হিসেবে বিপিএলে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। দেশের সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারলে নতুন করে জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ার সুযোগ মেলে অনেক ক্রিকেটারের। গত এক বছরে জাতীয় দলে নেই কিন্তু বিপিএলে ভালো করে ফেলল, এমন কোনো ক্রিকেটারের সুযোগ কি মিলবে ২০২৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে? লিটন হতাশ করছেন না। বিপিএলে ভালো করলে দরজা খোলাই থাকবে বলে মনে করেন তিনি। তবে জাতীয় দলে টানা খেলার মধ্যে থাকা ক্রিকেটারদের প্রাধান্যই বেশি তাঁর কাছে।
লিটন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘যাঁরা অনেকদিন ধরে এই সংস্করণে খেলে আসছে তাঁদের প্রাধান্যই বেশি। এই দলে যে বাড়তি কোনো খেলোয়াড় ঢুকবে না বিষয়টা তাও না। কিন্তু যাঁরা এতদিন ধরে এই সংস্করণে খেলছে, ভালো করছে, আমার কাছে মনে হয় অভিজ্ঞতা তাঁদেরই বেশি। তবু বিপিএল বাংলাদেশের অনেক বড় একটা টুর্নামেন্ট। যদি কোনো খেলোয়াড় ভালো করে, সেক্ষেত্রে নির্বাচক বা কোচ যদি মনে করে যে আমাদের ওই খেলোয়াড়কে দরকার তাহলে কেন নয়? বাংলাদেশের সবার জন্যই জায়গাটা খোলা আছে।’
বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতির শেষ মঞ্চ হওয়ায় বিপিএলে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ভালো খেলার তাগিদ দিলেন লিটন, ‘অনেক দিন ধরেই তো এই খেলোয়াড়েরা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলছে। আমার মনে হয় চলতি বছর আমরা ১৮–১৯ জন খেলোয়াড় টি-টোয়েন্টি সংস্করণে খেলেছি। দল তো হয়ই ১৫-১৬ জনের। আমার মনে হয় যেসব খেলোয়াড় দলে ছিল, তারা পারফর্ম করেছে। তারা বিশ্বকাপ খেলার দাবিদার। নিকট অতীতে আমাদের মিডলঅর্ডার নিয়ে কিছুটা সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমি সেটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। কারণ আমাদের দুই-একটা খেলোয়াড় রানে ফিরেছে। এখন আমরা যদি বিপিএলে ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, খেলোয়াড়দের যে মানসিকতা থাকবে, বিশ্বকাপে সেটা কাজে দেবে।’

বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল অস্ট্রেলিয়া থেকে ঢাকায় ফিরবেন আগামী সোমবার। এবার ঢাকায় ফিরে তাঁর মূল কাজ হবে হাতে থাকা সময়ের মধ্যে নিজের উদ্যোগগুলো পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করা।
১৪ আগস্ট ২০২৫
২০২৬ বিশ্বকাপ খেলতে চান লিওনেল মেসি। পারবেন কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত নয়। বিশ্ব ফুটবলের ২৩তম আসরে আর্জেন্টিনা দলের জার্সিতে এই ফরোয়ার্ড মাঠ মাতাবেন কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। আপাতত মেসি জানালেন, বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও মাঠে বসে দলের খেলা দেখতে চান তিনি।
১১ ঘণ্টা আগে
প্রতিনিধি দলের সব সদস্য যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা না পাওয়ায় ২০২৬ বিশ্বকাপের ড্র বয়কট করেছিল ইরান। এক সপ্তাহের মাথায় নিজেদের অবস্থান থেকে সরে এল তারা। অর্থাৎ বিশ্ব ফুটবলের ২৩ তম আসরের ড্রতে উপস্থিত থাকবে ইরানের প্রতিনিধি দল।
১২ ঘণ্টা আগে
জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাকে নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। চার বছরের বেশি বেশির ভাগ সমর্থকই তাঁকে আর বাংলাদেশের ডাগআউটে দেখতে চান না। বাফুফে অবশ্য এ ব্যাপারে বরাবর নীরবতা দেখিয়ে এসেছে। উন্নতমানের কোচ আনতে বাফুফের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতে রাজি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।
১৩ ঘণ্টা আগে