
প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

প্রশ্ন: সমালোচনা-বিতর্ক পিছু ছাড়ে না বিপিএলকে। গত কিছুদিনে যা দেখেছেন সে আলোকে আপনি কিছু ইতিবাচক দিক বলুন।
রমিজ রাজা: দেখলাম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে। মানুষজনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি আছে বিপিএলের দিকে, এটা দারুণ। অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় দেখেছি। তাওহীদের (হৃদয়) ইনিংস, যেভাবে তামিম ইকবাল দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স। ভালো ফাস্ট বোলিং, বাঁহাতি স্পিনের মানও ভালো। অনেক ইতিবাচক দিক আছে। যদি টুর্নামেন্ট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয় আর এই প্রচেষ্টা ধরে রাখেন, বিপিএল বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কিছু দিতে পারবে।
প্রশ্ন: বিশ্বে এখন অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট। বিপিএলকে স্লট ভাগাভাগি করতে হচ্ছে একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের সঙ্গে। এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে বিপিএলের কী করা উচিত?
রমিজ: শুধু নিজেদের প্রতিভার ওপর মনোযোগ রাখা। লিগগুলো তৈরিই হয়েছে স্থানীয় প্রতিভার কারণে। আইপিএল যে ভিউয়ারশিপ, সে তো ভারতীয় ট্যালেন্টের কারণে। পিএসএলে যে ভিউয়ারশিপ, সেটা পাকিস্তানি ট্যালেন্টের কারণে। বিদেশি ক্রিকেটার নিয়ে উদ্বেগের কিছু নেই। আন্তর্জাতিক লিগ করতে তাদের গুরুত্ব আছে। আবার তাদের ছাড়া হবেই না, বিষয়টি তাও না। সেদিন পিএসএলে মুলতান সুলতান মাত্র দুজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলেছে। তারা চেয়েছিল বেঞ্চের খেলোয়াড়দের বেশি সুযোগ দিতে। লাহোর কালান্দার্সকে তারা হারিয়েছে, যাদের কিনা বোলিং আক্রমণ খুবই ভালো। এখানে আইডিয়াটা হচ্ছে, প্রমোট ইয়োর ইয়ুথ। বয়সভিত্তিক ক্রিকেট নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে যেন সঠিক ট্যালেন্ট বেরিয়ে আসে।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সম্প্রতি বলেছেন, বিপিএলে ক্লাস প্লেয়ারের ঘাটতি আছে। আর খেলোয়াড়দের এক লিগ থেকে আরেক লিগে দৌড়াদৌড়িকে তাঁর চোখে সার্কাস। আপনার কী মত এখানে?
রমিজ: আমার মনে হয় এটা বন্ধ হওয়া উচিত (এক লিগ থেকে আরেক লিগে খেলতে চলে যাওয়া) এখানে আনুগত্যের বিষয়টি চলে আসে, তাই না? এটা ছন্দ আর দলের সমন্বয় নষ্ট করে। কেউ এটা চাইবে না। যদি খেলার প্রতিশ্রুতি থাকে, যেমন ধরুন, আমি এখানে এসেছি বিপিএলকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ায়। এরপর পিএসএলে পুরো টুর্নামেন্টে ধারাভাষ্য দেওয়ারও প্রস্তাব পেলাম। আমি বললাম, না। আমি আগেই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়ে গেছি। খেলোয়াড়দেরও একইভাবে চিন্তা করা উচিত।
প্রশ্ন: বিপিএলের বাইরের প্রসঙ্গ, বাংলাদেশ যখন ঘরের মাঠে খেলে, বেশিরভাগ সময়ে স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নেয়। উপমহাদেশের বাকি দলগুলোও কম-বেশি নেয়। স্পিনিং উইকেট তৈরি করলেই অনেক সমালোচনা হয়। অথচ অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ডে সিমিং উইকেট নিয়ে খুব বেশি সমালোচনা হয় না। এখানে বিসিবি বা বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে একটা যুক্তি তৈরি থাকে, কোন দেশ হোম কন্ডিশনের সুবিধা নেয় না! এ বিষয়ে আপনার অবস্থান কী?
রমিজ: নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষকে হারাচ্ছে, এটা দারুণ অর্জন। ভারতীয় দল কী করে ভারতে? এখানে যে বিষয়টি দেখা উচিত, আমরা যেভাবেই হোক জিতব—এটা উপভোগ কিংবা আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ঘরের মাঠে নিজেদের রেকর্ড নিয়ে বাংলাদেশের গর্ব করা উচিত। তার মানে অর্ধেক কাজ আপনি ঠিকঠাক করেছেন। পাকিস্তানও পারে না যখন তারা ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায় খেলে। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জয়ের ধারাটা ধরে রাখা। যখন বাংলাদেশ নিজেদের মাঠে খেলবে, এই ধারাটা ধরে রাখতে হবে। সে উইকেট স্পিনিং, সবুজ কিংবা যেটাই হোক। দিনশেষে আপনার দর্শক আপনাকে চ্যাম্পিয়ন, জয়ী হিসেবে দেখতে চায়।
প্রশ্ন: এশিয়ার দলগুলো লম্বা সময় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারছে না। অথচ বিশ্বের দুটি জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এ অঞ্চলেরই। ভারতের আইপিএল আছে, অথচ তারা ২০০৭-এর পর আর এই ট্রফিটা নিতে পারল না। এর ব্যাখ্যা কী?
রমিজ: আন্তর্জাতিক ট্রফি জেতা ভিন্ন বল-গেম। আপনাকে ভাগ্যের ছোঁয়া পেতে হবে, সঠিক সময়ে সেরা ছন্দে থাকতে হবে। আমার সারা জীবনের আফসোস থাকবে, অস্ট্রেলিয়ায় আমরা ফাইনালে উঠেছি (২০২২) অথচ জিততে পারিনি। এশিয়া কাপের ফাইনালে (২০২২) উঠলাম, জিততে পারিনি। এখানে আসলে অনেক কিছু জড়িত। আমরা যখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ জিতি, আমাদের সেমিফাইনালে উঠতে কাউকে না কাউকে হারতে হতো। আপনাকে লাকিও হতে হবে। সঠিক সময়ে সেরা ছন্দ খুঁজে পাওয়া—এটাই ঘটেছিল আমাদের ক্ষেত্রে।
প্রশ্ন: এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এশিয়ার দলগুলোর কেমন সম্ভাবনা?
রমিজ: আমি বিশ্বাস করি, এশিয়ার কোনো দল ট্রফি পাবে। আমার তো মনে হয়, বিপিএলে যা দেখেছি বাংলাদেশেরও ভালো সম্ভাবনা আছে। অনেক সম্ভাবনা দেখেছি।
প্রশ্ন: আসলেই?
রমিজ: হান্ড্রেড পার্সেন্ট। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কী হয়েছিল, মনে নেই? এখন নেদারল্যান্ডস হারিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকাকে। যে কোনো দল দৈত্য বধ করতে পারে। যে কোনো দল চমকে দিতে পারে। সবারই সুযোগ থাকছে। কাজেই বাংলাদেশকেও গোনার বাইরে রাখা যাবে না। এ কারণে আমি মনে করি ভারত, পাকিস্তান এমনকি বাংলাদেশের ভালো সম্ভাবনা আছে অন্তত সেমিফাইনালে ওঠার। তারপর দেখতে হবে সেখান থেকে কী করে।
প্রশ্ন: পিসিবির সভাপতি হওয়ার পর বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছিলেন। সৌরভ গাঙ্গুলীও প্রশংসিত হয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হিসেবে। আপনার কি মনে হয়, কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এলে বেশি ইতিবাচক পরিবর্তন আনা সম্ভব?
রমিজ: শীর্ষ অবস্থানে ক্রিকেটাররা এলে তাদের অনেক কিছু করার সুযোগ থাকে। যদি দীর্ঘ সময় খেলে থাকেন আপনি জানবেন, এখানে কী ঘটে। তখন এটা চালানোও অনেক সহজ হয়। খেলাটা আপনি নিষ্ঠার সঙ্গে দেখেন। খেলাটার জন্য আপনার একটা মন থাকতে হবে, স্পন্দন থাকতে হবে। কোনো খেলোয়াড়ের এটা আছে, কোনো খেলোয়াড়ের আবার নেই।
প্রশ্ন: বাংলাদেশের অনেক দর্শক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বিসিবির সভাপতি হিসেবে দেখতে চান। এই প্রতিবেদককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিবও পরিষ্কার জানিয়েছেন, তিনি বিসিবি সভাপতি হতে চান। আপনার কি মনে হয় মাশরাফি বা সাকিবের মতো বড় মাপের ক্রিকেটাররা ক্রিকেট প্রশাসনে এলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেক ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে?
রমিজ: সৌরভ আর আমি বোধহয় দরজাটা খুলে দিয়েছি পরের প্রজন্মের জন্য। যদি তারা খেলাটার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আসে, সেটা দারুণ হবে। ক্রিকেটাররা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ক্রিকেটীয় সিদ্ধান্তগুলো অধিক যৌক্তিক হয়ে থাকে। কারণ, আপনি এটার মধ্যে দিয়ে লম্বা সময় ধরে গেছেন। ক্রিকেটার হিসেবে ভালো বুঝবেন ক্রিকেটে কোনটা কাজ করবে, কোনটা করবে না। ক্রিকেটার প্রশাসনে এলে এই একটা সুবিধা। সাকিব-মাশরাফি লম্বা সময় ক্রিকেট খেলছে। এখন দুজনই সংসদ সদস্য। এটা দারুণ ব্যাপার। এখন আপনি যদি রাজনীতিবিদ হতে পারেন, তবে ক্রিকেট প্রশাসক কেন নয়?

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
২ মিনিট আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
৪২ মিনিট আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
১ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগী হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন,‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগী মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্রিত হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন এক ধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
এ বছরের অক্টোবরে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন আলবা। ২০২৫ এমএলএস দিয়ে শেষ করবেন তাঁর দীর্ঘ ২০ বছরের ক্যারিয়ার। চেজ স্টেডিয়ামে আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত দেড়টায় শুরু হবে এমএলএস কাপের ইন্টার মায়ামি-ভ্যাঙ্কুভার হোয়াইটক্যাপস ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে এসে আবেগী হয়ে পড়লেন আলবা। ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচের সময় মুহূর্তটা কেমন হবে, সেটা অনুভব করতে পারছেন তিনি। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ এই ডিফেন্ডার বলেন,‘এটা একেবারে আলাদা। কারণ, আমি জানি ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। অবশ্যই এটা ফাইনাল ম্যাচ। এর গুরুত্ব আছে। কিন্তু এটা ক্লাব ছাপিয়ে বড় কিছু। যা-ই হোক না কেন, আমি ছেড়ে যাচ্ছি। অবশ্যই শিরোপা দিয়ে শেষ করতে চাই।’
২০১২ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত ১১ বছর বার্সেলোনায় খেলেছেন জর্দি আলবা। যে ২০২৩ সালে মেসি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে গিয়েছেন, সে বছরই আলবা পাড়ি জমান ইন্টার মায়ামিতে। বার্সা থেকে যখন বিদায় নিয়েছিলেন, সেই মুহূর্তের কথা এমএলএস কাপ ফাইনালের আগের দিন স্মরণ করেছেন। আলবা বলেন, ‘আমি জানি না কীভাবে এটা সামলাব। সেই আবেগী মুহূর্তটা অনুভব করা যায় না। বার্সেলোনার হয়ে আমার শেষ ম্যাচের দিনও আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম। তবে এটা (এমএলএস কাপ ফাইনাল) তো শুধু দলবদল নয়। আমার তো এরপর আর মাঠেই নামা হবে না।’
ইন্টার মায়ামি যেন বার্সেলোনার সাবেক ফুটবলারদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে। মেসি, সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেতস, আলবারা ফের মিলেছেন মায়ামিতে এসে। মেসি আসার পর ২০২৩ সালে লিগস কাপ, ২০২৪ সালে সাপোর্টার্স শিল্ড—এই দুটি শিরোপা জিতেছে মায়ামি। যে স্টেডিয়ামেই ইন্টার মায়ামির ম্যাচ হোক না কেন, মেসির খেলা দেখতে গ্যালারি ভরপুর হয়ে ওঠে। তাঁর সঙ্গে সেলফি তুলতে ভক্ত-সমর্থকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। গত বছর কোপা আমেরিকায় যুক্তরাষ্ট্রের যে স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনার খেলা হয়েছে, সেখানে তাঁর জার্সি পরিহিত ভক্ত-সমর্থকদের মাঠে দেখা গেছে।
মেসি-সুয়ারেজদের সঙ্গে আবার যে পুনরায় একত্রিত হতে পেরেছেন, সেটা আলবার কাছে রোমাঞ্চকর। ৩৬ বছর বয়সী স্প্যানিশ ডিফেন্ডার বলেন, ‘নতুন এক ধরনের অভিজ্ঞতা হবে। তবে রোমাঞ্চকর। সাবেক সতীর্থদের সঙ্গে আবার পুনর্মিলন হয়েছে। ক্লাবটা (ইন্টার মায়ামি) কতটা গড়ে উঠেছে, সেটা স্পষ্ট। ফাইনালে ওঠা ইন্টার মায়ামির জন্য ঐতিহাসিক। তাদের সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলতে পেরে সৌভাগ্য।’ বার্সার জার্সিতে আলবা ছয়বার লা লিগা ও একবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল জিতলে মায়ামির হয়ে শিরোপার হ্যাটট্রিক করবেন তিনি। মেসির মতো আলবাও মায়ামির হয়ে লিগস কাপ ও সাপোর্টার্স শিল্ডের শিরোপা জিতেছেন।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
৪২ মিনিট আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
১ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং বোলার নেই।
সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের বোলিং লাইনের দুর্বলতা কেমন চলমান দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজই সেটার বড় প্রমাণ। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৪৯ রান করেও স্বস্তিতে ছিল না স্বাগতিকেরা। বড় লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারানোর পরও অলআউট হওয়ার আগে ৩২২ রান করে অতিথিরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতের পুঁজি ছিল আরও বেশি; ৩৫৮ রানের। এবার আর রক্ষা হয়নি লোকেশ রাহুলদের। ৪ বল এবং সমান উইকেট হাতে রেখে জয় তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৮.২ ওভারে ৮৫ রান দেন প্রসিধ কৃষ্ণা। ১০ ওভার বল করা হার্শিত রানার খরচ ৭০ রান। এর আগে প্রথম ম্যাচেও খরুচে বোলিং করেছিলেন আর্শদীপ সিং, রানা, কুলদীপ, রবীন্দ্র জাদেজারা।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে হরভজন বলেন, ‘ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে বুমরাহ ছাড়াও সিরাজ অবিশ্বাস্য বোলিং করেছে। ভারত এমন সব টেস্ট জিতেছে যেখানে বুমরাহ খেলেনি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে এমন সব বোলার খুঁজে বের করতে হবে যারা ম্যাচ জেতাতে পারবে। সেটা হোক পেসার কিংবা স্পিনার। এমন স্পিনার খুঁজে বের করতে হবে যারা মাঠে নেমে উইকেট নিতে পারে। দলে কুলদীপ আছে। কিন্তু বাকিদের কী হবে?’
দারুণ ফর্মে থাকার পরও অজানা কারণে দলের বাইরে আছেন মোহাম্মদ শামি। যেটা নিয়ে ভারতীয় ম্যানেজমেন্টকে ধুয়ে দিয়েছেন হরভজন, ‘শামি কোথায়? আমি জানি না কেন তাকে খেলাতে হচ্ছে না। আমি বুঝতে পারছি, দলে প্রসিধ আছে। সে একজন ভালো বোলার। কিন্তু তার এখনো অনেক কিছু শেখার আছে। দলে কয়েকজন ভালো বোলার ছিল। ধীরে ধীরে তাদের দলের বাইরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুমরা দলে থাকলে ভারতের বোলিং আক্রমণ ভিন্ন রকম হয়ে থাকে। সে না থাকলে তেমন ধার থাকে না। তাই ভারতীয় দলকে বুমরা ছাড়া আমাদের খেলা জেতার কৌশল শিখতে হবে।’

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
২ মিনিট আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
১ ঘণ্টা আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে গেছে তাইজুলের।
আইসিসি আজ নিজেদের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে পুরুষ, নারী দুই বিভাগেই নভেম্বর মাসের সেরা ক্রিকেটারের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশ করেছে। ছেলেদের ক্রিকেটে গত মাসের সেরাদের তালিকায় তাইজুলের প্রতিদ্বন্দ্বী দক্ষিণ আফ্রিকার সায়মন হারমার ও পাকিস্তানের মোহাম্মদ নাওয়াজ। তাইজুল গত মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্টই খেলেছেন। আইরিশদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার।
নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ১৭ উইকেট নিয়েছেন সায়মন হারমার। এই ১৭ উইকেট তিনি পেয়েছেন ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। ভারতকে ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাইয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার এই স্পিনার ম্যান অব দ্য সিরিজও হয়েছেন। নভেম্বর মাসের সেরা হওয়ার দৌড়ে থাকা পাকিস্তানের নাওয়াজেরও গত মাসটা দুর্দান্ত কেটেছে। বোলিংয়ে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। যার মধ্যে ১০টিই নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে-পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে হওয়া ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে। শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে পাকিস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজ জয়ের পর ফাইনালসেরা, সিরিজসেরা দুটি পুরস্কারই তিনি পেয়েছেন। ব্যাটিংয়ে করেছেন ১৫৬ রান। যার মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাঁর একটি ফিফটি রয়েছে। নাওয়াজের সমান ১৫ উইকেট নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের জ্যাকব ডাফি।
আইসিসির নভেম্বরে মেয়েদের মাসসেরাদের তালিকাতেও তিন ক্রিকেটার তিন দেশের। ভারতের শেফালি ভার্মার সঙ্গে এই তালিকায় মনোনয়ন পেয়েছেন থাইল্যান্ডের থিপাচা পুত্তাওয়াং ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইশা ওঝা। শেফালি গত ২ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে ভারতের নারী ক্রিকেটের
ইতিহাসে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিততে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফাইনালে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে তিনি পেয়েছেন ফাইনালসেরার পুরস্কার। ৭৮ বলে ৮৭ রানের পাশাপাশি বোলিংয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ ম্যাচ সাকিব খেলেছেন গত বছরের অক্টোবরে কানপুরে ভারতের বিপক্ষে টেস্টে। গত ১৪ মাসে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলার সুযোগ পাননি। যদি নিয়মিত হতে পারতেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে তাইজুলের বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারীর লড়াইটা হতো সমানে সমানে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থাকলেও প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট থেকে একেবারে বিচ্ছিন্ন নন সাকিব। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল), যুক্তরাষ্ট্রের মাইনর লিগ ক্রিকেট (এমআইএলসি) এই দুই টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
২ মিনিট আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
৪২ মিনিট আগে
বয়স শুধুই একটি সংখ্যা—ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে স্বাভাবিকভাবেই এই কথা মনে হবে সবার আগে। পর্তুগাল দল, আল নাসর—সব জায়গায় তিনি গোলের পর গোল করে চলেছেন। একের পর এক রেকর্ড গড়েও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড ক্ষান্ত হচ্ছেন না। পাগলা ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকা রোনালদোকে দেখে রীতিমতো মুগ্ধ পর্তুগাল জাতীয় দলের কোচ রবার্তো...
৩ ঘণ্টা আগেক্রীড়া ডেস্ক

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

আল নাসরের হয়ে এ বছর রোনালদো সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলে ১২ ম্যাচে করেছেন ১১ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ২ গোলে। সৌদি প্রো লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে করেছেন চার গোল। যার মধ্যে ২৩ নভেম্বর আল খালিজের বিপক্ষে বাইসাইকেল কিকে গোল করে চমকে দিয়েছেন তিনি। ৪০ বছর বয়সে শরীরটাকে শূন্যে ভাসিয়ে উল্টো দিকে গোল করা তো চাট্টিখানি কথা নয়। রোনালদোকে প্রশংসায় ভাসিয়ে এক পডকাস্টে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন মার্তিনেজ। পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই যে সে সফল হওয়ার পর থেমে যায় না। আরও কিছু করতে চায়। যখন আপনি কোনো কিছু জেতেন, পরের দিন আপনার ক্ষুধা কমে যায়। ক্রিস্টিয়ানো এমনই এক ব্যক্তি, গতকাল তার সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা আজ প্রভাব ফেলে না।’
আন্তর্জাতিক ফুটবল ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত রোনালদো করেছেন ৯৫৪ গোল। সংখ্যাটাকে ১০০০ পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় ইচ্ছা রয়েছে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের। মাঝেমধ্যে সহজ গোল মিসের পর তৎক্ষণাৎ হতাশা প্রকাশ করেন ঠিকই। কিন্তু ঘুরে দাঁড়াতে তাঁর বেশি সময় লাগে না। এ বছর পর্তুগালের হয়ে তিনি ৮ গোল করে ফেলেছেন। জুনে স্পেনকে হারিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো জিতেছেন নেশনস লিগের শিরোপা।
মাঠে যখন রোনালদো নামেন, তখন ক্ষিপ্র গতিতে দৌড়ে থাকেন। ডিফেন্ডারদের বোকা বানিয়ে এমন সব গোল করেন, তখন গোলরক্ষকও শত চেষ্টা করে গোল ঠেকাতে পারেন না। চোটের কারণে ম্যাচ মিস করার ঘটনাও তাঁর খুব কম। রোনালদোর হার না মানা মানসিকতা দেখে মুগ্ধ মার্তিনেজ এক পডকাস্টে বলেন,
‘আমি জানি না এটা জিনগত কি না। এটাই বাস্তবতা। সে প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যেতে চায়। সেটা অনুশীলন, চোট থেকে সেরে ওঠা, মাঠের পারফরম্যান্স—যেটা নিয়ে মনে হয় তার কাজ করা দরকার, তা নিয়ে যথেষ্ট মনোযোগী থাকে। সে হ্যাটট্রিক করল বা তিনটা সুযোগ মিস করল কি না, তাতে কিছু যায় আসে না। শেষ বাঁশি বাজার পর পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এটাই তাকে অনেক চঞ্চল করে রেখেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোতে আগামী বছর হতে যাচ্ছে ২৩তম ফুটবল বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপে রোনালদোর বয়স হবে ৪১ বছর। পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডকে এরপর আর ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থে’র মঞ্চে দেখা যাবে না। কিন্তু প্রতিযোগিতামূলক ক্যারিয়ারকে কবে বিদায় বলবেন, সেটা তিনি জানাননি। ৩৫-৩৬ বছর হলেই যেখানে অনেকে বুটজোড়া তুলে রাখেন, রোনালদোর এমন মানসিকতায় মুগ্ধ মার্তিনেজ। ফুটবলারদের অবসর নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাই রোনালদোর উদাহরণ দিয়েছেন তিনি (মার্তিনেজ)। পডকাস্টে পর্তুগিজ কোচ বলেন,‘‘ফুটবলাররা অবসরের সময় শরীর মস্তিষ্ককে বলে, ‘আমি আর পেরে উঠছি না।’ ক্রিস্টিয়ানোকে দেখে তেমন কিছু মনে হচ্ছে না। তার ব্যাপারে তার মস্তিষ্ক শরীরকে বলে এখনই থেমে যেতে হবে। তার প্রতিনিয়ত নিজেকে নিজে ছাড়িয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রয়েছে।’
লিওনেল মেসি, রোনালদো—দুজনেরই বিশ্বকাপে পথচলা ২০০৬ সালে। ২০২৬ বিশ্বকাপে তাঁরা দুজনই ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাচ্ছেন। আজ এই দুজনের নিশ্চয়ই চোখ থাকবে ফিফার ওয়েবসাইটের দিকে। বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় শুরু হবে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠান। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এবারই প্রথম খেলতে যাচ্ছে ৪৮ দল।

২০২৪ বিপিএল শেষ হলো কাল। এবার ধারাভাষ্য দিতে আসা পাকিস্তান কিংবদন্তি রমিজ রাজার কণ্ঠে বেশ মুগ্ধতা ঝরল বিপিএল নিয়ে। গত বুধবার রাতে মিরপুরে ধারাভাষ্য দেওয়ার ফাঁকে রমিজ কথা বললেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে।
০২ মার্চ ২০২৪
পেশাদার ক্যারিয়ারে কাউকে না কাউকে একদিন ফুলস্টপ তো দিতেই হয়। সেই বিদায়টা যদি হয় শিরোপা দিয়ে, তাহলে এর চেয়ে স্মরণীয় আর কী হতে পারে! জর্দি আলবারও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিদায় বলার সময় এসে গেছে। আগামীকাল এমএলএস কাপ ফাইনাল ম্যাচটা তাই আলবার কাছে অন্য সব ম্যাচের চেয়ে আলাদা।
২ মিনিট আগে
টেস্টে পরিস্থিতি বদলে দেওয়ার মতো বোলারের অভাব নেই ভারতের। যশপ্রীত বুমরা, মোহাম্মদ সিরাজ, আকাশ দীপরা নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য যমদূত হয়ে উঠেন। এদিক থেকে দলটির সাদা বলের ক্রিকেটের বোলিং লাইন ব্যতিক্রম বলে মনে করেন হরভজন সিংহ। তাঁর মতে, ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টিতে ভারতের যথেষ্ট ম্যাচ উইনিং
৪২ মিনিট আগে
টেস্টে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডটা এখন তাইজুল ইসলামের। সাকিব আল হাসানের ২৪৬ উইকেট ছাড়িয়ে টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ২৫০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গত মাসে গড়েছেন তাইজুল। আয়ারল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত বোলিংয়ের পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) সেরাদের তালিকায় নাম উঠে...
১ ঘণ্টা আগে