চার ফিফটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজে রানের রেকর্ড বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
Thumbnail image
মিরাজ ও সৌম্যের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ছবি: বিসিবি

ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিরতে পারতেন সৌম্য সরকার। আলজারি জোসেফের চতুর্থ বলটি হালকা সুইং করে বাইরেই যাচ্ছিল। কিন্তু উইকেটে থিতু হওয়ার আগেই সৌম্যের ড্রাইভ। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় স্লিপে থাকা ব্রেন্ডন কিংয়ের হাতে। কিং সেই সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি। শুরুতেই ‘জীবন’ পাওয়াটাও বৃথা যেতে দেননি সৌম্য। দলের প্রয়োজনের মুহূর্তে খেলেছেন ৭৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস।

সেন্ট কিটসে আজ সিরিজের তৃতীয় ওয়ানডতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ রানে হারায় ২ উইকেট। এরপর তৃতীয় উইকেটে সৌম্য ও মেহেদী হাসান মিরাজের লড়াইয়ে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো। পরে ষষ্ঠ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী অনিকের জুটি। চার ফিফটিতে বাংলাদেশও ৫ উইকেটে করেছে ৩২১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে ওয়ানডেতে এটিই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর। আর সব ভেন্যু মিলিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

সৌম্য দ্বিতীয়বার জীবন পান ব্যক্তিগত ৪৫ রানে। স্পিনার গুড়াকেশ মোটিকে লং অন দিয়ে টানা দুই ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মোটির বলেই ফিরতে হয়েছে এই ওপেনারকে। ফিফটির পর ভয়ংকর হয়ে উঠতেই পড়েন এলবিডব্লুর ফাঁদে। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি। ফেরার আগে মিরাজের সঙ্গে তিনি গড়েন ১৩৬ রানের জুটি।

সৌম্যকে শুরুতে ফেরাতে না পারার ঝাল আলজারি মেটান নিজেদের দ্বিতীয় ওভার করতে এসে। তিন বলের ব্যবধানে ফেরান ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাসকে। পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তানজিদ (০)। দুই বল পর আউটসাইড অফের বল খোঁচা দিতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দেন লিটনও (০)। এবার স্লিপে দাঁড়ানো কিং ভুল করেননি। ২,৪ ও ০—এই হলো উইন্ডিজ সিরিজে লিটনের রান। ওয়ানডেতে নিজের সর্বশেষ ৭ ইনিংসে দুই অঙ্কই ছুঁতে পারেননি।

এরপরই সৌম্য-মিরাজের জুটি। উইকেটে থিতু হওয়ার পর দুজনে ফাঁকফোকরে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে রানের গতি বাড়িয়েছেন। বাংলাদেশের পাওয়ারপ্লেতে স্কোর দাঁড়ায়—৪৬ /২। সৌম্যের মতো মিরাজেরও সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়েছে। রান নিতে গিয়ে আফিফ হোসেনের (১৫) সঙ্গে ভুল-বোঝাবুঝি, বাংলাদেশ অধিনায়কের ৭৩ বলে ৮ চার ও ২ ছয়ে সাজানো ৭৮ রানের ইনিংস থামে শেরফান রাদারফোর্ডের সরাসরি হিটে।

বাংলাদেশকে রান পাহাড়ে নিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ ও জাকের। দুজনের ১১৭ বলে করেন নিরবিচ্ছিন্ন ১৫০ রানের জুটি। মাহমুদউল্লাহ ৮৪ ও জাকের ৬২ রানে অপরাজিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত