Ajker Patrika

আজও শচীনের অপেক্ষায় ১০ লাখ রুপির চেক

আহমেদ রিয়াদ, গোয়ালিয়র থেকে
আজও শচীনের অপেক্ষায় ১০ লাখ রুপির চেক

ভারতের মধ্যপ্রদেশের ঐতিহাসিক শহর গোয়ালিয়র শুধু তার রাজকীয় দুর্গ ও সংগীতের জন্য বিখ্যাত নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেও এর একটি বিশেষ গুরুত্ব আছে। ২০১০ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গোয়ালিয়রের ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামে এক অবিস্মরণীয় কীর্তি গড়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। ওয়ানডেতে হাঁকিয়েছিলেন প্রথম দ্বিশতক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে শচীনের সেই হার না মানা দ্বিশতকই ক্রিকেটের বিশ্ব মানচিত্রে নতুন করে চিনিয়েছে গোয়ালিয়রকে।

শচীনের সেই কীর্তির শহরে প্রথমবার এসেছে বাংলাদেশ। সাকিব-পরবর্তী বাংলাদেশ দলের মিশন এবার সাদা বলের ক্রিকেটে।

শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থান ক্যাপ্টেন রূপ সিং স্টেডিয়ামের। গাড়ি থেকে নামতেই দেখা মেলে রেসকোর্স সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শচীনের স্মৃতিবিজড়িত স্টেডিয়ামের। মূল ফটকের বাইরে শচীনের কয়েকটি দেয়াল অঙ্কন। ভেতরে ঢুকতেই দৃষ্টিগোচর হলো শচীনের দ্বিশতক হাঁকানো ম্যাচের স্কোরকার্ড। পিভিসি ব্যানারে দেয়ালে টাঙানো।

এখানে দর্শনার্থী যাঁরা আসেন, অনেকে স্কোরকার্ড দেখেন, ছবিও তোলেন। ভেতরের অফিসকক্ষের বাইরে আরও কিছু ছবি সংরক্ষিত আছে। বিভিন্ন সময়ের খেলা ম্যাচের ছবি। কালের আবর্তে স্টেডিয়ামের অবস্থা বেশ জীর্ণ। দুটো ম্যানুয়াল স্কোরবোর্ড এখনো আছে। তবে সেটির অবস্থা বেশ নাজুক। এই মাঠে এখন কেবল বয়সভিত্তিক দলের খেলা এবং প্রাদেশিক টুর্নামেন্টের কিছু ম্যাচ হয়।

স্টেডিয়ামটি ঘুরে দেখার সময় কথা হয় এই ভেন্যুর তত্ত্বাবধানকারী কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ২০১০ সালে ওয়ানডেতে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির পর গোয়ালিয়র ডিভিশন ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন (জিডিসিএ) শচীনকে ১০ লাখ রুপি পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। সেই পুরস্কার আজও তুলে দেওয়া যায়নি ব্যাটিং মাস্টারের হাতে। জিডিসিএর সভাপতি প্রশান্ত মেহতা জানিয়েছেন, ‘এখনো শচীনের জন্য আমরা অপেক্ষায়। যখনই তিনি এখানে আসবেন, তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেব।’ প্রশান্ত মেহতা আরও বলেন, ‘এই পুরস্কার শুধু একটি আর্থিক সম্মান নয়, বরং গোয়ালিয়রের মানুষের এবং জিডিসিএর পক্ষ থেকে শচীনের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ভালোবাসার প্রকাশ। শচীনের সেই ইনিংস ওয়ানডে ক্রিকেটের জন্যই নতুন এক মাইলফলক।’

সে সময় এই মাঠের উইকেট বানিয়েছিলেন কিউরেটর সামান্দর সিং চৌহান। সেদিন মাত্র ১৪৭ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন শচীন। ইনিংসের শেষ ওভারে চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টের বলে সিঙ্গেল নিতেই উল্লাসে ফেটে পড়েন গ্যালারিতে উপস্থিত প্রায় ১৮ হাজার দর্শক। সেদিনের স্মৃতি এখনো মনে স্পষ্ট সামান্দর সিংয়ের, ‘শচীনের ইনিংস যখন দেড় শর ঘরে, তখন থেকেই গোটা স্টেডিয়ামে চাপা উত্তেজনা। কিন্তু অধিনায়ক ধোনি জানতেন, শচীনকে ২০০-র লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে হলে দলকে সঠিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।’

ধোনির নেতৃত্বেরও প্রশংসা করলেন সামান্দর সিং, ‘ধোনি খুবই বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়ক। তিনি ভালো করেই জানতেন, শচীনকে এই ঐতিহাসিক মাইলফলকে পৌঁছাতে হলে তাঁকে নির্ভরযোগ্য সঙ্গ দিতে হবে। তবে এটাও গুরুত্বপূর্ণ ছিল যে দ্রুত রান করতে হবে, যেন শচীন তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেন। ধোনি মাঠে এসে শচীনের সঙ্গে কথা বলছিলেন। ব্যাটিংয়ের ধরন এবং ম্যাচ পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করছিলেন। মজার ব্যাপার ছিল, শচীন নিজেই তখন ধোনিকে বলছিলেন, কীভাবে রান দ্রুত তোলার পরিকল্পনা করা যেতে পারে। আমরা দেখলাম, ধোনি ধীরে ধীরে তাঁর ছন্দে ঢুকছেন। প্রথমে কয়েকটা এক রান, তারপর বড় শট। এমনকি তিনি শচীনকে বলেন, ‘আপনি আপনার খেলায় মন দিন, আমি মাঠের বাকি অংশ সামলে নিচ্ছি।’

সামান্দর সিং চৌহানের মতো অনেকে শচীন ও ধোনির দুর্দান্ত বোঝাপড়ার কথা আজও মনে করেন। সেই বোঝাপড়ারই ফসল ওয়ানডের প্রথম দ্বিশতক; যা চিরস্মরণীয়। গোয়ালিয়র তাই এখনো শচীনকে ধারণ করে। রূপ সিং স্টেডিয়ামের সব জায়গায় তাঁর স্মৃতি। শুধু তা-ই নয়, মাঠের অদূরে একটি রাস্তাও তাঁর নামে—শচীন মার্গ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৫ উইকেট নিয়ে থামলেন মোস্তাফিজ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত
আইএল টি-টোয়েন্টিতে দারুণ বোলিং করেছেন কাটার মাস্টার। ছবি: সংগৃহীত

আইপিএলে কেন কলকাতা নাইট রাইডার্স এবার তাঁকে ১২ কোটি টাকায় নিয়েছে, সেটি খুব ভালোভাবেই আরব আমিরাতের আইএল টি-টোয়েন্টিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। আজ একটা পর্যায়ে মোস্তাফিজের নামটা উইকেটশিকারির তালিকায় যৌথভাবে শীর্ষে ছিল।

শারজা ওয়ারিয়র্জের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলে কাল দুপুরে ঢাকায় ফিরে আসার কথা মোস্তাফিজের। এসেই নেমে পড়তে হবে বিপিএল খেলতে। সিলেটে তাঁর দল রংপুর রাইডার্সের প্রথম ম্যাচ আগামী সোমবারে। ঢাকায় ফিরে দুদিনের সংক্ষিপ্ত বিরতিতে তিনি চলে যাবেন সাতক্ষীরায় গ্রামের বাড়িতে। সেখান থেকে ফিরে দলে যোগ দেবেন রোববার।

বিপিএলে যোগ দেওয়ার আগে একাধিক সুখবর পেলেন মোস্তাফিজ। আইপিএল নিলামে তিনি বিক্রি হয়েছেন রেকর্ড দামে। আরব আমিরাতে দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে আইএল টি-টোয়েন্টিতেও ধারাবাহিক ভালো খেলেছেন। ৮ ম্যাচে নিয়েছেন ১৫ উইকেট। আজ শারজার বিপক্ষে শীর্ষ উইকেটশিকারি হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন সতীর্থ ওয়াকার সালামখেইলের সঙ্গে। ওয়াকার ২ উইকেট নিয়ে টপকে যান মোস্তাফিজকে। তবু টুর্নামেন্টজুড়ে যে বোলিং করেছেন মোস্তাফিজ, আজ দেশে ফেরায় তাঁকে নিশ্চিতভাবেই মিস করবে দুবাই ক্যাপিটালস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

আসছে বিসিবির নতুন টুর্নামেন্ট

ক্রীড়া ডেস্ক    
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে নতুন একটি টুর্নামেন্ট চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। যেটির নাম ‘রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব-২৩ ’। সংস্থাটির মিডিয়া কমিটির প্রধান আমজাদ হোসেন জানালেন, টুর্নামেন্টটি হবে অনেকটা বিসিএলের মতো। যেখানে অংশ নেবে চারটা দল। দলগুলো হলো–পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চল।

টুর্নামেন্ট হবে ডাবল লিগ পদ্ধতিতে। সেখান থেকে শীর্ষ দুই দল শিরোপার লড়াই করবে। অনূর্ধ্ব-২৩ পর্যায়ের এই টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে মোট ৩১ টি। মূলত পাইপলাইন সমৃদ্ধ করতেই এই উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।

সংবাদমাধ্যমকে আমজাদ বলেন, ‘আমরা রাইজিং স্টার অনূর্ধ্ব ২৩ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। এটা বিসিএলের মতই হবে। অনূর্ধ্ব ২৩ এর পর নির্দিষ্ট কোনো টুর্নামেন্ট ছিল না। কিন্তু এবার হচ্ছে। ইনশাআল্লাহ ফেব্রুয়ারিতে এই টুর্নামেন্ট করার পরিকল্পনা করছি আমরা।’

টুর্নামেন্টের ভেন্যু প্রসঙ্গে আমজাদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে দুটো স্টেডিয়ামে হবে ম্যাচগুলো। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে টুর্নামেন্ট আয়োজন করব। ফাইনাল ঢাকায় হবে। এগুলো ছিল আমাদের প্রধান কিছু সিদ্ধান্ত।’

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে ১ বছরে ১০০ উইকেট বানাবে বিসিবি

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৩৯
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি
জেলা লিগগুলো সচল করতে চায় বিসিবি। ফাইল ছবি

প্রায় দিনব্যাপী বোর্ড সভার পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সংবাদ সম্মেলন। লম্বা অপেক্ষায় থাকা সংবাদমাধ্যম কর্মীদের চমকে দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তের কথা জানাননি সংবাদ সম্মেলনে আসা তিন পরিচালক। তবে বোর্ড মিটিংয়ে নেওয়া নতুন দুটি সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিসিবির মিডিয়া কমিটির প্রধান।

আসন্ন নতুন বছরে বিসিবি সারা বাংলাদেশে ১০০ উইকেট বানাতে চায়, যেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’। আমজাদ বলেন, ‘জেলা লিগগুলো সচল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত বছর মাত্র ১২টি জেলায় লিগ হয়েছিল, নতুন বছরে আমাদের লক্ষ্য অন্তত ৪০টি জেলায় লিগ আয়োজন করা। আমাদের নতুন একটি থিম লঞ্চ করা হয়েছে ‘১০০ উইকেটস ইন ২০২৬ ’।

সারা দেশে এক বছরে ১০০ উইকেট তৈরির পরিকল্পনা বিসিবির গ্রাউন্ডস বিভাগের প্রধান খালেদ মাসুদ পাইলট বলেন, ‘১০০ উইকেটের পরিকল্পনাটা হচ্ছে মাঠের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করা। মাঠ ছাড়া ক্রিকেটে এগোনো কঠিন। ফতুল্লা ইনসাইড এবং আউটার, সঙ্গে পূর্বাচলে যে মাঠটি আছে, সেগুলোর উন্নয়ন আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। আমরা এই মৌসুমের মধ্যে ১০০টির বেশি উইকেট তৈরির চেষ্টা করছি। আমাদের বিভাগীয় ভেন্যু; যেমন বগুড়া, খুলনা, রাজশাহী—এগুলো ২০ বছর আগের মডেলে চলছে। সেন্টার উইকেটের পাশে আরও উইকেট বাড়িয়ে আমরা এগুলো আধুনিক করতে চাই। বরিশাল মাঠের কাজ ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছি। আমরা চাই আমাদের বিভাগীয় সদর দপ্তরগুলো একেকটি ‘হাব’ হিসেবে কাজ করুক, যাতে জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা ঠিকঠাক যন্ত্রপাতি এবং সুযোগ-সুবিধা পায়।’

১০০ উইকেট তৈরিতে নতুন কোনো মাঠ কেনা হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পাইলট। বর্তমানে যে মাঠগুলো আছে, সেগুলোকে সচল করা এবং আধুনিক উইকেট তৈরি করাই তাঁদের লক্ষ্য।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রাজশাহীর লক্ষ্য নিয়ে কী বললেন সন্দীপ লামিচানে

ক্রীড়া ডেস্ক    
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।
অনুশীলনে বল হাতে তারকা লেগস্পিনার। ছবি: রাজশাহী ওয়ারিয়র্সের ফেসবুক পেজ।

নিলামের পর সন্দীপ লামিচানেকে দলে টেনেছে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। প্রধান কোচ হান্নান সরকারের ইচ্ছায় এই লেগস্পিনারকে নিয়েছে পদ্মাপাড়ের ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ২০২৬ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) অংশ নিতে গতকাল রাজশাহী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তিনি।

আজ দলীয় অনুশীলনেও দেখা গেল লামিচানেকে। এক দিন না যেতেই গোটা দলের মধ্যমণি এই নেপালি ক্রিকেটার। দলের প্রতিনিধি হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেছেন। সেখানেই জানিয়েছেন, নিজেদের স্কোয়াডের গভীরতা কাজে লাগিয়ে শিরোপা জেতার লড়াই চালিয়ে যাবে রাজশাহী।

লামিচানে বলেন, ‘আমাদের দলে যে ধরণের সম্ভাবনা রয়েছে তা অসাধারণ। বিশেষ করে যখন আপনি কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে খেলেন, তখন স্থানীয় খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে অনেক প্রতিভা আছে। আমি এদের অনেকের সাথেই আগে খেলেছি, তাই তাদের চিনি। আমরা সিলেটের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচের জন্য পুরো দল বেশ রোমাঞ্চিত। দলের ভেতরের পরিবেশও এখন খুব ইতিবাচক।’

নিজেদের স্কোয়াড নিয়ে সন্তুষ্ট লামিচানে। তিনি বলেন, ‘আমাদের টপ অর্ডার থেকে শুরু করে লোয়ার অর্ডার, সব জায়গাতেই ভারসাম্য আছে। স্পিনার, ফাস্ট বোলার-সব বিভাগে ভালো খেলোয়াড় আছে। শান্ত দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। দলে ভালো বিদেশি ক্রিকেটারও আছে। সব মিলিয়ে আমাদের দলটা স্বয়ংসম্পূর্ণ। সবাই শিরোপার জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।’

দর্শকদের হতাশ করতে চান না লামিচানে, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো ম্যাচ জেতা। এটিই সবচেয়ে সহজ লক্ষ্য। সেই সাথে দর্শকদের আনন্দ দেয়া এবং দলের জন্য পয়েন্ট অর্জন করা। সবার ভালোবাসার জন্য কৃতজ্ঞতা এবং আমরা দল হিসেবে ট্রফি জেতার চেষ্টা করব।’

কীভাবে রাজশাহীতে যোগ দিলেন সে অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে লামিচানে বলেন, ‘আমি নেপাল প্রিমিয়ার লিগের ফাইনাল দেখছিলাম। তখন আসাদের কোচ হান্নান সরকার মেসেজ করে জিজ্ঞেস করেন আমি রাজশাহী ওয়ারিয়র্সে খেলতে চাই কিনা। অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই আমরা সবকিছু চূড়ান্ত করে ফেলি। তিনি যেভাবে পুরো বিষয়টি সহজ করেছেন, তার জন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত