Ajker Patrika

বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু

আপডেট : ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০১: ৩৩
বদলে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালের ভেন্যু

অর্ধ যুগেরও বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট এখন প্রায় যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। যেকোনো সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা চালাতে পারে রাশিয়া।

দুই দেশের এই দা-কুমড়া সম্পর্কের প্রভাব পড়তে পারে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। রাশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সেন্ট পিটার্সবার্গের গাজপ্রম অ্যারেনায় ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই হওয়ার কথা। 

কিন্তু দুই দেশের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের কারণে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ প্রতিযোগিতার আয়োজক উয়েফার। সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে ফাইনাল অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করছে তারা। 

সমর্থকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ফাইনালের ভেন্যু পরিবর্তনের বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত উয়েফা। তা ছাড়া কয়েকটি দেশ রাশিয়া থেকে ম্যাচ সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে উয়েফাকে। 

যুক্তরাজ্যের সাবেক ক্রীড়ামন্ত্রী ট্রেসি ক্রুস বিসিবি স্পোর্টকে বলেছেন, ‘উয়েফার উচিত যত দ্রুত সম্ভব ফাইনাল সরিয়ে নেওয়া।’ 

ইউরোপের বেশ কয়েকটি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম বলছে, ইতোমধ্যে ফাইনালের ভেন্যু বদলের প্রক্রিয়া শুরু করেছে উয়েফা। ফলে টানা তিনটি ফাইনাল হচ্ছে না নির্ধারিত ভেন্যুতে। করোনার প্রার্দুভাবে গত দুটি আসরের ফাইনাল হয়েছে পর্তুগালের লিসবন ও পোর্তোয়। 

আগামী ২৮ মে সেন্ট পিটার্সবার্গে ফাইনাল ম্যাচ আয়োজনের কথা রয়েছে। বিবিসির দাবি, ফাইনালের নতুন ভেন্যু হতে পারে লন্ডনের বিখ্যাত ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম। সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় স্তরের লিগ চ্যাম্পিয়নশিপের প্লে-অফ ও তৃতীয় স্তরের ম্যাচগুলো ওয়েম্বলি থেকে সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হবে। 

উয়েফাকে ভাবতে হচ্ছে উয়েফা যুব চ্যাম্পিয়নস লিগের দিনামো কিয়েভ ও স্পোর্টিং লিসবন ম্যাচ নিয়েও। ম্যাচটি ২ মার্চ ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে হওয়ার কথা। 

ইউরোপা লিগেও ইউক্রেন ও রাশিয়ার দুটি দল প্রতিনিধিত্ব করছে। ঝামেলা হচ্ছে তা নিয়েও। 

ইউক্রেনে রাশিয়ান দূতাবাসের সামনে চলছে পুতিনবিরোধী বিক্ষোভএ ছাড়া আগামী মাসে আন্তর্জাতিক ফুটবলের সূচিও আছে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ২৪ মার্চ পোল্যান্ডকে আতিথেয়তা দেওয়ার কথা রাশিয়ার। রাশিয়ানরা সেই ম্যাচ জিতলে জিতলে সুইডেন কিংবা চেক প্রজাতন্ত্রের সঙ্গে খেলতে হবে ২৯ মার্চ। প্লে-অফের লড়াইয়ে আছে ইউক্রেনও। যদিও ঘরের মাঠে ম্যাচ নেই তাদের। 

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শীতল সম্পর্ক ১৯৯১ সাল থেকে; সোভিয়েত ইউনিয়ন বিভক্ত হওয়ার পর। পশ্চিম সীমান্তে প্রতিবেশী ইউক্রেনকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ হিসেবে রাশিয়া চেয়েছিল নিজের অনুগত রাখতে। যেমনটি রয়েছে অন্যান্য বেশির ভাগ সাবেক সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলো। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিলও। ২০০৪ সালে বিতর্কিত নির্বাচনে জয়ী হয়ে ইউক্রেনের তৎকালীন রুশপন্থি প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ইয়ানুকোভিচ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসলে পশ্চিমের গণতান্ত্রিক দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের চোখ পড়ে ইউক্রেনের ওপর। 

প্রায় ১০ বছর শক্ত হাতে দেশ চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি ইয়ানুকোভিচের। গণআন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। কিয়েভ চলে যায় পশ্চিমের সমর্থনপুষ্ট গণতন্ত্রপন্থিদের হাতে। এরপর দেশটি আর একদিনের জন্যও শান্তিতে ছিল না। 

ইয়ানুকোভিচের পতনের ২ দিনের মাথায় রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে রাশিয়া। একসময় ক্রিমিয়া রাশিয়ার অংশ ছিল—সেই যুক্তিতে ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক অভিযানের মাধ্যমে উপদ্বীপটিকে আবার নিজ দেশের অংশ করে নেন। 

এতেই ক্ষান্ত হননি পুতিন। ইউক্রেনের রুশভাষী অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে কিয়েভবিরোধী সশস্ত্র আন্দোলনে সহায়তা করেন তিনি। সীমান্তবর্তী এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা সমাবেশ ঘটান। প্রতিনিয়ত চাপে রাখেন ইউক্রেনের পশ্চিমাপন্থি সরকারকে। 

এদিকে, ইউক্রেনকে রক্ষায় সহায়তার হাত বাড়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র। কেননা, গণআন্দোলনের সময়ই রাশিয়ার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে চোখ রাখার ঘোষণা দিয়েছিল ইয়ানুকোভিচবিরোধী দলগুলো। ক্ষমতায় আসার পর তা বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তারা। 

রুশবিরোধী বা পশ্চিমাপন্থি হওয়ার প্রথম ধাপ হিসেবে ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সোভিয়েতবিরোধী সামরিক জোট ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া হলে এর প্রতিবাদ করেন পুতিন। তিনি একে রাশিয়ার নিরাপত্তা-স্বার্থে চরম আঘাত হিসেবে মনে করেন। পুতিন ক্ষিপ্ত হয়ে পুরো ইউরোপ অস্থির করে তোলার হুমকি দিয়ে বসেন। ক্রিমিয়া, বেলারুশ ও মোলদোভায় নতুন করে সেনা সমাবেশ ঘটান তিনি। এরপর শুরু হয়ে যায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের বাকযুদ্ধ। কেউ কাউকে সামান্যতম ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিচ্ছে প্রতিদিনই। 

সবকিছুর প্রভাব পড়েছে ক্রীড়াঙ্গনেও।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

ক্রীড়া ডেস্ক    
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি
সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। ছবি: এসিসি

এতক্ষণে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের দুই সেমিফাইনালেরই প্রথম ইনিংসের খেলা শেষ হয়ে যেত। সেটা না হলেও কমপক্ষে ৪০ ওভার তো হতোই। কিন্তু দুবাইয়ে সাত সকালে বৃষ্টির বাগড়ায় ম্যাচ শুরু হওয়া তো দূরের কথা, টসই হতে পারেনি। আদৌ দুই সেমিফাইনাল মাঠে গড়ায় কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় দ্য সেভেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশ-পাকিস্তান অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনাল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে একই সময়ে শুরু হতো ভারত-শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সেমিফাইনালও। কিন্তু সকালে বৃষ্টির পর আউটফিল্ড এতটাই অবস্থা যে ম্যাচ শুরুর মতো অবস্থা নেই। যদি বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়, তাহলে বাংলাদেশ উঠে যাবে ফাইনালে। কারণ, ‘বি’ গ্রুপ থেকে আজিজুল হাকিম তামিমের বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছে। একই কথা ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ভারত যেহেতু ‘এ’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন, তাহলে সেমিফাইনাল পরিত্যক্ত হলে তারা শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে উঠে যাবে।

সেমিফাইনালের জন্য কোনো রিজার্ভ ডে রাখা হয়নি। ফল দেখার জন্য কমপক্ষে ২০ ওভারের ম্যাচ চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে, সেজন্য বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কখনো কখনো সুখবরের আভাস মিললেও দুই সেমিফাইনাল চালু করার মতো অবস্থা এখনো আসেনি। আউটফিল্ডে গর্ত সৃষ্টির কারণে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার ঝুঁকি বেশি। মূলত সেই কারণেই খেলা চালু করতে আম্পায়াররা অপেক্ষা করছেন।

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেটের জয় দিয়ে এবারের এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। নেপালকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছিল তামিমের দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাটিং ব্যর্থতা বাংলাদেশ পুষিয়ে দিয়েছিল বোলিংয়ে। লঙ্কানদের ৩৯ রানে হারিয়েই মূলত ‘বি’ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে তামিমের দল সেমিতে উঠেছে। এর আগে বৃষ্টি হানা দিয়েছিল ভারত-পাকিস্তান ম্যাচেও। সেকারণে ৪৯ ওভারে খেলা নামানো হয়েছিল। সেই ম্যাচে পাকিস্তানকে ৯০ রানে হারিয়েছিল ভারত। ‘এ’ গ্রুপের অপর দুই দল সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া রীতিমতো অসহায় আত্মসমর্পণ করেছিল ভারত-পাকিস্তানের কাছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হেডের সেঞ্চুরিতে বড় লিডের পথে অস্ট্রেলিয়া

ক্রীড়া ডেস্ক    
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো
১৪২ রানে অপরাজিত আছেন হেড। ছবি: ক্রিকইনফো

তৃতীয় দিনের খেলা শেষে বেশ হাসিমুখেই মাঠ ছাড়লেন ট্রাভিস হেড। সেঞ্চুরি করে অপরাজিত আছেন তিনি। তাঁর মুখে হাসি শোভা পাবে সেটাই তো স্বাভাবিক। হেডের সঙ্গী অ্যালেক্স ক্যারির মুখেও দেখা গেল চওড়া হাসি। দিনের খেলা শেষে এই দুই ব্যাটারের হাসি মুখই এখন অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিচ্ছবি। ইংল্যান্ডকে বড় লিড ছুঁড়ে দেওয়ার পথে স্বাগতিকেরা।

দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৭১ রান। প্রথম ইনিংসে ৮৫ রানে এগিয়ে থাকায় তাদের লিড দাঁড়িয়েছে ৩৫৬ রান। অতি নাটকীয় কিছু নাহলে ৬ উইকেট হাতে থাকায় ইংল্যান্ডের সামনে লিডটা বেশ বড়ই হবে সেটা বলা বাহুল্য।

প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া থামে ৩৭১ রানে। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ছিল ২১৩ রান। অধিনায়ক বেন স্টোকসের ৮৩ রান এবং জফরা আর্চারের ৫১ রানের ইনিংসের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ২৮৬ রান করেছে সফরকারী দল। এগিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা ভালো হয়নি। দলীয় ৮ রানে জ্যাক ওয়েদারাল্ডকে হারায় তারা। মারনাস লাবুশেন ফিরলে ৫৩ রানে ২ উইকেটের দলে পরিণত হয় স্বাগতিকেরা।

শুরুর ধাক্কা সামলে হেডের সেঞ্চুরি ও ক্যারির ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় উইকেটে ৮৬ রান যোগ করেন উসমান খাজা ও হেড। ৪০ রান করে উইল জ্যাকসের শিকার হন খাজা। অল্প সময়ের ব্যবধানে ক্যামরুন গ্রিনও ফিরে যান।

অবিচ্ছিন্ন থেকে দিনের বাকিটা সময় পার করে দেন হেড ও ক্যারি। ১২২ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১৪২ রানে অপরাজিত আছেন খাজার চোটে ওপেনিংয়ে সুযোগ পাওয়া হেড। তাঁর সঙ্গী ক্যারি ৫২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

লুসাইলে ফিরল আর্জেন্টিনার স্মৃতি, মরক্কোকে রাষ্ট্র প্রধানের অভিনন্দন

ক্রীড়া ডেস্ক    
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত
অতিরিক্ত সময়ের গোলে বাজিমাত করেছে মরক্কানরা। ছবি: সংগৃহীত

কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে যেন ঠিক ৩ বছর আগের স্মৃতির পুনরাবৃত্তিই হলো। ২০২২ সালের ১৮ ডিসেম্বর এই ভেন্যুতে শ্বাসরুদ্ধকর লড়াই শেষে ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের সোনালী ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসিদের সেই স্মৃতি এবার ফিরে এল মরক্কোর হাত ধরে।

সবশেষ বিশ্বকাপের ফাইনালে নির্ধারিত এবং অতিরিক্ত সময়ের খেলা শেষে ৩-৩ সমতায় ছিল আর্জেন্টিনা ও ফ্রান্স। ভাগ্য নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় এমিলিয়ানো মার্তিনেজের দুটি দারুণ সেভে বাজিমাত করে লা আলবিসেলেস্তেরা। ফিফা আরব কাপের ফাইনালে মরক্কো ও জর্ডানের ম্যাচ টাইব্রেকারে না গড়ালেও উত্তেজনার কোনো কমতি ছিল না। নাটকীয় লড়াই শেষে ৩-২ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মরক্কো।

লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরুতেই এগিয়ে যায় মরক্কো। চতুর্থ মিনিটে ৩৫ গজ দূর থেকে তান্নানের নেওয়া গতিময় শট জর্ডানের জাল খুঁজে নেয়। লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আলী ওলওয়ানের কল্যাণে ম্যাচে ফেরে জর্ডান। ৬৮ মিনিটে তাঁর স্পট কিক থেকে প্রথমবার এগিয়ে যায় দলটি। এই গোলে ভর দিয়ে প্রায় জিতেই যাচ্ছিল জর্ডান। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ৩ মিনিট আগে আব্দেররাজ্জাক মরক্কোকে সমতায় ফেরান।

২-২ সমতায় নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ হয়। অতিরিক্ত সময়ে মরক্কোর হয়ে ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেন আব্দেররাজ্জাক। বাকি সময়ে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি জর্ডানের।

মরক্কোর জাতীয় ফুটবল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন মরক্কো রাজা ষষ্ঠ মোহাম্মদ। এই সাফল্য দেশের ফুটবলকে আন্তর্জাতিক স্তরে সম্মানজনক স্থানে নিয়ে গেছে বলে মনে করেন তিনি। খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স খুশি ষষ্ঠ মোহাম্মদ। বিভিন্ন আঞ্চলিক, মহাদেশীয় এবং আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে জাতীয় পতাকাকে উঁচুতে তোলার জন্য খেলোয়াড়দের ধারাবাহিক এবং টেকসই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন। পাশাপাশি ফুটবলপ্রমীদের প্রত্যাশা পূরণের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কনওয়ের ডাবল সেঞ্চুরি, মাউন্ট মঙ্গানুইতে ব্যাটারদের দাপট

ক্রীড়া ডেস্ক    
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩: ০৪
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো
২২৭ রান করেছেন কনওয়ে। ছবি: ক্রিকইনফো

মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টের দ্বিতীয় দিনেও আধিপত্য দেখিয়েছে ব্যাটাররা। সবচেয়ে বেশি আলো কেড়েছেন ডেভন কনওয়ে। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। তাঁর দ্বি-শতকে রান পাহাড় গড়ছে নিউজিল্যান্ড। জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শুরুটাও হয়েছে উড়ন্ত।

৫৭৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম দিনের খেলা শেষে ১ উইকেট হারিয়ে স্বাগতিকেদের সংগ্রহ ছিল ৩৩৪ রান। ১৭৮ রানে অপরাজিত ছিলেন কনওয়ে। তাঁর সঙ্গী ডাফি ব্যাট করতে নামেন ৯ রান নিয়ে। আগের দিনের সঙ্গে আর মাত্র ৮ রান যোগ করে ফিরে যান ডাফি। তাঁর মতো বাজে অভিজ্ঞতা হয়নি কনওয়ের। প্রথম সেশনেই ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি। জাস্টিন গ্রিভসের করা ১২১ তম ওভারের শেষ বলে এলবিডব্লু হওয়ার আগে ক্যারিয়ারসেরা ২২৭ রান করেন এই ব্যাটার। ৩১ চারে সাজানো তাঁর ৩৬৭ বলের ইনিংস।

১৫ চার ও ১ ছক্কায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩৭ রান এনে দেন টম লাথাম। রাচিন রবীন্দ্রর অবদান ৭২ রান। এছাড়া কেউন উইলিয়ামসন ৩১ ও এজাজ প্যাটেল করেন ৩০ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে জেডন সিলস, অ্যান্ডারসন ফিলিপ ও গ্রিভস দুটি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে বিনা উইকেটে ১১০ রান করে দিনের খেলা শেষ করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্র্যান্ডন কিং ৫৫ ও জন ক্যাম্পবেল ৪৫ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করবেন। এখনো ৪৬৫ রানে পিছিয়ে আছে সফরকারী দল। বে ওভালে প্রথম দিনের চেয়ে আজ আরও বেশি রান হয়েছে। এদিন দুই দল মিল করেছে ৩৫১ রান। প্রথম দুই দিনের পরিস্থিতিই বলে দিচ্ছে রান বন্যায় ভেসে যাবে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত