Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

বিশ্বাস রাখেন কয়েক বছরের মধ্যেই এই দল অনেক ভালো করবে

ভালো কন্ডিশনে বাংলাদেশের সুযোগও বেশি দেখছেন তাসকিন আহমেদ। ছবি: এএফপি

সাদা বলে তাসকিন আহমেদ নিজেকে দলের পেস বোলিং আক্রমণের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি যে টেস্টেও দুর্দান্ত, সেটির প্রমাণ মিলেছে এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথমবারের মতো টেস্টে ৫ উইকেট পেয়েছেন, ধারাবাহিক ভালো করে প্রথমবারের মতো টেস্টে পেয়েছেন সিরিজসেরা পুরস্কারও। আজকের পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাসকিন বিস্তারিত বললেন নিজের ও দলের সাফল্য নিয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রানা আব্বাস

রানা আব্বাস
আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬: ৫৭

প্রশ্ন: ক্যারিবীয় সফর সম্ভবত খুব উপভোগ করেন। এর সৌন্দর্য আসলে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু এবার কি মাঠের পারফরম্যান্সের কারণে একটু বেশিই ভালো লাগছে?

তাসকিন আহমেদ: না, আসলে ক্যারিবীয় অঞ্চলটাই এ রকম, সব সময় উপভোগ করি। আর প্রাকৃতিকভাবে অনেক সুন্দর। ওয়েস্ট ইন্ডিজের একেক জায়গায় একেক রকম সৌন্দর্য। জ্যামাইকা ভিন্ন, সেন্ট কিটস ভিন্ন, সেন্ট ভিনসেন্ট আলাদা, অ্যান্টিগা আলাদা। সব মিলিয়ে আমার বেশ ভালোই লাগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের একেকটা দেশ।

প্রশ্ন: ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে কোর্টনি ওয়ালশ, কার্টলি অ্যামব্রোস, ইয়ান বিশপদের সামনে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাররা আগুন ঝরাচ্ছেন, তাঁদের মতো কিংবদন্তি ফাস্ট বোলাররা প্রশংসা করছেন আপনাদের—এটা কেমন লাগছে?

তাসকিন: তাঁদের মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়েরা যখন আমাদের প্রশংসা করেন, এটা আসলেই গর্বের। কিন্তু এটা স্বাভাবিকও। স্বাভাবিক বিষয়; কারণ, ভালো করলে আমাদের প্রশংসা তো হবে এবং খারাপ করলে সমালোচনাও হয়। এটা আমাদের জন্য খুবই স্বাভাবিক। ইনশা আল্লাহ, আমরা বোলাররা যেভাবে কঠোর পরিশ্রম করছি উন্নতির জন্য, মনে হয় আমরা প্রশংসার দাবিদার।

প্রশ্ন: অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট পেয়েছিলেন। দারুণ বোলিংয়ের পরও দল হেরে যাওয়ায় নিজেকে কি কিছুটা দুর্ভাগা মনে হচ্ছিল?

তাসকিন: ফাইফার অবশ্যই বিশেষ কিছু। তা-ও আবার টেস্ট ক্রিকেটে। আর আক্ষেপ ছিল অনেক দিনের, টেস্টে কবে ফাইফার পাব। আল্লাহর রহমতে এবার পেলাম। আশা করি সামনে আরও সুযোগ আসবে, আল্লাহ যদি চান। দল হারলে তো সব সময় খারাপ লাগে; ফাইফার পাই আর না পাই। তবে ভালো বিষয়, আমরা পরের ম্যাচ জিতে সিরিজে সমতায় আনতে পেরেছি। তাদের মাঠে এটা আসলে সহজ নয়।

প্রশ্ন: দেশে সব সময় বাংলাদেশ সমীহজাগানো দল। কিন্তু এ বছর ঘরের মাঠে বাংলাদেশ কোনো টেস্ট জিততে পারেনি। শ্রীলঙ্কা-দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে। অথচ পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে তাদের মাঠেই হারিয়েছে। এবার দুই রকম ফলের কারণ কী হতে পারে?

তাসকিন: টেস্ট ক্রিকেটে জয়ের স্বাদটা অন্য রকম। বাইরে জিতেছি, দেশে হেরেছি...আসলে দেখবেন যে যেখানেই আমরা জিতেছি, যখন সব মিলিয়ে ব্যাটিং-বোলিং—সব বিভাগেই ভালো হয়েছে, তখন জিতেছি। দলে বেশির ভাগ খেলোয়াড় এ মুহূর্তে নতুন বা অনেকে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে বেশি দিন হয়নি। ট্রানজিশন পিরিয়ডটা দ্রুতই কাটিয়ে আমরা শক্তিশালী, বড় দল হয়ে যাব ইনশা আল্লাহ। বিশ্বাস রাখেন, কয়েক বছরের মধ্যেই এই দল অনেক ভালো কিছু করবে ইনশা আল্লাহ।

প্রশ্ন: পাকিস্তানে বাংলাদেশের ফাস্ট বোলাররা ভালো করেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজেও ভালো করেছেন। তার মানে, পেস সহায়ক উইকেট মানেই বাংলাদেশের পেসারদের সাফল্য? আর পেসারদের সাফল্য মানেই বাংলাদেশের জয়, বিষয়টি কি এমন?

তাসকিন: স্পোর্টিং উইকেটে আমাদের ভালো করার সুযোগ অনেক। কারণ, আমাদের ফাস্ট বোলারদের সেই দক্ষতা আছে। একই সঙ্গে খেলে খেলে উন্নতি হচ্ছে, অভিজ্ঞতা হচ্ছে। তাই ভালো কন্ডিশনে খেললে আমাদের জন্য ভালো, ফাস্ট বোলারের সুযোগ বেশি।

প্রশ্ন: নাহিদ রানার গতি দেখে আপনি কতটা আনন্দিত? একসময় আপনার গতিই ছিল মূল শক্তি, এখন অনেক বৈচিত্র্য যোগ হয়েছে আপনার বোলিংয়ে। নাহিদ রানার প্রতি আপনার কী পরামর্শ থাকবে?

তাসকিন: নাহিদ রানা অনেক বড় সম্পদ বাংলাদেশের জন্য। মাশাআল্লাহ, স্বাভাবিক পেস আছে। ঘণ্টায় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে। এটা যেকোনো ব্যাটার, যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য হুমকি। আশা করি, সে তার উন্নতির ধারাবাহিকতা ধরে রাখবে, সুস্থ থাকবে। কারণ, সে নতুন এসেছে। সামনে ওর চ্যালেঞ্জ আসবে, সবাই যখন তাকে পড়ে ফেলবে। উন্নতির ধারা ধরে রাখলে বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় সম্পদ সে।

প্রশ্ন: মেহেদী হাসান মিরাজের অধিনায়কত্ব কীভাবে বিশ্লেষণ করবেন?

তাসকিন: মিরাজ তো দুইটা ম্যাচ (অধিনায়কত্ব) করল। খুব ভালো করেছে। সবাইকে চাঙা রাখার চেষ্টা করেছে সব সময়। যেভাবে সে নেতৃত্ব দিয়েছে, ভালো ছিল। আমাদের সবারই ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন: টেস্ট সিরিজ টাই করার পর এখন সাদা বলের সিরিজে জিততে কতটা আশাবাদী?

তাসকিন: ওয়ানডে সিরিজেও আমরা অনেক আশাবাদী। সিরিজ জিতব ইনশা আল্লাহ। তাদের কন্ডিশনে এটা সহজ হবে না। তারাও ভালো শেপে আছে। ইংল্যান্ডের সঙ্গে ভালো খেলেছে। আশা করি আমরাও ভালো খেলব, জিতব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ভারত ম্যাচে দেরি করায় বাফুফেকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোরসালিনের গোলে ২২ বছর পর ভারতকে হারায় বাংলাদেশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ আয়োজন করে আরও একবার জরিমানার মুখে পড়ল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা ১ মিনিট ৪৩ সেকেন্ড দেরিতে শুরু হওয়ায় বাফুফেকে ১২৫০ ডলার জরিমানা করেছে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। গত ১৭ ডিসেম্বর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এএফসির শৃঙ্খলা ও নীতি কমিটি।

গত ১৮ নভেম্বর জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার হলেও উন্মাদনার কমতি ছিল না। ২২ বছর পর ভারতকে হারানোর স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ৷ একমাত্র জয়সূচক গোলটি আসে ম্যাচের প্রথমার্ধে শেখ মোরসালিনের পা থেকে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে সময়মতো খেলা মাঠে গড়াতে পারেননি রেফারি।

একই কারণে সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকেও এক হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর এই অপরাধ দুবার করায় বাংলাদেশের জরিমানার অঙ্ক বেশি ধরা হয়েছে। এর আগে গত জুনে ঘরের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে দুই মিনিট বিলম্ব হওয়ায় দেড় হাজার ডলার জরিমানা করা হয়।

এএফসির শৃঙ্খলা নীতিমালার ১১.৩ ধারা অনুযায়ী, ৩০ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হবে দুই ফেডারেশনের। এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশের শেষ ম্যাচ ৩১ মার্চ সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। সিঙ্গাপুর ইতোমধ্যে ১১ পয়েন্ট নিয়ে এশিয়ান কাপে খেলা নিশ্চিত করেছে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে চার দলের মধ্যে ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশের অবস্থান তিনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোস্তাফিজদের বিপক্ষে খরুচে বোলিংয়ে তাসকিনের ৩ উইকেট

ক্রীড়া ডেস্ক    
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক
মোস্তাফিজুর রহমানের দু্বাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ছবি: ফেসবুক

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আন্তর্জাতিক লিগ টি-টোয়েন্টি যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের মিলনমেলা। সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ—বাংলাদেশের তিন তারকা ক্রিকেটার খেলছেন এখন আমিরাতের এই লিগে। কদিন আগে সাকিব-মোস্তাফিজের একটি ছবি ‘দ্য বাংলা’ ক্যাপশনে পোস্ট করেছিল সাকিবের দল এমআই এমিরেটস। আজ দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছেন তাসকিন-মোস্তাফিজ।

বাংলাদেশের তিন তারকা সাকিব, তাসকিন, মোস্তাফিজ এবারই প্রথমবারের মতো আইএল টি-টোয়েন্টিতে খেলছেন। এই তিন বাংলাদেশির মধ্যে মোস্তাফিজ নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিচ্ছেন। এদিকে তাসকিন উইকেট তেমন পাচ্ছেন না। উপরন্তু মুক্ত হস্তে রান বিলিয়ে দিচ্ছেন। দুবাইয়ে আজ মোস্তাফিজের দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে তাসকিন ৩ উইকেট হলেও ১০ ইকোনমিতে বোলিং করেছেন।

দুবাই ক্যাপিটালসের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শারজা ওয়ারিয়র্সের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। দলীয় ৩ রানে ভেঙে যায় দুবাই ক্যাপিটালসের উদ্বোধনী জুটি। ইনিংসের পঞ্চম বলে দুবাইয়ের ওপেনার শায়ান জাহাঙ্গীরকে (১) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন রাজা। দ্বিতীয় উইকেটে এরপর ৩১ বলে ৪৭ রানের জুটি গড়েন জর্ডান কক্স ও সেদিকউল্লাহ আতাল। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে কক্সকে (২৮) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন।

দুবাই ক্যাপিটালসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ রানের জুটি গড়েছেন কক্স ও আতাল। আরেকটি চল্লিশোর্ধ্ব রানের জুটিতেও অবদান রয়েছে আতালের। চতুর্থ উইকেটে আফগানিস্তান দলের সতীর্থ মোহাম্মদ নবির সঙ্গে ২৬ বলে ৪২ রানের জুটি গড়তে অবদান রেখেছেন আতাল। ওপেনিংয়ে নামা আতাল আউট হয়েছেন পঞ্চম ব্যাটার হিসেবে। ১৮তম ওভারের দ্বিতীয় বলে আতালের উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। ৪৪ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগান এই ব্যাটার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮০ রান করে দুবাই ক্যাপিটালস। দুবাইয়ের ইনিংস সর্বোচ্চ ৬৬ রান এসেছে আতালের ব্যাট থেকে।

শারজা ওয়ারিয়র্সের তাসকিন ৪ ওভারে ৪০ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। যার মধ্যে ইনিংসের শেষ ওভারে ১২ রান খরচ করে পেয়েছেন ১ উইকেট। একটি করে উইকেট পেয়েছেন রাজা, মাথিসা পাতিরানা ও আদিল রশিদ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কলম্বিয়ায় ফুটবল ম্যাচে সহিংসতায় আহত ৫৯

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ৩৭
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি
কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে সংঘর্ষের ঘটনায় ৫৯ জন আহত হয়েছেন। ছবি: এএফপি

লাতিন আমেরিকার ফুটবলে সহিংসতা নতুন কিছু নয়। মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের টুর্নামেন্ট কোপা আমেরিকাতেই ঘটে মারামারির ঘটনা। স্থানীয় টুর্নামেন্টে সহিংসতার কারণে তো প্রায়ই খবরের শিরোনামে আসে লাতিন আমেরিকার ফুটবল। কলম্বিয়ায় এক ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

কলম্বিয়ার মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে পরশু রাতে কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হয়েছিল দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল। ১-০ গোলে আতলেতিকো ন্যাশনালের জয়ের পরই ভক্ত-সমর্থকেরা মাঠে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করেন। আতশবাজি-আগুন নিয়ে এমনভাবে হামলা চালিয়েছিলেন ভক্তরা, যেটা সামাল দিতে দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করতে হয়েছে। সাত পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। কলম্বিয়ার স্থানীয় পত্রিকা এল কলোম্বিয়ানোর এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মাঠের কিছু অংশে আগুন ধরানো হয়েছে। উপড়ে ফেলা হয়েছে অনেক আসন। গ্যালারিতে আতশবাজির ধোঁয়ার কারণে ম্যাচ শুরু হতেও দেরি হয় ১৪ মিনিট।

মেডেলিনের মেয়র ফেদেরিকো গুতিয়েরেস কোপা কলম্বিয়ার ফাইনালে সহিংস ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। গুতিয়েরেস বলেন, ‘যারা স্টেডিয়ামে হামলা, ধ্বংসযজ্ঞ বা ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করেছে, তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনা হবে। সবাই মাঠে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। হাতে গোনা কয়েকজনের জন্য পরিবেশ নষ্ট হবে, এমনটা তো হতে দেওয়া যাবে না। বছরের পর বছর ধরে আমরা পুরো লাতিন আমেরিকায় শান্তিপূর্ণ ফুটবলের মডেল হিসেবে পরিচিতি পেয়েছি।’ পুলিশ কমান্ডার উইলিয়াম কাস্তানো বলেন, স্টেডিয়ামে দর্শকদের কাছ থেকে অস্ত্র ও আতশবাজি জব্দ করা হয়েছে। ১২০ কেজির বেশি পাইরোটেকনিক (বিস্ফোরণের প্রভাব তৈরির মতো রাসায়নিক বস্তু) ছিল সেখানে।

দেপোর্তিভো ইন্দিপেন্দিয়েন্তে-আতলেতিকো ন্যাশনাল কলম্বিয়া কাপ ফাইনালের প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। পরশু রাতে দ্বিতীয় লেগটা হয়ে যায় শিরোপা নির্ধারণী। দুই লেগ মিলিয়ে ১-০ গোলে শিরোপা জিতেছে আতলেতিকো ন্যাশনাল। কিন্তু মেডেলিন শহরের আতানাসিও জিরারদোত স্টেডিয়ামে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনায় আতলেতিকো ন্যাশনালের ম্যাচপরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, শিরোপা নিয়ে উদ্‌যাপন—কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আন্তর্জাতিক ব্যাডমিন্টনে সোনার লড়াইয়ে বাংলাদেশের জুমার-ঊর্মি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন
মিশ্র দ্বৈতে ফাইনালে উঠেছেন জুমার-ঊর্মি। ছবি: ব্যাডমিন্টন ফেডারেশন

ইউনেক্স-সানরাইজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল চ্যালেঞ্জ টুর্নামেন্টে মিশ্র দ্বৈত বিভাগে ফাইনালে উঠেছেন বাংলাদেশের আল আমিন জুমার ও ঊর্মি আক্তার। আজ সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের কুনলাপাথ লোথোং ও সারিসা জানপেং জুটিকে হারিয়েছেন ২১-১১ ও ২১-১৪ গেমে। পদক তো নিশ্চিত হয়েছে আগে, জুমার-ঊর্মি এবার দেখাচ্ছেন সোনা জয়ের ঝিলিকও। ফাইনালে কাল মালয়েশিয়ার দাতু আনিফ ইসাক দাতু আসরা ও ক্লারিসা সানের মুখোমুখি হবেন তারা।

পল্টনের শহীদ তাজউদ্দিন ইনডোর স্টেডিয়ামে সকালটাও অন্যরকম ছিল জুমার-ঊর্মির। কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের স্বস্তিক মাথারাসান-কীর্তি মাঞ্চালাকে তিন সেটের লড়াইয়ে হারিয়েছেন ২১-১৬, ১৯-২১ ও ২১-১৮ গেমে। প্রথম সেট খানিকটা সহজে জিতলেও দ্বিতীয় সেটে হারতে হয়। তৃতীয় সেটে দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে নিশ্চিত করেন ব্রোঞ্জ পদক।

রাতে সেমিফাইনালে থাইল্যান্ডের জুটিকে পাত্তাই দিলেন না জুমার-ঊর্মি। প্রথম সেটে একটা সময় অবশ্য পিছিয়ে ছিলেন ৫-৩ পয়েন্টে। সেখান থেকে অনবরত পয়েন্ট তুলতে থাকেন জুমার। শেষ দিকে ঊর্মিও দেখান তাঁর দাপট। দ্বিতীয় সেটে শুরুতেই আধিপত্য দেখাতে থাকে বাংলাদেশের জুটি। নিয়ে নেন বড় ব্যবধানের লিড। যা পরে আর ছোট করতে পারেননি থাইল্যান্ডের শাটলাররা।

ফাইনালে উঠে জুমার বলেন, ‘ফাইনাল নিয়ে প্রত্যাশা অবশ্যই ভালো খেলার চেষ্টা করব। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কি হবে। দেখা যাক। আগে যে রেজাল্টগুলো আমরা আশাও করতে পারতাম না, এখন বাংলাদেশ অন্যান্য বারের মতো হচ্ছে না যে মানে বাংলাদেশ আসছে আর হেরে যাচ্ছে—এরকম হচ্ছে না। প্রত্যেকটা টিমই আমাদের লড়াই করে হেরেছে।’

জুমারের সঙ্গে বোঝাপড়া নিয়ে ঊর্মি বলেন, ‘সকালেই আমি বলেছিলাম, আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। সেই লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। এবার সোনা জিততে চাই। জুমারের সঙ্গে ছয়-সাত বছর ধরে জুটি বেঁধে খেলছি। যেহেতু অনেকদিন ধরে খেলছি, সেহেতু আমাদের মধ্যে বোঝাপড়াটা ভালো। আমরা এর আগেও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে পদক জিতেছি।’

এর আগে একক ইভেন্টে কেবল হতাশাই উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শাটলাররা। দ্বৈতে গতকাল কোয়ার্টার ফাইনালে কেউই জয়ের হাসি হাসতে পারেননি। মিশ্র দ্বৈতে জুমার-ঊর্মি ফুটলেন আশার আলো হয়ে। রুপা নিশ্চিত করে লক্ষ্য এবার সোনার পদক গলায় ঝুলানো।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত